Blog

  • PM Modi: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    PM Modi: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভোট তার আগে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন।  প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল সন্ত্রাসবাদ, ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের মত একাধিক বিষয়। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি কে কড়া আক্রমণ শানিয়ে মোদি বলেন, ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা (বিরোধীরা) পকেটে সংবিধান নিয়ে ঘুরছেন! কী কাজ করেন তাঁরা? নিজেদের অপকর্মগুলোকে ঢাকতে তাঁরা লোক দেখানো সংবিধান নিয়ে ঘোরেন। তাঁরা সংবিধানের আত্মাকে অবমাননা করেছেন। কেন জম্মু-কাশ্মীরের জন্য দুটি সংবিধান আলাদা সংবিধান ছিল?’’

    মোদির (PM Modi) আশ্বাস

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) হল দেশের মধ্যে অন্যতম রাজ্য যেখানে প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবায় ছাড় পায়। জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবারকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবারের বয়স্ক মহিলাদের প্রতিবছর ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী সম্মাননিধির আওতায় ছয় হাজার টাকা করে পাচ্ছেন বছরে, বিজেপি এর পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণা করেছে।’’

    মোদির (PM Modi) গ্যারান্টি 

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি জম্মু ও কাশ্মীরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছে। এই তিনটি দল মিলে যেভাবে উপত্যকার মানুষের প্রতি অবিচার করেছে তা পাপের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আপনি এবং আমি মিলে একটি নিরাপদ কাশ্মীর গড়ে তুলব, এটাই মোদির গ্যারান্টি।’’

    সন্ত্রাসবাদের শেষ নিঃশ্বাস

    ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম দফার ভোট। এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ তার ‘শেষ নিঃশ্বাস’ নিচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এবং আপনারা একসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অংশে পরিণত করব।’’ তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পরে, জম্মু ও কাশ্মীর বিদেশি শক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল এবং রাজবংশীয় রাজনীতি এই সুন্দর অঞ্চলটিকে ভিতরে থেকে ফাঁপা করে দিয়েছে।’’

    গত ১০ বছরে বদলেছে জম্মু-কাশ্মীর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘আমরা ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছি।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পক্ষে আওয়াজ তুলেছে এবং তাঁদের সমর্থন করেছে। গত ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে যে পরিবর্তন এসেছে তা অনেকটা স্বপ্নের মত। যে পাথরগুলি আগে পুলিশ ও বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হত তা দিয়েই এখন নতুন জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) তৈরি হচ্ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Grant: ‘লাগবে না ৮৫ হাজার’, আরজি করের প্রতিবাদে দুর্গা-অনুদান ফেরাল একাধিক ক্লাব

    Durga Puja Grant: ‘লাগবে না ৮৫ হাজার’, আরজি করের প্রতিবাদে দুর্গা-অনুদান ফেরাল একাধিক ক্লাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja Grant) ফেরাচ্ছে একের পর এক ক্লাব। সকলেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে। ফলে, পুজো যত এগিয়ে আসছে, ‘দুর্গার ভান্ডার’ -এ প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা তত বাড়ছে। এবার সেই তালিকায় এবার নাম লেখাল কলকাতা থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, শিলিগুড়ির ক্লাব। সকলেরই একটাই কথা— লাগবে না ৮৫ হাজার।

    ‘‘৮৫ হাজার টাকা আমাদের দরকার নেই’’

    কলকাতার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালা মধ্যপাড়া আবাহনী ক্লাব এবার সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিল। এবার ৫০ বছরে পা দিচ্ছে আবাহনী ক্লাবের পুজো। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা দেবাশিস পাল বলেন, “আমরা ভাবতে পারছি না একজন ডাক্তার পড়ুয়ার এমন পরিণতি। আরজি করের একটা অসাধু চক্রই তো ওকে মারল। এই অন্যায় আমরা মানব না। আমরা মনে করি এখানে সরকারেরও কিছু অক্ষমতা আছে। এটা আমরা মানতে পারছি না। তাই ৮৫ হাজার টাকা আমাদের দরকার নেই। অনাড়ম্বরেই এবার আমরা পুজো করব।”

    মুখ ফেরাল দক্ষিণেশ্বরের ক্লাব (Durga Puja Grant)

    উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণেশ্বরের একটি ক্লাব ও রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান (Durga Puja Grant) ফিরিয়ে দিল। ওই ক্লাবের তরফে স্থানীয় থানায় চিঠি দিয়ে অনুদান না গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর বিজয় সঙ্ঘের পুজো এ বছর ২৩ বছরে পদার্পণ করেছে। এ প্রসঙ্গে পুজো উদ্যোক্তা রনিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্লাবের তরফে আমরা সকলে মিলে স্থির করেছি, যত দিন না আরজি করের নির্যাতিতা বিচার পাচ্ছেন, তত দিন এই অনুদান আমরা নেব না। পুজো হবে। তবে তা হবে আড়ম্বরহীন। পুজো হবে, কিন্তু উৎসব নয়। আমাদের বোন মারা গিয়েছে। সারা পৃথিবী দেখছে। এটা আমাদের কলকাতার লজ্জা। কেউ সমালোচনা করবেন না।’’

    আরও পড়ুন: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

     তালিকায় তৃণমূলের শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়রের ওয়ার্ডের ক্লাব

    ‘দুর্গার ভান্ডার’ ফিরিয়ে দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের একটি ক্লাবও। তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের ওয়ার্ড হাকিমপাড়া। এই এলাকার মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির নাম আহ্বান। এই ক্লাব দুর্গাপুজোর আয়োজনের জন্য সরকারি অনুদান (Durga Puja Grant) নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পুজোর আয়োজনে আড়ম্বরও বর্জন করা হয়েছে। শিলিগুড়ির ওই ক্লাবটি মূলত মহিলা পরিচালিত। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার আহ্বান ক্লাব এ বছর ২১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ক্লাবের সদস্য এবং পুজো উদ্যোক্তা মানসী দে বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার সুবিচার চেয়ে, ন্যায়ের দাবি জানিয়ে আমরা এ বারের দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছি।’’

    অনুদান নেবে না দুই মেদিনীপুরের দুটি ক্লাব

    দুই মেদিনীপুরের দু’টি দুর্গাপুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান করলো রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান (Durga Puja Grant)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Protest) ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে ও নির্যাতিতার বিচারের দাবিতেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে পুজো কমিটি দু’টির তরফে। তাদের মধ্যে একটি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সাগরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবং অন্যটি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দিঘা মোড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।

    অনুদান ফেরাল অশোকনগরের ক্লাবও

    আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের একটি পুজো কমিটি গত কয়েকবার সরকারের অনুদানের (Durga Puja Grant) টাকা নিলেও এবার তারা তা নেবে না বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছে। অশোকনগরের বাবা পঞ্চানন্দতলা দুর্গাপুজো কমিটিও এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারের অনুদান না নেওয়ার। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ অসিত ঘোষ বলেন, ‘‘এই অভয়ার জন্য আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার খারাপ লাগছে খুব। আমাদের গ্রামে কত মেয়েরা আছে। তাদের কথা ভাবি আমার মেয়ের কথা ভাবি। আমরা এজন্য এ বছরে টাকা নিচ্ছি না। এবারে আমরা চাই সুবিচার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে উপত্যকায় সংঘর্ষে খতম পাঁচ জঙ্গি

    Jammu Kashmir: প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে উপত্যকায় সংঘর্ষে খতম পাঁচ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার, উপত্যকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দফায় দফায় জঙ্গি (Jammu Kashmir) নাশকতার ছক বানচাল করল সেনা। শুক্রবার রাতে কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি খতম হয়। আবার বারামুলায় (Baramulla) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানেও রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে জওয়ানদের গুলির লড়াই চলেছে। সকালেও সেখানে চলছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, সেখানে সেনার গুলিতে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে। কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে ভারতীয় সেনার দুই জওয়ান নিহত হন। 

    নাশকতার ছক

    আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জম্মু–কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ভোট শুরু হবে। তিন দফায় হবে ভোট। বিধানসভা ভোট বানচালের উদ্দেশে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা সেখানে মরিয়া হয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি। সেনা সূত্রে খবর, ভোটমুখী কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। নির্বাচন ভেস্তে দিতে তৎপর তারা। কিন্তু সেই ছক ধরে ফেলেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কাশ্মীর উপত্যকার বারামুলায় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় দুই সেনা-সহ মোট সাত জনের মৃত্যু হল। শুক্রবার কাঠুয়ায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। উত্তর কাশ্মীরের বারামুলায় (Baramulla) পাট্টন এলাকায় চক টাপের ক্রেরিতেও শুক্রবার রাত থেকে গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। সেখানে শনিবার সকালে তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়।

