Blog

  • Nayab Singh Saini: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক বিজেপির, মোদির উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ সাইনির

    Nayab Singh Saini: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক বিজেপির, মোদির উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ সাইনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নয়াব সিং সাইনি (Nayab Singh Saini)। তৃতীয়বার সরকার তৈরি হল বিজেপির। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও হাজির ছিলেন এনডিএ-র শরিক দলের নেতারা। কেন্দ্রের মন্ত্রী তথা জেডিইউ-এর সদস্য রাজীবরঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং, কেন্দ্রের মন্ত্রী, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-এর সদস্য চিরাগ পাসোয়ান, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে দেখা যায় এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে হাজির ছিলেন অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গুজরাতের ভূপেন্দ্র প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ।

    হরিয়ানার পঞ্চকুলার শালিমার মাঠে হয় শপথ গ্রহণ (Nayab Singh Saini)

    হরিয়ানার পঞ্চকুলার শালিমার মাঠে এদিন রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয় শপথ বাক্য পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী (Nayab Singh Saini) সমেত ১২ জন বিজেপির মন্ত্রীকে। মাঠে হাজির ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক। সামনের সারিতে বসে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভার আসনসংখ্যা রয়েছে ৯০টি। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ১৩ জন সদস্য থাকতে পারেন।

    বিপুল জয় বিজেপির (Haryana)

    ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৮টি আসন জেতে গেরুয়া শিবির, যাদুসংখ্যা যেখানে ছিল ৪৬। টানা এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরে ফের উন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপিকেই বেছে নেন হরিয়ানার জনগণ। বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে থামতে হয় ৩৭টি আসনেই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি) দু’টি এবং নির্দল প্রার্থীরা তিনটি আসনে জিতেছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসেই মনোহরলাল খট্টরকে সরিয়ে দলের ওবিসি ‘মুখ’ সাইনিকে (Nayab Singh Saini) মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বিজেপি-দু’দলই হরিয়ানায় পাঁচটি করে আসনে জিতেছিল। বিধানসভায় কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখে বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষাই। তবে সেসবকে উড়িয়ে দিয়ে বাজিমাত করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে বড়সড় পরিবর্তন আনল রেল। ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময় কমিয়ে দেওয়া হল। আর চারমাস নয়। এবার দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট বুকিং করা যাবে দু-মাস আগে। বুধবারই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল (Indian Railways) বোর্ড ও রেল মন্ত্রক। নতুন নিয়মে ১২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন আগে টিকিট কাটার ব্যবস্থা হলে অনেকেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রেল।

    নতুন নিয়মে কী রয়েছে? (Indian Railways)

    এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম রয়েছে তাতে ট্রেন ছাড়ার দিনটি বাদ দিয়ে ১২০ দিন আগে কোনও ট্রেনের টিকিট (Ticket) সংরক্ষণ শুরু হয়। এর ফলে অনেক আগে থেকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলতে হয়। এ বার সেই অগ্রিম পরিকল্পনার মেয়াদ কমানোর সুবিধা করে দিচ্ছে রেল। এখন যদি কেউ ফেব্রুয়ারি মাসের টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই কাটতে চান, তবে যে দিন ট্রেন ছাড়বে সে দিন থেকে ১২০ দিন আগে কেটে নিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে যাবে ১ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার রেলের (Indian Railways) তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১২০ দিন আগে টিকিট বুকিংয়ের যে নিয়ম লাগু ছিল পয়লা নভেম্বর থেকে তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে বেড়াতে যাওয়ার দু-মাস আগে দূরযাত্রার জন্য টিকিট কাটা যাবে। তবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ ১২০ দিন আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য টিকিট কাটা যাবে। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিকিট ক্যানসেল করার ক্ষেত্রেও এই ৬০ দিনের সময়সীমাই মানতে হবে। তবে তাজ এক্সপ্রেস, গোমতী এক্সপ্রেস-এই দুটি ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য মানতে হবে ১২০ দিনের সময়সীমাই। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকেরা এখনকার মতো ৩৬৫ দিন আগেই কোনও ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ

    রেলের (Indian Railways) এমন সিদ্ধান্তে খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, অনেক সময়ই চারমাস আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যায় না। কিন্তু শুধুমাত্র টিকিট কাটার জন্য তা করতে বাধ্য হতেন। কারণ, চারমাস সময়ের মধ্যে ভালো-মন্দ অনেক কিছু হতে পারে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে। এখন টিকিট কাটার সময় কমে দু-মাস হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বারবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়েছে ইডি। তার জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনানি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জল ভুয়ানের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার কাছে হলফনামা চায়। 

