Blog

  • RG Kar: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    RG Kar: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর (RG Kar) কাণ্ডে বিচারের দাবিতে এবার মহালয়াতে মহা-মিছিলের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, ২অক্টোবর ওই মহা মিছিল শুরু হবে কলেজ স্কোয়ারে, তা শেষ হবে ধর্মতলায়। আজ শুক্রবারই এসএসকেএম-এ গণকনভেনশনের আয়োজন করে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। সেখান থেকেই তাঁরা নিজেদের একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি রয়েছে, তার আগের দিন রবিবার পাড়ায় পাড়ায় মিছিলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা (RG Kar)

    আজ শুক্রবার গণ কনভেনশনের (RG Kar) মঞ্চ থেকে তাঁরা বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)

    ১) ২৯ তারিখ পাড়ায় পাড়ায় সন্ধ্যাবেলায় সাধারণ মানুষকে মিছিল করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

    ২) ২ অক্টোবর অর্থাৎ মহালয়ার দিন মহাসমাবেশ-মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মহামিছিল (Junior Doctor) কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত যাবে। এরপর ধর্মতলায় মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। 

    ৩) এর পাশাপাশি মহালয়ার দিনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের একটি মূর্তি স্থাপনেরও পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

    কারা আমন্ত্রিত ছিলেন গণ কনভেনশনে

    এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আজ শুক্রবারের কনভেনশনে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যে রিক্সা চালকেরা বিচারের দাবিতে মিছিল করেছিলেন, তাঁরাও আজ আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রবীণ চিকিৎসক, বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক থেকে আইটিকর্মী, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও ডাকা হয়েছিল আজ। অনেকেই বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মধ্যে টলিউড অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জুনিয়র ডাক্তারদের গণ কনভেনশনে (RG Kar) বলেন, ‘‘থ্রেট কালচার ভুলে গেলে চলবে না। নির্যাতিত কোনও মহিলা না হয়ে পুরুষও হতে পারতেন। হুমকি সংস্কৃতির কারণেই এ সব হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। হুমকি দেওয়া মানেই ভয় পাওয়া। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন বলেই হুমকি দিচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়

    Bangladesh: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh) মোসলেমউদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ে ইসলামিক ধর্মশাস্ত্রের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠল, তিনি হিন্দু ছাত্রীদের জোরপূর্বক হিজাব পরার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি জোর করে কোরান পাঠও করাতে চেয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ (Hindu students) প্রদর্শন করে। ঢাকার ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ রবিউল ফয়সাল ২৭ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ সামনে এসেছে যে তিনি ভগবত গীতা সম্পর্কে কটুক্তি করেছেন এবং হিন্দু ছাত্রীদের জোর করে হিজাব পরাতে চেয়েছেন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্রীরা অভিযুক্ত মুসলিম শিক্ষকের অপসারণের দাবি তুলেছেন।

    কোরান মুখস্থ করতে বলতেন শিক্ষক! (Bangladesh) 

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (Hindu students) সমাজ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া নানা অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে। একজন পড়ুয়ার দাবি, ‘‘ওই শিক্ষক আমাদেরকে কোরানের বিভিন্ন আয়াত ও সূরা অর্থসহ ১ সপ্তাহের মধ্যে মুখস্থ করতে বলেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি মেয়েদের হিজাব পরতে নির্দেশও দেন। তিনি এও বলেন, হিজাব না পরলে ছেলেরা তোমাদের শরীর দেখবে। এভাবেই দিনের পর দিন তিনি শ্রেণিকক্ষে আমাদেরকে অপমান করতে থাকেন।’’

    ওই শিক্ষক মূর্তিপূজা বিরোধী নানা মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগ

    আরেক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘ওই শিক্ষক বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন (Bangladesh)। তিনি হিন্দু ছাত্রীদের দাঁড় করিয়ে রাখতেন, তাঁদেরকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেন, কেন তারা হিজাব পরেনি? যখন ছাত্রীরা জানতে চাইত, তারা কেন পরবে হিজাব, তখন তিনি জবাব দিতেন, হিজাব না পরলে রাস্তার ছেলেরা মেয়েদের শরীর দেখবে।’’ এর পাশাপাশি ওই শিক্ষক মূর্তিপূজা বিরোধী নানা মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রোমোটারের থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের স্কোয়ারফুট পিছু ৮০ টাকা চেয়ে দর কষাকষি করার অভিযোগ উঠেছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দরাদরির এমনই মারাত্মক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ভিডিওতে কী রয়েছে? (Suvendu Adhikari)

    কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শ্রীমতি ছন্দা সরকার কেউ বা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন। “আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হয়ে যাবে। সিন্ডিকেটের থেকেও আবার আছে। জমিটার তো হিসেব আছে। ওটা ধরলেই তো বেরিয়ে যাবে। টোটাল জমিটার ওপরে।” এমনই কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ছন্দা সরকারকে। যদিও সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে কী লিখেছেন?

