Blog

  • Daily Horoscope 13 September 2024: যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 September 2024: যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: জুনিয়র ডাক্তারদের শাস্তি হলেই দেশজুড়়ে আন্দোলন, হুঁশিয়ারি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলির

    Junior Doctors: জুনিয়র ডাক্তারদের শাস্তি হলেই দেশজুড়়ে আন্দোলন, হুঁশিয়ারি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar) ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থান ফের স্পষ্ট করল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে কর্মবিরতির পথে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে ১০টি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যেরা জানালেন, প্রয়োজনে সরকারি এবং বেসরকারি দুই হাসপাতালেই কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা।

    দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি (Junior Doctors)

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কাজে তো তাঁরা যোগ দেননি। বরং, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি পূরণ না হওয়ায় রাতভর চলে ধর্না। বুধবারও চলেছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতেই এবার রাজ্যকে কড়া বার্তা দিল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি। এমনকী তাঁরা হুমকি দেন, কাজে ফেরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশজুড়ে ফের আন্দোলনে নামতে পারেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি

    মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ বলেন, “আমরা সিনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যতটা সম্ভব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। সরকারের কাছে আবেদন করছি, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে মানুষের স্বাস্থ্য প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে যায়।” তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতি দমনের জন্য তাঁরা আবেদন করছেন। তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। যত পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো হচ্ছে, দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। আমরা সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই দুর্নীতিকে উৎপাটনের আবেদন করছি। সরকার এমন কোনও ঘটনা ঘটাবে না, যাতে চিকিৎসকদের (Junior Doctors) আন্দোলন হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়।”

    জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ‘ন্যায়সঙ্গত’

    ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’-এর সদস্য সুশান্ত চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) দাবি ‘ন্যায়সঙ্গত’। তিনি বলেন, “জুনিয়র জাক্তারেরা এমন কোনও দাবি করেননি, যা মানা যাবে না। এই দাবি মানার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা থাকা দরকার।” ওই সংগঠনের সদস্য তমোনাশ চৌধুরী বলেন, “সাধারণ মানুষকে সুস্থ পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন। দুঃখের ঘটনা, আমাদের বোনের মৃত্যু পর আগুন জ্বলেছে, তবে এই আগুন দীর্ঘদিন ধরে জ্বলছে।”

    ভুল তথ্য দিচ্ছে রাজ্য!

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। আইএমএ-র অ্যাকশন কমিটির সদস্য সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আইএমের পক্ষ থেকে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কাছে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি। তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে। সেই কমিটিতে অধ্যক্ষেরা রয়েছেন।” ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্টস অ্যান্ড জুনিয়র ডক্টরস জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পেশ করা জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) কর্মবিরতির জেরে রোগী মৃত্যুর হিসেব ভুল। খুব শীঘ্রই সব রাজ্যের রেসিডেন্ট ডক্টরসরা বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকেই ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রবিবারই সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরেই দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জহর।

    তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২

    প্রসঙ্গত, জহর সরকারের (Jawhar Sircar) ইস্তফার ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২। পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৬টি রাজ্যসভার আসন রয়েছে। তার মধ্যে একটি খালি হয়ে গেল। তৃণমূলের ১২ জন ছাড়াও বিজেপির দুই এবং বামেদের এক জন রাজ্যসভা সাংসদ রইলেন। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, ২০২২ সালে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন জহর। দলের একটা গোটা দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন

    গত রবিবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে মমতাকে চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’’

    মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে রাজনৈতিক বলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ফুঁসতে থাকে গোটা বাংলা। সেই সময়ই প্রতিবাদ জানান জহর সরকার। প্রকাশ্যেই জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু একবাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: পুজোর আগেই বাংলা পাচ্ছে তিনটি বন্দে ভারত, কোন কোন রুটে ছুটবে এই ট্রেন?

