Blog

  • Chhattisgarh: মাওবাদী দমনে সক্রিয় সরকার, ৪ হাজার সিআরপিএফ পৌঁছল ছত্তিশগড়ে

    Chhattisgarh: মাওবাদী দমনে সক্রিয় সরকার, ৪ হাজার সিআরপিএফ পৌঁছল ছত্তিশগড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী মুক্ত (Action against Maoist) দেশ গঠনের লক্ষ্যে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দক্ষিণ বস্তারে ৪ হাজার বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করল সিআরপিএফ (CRPF)। মাওবাদী ডেরা হিসাবে পরিচিত ছত্তিশগড়ের বস্তার (Bastar)। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বস্তারে তিন ব্যাটালিয়ান ফোর্স আনা হয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে। একটি ব্যাটালিয়ান ফোর্স যাচ্ছে বিহার থেকে। 

    মাও দমনে পরিকল্পনা

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা সোমবার বস্তারে জানিয়েছেন যে, নকশালবাদের (Action against Maoist) বিরুদ্ধে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য যা যা করা দরকার তা তাঁরা করবেন। তিনি বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। আমরা বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানে এবং মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই-এর নির্দেশনায় এই সমস্ত করা হচ্ছে যাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে।” উল্লেখ্য, মাওবাদী ডেরার আঁতুরঘরে গত কয়েক বছর ধরে গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক কাউন্টার অপারেশন চলছে। দক্ষিণ বস্তারে মাওবাদীদের ডেরায় হানা দিয়ে বড়সড় অভিযানে নামে ফোর্স। বস্তারের মাওবাদী দুর্গে আঘাত হানা হয়। আগে, এই এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতে পারত না সরকার। সাধারণ মানুষ তো একেবারেই না। এখন, মাওবাদীদের ১০০টি ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেসে সিআরপিএফ টিম রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লক্ষ্য

    এর আগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) রায়পুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী (Action against Maoist) মুক্ত হবে দেশ। তিনি জানান, মাওবাদীদের জন্য নতুন আত্মসমর্পণ নীতি আনা হবে। তাই মাওবাদীরা যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই আর্জি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মাওবাদীদের সন্ত্রাস দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এখনও পর্যন্ত মাওবাদী হামলায় অন্তত ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় ছত্তিশগড় সরকার। উল্লেখ্য, মাওবাদী ডেরা চূর্ণ করতে, প্রথমেই সাধারণ মানুষকে নিজের পক্ষে নেওয়ার পথে এগোয় প্রশাসন। সেখানে উন্নতমানের রাস্তা, সামাজিক উন্নয়ন, সহ একাধিক পদক্ষেপ সরকার করেছে। এর হাত ধরে ধীরে ধীরে মাওবাদীদের প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে আনা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    অহং কিন্তু যায় না—“বজ্জাৎ আমি”—“দাস আমি” 

    যে আমিতে সংসারী করে, কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্ত করে, সেই আমি খারাপ। জীব ও আত্মার প্রভেদ হয়েছে, এই আমি মাঝখানে আছে বলে। জলের উপর যদি একটা লাঠি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে দুটো ভাগ দেখায়। বস্তুত, এক জল; লাঠিটার দরুন দুটো দেখাচ্ছে।

    অহং-ই এই লাঠি। লাঠি তুলে লও, সেই এক জলই থাকবে।

    বজ্জাৎ আমি কে? যে আমি বলে (Kathamrita), আমায় জানে না? আমার এত টাকা, আমার চেয়ে কে বড়লোক আছে? যদি চোরে দশ টাকা চুরি করে থাকে, প্রথমে টাকা কেড়ে লয়, তারপর চোরকে খুব মারে; তাতেও ছাড়ে না, পাহারাওয়ালাকে ডেকে পুলিসে দেয় ও ম্যাদ খাটায়, বজ্জাৎ আমি বলে, জানে না—আমার দশ টাকা নিয়েছে! এত বড় আস্পর্ধা!

