Blog

  • RG Kar: খুন-ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, ধৃত টালা থানার তৎকালীন ওসি’ও

    RG Kar: খুন-ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, ধৃত টালা থানার তৎকালীন ওসি’ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। একই সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ উঠেছে টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় শনিবার। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আজ রবিবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তাই তাঁকেও রবিবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    খুন-ধর্ষণ মামলায় মোট গ্রেফতার ৩ (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছিল একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার আরজি করের খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হল আরও দুজনকে। অর্থাৎ মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল তিন। এই তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। শনিবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে পৌঁছতেও তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। সেখানে নানা রকম স্লোগানও উঠতে দেখা যায়। আরজি করকাণ্ডের ৩৬ দিনের মাথায় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের একজন বলেন, ‘‘বিচারের দিকে এক পা এগনো গেল। তবে ঘটনার পর ৩৫ দিন কেন সময় লাগল, সেটাও আমাদের প্রশ্ন।’’

    আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন সন্দীপ

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাঁর জমানাতে মর্গে মৃতদেহ লোপাট থেকে সেখানে পর্নোগ্রাফি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করেই ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে আরজি করে, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। অন্যদিকে, ইডিও তেড়েফুঁড়ে নেমেছে এই মামলায়। তারা সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের অফিসে-বাড়িতে হানা দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে, বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগারে।

    প্রশ্ন ওঠে টালা থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে

    গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের চারতলার সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই আবহে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর তৎকালীন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ অসুস্থ বলে নিজেকে দাবি করে গোটা কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কোনও রোগ তাঁর খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষমেশ ৫ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শনিবার দুপুরে সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান অভিজিৎ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। টালা থানার এই প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের থেকে ময়নাতদন্ত, একাধিক ক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gopinath Temple: ফি বছর ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন ভগবান!

    Gopinath Temple: ফি বছর ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন ভগবান!

    হরিহর ঘোষাল

    ফি বছর ভগবান স্বয়ং ভক্তের শ্রাদ্ধ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন! গল্প বলে মনে হলেও এটাই সত্যি। পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের (Agradwip) বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষদের এটাই বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস থেকেই প্রায় ৫০০ বছর ধরে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট তিথি মেনে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরে (Gopinath Temple) দিনটি পালন করা হয়। আর পবিত্র সেই দিন ভগবান দর্শনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন অগ্রদ্বীপে।

    শ্রীচৈতন্যের আদেশে তৈরি গোপীনাথ মন্দির (Gopinath Mandir)

    পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের একটি তীর্থস্থান। অগ্রদ্বীপে ষোষঠাকুর নামে শ্রীচৈতন্যের একজন কায়স্থ শিষ্য বাস করতেন। কথিত আছে, সন্ন্যাস গ্রহণের পাঁচ বছর পর বৃন্দাবন যাচ্ছিলেন শ্রীচৈতন্য। পথে হরিতকি সঞ্চয় করে রাখার জন্য সঙ্গী গোবিন্দকে ত্যাগ করলেন মহাপ্রভু (বৈষ্ণবদের কিছু সঞ্চয় করতে নেই বলে)। ফলে, গোবিন্দ ঘোষ বৃন্দাবনে যেতে না পেরে অগ্রদ্বীপে থেকে যান। এই গোবিন্দ ঘোষই ঘোষঠাকুর নামে পরিচিত লাভ করেন। গঙ্গাস্নানের সময় গোবিন্দ ঘোষ একখণ্ড কালো পাথর পেয়েছিলেন। চৈতন্যদেব বৃন্দাবন থেকে ফিরে এলে তাঁরই আদেশে ওই কালো পাথর থেকে গোপীনাথের (Gopinath Temple) মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল এবং গোপীনাথকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আরও আশ্চর্য ব্যাপার হল, গোপীনাথ নাকি ঘোষঠাকুরকে পিতৃবৎ ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। অনেকে মনে করেন, গঙ্গায় ভেসে আসা একটি পাথর দিয়ে গোপীনাথের বিগ্রহ তৈরি করেন এক ভাস্কর। অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরে (Gopinath Temple) সেই বিগ্রহ স্থাপন করেন স্বয়ং মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব। এরপর তাঁর পার্ষদ গোবিন্দ ঘোষকে সেই গোপীনাথের ভজন-পূজনের দায়িত্ব দেন তিনি।

    ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ ভগবান কীভাবে করেন?

    ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ ভগবান কীভাবে করেন? এই প্রশ্ন সকলের মনেই জাগে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। অগ্রদ্বীপ তখন গণ্ডগ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথী বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ স্রোতস্বিনী। অনেকে মনে করেন, ১৫৮৮ সালে চৈত্রের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে মারা গিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং তাঁর অষ্ট পার্ষদের অন্যতম গোবিন্দ ঘোষ। তিনি ছিলেন গোপীনাথের (Gopinath Temple) সেবক। সেই তিথিকে স্মরণে রাখতে ফি-বছরই এই তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় গোবিন্দ ঘোষের পারলৌকিক বা চিড়ে মহোৎসব। স্বয়ং গোপীনাথ এক মাস ধরে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন এবং শ্রাদ্ধকালীন কাছা ধারণ করেন। গোবিন্দ ঘোষের পারলৌকিক ক্রিয়ায় পিণ্ডদানের জন্যই এই আয়োজন। কেন এমন প্রথা? জনশ্রুতি আছে, শিশুপুত্রের মৃত্যুর পরে শোকে পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল গোবিন্দ ঘোষের। সেই সময় গোপীনাথ তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন। তিনিই পুত্র হিসেবে গোবিন্দ ঘোষের শ্রাদ্ধ করবেন বলে তাঁকে আশ্বাস দেন। সেই কথা মেনে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর পরে তাঁর শ্রাদ্ধ করেন গোপীনাথ। অনেকে বলেন, একমাত্র এখানেই ভক্তের শ্রাদ্ধ করেন ভগবান। সেই প্রথা এখনও চলছে।

