Blog

  • Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন সুলেখক, দার্শনিক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ। একাত্ম মানববাদের প্রণেতা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে তিনি একটি বিকল্প রাজনীতির সন্ধান দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর রচিত একাত্ম মানববাদের মাধ্যমেই তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের মধ্যে মেলবন্ধন স্থাপন করতে পেরেছিলেন। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ 

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) মতে, ‘‘প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।’’ প্রসঙ্গত, অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্মমানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি।

    মৌলিক অধিকার নিয়ে কী বলতেন তিনি?

    দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে সমাজব্যবস্থায় সকলের সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছেন। সামাজিক বিচার, শিক্ষা এসব কিছুকেই তিনি মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘একটি সমাজের ও একটি দেশের অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন প্রত্যেকটি নাগরিক সুস্থ থাকেন।’’ প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ের ১৪ থেকে ৩৫ নম্বর ধারা পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা রয়েছে। এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার- এই সমস্ত কিছুই। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, ‘‘জীবনের অধিকার ততক্ষণ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাওয়া যায়।’’

    সংক্ষিপ্ত জীবনী (Deendayal Upadhayay)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) শৈশবকালেই পিতৃমাতৃহীন হন। তাঁর পৈতৃক ভিটে উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে হলেও স্কুলজীবনের বড় অংশ অতিবাহিত হয়েছিল রাজস্থানে। জাতীয়তাবাদী এই দেশনেতা অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন নিজের ছাত্রজীবনে। রাজস্থানের সিকার জেলা থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন এবং প্রথমস্থান অধিকার করেন। তৎকালীন সিকারের মহারাজা কল্যাণ সিংয়ের কাছ থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। সনাতন ধর্ম কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াকালীন তাঁর বন্ধু বলবন্ত মহাশব্দের হাত ধরে ১৯৩৭ সালে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪২ সালে দেশ ও সমাজের কাজকে নিজের জীবনব্রত করার লক্ষ্যে সঙ্ঘের প্রচারক হন। ১৯৫১ সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি হন।

    নীতি নিষ্ঠ রাজনীতি

    ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘‘পাশ্চাত্যের রিলিজিয়ন এবং ভারতের ধর্ম এক নয়।’’ অর্থাৎ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্ম হল ধর্ম, তার আলাদা কোনও নাম নেই, যেমন- ছাত্র ধর্ম, ক্ষত্রিয় ধর্ম, পিতৃ ধর্ম, মাতৃ ধর্ম এসব কিছুই ধর্মের মধ্যে পড়ে। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। তিনি মনে করতেন, সুযোগ সন্ধানী এবং সুবিধার রাজনীতি, দিনের পর দিন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের রাজনীতির ওপরেই বিশ্বাসটা উঠে যায়। ১৯৬৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Durga Puja 2024: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    Durga Puja 2024: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর অপেক্ষার পর মহালয়া শুরু হলেই চারদিকে পুজো পুজো (Durga Puja 2024) গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আনন্দে মেতে ওঠে মন। আর দশমী আসা মানেই মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশমী মানেই বিজয়া। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠানোর শুরু হয় তোড়জোড়। আর এই সূত্র ধরেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন বাড়ির বধূরা। বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।

    সিঁদুর খেলার প্রচল কবে? (Durga Puja 2024)

    সিঁদুর খেলার (Sindur Khela) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর (Durga Puja 2024) খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে সিঁদুর খেলা

    পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। পুরাণ মতে সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সকলে

    বারোয়ারি মণ্ডপ (Durga Puja 2024) হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা, প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয়, তাঁদেরকেও দেখা যায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মণ্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপিকে কর্মসূচি করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। আজ বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান রয়েছে। সভায় পুলিশের অনুমতি না মেলায় গেরুয়া শিবির দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ আদালতের। হাইকোর্ট বিজেপিকে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার দুপুর থেকে ওই কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো, দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। তবে ২০০-৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High court)। আদালতের আরও নির্দেশ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে পুলিশকে।

    আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    গত ৯ অগাস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি (BJP) লাগাতার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, লালবাজার অভিযান, জেলা শাসকের দফতর অভিযান, ব্লক অফিস ঘেরাও, থানা ঘেরাও-সহ একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ঠিক পরের দিনই ২৮ অগাস্ট রাজ্য়জুড়ে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সারা রাজ্যে বনধের ব্যাপক প্রভাবও পড়ে। আরজি কর কাণ্ডের দেড় মাস পরেও এতটুকু আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি গেরুয়া শিবিরের। ঠিক এই আবহে ফের একবার আজ বুধবার কালীঘাট চলো অভিযান হতে চলেছে।

    ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি 

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই ফের একবার লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হয়েছে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি (BJP)। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: সকাল থেকেই বুথে ভিড়, কড়া নিরাপত্তায় জম্মু-কাশ্মীরে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    Jammu Kashmir: সকাল থেকেই বুথে ভিড়, কড়া নিরাপত্তায় জম্মু-কাশ্মীরে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই বুথের সামনে মানুষের লম্বা লাইন। সন্ত্রাস ভুলে গণতন্ত্রের উৎসবে মেতেছেন উপত্যকাবাসী। আজ বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election 2024) শুরু হয়েছে। নিয়ম মেনে সকাল ৭টা থেকে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Vote) চলছে। এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে।

    নিরাপত্তা বলয়ে উপত্যকা

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) মিলিয়ে ৬টি জেলার মোট ২৬টি আসনে এদিন ভোটগ্রহণ চলছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আধা সেনাও। বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে টহলদারি। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব জায়গার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রইসি, রাজৌরি এবং পুঞ্চে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে এই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা ঘটনা ঘটেছে। বুধবার যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে সজাগ নজর রেখেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে আগামী ১ অক্টোবর। ভোটের ফলাফল ৮ অক্টোবর। ভোটকে কেন্দ্র করে উপত্যকায় অশান্তির চেষ্টা করেছিল সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিরা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।

    কোথায় কোথায় ভোটগ্রহণ

    বুধবার মধ্য-কাশ্মীরের তিন জেলা বদগাম, গান্ডেরবাল এবং শ্রীনগরে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মুর তিন জেলা রইসি, রাজৌরি ও পুঞ্চে ভোট হচ্ছে। এগুলির মধ্যে শ্রীনগরে আটটি, বদগাম জেলায় পাঁচটি, রাজৌরিতে পাঁচটি, পুঞ্চে তিনটি, গান্ডেরবালে দু’টি এবং রইসিতে তিনটি বিধানসভা আসন রয়েছে। মোট ২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই দ্বিতীয় দফা ভোটে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ২৫ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষ ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 25 September 2024: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 25 September 2024: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    Yogi Adityanath: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারে মেশানো হচ্ছিল থুতু। প্রস্রাবও মেশানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। না জেনে পয়সা দিয়ে সেগুলোই কিনে খাচ্ছিলেন খদ্দেররা (UP Eateries)। খাবারে এসব মেশানের অভিযোগ কানে যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। তার পরেই নয়া ফরমান জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি খাবারের দোকানের নাম, অপারেটরের ঠিকানা, দোকানের মালিকের নাম এবং ম্যানেজারের নাম প্রদর্শন করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। শুধু তাই নয়, হোটেল-রেস্তরাঁর শেফ এবং ওয়েটারদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরতে হবে। নজরদারি চালানোর জন্য হোটেল-রেস্তরাঁয় বসাতে হবে সিসিটিভিও।

    রুটিতে থুতু! (Yogi Adityanath)

    ঘটনার সূত্রপাত একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে ঘিরে। ১২ সেপ্টেম্বর ভিডিওটি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, সাহারানপুরের একটি খাবারের দোকানে রুটি বানাচ্ছিল এক কিশোর। আটা মাখানোর সময় সে তাতে থুতু ফেলছিল। ভিডিওর সূত্রে গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরকে। সে কেন এমন করছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

    ফলের রসে প্রস্রাব!