    পিছিয়ে গেল শুনানি

    নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালে পার্থকে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই শুনানিতেই বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এর পরেই ইডির কাছে হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইডি হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চাইলে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।  টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs New Zealand: লজ্জা! দেশের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোর ভারতের, ম্যাচে দাপট নিউজিল্যান্ডের

    India vs New Zealand: লজ্জা! দেশের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোর ভারতের, ম্যাচে দাপট নিউজিল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হল ভারতের। ভেজা মাঠে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে এটাই ভারতের সবচেয়ে কম স্কোর। ভারতের (India vs New Zealand) ইনিংসে যশস্বী ও পন্থ ছাড়া কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ১৮০। ভারতের চেয়ে ১৩৪ রানে এগিয়ে কিউইরা। 

    লজ্জার রেকর্ড

    একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল ৩৬ রানের লজ্জার রেকর্ড ভেঙে দেবে ভারত (India vs New Zealand)। কোনও রকমে তা বাঁচাল তারা। টেস্টে ভারতের সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার রেকর্ড ৩৬। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্টে এই ঘটনা ঘটে। সেই ইনিংসে অবশ্য ভারতের ১০ উইকেট পড়েনি। ৯ উইকেট পড়েছিল। মহম্মদ শামি হাতে চোট পেয়ে উঠে যান। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৪ সালে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে অল আউট হয়েছিল তারা। তার পরেই বেঙ্গালুরু। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় সবচেয়ে কম রানে আউট হলেন রোহিতেরা।  ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭৫ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। সেটিই ছিল দেশের মাটিতে ভারতের এক ইনিংসে সবচেয়ে কম রান। সেই লজ্জার রেকর্ড এ দিন ভেঙে দিলেন রোহিত, কোহলিরা।

    রোহিতের ভুল সিদ্ধান্ত

    বৃষ্টির কারণে তিন দিন পিচ ঢাকা। স্বাভাবিক কারণেই পিচে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকবে। তার পর আকাশও মেঘলা। ক্রিকেট সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা যে কেউ বলে দেবেন, এমন পরিস্থিতিতে টসে জিতলে চোখ বুজে আগে বোলিং নেওয়া উচিত। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ঠিক তার উল্টো কাজটাই করলেন। টসে জিতে ব্যাট নিলেন। বিপক্ষের সামনে আত্মসমর্পণ করে দেশের মাটিতে লজ্জার সাক্ষী হল ভারত। ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৪৬ রানে। টসে জিতে বল করলে যে সুবিধা নিতে পারতেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজেরা, সেই সুবিধা নিয়ে গেলেন সাউদি, হেনরিরা। রোহিতদের বোঝা উচিত ছিল তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামেননি। বিপক্ষ দলে বিশ্বসেরা কিছু বোলার রয়েছেন।

    ব্যর্থ বোলাররাও 

    যে পিচে ভারতের (India vs New Zealand) ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারলেন না, সেই পিচেই অসাধারণ ব্যাটিং করলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ১০৫ বলে ৯১ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে যান কনওয়ে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি। অপর ওপেনার তথা অধিনায়ক টম ল্যাথাম করেন ১৫ রান। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে উইল ইয়াং করেন ৩৩ রান। রাচিন রবীন্দ্র ২২ এবং ড্যারিল মিচেল ১৪ রান করে অপরাজিত। এই ম্যাচে এখনও ৩ দিন বাকি। কিন্তু ভারতীয় দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। ম্যাচ বাঁচাতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। না হলে টানা তৃতীয়বার আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চাপে পড়ে যাবে ভারতীয় দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্বে ‘গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)।  তাঁর দল আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনা-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বৃহস্পতিবারের শুনানি পর্বে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই অপরাধগুলো বিস্তৃত মাত্রায় সারা বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয়েছে। এই অপরাধে অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁরা অসম্ভব রকমের প্রভাবশালী, তাঁদের গ্রেফতার করা না হলে তদন্তের প্রক্রিয়া পরিচালনা করা কঠিন।’’ তাঁর সেই যুক্তি মেনে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মোর্তাজা মজুমদার এবং দুই সদস্য— বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    কোথায় হাসিনা