    বিজয়—যদি অহং না গেলে সংসারে আসক্তি যাবে না, সমাধি হবে না, তাহলে ব্রহ্মজ্ঞানের পথ অবলম্বন করাই ভাল, যাতে সমাধি হয়। আর ভক্তিযোগে যদি অহং থাকে তবে জ্ঞানযোগই ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুই-একটি লোকের সমাধি হয়ে ‘অহং’ যায় বটে, কিন্তু প্রায় যায় না। হাজার বিচার কর, ‘অহং’ ফিরে ঘুরে এসে উপস্থিত। আজ অশ্বত্থগাছ কেটে দাও, কাল আবার সকালে দেখ ফেঁকড়ি বেরিয়েছে। একান্ত যদি ‘আমি’ যাবে না, থাক শালা ‘দাস আমি’ হয়ে। ‘হে ঈশ্বর! তুমি প্রভু, আমি দাস’ এইভাবে থাক। ‘আমি দাস’, ‘আমি ভক্ত’ এরূপ ‘আমিতে’ দোষ নাই; মিষ্ট খেলে অম্বল হয়, কিন্তু মিছরি মিষ্টির (Kathamrita) মধ্যে নয়।

    জ্ঞানযোগ ভারী কঠিন। দেহাত্মবুদ্ধি না গেলে জ্ঞান হয় না। কলিযুগে অন্নগতপ্রাণ—দেহাত্মবুদ্ধি, অহংবুদ্ধি যায় না। তাই কলিযুগের পক্ষে ভক্তিযোগ। ভক্তিপথ সহজ পথ। আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে (Ramakrishna) লাভ করবে, কোন সন্দেহ নাই।

    যেমন জলরাশির উপর বাঁশ না রেখে একটি রেখা কাটা হয়েছে। যেন দুই ভাগ জল। আর রেখা অনেকক্ষণ থাকে না। দাস আমি, কি ভক্তের আমি, কি বালকের আমি—এরা যেন আমির রেখা মাত্র।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষকাল আগে পুলিশ গ্রেফতার করে আল কায়েদা-লিঙ্কড (Al Qaeda) সন্ত্রাসী (Suicide Squad) মডিউলের প্রধান ডঃ ইশতিয়াককে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার, পুলিশের সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, এই ইশতিয়াক ভারতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টায় ছিল।

    ইশতিয়াকের কীর্তি (Al Qaeda)

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ট্রেনিংয়ের। সেজন্য একটি পার্বত্য এলাকা বেছে নিয়েছিল ইশতিয়াক। এখানেই জঙ্গি তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তরুণদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হচ্ছিল এই এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ধৃত ইশতিয়াক, ইনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, মতিউর রহমান এবং আলতাফকে নিয়ে রাঁচি পৌঁছেছে। অভিযুক্তরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কতদূর এগিয়েছিল, তা জানতেই রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।

    ঘন জঙ্গলে শিবির

    জঙ্গিরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারা রাঁচির চানহো গ্রামের কাছে নকাটা জঙ্গলে যেত। এই জঙ্গলের আশপাশে কোনও জনবসতি নেই। তাই ঘন জঙ্গলের ভেতরে কী হচ্ছে, বাইরে থেকে কারও নজরে আসে না। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। অপরাধীরা পুলিশকে জানিয়েছে, সেখানে তাদের আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Squad) হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ইশতিয়াকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছিল। এই ইশতিয়াকই তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল। তাদের সবার লক্ষ্য, ভারতে ইসলামি শাসন কায়েম করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এই জঙ্গি দলের (Al Qaeda) নেতা ইশতিয়াক। সন্ত্রাসীদের কয়েকজন সদস্যকে একই রকম প্রশিক্ষণ দিতে রাজস্থানে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (আকিস) মডিউলের সদস্য (Suicide Squad)। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইশতিয়াক তার সন্ত্রাসী মডিউলকে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেও বিস্তৃত করেছিল। সে বিহারের লখিসরাই থেকে অস্ত্র কিনেছিল। রাজস্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে একে-৪৭ রাইফেল, .৩৮ বোর রিভলভার, ৬টি তাজা কার্তুজ, .৩২ বোরের ৩০টি তাজা কার্তুজ, একে-৪৭ রাইফেলের ৩০টি কার্তুজ, ডামি ইনসাস, এয়ার রাইফেল, লোহার কনুই পাইপ, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছিল । পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের (Al Qaeda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

     সপ্তভূমি—অহংকার কখন যায়— ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা 

    জ্ঞানলাভ হলে অহংকার যেতে পারে। জ্ঞানলাভ হলে সমাধিস্থ হয় (Kathamrita)। সমাধিস্থ হলে তবে অহং যায়। সে জ্ঞানলাভ (Ramakrishna) বড় কঠিন।

