Blog

  • Local Train: শিয়ালদা ডিভিশনে সত্যিই কি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না ট্রেন? সত্য প্রকাশ পূর্ব রেলের

    Local Train: শিয়ালদা ডিভিশনে সত্যিই কি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না ট্রেন? সত্য প্রকাশ পূর্ব রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শিয়ালদা ডিভিশনে বহু নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন। ব্যস্ত সময়ে ভিড়ও হয় অনেক বেশি। এই ডিভিশনে প্রচুর লোকাল ট্রেন (Local Train) চলে, চলে দূরপাল্লার ট্রেনও। ডিভিশন নিয়ে একটি খবর শুক্রবার ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে, পূর্ব রেলের তরফে এই খবর সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

    ৩০ সেকেন্ডের বেশি ট্রেন দাঁড়াবে না! (Local Train)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবরে বলা হয়, শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) কোনও স্টেশনে ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না লোকাল ট্রেন। চালক, গার্ড থেকে স্টেশন মাস্টারদের চিঠি দিলেন ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার। শিয়ালদা ডিভিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সময় মেনে ট্রেন (Local Train) চলাচলের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। খবরটি দেখে তাই অনেক নিত্যযাত্রীই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বিশেষত বয়স্ক যাত্রীদের পক্ষে ভিড় ঠেলে অত দ্রুত নামা-ওঠা করা বেশ কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ট্রেন যাতে লেট না হয়, সেই কারণেই এই পন্থা নিয়েছে পূর্ব রেল। সেই সিদ্ধান্তকে শোরগোল শুরু হওয়ার পর শুক্রবার রাতে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    সম্পূর্ণ মিথ্যা- বিভ্রান্তিকর, দাবি রেলের

    পূর্ব রেলের এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা ডিভিশনে লোকাল ট্রেনে (Local Train) ওঠানামার সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করার যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। আরও বলা হয়েছে যে লোকাল ট্রেনে ওঠানামা করার জন্য যাত্রীরা এতদিন যে সময় পেতেন, ভবিষ্যতেও সেই একই সময় পাবেন। পূর্ব রেলের এই বিবৃতিতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কেন এই ভুয়ো খবর ছড়াল, তা স্পষ্ট নয়।

    কী বললেন নিত্যযাত্রীরা?

    ট্রেনকে (Local Train) বলা হয় শহরতলির লাইফলাইন। জেলার সঙ্গে শহরের যোগাযোগের অন্যতম পথ এই ট্রেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিয়ালদায় আসেন। মূলত দুটো শাখা হয়েছে রয়েছে পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে। উত্তর এবং দক্ষিণ শাখা। উত্তর শাখায় আবার মেন লাইন এবং বনগাঁ লাইন। দক্ষিণ শাখা ভাগ হয়েছে ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং, বজবজের দিকে। নিত্যযাত্রীরা বলেন, প্রথম নির্দেশিকা সামনে আসতেই আমরা চিন্তায় ছিলাম। পরে,  রেলের পক্ষ থেকে ৩০ সেকেন্ড করে ট্রেন দাঁড়ানোর খবর ভিত্তিহীন বলতেই স্বস্তি ফিরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চার বছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। ২০১৩ সালে শেষবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল প্রয়াগরাজে। ১২ বছর পর ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহাকুম্ভ। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্মে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও এই অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুাসের, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি থেকে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলাকে সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য-ধর্মীয়-ঐতিহাসিক-পৌরাণিকভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করেছে যোগী সরকার।

    মহাকুম্ভে থাকবে ৩০টি বড় দ্বার

    এবারের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) তৈরি করা হবে ৩০টি বড় দ্বার। মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারের মুখগুলিতেই তৈরি করা হচ্ছে প্রত্যেকটি গেট। সমুদ্রমন্থনের বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। এই দ্বারগুলি দিয়ে — যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। পুণ্যার্থীরা সহজেই প্রবেশ-প্রস্থান করতে পারবেন। আবার, দিক-নির্দেশের চিহ্ন বা দিশা দেখানোর কাজ করতে পারবে এই দ্বারগুলি। একই সঙ্গে, তথ্য আদানপ্রদানেরও ব্যবস্থা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি দ্বার পুরাণ বা পৌরাণিক আখ্যানের নিদর্শন বহন করবে। ৩০ দ্বার ৩০ রত্নের থিম নিয়ে নির্মিত হবে। প্রতিটি রত্নদ্বার ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।

