Blog

  • Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে (Prayagraj) পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হয়। ২০১৩ সালে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। আবার ২০২৫ সালে  প্রয়াগরাজ মহা কুম্ভমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার, উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলা ২০২৫-এ আগত ভক্তদের জন্য আরামদায়ক স্লিপিং পড চালু করা হবে। ভক্তদের এক স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য শহরে বিশাল তাঁবুর ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার আধুনিক স্লিপিং পড চালু করা হবে।

    কেন স্লিপিং পডের ভাবনা

    মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সময় প্রয়াগে (Prayagraj) লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে। এর জন্য এখন থেকেই শহরের বিভিন্ন হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছেন অগণিত মানুষ। তাই এবার স্লিপিং পডের কথা ভাবছে সরকার। এই কর্মসূচির জন্য রাজ্য পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সব পরিকল্পনা ঠিকমতো চললে, শীঘ্রই ভক্তরা এই অত্যাধুনিক স্লিপিং পডগুলোতে থাকতে পারবেন। প্রয়াগরাজ জংশন রেলওয়ে স্টেশনে স্লিপিং পড আগেই চালু করা হয়েছে। এর জনপ্রিয়তার পর, কুম্ভ মেলার সময় ভক্ত এবং পর্যটকদের এই সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

    ভক্তদের কাছে বিপুল সাড়া

    প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আঞ্চলিক পর্যটন কর্মকর্তা অপরাজিতা সিং, রবিবার, ২০ অক্টোবর, ঘোষণা করেছেন যে প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি তাঁবু শহর (Maha Kumbh 2025) গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে আরাইল এবং ঝুঁসি অঞ্চলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে দুইটি বিলাসবহুল তাঁবু শহর গড়ে উঠছে। পর্যটক এবং ভক্তদের কাছ থেকে এই সুবিধার ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আরাইলের ২০০০ তাঁবুর মধ্যে ১৬০০ ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত হয়েছে। ঝুঁসির দ্বিতীয় তাঁবু শহরে ৪০০ স্লিপিং পড থাকবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দরপত্র প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে এবং সমস্ত নিরাপত্তা শর্তাবলী পূরণ হলে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

    স্লিপিং পড কী

    স্লিপিং পড হল এক ধরনের ক্ষুদ্র ক্যাপসুল আকৃতির ঘর যা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত। এই সুবিধাগুলির মধ্যে ফোন চার্জিং, ওয়াই-ফাই সুবিধা, লকার রুম এবং বিলাসবহুল শৌচাগারসহ আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রয়াগরাজে স্লিপিং পডের ধারণাটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চালু করা হয়েছিল। বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুনা যোশী বিজেপি সরকারকে প্রশংসা করে বলেন যে ভারতে মাত্র দুটি স্লিপিং পড স্থাপন করা হয়েছে। উভয়ই মুম্বাইয়ে অবস্থিত, এখন তৃতীয়টি প্রয়াগরাজ, উত্তর প্রদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে। মহাকুম্ভ শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এ মকর সংক্রান্তির দিনে এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ মহা শিবরাত্রির দিনে। 

    কোথায় কোথায় স্লিপিং পড

    রিপোর্ট অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা এই স্লিপিং পড ভাড়া নিতে পারবেন, যা ধর্মীয় সমাবেশের সময় তাদের অবস্থানকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে। বিমানবন্দর লবি এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে স্লিপিং পড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে গড়ে ওঠা তাঁবু শহরটি প্রায় ৪০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত, যা সঙ্গম, আরাইল এবং ফাফামাউ এর মধ্যে ২৫টি সেক্টরে বিভক্ত। এই ৪৫ দিনের মেলায় প্রায় ৪০ কোটি দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই তাঁবু শহরে সাধারণ থেকে বিলাসবহুল বিভিন্ন ধরনের বাসস্থানের ব্যবস্থা থাকবে। এর আগে, ৬ অক্টোবর সরকার বলেছিল যে, মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ অংশ নেওয়া ভক্তদের জন্য সমস্ত সুবিধা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেছেন যে, সরকার এআই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