    প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে ৭৭ বছরের শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আর একবারও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বস্তুত, তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলন ও কালক্রমে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি নিজের বোনকে সঙ্গে নিয়ে নয়া দিল্লি চলে আসেন তিনি। হাসিনার ‘ভারতে থাকা’ নিয়ে পড়শি বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও ভারত তার প্রেক্ষিতে সরকারিভাবে কোনও সাড়া দেয়নি।

    আরও পড়ুন: বোমাতঙ্ক-ছিনতাইয়ের হুমকি! এবার বিমানেই থাকবেন কমান্ডোরা, ভাবনা এনএসজি-র

    কী করবে ভারত

    হাসিনাকে বিপাকে ফেলতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তথ্য বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হলে ঢাকার তরফে নয়াদিল্লির কাছে হাসিনাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে স্বদেশে ফিরে আইনি কার্যাবলী ও ফৌজদারি শুনানির মুখে পড়তে হবে। তবে, কূটনৈতিক মহলের দাবি, বাংলাদেশ বললেই যে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য থাকবে, ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। হাসিনা যেহেতু এক ‘বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্র’ তাই ভারত সেই আবেদন বাতিলও করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: সাদা কাগজে অনশন মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সই সংগ্রহ শুরু, নিমেষে পাতা ভর্তি

    Junior Doctor: সাদা কাগজে অনশন মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সই সংগ্রহ শুরু, নিমেষে পাতা ভর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। লক্ষ্মীবারে, লক্ষ্মীপুজোর দিন এই কর্মসূচি শুরু হল। অনশন মঞ্চেই এই কর্মসূচিতে এগিয়ে এলেন বহু মানুষ। নতুন এই কর্মসূচি থেকে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা? এদিন মঞ্চের সামনে থেকেই শুরু হয় গণস্বাক্ষর অভিযান। সকাল থেকেই বহু সাধারণ মানুষ, সিনিয়র চিকিৎসকরা অনশন মঞ্চে এসে উপস্থিত হন। সাদা কাগজে সেই সই সংগ্রহ শুরু হয়। নিমেষে পাতা ভর্তি হতে থাকে। এই সই সংগ্রহ অভিযান এখন চলবে।

    গণস্বাক্ষর অভিযানের ডাক (Junior Doctor)

    জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার তা শুরু হতে চলেছে কলকাতা থেকেও। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ (Hunger Strike) থেকে তো বটেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকেও জুনিয়র ডাক্তারেরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহে বেরোবেন বলে জানা গিয়েছে। স্থির হয়েছে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে চারটে গাড়ি চার প্রান্তে যাবে। উল্টোডাঙা, সোদপুর, গড়িয়াহাট এবং শ্যামবাজারে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় মিছিল করে জুনিয়র চিকিৎসকরা যাবেন। ধর্মতলা থেকে চারদিকে যাবে এই মিছিল। ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার হয়ে সোদপুর যাবে। ধর্মতলা থেকে বিধাননগর যাবে। ধর্মতলা থেকে গড়িয়াহাট যাবে। সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করা হবে।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    বুধবারই ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মধ্যরাতের সেই বৈঠকে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। নিজেদের দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে (Junior Doctor) অবহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্মতলার চার প্রান্তের চারটি জায়গায় ১০ দফা দাবির বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রাথমিক ভাবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। আরিফ আহমেদ লস্কর নামে এক আন্দোলনকারীর কথায়, “অনেক সাধারণ মানুষ ধর্মতলায় এলেও সরাসরি প্রতিবাদী বা অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। কিন্তু আমরা তাঁদের কথা শুনতে চাই। তাই সাধারণ মানুষ যাঁরা আসছেন, তাঁরা তাঁদের মতামত আমাদের জানিয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন।”

    কতদিন চলবে এই কর্মসূচি?

    শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারের এই ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচিই (Junior Doctor) নয়, প্রতি দিনই বৈঠক করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই পোস্টারে কোথাও উদ্যোক্তাদের নাম উল্লেখ করা নেই। ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। বৃহস্পতিবার তাঁদের অনশনের ত্রয়োদশতম দিন। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন এক জুনিয়র ডাক্তার। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চের একাদশতম দিন। অনশনে থাকতে থাকতে সকলেই কমবেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী মঙ্গলবারই ধর্মতলার অনশনমঞ্চে যোগ দিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের কলকাতা ডার্বির অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। শনিবার বড় ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর চলতি মরসুমে এখনও অবধি মুখোমুখি হয়নি মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আইএসএলে (ISL) কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) প্রথম ম্যাচের আগেই জানা গেল, এ মরসুমের দ্বিতীয় বড় ম্যাচের দিনক্ষণ। ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি হবে আইএসএলের এ মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। ফিরতি লেগে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বড় ম্যাচ।

    দুই দলের প্রস্তুতি

    চলতি আইএসএল-এ মোহনবাগানের পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করলেও অনেকটা গুছিয়ে নিতে পেরেছে তারা। চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করছেন আলবার্তো রডরিগেজ। ডার্বির আগে রাগবি বল নিয়ে খেলায় মাতলেন জেমি, দিমিরা। কোচ মোলিনা ছক কষছেন ডার্বি জয়ের। বড় ম্যাচ জিতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চান মোলিনা। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এ মরসুমে ৪ ম্যাচে ৪টে-তেই হার ইস্টবেঙ্গলের। বড় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ক্লেটন, ক্রেসপোদের। ডার্বি জিতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার আশায় সৌভিক, তালালরা।

    পয়েন্ট টেবলে কে কোথায়

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বছরের ৩০ ডিসেম্বরের পরবর্তী আইএসএল সূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চলতি মরসুমে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। তাদের পয়েন্ট ১০। ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পঞ্জাব এফসি। তিনে জামশেদপুর এফসি। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে মোহনবাগান। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে মহমেডান। আর ৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতেই হেরে শূন্য ঝুলি লাল-হলুদের। পয়েন্ট টেবলের ১৩ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের আবহে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই, রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর মা। তিনি চান সিবিআই মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করুক। আর্জি জানাতে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে (Nadia) এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরিবারের অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আঙুল ওঠে তরুণীর প্রেমিকের দিকে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। ওই যুবক ভিনরাজ্যে একটি হোটেলে কর্মরত ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হবে বলেও স্থির হয়। ওই যুবকের বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতেন ওই তরুণী। তার পরেও এমন ঘটনা কেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশাই কাটছে না।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    ময়না তদন্তের রিপোর্ট কী বলছে?

    পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর (Nadia) জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতার’ দেহের ময়নাতদন্ত হয়। যদিও, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন, অ্যাসিডে নয়, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হতে পারে। কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য় বাইরে পাঠানো হচ্ছে। 

    পুলিশে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি

    তার আগে মৃতার মা বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যে ঘটনাপ্রবাহ দেখেছি, তার পরে আর পুলিশের ওপরে আস্থা রাখতে পারছি না। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ’’পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকী কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টা করে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই (CBI)। আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব। প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করে এই লড়াই চালাব।’’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগরের (Nadia) তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান এডিজি সিআইডি সোমা দাস এবং সুপ্রতিম সরকার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার সহ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। কৃষ্ণনগরকাণ্ডে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিআইডি (রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ)-র সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণগর জেলা পুলিশ সর্বস্তরে মৃত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। অভিযুক্ত রাহুল বোসকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি এবং অনেক জিজ্ঞাসাবাদ বাকি রয়েছে। সেই কারণে আমরা অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। পাশাপাশি, যুবতীর পরিবারের যে দাবি ছিল সেই অনুযায়ী ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজ চলছে।

    হত্যার নেপথ্যে কী কারণ?

    ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত নেমে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক লোকেশন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনার একদিন আগে একটি বাইকের শোরুমে যায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা। নির্যাতিতা বাইক কেনার কিছু টাকা বাড়ি থেকে জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা রাখতে না পারা নিয়ে তীব্র গোলমাল হয় বলে দু’জনের মধ্যে।

    অন্য একটি সূত্রের খবর, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তরুণীর প্রেমিক হোটেলে কাজ পেয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। বাড়িতে না জানিয়ে দিন পনেরোর জন্য তরুণী প্রেমিকের কাছেও চলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার (6A Of The Citizenship Act) সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

    সাংবিধানিক বেঞ্চে দ্বিমত (6A Of The Citizenship Act)

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়-সহ চার বিচারপতি এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিলেও, দ্বিমত পোষণ করেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি পারদিওয়ালা। ৬-এ ধারাকে তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অসম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান। বেআইনি অনুপ্রবেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানসূত্র অসম চুক্তি। সেই চুক্তি সূত্রে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে রায় আদালতের। স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন ধারা তৈরি করার আইনি ক্ষমতা সংসদীয় ব্যবস্থার রয়েছে।