    ৫০ কোটি তীর্থযাত্রী আসতে পারেন বলে অনুমান (Pilgrims)

    যদি কোনও তীর্থযাত্রী কুম্ভ প্রাঙ্গণে হারিয়ে যান তাহলে এই গেটে পৌঁছানো মাত্রই, সেখানে থাকা কর্মীরা তাঁকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এই গেটগুলি শুধুমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবেই গড়ে উঠছে না। এগুলি ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস ও পৌরাণিক ঘটনাগুলির প্রতিফলনও ঘটাবে। এর ফলে  মহাকুম্ভ মেলায় আসা তীর্থযাত্রীরা নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক নানা ঘটনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারই হয়ে উঠবে একটি করে তথ্যভাণ্ডার। এখানেই তীর্থযাত্রীরা নিজেদের খাদ্য পানীয় ও বাসস্থানের বিষয়ে তথ্য পাবেন। শুধু তাই নয়, এগুলির মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের প্রতিদিনকার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও করতে পারবেন। কত সংখ্যা হতে পারে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে? এ নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের বক্তব্য হল, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে ৫০ কোটি তীর্থযাত্রীর ভিড় হতে পারে।

    ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে

    জানা গিয়েছে, ওই ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকেই তা দেওয়া হবে। এগুলি, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষাতে হবে। এই পুস্তিকাগুলিতে লেখা থাকবে, প্রয়াগরাজের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটনস্থান সম্পর্কে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে এ বিষয়ে গাইডবুকও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রয়াগরাজের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে কীভাবে থাকা যাবে, কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে- তাও এই গাইড বুকগুলির মাধ্যমে জানতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের সমস্ত রকমের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল তীর্থযাত্রীকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে যোগী সরকার।

    তীর্থযাত্রীদের যোগী সরকার দেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি গেট বা প্রবেশদ্বারে কর্মীও মোতায়েন করা হবে এবং তাঁরা প্রতিদিনকার তথ্য সরবরাহ করবেন তীর্থযাত্রীদের। স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রচারেরও কাজ করবেন তাঁরা। ওই ৩০টি প্রবেশদ্বারকে রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্বে থাকবেন বিশেষ প্রশিক্ষিত কর্মীরা। গেটগুলিতে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ কর্মীরা মহাকুম্ভ মেলার বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে তীর্থযাত্রী তথা ভক্তদেরকে গাইড করবেন। তাঁদেরকে বিশদে বর্ণনা করবেন মহাকুম্ভ মেলায় পুণ্য স্নানের গুরুত্ব ঠিক কতখানি?  ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলাকে সবদিক থেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে যোগী সরকার। যাতে আগত তীর্থযাত্রীদের সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। তাদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mount Everest: ১০০ বছর পরে ব্রিটিশ পর্বতারোহীর দেহাবশেষ উদ্ধার! বদলে যাবে প্রথম এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস?

    Mount Everest: ১০০ বছর পরে ব্রিটিশ পর্বতারোহীর দেহাবশেষ উদ্ধার! বদলে যাবে প্রথম এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ বছর পর ব্রিটিশ পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine) দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। যার ফলে, এভারেস্ট (Mount Everest) জয়ের ইতিহাস বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পর্বতের উত্তর দিকের রংবুক হিমবাহে অভিযান চালাচ্ছিলেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্যচিত্র নির্মাতারা। আচমকাই তাঁদের চোখে পড়ে একটি জুতো। এরপর সত্য উঠে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেহাবশেষ আর্ভিনের কিনা (Mount Everest)?

