Blog

  • Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে আগামী রবিবার সকালে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ওই দিন দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রকের দু’টি অনুষ্ঠানও রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যেই তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের দেখা করাতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। মানসিক যন্ত্রণা ও অসহায়তার কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। তার পরেই শাহের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ নিজেও মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।

    নির্যাতিতা পরিবারের শাহি সাক্ষাতে উদ্যোগী বিজেপি (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, শাহ (Amit Shah) রাজ্য বিজেপির কয়েক জন শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতার পরিবারের (RG Kar) সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির নেতারা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে তাঁরা শাহকে ইমেল পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় চাওয়ায় সেই পথ আরও সুগম হয়েছে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আর আরজি কর-কাণ্ডের পর যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের মা বাবার সাক্ষাৎ অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কোথায় সাক্ষাৎ?

    শাহের সফরসূচির মধ্যেই কলকাতার কোনও এক নিরাপদ জায়গায় শাহের (Amit Shah) সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকদের সাক্ষাৎ করাতে চান। প্রথমে শাহকে মৃতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও শাহের সফরসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা হাতে পাননি রাজ্য বিজেপি নেতারা। তাই আপাতত কলকাতাতেই অমিত শাহের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানোর পক্ষপাতী তাঁরা। আগামী শনিবার, আরজি কর মেডিক্যালে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে নির্যাতিতার পরিবাবের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এক রাজ্য নেতা বলেন, “আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলের অবস্থান কারও অজানা নয়। আর পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষী এবং স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি হওয়া ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অমিত শাহের (Amit Shah) মতো কোনও সর্বভারতীয় নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিচারের দাবিকে সমর্থন জানালে আমাদের আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে। তাই কলকাতায় তাঁদের সাক্ষাতের চেষ্টা চলছে।”

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    শনিবার রাতে, কিংবা রবিবার সকালে কলকাতায় আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রাথমিক সফরসূচি অনেকটা এরকম। জানা গিয়েছে, রবিবার, ২৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় ইজেডসিসি- তে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। ১৩ অক্টোবর রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে, এই সব বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে মূলত রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। দলীয় বৈঠকের পর কল্যাণী, আরামবাগে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সূত্র মারফৎ খবর, রবিবার কল্যাণীতে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাবেন অমিত শাহ। তারপরেই আরামবাগের সমবায় মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যাবেন অমিত শাহ। এর আগেও একাধিকবার এ শহরে এসেছেন অমিত শাহ। কখনও ভোটের প্রচার, কখনও সন্দেশখালি ইস্যুতে, কখনও দলীয় বৈঠকের জন্য। তবে এই বাংলায় আরজি কর কাণ্ডের পর, শাহের এ শহরে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ মমতার সরকার। দেশের শীর্ষে আদালতের শুনানিতে উঠে এসেছে সেই সকল অভিযোগের প্রসঙ্গ। হয়েছে সওয়াল-জবাব পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন তাঁরই দলের এমপিরা! ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন লিবারেল পার্টি অফ কানাডার এমপিরা। ট্রুডোর এই দলের সাংসদরা জানিয়ে দিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Justin Trudeau)

    স্থানীয় সময় বুধবার কানাডার পার্লামেন্টে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁর দলের সাংসদরা। সেখানে ট্রুডোর কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই বৈঠকেই ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তবে এই সময়সীমার মধ্যে ট্রুডো পদত্যাগ না করলে কী হবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। ক্রমশ কমতে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা। আগামী বছরের অক্টোবরে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই নিজের দলেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি উঠল। জানা গিয়েছে, ২৪ জন সাংসদ আল্টিমেটাম দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছেন ট্রুডোকে। যদিও বৈঠকে ট্রুডোর প্রথম পদত্যাগের দাবি তোলেন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এমপি প্যাট্রিক ওয়েলার। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান একে একে ২৩ জন। যদিও এই ‘বিদ্রোহী’রা কেউই ট্রুডো (Justin Trudeau) মন্ত্রিসভার সদস্য নন।

    ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি

    কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডোর দলের সাংসদ রয়েছেন ১৫৩ জন। তাই ট্রুডো যে আল্টিমেটাম মেনে পদত্যাগ করবেনই, তার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এ ব্যাপারে ট্রুডো স্বয়ংও কিছু বলেননি। তবে ট্রুডোর কোনও বিকল্প নেতাও এই মুহূর্তে তার দলে নেই। সিবিসি পোল ট্র্যাকারের সমীক্ষা বলছে, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি ট্রুডোর দলের তুলনায় জনপ্রিয়তার নিরিখে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। যেহতু বছরখানেক পরেই নির্বাচন, তাই ট্রুডোর দলের নেতাদের একাংশ চাইছে না ট্রুডোকে সামনে রেখে নির্বাচনে যেতে। তাঁরাই ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন বলে খবর। ট্রুডোর দলের নেতাদের আশঙ্কা, ট্রুডো পদ না ছাড়লে নির্বাচনে তাঁদের দল তৃতীয় স্থানে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তার জেরে অবনতি ঘটে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। তা নিয়ে অসন্তোষের আগুন ধূমায়িত হচ্ছিল ট্রুডোর দলের অন্দরেই। এবার দলীয় সাংসদরা তাঁর (Canada) পদত্যাগ দাবি করায় সেই ক্ষোভই প্রকাশ্যে এল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে লণ্ডভণ্ড হতে পারে ওড়িশার তিন জেলা, কোথায়, কত বেগে বইবে ঝড়?

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে লণ্ডভণ্ড হতে পারে ওড়িশার তিন জেলা, কোথায়, কত বেগে বইবে ঝড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) ভয়ে কাঁপছে ওড়িশা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই ঝড়ের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায়। এই তিন জেলাতে তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের মোকাবিলায় সক্রিয় রয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। উপকূলবর্তী অঞ্চলে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

    ঝড়ের গতি কোথায় কত কিমি বেগে

    মৌসম ভবনের ভুবনেশ্বর (Odisha) আঞ্চলিক অফিসের তথ্য বলছে, বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১১০-১২০ কিলোমিটার। ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০-৯০ কিলোমিটার। জগৎসিংহপুর, কটক, জাজপুর জেলায় এই গতিবেগ হতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অন্যদিকে, পুরী, খুরদা, ঢেঙ্কানল এবং কেওনঝড়ে ‘দানা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার, সুন্দরগড়ে ৫০-৬০ কিমি, গঞ্জাম নয়াগড়, আঙ্গুল, দেওগড় এবং সম্বলপুরে এই ঝড়ের গতি হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

    মুষলধারে বৃষ্টি ধামরায়

    ধামরাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অঝোরে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস (Cyclone Dana)। সেই বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে সোজাভাবে দাঁড়ানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিমি,  ধামরা থেকে ২৯০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধামরায় বৃষ্টির দাপটও বেড়েছে। বর্তমানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ধামরা বন্দর এলাকায়। কালো মেঘে চারিদিক অন্ধকার। তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসের দাপট। ঝড়-বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমছে, দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না।  

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    সরকারের পদক্ষেপ

    সাইক্লোনের পাশাপাশি ধামরায় ভয় বাড়াচ্ছে জোয়ার। আজ রাতে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, সেই সময়ে জোয়ার আসে। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে সমুদ্র। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দ্রুত জলস্তর বাড়ছে। এভাবেই জল বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎসজীবীদের গ্রাম। তা জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকার এলাকা খালি করে দিয়েছে। বাসিন্দাদের ত্রাণকেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ধামরা ও ভিতরকণিকায় রয়েছে একাধিক দ্বীপ, যেখানে মানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে মানগ্রোভ অরণ্যের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) ‘দানা’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূলে শুরু দমকা হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওই দুই জেলায় মাঝে মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে।

    অতি ভারী বৃষ্টি কোথায়? (Cyclone Dana)

    বুধবার মধ্যরাতেই এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ (Cyclone Dana) পরিণত হয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে। ইতিমধ্যেই দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দু’দিনই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। দিনভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশেও। তবে, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রাবল্য কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওই দিন কেবল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতর কণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনের বিছিন্ন দ্বীপগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখার জন্য উপকূলে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা বাহিনীর ৩টি দল, এসডিআরএফের ২টি দল জেলায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভাঙলে ৪৭০টি টিম প্রস্তুত আছে স্বয়ংক্রিয় করাত নিয়ে। সুন্দরবনের আসন্ন প্রসবা মহিলাদের তুলে আনা হয়েছে ব্লক হাসপাতাল গুলিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সেই সময় উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়াতেও হাওয়ার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার।