    Vande Bharat: পুজোর আগেই বাংলা পাচ্ছে তিনটি বন্দে ভারত, কোন কোন রুটে ছুটবে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। বিশেষ উপহার পাচ্ছে বাংলা। যাত্রীদের সুবিধার জন্য নতুন বন্দে ভারত চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এবার চলবে আরও তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। আগামী রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে সেই ট্রেন চালু হবে। ওইদিন মোট ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যেই থাকছে বাংলার জন্য তিনটি ট্রেন।

    কমলা রঙের বন্দে ভারত, কোন রুটে চলবে? (Vande Bharat)

    বর্তমানে হাওড়া থেকে দু’টি বন্দে ভারত (Vande Bharat) চলে। একটি নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এবং আর একটি ওড়িশার পুরী পর্যন্ত। বন্দে ভারত নিয়ে প্রথম থেকে উচ্ছ্বাস এবং কৌতূহল ছিল যাত্রীদের মধ্যে। অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই প্রিমিয়াম ট্রেন। চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং যাত্রী পরিষেবায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে এবার হাওড়া থেকে আরও তিনটি পথে বন্দে ভারত চালানোর উদ্যোগ নিল রেল। রেল সূত্রে খবর, এই তিনটি ট্রেন হল হাওড়া-ভাগলপুর, হাওড়া-গয়া এবং হাওড়া-রাউরকেল্লা। ইতিমধ্যেই এই ট্রেনগুলির কমলা রঙের বগি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। হাওড়া কোচিং ইয়ার্ডে সেগুলি চলে এসেছে। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে খুব শীঘ্রই। আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পরিষেবা চালু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রেনগুলি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনটি ছাড়াও দেওঘর থেকে বারাণসী বন্দে ভারত একই সঙ্গে চালু হবে।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    রাজ্যে বন্দে ভারত বেড়ে হল ৯টি

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) চলাচল করে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি। বর্তমানে যে রুটগুলিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল করে, সেই রুটগুলি হল-হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি এবং নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা। রাজ্যে প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া (Howrah) থেকে। সেটি হল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। এরপর হাওড়া-পুরী এবং এনজিপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত চালু হয়। ট্রেনগুলি চালিয়ে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি। তাই এ বার আরও বেশ কয়েকটি নতুন পথে বন্দে ভারত চালানোর এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Madrasa Education: প্রকৃত শিক্ষার অনুপযোগী মাদ্রাসা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

    Madrasa Education: প্রকৃত শিক্ষার অনুপযোগী মাদ্রাসা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয় মাদ্রাসা। মাদ্রাসার (Madrasa Education) মতো প্রতিষ্ঠান শিশু শিক্ষা অধিকারের বিরোধী। সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। মাদ্রাসার কর্মপদ্ধতিও বিধিবহির্ভূত বলে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানাল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর (NCPCR)। 

    কেন একথা বলল এনসিপিসিআর?

    কয়েকদিন আগেই একটি রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, মাদ্রাসা (Madrasa Education)  শিক্ষা আইন, ২০০৪ ‘অসাংবিধানিক’। কারণ তা ‘ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি’কে লঙ্ঘন করে। সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদের অধীনে মৌলিক অধিকার বিরোধীও। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা জমা পড়ে। যার পর গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ওই মামলা সূত্রেই জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন মাদ্রাসা সম্পর্কে নিজেদের লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।

    কী বলল কমিশন?

    ২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট বা শিক্ষার অধিকার আইনের এক্তিয়ারে পড়ে না মাদ্রাসা (Madrasa Education)। ফলে মিড ডে মিল, ইউনিফর্ম, প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা পাওয়ার অধিকার ইত্যাদি আইনি সুযোগ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়ে চলেছে। দেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য চালু বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগও তারা পাচ্ছে না। কমিশনের মতে, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতের খুব অল্পই মাদ্রাসায় শেখানো হয়। মূলত ধর্মীয় শিক্ষাই প্রাধান্য পায়। সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি পরিচালক দ্বারা। মূলত তিন ধরনের মাদ্রাসার উল্লেখ করেছে এনসিপিসিআর। 