    চলচ্চিত্র নির্মাতা এরিখ রোপেক এবং পর্বতআরোহী মার্ক ফিশার ভালো করে নিরীক্ষণ করে দেখার পর বুঝতে পারেন, এই জুতো হল ১০০ বছর আগে পর্বতে হারিয়ে যাওয়া পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine)। তিনি স্যান্ডি নামে পরিচিত ছিলেন। জুতোর মধ্যে যে মোজা গালানো ছিল তাতে লাল সুতো দিয়ে নাম লেখা ছিল ওঁই পর্বতারোহীর নাম। এভারেস্টের (Mount Everest) উপর বরফের নিচে চাপা পড়েছিল এই জুতো। কিন্তু হিমবাহের বরফ গলার কারণে প্রায় এক শতাব্দী পর এই জুতো উদ্ধার হয়েছে। তবে দেহাবশেষ আর্ভিনের কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

    মাত্র ২২ বছরে অভিযান করেছিলেন

    আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২৪ সালের ৮ জুন দুজন পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিন (British Climber Andrew Irvine) এবং জর্জ ম্যালারি এভারেস্ট (Mount Everest) অভিযান শুরু করেছিলেন। তখন অ্যান্ড্রু কামিনের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। কিন্তু অভিযানে দুই জনই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে খোঁজাখুঁজির পর ম্যালেরির দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও আর্ভিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এবার জুতো উদ্ধারের পর নিখোঁজ রহস্যের কিনারা হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    ১৯৫৩ সালে এভারেস্টে (Mount Everest) পা রাখেন তেনজিং

    জানা যাচ্ছে, যদি জুতো অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিনের (British Climber Andrew Irvine) বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এভারেস্টের ইতিহাসে বিরাট পরিবর্তন ঘটে যাবে। অনুমান করা হচ্ছে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগের রেকর্ড ভেঙে যাবে। উল্লেখ্য, হিলারি-তেনজিং জুটি ১৯৫৩ সালে এভারেস্টের (Mount Everest) চূড়ায় পা রেখেছিলেন। কিন্তু, তার ২৯ বছর আগে অ্যান্ড্রু কামিন আর্ভিন হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রেখেছিলেন। ফলে মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার ইতিহাস বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য, আর্ভিন এবং ম্যালারি আদৌ শৃঙ্গজয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন কিনা, তা প্রমাণ সাপেক্ষ। কিন্তু, এখনই এই নিয়ে পর্বতারোহীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন কলকাতা পুলিশ (Kolkata police) গ্রেফতার করছিল পুরসভার মেডিক্যাল টিমের প্রতিনিধি তপোব্রত রায়কে। তাঁর অপরাধ ছিল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বুকে ব্যাজ পরে ডিউটি করছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ডাক্তার। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (High court) দ্বারস্থ হলেন প্রতিবাদী ওই ডাক্তার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High court)

    ১৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন অনশনকারী চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরে কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের (High court) হয়ে এমারজেন্সি ডিউটি করছিলেন তপোব্রত রায়। এর জেরে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীনই তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সাধারণ মানুষও জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে অনুমান করে গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাধ্য হয়ে তপোব্রত রায়কে ছেড়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও দুঃখপ্রকাশ করা হয়নি। পদক্ষেপ নেয়নি কলকাতা পুরসভাও। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ওই ঘটনার বিচার এখন করবে আদালতই।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু

    তপোব্রতবাবুর মামলার (High court) আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে। অন্যদিকে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও অন্যায় ছাড়াই তপোব্রত রায়কে গ্রেফতার করার জন্য কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসকরা। তপোব্রত রায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার নিন্দা কেন করা হয়নি? কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেডলাইন দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই ঘটনার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু হয়। আর কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তোলা হয়। এক, চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে পুলিশের আটক করার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা করতে হবে। দুই, পুলিশকে তপোব্রত রায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। তিন, কলকাতা পুরসভার চিকিৎসককে অপমান করা হয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবি এখনও মানা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুরকর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কালীপুজোর মুখে ফের ঘূর্ণিঝড়! ধেয়ে আসছে ‘ডানা’, কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    Weather Update: কালীপুজোর মুখে ফের ঘূর্ণিঝড়! ধেয়ে আসছে ‘ডানা’, কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। আন্তজার্তিক আবহাওয়ার (Weather Update) মডেলগুলির তথ‌্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির লক্ষণ স্পষ্ট। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। কাতার ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ‘ডানা’।

