Blog

  • Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।

    লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ১০ দফা দাবিতে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের সমর্থনে মঙ্গলবার গণ ইস্তফা দিলেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা। সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আশ্বাস দিলেও জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বলেনি সরকার। রাজ্য যাতে বাকি দাবিগুলি নিয়েও কথা বলে, সেই কারণেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। এই পদক্ষেপের পর সিনিয়র ডাক্তাররা (Senior Doctor) যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরলে, সেই সময় করতালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানালেন জুনিয়ররা।

     চিঠিতে কী বার্তা দিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা? (RG Kar)

    রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে গণ ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের (RG Kar) সিনিয়র ডাক্তারেরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। আরজি করের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমরণ অনশন হল একেবারে শেষ অস্ত্র। বাধ্য হয়েই জুনিয়র চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আড়াই দিন হয়ে গেল ওঁরা অনশন করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আমরা চাই সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। এখন আমরা গণ ইস্তফা দিলাম। এর পর আমরা ব্যক্তিগত ভাবে ইস্তফার পথেও হাঁটব।” গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবিদাওয়া যাতে দ্রুত মেনে নেয় সরকার, সেই দাবিতে গণ ইস্তফা দিলেন ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেই গত শনিবার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারেরা এ বার গণ ইস্তফা দেওয়ায় পুজোর মধ্যে আরজি করের চিকিৎসা পরিষেবা অংশত বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিক দিকে

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। শুরু আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দেন মঙ্গলবার দুপুরে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যালেও গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি সিনিয়র ডাক্তারদের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে, তাঁরাও গণ ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়রেরা। কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারেরা বিচারের জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা কর্মবিরতি থেকে ফিরে এসেছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাঁরা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।” জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার সঙ্গে তাঁরা সম্পূর্ণ সহমত, সে কথাও জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করারও অনুরোধ করেন তাঁরা। বুধবারের মধ্যে সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য না ডাকলে গণ ইস্তফারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল

    মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন আরজি করের (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। জুনিয়র ডাক্তারদের ওই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত সিনিয়র ডাক্তারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েই ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে যেতে আহ্বান মুইজ্জুর

    India Maldives Relation: পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েই ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে যেতে আহ্বান মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্ব হোক বা পর্যটন মানচিত্র, যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক ভরসা হতে পারে ভারত (India Maldives Relation)। উপমহাদেশে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সাম্প্রতিক কালে একটু দোদুল্যমান হওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। তাই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মুইজ্জু বলেন, “ভারত আমাদের অন্যতম বড় পর্যটন উৎস। ভারতীয় পর্যটকদের আরও বেশি করে মলদ্বীপে স্বাগত জানাতে চাই।” 

    পর্যটন শিল্পে ক্ষতি

    মলদ্বীপের (India Maldives Relation) সব চেয়ে বড় শিল্প হল পর্যটন। যা দেশের জিডিপির প্রায় ৩০%। পর্যটন শিল্প থেকে মলদ্বীপে ৬০% এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। গত এক বছরে ভারত থেকে মলদ্বীপে যাওয়া পর্যটক সংখ্যা অনেক কমেছে। যার কারণ মূলত লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ বিতর্ক, যা কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। মলদ্বীপের আয়ে যার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় পর্যটক কম যাওয়ায় হিসেব অনুযায়ী মলদ্বীপের প্রায় $৬০ মিলিয়ন ক্ষতি হয়েছে। মুইজ্জু বলেন, “অনেক মলদ্বীপবাসী পর্যটন, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য ভারত ভ্রমণ করেন। একই সঙ্গে মলদ্বীপে বসবাসকারী অনেক ভারতীয় আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। আমরা চাই তিক্ততা ভুলে দুই দেশ আরও কাছে আসুক। ” 

    আরও পড়ুন: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    ভারতীয় পর্যটকদের স্বাগত