    “তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান! দুর্নীতি এবং এদের নেতা-নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর”কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সঙ্গে রফা করছেন।”

     

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    যদিও এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার বলেন, “ওদের নোংরামো ওদের কাছেই রাখতে দিন। আমি অন্তত কোনও দিন এরকম নোংরামি করিনি আর করিও না। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার সামনে যেন এসে বলে। পায়ের জুতো খুলে কী করে মারতে হয়ে, তাও জানি। তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অনেক কামিয়ে গিয়েছেন। এখানেও কিছু চামচা বিজেপি আছে তারাই ওর কানে এসব দিয়েছে। সেই চামচার নাম বলতে বলুন।”

    কাউন্সিলরের বাড়িতে পুলিশ, ইডি যাবে!

    কাউন্সিলরের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি কেন ওঁর বাড়িতে যেতে যাব। ওঁর বাড়িতে তো পুলিশ যাবে, ইডি যাবে। উনি মামলা করুন। আমিও বলব ভিডিও ফরেন্সিকে পাঠাতে। ওঁর গলা থেকে কাকুর মতো ভয়েজ স্যাম্পেল নিতে। এরপর যদি ভুল প্রমাণ হয়, আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: বৃষ্টিবিঘ্নিত ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট, কানপুরে প্রথম দিন খেলা হল ৩৫ ওভার

    India vs Bangladesh: বৃষ্টিবিঘ্নিত ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট, কানপুরে প্রথম দিন খেলা হল ৩৫ ওভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির জন্য পিছিয়ে যায় টস। খেলা শুরু হয় দেরিতে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কানপুরে ভারত বাংলাদেশ বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্টে পরিস্থিতি এমন হয় যে ৩৫ ওভারের পরে আর খেলাই হয়নি। প্রথম দিন খেলা শেষ হওয়ার সময় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০৭।  মোমিনুল ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে ব্যাট করছেন।

    ভাল শুরু ভারতের

    এই টেস্টেও তিন পেসার খেলিয়েছে ভারত। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বাংলাদেশ সাবধানে শুরু করে। কিছু বলে সমস্যা হলেও যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজকে সামলান বাংলাদেশের দুই ওপেনার শাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। তৃতীয় পেসার হিসাবে বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন আকাশ দীপ। তাঁর বলে গালি অঞ্চলে ক্যাচ দেন জাকির। প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও ভাল ক্যাচ ধরেন যশস্বী জয়সওয়াল। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন তিনি। অপর ওপেনার শাদমানকেও আউট করেন আকাশ দীপ।

    বৃষ্টির জন্য সময়ের কিছু আগেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নেন আম্পায়াররা। বৃষ্টি থামলে দ্বিতীয় বার খেলা শুরু হলে মোমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্তকে ৩১ রানের মাথায় আউট করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার পরে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। গোটা মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়। বেশ কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পরে আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রথম দিনের খেলা শেষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি সিবিআইয়ের, হানা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও

    CBI: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি সিবিআইয়ের, হানা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে কোটি-কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই একটি চক্র এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে এবার স্বাস্থ্যভবনে চিঠি পাঠাল সিবিআই (CBI)। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত নথি চেয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি  পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে এদিন শিয়ালদার (Sealdah) সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও সিবিআই অভিযান চলে।

    স্বাস্থ্যভবনে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (CBI)

    বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে সিবিআইয়ের (CBI) দেওয়া চিঠিতে, ২০২০-২১ সাল থেকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের নথি তলব করা হয়েছে। রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য (Biomedical Waste) বা বিএমডব্লু সংক্রান্ত নথি চেয়েছে সিবিআই। কোন হাসপাতালে কোন সংস্থা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহের বরাত পেয়েছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরাতের চুক্তিপত্রের সবিস্তার তথ্য তলব করেছে সিবিআই। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে সংস্থাগুলির সঙ্গে কী চুক্তি ছিল? কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল কি? চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে কারণ কী? উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগের ওজন হওয়া প্রয়োজন ৭৫ মাইক্রন, ১২০ মাইক্রন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা কি মানা হয়েছে এই রাজ্যে? তা জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে সিবিআই (CBI) জানতে চায়, কেন্দ্রের নির্দেশিকা কবে কার্যকর হয়েছে এই রাজ্যে? ২০২১ সালের নির্দেশিকা কার্যকরে দেরি হলে, কেন হয়েছে? নিয়ম মানার প্রশ্নে, স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের নথি চেয়ে তলব করেছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারি নিয়ে আখতার আলি দাবি করেছিলেন, এনআরএস-আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বা উৎপাদনে একই ক্ষমতা। তবুও সেপ্টেম্বর ২০২২-ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে এনআরএসে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৫০ কেজি। সেখানে আরজি করে একই সময়ে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর মাত্রা সেখানে ৪৯ হাজার ৬০২.৪৪ কেজি। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ২০২২-২০২৪ সালে রাজ্যের সবকটি হাসপাতালে কত পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার তুল্যমূল্য তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলযুদ্ধে আমেরিকাকে টেক্কা দেওয়ার বাসনা চিনের (China) বরাবরের, যা এবার ধাক্কা খেল। ডুবে গেল বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন। চিন একথা প্রকাশ্যে না আনলেও বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক এই দাবি করেন। তাঁর দাবি, চিনের (China) নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত ওই সাবমেরিন (nuclear-powered attack submarine) এই বছরের শুরুর দিকে ডুবে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবিও ধরা পড়েছে বলে মত তাঁর।

    খবর প্রকাশ করেনি চিন

    বিশ্বের বৃহত্তম নৌসেনার অধিকারী চিন (China)। চিনের রয়েছে ৩৭০ টিরও বেশি জাহাজ। এছাড়াও, চিন ইতিমধ্যেই একটি নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক (Nuclear Submarine) সশস্ত্র সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এই খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই খবর সামনে আসায় অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে বেজিংও। যদিও তাদের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। দূতাবাসের তরফে বলা হয়, এই ঘটনা সম্পর্কে তারা অবগত নয়। 

    আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ডাহা ফেল প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান ডি! ৫৩ ওষুধের তালিকা প্রকাশ

    মে-জুন মাসের ঘটনা

    চিনের (China) প্রতিরক্ষা শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের সরঞ্জামের গুণমান এমনকী লালফৌজের জলসেনার প্রশিক্ষণ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েলিংটন কু, (Taiwan Defence Minister Wellington Koo), শুক্রবার তাইপেইতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, “একাধিক গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে তিনি বিশদ বিবরণ দেননি। মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, “চিনের নতুন প্রথম-শ্রেণির পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন (Nuclear Submarine) মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে একটি পিয়ারের পাশে ডুবে যায়।” তিনি আরও বলেন, কী কারণে সাবমেরিন ডুবে গিয়েছে বা সেই মুহূর্তে তাতে পারমাণবিক জ্বালানি ছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    রামাদি (Ramakrishna) ভক্তদের প্রতি—যদি বল কোন্‌ মূর্তির চিন্তা করব; যে-মূর্তি ভাল লাগে তারই ধ্যান করবে। কিন্তু জানবে যে, সবই এক।

    কারু উপর বিদ্বেষ করতে নাই। শিব, কালী, হরি—সবই একেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। যে এক করেছে সেই ধন্য।

    বহিঃ শৈব, হৃদে কালী, মুখে হরিবোল (Kathamrita)।

    একটু কাম-ক্রোধাদি না থাকলে শরীর থাকে না। তাই তোমরা কেবল কমাবার চেষ্টা করবে।

    ঠাকুর কেদারকে দেখিয়া বলিতেছেন—

    ইনি বেশ। নিত্যও মানেন, লীলাও মানেন। একদিকে ব্রহ্ম, আবার দেবলীলা-মানুষলীলা পর্যন্ত।”

    কেদার বলেন যে, ঠাকুর মানুষদেহ লইয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন।

    সন্ন্যাসী ও কামিনী—ভক্তা স্ত্রীলোক 

    নিত্যগোপালকে দেখিয়া ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন —এর বেশ অবস্থা!