    কী কী ভাবনা

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Maha Kumbh 2025) -এর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি আরও বলেন যে উৎসবের সময় কোনও ভক্তকে ১ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হবে না, শুধুমাত্র ৬ দিন, যার মধ্যে মকর সংক্রান্তি, মৌনি অমাবস্যা, মহাশিবরাত্রি, পৌষ পূর্ণিমা এবং মাঘী পূর্ণিমা অন্তর্ভুক্ত। ভক্তদের পরিবহণের সুবিধার্থে, সরকার ৭০০টির বেশি শাটল ইলেকট্রিক বাস সরবরাহ করবে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) প্রথম শাহি স্নান পালিত হবে ১৩ জানুয়ারি। সেদিন আবার পৌষ পূর্ণিমাও পালিত হবে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির শাহি স্নান পালিত হবে। ২৯ জানুয়ারি পালিত হবে মৌনী অমাবস্যার শাহী স্নান। এছাড়া ৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে বসন্ত পঞ্চমীর শাহী স্নান ও তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা ও ৮ মার্চ মহাশিবরাত্রির শাহি স্নান পালিত হবে। মোট ২১টি শাহি স্নান পালিত হবে মহাকুম্ভের সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর থেকে হৃদযন্ত্র (Organ Donor) বের করার সময় হঠাৎই জেগে উঠলেন ‘মৃত’। অঙ্গদান করতে গিয়ে এখন খবরের শিরোনামে আমেরিকা (America)। অপারেশন টেবিলেই ‘মৃত’ ব্যক্তি আচমকা নড়েচড়ে বসেন। কিন্তু তারপরেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

    টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন (Organ Donor)

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। আমেরিকার (America) কেন্টাকিতে এই ঘটনা ঘটেছিল। টিজে হুভার নামের এক ব্যক্তি বেশি পরিমাণে মাদক সেবন করেছিলেন। এরপর নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর হুভারকে ব্যাপটিস্ট হেলথ রিচমন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। এরপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি (Organ Donor) প্রতিস্থাপন যোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর অপারেশন টেবিলে তোলা হলে আচমকা নড়েচড়ে বসেন তিনি। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক (America) পোস্ট এই বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, অস্ত্রোপচার করতে গেলে হুভারের শরীরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে বলে জানান হাসপাতালের কর্মীরা। রীতিমতো টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন তিনি। এমন কী তাঁর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন হাসপাতালের কর্মীরা। এক কর্মী আরও বলেন, “অঙ্গদানকারী ওই রোগীর অবস্থা দেখে দুই চিকিৎসক পিছু হটেন। কিন্তু তখনও রোগীর শরীর থেকে অঙ্গ বের করতে রাজি হননি দুই চিকিৎসক। তবুও কেন্টাকি অর্গ্যান ডোনার অ্যাফিলিয়েটস-এর পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন কী রোগীর দেহে ওষুধ প্রয়োগ করে নিস্তেজ করে শরীর থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়।” উল্লেখ্য এই ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মী।

    আরও পড়ুনঃ এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়

    এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক নাতাশা মিলার বলেন, “ওই সময় অত্যন্ত ছটফট করছিলেন হুভার। আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি ওর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। হৃদযন্ত্র (Organ Donor) অঙ্গদানের উপযুক্ত কিনা যখন পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেই সময় জেগে উঠেছিলেন হুভার।” আবার হুভারের দিদি ডনা বোরার বলেন, “আইসিইউ থেকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় ভাই চোখ খুলেছিলেন। হাসপাতালে জানালে ওরা আমায় বলে, চোখ খোলা রিফ্লেক্স মাত্র। চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়। হয় তো বেঁচে ছিলেন দাদা, বোঝাতে চেয়েছিলেন।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত শরীরের সব অঙ্গ কেটে বের করা হয়নি। কোডা-র কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতাল থেকে পদত্যাগও করেন।

    তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন। কেন্টাকির অ্যাটার্নি জেনারেল বলেন, গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন। তবে হুভার এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর এই ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উপকূলে। ঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবুও, সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে তৎপর নবান্ন। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সোমবার। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির এই বৈঠক হয়।

    প্রস্তুতির তথ্য তলব কেন্দ্রের (Cyclone Dana)

    এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) নিয়ে রাজ্যের তরফে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেয় কেন্দ্র। রবিবার মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। ফলে, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে সেই নিম্নচাপ অঞ্চল শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঠিক এর পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    আয়লার আতঙ্ক!