    মলদ্বীপের (India Maldives Relation) পর্যটন মন্ত্রীর মতে, ভারতীয় পর্যটকরা সব সময় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। কয়েক মাস আগে মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল “ওয়েলকাম ইন্ডিয়া” রোড শো-তে ভারতীয়দের মলদ্বীপে আসার আহ্বান জানান, যা মুইজ্জুর পূর্বের “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারণার বিপরীত ছিল। মলদ্বীপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন সময়কালে যেখানে ৫৪,২০৭ জন ভারতীয় পর্যটক ছিল, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমে ২৮,৬০৪ হয়েছে। তাই ফের ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে দরবার করেছেন মুইজ্জু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলা বাড়তেই বদলে গেল ছবি। প্রথম দুই ঘণ্টা পিছিয়ে থাকলেও তার পরই পালাবদল ঘটে। কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি আবারও এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে ৫১টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ৩৪টি আসনে। এদিন সকালে পোস্টাল ব্যালট (Election Result) গণনার সময় এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু বেলা বাড়তেই ঘুরে যায় খেলা। ইভিএম-এর ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায় ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি।

    টানটান লড়াই

    সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে হরিয়ানার ৯০ আসনের গণনা। শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছিল ৬৫ আসনে। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিল্লির সদর দফতরে। প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবে চলার পর প্রবণতায় ঘটল আমূল পরিবর্তন। জয়ের পথে ফিরে আসে বিজেপি। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল ৪৬ আসনে। আর কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭-এ। এক এক করে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জুলানায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ফোগাট। খড়খুদায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। জিন্দ থেকেও জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    আহিরওয়াল ভোট-ব্যাঙ্ক

    তিন ধাপে ভোটগ্রহণ হয়েছে হরিয়ানায় (Haryana)। গত দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপিই ছিল বৃহত্তম দল, কিন্তু, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬টি আসন কম পেয়েছিল তারা। জেজেপির ১০ বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষায় অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজ্যে এবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। তবে, ফলফলের প্রবণতা এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে মিলছে না। হরিয়ানায় আহিরওয়াল বেল্ট দু’হাত তুলে সমর্থন করে বিজেপিকে। মূলত গুরুগ্রাম , রেওয়ারি এবং মহেন্দরগড় নিয়ে এই আহিরওয়াল বেল্ট। ২০১৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বিজেপি-র অনুগত ভোটার। ট্রেন্ড বলছে এ বারের বিধানসভা ভোটে এই বেল্ট থেকে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 159: “বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে”

    Ramakrishna 159: “বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে

    তাই নাম কর, সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা কর, যাতে ঈশ্বরেতে (Ramakrishna) অনুরাগ হয়, আর যে-সব জিনিস দুদিনের জন্য, যেমন টাকা, মান, দেহের সুখ; তাদের উপর যাতে ভালবাসা কমে যায়, প্রার্থনা কর।

    বৈষ্ণবধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা—সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গোস্বামীর প্রতি)—আন্তরিক হলে সব ধর্মের ভিতর দিয়াই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে; আবার মুসলমান, খ্রীষ্টান, এরাও পাবে। আন্তরিক হলে সবাই পাবে। কেউ কেউ ঝগড়া করে বসে। তারা বলে (Kathamrita), “আমাদের শ্রীকৃষ্ণকে না ভজলে কিছুই হবে না”; কি, “আমাদের মা-কালীকে না ভজলে কিছুই হবে না।”

    এ-সব বুদ্ধির নাম মাতুয়ার বুদ্ধি; অর্থাৎ আমার ধর্মই ঠিক, আর সকলের মিথ্যা। এ-বুদ্ধি খারাপ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) কাছে নানা পথ দিয়ে পৌঁছানো যায়।

    আবার কেউ কেউ বলে, ঈশ্বর সাকার, তিনি নিরাকার নন। এই বলে আবার ঝগড়া। যে বৈষ্ণব, সে বেদান্তবাদীর সঙ্গে ঝগড়া করে।