    কেবল ওই কিশোরই নয়, খাবারে মানব বর্জ্য ব্যবহারের অভিযোগে গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ফলের রস বিক্রেতাকে। অভিযোগ, সে ফলের রসের সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়েছিল। জুন মাসেও দুই ফলের রস বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছিল নয়ডার পুলিশ। অভিযোগ, ফলের রসে থুতু মিশিয়ে বিক্রি করছিল তারা।

    আরও পড়ুন: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    ধারাবাহিক এই ঘটনাপ্রবাহের পরেই নড়েচড়ে বসে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। লখনউয়ে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকে খাবারে মানব বর্জ্যের উপস্থিতিকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদিত্যনাথ। বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের ধাবা, রেস্তরাঁ এবং খাবারের দোকানগুলিতে নিয়মিত তদন্ত করতে হবে। প্রতিটি কর্মীর পুলিশ ভেরিফিকেশনও করতে হবে। খাদ্যের গুণমান এবং পবিত্রতা যাতে বজায় থাকে, সেজন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জাতীয় ঘটনা ঘৃণ্য। মানব শরীরে এর কুপ্রভাবও পড়ছে। তাই এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Eateries) তরফে জারি হয়েছে নয়া ফরমান (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার দুই সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    RG Kar: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার দুই সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিকেলে সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার দুই সহপাঠী। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে তদন্তকারীরা আগেও কথা বলেছেন। দুই পিজিটিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বেরিয়ে বলেন, “আমাকে কিছু নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। সে সব নথিতে আমি সই করলাম। দুই পিজিটিকে কেন আসতে বলা হয়েছিল, সেই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কারণ, তদন্ত চলছে।” একইসঙ্গে এদিন হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন দুই পিজিটি! (RG Kar)

    নির্যাতিতার (RG Kar) ওপর নৃশংসতার তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে উঠে আসছে একের পর এক নাম। আর তার সঙ্গে ঘটনার মোড় ঘুরছে নিত্যনতুন। এবার নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল আরজি করের ২ পিজিটি-কে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন এই দুই পিজিটি। মঙ্গলবার তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও  করা হয়। এদিন হাসপাতাল সুপারের গাড়িতে ওই দুই মহিলা পিজিটি সিজিও-তে যান। কেন তাঁরা ঘটনার পর থেকে কার্যত দু’মাস বেপাত্তা ছিলেন, সেই তথ্যই জানতে চান তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই সিবিআই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পিজিটি জুনিয়র চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    নির্যাতিতার সঙ্গে ঝগড়া

    এবার এই দুই মহিলা পিজিটি-কে সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ঘটনার পর থেকেই এই দুই মহিলা পিজিটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সূত্রের খবর, সিবিআই আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কিছু জানতে পেরেছিলেন, যার সঙ্গে এই দুই মহিলা পিজিটি-র নিশ্চিত যোগ রয়েছে। আরজি কর সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন মহিলা পিজিটির সঙ্গে নির্যাতিতার (RG Kar) ঝগড়া হয়েছিল। আর ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে ডাক পাওয়া মহিলা পিজিটি বলেছিলেন, তিনি চেস্ট মেডিসিন ছেড়ে দেবেন। তিনি মূলত দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। ঘটনার পর তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আরও এক মহিলা পিজিটিও বেপাত্তা ছিলেন। এতদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। আন্দোলন থিতু হওয়ার পর তাঁরা হাসপাতালে ফিরে আসেন।

    ফের সিজিওতে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় প্রতিদিনই সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। তিনি নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন সিজিওতে। যদিও কী কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। সিবিআই দফতর থেকে বার হওয়ার পর কোনও মন্তব্য করতে চাননি চিকিৎসক। এর আগেও দু’বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, মৃতার দেহের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতার কাকা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির তরফে এই চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    অভ্যাসযোগ—দুই পথ—বিচার ও ভক্তি