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে, সমুদ্র উত্তাল হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়েরও গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তাই আবারও ঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত সুন্দরবনের উপকূল এলাকা।  সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। একটানা তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঝড়। পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। বাড়তে পারে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাইকিং করে সতর্ক!

    জেলার সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেন। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে মাইকিং এর মাধ্যমে। বাঁধের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্স, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফকে (NDRF) সতর্ক করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হতে পারে ওই বিশেষ বাহিনী।

    খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

    ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও বাঁধে (Cyclone Dana) সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে সেচ দফতরের নির্দেশ। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসগুলিতে শুকনো খাবার, পানীয় জলের পাউচ এবং ত্রিপল মজুদ করা হচ্ছে। উপকূল এলাকায় নজরদারি চালাতে বিডিও অফিসগুলোতেও একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে ক্ষতি কোথায় হবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ‘দানা’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসছে। আগামিকাল মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভবনা। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শবদেহ রাখা হত। হাসপাতাল অন্যত্র সরে গেলেও ঘরটি রয়ে যায় পুরনো জায়গাতেই। তাই শবঘর বা লাশকাটা ঘর নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভালোরকম আতঙ্ক ছিল। সেই ভয়ের জন্য বালুরঘাটের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা এড়িয়ে চলতেন বাসিন্দারা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতেই শুরু হয় কালীপুজো। সেই থেকে কালিকাই ভয়-ভীতি কাটিয়েছেন সাধারণের। বালুরঘাট শহরের এই দেবী জাগ্রত (Kali Puja 2024) হিসেবে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তিতে বাৎসরিক পুজো হলেও, কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়।

    বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা (Kali Puja 2024)

    বালুরঘাট শহরের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার এই পুজো মোটরকালী পুজো নামে পরিচিত। এটি তেমন প্রাচীন না হলেও এর অতীত বেশ সমৃদ্ধ। প্রায় বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গাড়ি অর্থাৎ মোটর মালিকরা। স্থানীয়ভাবে আগে গাড়ির প্রচলিত শব্দ ছিল মোটর। বর্তমানে যেখানে মোটরকালী পুজো হয়, সেখানে আগে ছিল ফুটানিগঞ্জের হাট। এর কিছুটা দূরে ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালটি। আর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরটি ছিল ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। কিন্তু ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে থাকা লাশকাটা ঘর এবং লাশ বহনকারী গাড়ি থেকে যায় পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই লাশকাটা ঘরের অদূরে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ির স্ট্যান্ড। দিনের বেলা কিছু গাড়ি চলাচল করত। সপ্তাহে হাটের দিন বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ ওই চত্বরে যাওয়ার সাহস পেত না। ভূতের ভয় সাংঘাতিকভাবে কাজ করত সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি

    আতঙ্ক কাটাতে এগিয়ে আসেন এলাকার প্রবীণরা। জুজু সরাতে স্ট্যান্ডের বাস মালিকরা পরিত্যক্ত লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি (Kali Puja 2024) স্থাপন করেন। নাম দেওয়া হয় মোটরকালী। এরপর থেকে পাঁঠাবলি ও অনান্য নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হয়ে আসছেন মোটরকালী। তবে মন্দিরে মায়ের পুজোর আগে ঘাটপু্জো দিতে হয় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখানেই নাকি ঈশ্বরীয় কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু মানুষ। কথিত আছে যেখানে ঘাটকালীর পুজো দেওয়া হয়, সেখানকার জল নাকি শুকোয় না কখনও। পরীক্ষামূলক ভাবে সেচ লাগিয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। খরার সময় আশেপাশে জল শুকিয়ে গেলেও জল থেকে যায় আত্রেয়ী খাঁড়িতে।

    বছরে দু’বার মায়ের পুজো (Kali Puja 2024)