    ৬-এ ধারা

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয় ৬-এ ধারাটির। ওই দিনই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তাই ওই ধারাটিকে বাংলাদেশ যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। সেই কারণে ওই তারিখটিকে ভিত্তি করে ধারাটির প্রয়োগ যথাযথ বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা অসমে এসেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ধরতে হবে। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে যারা এসেছে, তারা অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে আসা সবাইকেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করে ফেরত পাঠাতে হবে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    অসমের জন্যই ৬-এ ধারা

    কেবলমাত্র অসম রাজ্যের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। অসমে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া অসম চুক্তির অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যেসব বাংলাদেশি অসমে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১ এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়েছে (Supreme Court)। কারণ (6A Of The Citizenship Act) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    অসমে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা অসাংবিধানিক বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মোট ১৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেগুলিই একত্রিত করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, অসম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি সংসদ। তাই অসম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু এদিন কেন্দ্রের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সায় দিয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাকেই।

    অসম চুক্তি

    অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয় অসমে। আন্দোলনে ইতি টানতে ১৯৮৫ সালে হয় অসম চুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আন্দোলনকারী ও ভারত সরকারের মধ্যে। এই অসম চুক্তিরই অঙ্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা। এই ধারা অনুযায়ীই ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অসমের সীমান্তের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যের তুলনায় অসমে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা স্থানীয় জনগণের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অসমে মোট জমির পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কম। তাই পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ লাখ অনুপ্রবেশকারী থাকলেও, অসমে ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারীর জন্য ওই ধারার প্রয়োগ যথাযথ, অভিমত আদালতের।

    আবেদনকারীদের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, আবেদনকারীদের অভিযোগ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই ধারা অনুয়ায়ী, দেশি, বিদেশি কিংবা অ-নাগরিক হয়েও যদি কেউ ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এ ক্ষেত্রে বিচার করা হয়েছে (Supreme Court) নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা (6A Of The Citizenship Act)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Meta Layoff: কর্মী ছাঁটাই ‘মেটা’য়, হোয়াটস্অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে কাজ হারালেন বহু মানুষ

    Meta Layoff: কর্মী ছাঁটাই ‘মেটা’য়, হোয়াটস্অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে কাজ হারালেন বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গুগল’-এর পর এবার কর্মী ছাঁটাই (Meta Layoff) করল ‘মেটা’ (Meta), এমনই খবর সামনে এসেছে। এর ফলে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস্‌অ্যাপ ও রিয়্যালটি ল্যাব্‌সের মতো সমাজমাধ্যম থেকে কাজ হারিয়েছেন বহু কর্মী। গত বুধবার ১৬ অক্টোবর সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এ এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপরেই হইচই পড়ে যায়। তবে মোট কত জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ছাঁটাই হওয়া এক কর্মীর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও সামনে এসেছে এই আবহে।

    কী বললেন মেটার মুখপাত্র (Meta Layoff)?

    রয়টার্সকে ছাঁটাই নিয়ে বিবৃতি দেন মেটার (Meta Layoff)  মুখপাত্র। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার তরফে কর্মীদের দলগুলিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু টিমকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছি। কিছু কর্মীকে এ বার থেকে অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে। যখন একটা কাজ বা ইউনিটকেই বাদ দিতে হয়, তখন অন্যদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়াটা আমাদের কর্তব্য। আর এর জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি।’’ প্রসঙ্গত, মোট কতজনকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন মেটার মুখপাত্র। তবে কাজ হারানো কর্মীর সংখ্যা খুব কম বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মেটার মুখপাত্র। 

    ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় ২১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে মেটা

    তথ্য বলছে,  ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় ২১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে মেটা (Meta Layoff)। ওই সময়ে কোম্পানির সিইও মার্ক জুকেরবার্গকে বিবৃতি দিতে শোনা যায় যে, ২০২৩ সাল হল ‘দক্ষতার বছর’। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত মেটার শেয়ারের দর ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ করেছে এই মেটা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বাজার থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব পেতে বেশ ব্যর্থ হতে হয়েছে মেটাকে। ঠিক এই কারণেই তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আগে ব্যবসার ধরনে কিছু বদল এনেছে মেটা (Meta)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share