    গোপীনাথ কী করে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জমিদারিভুক্ত হল?

    গোপীনাথ (Gopinath Temple) কী করে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সম্পত্তি হল, সে এক ইতিহাস। আগে অগ্রদ্বীপ পাটুলির জমিদারদের সম্পত্তি ছিল। একবার অগ্রদ্বীপের বিশাল বারুণী মেলায় কিছু লোকের প্রাণহানি হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে সেখানকার জমিদারকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নবাব ডেকে পাঠালেন অগ্রদ্বীপ এলাকার আশপাশের সব জমিদারদের। দরবারে সব জমিদারদের মোক্তাররা হাজির হলেন। তাঁরা বললেন, “অগ্রদ্বীপ আমাদের প্রভুর নহে”। কৃষ্ণনগরের মোক্তার সুযোগ বুঝে বললেন, “ধর্মাবতার, ওই সম্পত্তি আমার প্রভুর। মেলায় যে প্রকার লোক সমাগম হয়, তাহাতে আরও অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমার প্রভুর বিশেষ সতর্কতার জন্য তা হয়নি।” নবাব এই কথা শুনে দোষ ক্ষমা করলেন। তখন থেকে অগ্রদ্বীপ নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সম্পত্তি হল। অন্য কথাও শোনা যায়, নবাব দরবারে কৃষ্ণচন্দ্রের পিতা নদীয়ারাজ রঘুরামের সুযোগ্য প্রতিনিধি ভবিষ্যতে মেলার সুব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রদ্বীপকে আপন জমিদারিভুক্ত করেন। রাজা রঘুরাম লাভ করলেন গোপীনাথকে।

    গোপীনাথ মন্দির নির্মাণ করেন কৃষ্ণচন্দ্র

    অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দির (Gopinath Temple) নির্মাণ করেন কৃষ্ণচন্দ্র। ভূমিকম্পের পর থেকে এই মন্দিরের অবস্থা ভগ্নপ্রায়। মূল মন্দিরের দুই পাশে যে ভোগমন্দির ও নাটমন্দির ছিল, তা ধ্বংসপ্রায়। গোপীনাথ মন্দির হল দালান মন্দির। ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের দিক থেকে এই মন্দির তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য নয়। দীনবন্ধু মিত্র লিখেছেন: “সুগঠিত সুশোভিত মন্দির সুন্দর।” গোপীনাথ মন্দির সম্ভবত পলাশি যুদ্ধের পূর্বেই কৃষ্ণচন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। তিনি গোপীনাথের পুজোর জন্য কিছু দেবোত্তর জমি দান করেছিলেন। অগ্রদ্বীপের জমিদার মল্লিকরাও গোপীনাথের নামে দেবোত্তর জমি দান করেছিলেন। এখন যে জমির ওপরে গোপীনাথের মন্দির রয়েছে, সেখানে ছিল একটি আধুনিক কাপড়ের কল। ১৮২৮ সালে বিধ্বংসী বন্যায় ও ভাগীরথী বারবার বাঁক পরিবর্তনের ফলে কৃষ্ণচন্দ্র রায় নির্মিত অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরটি গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখনকার মন্দিরটি থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে ছিল কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের তৈরি মন্দিরটি। ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকা থেকে জানা যায়, বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল যশোরের বগচরের বাসিন্দা গোপীনাথ পোদ্দারের অর্থানুকূল্যে। তিনি ১৮২৩ সালে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা দান করেছিলেন।

    গোপীনাথকে নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্র-নবকৃষ্ণের বিরোধ