    এই বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, এই মন্দির বহু পুরনো। মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটাতে এইখানে (Balurghat) এই মায়ের পুজো শুরু হয়েছিল। মায়ের পুজো দেবার পর মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটে। তারপর থেকে বছরে দুবার মায়ের পুজো হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের বাৎসরিক পুজো হয় ও কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫১ সালের আজকের দিনেই (২১ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানতে সমসাময়িক ভারতের ইতিহাস জানাটাও জরুরি। জানতে হবে, কেন প্রয়োজন হল কংগ্রেসের বিকল্প রাজনৈতিক দলের? ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যার পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে। দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে তখন কংগ্রেসের একচ্ছত্র আধিপত্য। কংগ্রেসের যে কোনও ভ্রান্ত নীতির বিরোধিতা করার জন্য সংসদের ভিতের এবং রাজপথে জাতীয়তাবাদী আওয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের আইনসভাগুলিতে কংগ্রেসের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা সম্পন্ন কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না। এটা পরিষ্কার হয় যে শাসকের যে কোনও ভুল অথবা জাতীয়তাবাদ বিরোধী সিদ্ধান্তের মোকাবিলা শুধুমাত্র সামাজিক সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ করার পরে রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে শাসকের রাজনৈতিক আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য।

    ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকায় লেখা হয় রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা 

    তৎকালীন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভিতরেও রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বলতে থাকেন অনেকেই। ১৯৪৯ সালেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি, তাঁর নিজের লেখায় তুলে ধরেন রাজনৈতিক দল গঠন করা কেন প্রয়োজন। সঙ্ঘের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে তখন অনেকেই অনুরোধ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) রাজনৈতিক দলে পরিবর্তিত করার জন্য। কিন্তু গুরুজি গোলওয়ালকর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সামাজিক কার্যপদ্ধতি বদল করতে চাননি।

    গোলওয়ালকার-শ্যামাপ্রসাদ বৈঠক ও জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতিষ্ঠা 

    ১৯৪৮ সালের ২ নভেম্বর এক বিবৃতি দিয়ে সর সঙ্ঘচালক পরিষ্কার করে দেন যে আরএসএস-এর (RSS) কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। এমন সময়েই গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mukherjee) বৈঠক হয়, জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ং সেবককে পাঠান। তাঁরা হলেন — দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানি, জগদীশ মাথুর, সুন্দরসিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। শুরু হয় ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বতন ভারতীয় জনসঙ্ঘের যাত্রা। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির ‘রাঘোমাল আর্যকন্যা হাইস্কুলে’ প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। প্রথম সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

    প্রতীক ছিল প্রদীপ, প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন, পেশ করা হয় ৮ দফা দাবি

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতীক ছিল প্রদীপ। ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন। ওইদিনই দল  ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এগুলি হল-  অখণ্ড ভারত, পাকিস্তানের প্রতি তোষণনীতি বর্জন, দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীন বৈদেশিক নীতি, বিতাড়িত উদ্বাস্তুদের জন্য পাকিস্তান থেকেই ক্ষতিপূরণ নেওয়া, দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি (বিশেষত খাদ্য ও বস্ত্রের) এবং শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ, ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশ, প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার (পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, জাতি বা বর্ণ অনুযায়ী বিভেদ না করা), বিহারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পুনর্বিন্যাস। ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি এবং আর্য সমাজের নেতা লালা হংসরাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠায়। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে লালা হংসরাজ দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, কেআর মালকানি পরবর্তীকালে রাজ্যসভার সাংসদ হন।

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) বিভিন্ন সাংগঠনিক ধাপ কেমন ছিল 

    প্রতিষ্ঠার পরেই জনসঙ্ঘের নেতা-কর্মীরা সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় শাখাগুলির নাম ছিল সমিতি। সমিতির কাজ দেখাশোনা করত মণ্ডল কমিটি। মণ্ডল কমিটির ওপরে ছিল জেলা কমিটি। তারপর রাজ্য কমিটি। জনসঙ্ঘ ছিল ক্যাডার ভিত্তিক দল। সেই রীতি বর্তমান দিনে বিজেপিতেও চলছে। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই জনসঙ্ঘ (Jana Sangh) ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। উত্তর ও মধ্য ভারতের প্রায় সব রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হয় দলের কমিটি। প্রতিষ্ঠার পর পরেই সমগ্র দেশের চারটি অঞ্চলকে দেখভাল করতেন চারজন নেতা। উত্তর ভারতের কাজ দেখতেন বলরাজ মাধোক, পূর্ব ভারতের সংগঠন দেখতেন নানাজি দেশমুখ,পশ্চিম ভারতের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন সুন্দর সিং ভাণ্ডারি এবং দক্ষিণ ভারতে দলের কাজ দেখতেন জগন্নাথ রাও।