    শনিবার, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) ডোডা জেলায় চিনাব উপত্যকায় ভোট প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার প্রথমে কিস্তওয়ারের ছাত্রুতে সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই জঙ্গিরা ডোডা থেকে এসে কিস্তওয়ারে ডেরা বেঁধেছিল বলে সেনার দাবি। কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন জুনিয়র কমিশনড অফিসার বিপন কুমার এবং অরবিন্দ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalia Scheme Scandal: ‘কালিয়া’ প্রকল্পে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, কাঠগড়ায় নবীন

    Kalia Scheme Scandal: ‘কালিয়া’ প্রকল্পে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, কাঠগড়ায় নবীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকারের বিরুদ্ধে। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে পতন ঘটে নবীন সরকারের। তারপরেই প্রকাশ্যে বিপুল পরিমাণ কেলেঙ্কারির (Kalia Scheme Scandal) অভিযোগ। ক্যাগের রিপোর্টে (CAG Report) প্রকাশ, নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে কৃষক সহায়তা কর্মসূচি, সংক্ষেপে কালিয়া-এর আওতায় ৭৮২ কোটিরও বেশি টাকা বিলি করা হয়েছে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের মধ্যে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (Kalia Scheme Scandal)

    ক্যাগের রিপোর্টটি বিধান পরিষদে উপস্থাপন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাজি। সেখানেই জোরালো প্রমাণ মিলেছে কেলেঙ্কারির অভিযোগের স্বপক্ষে। কালিয়ার ডেটাবেসের অডিট বিশ্লেষণে আরও কয়েকটি ডেটাবেসের তুলনা করে আরও ২.৯৬ লাখ অযোগ্য সুবিধাভোগীর হদিশ মিলেছে। যার ফলে মোট অযোগ্য সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২.৭২ লাখ। এঁদের মধ্যেই বিলি করা হয়েছে ৭৮২.২৬ কোটি টাকা।ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোগ্য সুবিধাভোগীদের যে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।

    অযোগ্য সুবিধাভোগী শনাক্ত

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে (Kalia Scheme Scandal), ২০১৯-২১ এই সময়সীমার মধ্যে বিভাগটি ৬৫.৬৪ লাখ সুবিধাভোগীকে কালিয়া সুবিধার সহায়তা বিলি করেছে। ৪১.৬৪ লাখ সুবিধাভোগীকে তিনবার, ৮.০৯ লাখ সুবিধাভোগীকে দুবার এবং ১৫.৯১ লাখ সুবিধাভোগীকে একবার করে কিস্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার সময় ৯.৭৬ লাখ অযোগ্য সুবিধাভোগীকে শনাক্তও করা হয়েছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১.২৮ লাখ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে ১০৭.৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকাও গিয়েছে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে। ক্যাগের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ১৪.০৪ লাখ ভূমিহীন কৃষিশ্রমিককে তিনটি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি না করেই। যা আদতে ব্যর্থ করেছে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যকে।

    আরও পড়ুন: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ! নিজের রক্ত দিয়ে বিচারের দাবি লিখলেন বিজেপির চিকিৎসক-নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভাগটির অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির অভাবে কালিয়া প্রকল্পের ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই ২০১৮ থেকে ২১ সালের মধ্যে ছটি কম্পোনেন্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র দুটি (CAG Report)। একটি হল, চাষিদের চাষের জন্য সহায়তা এবং ভূমিহীন কৃষি পরিবারের জন্য জীবিকা সহায়তা (Kalia Scheme Scandal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • RG Kar: ৫ দফা দাবি মিটলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar: ৫ দফা দাবি মিটলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমরাও দ্রুত আলোচনায় বসতে চাই, কাজে ফিরতে চাই। তবে, ৫ দফা দাবি নিয়ে কোনও সমঝোতা নয়। দাবি মিটলে তবেই উঠবে আন্দোলন।’’ হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে যাওয়া নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। মুখ্যমন্ত্রী ধর্না স্থল ঘুরে যাওয়ার পরও আন্দোলনকারীদের (RG Kar) কেউ কেউ জানান, তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড়। ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে বেসামাল অবস্থা মমতা সরকারের। অবশেষে ডাক্তারদের (RG Kar) আন্দোলনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন মুখ্যমন্ত্রী 

