Blog

  • Ramakrishna 185: “একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়”

    Ramakrishna 185: “একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়”

     ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

     শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে

    স্বাধীন ইচ্ছা না ঈশ্বরের ইচ্ছা? Free will or God’s Will 

    বৈদ্যনাথ—মহাশয়! একটি সন্দেহ আমার আছে। এই যে বলে Free Will অর্থাৎ স্বাধীন ইচ্ছা—মনে কল্লে ভাল কাজও কত্তে পারি, মন্দ কাজও কত্তে পারি, এটি কি সত্য? সত্য সত্যই কি আমরা স্বাধীন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সকলই ঈশ্বরাধীন। তাঁরই লীলা। তিনি নানা জিনিস করেছেন। ছোট, বড়, বলবান, দুর্বল, ভাল, মন্দ। ভাললোক; মন্দলোক। এ-সব তাঁর মায়া, খেলা। এই দেখ না, বাগানের সব গাছ কিছু সমান হয় না।

    “যতক্ষণ ঈশ্বরকে লাভ না হয়, ততক্ষণ মনে হয় আমরা স্বাধীন। এ-ভ্রম তিনিই রেখে দেন, তা না হলে পাপের বৃদ্ধি হত। পাপকে ভয় হত না। পাপের শাস্তি হত না।

    “যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তাঁর ভাব কি জানো? আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী; আমি ঘর, তুমি ঘরণী; আমি রথ, তুমি রথী; যেমন চালাও, তেমনি চলি। যেমন বলাও, তেমনি বলি।”

    ঈশ্বরদর্শন কি একদিনে হয়? সাধুসঙ্গ প্রয়োজন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (বৈদ্যনাথের প্রতি)—তর্ক করা ভাল নয়; আপনি কি বল?

    বৈদ্যনাথ—আজ্ঞে হাঁ, তর্ক করা ভাবটি জ্ঞান হলে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—Thank you (সকলের হাস্য)। তোমার হবে! ঈশ্বরের কথা যদি কেউ বলে, লোকে বিশ্বাস করে না। যদি কোন মহাপুরুষ বলেন, আমি ঈশ্বরকে দেখেছি তবুও সাধারণ লোকে সেই মহাপুরুষের কথা লয় না। লোকে মনে করে, ও যদি ঈশ্বর দেখেছে, আমাদের দেখিয়ে দিগ্‌। কিন্তু একদিনে কি নাড়ী দেখতে শেখা যায়? বৈদ্যের সঙ্গে অনেকদিন ধরে ঘুরতে হয়; তখন কোন্‌টা কফের কোন্‌টা বায়ূর কোন্‌টা পিত্তের নাড়ী বলা যেতে পারে। যাদের নাড়ী দেখা ব্যবসা, তাদের সঙ্গ করতে হয়। (সকলের হাস্য)

    “অমুক নম্বরের সুতা, যে-সে কি চিনতে পারে? সুতোর ব্যবসা করো, যারা ব্যবসা করে, তাদের দোকানে কিছুদিন থাক, তবে কোন্‌টা চল্লিশ নম্বর, কোন্‌টা একচল্লিশ নম্বরের সুতা ঝাঁ করে বলতে পারবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohit Virat: অস্ট্রেলিয়ায় ব‍্যর্থ হলেই ছাঁটাই! দাবি উঠছে রোহিত-বিরাটের অবসরের, কী ভাবছে বোর্ড?

    Rohit Virat: অস্ট্রেলিয়ায় ব‍্যর্থ হলেই ছাঁটাই! দাবি উঠছে রোহিত-বিরাটের অবসরের, কী ভাবছে বোর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে এক যুগ পর সিরিজ হারল ভারত। শুধু হার নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ টেস্ট সিরিজের ফল। পুরোপুরি ব্যর্থ ব্যাটিং অর্ডার। চূড়ান্ত ফেল ‘রো-কো’ (রোহিত-কোহলিকে একসঙ্গে এই নামেই ডাকা হয়) জুটি। যা নিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের শেষ নেই। অনেকেরই দাবি, এবার সরে দাঁড়াক বিরাট-রোহিতরা। এই আবহেই বিসিসিআই সূত্রে খবর, আগামী দিনে জাতীয় দলের দরজা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের কাছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের পরেই ভারতীয় দলের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের ভবিষ্যত ঠিক হয়ে যাবে। 