    বেদে আছে (Kathamrita) যে, সপ্তমভূমিতে মন গেলে তবে সমাধি হয়। সমাধি হলেই তবে অহং চলে যেতে পারে। মনের সচরাচর বাস কোথায়? প্রথম তিনভূমিতে। লিঙ্গ, গুহ্য, নাভি—সেই তিনভূমি, তখন মনের আসক্তি কেবল সংসারে—কামিনী-কাঞ্চনে। হৃদয়ে যখন মনের বাস হয়, তখন ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) জ্যোতিঃদর্শন হয়। সে ব্যক্তি জ্যোতিঃদর্শন করে বলে একি! একি! তারপর কণ্ঠ। সেখানে যখন মনের বাস হয়, তখন কেবল ঈশ্বরীয় কথা কহিতে ও শুনিতে ইচ্ছা হয়। কপালে—ভ্রূমধ্যে—মন গেলে তখন সচ্চিদানন্দরূপে দর্শন হয়, সেই রূপের সঙ্গে আলিঙ্গন স্পর্শন করতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু পারে না। লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না। সপ্তমভূমিতে মন যখন যায়, তখন অহং আর থাকে না—সমাধি হয়।”

    বিজয়—সেখানে পৌঁছিবার পর যখন ব্রহ্মজ্ঞান হয়, মানুষ কি দেখে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সপ্তমভূমিতে মন পৌঁছিলে কি হয় মুখে বলা যায় না।

    জাহাজ একবার কালাপানিতে গেলে আর ফিরে না। জাহাজের খপর পাওয়া যায় না। সমুদ্রের খপরও জাহাজের কাছে পাওয়া যায় না।

    নুনের ছবি সমুদ্র মাপতে গিছিল। কিন্তু যাই নেমেছে, অমনি গলে গেছে! সমুদ্র কত গভীর কে খপর দিবেক? যে দিবে, সে মিশে গেছে। সপ্তমভূমিতে মনের নাশ হয়, সমাধি হয়। কি বোধ হয়, মুখে বলা (Kathamrita) যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পরই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নারায়ণপুরে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর আর কয়েকশো বিঘা জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পরে বেলেঘাটা, নিউটাউনেও তাঁর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) নতুন ঠিকানার হদিশ পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। সেখানে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে সন্দীপের ফ্ল্যাট। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন আবাসনের আবাসিকরা? (Sandip Ghosh)

    আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন সন্দীপ, সেই সময় ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার ‘সবিতা রেসিডেন্সি’ নামে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে ফ্ল্যাটটি। তবে এই ফ্ল্যাটে তিনি (Sandip Ghosh) নিয়মিত যেতেন না বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। এক আবাসিকের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বদলি হয়ে আসার পর একবার মাত্র ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন সন্দীপ। আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘গত চার বছরের মধ্যে একবারও চোখে দেখিনি ডাক্তারবাবুকে (সন্দীপ)। তবে অনেকের মুখে জেনেছিলাম, এই আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটে না এলেও আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসের খরচ অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন সন্দীপ। ইলেকট্রিকের বিলও অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন, এমনটাই জানিয়েছেন আবাসিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ফ্ল্যাট!

    জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের পার্কিং লটে একটি গ্যারেজ রয়েছে সন্দীপের নামে। তবে বর্তমানে গ্যারেজটি ইসলামপুরের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, গোরাবাজারের ফ্ল্যাট ছাড়াও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ২০০০ স্কোয়ার ফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) নামে। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, নতুন হাসপাতালে (মেডিক্যাল কলেজ) থাকার সময় ডাক্তারবাবু গোরাবাজের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তখন আমার দোকানে জিনিসপত্র কিনতে আসতেন। সেই সময় তাঁকে দেখেছিলাম। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর তাঁকে দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 11 September 2024: সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 September 2024: সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পারিবারিক ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো হবে।

    ২) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসার কাজে ক্রোধের প্রকাশ ঘটাবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) দাম্পত্য কলহ হতে পারে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দুর্বুদ্ধি বাড়তে দেবেন না।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বিষয়-সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    মীন

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগে ব্যবহৃত হয় না তেল, হলুদ, লবণ! নিষিদ্ধ পশুবলিও