    কবে আসছে ঘূর্ণিঝড়

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) মনে করছে, আগামী সপ্তাহেই হাজির হতে পারে নিম্নচাপ। হানা দিতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ও (Cyclone Dana)।  ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন মডেল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বলা হচ্ছে, আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর এই নিম্নচাপের প্রভাবেই কালীপুজোর আগে জমাট বাঁধতে পারে দুর্যোগের মেঘ। পূর্বাভাস অনুসারে, এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হওয়ার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে। 

    পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যক্ষ প্রভাব

    আবহবিদরা (Weather Update) মনে করছেন, ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানলে এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে।  বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার গতি হবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে ঘূর্ণঝড়ের অভিমুখ যাই হোক বা কেন, দুটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বজায় থাকবে। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে আগামী মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Internship Scheme: আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    PM Internship Scheme: আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম (PM Internship Scheme) কেন্দ্রের মোদি সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প। তাতে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপার সম্ভাবনার দিক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ২৩ জুলাই বাজেট বক্তৃতার সময় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে গত ৩ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে এই স্কিম৷ এই উদ্যোগটির লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষ ৫০০ কোম্পানিতে এক কোটি যুবককে ইন্টার্নশিপ (Learn) প্রদান করানো৷ আবেদনের জন্য পোর্টাল ১২ অক্টোবর থেকে খোলা হয়েছে। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহীরা ইতিমধ্যে আবেদন শুরু করে দিয়েছেন। আপনিও কি এই স্কিমের সঙ্গে যুক্ত হতে চান? তাহলে কীভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন।

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম কী (PM Internship Scheme)?

    এই স্কিমটি দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা বা ব্যবসায় যুবক-যুবতীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ (Learn) প্রদানের মাধ্যমে কীভাবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা যায়, সেই দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। এই স্কিমটি (PM Internship Scheme) কাজের দক্ষতায় কোনও ব্যবধান থাকলে তা পূরণ করবে। একই ভাবে যুবসমাজকে প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভর করবে। স্কিমের প্রশিক্ষণনের জন্য প্রতিটি ইন্টার্ন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সরাসরি বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) এর মাধ্যমে ৪৫০০ টাকা মাসিক বৃত্তিও পাবেন। একই ভাবে থাকবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সিএসআর তহবিল থেকে অতিরিক্ত আরও ৫০০ টাকা। এছাড়া এককালীন ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে ইন্টার্নদের। এআই টুল ব্যবহার করা, যোগ্যতা এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ইন্টার্নশিপের সুযোগ মিলবে প্রার্থীদের। 

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড কী কী?

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের (PM Internship Scheme) যোগ্যতা অর্জনের জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ড পূরণ করতে হবে:

    ১) আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং পূর্ণ-সময়ের চাকরিতে নিযুক্ত নয় এমন হতে হবে।

    ২) আবেদনকারীদের দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণি কিংবা যাঁদের বিএ, বিকম, বিফার্মের ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও এই স্কিমে ইন্টার্নশিপের আবেদন করতে পারেন।

    ৩) আইটিআই গ্রাজুয়েট, পলিটেকনিক ডিপ্লোমাধারীরাও আবেদনের যোগ্য। 

    ৪) সরকারি চাকরি বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী পরিবারের প্রার্থীরা যোগ্য নন। এনআইটি, আইআইটি, আইআইএম, আইআইএসইআর-এর মতো প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউটের স্নাতক বা সিএ বা  সিএমএ (CMA)-এর মতো যোগ্যতা থাকা ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    ৫) ২০২৩-২৪ সালে ৮ লাখ বা ​​তার বেশি আয়ের পরিবারের আবেদনকারীরা অযোগ্য হবেন।

    কীভাবে আবেদন করতে হবে?