    যদি ঈশ্বর সাক্ষাৎ দর্শন হয়, তাহলে ঠিক বলা যায়। যে দর্শন করেছে, সে ঠিক জানে ঈশ্বর সাকার, আবার নিরাকার। আরও তিনি কত কি আছেন তা বলা যায় না।

    কতকগুলো কানা একটা হাতির কাছে এসে পড়েছিল। একজন লোক বলে দিলে, এ-জানোয়ারটির নাম হাতি। তখন কানাদের জিজ্ঞাসা করা হল হাতিটা কিরকম? তারা হাতির গা স্পর্শ করতে লাগল। একজন বললে, ‘হাতি একটা থামের মতো!’ সে কানাটি কেবল হাতির পা স্পর্শ করেছিল। আর-একজন বললে, ‘হাতিটা একটা কুলোর মতো!’ সে কেবল একটা কানে হাত দিয়ে দেখেছিল। এইরকম যারা শুঁড়ে কি পেটে হাত দিয়ে দেখেছিল তারা নানা প্রকার বলতে লাগল। তেমনি ঈশ্বর (Ramakrishna) সম্বন্ধে যে যতটুকু দেখেছে সে মনে করেছে, ইশ্বর এমনি, আর কিছু নয়।

    একজন লোক বাহ্যে থেকে ফিরে এসে বললে (Kathamrita) গাছতলায় একটি সুন্দর লাল গিরগিটি দেখে এলুম। আর-একজন বললে, আমি তোমার আগে সেই গাছতলায় গিছলুম—লাল কেন হবে? সে সবুজ, আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আর-একজন বললে, ও আমি বেশ জানি, তোমাদের আগে গিছলাম, সে গিরগিটি আমিও দেখেছি। সে লালও নয়, সবুজও নয়, স্বচক্ষে দেখেছি নীল। আর দুইজন ছিল তারা বললে, হলদে, পাঁশটে—নানা রঙ। শেষে সব ঝগড়া বেধে গেল। সকলে জানে, আমি যা দেখেছি, তাই ঠিক। তাদের ঝগড়া দেখে একজন লোক জিজ্ঞাসা করলে, ব্যাপার কি? যখন সব বিবরণ শুনলে, তখন বললে, আমি ওই গাছতলাতেই থাকি; আর ওই জানোয়ার কি আমি চিনি। তোমরা প্রত্যেকে যা বলছ, তা সব সত্য; ও গিরগিটি,— কখন সবুজ, কখন নীল, এইরূপ নানা রঙ হয়। আবার কখন দেখি, একেবারে কোন রঙ নাই। নির্গুণ।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 158: “বিছে বা ডাকুর কামড় অমনি মন্ত্রে সারে না—ঘুঁটের ভাবরা দিতে হয়”

    Ramakrishna 158: “বিছে বা ডাকুর কামড় অমনি মন্ত্রে সারে না—ঘুঁটের ভাবরা দিতে হয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে

    আহারের পর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ছোট খাটটিতে বিশ্রাম করিতেছেন। ঘরে লোকের ভিড় বাড়িতেছে। বাহিরের বারান্দাগুলিও লোকে পরিপূর্ণ। ঘরের মধ্যে ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া আছেন ও ঠাকুরের দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া আছেন। কেদার, সুরেশ, রাম, মনোমোহন, গিরীন্দ্র, রাখাল ভবনাথ, মাস্টার ইত্যাদি অনেকে ঘরে উপস্থিত। রাখালের বাপ আসিয়াছেন; তিনিও ওই ঘরে বসিয়া আছেন।

    একটি বৈষ্ণব গোস্বামীও এই ঘরে উপবিষ্ট। ঠাকুর তাহাকে সম্বোধন করিয়া কথা কহিতেছেন (Kathamrita)। গোস্বামীদের দেখিলেই ঠাকুর মস্তক অবনত করিয়া প্রণাম করিতেন—কখন কখন সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ হইতেন।

    নাম-মাহাত্ম্য না অনুরাগ—অজামিল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আচ্ছা, তুমি কি বল? উপায় কি?