    ১৯৫১ সালের নির্বাচনে জনসঙ্ঘের ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয়

    ২১ অক্টোবর ১৯৫১ সালে পথ চলা শুরু হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘের (Jana Sangh)। প্রতিষ্ঠার দু’মাসের মধ্যেই পার্টিকে লড়তে হয় স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচন। প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের ডিসেম্বর মাসে। জনসঙ্ঘের নির্বাচনী ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয় এবং ‘দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধে’ (Nation First) একথা বলা হয়। ওই নির্বাচনী ইস্তেহারে আরও বলা হয়, দল ক্ষমতায় এলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত করা হবে, কৃষি ও শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে জোর দেওয়া হবে। নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘স্বদেশিয়ানা’র উল্লেখও করা হয়।

    প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বাংলা থেকে জোড়া আসন জয়

    দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৪৮৯। এরমধ্যে ৯৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। ৩টি আসনে জয় পায় দল।  দক্ষিণ কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mukherjee), মেদিনীপুর (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিতোর (রাজস্থান) থেকে জেতেন উমাশঙ্কর ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

     চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — মণিলাল ও কাশীদর্শন

    আইস ভাই, আজ আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে দর্শন করিতে যাই। তিনি ভক্তসঙ্গে কিরূপ বিলাস করিতেছেন, ঈশ্বরের ভাবে সর্বদা কিরূপ সমাধিস্থ আছেন দেখিব। কখন সমাধিস্থ, কখন কীর্তনানন্দে মাতোয়ারা আবার কখন বা প্রাকৃত লোকের ন্যায় ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন, দেখিব। শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ, ব্যবহার পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায়। প্রতি নিঃশ্বাসের সহিত মায়ের নাম করিতেছেন। একেবারে অভিমানশূন্য পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায় ব্যবহার। পঞ্চমবর্ষীয় বালক বিষয়ে আসক্তিশূন্য, সদানন্দ, সরল ও উদার প্রকৃতি। এক কথা (Kathamrita)—“ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”, দুইদিনের জন্য। চল, সেই প্রেমোন্মত্ত বালককে দিখিতে যাই। মহাযোগী! অনন্ত সাগরের তীরে একাকী বিচরণ করিতেছেন। সেই অনন্ত সচ্চিদানন্দ-সাগরমধ্যে কি যেন দেখিতেছেন! দেখিয়া প্রেমে উন্মত্ত হইয়া বেড়াইতেছেন।

    আজ রবিবার, ৮ই এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, ২৬শে চৈত্র, প্রাতঃকাল। এই যে ঠাকুর বালকের ন্যায় বসিয়া আছেন। কাছে বসিয়া একটি ছোকরা ভক্ত—রাখাল।

    মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরের (Ramakrishna) ভ্রাতুষ্পুত্র রামলাল আছেন, কিশোরী ও আরও কয়েকটি ভক্ত আসিয়া জুটিলেন। পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রণাম করিলেন।

    মণি মল্লিক কাশীধামে গিয়াছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী লোক, কাশিতে তাঁহাদের কুঠি আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হ্যাঁগা, কাশীতে গেলে, কিছু সাধু-টাধু দেখলে?

    মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, ত্রৈলঙ্গ স্বামী, ভাস্করানন্দ—এঁদের সব দেখতে গিছলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিরকম সব দেখলে বল?