    Durga Puja 2024: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগে ব্যবহৃত হয় না তেল, হলুদ, লবণ! নিষিদ্ধ পশুবলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার খাগড়ায় তিন নম্বর গিরিজা চক্রবর্তী লেনের সেন বাড়ির আদি দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্যই আলাদা। বংশধর সুবীর সেন জানালেন, এই বাড়ির উৎসব ১৮৯৬ সালে রাধাকৃষ্ণ সেনের হাত ধরে শুরু হয়েছিল। যদিও এক্ষেত্রে আসল ভূমিকা গ্রহণ করেন তাঁরই বাল্যবিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী, যিনি অনেক আগে থেকেই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো করতেন বলে জানা যায়। এই পুজোর শুভ সূচনা হয় সোজা রথের দিন। এদিন পুরোহিত এবং মৃৎশিল্পীরা প্রতিমার কাঠামোতে গঙ্গামাটির প্রলেপ দিয়ে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। দুর্গাপ্রতিমা গড়া হয় বাড়ির ঠাকুরদালানে। মূল পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে কলস এবং গারু সহযোগে ভাগীরথী থেকে ঘট স্নানের মাধ্যমে। বাড়িতে সাত রকমের ফল, বেলপাতা ও সোলার কদম ফুল দিয়ে তৈরি হয় রচনা। ষষ্ঠীর দিন বাড়ির ঠাকুরদালানে এটি টাঙানো হয়। এটি সেন বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

    নবমীতে আখ ও চালকুমড়ো বলি

    এই সেন বাড়ি্র পুজোয় বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সন্ধি পুজোতে ১৩৮টি পদ্ম, ১০৮টি ঘিয়ের প্রদীপ এবং ১০৮টি বেলপাতা দেবীকে নিবেদন করা হয়। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই এই পুজোতে পশুবলি নিষিদ্ধ। তবে নবমীতে আখ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। সেন বাড়ির দশমীর পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য অপরাজিতা পুজোঘট বিসর্জন। দর্পণে বিসর্জনের মাধ্যমে পুজোর সমাপ্তি ঘটে। দশমীর দিন বিকেল বেলায় স্থানীয় মুটিয়াদের কাঁধে চেপে বাড়ির দিকে মুখ করে রওনা দেন মা দুর্গা।

    মাহাত্ম্য কম নয়

    সেন বাড়িতে ভোগ হয় নিরামিষ। এখানে কখনই দেবীকে রান্না করা অন্য ভোগ দেওয়া হয় না। এর পরিবর্তে লুচি, বিভিন্ন তরকারি, শাকভাজা, পাঁপড় ও বাড়িতে তৈরির নারকেলের নাড়ু দেওয়া হয়। নবমীর জন্য পাকা কলার বড়া, পটলপোড়া টক, পালং শাক দেওয়ার রেওয়াজ এখনও রয়েছে। দেবীর ভোগে কোনও রকম তেল, হলুদ, লবণ ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে গাওয়া ঘি  আর লবণের পরিবর্তে সন্দক লবণ ব্যবহার করা হয়। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন ১৭টি করে নৈবেদ্য দেওয়া হয়। এই দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য কম নয়। শোনা যায়, আজ থেকে বহু বছর আগে সপ্তমীর ঘট ভরে ফেরার পথে কোনও ভাবে ভুলক্রমে পুরোহিতের পা স্পর্শ করে ওই দিনই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঠাকুরের মহিমায় পুজো অতীতের সেই নিয়ম, রীতি-নিষ্ঠা বজায় রেখে আজও চলছে।

    বরাবরই মহিলাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য

    এই বাড়ির পুজো শুরু হয়েছিল বিন্দুবাসিনী দেবীর ইচ্ছা অনুসারে। পরবর্তী সময়ে সুচন্দ বদনী দেবী তাঁর নিষ্ঠা, ভক্তি, একাগ্রতা ও সাধনার মাধ্যমে এই পুজোকে আগলে রেখেছিলেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে এই বাড়িতে কয়েক বছর সন্ধিপুজোর সময় কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হত। পরবর্তীকালে তাঁর মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র বধুশর্মা সেন আমৃত্যু পুজোর প্রতি কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। ১৯৭৪ সালে যোগেশচন্দ্র সেন এবং ১৯৭৯ সালে সুচন্দ্র বদনী দেবীর মৃত্যুর পর তাঁদের বংশধররা এই পুজো চালাতে থাকেন। সুচন্দ বদনী দেবীর ষষ্ঠ পুত্র স্বর্গীয় প্রশান্ত কুমার। তিনি সিভিল সার্ভিস অফিসার। প্রশান্তবাবু পুজো পরিচালনা, সংস্কার ও অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে দশমীর সন্ধ্যায় দেবীর নৌকায় ভাগীরথী ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠেছিল।