    গোস্বামী—আজ্ঞা, নামেতেই হবে। কলিতে নাম-মাহাত্ম্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, নামের খুব মাহাত্ম্য আছে বটে। তবে অনুরাগ না থাকলে কি হয়? ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হওয়া দরকার। শুধু নাম করে যাচ্ছি কিন্তু কামিনী-কাঞ্চনে মন রয়েছে, তাতে কি হয়?

    বিছে বা ডাকুর কামড় অমনি মন্ত্রে সারে না—ঘুঁটের ভাবরা দিতে হয়।

    গোস্বামী—তাহলে অজামিল? অজামিল মহাপাতকী, এমন পাপ নাই যা সে করে নাই। কিন্তু মরবার সময় ‘নারায়ণ’ বলে ছেলেকে ডাকাতে (Kathamrita) উদ্ধার হয়ে গেল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হয়তো অজামিলের পূর্বজন্মে অনেক কর্ম করা ছিল। আর আছে যে, সে পরে তপস্যা করেছিল।

    এরকমও বলা যায় যে, তার তখন অন্তিমকাল। হাতিকে নাইয়ে দিলে কি হবে, আবার ধূলা-কাদা মেখে যে কে সেই! তবে হাতিশালায় ঢোকবার আগে যদি কেউ ঝুল ঝেড়ে দেয় ও স্নান করিয়ে দেয়, তাহলে গা পরিস্কার থাকে।

    নামেতে একবার শুদ্ধ হল, কিন্তু তারপরেই হয়তো নানা পাপে লিপ্ত হয়। মনে বল নাই; প্রতিজ্ঞা করে না যে, আর পাপ করব না। গঙ্গাস্নানে পাপ সব যায়। গেলে কি হবে? লোকে বলে থাকে, পাপগুলো গাছের উপর থাকে। গঙ্গা নেয়ে যখন মানুষটা ফেরে, তখন ওই পুরানো পাপগুলো গাছ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ওর ঘাড়ের উপর পড়ে। (সকলের হাস্য) সেই পুরানো পাপগুলো আবার ঘাড়ে চড়েছে। স্নান করে দু-পা না আসতে আসতে আবার ঘাড়ে চড়েছে!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাপঞ্চমীতে এপার বাংলায় দুর্গাপুজোয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আর ওপার বাংলায় দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন হিন্দুরা। এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে সেখানকার হিন্দুদের অভিযোগ। পাশাপাশি মৌলবাদীরা লাগাতার হিন্দুদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই আবহের মাঝে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই দেশে হিন্দুরা যাতে নিরাপদে দুর্গাপুজো পালন করতে পারে, তা দেখার জন্যই ইউনূস সরকারকে কড়়া বার্তা দিয়েছে মার্কিন মুলুক।

    কী বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? (Bangladesh)

    বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজো করতে গিয়ে হিন্দুরা মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়ছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, “অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চাই। সারা বিশ্বে যা সত্য।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অগাস্টে তাঁর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি এসেছে। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায়, কারণ হিন্দুরা তাদের সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপন করে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভের সময় হিন্দুসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হোক হিন্দু মন্দিরগুলি, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP: সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হোক হিন্দু মন্দিরগুলি, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মঠ-মন্দির এবং ধর্মীয় স্থানগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সোমবার ওড়িশার সম্বলপুরে এই নিয়ে বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম ওড়িশার আটটি জেলার হাজার হাজার মানুষ এই মিছিলে অংশ নেয়। প্রতিবাদ মিছিলের পর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