    কী ভাবছে বোর্ড

    নিউজিল্যান্ডের কাছে চুনকাম হওয়ার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলেছে বোর্ড। পরবর্তী টেস্ট বিশ্বকাপের আগে ধীরে ধীরে সিনিয়রদের সরিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে তারা। মনে করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সফর রোহিত, কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার কাছে শেষ সুযোগ হতে পারে। প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ পর্বে। খারাপ ফল হলেই কোপ পড়তে পারে তাঁদের উপর। বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “১০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দল রওনা দেওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার যে বড়সড় ধাক্কা তাতে সন্দেহ নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল ঘোষিত। সেখানে বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে না পারে, তা হলে নিশ্চিত থাকুন চার সিনিয়র ক্রিকেটার পরবর্তী ইংল্যান্ড সফরের বিমানে উঠবে না। হয়ত, ওই চার জন দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলে ফেলল।” 

    ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের দাবি

    দেশের মাটিতে পরপর বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোট ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এই পাঁচ টেস্টে দুই তারকা রোহিত ও  বিরাটের পরিসংখ্যান ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের যথেষ্ট রাগের কারণ হতে পারে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া ৩ টেস্টের সিরিজে ক্লিনসুইপ হওয়ার পর কোহলি ও রোহিতের উপর চটেছেন ভক্তরাও। রোহিত শর্মা দেশের মাটিতে শেষ ৫ টেস্ট ম্যাচে ১০ ইনিংসে করেছেন ১৩৩ রান। গড় ১৩.৩০। সর্বাধিক রান ৫২। যা এসেছিল বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। এ বছরের মার্চে ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রোহিত।

    অন্যদিকে ভারতের মাটিতে বিরাট কোহলির শেষ ৫ টেস্ট ম্যাচে যদি নজর রাখা হয়, তা হলে দেখা যাবে তিনি ২১.৩৩ গড়ে করেছেন ১৯২ রান। তাঁর সর্বাধিক স্কোর ৭০। যা এসেছিল বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। ২০২৩ সালের জুলাইতে পোর্ট অব স্পেনে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট শতরান করেছিলেন বিরাট। এই আবহে রোহিত-বিরাট ম্যাজিকে পড়েছে টান। নেটিজেনদের দাবি, এবার ‘রো-কো’ জুটির থামা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আজ আরজি কর কাণ্ডের চার্জ গঠন শিয়ালদা আদালতে, এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া

    RG Kar: আজ আরজি কর কাণ্ডের চার্জ গঠন শিয়ালদা আদালতে, এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে গত অক্টোবরেই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল চার্জশিটে। এর পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও রয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ৮৭ দিন পর, মামলার চার্জ গঠন হবে শিয়ালদা আদালতে। চার্জ গঠন সম্পন্ন হলেই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    সিভিকই জড়িত (RG Kar) 

    গত ৭ অক্টোবর সিবিআই চার্জশিট জমা দিয়েছিল এই মামলায়। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই (RG Kar Hospital Incident) আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত। তার বহু প্রমাণ মিলেছে বলেও জানায় সিবিআই। বয়ান, ভিডিও এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় সিবিআই।

    সিভিকের বিরুদ্ধে ১১টি ‘প্রমাণ’ (RG Kar) 

    ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের (RG Kar)  বিরুদ্ধে চার্জশিটে সিবিআইয়ের দেওয়া ১১টি প্রমাণ হল—

    ১. সিসিটিভি ফুটেজে অনুযায়ী, গত ৯ অগাস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিলেন ধৃত সঞ্জয়। সেখানেই অপরাধ সংঘটিত হয়।

    ২. অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল ফোনের লোকেশন বলছে, সে ঘটনার সময় হাসপাতালেই ছিল। 

    ৩. ময়নাতদন্তের সময় নির্যাতিতার দেহ থেকে ধৃতের ডিএনএ মিলেছে।

    ৪. ধৃতের প্যান্ট এবং জুতো থেকে মৃতার রক্তের দাগ মিলেছে।

    ৫. ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছোট ছোট চুলগুলি, অভিযুক্তের চুলের সঙ্গে মিলে গিয়েছে (RG Kar Hospital Incident)।