    শনিবারে দুপুরে আচমকা ধরনা মঞ্চে গিয়ে হাজির তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের (Junior Doctors) দাবিতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। তিনি আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন যে মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। তবে তিনি তা করেননি! এদিনও একই কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, ‘‘আমার পোস্ট বড় কথা নয়, মানুষের পোস্ট বড় কথা।’’ দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়ে, প্রশ্রয় দিয়ে তাঁদেরকে ক্ষমতার অলিন্দে নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের সন্দীপ ঘোষকে প্রাইজ পোস্টিং দেন তিনি তাও আবার ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। সেই মুখ্যমন্ত্রী একমাস পরে ১৮০ ডিগ্রি (RG Kar) ঘুরে গেলেন আন্দোলনের চাপে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই চালে ভোলেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সাফ কথা পাঁচ দফা দাবি মিটলে তবেই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।

    আন্দোলনকারীদের পাঁচ দাবি

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে, প্রথম থেকেই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি হল— এক) ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোরশাস্তির ব্যবস্থা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা। দুই) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করা। তিন) কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা। চার) হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। পাঁচ)  রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।

    কী বলছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো? 

    আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে অনিকেত মাহাতো সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আন্দোলনের (RG Kar) যে স্পিরিট নিয়ে চলছিল তা নিয়েই চলবে। আমরা আমাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। দ্রুত কাজেও ফিরতে চাই। আমরা কোনও অন্যায় দাবি করছি না। এই দাবি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। এই ৫ দফা নিয়ে আমরা কোনওরকম সমঝোতায় যেতে এখনও রাজি নয়।’’ পাশে দাঁড়িয়ে আর এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা নিজেরা আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী জানাব। আমরা সবসময় চাই আলোচনা করতে। কারণ আমরা চাই এই সমস্যার সুস্থ সমাধান হোক।’’

    ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না

    অপর এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভূমিকা হিসাবে দেখছি। ওয়েলকাম জানাচ্ছি। কিন্তু ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, আলোচনার সদিচ্ছা জানাচ্ছেন। আমরা সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা অচলাবস্থা কাটাতে চাই। আমরা চাই এক্ষুনি উনি আলোচনার টেবিলে বসুন। মিডিয়ার সামনেই সব হোক। আমরা চাই আমাদের দাবি উনি মেনে নিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox Vaccine: বিশ্বের প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল ‘হু’, কারা নিতে পারবেন এই টিকা?

    Mpox Vaccine: বিশ্বের প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল ‘হু’, কারা নিতে পারবেন এই টিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমগ্র বিশ্বজুড়ে ক্রমশ ছড়াচ্ছে এমপক্স ( Mpox Vaccine)। চরম দুশ্চিন্তায় বিশ্ববাসী। এই আবহের মধ্যেই স্বস্তির খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ‘হু’-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি এম পক্স ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম অনুমোদন দেওয়া হল। বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বাভারিয়ান নর্ডিক এএস ( Bavarian Nordic A/S) ভ্যাকসিনটিকে প্রাক-যোগ্যতা মানে সিলমোহর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানানো হয়েছে গাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং ইউনিসেফ এটি কিনতে পারে। কিন্তু একটিমাত্র প্রস্তুতকারক হওয়ার কারণে এর সরবরাহ অত্যন্ত সীমিত।

    আরও পড়ুন: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    কী বললেন হু‘র মহানির্দেশক? ( Mpox Vaccine)

    হু’র ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ‘‘আফ্রিকায় এমপক্সের বর্তমান প্রাদুর্ভাব এবং ভবিষ্যৎ সংক্রমণের মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল এর প্রাক-যোগ্যতা নির্ণয়।’’ ভ্যাকসিনটি যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে সংগ্রহ, অনুদান এবং প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হু-র প্রধান। 

    কারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন?

    হু জানিয়েছে, ১৮ বা তার বেশি বয়সের লোকেদের দু’টি ডোজের হিসেবে ভ্যাকসিন ( Mpox Vaccine) দেওয়া যেতে পারে। হু এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি বর্তমানে ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য অনুমোদিত নয়। শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়।

    চলতি বছরে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন?