    আবেদন করার পোর্টাল (PM Internship Scheme)-এর ওয়েবসাইট হল- pminternship.mca.gov.in । ১২ অক্টোবর থেকে সারাসরি আবেদন করা শুরু হয়েছে, চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রার্থীদের অবশ্যই ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজেদের নাম ও বিশদ তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং সকল দেওয়া তথ্যকে স্ব-প্রত্যয়িত (Self Attested) করতে হবে।

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমের সুবিধা

    এই স্কিমটি (PM Internship Scheme) তরুণদের চাকরি বা কর্ম সংস্থানের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। একই ভাবে প্রার্থীদের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের ৫০০টি সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। আইটিসি, ইনফোসিস, উইপ্রো, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতো সংস্থায় কাজ শেখার সুযোগ পাবেন। দেশের ৭৩৭টি জেলায় ২৪টি সেক্টরে এই ইন্টার্নশিপ করা যাবে। কোম্পানিগুলিতে কাজের সুবিধা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চাকরিতে প্রস্তুত করার জন্য প্রার্থীদের বিশেষভাবে উপযোগী হবে। ইন্টার্নশিপ শেষ করার পরে বড় কর্পোরেশন বা মাইক্রো, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগে (এমএসএমই) স্থায়ী কর্মীর ভূমিকায় কাজের সুযোগ মিলবে।

    উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিম হল একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। যুবসমাজের কর্মসংস্থান ও শিল্প-উদ্যগ-বানিজ্যকে দক্ষ করতে কেন্দ্র সরকারের ভাবনা একেবারে অভিনব। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে দেশের যুব সমাজের জন্য আগে আত্মনির্ভর এবং কর্মসংস্থান একান্ত প্রয়োজনীয়। যদিও ভারত সরকার গত করোনা মহামারির পর থেকেই ‘লোকাল ফর ভোকাল’, ‘ওয়ান প্রোডাক্ট ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’, ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’-সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে যোগদানের জন্য উৎসাহী করছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন এই স্কিলের উপর। উন্নত ভারত বা বিকশিত ভারত নির্মাণে এই প্রকল্পগুলি কার্যকর হবে বলে আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Bus: কলকাতার রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

    Kolkata Bus: কলকাতার রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা এসব রয়েছে। তার মধ্যেই দুর্ভোগ বেড়েছে শহরের নিত্যযাত্রীদের। দুর্গাপুজো মিটতেই সাড়ে পাঁচশোর বেশি বাসের হদিস মিলছে না রাজপথে। বাস মালিকরাও যেমন চাপে পড়েছেন কলকাতায় (Kolkata Bus), ঠিক তেমনভাবেই বড় সঙ্কটে পড়েছে গণপরিবহণ ব্যবস্থা। পুজোর পরই বসে গেল এই সব বাস। বাস মালিকরাও এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। চরম নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাড়ছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও।

    রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস (Kolkata Bus)  