    ৬. ঘটনাস্থল থেকে যে ব্লুটুথ ইয়ারফোন উদ্ধার হয়েছিল, তা ধৃতেরই। ধৃতের মোবাইলে কানেক্ট করে তা দেখাও হয়েছে। ঘটনার রাতে ধৃত যখন যাচ্ছিল তখন তার ব্লুটুথ ইয়ারফোন জড়ানো ছিল। কিন্তু সে ফেরার সময় ইয়ারফোন ছিল না। 

    ৭. ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষার করে জানা গিয়েছে, তার শরীরের ক্ষতগুলি ৮ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্টের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাও ওই সময়েই ঘটেছিল।

    ৮. অভিযুক্তের শরীরের যে ক্ষত নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল।

    ৯. অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, সে সঙ্গমে অক্ষম।

    ১০. সিএফএসএল কলকাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতার অন্তর্বাসের সেলাই যে ভাবে ছিঁড়ে গিয়েছে, তা জোর জবরদস্তির ফল।

    ১১. সিএফএসএল কলকাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা যে কুর্তি পরেছিলেন, সেই কুর্তিরও দু’পাশটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। এটাও জোরজবরদস্তির কারণেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকারে প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে।” মাস তিনেক মুখে কুলুপ এঁটে থাকার পর কথাগুলি বললেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশছাড়া শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। রবিবার বাংলাদেশে পালিত হয়েছে জেলহত্যা দিবস।

    কী বললেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    এদিন জারি করা এক বিবৃতিতে হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।” তাঁর মতে, কিন্তু তার পরেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। আরও একবার তা হবে। নভেম্বরের ৩ তারিখে গভীর রাতে মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রধান নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলি এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের একটি প্রকোষ্ঠে নিয়ে এসে বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।

    দেশছাড়া হাসিনা

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ৫ অগাস্ট দেশছাড়া হন হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে তিনি (Sheikh Hasina) লেখেন, “দেশে বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা-বিরোধীরা ক্ষমতাসীন হয়েছে। স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করছে। কিন্তু দিনের শেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।”

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর ‘উধাও’ অন্তর্বাসে প্রতিবাদ জানানো ইরানের তরুণী, কোথায় গেলেন তিনি?

    হাসিনা বলেন, “সময়ের পরিক্রমায় এক দিন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেতনা চির জাগরূক থাকবে।” তাঁর প্রশ্ন, “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?” তিনি বলেন, “এখন শোক পালনের অধিকার নেই। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হত্যাকারীদের বিচারের বদলে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে, রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির যে কোনও (Bangladesh) ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: জঙ্গি সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে, কড়া নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের

    Jammu Kashmir: জঙ্গি সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে, কড়া নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমন অভিযানে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার ওসমানের মৃত্যুর পরই ফের রক্তাক্ত শ্রীনগর (Srinagar)। রবিবার বাজারে গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ১২ জন জখম হয়েছেন। গত কয়েকদিনে একাধিকবার জঙ্গি হামলায় রক্ত ঝরেছে উপত্যকায়। এরপরই কড়া নির্দেশ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) উপরাজ্যপাল মনোজ সিন‍্‍হা। সেনাকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন তিনি। 

    যে কোনও মূল্যে জঙ্গি দমন

    রবিবার বিকেলে টিআরসি থেকে লালচক পর্যন্ত, রেসিডেন্সি রোডে একটি বড় বাজার বসে। সেই বাজারের মধ্যেই এদিন সিআরপিএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলার নিন্দা করে উপরাজ্যপাল নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, “জঙ্গিদের কড়া জবাব দিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।” জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাতের সঙ্গে কথা বলেন উপরাজ্যপাল। নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। সরকারি এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিদের কড়া জবাব দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল। উপরাজ্যপাল বলেন, যারা সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালিয়েছে, এর মূল্য তাদের চোকাতে হবে। জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে বলে মন্তব্য করেন মনোজ সিন‍্‍হা।

    আরও পড়ুন: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সমর্থনে ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াকে, দাবি মার্কিন সংস্থার