    মণিলাল—ত্রৈলঙ্গ স্বামী সেই ঠাকুরবাড়িতেই আছেন, মণিকর্ণিকার ঘাটে বেণীমাধবের কাছে। লোকে বলে, আগে তাঁর উচ্চ অবস্থা ছিল। কত আশ্চর্য আশ্চর্য কার্য করতে পারতেন। এখন অনেকটা কমে গেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও-সব বিষয়ী লোকের নিন্দা।

    মণিলাল—ভাস্করানন্দ সকলের সঙ্গে মেশেন, ত্রৈলঙ্গ স্বামীর মতো নয়—একেবারে কথা বন্ধ (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর (Fake Buddhist Monk) ভেক ধরে টানা প্রায় ১০ বছর ভারতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিহারের গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Gaya airport) থেকে আটক করা হয় তাঁকে। ধৃত এই অসাধু যুবকের নাম বাবু জো বড়ুয়া ওরফে রাজীব দত্ত। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো অবাক পুলিশ।

    চতুর ভাবে পুলিশকে ধুলো দিয়ে ছিলেন (Fake Buddhist Monk)

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এত বছর ধরে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে বুদ্ধ গয়ায় (Gaya airport) ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই বাংলাদেশি যুবক। এখনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছিলেন ওই যুবক। দীর্ঘদিন অত্যন্ত চতুরভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আস্তানা গেড়ে ছিলেন।

    তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল

    জানা গিয়েছে, শনিবার ভারত থেকে তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক (Fake Buddhist Monk)। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। আধিকারিকরা প্রশ্ন করতেই একে একে সত্য কথা উগড়ে দেন জাল সন্ন্যাসী। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের অবশ্য দাবি, বিমানবন্দরে দেখেই কর্তব্যরত অভিবাসন আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আচরণ খুব একটা সুবিধাজনক বলে মনে হয়নি। তবে সন্ন্যাসীর কাছে ভারতের পাসপোর্ট উদ্ধার হয় (Fake Buddhist Monk)। নিজেই শিকার করেন যে তিনি ভারতীয় নয়, বাংলাদেশি। বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তবে জেরায় আরও বেশকিছু পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। এক একটি পাসপোর্টে আলাদা আলাদা পরিচয় রয়েছে তাঁর। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইভাবে ভারত এবং তাইল্যান্ডের মুদ্রা পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ইউরো এবং মার্কিন ডলারও।

    আরও পড়ুনঃ আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    পুলিশের বক্তব্য

    গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেণ্ট অফ পুলিশ আশিস ভারতী বলেন, “ধৃত ব্যক্তি (Fake Buddhist Monk) আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই পরিচয় গোপন করে গত ১০ বছর ধরে তিনি ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর কাছে ভারতে থাকার ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্টও ছিল না। একাধিক ভুয়ো ও জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ (ISL Kolkata Derby) খেলার অনুভূতি আলাদা কিন্তু ডার্বির উন্মাদনা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। আইএসএল ডার্বি জয়ের পর এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এখনও অবধি দুটো ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দুটো ম্যাচেই গোল। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে গোল করতে পেরে আপ্লুত ম্যাকলারেনও। তাঁকে নিয়ে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টও উচ্ছ্বসিত। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলে আপাতত দু’নম্বরে উঠে এসেছে  মোহনবাগান (Mohun Bagan super Giant)।

    কী বললেন ম্যাকলারেন

    ডুরান্ড ডার্বি (ISL Kolkata Derby) বাতিল হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আইএসএলে মরসুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। বড় ম্যাচ সব সময়ই নায়কের জন্ম দেয়। প্রথম বার কলকাতা ডার্বিতে নেমেছিলেন ম্যাকলারেন। আর প্রথম বড় ম্যাচেই গোল। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বড় ম্যাচের অন্যতম নায়ক অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন বলছেন, ‘বিশ্বকাপে খেলেছি। এ ছাড়াও অনেক বড় ম্যাচেই খেলেছি। কিন্তু এই কলকাতা ডার্বি অসাধারণ। এই ম্যাচে গোল করে সবার সঙ্গে সেলিব্রেশন দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে আরও সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলাম। ইচ্ছে করছিল ফেন্সিং টপকে সমর্থকদের মাঝে চলে যাই। তবে এখনও আরও ম্যাচ বাকি আছে। এমন সুযোগ আরও পাব।’