    কেন এই দাবি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় মার্গদর্শকমণ্ডলীর সদস্য স্বামী জীবনমুক্তানন্দ পুরী মহারাজ মিছিলের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের প্রসাদে গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস এবং মাছের চর্বি ব্যবহারের রিপোর্ট নিয়ে গভীর দুঃখ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি তিরুপতির লাড্ডু প্রসাদে প্রাণীর চর্বি ব্যবহারের ঘটনাকে “অসহনীয় এবং একটি নিকৃষ্ট কাজ” বলে আখ্যা দেন। তিনি জানান, এই রিপোর্ট দেখে গোটা হিন্দু সমাজ মর্মাহত এবং দুঃখিত। তাঁর কথায়, “এই ধরনের ঘটনা কেবল তখনই ঘটে যখন হিন্দু মন্দির এবং অন্যান্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি হিন্দু সমাজ দ্বারা পরিচালিত হয় না, বরং সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।” তিনি জানান, অনেক দিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করে আসছে যে মন্দির এবং হিন্দুদের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “আমরা আবারও আমাদের দাবি পুনরায় জানাচ্ছি যে সমস্ত মন্দির এবং অন্যান্য উপাসনালয় সরকার থেকে মুক্ত করা হোক এবং হিন্দু সমাজের হাতে তুলে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

    বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য সভাপতি ডাঃ রাজকুমার বাদাপন্ডা বলেন “আমাদের দেশে প্রায়ই বলা হয় যে সংবিধান সর্বোচ্চ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিভিন্ন সরকার হিন্দু সমাজের প্রধান মন্দিরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। সরকারগুলি সংবিধান রক্ষা করার জন্য থাকলেও তারা প্রায়ই চেতনা লঙ্ঘন করে। তারা খোলাখুলিভাবে সংবিধানের ১২, ২৫ এবং ২৬ ধারা লঙ্ঘন করে মন্দিরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিজেদের স্বার্থে।”  তাঁর প্রশ্ন, “৭৭ বছরের স্বাধীনতার পরও হিন্দুরা কি এখনও নিজেদের মন্দির পরিচালনা করার অনুমতি পায়নি? সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়, কিন্তু হিন্দুদের এই সাংবিধানিক অধিকার কেন দেওয়া হয়নি?” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দ্বারা গভর্নর এবং রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “তিরুপতি বালাজি এবং অন্যান্য স্থানে অনিয়মের কারণে হিন্দু সম্প্রদায় এখন বিশ্বাস করে যে মন্দিরগুলিকে সরকার থেকে মুক্ত না করতে পারলে পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করা যাবে না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মাওবাদী-মুক্ত হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী-মুক্ত হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ কীভাবে মাওবাদী-মুক্ত হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, দেশ ২০২৬ সালের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হবে। ছত্তিশগড়ে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই রাজ্যে ১৯৪ জন মাওবাদীকে খতম (Maoist-free) করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৮০১ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছে ৭৪২ জন জঙ্গি।”

    সমাজের মূল স্রোতে ফেরার বার্তা(Amit Shah)

    সোমবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের প্রতিনিধিরা। মাওবাদীরা যাতে অস্ত্র ত্যাগ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে, সেই জন্য বিশেষভাবে আবেদন রাখেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করিয়েছেন উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যের প্রায় ২৩ হাজার জঙ্গি অস্ত্র (Maoist-free) ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে যোগদান করেছে।

    আরও পড়ুনঃ পুজোতে রোজই হালকা বৃষ্টির ইঙ্গিত কলকাতায়, আনন্দ মাটি হবে না তো?

    কী বললেন অমিত শাহ?