    লস্কর জঙ্গি ওসমান-নিধনে বিস্কুটের ভূমিকা

    এর আগে, শনিবার শ্রীনগরের (Jammu Kashmir) খানিয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিনেতা ওসমানের। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই কমান্ডারকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক জঙ্গি হামলায় বড় ভূমিকা রয়েছে ওসমানের। তার মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে (Srinagar) চার জওয়ানও জখম হয়েছেন। সেনা সূত্রে খবর, শনিবারের অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যে বিস্কুটের একটি বড় ভূমিকা ছিল। অভিযানের সময়ে পথকুকুররা যাতে ডাকাডাকি না করে, সে দিকে সজাগ নজর ছিল বাহিনীর। ওসমানকে খুঁজে বার করার সময় পথকুকুরদের শান্ত রাখা ছিল বাহিনীর অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, কুকুর ডাকাডাকি করলে ওসমানের সতর্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই অভিযান শুরুর সময় জওয়ানেরা সঙ্গে বিস্কুট রেখে দিয়েছিলেন। এলাকায় কুকুরদের শান্ত রাখার জন্য বিস্কুট খাওয়ান তাঁরা। শেষে খানিয়ারে ওসমানের সম্ভাব্য আস্তানাকে চিহ্নিত করে ৩০টি বাড়ি ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। অভিযানের একটি পর্যায়ে জঙ্গিনেতাকে খুঁজেও পান তাঁরা। লস্কর নেতার সঙ্গে ছিল একে-৪৭, একটি পিস্তল এবং বেশ কিছু গ্রেনেড। কয়েক ঘণ্টা ওসমান ও অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। শেষে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওসমানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran: গ্রেফতারির পর ‘উধাও’ অন্তর্বাসে প্রতিবাদ জানানো ইরানের তরুণী, কোথায় গেলেন তিনি?

    Iran: গ্রেফতারির পর ‘উধাও’ অন্তর্বাসে প্রতিবাদ জানানো ইরানের তরুণী, কোথায় গেলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের (Iran) রাজধানী তেহরানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অন্তর্বাস পরে রাস্তায় নেমেছিলেন এক তরুণী। পরে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত অজানা। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণীর নাম পরিচয় কিছুই জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।

    প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল

    সম্প্রতি, একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, অন্তর্বাস পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে ঘোরার পরে, বাইরে একটি জায়গায় গিয়ে বসে পড়েন তিনি। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্য়ম। মহিলাদের কড়া পোশাক বিধির বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঠিক কোথায় রাখা হয়েছে সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু না জানা যাওয়ায়, উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর কারণ এই আবহে ঠিক মনে পড়ছে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। তখনও হিজাব না পরে রাস্তায় বের হয়েছিলেন ইরানের (Iran) তরুণী মাহাসা আমিনি। সে সময়ও মাহাসাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এর পরবর্তীকালে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। ওই ঘটনার পর সারা বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবাদ করেন মানুষজন।

    ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পোশাক পরার নির্দেশ 

    সেই ঘটনার দু’বছর পেরোতেই ফের একবার ইরানের (Iran) নারী স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন আরও এক তরুণী। প্রসঙ্গত, ইরানে মহিলাদের জন্য কড়া পোশাক বিধি জারি রয়েছে। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পোশাক পরার নির্দেশ রয়েছে। আবশ্যিকভাবে সেখানে মহিলাদের হিজাব দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হয়। সেদেশের পূর্বতন ধর্মগুরু আয়াতুল্লা খামেনেইও এই ফতোয়া জারি করেছিলেন। বর্তমান ধর্মগুরু আলি খামেনেই তা জারি রেখেছেন।

    মাহাসাকাণ্ডের পরের প্রতিবাদ (Iran)

    প্রসঙ্গত, মাহাসাকাণ্ডের পরই ইরানের (Iranian Authority) মহিলারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এবং হিজাব ফতোয়া উড়িয়ে দিয়ে তাঁরা চুল কেটে প্রতিবাদে নেমেছিলেন। প্রতিবাদকে কড়া হাতে দমন করেছিল ইরানের ইসলামিক প্রশাসন (Iranian Authority)।  ইসলামের ফতোয়া অবমাননা করার অপরাধে বহু বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। মহিলারা পোশাক বিধি না মানলে পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে ইরানে এবং ভারতীয় মুদ্রায় সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকা জরিমানারও বিধি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিল আদানি গোষ্ঠী