    জানা যায়, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ বিগ্রহ নিয়ে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে শোভাবাজারের মহারাজা নবকৃষ্ণ দেবের মাতৃশ্রাদ্ধের সময় এক ঐতিহাসিক বিরোধ হয়েছিল। মাতৃশ্রাদ্ধের সময় নবকৃষ্ণের ইচ্ছা হয়, বাংলাদেশের লোকপ্রিয় বিগ্রহগুলি কয়েকদিনের জন্যে কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধবাসরে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে পূজার্চনা করবেন তিনি। এই ইচ্ছা কার্যকর করতে তিনি লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেন। শ্রাদ্ধ শেষ হবার পর অন্যান্য বিগ্রহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অগ্রদ্বীপের গোপীনাথকে দেওয়া হয়নি। কারণ, নবকৃষ্ণ স্বপ্ন দেখেছিলেন, গোপীনাথ (Gopinath Temple) তাঁর কাছে থাকতে চান। কৃষ্ণচন্দ্র তখন জমিদারির ব্যাপারে হেস্টিংসের নতুন বন্দোবস্তের জন্য নানা দিক থেকে বিপন্ন ও বিপর্যস্ত। মধ্যে মধ্যে নবকৃষ্ণের কাছে টাকার জন্যে তাঁকে হাত পাততে হত, নানা বিষয়ে উপদেশ-পরামর্শও নিতে হত। তিন লক্ষ টাকা নবকৃষ্ণের কাছ থেকে তিনি ঋণ করেছিলেন। গোপীনাথ বিগ্রহের বিনিময়ে এই ঋণ নবকৃষ্ণ মকুব করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু, ঋণ তো দূরের কথা, প্রাণের চেয়েও অধিকতর মূল্য হল আভিজাত্য-সামাজিক মর্যাদা। বিগ্রহ নিয়ে কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের দুই মহারাজার মধ্যে মর্যাদার লড়াই বাধল। কৃষ্ণচন্দ্র প্রাচীন রাজবংশের বংশধর, নবকৃষ্ণ এক পুরুষের অর্বাচীন মহারাজা। বিগ্রহ নিয়ে অবশেষে মামলা হল আদালতে। কয়েক হাজার টাকা জলের মতো খরচ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত বিরোধের মীমাংসা করলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। জয় হল কৃষ্ণচন্দ্রের। কিন্তু, নবকৃষ্ণের নয়া আভিজাত্যের গর্বোদ্ধত মাথা সহজে হেঁট হবার নয়। আরও কয়েক হাজার টাকা খরচ করে তিনি গোপীনাথের অবিকল একটি মূর্তি ওস্তাদ শিল্পীদের দিয়ে তৈরি করালেন। কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্র যাঁদের মূর্তিটি আনতে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা সঠিক মূর্তিটি নিয়েই ফিরে আসেন। কৃষ্ণচন্দ্রের দূতরা “আনন্দ সাগরে মগ্ন হয়ে হরিহরি ধ্বনি দিয়ে স্বস্থানে প্রস্থান করলেন। রাজা নবকৃষ্ণ যে সকল বহুমূল্য আভরণ ঠাকুরকে দিয়েছিলেন তা এখনও ঠাকুরের অঙ্গে আছে। “

    বারুণীর স্নান উৎসব

    আগে অগ্রদ্বীপের খ্যাতি ছিল ছিল বারুণীর স্নান উৎসবের জন্যই। এই বারুণী স্নান উৎসব হয়, চৈত্রের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে। জনশ্রুতি আছে, এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবের অনেক আগেই। বহু দিন থেকেই বাংলা, বিহার, বাংলাদেশ এবং ওড়িশার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ অগ্রদ্বীপে বারুণীর স্নান উৎসবে শামিল হতে আসতেন। রেভারেন্ড ফাদার জেমস লঙের ‘দ্য ব্যাঙ্কস অব ভাগীরথী’ থেকে জানা যায়, ১৮২৩ সালে অগ্রদ্বীপের এই গোপীনাথ (Gopinath Temple)-বারুণী মেলার আগত ভক্তের সংখ্যা ছিল এক লক্ষের বেশি। বিক্রি হয়েছিল আনুমানিক বারো লক্ষ টাকারও বেশি। সেই সময়, গঙ্গাসাগর মেলার থেকেও অগ্রদ্বীপের বারুণীর স্নানের খ্যাতি ছিল বেশি। এই স্নানে কেউ কেউ গঙ্গাবক্ষে সন্তান বিসর্জন দিতেন। জেমস লঙ লিখেছেন, ১৮১৩ সালে চৈত্রে অগ্রদ্বীপে ও কাটোয়ায় দু’টি নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল। যশোর ও ঢাকা থেকে এসে দু’জন তাঁদের সন্তান গঙ্গাবক্ষে বিসর্জন দিয়েছিলেন।

    বারোদোলে গোপীনাথ

    কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে যে বারদোল মেলা প্রবর্তন করেন, সেই মেলায় এই গোপীনাথ বিগ্রহকে (Gopinath Temple) নিয়ে যাওয়া হত। দীনবন্ধু মিত্র লিখেছেন, “দ্বাদশ গোপাল মধ্যে গোপীনাথে গণে, বারদোলে দোলে তাই রাজার সদনে।” সম্প্রতি, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরের প্রণামী ও মেলা বাবদ যে মোটা টাকা রাজপরিবারের হাতে চলে যায়, তা নিয়ে অগ্রদ্বীপবাসী বনাম রাজপরিবারের বিরোধ শুরু হয়েছে। অগ্রদ্বীপবাসীরা গোপীনাথকে আর কৃষ্ণনগরে পাঠাবেন না বলে স্থির করেছেন। ফি বছর গোপীনাথ মন্দিরে মেলায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Metal Object On Railway: এবার সেবকে রেললাইন থেকে উদ্ধার ধাতব পাত, ধৃত ১