    (নিত্যগোপালের প্রতি)—তুই সেখানে বেশি যাসনি।—কখনও একবার গেলি। ভক্ত হলেই বা—মেয়েমানুষ কিনা। তাই সাবধান।

    সন্ন্যাসীর বড় কঠিন নিয়ম। স্ত্রীলোকের চিত্রপট পর্যন্ত দেখবে না। এটি সংসারী লোকেদের পক্ষে নয়।

    স্ত্রীলোক যদি খুব ভক্তও হয়—তবুও মেশামেশি করা উচিত নয়। জিতেন্দ্রিয় হলেও-লোকশিক্ষার জন্য ত্যাগীর এ-সব করতে হয়।

    সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে। তা না হলে তারাও পড়ে যাবে। সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু (Ramakrishna) ।

    এইবার ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তেরা উঠিয়া বেড়াইতেছেন। মাস্টার প্রহ্লাদের ছবির সম্মুখে দাঁড়াইয়া ছবি দেখিতেছেন। প্রহ্লাদের অহেতুকী ভক্তি—ঠাকুর বলিয়াছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    অহেতুকী ভক্তি—মূলকথা—রাগানুগাভক্তি 

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    যদি রাগভক্তি হয়—অনুরাগের সহিত ভক্তি—তাহলে তিনি স্থির থাকতে পারেন না।

    ভক্তি তাঁর কিরূপ প্রিয়—খোল দিয়ে জাব যেমন গরুর প্রিয়—গবগব করে খায়।

    রাগভক্তি—শুদ্ধাভক্তি—অহেতুকী ভক্তি। যেমন প্রহ্লাদের।

    তুমি বড়লোকের কাছে কিছু চাও না—কিন্তু রোজ আস—তাকে দেখতে ভালবাস। জিজ্ঞাসা করলে বল,  ‘আজ্ঞা, দরকার কিছু নাই—আপনাকে দেখতে এসেছি।’ এর নাম অহেতুকী ভক্তি। তুমি ঈশ্বরের (Kathamrita) কাছে কিছু চাও না—কেবল ভালবাস।”

    এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    আমি মুক্তি দিতে কাতর নই
    শুদ্ধাভক্তি দিতে কাতর হই।
    আমার ভক্তি যেবা পায়, তারে কেবা পায়,
    সে যে সেবা পায়, হয়ে ত্রিলোকজয়ী ॥
    শুন চন্দ্রাবলী ভক্তির কথা কই।
    ভক্তির কারণে পাতাল ভবনে,
    বলির দ্বারে আমি দ্বারী হয়ে রই ॥
    শুদ্ধাভক্তি এক আছে বৃন্দাবনে,
    গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে।
    ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে,
    পিতাজ্ঞানে নন্দের বাধা মাথায় বই ॥

    মূলকথা ঈশ্বরে রাগানুগা ভক্তি। আর বিবেক বৈরাগ্য।

    চৌধুরী—মহাশয়, গুরু না হলে কি হবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সচ্চিদানন্দই গুরু।

    শবসাধন করে ইষ্টদর্শনের সময় গুরু সামনে এসে পড়েন—আর বলেন, ‘ওই দেখ্‌ তোর ইষ্ট।’—তারপর গুরু ইষ্টে লীন হয়ে যান। যিনি গুরু তিনিই ইষ্ট। গুরু খেই ধরে দেন।

    অনন্তব্রত করে। কিন্তু পূজা করে—বিষ্ণুকে। তাঁরই মধ্যে ঈশ্বরের (Kathamrita) অনন্তরূপ!”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    নির্জনে সাধন—ফিলজফি—ঈশ্বরদর্শন 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্ব পরিচিত ঘরে মধ্যাহ্নে সেবার পর ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ (রবিবার, ১৪ই ফাল্গুন, কৃষ্ণা তৃতীয়া)।

    রাখাল, হরিশ, লাটু, হাজরা আজকাল ঠাকুরের পদছায়ায় সর্বদা বাস করিতেছেন। কলিকাতা হইতে রাম, কেদার, নিত্যগোপাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তেরা আসিয়াছেন (Kathamrita)। আর চৌধুরী আসিয়াছেন।

    চৌধুরীর সম্প্রতি পত্নীবিয়োগ হইয়াছে। মনের শান্তির জন্য তিনি ঠাকুরকে দর্শন করিতে কয়বার আসিয়াছেন। তিনি চারটা পাশ করিয়াছেন—রাজ সরকারের কাজ করেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—রাখাল, নরেন্দ্র, ভবনাথ এরা নিত্য সিদ্ধ—জন্ম থেকেই চৈতন্য আছে। লোকশিক্ষার জন্যই শরীরধারণ।

    আর-একথাক আছে কৃপাসিদ্ধ। হঠাৎ তাঁর কৃপা হল—অমনি দর্শন আর জ্ঞানলাভ। যেমন হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!—একটু একটু করে হয় না