    Adani Group: বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিল আদানি গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া না পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য বাংলাদেশকে ডেডলাইন বেঁধে দিল ভারতীয় এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী (Bangladesh)। সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেওয়া হবে না।

    আঁধারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ (Adani Group)

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বিদ্যুতের দাম বাবদ বাংলাদেশের থেকে আদানি গোষ্ঠীর পাওনা ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেই বকেয়া না মেটালে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আর যদি তা হয়, আঁধারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ। বকেয়া না মেটানোয় সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা। তার পরেই ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে একেবারেই অন্ধকারে ডুবে যাবে মহম্মদ ইউনূসের দেশ।

    লেটার অফ ক্রেডিটও দিয়েছিল

    বাংলাদেশে সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। ২০২২ সাল থেকে ভারতীয় এই সংস্থা বিদ্যুৎ বিক্রি করে চলেছে পড়শি দেশকে। সেই বাবদ আদানির সংস্থার প্রাপ্য হয় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর আগে বকেয়া মেটানোর জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই সঙ্গে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার লেটার অফ ক্রেডিটও দিয়েছিল। সেই টাকা কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেটার অফ ক্রেডিট দিয়ে মেটানোর কথা থাকলেও, তা দেয়নি বাংলাদেশ। তার জেরে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড।

    আরও পড়ুন: ইরানে হিজাবের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ তরুণীর, শোরগোল মধ্যপ্রাচ্যে

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসে প্রতিদিন ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর তরফে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা ছিল ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় চরম বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ইউনূসের দেশে দিনের অনেকটা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দিলে (Bangladesh) দেশটি যে অন্ধকারে ডুবে যাবে, তা (Adani Group) বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 November 2024: সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 November 2024: সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 184: “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন? বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ”

    Ramakrishna 184: “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন? বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ”

     ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল 

    শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে

    সুরেন্দ্রের বাড়ির উঠানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সভা আলো করিয়া বসিয়া আছেন, অপরাহ্ন বেলা ছয়টা হইল।

    উঠান হইতে পূর্বাস্য হইয়া ঠাকুরদালানে উঠিতে হয়। দালানের ভিতর সুন্দর ঠাকুর-প্রতিমা। মার পাদপদ্মে জবা, বিল্ব, গলায় পুষ্পমালা। মাও ঠাকুরদালান আলো করিয়া বসিয়া আছেন।

    আজ শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা। চৈত্র শুক্লাষ্টমী, ১৫ই এপ্রিল, ১৮৮২ রবিবার, ৩রা বৈশাখ, ১২৯০। সুরেন্দ্র মায়ের পূজা আনিয়াছেন তাই ঠাকুরের নিমন্ত্রণ। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন, আসিয়া ঠাকুরদালানে উঠিয়া শ্রীশ্রীঠাকুর-প্রতিমা দর্শন করিলেন, প্রণাম ও দর্শনানন্তর দাঁড়াইয়া মার দিকে তাকাইয়া শ্রীকরে মূলমন্ত্র জপ (Kathamrita) করিতেছেন, ভক্তেরা ঠাকুর-প্রতিমাদর্শন ও প্রণামানন্তর প্রভুর কছে দাঁড়াইয়া আছেন।

    উঠানে ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন। উঠানে সতরঞ্চি পাতা হইয়াছে, তাহার উপর চাদর, তাহার উপর কয়েকটি তাকিয়া। এক ধারে খোল-করতাল লইয়া কয়েকটি বৈষ্ণব বসিয়া আছেন—সংকীর্তন হইবে। ঠাকুরকে ঘেরিয়া ভক্তেরা সব বসিলেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) একটি তাকিয়া লইয়া বসিতে বলা হইল। তিনি তাকিয়ার কাছে বসিলেন না। তাকিয়া সরাইয়া বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তাকিয়া ঠেসান দিয়া বসা! কি জানো, অভিমান ত্যাগ করা বড় কঠিন। এই বিচার কচ্ছ, অভিমান কিছু নয়। আবার কোথা থেকে এসে পড়ে!