    Metal Object On Railway: এবার সেবকে রেললাইন থেকে উদ্ধার ধাতব পাত, ধৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের সেবক (Metal Object On Railway)। চালকের তৎপরতায় এবার রক্ষা পেল ডাউন কামাখ্যা আনন্দবিহার টার্মিনাল স্পেশাল এক্সপ্রেস। কানপুরে যেমন রেল লাইনে রাখা হয়েছিল আস্ত একটি গ্যাস সিলিন্ডার। সেবকে রেল লাইনের ওপর পড়ে ছিল আস্ত একটি নির্মাণ সামগ্রী। চালকের নজরে পড়তেই ব্রেক কষেন তিনি। ট্রেন থেমে যায়। রক্ষা পান ওই ট্রেনের যাত্রীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন রেলকর্মী এবং আধিকারিকরা। তার পরেই লাইন থেকে সরানো হয় ওই নির্মাণ সামগ্রী। তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।

    সেবকে লাইনে নির্মাণ সামগ্রী (Metal Object On Railway)

    রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেবকের ৩২/৪ সিগন্যাল পোস্টের কাছে রেলের লাইনে কে বা কারা ফেলে রাখে নির্মাণ সামগ্রী। বিকেল ৩টে ৩১ মিনিট নাগাদ ওই লাইনে চলে আসে ডাউন আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস। ট্রেনটি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। রুংটুং এলাকায় লাইনে নির্মাণ সামগ্রী পড় থাকতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে রেলপুলিশ। অভিযুক্তকে নিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযানও চালায় রেলপুলিশ। ঘটনায় আরও তিন-চারজন জড়িত রয়েছে বলে খবর। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি।

    কী বলছে রেল

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, “একটি দুষ্কৃতীর দল একাজ করেছে। ওই এলাকায় রেলের খুঁটি বসানোর কাজ চলছিল। সেই কাজেই ব্যবহার করা সামগ্রী চুরি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। তারাই লোহার ড্রামগুলি লাইনে রেখেছিল, যাতে ট্রেন গেলে সেগুলি ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়। এতে চুরি করতে সুবিধা হবে।” ইতিমধ্যেই আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কানপুরে লাইনে মিলল আর কী কী

    বাংলায় (Metal Object On Railway) যদি লাইনে নির্মাণ সামগ্রী রাখা চোরেদের কাজ হয়, কানপুরের ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গিরা রয়েছে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। কানপুরে অবশ্য রেললাইনে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়নি, রাখা হয়েছিল আস্ত গ্যাস সিলিন্ডার। রবিবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয় রান্নার গ্যাসের ওই সিলিন্ডার (Metal Object On Railway)। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস। সিলিন্ডারটি উদ্ধার করার পাশাপাশি আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিসও উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। রেল লাইনে যে জায়গা থেকে সিলিন্ডারটি উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে বোতল ভর্তি একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও পাওয়া গিয়েছে। লাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পেট্রল ভরা বোতল ও দেশলাই। ট্র্যাকে ভারী কিছু লোহার জিনিস ঘষার চিহ্নও দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করেছিলেন (Metal Object On Railway)।

    গ্রেফতার শাহরুখ

    এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই রাজস্থানের আজমের মালবাহী করিডরের রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৭০ কেজি ওজনের দুটি ব্লক। কানপুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড। ধৃতের নাম শাহরুখ খান। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে সন্দেহভাজন ছজনকে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, গ্রেফতার করা হয় শাহরুখকে। উত্তরপ্রদেশের ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে খবর। এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও জোগাড় করেছিলেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা প্রয়াগরাজ-ভিওয়ানি কালিন্দি এক্সপ্রেস উল্টে দেওয়ার ছক কষেছিল বলে খবর। তদন্তকারীদের অনুমান, যে এই ষড়যন্ত্রের চাঁই, সে স্ব-উগ্রপন্থী। সে আইসিসের খোরাসান মডিউলের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    ঘটনাপ্রবাহ

    কেবল এই তিনটি ঘটনাই (Metal Object On Railway) নয়, এমন ঘটনা আগও ঘটেছে। মোদি সরকারকে জনমানসে হেয় করতে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল আস্ত গাছের গুঁড়ি। গত জুনে ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার ভদ্রকে। ওই বছরেরই অক্টোবরে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল পাথর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুতে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় সিগন্যাল টেম্পারিং করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গেরই বীরভূমে ভাঙচুর করা হয় লোকাল ট্রেনে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার, হাতুড়ি। এরই কিছুদিন পরেই ফের এই এলাকায় রেললাইনে ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার এবং সাইকেল। রেললাইনের ওপর আস্ত বাইক রেখে চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবারও অকুস্থল সেই প্রয়াগরাজ। তেলঙ্গনায় আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল লোহার ইয়া বড় রড। বারংবার একই ঘটনা ঘটায়। এসব ক্ষেত্রেই জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের একাংশের। তবে আসল সত্য জানতে শাহরুখকে জেরা করা চলছে। এখন দেখার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হয় কিনা (Metal Object On Railway)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ramakrishna 133: “দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না”

    Ramakrishna 133: “দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
         (গীতা — ১২।৫)

    যাঁর কাঁচা ভক্তি, সে ঈশ্বরের (Ramakrishna) কথা, উপদেশ, ধারণা করতে পারে না। পাকা ভক্তি হলে ধারণা করতে পারে। ফটোগ্রাফের কাচে যদি কালি (Silver Nitrate) মাখানো থাকে, তাহলে যা ছবি পড়ে তা রয়ে যায়। কিন্তু শুধু কাচের উপর হাজার ছবি পড়ুক একটাও থাকেনা—একটু সরে গেলেই, যেমন কাচ তেমনি কাচ। ঈশ্বরের উপর ভালবাসা না থাকলে উপদেশ ধারণা হয় না।