    তিন ধরনের মাদ্রাসা

    স্বীকৃত মাদ্রাসা– যেখানে ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি বিধিবদ্ধ শিক্ষার কিছুটা শেখানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত। যাদের ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড আছে। 
    অস্বীকৃত মাদ্রাসা– যেখানে বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই। পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেই।
    ভুয়ো মাদ্রাসা– যারা কখনওই রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়ার আবেদন করেনি। এনসিপিসিআর-এর নথি অনুযায়ী দেশের সর্বত্র এমন মাদ্রাসার সংখ্যা বিপুল। এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানে কেমন শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষা দেওয়ার পরিবেশ ও পরিকাঠামো আছে কিনা, তা জানা কঠিন। এখানকার শিক্ষার্থীদের তাই অশিক্ষিত হিসেবেই ধরা হয়।

    সাংবিধানিক ধারা লঙ্ঘন

    কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাদ্রাসায় (Madrasa Education) অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের ইসলামিক ধর্মীয় রীতি মেনে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ২৮ (৩) ধারার সম্পূর্ণ বিরোধী বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, একটি মাদ্রাসা ‘সঠিক’ শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি ‘অযোগ্য স্থান’। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে সন্তোষজনক জায়গা নয় তো বটেই, এমনকী সেখানে শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ২৯ এর অধীনে নির্ধারিত পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও অনুপস্থিত। এই প্রতিষ্ঠান সাংবিধানিক আদেশের সামগ্রিক লঙ্ঘন…এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫-এর লঙ্ঘন করছে। কমিশনের দাবি, আদতে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এছাড়াও মৌলিক অধিকার–কোনও শিশুর ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য না করা , শিশুদের সুস্থভাবে এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদার সঙ্গে বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়, তাদের শোষণ থেকে দূরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপিসিআর-এর দাবি, এমন একাধিক শর্ত পূরণ হয় না মাদ্রাসায়।

    আরও পড়ুন: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    কমিশনের যুক্তি

    ধর্মীয় শিক্ষার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে কীভাবে অর্থ খরচ করা হয়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য গত মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ধারা, ২৫ ধারা, ২৬ ধারা, ২৯ ধারা এবং ৩০ ধারার বিরোধী কিনা, তাও ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে হাইকোর্টে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মাদ্রাসায় (Madrasa Education) শিশুদের যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা উপযুক্ত নয়। যা ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের ধারার বিরোধী। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন প্রয়োজ্য হয় না। সাধারণ স্কুলের পড়ুয়ারা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, তা থেকে বঞ্চিত হয় মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় যে কোনও স্কুলকে মৌলিক শিক্ষা প্রদান করতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষার অধিকার আইনের বিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডে সমর্থন করতে পারে না রাষ্ট্র, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনই অভিমত প্রকাশ করে এনসিপিসিআর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sitaram Yechury: প্রয়াত প্রবীণ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বয়স হয়েছিল ৭২ বছর

    Sitaram Yechury: প্রয়াত প্রবীণ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বয়স হয়েছিল ৭২ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। অসুস্থ হয়ে তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২৫ দিনের যুদ্ধ শেষ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ৭২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। নিউমোনিয়া হয়েছিল সিপিএম নেতার। বুধবার রাতে এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল। একদিন পরই, আজ বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।

    ১৯ অগাস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন (Sitaram Yechury)

    গত অগাস্টে সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। সেই কারণে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পরও কলকাতায় আসতে পারেননি। এরপরই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইয়েচুরির জ্যেষ্ঠ পুত্র আশিস ইয়েচুরি (৩৫) কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুসের জটিল সংক্রমণে মারা যান। গত ১৯ অগাস্ট থেকে বুকে সংক্রমণ নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন সীতারাম। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। এইমসের আইসিইউ-তেই চলছিল চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখছিলেন। গত মঙ্গলবার, সিপিআইএমের (CPIM) তরফে এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছিল, সীতারাম ইয়েচুরিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। বুধবার অবশ্য জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে একটি ইনজেকশন দিয়ে তাঁর প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু জানিয়েছেন, সীতারাম আর নেই। দুপুর ৩টে ৩ মিনিটে প্রয়াত হন।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ৯ বছর