    গত শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর-দন্তেওয়ারা সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। আর তাতে ৩০ জন মাওবাদী মারা পড়ে। মৃত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে ৪৭ সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে এটা বিরাট সাফল্য। তাই রাজ্য সরকারকে বাহবা দিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজিপি এবং পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাই। চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে ১৯৪ মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। এ’বছরের জানুয়ারিতে রাজ্যে গিয়ে মাওবাদী দমনে কড়া পদক্ষেপের বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গত ইউপিএ সরকারের তুলনায় নিরাপত্তা খাতে এবারে বাজটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাজেটের পরিমাণ ছিল ১১৮০ কোটি টাকা। আবার ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই বাজেট বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৩০০৬ কোটি টাকা। আগের সরকারের তুলনায় বাজেট বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩ গুণ। একই ভাবে মাওবাদী (Maoist-free) দমনের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজেও অর্থ ব্যয় করার কাজ চলছে।”  

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০ বছরে ১৬৪৬৩টি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমানে যা ৭৭০০-এ নেমে এসেছে। প্রায় ৫৩% হ্রাস পেয়ছে। একইভাবে, অসামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত্যু ৭০% কমেছে। হিংসার ঘটনায় রিপোর্ট দেওয়া জেলার সংখ্যা ৯৬ থেকে ১৬-এ নেমে এসেছে। সেখানেও ৫৭% হ্রাস পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maa Lakshmi: এই পাঁচটি কাজ করুন প্রতিদিন, মা লক্ষ্মী হবেন প্রসন্না, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    Maa Lakshmi: এই পাঁচটি কাজ করুন প্রতিদিন, মা লক্ষ্মী হবেন প্রসন্না, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে মা লক্ষ্মীকে (Maa Lakshmi) ধন, সম্পদ, গৌরব, সুখ প্রদানকারী দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জীবনে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি লাভের জন্য দেবী লক্ষ্মীর পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীর (Maa Lakshmi) আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কখনও সম্পদ এবং সুখ ও খ্যাতির অভাব হয় না। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এবং তাঁকে খুশি করার জন্য শাস্ত্রে অনেক কিছু বলা হয়েছে। মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। কীভাবে প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করা যায়-এরকমই ৫টি কাজ আমরা জানব।

    সকালে বাড়ির প্রবেশদ্বার ধুতে হবে: ভক্তদের  বিশ্বাস রয়েছে, যে বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকে, সেখানেই দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায়, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারটি খুবই পরিষ্কার রাখা উচিত। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভগবানকে স্মরণ করে বাড়ির মূল দরজা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। এতে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) দ্রুত প্রসন্না হন এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি প্রবেশ করে। 

    দরজায় প্রদীপ জ্বালাতে হবে: বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারটিকে বাস্তুশাস্ত্রে খুবই বিশেষ বলে বিবেচনা করা হয়। প্রত্যহ সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। ভক্তদের বিশ্বাস, এইভাবে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) খুব দ্রুত প্রসন্না হন এবং সুখ ও সৌভাগ্য দিয়ে ঘর পূর্ণ করেন।

    তুলসী পূজন করতে হবে: মা লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী খুবই প্রিয় বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস রয়েছে, যে বাড়িতে তুলসী গাছের নিয়মিত পুজো হয়, সেখানে দেবী লক্ষ্মী অবশ্যই বাস করেন। প্রতিদিন সকালে তুলসীতলায় জল নিবেদন এবং সন্ধ্যায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস।

    সূর্যদেবকে জল নিবেদন করতে হবে: শাস্ত্র অনুযায়ী (Hindu Custom), যে ব্যক্তি সূর্যদেবকে জল নিবেদন করেন এবং তাঁর ঘর সুখ, সমৃদ্ধি এবং গৌরবে পরিপূর্ণ থাকে। প্রতিদিন সূর্যদেবকে জল নিবেদন করলে রাশিতে সূর্যের অবস্থান মজবুত হয় বলেও জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা।

    তিলক লাগাতে হবে: শাস্ত্রবিদরা নিয়মিত কপালে চন্দনের তিলক লাগানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন। ধর্মীয় বিশ্বাস (Hindu Custom) অনুসারে, সকালে পুজোর পর কপালে তিলক লাগালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share