    বেলা ৩টা। মারোয়াড়ী ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া ঠাকুরকে প্রশ্ন করিতেছেন। মাস্টার, রাখাল ও অন্যান্য ভক্তেরা ঘরে আছেন।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুইরকম আছে। বিচারপথ—আর অনুরাগ বা ভক্তির পথ।

    সৎ-অসৎ বিচার। একমাত্র সৎ বা নিত্যবস্তু ঈশ্বর, আর সমস্ত অসৎ বা অনিত্য। বাজিকরই সত্য, ভেলকি মিথ্যা। এইটি বিচার।

    বিবেক আর বৈরাগ্য (Kathamrita)। এই সৎ-অসৎ বিচারের নাম বিবেক। বৈরাগ্য অর্থাৎ সংসারের দ্রব্যের উপর বিরক্তি। এটি একবারে হয় না।—রোজ অভ্যাস করতে হয়।—তারপর তাঁর ইচ্ছায় মনের ত্যাগও করতে হয়, বাহিরের ত্যাগও করতে হয়। কলকাতার লোকদের বলবার জো নাই ‘ঈশ্বরের জন্য সব ত্যাগ কর—বলতে হয় ‘মনে ত্যাগ কর।

    অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়। গীতায় এ-কথা আছে। অভ্যাস দ্বারা মনে অসাধারণ শক্তি এসে পড়ে, তখন ইন্দ্রিয় সংযম করতে—কাম, ক্রোধ বশ করতে—কষ্ট হয় না। যেমন কচ্ছপ হাত-পা টেনে নিলে আর বাহির করে না; কুড়ুল দিয়ে চারখানা করে কাটলেও আর বাহির করে না।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, দুই পথ বললেন; আর-এক পথ কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগের বা ভক্তির পথ। ব্যাকুল হয়ে একবার কাঁদ—নির্জনে, গোপনে—দেখা দাও বলে।

    ডাক দেখি মন ডাকার মতো কেমন শ্যামা থাকতে পারে!

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, সাকারপূজার মানে কি? আর নিরাকার, নির্গুণ—এর মানেই বা কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যেমন বাপের ফটোগ্রাফ দেখলে বাপকে মনে (Kathamrita) পড়ে, তেমনি প্রতিমায় পূজা করতে করতে সত্যের রূপ উদ্দীপন হয়।

    সাকাররূপ কিরকম জান? যেমন জলরাশির মাঝ থেকে ভুড়ভুড়ি উঠে সেইরূপ। মহাকাশ চিদাকাশ থেকে এক-একটি রূপ উঠছে দেখা যায়। অবতারও একটি রূপ। অবতারলীলা সে আদ্যাশক্তিরই খেলা।

    পাণ্ডিত্য—আমি কে? আমিই তুমি 

    পাণ্ডিত্যে কি আছে? ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তাঁকে পাওয়া যায়। নানা বিষয় জানবার দরকার নাই। যিনি আচার্য তাঁরই পাঁচটা জানা দরকার। অপরকে বধ করবার জন্য ঢাল-তরোয়াল চাই; আপনাকে বধ করবার জন্য একটি ছুঁচ বা নরুন হলেই হয়।

    আমি কে, এইটি খুঁজতে গেলে তাঁকেই পাওয়া যায়। আমি কি মাংস, না হাড়, না রক্ত, না মজ্জা—না মন, না বুদ্ধি? শেষে বিচারে দেখা যায় যে, আমি এ-সব কিছুই নয়। ‘নেতি’ ‘নেতি’। আত্মা ধরবার ছোঁবার জো নাই। তিনি নির্গুণ—নিরুপাধি।