    ১৯৫২ সালে তৎকালীন মাদ্রাজে (চেন্নাই)-র এক তেলুগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ছাত্র-জীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনবার জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ জরুরি অবস্থার সময় জেনেইউ-এর ছাত্র থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সীতারাম। গত ৯ বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইয়েচুরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের (RG Kar) মর্গে মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির কারবার ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। দুর্নীতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এসেছে, গভীর রাতে মর্গে চলত মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, ধৃত সঞ্জয় রায়ের ফোনে সেই ছবিই পেয়েছেন আধিকারিকরা। এতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ, আরজি করের (RG Kar) মর্গ কি তবে বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল?

    পড়শি দেশেও পাচার করা মৃতদেহের অঙ্গ (RG Kar)

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, দুর্নীতির তদন্তে নেমে দেখা যাচ্ছে যে আরজি করের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালের মর্গ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। তবে সরকারি হাসপাতালই নয় বেশ কতগুলো বেসরকারি হাসপাতালও এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে নেওয়া হত। একেকটি অঙ্গের দর অন্তত চার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত উঠত। তার পরে এই অঙ্গগুলি পাচার করা হত দেশের অন্যান্য রাজ্যে। এর পাশাপাশি, পড়শি দেশেও পাচার করা এই অঙ্গ (RG Kar), এমনটাই জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই মানবদেহের হৃদপিণ্ড, যকৃত, কিডনির চাহিদাও বেড়েছে। এগুলি মূলত শিক্ষাদানের কাজেই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি এই কাজে যুক্ত ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুইজনকে ইতিমধ্যে ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং অঙ্গ ব্যবসার জোরালো সূত্র মিলেছে তাঁদের কাছ থেকে। সাধারণভাবে যে নিয়ম রয়েছে তাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ সাধারণত সাত দিন পেরোলে তা পুড়িয়ে দেওয়ার কথা। আইন অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ নিতে হলে স্বাস্থ্য ভবনের ছাড়পত্র প্রয়োজন কিন্তু সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডাক্তারদের সিন্ডিকেটই অঙ্গ ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে বলে খবর।

    মর্গের মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, তারপর তা ক্যামেরাবন্দি করত ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার

    সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ও মর্গে অবাধেই যাতায়াত করত। রাত বাড়লেই শুরু হত আরজি করে কুকীর্তি! তবে শুধু ধৃতই সিভিক ভলান্টিয়ারই নয়, বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, সেখানে যাতায়াত ছিল আরও অনেকেরই। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। মেডিক্যাল কলেজের মর্গের ভিতরের একটি ভিডিও উদ্ধার হয়েছে ধৃতের মোবাইল থেকে। সেখানে মরদেহের সঙ্গে সহবাসের ছবি মিলেছে ধৃতের। এখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। সাধারণভাবে, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করা এক ধরনের মানসিক ব্যাধি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘নেক্রোফিলিয়া’। কিন্তু শুধুই কি মানসিক ব্যাধির কারণেই এমনটা করত সঞ্জয়? নাকি আরজি করের (RG Kar) মর্গ হয়ে উঠেছিল বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র? এটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। মোটা টাকার বিনিময়ে এই সমস্ত ভিডিও বিদেশে বিক্রি করা হত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের এমন কাণ্ডের ছবি মর্গের ভিতরে কারা তুলত? এবিষয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আরজি করের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানো সিন্ডিকেটের কয়েকজনই সেই ছবি তুলত। পর্নোগ্রাফি চক্রের পাশাপাশি বেওয়ারিশ মৃতদেহের হিসাবেও গরমিল উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    ২০২১ সাল থেকে বছরে ৬০-৭০টি করে মৃতদেহ পাচার করা হত 