    জারি লাল সতর্কতা

    এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে ভারী (Cyclone Dana) থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারি করা হয়েছে লাল সতকর্তা। এদিন বেলা বাড়ার পর দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আজ ও আগামিকাল জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলার ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে। বিশেষ করে সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সেচ দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন কাকদ্বীপে উপস্থিত রয়েছেন। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এদিন সন্ধে সাতটার পর নামখানা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আগামী দুদিন বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi case) মামলার ওপর গত ১১ জানুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। বুধবার শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সেই আর্জি খারিজ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ওই দিনে (১১ জানুয়ারি) ১৫টি আলাদা আলাদা মামলাকে একত্রিত করে শুনানির নির্দেশ জারি করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ময়ঙ্ক কুমার জৈন, তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, মামলাগুলিকে বিচারের (Krishna Janmabhoomi case) স্বার্থে একত্রিত করা হয়েছে।

    কী বললেন শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান? 

    এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার আর্জি খারিজ হওয়ার পরে তনভির বলেন, ‘‘এমন আদেশ জারির পর, আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই এই আবেদন প্রত্যাহারের আর্জি জানাই। আমাদের যুক্তি ছিল, প্রতিটি মামলায় আলাদা আলাদা পার্টি (Krishna Janmabhoomi case) রয়েছে, তাই আলাদা আলাদা ভাবেই তার শুনানি হোক। তবে বুধবার আদালত এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।’’ বুধবার, হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনও মসজিদ কমিটি আর্জি খারিজের বিষয়টি সামনে এনেছেন।

    কী বলল আদালত (Krishna Janmabhoomi case)? 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিন্দুপক্ষের তরফ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে, আদালত ১৫টি মামলাকে একত্রিত করেছিল। শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির বিবাদমান ১৩.৩৭ একর জায়গা থেকে মসজিদকে সরানোর জন্য হিন্দুরা আবেদন জানিয়েছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি ছিল, ওই জায়গা কাটরা কেশব দেব মন্দিরের (Allahabad High Court)। এনিয়েই চলছে মামলা। বুধবারের নির্দেশে আদালত বলে, ‘‘সমস্ত মামলাগুলি একই ধরনের ও একই প্রকৃতির। তাই এই মামলাগুলির ক্ষেত্রে একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’’ আদালতের সময় বাঁচানোর (Krishna Janmabhoomi case) জন্য, এই মামলাগুলিকে একত্রিত করা সঠিক কাজ বলেই মনে করছে কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল জাজিরার (Al Jazeera) ছয় জন সাংবাদিককে জঙ্গি সংগঠন হামাসের সদস্য বলে দাবি করল ইজরায়েল (Israel Defence Forces)। এরা প্যালেস্টাইনের ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি ইজারায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF)। আইডিএফ দাবি করে, গাজায় পাওয়া গোয়েন্দা নথি থেকে এর প্রমাণ মেলে। প্রাপ্ত নথিগুলি প্রমাণ করে এই ছয় সাংবাদিকের সঙ্গে হামাসের সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। ইজরায়েলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

    আইডিএফের অভিমত

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) ট্যুইট বার্তায় জানায়, “গাজায় পাওয়া নথির মধ্যে রয়েছে হামাস কর্মীদের তালিকা, প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকা, ফোন ডিরেক্টরি এবং সন্ত্রাসীদের জন্য বেতন সংক্রান্ত নথি। এই নথিগুলি হামাসের জঙ্গিদের সঙ্গে কাতারি আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের যুক্ত থাকার প্রমাণ।” ছয় সাংবাদিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে ইজরায়েল। এরা হলেন, আনাস জামাল মাহমুদ আল-শরিফ, আলা আব্দুল আজিজ মহম্মদ সালামা, হোসাম বাসেল আবদুল করিম শাবাত, আশরাফ সামি আহসৌর সারাজ, ইসমাইল ফরিদ মহম্মদ আবু আমর, এবং তালাল মাহমুদ আবদুল রহমান আরুকি।