    বিজয়—মহাশয়, ঈশ্বরকে লাভ করতে গেলে, তাঁকে দর্শন করতে গেলে ভক্তি হলেই হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, ভক্তি দ্বারাই তাঁকে দর্শন হয়, কিন্তু পাকা ভক্তি, প্রেমাভক্তি, রাগভক্তি চাই। সেই ভক্তি এলেই তাঁর উপর ভালবাসা আসে। যেমন ছেলের মার উপর ভালবাসা, মার ছেলের উপর ভালবাসা, স্ত্রীর স্বামীর উপর ভালবাসা।

    এ-ভালবাসা, এ-রাগভক্তি এলে স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়-কুটুম্বের উপর সে মায়ার টান থাকে না। দয়া থাকে। সংসার বিদেশ বোধ হয়, একটি কর্মভূমি মাত্র বোধ হয়। যেমন পাড়াগাঁয়ে বাড়ি কিন্তু কলকাতা কর্মভূমি; কলকাতায় বাসা করে থাকতে হয়, কর্ম করবার জন্য। ঈশ্বরে ভালবাসা এলে সংসারাসক্তি—বিষয়বুদ্ধি—একেবারে যাবে।

    বিষয়বুদ্ধির (Kathamrita) লেশমাত্র থাকলে তাঁকে দর্শন হয় না। দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না—কেবল একরাশ কাঠি লোকসান হয়। বিষয়াসক্ত মন ভিজে দেশলাই।

    শ্রীমতী (রাধিকা) যখন বললেন, আমি কৃষ্ণময় দেখছি, সখীরা বললে, কই আমরা তো তাঁকে দেখতে পাচ্ছি না। তুমি কি প্রলাপ বোকচো? শ্রীমতী বললেন, সখি! অনুরাগ-অঞ্জন চক্ষে মাখো, তাঁকে দেখতে পাবে। (বিজয়ের প্রতি) তোমাদের ব্রাহ্মসমাজেরই গানে আছে:

    প্রভু বিনে অনুরাগ, করে যজ্ঞযাগ, তোমারে কি যায় জানা।

    এই অনুরাগ, এই প্রেম, এই পাকা ভক্তি, এই ভালবাসা যদি একবার হয়, তাহলে সাকার-নিরাকার দুই সাক্ষাৎকার হয়।

    ঈশ্বরদর্শন—তাঁর কৃপা না হলে হয় না 

    বিজয়—ঈশ্বরদর্শন কেমন করে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—চিত্তশুদ্ধি না হলে হয় না। কামিনী-কাঞ্চনে মন মলিন হয়ে আছে, মনে ময়লা পড়ে আছে। ছুঁচ কাদা দিয়ে ঢাকা থাকলে আর চুম্বক টানে না। মাটি কাদা ধুয়ে ফেললে তখন চুম্বক টানে। মনের ময়লা তেমনি চোখের জলে ধুয়ে ফেলা যায়। হে ঈশ্বর, আর অমন কাজ করব না বলে যদি কেউ অনুতাপে (Kathamrita) কাঁদে, তাহলে ময়লাটা ধুয়ে যায়। তখন ঈশ্বররূপ চুম্বক পাথর মনরূপ ছুঁচকে টেনে লন। তখন সমাধি হয়, ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dehradun: দু’দিন পরে প্রাণ পেল দেরাদুনের ক্লক টাওয়ার! ফের কীভাবে চলল জানেন?

    Dehradun: দু’দিন পরে প্রাণ পেল দেরাদুনের ক্লক টাওয়ার! ফের কীভাবে চলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেরাদুনের (Dehradun) আইকনিক ক্লক টাওয়ার ২ দিন প্রাণহীন থাকার পর আবার টিকটিক শব্দে চলতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, টাওয়ারে বসানো ঘড়ির ছয়টি সুইচের মধ্যে তিনটির তার কেটে ফেলেছিল কেউ বা কারা। তাই ঘড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে। অবশেষে ঘড়ি বন্ধের কারণ জানাল পুলিশ। 

    পুলিশের বক্তব্য (Dehradun)

    কোতোয়ালি থানার (Dehradun) এসএইচও চন্দ্রভান সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরে সাংবাদিকদের বলেন, “ক্লক টাওয়ারে স্থাপিত ঘড়ির ছয়টি সুইচের মধ্যে তিনটির তার কেটে ফেলা হয়েছিল। পরে তারগুলিকে আবার সংযুক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেটি আবার কাজ করছে। ঘড়ি এখন স্থির নয়, টিকটিক শব্দে প্রবহমান।” তবে এই ক্লক টাওয়ারে চুরি হয়নি বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “কাটা তার ছাড়া ব্যাটারি, ইনভার্টার ও অ্যামপ্লিফায়ারসহ সব কিছুই অক্ষত ছিল। কেউ চাবি দিয়ে এর একটি গেটের তালা খুলে টাওয়ারে প্রবেশ করেছিল। এরপর ভিতরের যন্ত্রাংশের তারগুলিকে কেটে দেওয়া হয়। এটি এমন একজনের কাজ বলে মনে হচ্ছে যার কাছে হয়তো টাওয়ারের চাবি ছিল। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।” স্থানীয় সার্কেল অফিসার নীরজ সেমওয়াল বলেন, “ক্লক টাওয়ার পরিদর্শনের সময় জোরপূর্বক প্রবেশের কোনও চিহ্ন বা ছাপ পাওয়া যায়নি। সেখানে কাটা তারগুলোর অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কোনও কিছুই ভেঙে করা হয়নি। ভিতরের যন্ত্রগুলি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ বর্ধমান মেডিক্যালে অভীক গ্যাং-এর ‘দাদাগিরি’! হুমকি-ফোন জুনিয়র ডাক্তারদেরকে