    তদন্তকারীরা (CBI) জানাচ্ছেন, ২০২১ সাল থেকে বিগত কয়েক বছরে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি করে দেহের হিসাব পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা এক্ষেত্রে জানতে পেরেছেন সন্দীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আনেন এবং তাঁকেই ‘হেড ডোম’ করা হয় মর্গের। অন্যদিকে, মর্গ তৈরির সময় থেকে যিনি ‘হেড ডোম’ ছিলেন তাঁকে সিন্ডিকেটের প্রভাবে অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    রাত হলেই মর্গে আনাগোনা করতেন সিন্ডিকেটের নেতারা

    প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে মর্গ বন্ধ করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত মর্গে আলো জ্বলত বলে জানা গিয়েছে। আরজি করে বর্তমানে ৪০টিরও বেশি কোল্ড চেম্বার রয়েছে। রাতে সেই চেম্বার খোলা হত বলেও অভিযোগ। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সেই সময়েই বের করা হত মৃতদেহ। তার পরে চলত সহবাস, যা মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করা হত। দুর্নীতির সেই শিকড় খুঁজছে সিবিআই। মর্গের এক কর্মী নিজের নাম গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সন্ধ্যা হলেই মর্গে নিয়ে আসা হত মদের বোতল। সেখানে আমাদের মতো ছোটখাটো কর্মীদের কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। বললেই হয় বদলি, নয় চাকরি যাওয়ার হুমকি দেওয়া হত।’’ অভিযোগ, রাত বাড়লেই মর্গে এসে ঢুকতেন সিন্ডিকেটের দাপুটে নেতাদের অনেকেই। ওই কর্মীর কথায়, ‘‘অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকাটাই তো অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার চোয়ালের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ওই চিহ্ন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কি না, তা জানতে চায় সিবিআই। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের। সূত্রের খবর, তবে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। নিশ্চিত হতে এ বার সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হল।  

    জেলে গিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের নমুনা সংগ্রহ (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারীরা। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ার পরই বুধবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির আধিকারিকরা পৌঁছন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক সেখানে কাটান। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাঁর দাঁতের গঠনের ছবি করেন। সঞ্জয়ের কামড়ের নমুনা বা টিথ ইমপ্রেশন সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার শরীরে যে কামড়ে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, এই নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, যেদিন সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই দিন তাঁর ডানদিকের চোয়ালে কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বিষয়টিকে ‘বাইট মার্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার নির্যাতিতার শীরের দাগটি সঞ্জয়ের থেকেই তৈরি হওয়া কি না তা নিশ্চিত হতেই দিল্লিতে সিএফএসএল দিল্লিতে এই নমুনা পাঠাল সিবিআই। অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে যাচ্ছে, এইমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    সিবিআইয়ের অনুমান

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদি সঞ্জয়ের দাঁতের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে নির্যাতিতার শরীরের কামড়ের চিহ্ন না মেলে তাহলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকবে বলে অনুমান সিবিআইয়ে (CBI)। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। আপাতত আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সঞ্জয়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এবার সিবিআই-এর নজরে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে পৌঁছন। বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও যান অফিসাররা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে।

    দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি 

    প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি রাজ্যের হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ যখন সিবিআই আধিকারিকরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন, তখন নীচের তলার অফিস ঘরেই ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন জন সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সুদীপ্তকে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। 

    সুদীপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ্ত রায়। ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় সুদীপ্ত রায়ের। সকালে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন সন্দীপ। কল ডিটেলস রেকর্ডের সূত্র ধরে জানতে পেরেছে সিবিআই।  সেই সূত্র ধরেই তদন্তে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুদীপ্ত রায়কে নিয়ে প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন-মেডিক্যাল আখতার আলি। তিলোত্তমা পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আখতার আলি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, এক প্রভাবশালীর নার্সিংহোমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হত। হাসপাতালের যাঁরা ভেন্ডার, তাঁদের দিয়ে সেই নার্সিংহোমের কাজ করানো হত। জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সুদীপ্তের নার্সিংহোমে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    নানা প্রান্তে ইডির তল্লাশি