    কিন্তু ভক্তি মতে তিনি সগুণ। চিন্ময় শ্যাম, চিন্ময় ধাম—সব চিন্ময়।

    মারোয়াড়ী ভক্তেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    দক্ষিণেশ্বরে সন্ধ্যা ও আরতি 

    সন্ধ্যা হইল। ঠাকুর গঙ্গাদর্শন করিতেছেন। ঘরে প্রদীপ জ্বালা হইল, শ্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার নাম করিতেছেন ও খাটটিতে উপবিষ্ট হইয়া তাঁহার চিন্তা (Kathamrita) করিতেছেন।

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) এইবার আরতি হইতেছে। যাঁহারা এখনও পোস্তার উপর বা পঞ্চবটী মধ্যে পাদচারণ করিতেছেন তাঁহারা দূর হইতে আরতির মধুর ঘন্টা-নিনাদ শুনিতেছেন। জোয়ার আসিয়াছে—ভাগীরথী কুলকুল শব্দ করিয়া উত্তরবাহিনী হইতেছেন। আরতির মধুর শব্দ কুলকুল শব্দের সহিত মিশ্রিত হইয়া আরও মধুর হইয়াছে। এই সকলের মধ্যে প্রেমোন্মত্ত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিয়া আছেন। সকলই মধুর! হৃদয় মধুময়! মধু, মধু, মধু!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (Ayushman Bharat Scheme)। যা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত। ছ’বছর আগে মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে। ছয় বছরে ১২.৩৭ কোটি পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। 

    কেন চালু করা হয়

    দেশের সমস্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা করাতে পারেন এবং টাকার অভাবে যাতে কারোর চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু করেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের একেবার গরিব বা প্রান্তিক শ্রেণির পরিবারগুলিও যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হয় এই প্রকল্প। সম্প্রতি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসবেন।

    বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প

    কেন্দ্রের দাবি, এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন তার হিসাব করেই এই কথা দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের ২৭ হাজার ৩৪৩টি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্র। হয়েছে আয়ুষ্মান ভব্য অভিযানও। যার মাধ্যমে চারটি সহজ ধাপে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা যায়। এই প্রকল্পে নাবালিকা, মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে এই কার্ডটি তৈরির ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা ও তাঁদের বয়স নিয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই। 

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে সুবিধা

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat) থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবেন সহজে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মিলবে বিনামূল্যে। এই কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালে বাধ্য থাকবে চিকিৎসা করতে। যাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন তাঁদের থেকে কোনওভাবে মুখ ঘুরিয়ে রাখা যাবে না। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারগুলি ভারতজুড়ে চিকিৎসা পরিবেষা পাবেন। আর তার জন্য পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সরকারি ও তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে কোনও অতিরিক্ত অর্থও দাবি করতে পারবে না।

    ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্য

    ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৫৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য (Ayushman Bharat) কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৩ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পাঁচ হাজার শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাড়ে ৫ হাজার শহুরে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং ১২ হাজার ১৭৩টি আয়ুষ-সম্পর্কিত কেন্দ্র রয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেননি। তাই এখনও পর্যন্ত ৩৫.৩৬ কোটি মানুষকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: পুজোর আগে ফের তৈরি নিম্নচাপ! সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলের জেরে রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। এই আবহেই বঙ্গোপসাগরের ওপর মঙ্গলবার ফের তৈরি হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। ফলে, চলতি সপ্তাহে যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে সেই আভাসও মিলল। নিম্নচাপের জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার প্রভাবেই চলতি সপ্তাহ জুড়ে আবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মাটি হতে পারে পুজোর বাজার। মাঝে কয়েক দিন রেহাই দিয়েছিল বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের (Weather Update) বেশির ভাগ জেলায় আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

    কতদিন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, বুধবার থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কোনও কোনও জেলায় আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উত্তরেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর অন্ধ্র এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের ওপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। তার প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প, যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ- এই দু’য়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও

    শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। মঙ্গল এবং বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু এলাকায়। শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share