    হু জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১২০টিরও বেশি দেশ ১.০৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত ( Mpox Vaccine) হয়েছেন। শুধুমাত্র ২০২৪  সালে ২৫ হাজার ২৩৭টি সন্দেহভাজন এবং আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪টি আফ্রিকান দেশে বিভিন্ন প্রাদুর্ভাবের কারণে ৭২৩ জন মারা গিয়েছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের আধিকারিকরা গত মাসে জানিয়েছিলেন, কঙ্গোতে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমপক্স দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা। যাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় ৮৫ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লালফৌজ। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেই এ খবর (S Jaishankar) জানানো হয়েছে (India China Relation)। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, রাশিয়ায় ভারত ও চিন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্থির হয়েছে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে চিন? (India China Relation)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবিকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব লাদাখের চার এলাকা মুক্ত করে দিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুপক্ষে।”

    সেনা প্রত্যাহার

    তিনি (India China Relation) বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে থাকা সীমান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে চিন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা দুই দেশের জনগণের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। দুই দেশই রাজি রয়েছে, উভয় দেশের প্রধানদের মধ্যে অর্জিত ঐক্যমত বাস্তবায়ন করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বাড়াবে, নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে। এর পরেই চিনা মুখপাত্র বলেন, “গালওয়ান-সহ চারটি এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্মত হয়েছে চিন ও ভারতীয় সেনা। সেই মতো দখল করা চারটি এলাকা থেকেই সরে গিয়েছে (S Jaishankar) চিনা ফৌজ (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ১৪ অগাস্টের পর এক মাস পার, শনিবার ফের ‘রাত দখলের’ ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: ১৪ অগাস্টের পর এক মাস পার, শনিবার ফের ‘রাত দখলের’ ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে হত্যার এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত, এখনও বিচার অধরা। ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলনে অনড় প্রতিবাদীরাও। গত পাঁচ দিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের ৫ দফা দাবি নিয়ে চলছে লাগাতার আন্দোলন। অভয়ার উপর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত আন্দোলন করে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগদান করেছেন সমাজে নানা বর্গের মানুষ। এই অবস্থায় ফের একবার রাত দখলের (Night protes) আহ্বান জানানো হল। আজ শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, রাতে রাজপথে নামার ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    রাত দখলের দিনে হামলা হয়েছিল (RG Kar Case)

    অভয়ার হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগাস্ট প্রথম মেয়েদের রাত দখলের ডাক (Night protest) দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাতে কলকাতা সহ জেলার প্রায় সব ছোট-বড় শহরে প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছিল। হাজার হাজার মহিলা, পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়র সকল স্তরের মানুষ রাত দখল করে বিক্ষোভ দেখান। কোথাও মশাল আবার কোথাও মোমবাতি হাতে ছিল। কেউ আবার শঙ্খ বাজিয়ে, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু ওই সময়ই আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ মঞ্চকে ভেঙে দিয়েছিল। এমনকী জরুরী বিভাগ সহ একাধিক বিভাগে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশের সামনে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। দোষীদের আড়াল করতে এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই এই ভাবে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল বলে জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছিলেন। সেই ঘটনার এক মাস পর ১৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 

    আরও পড়ুনঃ বর্ধমান মেডিক্যালে অভীক গ্যাং-এর ‘দাদাগিরি’! হুমকি-ফোন জুনিয়র ডাক্তারদেরকে

    ন্যায় বিচারের জন্য সকলে পথে নামুন

    আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়েছে, “এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা অত্যন্ত হতাশ। ১৪ সেপ্টেম্বর মহিলাদের রাত দখলের সময় আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Case) ভাঙচুর হয়। পুলিশ কার্যত দোষীদের আড়াল করতে কাজ করেছে। প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছি, স্বাস্থ্য অধিকর্তাদেরও পদত্যাগ দাবি করেছি। আমাদের ৫ দফা দাবিকে সামনে রেখে ন্যায় বিচারের জন্য সকলে পথে নামুন। গান, কবিতা, ছবি আঁকার মাধ্যমে আমাদের সমর্থন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: ১৮ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    Jagannath Temple: ১৮ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১৮ তারিখ ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সমীক্ষা চালাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্ন ভাণ্ডারে। এ বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। প্রসঙ্গত জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর পুরীর মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে এই সমীক্ষা চলার কারণে সেদিন সাময়িকভাবে ভক্তদের জগন্নাথ দর্শন স্থগিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    বেলা ১টা থেকে বন্ধ থাকবে জগন্নাথ দর্শন (Jagannath Temple)