    শহরের কেন্দ্রস্থলে ল্যান্ডমার্ক ঘড়ি

    ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দেরাদুন (Dehradun) মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ক্লক টাওয়ার বা এই ঘন্টা ঘরটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডমার্ক হিসেবে কাজ করে। গত সোমবার এলাকার মানুষ, এই ঘড়ির কাঁটা নড়ছে না দেখে প্রথমে ডিএমসিতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীকে ধরতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

    Narendra Modi: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভায় প্রধানমন্ত্রীকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছে মোদি কা পরিবার। সমস্ত দেশবাসীকে নিজের পরিবার বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পরিবারে আরও এক ছোট্ট সদস্য বাড়ল। ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেও তার জন্য ঠিক সময় বের করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার সঙ্গে সময় কাটালেন। শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনের নতুন সদস্যের সঙ্গে দেশবাসী তথা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার নাম দিলেন ‘দীপজ্যোতি’! তার কপালে প্রদীপের শিখার মতো চিহ্ন থাকাতেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘দীপজ্যোতি’। তবে, দীপজ্যোতি কোনও মানব সন্তান নয়। সে হল, একটি ছোট্ট সুন্দর গোশাবক!

    আরও পড়ুন: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    এক্স হ্যান্ডলে ‘দীপজ্যোতি’ ছবি শেয়ার প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi)

    দিল্লিতে (Delhi) লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গরু রয়েছে। সম্প্রতি এক গরু সন্তান প্রসব করেছে। পরিবারের সেই নতুন সদস্যকে পেয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে নিজের সেই খুশি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মোদী। লিখলেন, লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর বাসভবনে নতুন সদস্যের আগমন ঘটেছে। ছোট্ট দীপজ্যোতিকে কখনও প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আদর করছেন, কখনও তার কপালে এঁকে দিচ্ছেন সস্নেহ চুম্বন, কখনও আবার তার সঙ্গে একেবারে ছোটদের মতোই খুনসুটি আর খেলায় মেতে রয়েছেন দেশের প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষটি! এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর শেয়ার করা ভিডিও দেখা যাচ্ছে, বাসভবনের যেখানে দুর্গামূর্তি রয়েছে, সেখানে তিনি নিয়ে গিয়েছেন দীপজ্যোতিকে। পরিবারের নতুন সদস্যকে পুজো করেন তিনি। তাকে আদরে ভরিয়ে দেন। যেমন করে পরিবারের নতুন সদস্যকে সবাই স্বাগত জানান। তেমনভাবেই দীপজ্যোতিকে নিজের পরিবারে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। এইসব ছবি এবং ভিডিও দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নানা সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

     

    মন জয় করেছে নেটিজেনদের

    স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি ভিডিও এবং সঙ্গে থাকা ছবিগুলি নেট নাগরিকদের মন জয় করে নিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাসভবনের এই নয়া সদস্যকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তগুলি ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ছবিগুলি ‘রিপোস্ট করা হয়েছে। লাইক করেছেন ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। আর ছবিগুলির ভিউ হয়েছে লক্ষ লক্ষ। রাষ্ট্রনেতাদের পশুপ্রেম নতুন কিছু নয়। বিশ্বের অনেক তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানেরই পোষ্য রয়েছে। মার্কিন মুলুকের হোয়াইট হাউস হোক, কিংবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন – সর্বত্রই দেখা গিয়েছে এক ছবি। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পোষ্য হিসেবে বিড়াল বা কুকুরই বেশি পছন্দ করেন প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষগুলি। এক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নতুন সদস্য কিছুটা ব্যতিক্রমী তো বটেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: শত্রুর ঘুম ছোটাতে দেশে তৈরি হবে মানবহীন ডুবোজাহাজ, বরাদ্দ ২,৫০০ কোটি টাকা

    Indian Navy: শত্রুর ঘুম ছোটাতে দেশে তৈরি হবে মানবহীন ডুবোজাহাজ, বরাদ্দ ২,৫০০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে ভারত প্রতিরক্ষা (Defence Ministry) খাতে ততই যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, মেশিন, ড্রোন, ট্যাঙ্ক সহ আরও অনেক কিছুর জন্য এখন আর অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় না ভারতকে। এখন মেক ইন ইন্ডিয়ার আওতায় জিনিসপত্র তৈরি করে নিজেদের অস্ত্রভান্ডারকে আরও জোরদার করছে ভারত। এবার মানবহীন ডুবোজাহাজ বা ডুবোযান (Unmanned Underwater Vessels) তৈরির জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। নৌবাহিনীর (Indian Navy) এই প্রকল্প বাস্তব রূপ পেলে শত্রুপক্ষের বুক কেঁপে যাবে তা বলাই বাহুল্য।