    জানা গিয়েছে, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা ২০০৯ সালের একটি মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা (Kolkata Bus)  শহর তথা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। শহর কলকাতার পরিবেশ রক্ষার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বাসমালিকদের সংগঠন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ১ অগাস্ট থেকে সেই নির্দেশ কার্যকর করছে পরিবহণ দফতর। যে কারণে একের পর এক বাস শহরের রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিবহণ দফতরের একাংশ বলছে, এ ব্যাপারে তেমন কোনও সক্রিয়তা নজরেই আসছে না দফতরের কর্তাদের মধ্যে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ছিল, ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে, সেই পরিবহণ আর রাস্তায় নামতে পারবে না। সেই নির্দেশই এবার কার্যকর হচ্ছে। পুজোর পর বেসরকারি রুটের প্রায় ৫৬৫টি যাত্রীবাহী বাস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একই কারণে প্রায় হাজার খানেকের বেশি বাস বসে গিয়েছে। যাত্রীরা (Passengers) চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, সন্ধ্যা নামলেই খালি হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। বাস পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের সময়ও কলকাতায় বেসরকারি বাস (Kolkata Bus) চলত ৪ হাজার ৮৪০টি। তারপর বহু বাস বসেও যায়। এখন চলাচল করে ৩ হাজার ৬১৫টি বাস। মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪টি। সেই সংখ্যাটা কমে ১,৪৯৮টি হয়েছে। তারপর আরও ৫৬৫টি বাস বসেছে। এই বিষয়ে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিলে যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। বহু বাস মালিক বুঝতে পারছেন না এখন কী করা উচিত। তাঁদের বাস পুলিশ রেখে দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ১৫ বছর পরও অনেক বাসের ইঞ্জিন ভালো থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেন বসিয়ে দেওয়া হবে? এমন নিয়ম হওয়া উচিত, যাতে ১৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর কোনও পরীক্ষা করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তার তদন্ত এখনও চলছে। তবে তাঁরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার আদালতে বিচারক অভিজিৎ মণ্ডলের এজলাসে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    সত্য যাচাইয়ের পরীক্ষায় রাজি নন ধৃতরা

    সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিও মিলেছে, যা ‘তদন্তসাপেক্ষ’। আরও কিছু ডিজিট্যাল তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবদেন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্তকারী সংস্থার তরফে ধৃত দু’জনের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়। তবে, নারকো টেস্টের জন্য রাজি হননি সন্দীপ ঘোষ। অন্যদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি হননি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোন কলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও

    প্রভাবশালী তত্ত্ব সিবিআইয়ের

    জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের বক্তব্য, ধৃত দু’জনই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ধৃতরা মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কিনা তার তদন্ত চলছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন,  “সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, “সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” সিবিআই আদালতে জানায়,  এখন দেখা হচ্ছে যে ঘটনার সঙ্গে অর্থাৎ মূল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রবিবার মোদির হাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের শিলান্যাস

    PM Modi: রবিবার মোদির হাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের শিলান্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল, রবিবার ২০ অক্টোবর, বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে বিবৃতি সামনে এসেছে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নিজের বিবৃতিতে দার্জিলিংয়ের সাংসদ জানিয়েছেন, বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজ দুটি পর্যায়ে চলবে। প্রথম পর্যায়ে কাজ হবে ৭০ হাজার ৩৯০ বর্গমিটারের। অন্যদিকে, ভবিষ্যতে আরও ৫০ হাজার বর্গমিটারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সাংসদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনাল এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সমস্ত রকমের যাত্রী সুবিধা থাকবে। বছরে এক কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতি ঘণ্টায় ৩,০০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি বিমান পার্কিংয়ের জন্য নতুন টার্মিনালে দশটি পার্কিং জোন থাকছে। ট্যাক্সি ওয়ে’র জন্য থাকছে আরও দুটি। এছাড়া, আরও অন্যান্য পার্কিং সুবিধাও রাখা হচ্ছে।

    বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) আধুনিকীকরণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে 

    প্রসঙ্গত, বাগডোগরা হল উত্তরবঙ্গের একটি বাণিজ্যিক বিমানবন্দর। এর আশেপাশে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলা অবস্থিত। সিকিম, অসম, পূর্ব বিহার এবং প্রতিবেশী দেশ ভুটান-নেপাল-বাংলাদেশ থেকেও বাগডোগরা বিমানবন্দরেকে ব্যবহার করেন অনেক যাত্রীই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

    মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ দার্জিলিং-এর সাংসদের 

    নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানিয়ে রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তার সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই বিমানমন্ত্রী কেআর নাইডুকে এবং প্রাক্তন বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে।’’ রাজু বিস্তা আরও জানিয়েছেন, একবার সম্পূর্ণ হলে বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport), উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে এবং এর ফলে উন্নতি হবে পর্যটন ও বাণিজ্যের। জানা গিয়েছে, নয়া টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ভাবেই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share