    যাঁরা সংসারে আছে তাদের সাধন করতে হয়। নির্জনে গিয়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়।

    (চৌধুরীর প্রতি)—পাণ্ডিত্য দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আর তাঁর বিষয় কে বিচার করে বুঝবে? তাঁর পাদপদ্মে ভক্তি যাতে হয়, তাই সকলের করা উচিত।

    ভীষ্মদেবের ক্রন্দন—হার-জিত—দিব্যচক্ষু ও গীতা 

    তাঁর অনন্ত ঐশ্বর্য—কি বুঝবে? তাঁর কার্যই বা কি বুঝতে পারবে?

    ভীষ্মদেব যিনি সাক্ষাৎ অষ্টবসুর একজন বসু—তিনিই শরশয্যায় শুয়ে কাঁদতে লাগলেন। বললেন—কি আশ্চর্য! পাণ্ডবদের সঙ্গে স্বয়ং ভগবান সর্বদাই আছেন, তবু তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই! ভগবানের কার্য কে বুঝবে!

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েকদিন! তার পরেই ঢাকে কাঠির আওয়াজ! দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময় দেশ-বিদেশে অনেকেই ছুটি কাটাতে যান‌। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই তালিকায় রয়েছেন। রোগীদের একাংশের দুশ্চিন্তা, ‘ছুটির সময়ে’ বড় বিপদ রুখবেন কীভাবে?! তবে দিন কয়েকের মোকাবিলার উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল! আসুন, দেখে নিই, কী পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা?

    ডায়াবেটিসের বিপদ রুখতে পেট খালি রাখলে চলবে না (Durga Puja 2024)

    তরুণ প্রজন্ম থেকে প্রবীণ নাগরিক, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। সব বয়সের অধিকাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন! পুজোর কদিন শরীরের বাড়তি বিপদ আটকাতে তাঁদের সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময় অনেকেই অনিয়ম করেন। বিশেষ করে খাওয়া নিয়ে অনিয়ম হয় সবচেয়ে বেশি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়ায় যেন কোনও নড়চড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওষুধের সময়ে হেরফের হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠা-নামা করতে পারে। এর জেরে শরীরে নানা রকম অস্বস্তি, এমনকী চেতনা হারানোর মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তবে, ওষুধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া জরুরি। মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফল ও সব্জি এবং পরিমিত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখা দরকার। বাড়তি দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হৃদরোগের বিপদ ঠেকাতে নুনের পরিমাণে রাশ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সিরাও। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, পুজোর সময়ে যাতে কোনও ভাবেই ওষুধে অবহেলা না হয়, সেটা মনে রাখা দরকার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাশপাশি খাবারে নজরদারি দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই লাগাতার চটজলদি খাবার খান। অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন এবং তেলেভাজা খাওয়ার জেরে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত যারা কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিভিন্ন চটজলদি খাবারে বাড়তি নুন দেওয়া থাকে। তাই সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। নুন খাওয়ার পরিমাণে রাশ  টানলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    জ্বরে ভরসা থাকুক প্যারাসিটামলে (Durga Puja 2024)

    আবহাওয়ার খামখেয়ালির জেরে পুজোর মধ্যেও‌ বাড়তে পারে জ্বর, সর্দি-কাশির দাপট। অনেকেই ভোগান্তি কমাতে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খান। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই অন্য কোনও ওষুধ খাওয়া যাবে না।

    জল এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্কতা জরুরি

    পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই সারাদিন বাইরে থাকেন (Holiday)! নানা ধরনের খাবার খাওয়ার পাশপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে জল খান। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। জল পরিশ্রুত না হলে পেটের মারাত্মক সমস্যা শুরু হতে পারে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই বাইরে বেরোলে সঙ্গে পরিশ্রুত জল রাখা দরকার। বাইরে থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশপাশি খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করার মতো স্বাস্থ্যবিধির প্রাথমিক শর্ত পূরণ করা জরুরি। তাহলে নানান বড় অসুখ আটকানো সহজ হবে।

    শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হলে অবশ্যই হাসপাতাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সব সময় চালু থাকে। তাই পুজোর সময়েও (Holiday) শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে বাড়তি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। অনেক সময়েই বহির্বিভাগ অনিয়মিত হলেও জরুরি বিভাগের পরিষেবা চালু থাকে। তাই সমস্যা জটিল মনে হলে যে কোনও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share