    কী এই মানবহীন ডুবোজাহাজ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) সূত্রে খবর, এই মানববিহীন ডুবোযানের মূল উদ্দেশ্য হবে শত্রুদেশের সাবমেরিন বা জাহাজকে ধ্বংস করা। এই ১০০ টনের নয়া ডুবোযানগুলি ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য জলতলে নজরদারি, মাইন পাতা এবং অস্ত্র ব্যবহারের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে। ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ভান্ডারে অন্তত ২০০টি বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ মজুত করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। মানবহীন ডুবোযান (Unmanned Underwater Vessels) নির্মাণ তারই অঙ্গ। ড্রোনের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান হওয়ায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রক সম্প্রতি এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মানবহীন ডুবোজাহাজ বা ডুবোযান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।

    কী কী সুবিধা

    এই ডুবোযানগুলি (Unmanned Underwater Vessels) নৌসেনাকে জলের নীচে বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে এবং দেশের জলসীমাকে নিশ্ছিদ্র করতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন নৌসেনা ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাডে। মাইন পাতা ও মাইন পরিষ্কার করা, নজরদারি, এবং অস্ত্র নিক্ষেপের মতো বিভিন্ন কাজে এই ডুবোযানগুলিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটির জন্য দরপত্র প্রকাশ করবে। ভারতীয় শিপইয়ার্ডগুলি আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে এই প্রকল্পের জন্য বিড করবে, বলেও জানা গিয়েছে। নৌসেনা চায় যে এই মানবহীন ডুবোযানগুলি দীর্ঘ সময় ধরে দূরত্বে জলের তলায় থাকতে সক্ষম হোক, যাতে সন্দেহজনক জাহাজ থেকে শুরু করে শত্রুর বিভিন্ন কাজের ওপর নজর রাখা যায় এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করা যায়। ড্রোনের মতোই ওই ডুবো-জলযানের (Unmanned Underwater Vessels) ক্যামেরায় ধরা পড়বে সমুদ্রের জলে ভেসে থাকা বস্তুর ছবিও। এমনকী, সাবমেরিনের গতিবিধিও জানা যেতে পারে। যিনি রিমোটের সাহায্যে জলযানটি পরিচালনা করবেন, চাইলে গুলিও চালাতে পারবেন তিনি (Indian Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • llegal Mosque: শিমলার সেই মসজিদের অংশ ভাঙা হবে, জানালেন মুসলমানেরা

    llegal Mosque: শিমলার সেই মসজিদের অংশ ভাঙা হবে, জানালেন মুসলমানেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিমলার (Shimla) সেই মসজিদের অবৈধ অংশ (Illegal Mosque) ভেঙে ফেলা হবে। শিমলা পুরসভার কমিশনার ভূপেন্দ্র কুমার আত্তারিকে এ কথা জানালেন সনজৌলির মুসলমানরা। ১২ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে কমিশনারকে একটি স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। মসজিদের অবৈধ অংশ সিল করে দেওয়ার অনুরোধও করেন তাঁরা।

    কমিশনারকে স্মারকলিপি (llegal Mosque)

    এদিন যে প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মসজিদটির ইমাম, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ কমিটি নিজেরাই মসজিদের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Illegal Mosque) জানান, তাঁরা হিমাচলপ্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। এলাকায় সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্ব বোধ বজায় রাখতে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। কল্যাণ কমিটির তরফে মুফতি মহম্মদ শফি কাসমি বলেন, “আমরা সনজৌলিতে অবস্থিত অন-অনুমোদিত অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য শিমলা পুর কমিশনারের অনুমতি চেয়েছি।”

    কী বলছেন ইমাম

    সনজৌলি মসজিদের ইমাম বলেন, “আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। আমরা এখানে কয়েক দশক ধরে বসবাস করছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হিমাচলবাসী হিসেবে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। এলাকায় সৌভ্রাতৃত্বের বাতাবরণ বজায় থাকা উচিত।” দেবভূমি সংগ্রাম কমিটির (এই কমিটির ব্যানারেই হচ্ছিল আন্দোলন) সদস্যরা স্থানীয় মুসলমানদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। কমিটির সদস্য বিজয় শর্মা বলেন, মুসলমান সম্প্রদায়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। বৃহত্তর স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা প্রথমে তাঁদের আলিঙ্গন করতে চাই।

    আরও পড়ুন: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    সনজৌলিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মসজিদ রয়েছে। একতলার ওই মসজিদটিতেই স্থানীয়রা নমাজ আদায় করেন। সম্প্রতি মসজিদটিতে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে পথে নামেন স্থানীয়রা। তাঁরা মসদিদের অবৈধভাবে  অংশটি ভেঙে ফেলার আবেদনও জানান (Shimla)। তার প্রেক্ষিতেই এদিনের পদক্ষেপ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহেলর (Illegal Mosque)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Asian Champions Trophy: হরমনপ্রীতের জোড়া গোল, পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানকে হারাল ভারত