    জগন্নাথ (Jagannath Temple) মন্দির কমিটির প্রধান অরবিন্দ পাধি সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, এএসআই (ASI) কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে একটি সমীক্ষার বিষয়ে জানিয়েছে যা চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর। এই কাজের জন্য জগন্নাথ মন্দির বন্ধ থাকবে ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১টা থেকে। এই সময়ই রত্ন ভাণ্ডারে প্রাথমিক সমীক্ষা চালাবে এএসআই কর্তৃপক্ষ। দ্বারপিঠ নীতি রাত দুটোর সময়তেই সম্পন্ন হবে। ভোর তিনটেতে মঙ্গল আরতিও চলবে। শুধুমাত্র বেলা ১ থেকে দর্শন বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এএসআই সমীক্ষার কাজে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

    জুলাই মাসে খোলা হয় রত্ন ভাণ্ডার (Jagannath Temple)

    প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসেই ৪৬ বছর পরে খোলা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। রাজ্য সরকারের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপিকে অনুসরণ করেই জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়। ওড়িশার বিজেপি সরকার ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে থাকা রত্ন ভাণ্ডার খোলার অনুমোদন আগেই দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, পুরীর রত্নভাণ্ডার নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে নানা মিথ। জানা যায়, ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরীর রাজা গজপতি রামচন্দ্র দেবের তৈরি করা একটি তালিকা অনুসারে— জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার সোনার মুকুট সহ ১৫০টি সোনার অলঙ্কার সহ ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে এই ঘরে। সোনার অলঙ্কারগুলির মোট ওজন নাকি ১৫ কেজিরও বেশি। রত্ন ভাণ্ডার খোলার পরে এবার তা নিয়ে সমীক্ষা চালাবে এএসআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (Retail Inflation) হার ছিল ৩.৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স। গ্রামীণ (RBI) ও শহরের সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতি অগাস্টে নেমে এসেছে ৩.৬৫ শতাংশে। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। তবে আগের মাসের ৩.৫৪ শতাংশের তুলনায় এটি বেড়েছে ১১০ বেসিস পয়েন্ট।

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail Inflation)

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টার্গেট ছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার হবে ৪ শতাংশ। যদিও এই হার ছিল এর অনেক নীচে। ফলে, বলা যেতেই পারে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের করা পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হারের পতন। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার রইল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার নীচে। জানা গিয়েছে, চলতি বছর অগাস্টে শহুরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে এই হার ছিল ৬.৫৯ শতাংশ। এই অগাস্টে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.১৬ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৭.০২ শতাংশ।

    কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স

    সমষ্টিগত কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের অগাস্টে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। গত অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৯৪ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে শহরাঞ্চলে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির ছিল ১০.৪২ শতাংশ। এই অগাস্টে এটাই হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ। চলতি বছর অগাস্টে গ্রামীণ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০২ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। বছরের সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছে টোমাটোর ক্ষেত্রে। এর হার ছিল -৪৭.৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ! নিজের রক্ত দিয়ে বিচারের দাবি লিখলেন বিজেপির চিকিৎসক-নেতা

    অগাস্টে (Retail Inflation) মসলা, মাংস, মাছ, ডাল ও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। চলতি বছরের অগাস্টের ফুড ইনফ্লেশন জুন ২০২৩ এর পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ভারতের সব রাজ্যের চেয়ে সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতির হার এবার বেশি ছিল বিহারে। অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৬২ শতাংশ। তার পরে ছিল ওড়িশা। সে রাজ্যে এই হার ৫.৬৩ শতাংশ। অসমে এই হার আরও কম। সেখানে এর হার ৫.০৩ শতাংশ (Retail Inflation)।

    এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে আমেরিকা, জার্মানি এবং ফ্রান্সের চেয়ে বেশি সফল হয়েছে ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের কারণ একটি গতিশীল আর্থিক ব্যবস্থা, যেখানে আরবিআই, সরকার এবং ব্যাঙ্কগুলো বাজার সংস্কার আনার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করেছে (RBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share