    এদিন আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির একটি দল চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে যায়। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল ভেন্ডরের বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই ‘সোনার বাংলা’। বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের (Power Crisis) প্রধান মহম্মদ ইউনূস। দেশের একমাত্র নোবেলজয়ীর হাতে দেশের ভার সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন হাসিনাকে দেশছাড়া করে কী ভুলটাই না করেছেন তাঁরা! এখন দেখে নেওয়া যাক, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ।

    বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি (Bangladesh Crisis)

    দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে বাংলাদেশে। আকছার হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জেরে শিল্প উৎপাদন ও নাগরিকদের দুর্দশার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। কয়লার ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। ত্রিপুরা থেকে রফতানি হ্রাসের কারণে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্যা আরও বেড়েছে। ভারতের আদানি গ্রুপের কাছে বাংলাদেশের দেনা রয়েছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৮২০ মিলিয়ন ঘনফুট। পাওয়ার ক্রাইসিসের যে আশু কোনও সমাধান নেই, তা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিনান্স ও কমার্স উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ ছন্দে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করছে। ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি ও কয়লা আমদানিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    আইনশৃঙ্খলার অবনতি

    সংরক্ষণকে ঘিরে যে আন্দোলন (Bangladesh Crisis) শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে ভাঁটা পড়েছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশও ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের দায়িত্ব বর্তেছে ইউনূসের হাতে। তবে তাতে যে বাংলাদেশের খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি এখনও। খুন-জখম-রাহাজানি চলছেই। সোমবারই খুন হয়েছেন বগুড়ার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজান। এদিনই খুন হয়েছেন লেডু নামেও আর একজন। এর ঠিক আগের দিন আশুলিয়া শহরে একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা সেনা, পুলিশ এবং রাবকে আক্রমণ করে। বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই সেখানে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। তাদের ওপরই হামলা চালান ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

    জামিনে মুক্ত সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা

    ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতায় এসেই (Power Crisis) ইউনূস মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু জঙ্গি এবং দাগি আসামীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যাপক অবনতি হয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে অন্তত ৬ জন শীর্ষ অপরাধী ও জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কিলার আব্বাস, শেখ মহম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, ইমামুল হাসান হেলাল, সানজিদুল ইসলাম, নাইম আহমেদ ও খোরশেদ আলম রাসু। কুখ্যাত এই জঙ্গিরা ১০-১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল বাংলাদেশের জেলে।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    ফেলে দেওয়া থুতু গিলতে হল!

    মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়েছিল বাংলাদেশও। অথচ, দেশের ক্রাইসিস মেটাতে তাদেরই নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের ওপর। এতদিন যারা ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছিল, তারাই এখন ২.৩১ লাখ মুরগির ডিম আমদানি করেছে। সোমবারই প্রথম লটের ডিম চলে গিয়েছে ‘সোনার বাংলা’য়।

    ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত

    কুর্সি যাতে খোয়াতে না হয়, তাই ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হতে দিয়েছেন ইউনূস স্বয়ং। গদি ধরে রাখতে একদিকে তিনি যেমন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসালমির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, তেমনি মুক্তি দিয়েছেন মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেতা মহম্মদ জসিমউদ্দিন রহমানিকে। হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তাকেও বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে ইউনূস আস্থা অর্জন করছেন সে দেশের মুসলমানদের।

    রোহিঙ্গা সমস্যা

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে মায়ানমার ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। গত আট থেকে ১০ দিনে ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। সীমান্তে অপেক্ষা করছে আরও অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মূলত রাতের অন্ধকারেই সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। রিফিউজি রিলিফ ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এ দেশে ঢুকছে, তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে থাকা তাদের আত্মীয়দের কাছে এসে উঠছে। ঠিক কতজন ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে (Power Crisis), তা বলতে পারব না (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share