    Asian Champions Trophy: হরমনপ্রীতের জোড়া গোল, পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানকে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Asian Champions Trophy) লিগ পর্বে অপরাজিতই রইল ভারতীয় হকি দল। পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল হরমনপ্রীতরা। শনিবার পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারাল তারা। ক্রিকেটের ২২ গজ হোক বা হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ, ভারত-পাকিস্তান (India Beats Pakistan) মানেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চিন, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে টানা সহজ জয়ের পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ সামলে লড়াই করতে হল ভারতীয় হকি দলকে।

    দুরন্ত ভারত 

    এদিন হরমনপ্রীতদের চাপ বাড়িয়ে দেয় ৮ মিনিটে পাকিস্তানের গোল। মাঝমাঠ থেকে শাহিদ ‘ডি’র মধ্যে বল দেন আহমেদ নাদিমকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এর আগে ৫ মিনিটেও গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। বল দখলের লড়াইয়ে হরমনপ্রীতকে পরাস্ত করেও গোল করতে পারেননি শাকিল। প্যারিস অলিম্পিক্সের পদকজয়ীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি। পাল্টা আক্রমণ করে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ভারত। দলকে জেতালেও অল্পের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা হল না হরমনপ্রীতের। প্রথম কোয়ার্টারেই পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। নিজেদের প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকেই দলকে সমতায় ফেরান হরমনপ্রীত সিং (Asian Champions Trophy)। 

    ছন্দে হরমনপ্রীত

    সদ্য সমাপ্ত অলিম্পিক্সে ভারতের পদক জয়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান ছিল হরমনপ্রীতের। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (Asian Champions Trophy) সেই ধারা বজায় রাখলেন এই তারকা হকি খেলোয়াড়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলকে শুধু সমতায় ফেরালেনই না, দ্বিতীয় গোল করে এগিয়েও দিলেন সেই হরমনপ্রীতই। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ফের পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারও ভারতের হয়ে গোল করে যান স্ট্রাইকার হরমনপ্রীত সিং। অলিম্পিক্সে ভারতের গোল মেশিন ছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতা বদলালেও তিনি যে নিজের ছন্দ বজায় রেখেছেন সেটা পাক গোলরক্ষককে দ্বিতীয়বার পরাস্ত করে বুঝিয়ে দিলেন ২৮ বছর বয়সি এই পঞ্জাব তনয়। প্রথম ম্যাচে চিনকে ৩-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানকে ৫-১ গোলে হারায় হরমনপ্রীত সিংয়ের দল। তৃতীয় ম্যাচে মালেশিয়াকে ৮-১ এবং চতর্থ ম্যাচে উত্তর কোরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় ভারতীয় দল। পাকিস্তানের (India Beats Pakistan) বিরুদ্ধেও ভারতের জয়ের ধারা অব্যাহত রইল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    PM Modi: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভোট তার আগে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন।  প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল সন্ত্রাসবাদ, ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের মত একাধিক বিষয়। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি কে কড়া আক্রমণ শানিয়ে মোদি বলেন, ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা (বিরোধীরা) পকেটে সংবিধান নিয়ে ঘুরছেন! কী কাজ করেন তাঁরা? নিজেদের অপকর্মগুলোকে ঢাকতে তাঁরা লোক দেখানো সংবিধান নিয়ে ঘোরেন। তাঁরা সংবিধানের আত্মাকে অবমাননা করেছেন। কেন জম্মু-কাশ্মীরের জন্য দুটি সংবিধান আলাদা সংবিধান ছিল?’’

    মোদির (PM Modi) আশ্বাস

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) হল দেশের মধ্যে অন্যতম রাজ্য যেখানে প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবায় ছাড় পায়। জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবারকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবারের বয়স্ক মহিলাদের প্রতিবছর ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী সম্মাননিধির আওতায় ছয় হাজার টাকা করে পাচ্ছেন বছরে, বিজেপি এর পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণা করেছে।’’

    মোদির (PM Modi) গ্যারান্টি 

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি জম্মু ও কাশ্মীরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছে। এই তিনটি দল মিলে যেভাবে উপত্যকার মানুষের প্রতি অবিচার করেছে তা পাপের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আপনি এবং আমি মিলে একটি নিরাপদ কাশ্মীর গড়ে তুলব, এটাই মোদির গ্যারান্টি।’’

    সন্ত্রাসবাদের শেষ নিঃশ্বাস

    ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম দফার ভোট। এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ তার ‘শেষ নিঃশ্বাস’ নিচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এবং আপনারা একসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অংশে পরিণত করব।’’ তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পরে, জম্মু ও কাশ্মীর বিদেশি শক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল এবং রাজবংশীয় রাজনীতি এই সুন্দর অঞ্চলটিকে ভিতরে থেকে ফাঁপা করে দিয়েছে।’’

    গত ১০ বছরে বদলেছে জম্মু-কাশ্মীর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘আমরা ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছি।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পক্ষে আওয়াজ তুলেছে এবং তাঁদের সমর্থন করেছে। গত ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে যে পরিবর্তন এসেছে তা অনেকটা স্বপ্নের মত। যে পাথরগুলি আগে পুলিশ ও বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হত তা দিয়েই এখন নতুন জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) তৈরি হচ্ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share