    “ছাগলকে কেটে ফেলা গেছে, তবু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়ছে।

    “স্বপ্নে ভয় দেখেছ; ঘুম ভেঙে গেল, বেশ জেগে উঠলে তবু বুক দুড়দুড় (Kathamrita) করে। অভিমান ঠিক সেইরকম। তাড়িয়ে দিলেও আবার কোথা থেকে এসে পড়ে! অমনি মুখ ভার করে বলে, আমায় খাতির কল্লে না।”

    কেদার—তৃণাদপি সুনীচেন, তরোরিব সহিষ্ণুনা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি ভক্তের রেণুর রেণু।

    বৈদ্যনাথের প্রবেশ

    বৈদ্যনাথ কৃতবিদ্য। কলিকাতার বড় আদালতের উকিল, ঠাকুরকে হাতজোড় করিয়া প্রণাম করিলেন ও একপার্শ্বে আসন গ্রহণ করিলেন।

    সুরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—ইনি আমার আত্মীয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — হাঁ, এঁর স্বভাবটি বেশ দেখছি।

    সুরেন্দ্র—ইনি আপনাকে কি জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করবেন, তাই এসেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বৈদ্যনাথের প্রতি)—যা কিছু দেখছ, সবই তাঁর শক্তি। তাঁর শক্তি ব্যতিরেকে কারু কিছু করবার জো নাই। তবে একটি কথা আছে, তাঁর শক্তি সব স্থানে সমান নয়। বিদ্যাসাগর বলেছিল, “ঈশ্বর কি কারুকে বেশি শক্তি দিয়েছেন?” আমি বললুম, শক্তি কমবেশি যদি না দিয়ে থাকেন, তোমায় আমরা দেখতে এসেছি কেন? তোমার কি দুটো শিঙ বেরিয়েছে? তবে দাঁড়ালো যে, ঈশ্বর (Ramakrishna) বিভূরূপে সর্বভূতে আছেন, কেবল শক্তিবিশেষ।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 183: “বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে, মাটি ফেটে যায়”

    Ramakrishna 183: “বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে, মাটি ফেটে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    অধরের প্রতি উপদেশ — সম্মুখে কাল

    ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের সঙ্গে তাঁর ঘরে উত্তরের বারান্দায় দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—তুমি ডিপুটি। এ-পদও ঈশ্বরের অনুগ্রহে হয়েছে। তাঁকে ভূলো না। কিন্তু জেনো, সকলের একপথে যেতে হবে। এখানে দুদিনের জন্য।

    “সংসার কর্মভূমি। এখানে কর্ম করতে আসা। যেমন দেশে বাড়ি কলকাতায় গিয়ে কর্ম করে।

    “কিছু কর্ম করা দরকার। সাধন। তাড়াতাড়ি কর্মগুলি শেষ করে নিতে হয়। স্যাকরারা সোনা গলাবার সময় হাপর, পাখা চোঙ দিয়ে হাওয়া করে যাতে আগুনটা খুব হয়ে সোনাটা গলে। সোনা গলার পর তখন বলে, তামাক সাজ্‌। এতক্ষণ কপাল দিয়ে ঘাম পড়ছিল। তারপর তামাক খাবে।

    খুব রোখ চাই। তবে সাধন হয়। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।

    তাঁর নামবীজের খুব শক্তি। অবিদ্যা নাশ করে। বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল, তবু শক্ত মাটি ভেদ করে। মাটি ফেটে যায়।

    কামিনী-কাঞ্চনের ভিতর থাকলে মন বড় টেনে লয়। সাবধানে থাকতে হয়। ত্যাগীদের অত ভয় নাই। ঠিক ঠিক তাগী কামিনী-কাঞ্চন থেকে তফাতে থাকে। তাই সাধন থাকলে ঈশ্বরে সর্বদা মন রাখতে পারবে।

    “ঠিক ঠিক ত্যাগী। যারা সর্বদা ঈশ্বরে (Ramakrishna) মন দিতে পারে, তারা মৌমাছির মতো কেবল ফুলে বসে মধু পান করে। সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের ভিতরে যে আছে, তার ঈশ্বরে মন হতে পারে, আবার কখন কখন কামিনী-কাঞ্চনেও মন হয়। যেমন সাধারণ মাছি, সন্দেশেও বসে আর পচা ঘায়েও বসে, বিষ্ঠাতেও বসে।

    “ঈশ্বরেতে সর্বদা মন রাখবে। প্রথমে একটু খেটে নিতে হয়। তারপর পেনশন ভোগ (Kathamrita) করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share