    মোলিনার চালে মাত

    পরপর দুটো ডার্বি (ISL Kolkata Derby) জয়। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগানের (Mohun Bagan super Giant) আইএসএল টেবলে দু’নম্বরে উঠে আসে। এর পিছনে রয়েছে মোহনবাগানের নতুন কোচ মোলিনার ম্যান ম্যানেজমেন্ট নীতি। মোলিনা চার বছর ধরে স্পেনের মতো বিশ্বের সেরা ফুটবল টিমের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের কাজ করায় ম্যান ম্যানেজমেন্টে খুব ভালো। তাই তিনি দ্রুত তিন ব্যাকের বদলে মহামেডান ম্যাচ থেকে চার ব্যাকে টিম সাজানো শুরু করেন। যা তাঁর রক্ষণের ছবিটাকেই বদলে দেয়। দুই ডার্বিতে ক্লিনশিট রেখেছে মোলিনার টিম। তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতাতেই টিমের তিন অজি বিশ্বকাপার— ম্যাকালারেন, দিমিত্রি, কামিংসরা রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেও টিম স্পিরিটে ধাক্কা খাচ্ছে না। অ্যাটাকে বৈচিত্র্য আনতে স্টুয়ার্টকে ফ্রি ফুটবলার হিসেবে খেলানোটাই মোলিনার বড় চাল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবলে মোলিনার মার্কিং নীতিও দারুণভাবে কাজে লেগেছে। তিনি জানতেন, লাল হলুদের দুই মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো আর মাদিহ তালাল টিমটাকে চালনা করেন। এই দু’জনেই ক্রমাগত উইংয়ে বল সাপ্লাই করে যান। আর সেই বলেই প্রান্তিক অ্যাটাকে ঝড় তোলেন মহেশ-নন্দরা। মোলিনা তাই শনিবার রাতে ক্রেসপোর পিছনে অনিরুদ্ধ থাপা আর তালালের পিছনে আপুইয়াকে লাগিয়ে দেন। আর তাতেই জারিজুরি শেষ লাল হলুদের মাঝমাঠের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হাসি হাসল ভারতই! ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা এবার চালু হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপেও (UPI in Maldives)। অনলাইনে টাকা লেনদেন বা কোনও কিছু কেনাকাটা করতে ভারতে ব্যবহার করা হয় ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস, সংক্ষেপে ইউপিআই (UPI)। এই ব্যবস্থারই সুবিধা এবার মিলবে মলদ্বীপে। ফলে মলদ্বীপ বেড়াতে গিয়ে আর নগদ লেনদেনর ঝক্কি পোহাতে হবে না ভারতীয়দেরও। সম্প্রতি এই মর্মে ঘোষণা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Md Muizzu)।

    মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী (Md Muizzu)

    মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী। তাঁর আমলে নানা কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে মলদ্বীপের। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের। কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তার সিংহভাগই ভারতীয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মুইজ্জু প্রশাসন। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে আসেন তিনি। নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সেখানেই মলদ্বীপকে ডিজিটাল ও আর্থিক দিক থেকে সহায়তার আশ্বাস দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় ইউপিআই (UPI in Maldives) ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    চালু হচ্ছে ইউপিআই

    দেশে ইউপিআই চালু করার আগে একটি কেন্দ্রীয় সহায়তা ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুইজ্জু। জানিয়ে দেন, দ্বীপরাষ্ট্রের সমস্ত ব্যাঙ্ক, টেলিকম সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ওই ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে। অর্থমন্ত্রক, প্রযুক্তি মন্ত্রক-সহ একাধিক মন্ত্রককে ইউপিআই চালু করার বিষয়ে একত্রে কাজ করতে বলা হয়েছে।মলদ্বীপ সরকারের আশা, দেশে এই ব্যবস্থা চালু (UPI in Maldives) হলে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। বৃদ্ধি পাবে আর্থিক লেনদেন। ডিজিটাল পরিকাঠামোও উন্নত হবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। মুইজ্জু (Md Muizzu) সরকারের তরফে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    এর আগেও একবার ভারত সফরে এসেছিলেন মুইজ্জু। সেবার মলদ্বীপে রুপে কার্ড চালু করেছিল ভারত। প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তাঁদের জন্যই চালু হয়েছিল ওই রুপে কার্ড। ভারত ভ্রমণে আসা মলদ্বীপের পর্যটকরাও (UPI in Maldives) এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রুপে কার্ডের পর এবার সে দেশে চালু হয়ে গেল ইউপিআই সিস্টেম (Md Muizzu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share