    সাংবাদিকদের জঙ্গি-যোগ

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) আরও জানায় যে আনাস আল-শরিফ ছিলেন হামাসের নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের নুখবা ফোর্স কোম্পানির একজন রকেট লঞ্চিং স্কোয়াড প্রধান। আলা সালামা ছিলেন ইসলামিক জিহাদের শাবুরা ব্যাটালিয়নের প্রচার ইউনিটের ডেপুটি প্রধান। শাবাত ছিলেন হামাসের বেইত হানুন ব্যাটালিয়নের একজন স্নাইপার, আশরাফ সারাজ ছিলেন ইসলামিক জিহাদের বুরেইজ ব্যাটালিয়নের সদস্য। আবু আমর ছিলেন ইস্ট খান ইউনিস ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ কোম্পানির কমান্ডার, এবং আবদুল রহমান আরুকি ছিলেন নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের একজন টিম কমান্ডার। ইসমাইল আবু আমর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইজরায়েলের একটি অভিযানে আহত হন। তখনও আল জাজিরা তার জঙ্গি সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। 

    অভিযোগ অস্বীকার

    ইজরায়েলের (Israel Defence Forces) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আল জাজিরা (Al Jazeera)। এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের তরফে বলা হয়, যুদ্ধের বাস্তবাতাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে ইজরায়েল, তাই এই অভিযোগ। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে আল জাজিরা হামাসপন্থী প্রচার চালাচ্ছে এই অভিযোগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ইজরায়েলে এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে ইজরায়েল সরকার রামাল্লার পশ্চিম তীরে অবস্থিত আল জাজিরা ব্যুরোও বন্ধ করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দুর্নীতির (Medical Scam) অন্যতম মাথা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। থ্রেট সিন্ডিকেটের অন্যতম মুখ হিসেবে এই দুই চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন (Health Bhavan)। সেই রিপোর্টই এবার এল প্রকাশ্যে। রিপোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে।

    বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কী উঠে এল তদন্তে? (Medical Scam)

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Medical Scam) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ অগাস্ট আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন। বদলির নোটিশ জারি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখান। এরপরই স্বাস্থ্যভবন সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিরূপাক্ষকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একাধিক অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে মর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী দীন মহম্মদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্ত, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের খাতায় বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    রাতভর পার্টি না করলে মেয়েদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি!

    আরজি কর হাসপাতালে (Medical Scam) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে বারবার উঠে এসেছে চিকিৎসক অভীক দে-র নাম। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পিজিটি। অভিযোগ ওঠে, তিনিই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্যভবন। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটিই চলতি মাসে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যালের ছাত্রীরা রাতভর পার্টি না-করলেই পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নাম করে মেডিক্যালের নবাগত ছাত্রদের থেকে তোলাবাজি চলত। আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী হিসেবে তুলে ধরতে ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করা হয়। এসএসকেএম-এর পিজিটি ছাত্র অভীক দে-র বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি।

    পাশাপাশি, অভীক দে যে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। গত ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকার কথা অস্বীকার করেননি অভীক দে। ক্রাইম সিনে ‘লাল জামা’ পরিহিত অভীকের উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা আছে। অভীক স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম।’ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দুনম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, অভীক দে যে সার্জারি বিভাগে এমএস করছিলেন, তা একদমই নিয়ম বহির্ভূত। কারণ তিনি থিসিস পেপার জমাই করেননি। এমনকী নিজের আইকার্ডও গ্রহণ করেননি। ৮ অগাস্ট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেও তাঁকে দেখা যায়নি। তদন্ত কমিটিতেই এই সব তথ্য উঠে এসেছে।

    কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ

    কলেজের দার্জিলিং ক্যাম্পাসে (Medical Scam) অভীক দে-র বেআইনি উপস্থিতির কথা উঠে এসেছে কমিটির রিপোর্টে। সেই ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যেই নবাগত পড়ুয়াদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে অভীকের বিরুদ্ধে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের সরকারি জিনিস ব্যবহার ও সরকারি হলে কারও অনুমতি না-নিয়ে নিজের জন্মদিনও পালন করতেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগৃহীত প্রমাণ এবং সে বিষয়ে অভীক দে-র বয়ানও রিপোর্টের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। অভীকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবনের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjee: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    Kalyan Banerjee: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও তিনি (Kalyan Banerjee) উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেন। কখনও আবার লোকসভায় সটান গিয়ে বসে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসনে। আবার কখনও সুর করে ‘চু-কিতকিতকিত’ বলতে থাকেন। কখনও আবার কাচের বোতল ভেঙে নিজেই জখম হন ভাঙা কাচের টুকরোয়। লোকসভার ভেতরে কিংবা লোকসভা চত্বরে তাঁর ‘গুণপনা’র শেষ নেই। এহেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করার দাবিতে বুধবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন বিজেপি (BJP) সাংসদরা।

    কাচের বোতল ভেঙে বিপত্তি ঘটান কল্যাণ (Kalyan Banerjee) 

    এই সাংসদরা সবাই ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য। এই বৈঠকে বসেই উত্তেজিত হয়ে কাচের বোতল ভেঙে বিপত্তি ঘটান তিনি। ঘটনার জেরে একদিনের জন্য সাসপেন্ডও করা হয় তৃণমূল নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণকে। সংসদীয় বিধি মেনে কল্যাণের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করার আর্জিও জানানো হয়েছে ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বিজেপি সদস্যদের তরফে।

    যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

    যৌথ সংসদীয় কমিটির বিজেপির তিন সদস্য হলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নিশিকান্ত দুবে এবং অপরাজিত সারঙ্গি। এঁরা শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদীয় বিধির ৩১৬ বি(এ) ধারায় লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বিজেপির তিন সাংসদ চিঠিতে লিখেছেন, কল্যাণের (Kalyan Banerjee) আচরণ ক্ষমার অযোগ্য হিংসাত্মক ছিল। এ ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে বিজেপি সদস্যদের সুপারিশ, এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শ্রীরামপুরের সাংসদকে বরখাস্ত করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত বৈঠক চলাকালীন কাচের বোতল ভেঙে জেপিসির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের দিকে ছুড়ে মেরেছিলেন কল্যাণ। এই ঘটনার জেরে কল্যাণের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের দাবিও তুলেছেন বিজেপি সদস্যরা। তাঁরা লিখেছেন, গুন্ডামি, হিংসা ও প্রাণঘাতী আক্রমণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে দক্ষ আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সাহায্যে তদন্ত করানো যেতে পারে।

    প্রসঙ্গত, লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। তিনিও তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন। ’২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য ফের (BJP) জিতে সংসদে গিয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া (Kalyan Banerjee) মহুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল শুক্রবার মথুরায় (Mathura) শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বঞ্চিত শ্রেণির কাছে পৌঁছানো, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ইস্যু, জম্মু-কাশ্মীরের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ— এই সমস্ত কিছুই আলোচিত হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে আরএসএস-এর (RSS) শতবর্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা নানা কর্মসূচি নিয়েও।

    সারা দেশ থেকে যোগ দেবেন ৩৯৩ জন পদাধিকারী

    জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পদাধিকারী, এই বৈঠকে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর ভাষণেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিবিধ ইস্যু স্থির করে দিয়েছিলেন, সে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

    কী জানালেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে যে সমাজকে কিভাবে সংঘটিত করা যায়, একসঙ্গে সমাজে কীভাবে থাকা যায়, যে কোনও ধরনের গুজবের মোকাবিলা করে। এর পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির কন্টেন্টগুলি শিশুদের মনে যেভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে, সে নিয়েও আলোচনা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েও হবে আলোচনা। একই সঙ্গে সুনীল আম্বেকর আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভারতের মহান সন্তানদের জীবনী ও সে বিষয়ে সঙ্ঘের কর্মসূচি (Mathura) নিয়েও। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, বিরসা মুণ্ডা, অহল্যাবাঈ হোলকার, রানি দুর্গাবতীদের নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, সঙ্ঘের এই বৈঠকেই আগামী বছরের বিজয়া দশমী কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে নিয়েও আলোচনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share