    বহু উত্থান-পতন, পারিবারিক কলহ, পরিবারের সদস্যদের পেশাগত কারণে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া তথা জমিদারি প্রথা বিলোপের সাক্ষী সেনবাড়ির এই দুর্গাপুজো। সুবীর সেন বলেন, মহালয়ার দিন মহামায়ার নেত্রদান করা হয়। সবুজ বর্ণের মহিষাসুরের সঙ্গে মহিষ অনুপস্থিত। এই সেন বাড়ির দেবী দুর্গা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে যে শাল কাঠের কাঠামোতে শুরু হয়েছিল, আজ অবধি সেই শাল কাঠের কাঠামোতেই পুজো হয়ে আসছে বলে জানান সেন বংশের বংশধর সুবীর সেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arindam Sil: ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় দায়ের হল এফআইআর, আরও বিপাকে পরিচালক অরিন্দম শীল

    Arindam Sil: ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় দায়ের হল এফআইআর, আরও বিপাকে পরিচালক অরিন্দম শীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার আবহে টলিউডের পরিচালক অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার (Sexual Harassment) অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় আরও বিপাকে পড়লেন পরিচালক। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। এর আগে, এই অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে ডিরেক্টর্স গিল্ড। অরিন্দমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দায়ের করেছেন এক অভিনেত্রী। সম্প্রতি, অরিন্দমের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই অভিনেত্রী। যদিও এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এই পরিচালক। ‘অভয়া’র ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় হেঁটেছিলেন অরিন্দম। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ ওঠায় উত্তাল টলিউড।

    বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর (Arindam Sil)

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর করা হয়েছে অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে (Arindam Sil)। ওই এলাকায় একটি রিসর্টে শুটিং চলছিল। ফলে নিকটবর্তী জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের মহিলা কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর টলিউডের ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে অরিন্দম শীলকে  সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    অভিযোগকে অস্বীকার (Sexual Harassment)

    যদিও প্রথম থেকেই অরিন্দম (Arindam Sil) অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছেন। তিনি এফএইআর দায়ের হওয়ার কথা শুনে বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। যা যা দরকার তাই তাই করব। আমি সব সময় আমার অবস্থান নিয়ে একই কথা বলেছি। একটি দৃশ্য অভিনয় করার সময় আমার শিল্পী যদি অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন, তাহলে তখন কেন বলেননি? আর যদি সত্যই অস্বস্তি বোধ করে থাকেন, তাহলে তার জন্য আমি দুঃখিত। এই ঘটনা অনভিপ্রেত।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    দৃশ্যে কী ছিল?

    ছবির ‘দৃশ্য’ সম্পর্কে অরিন্দম (Arindam Sil) আরও বলেন, “ছবি পরিচালনার সময় একটি দৃশ্যের অভিনয় চলছিল। কোলে তথা হাঁটুতে বসিয়ে দেখাতে হত দৃশ্যটা। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অভিনয় দেখানোর কথা ছিল। এই দৃশ্যটা যখন দেখাতে গিয়েছি, তখন আমার মুখটা ওনার গালে ছুঁয়ে যায়। সেটা নিয়েই বলা হচ্ছে আমি নাকি চুমু খেয়েছি। তবে শুটিং-এর সময় অভিনেত্রী কোনও অভিযোগ করেননি। আমার পাশেই বসে ছিলেন।” উল্লেখ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিনেত্রী অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও অভিযোগ করেছিলেন। চিত্রনাট্য পড়ার জন্য নিজের অফিসে ডেকে নাকি তাঁকে যৌন হেনস্থা (Sexual Harassment) করেছিলেন অরিন্দম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশের কর কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে জিএসটি। অর্থনীতির ভাষায় এটি পরোক্ষ কর। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক (GST Council Meet)। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৪তম বৈঠকটি হয়ে গেল ৯ সেপ্টেম্বর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।

    দাম কমছে ক্যান্সারের ওষুধের (GST Council Meet)

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মারণ ব্যাধি ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো। বৈঠকে ক্যান্সারের ওষুধের ওপর প্রযোজ্য করের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সুখবর রয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্যও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে যাঁরা তীর্থযাত্রায় যাবেন, হেলিকপ্টার পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশের পরিবর্তে তাঁদের মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। এ খবর জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ আগরওয়াল।

    কী বললেন সীতারামন

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “জিএসটি কাউন্সিল ক্ষতিপূরণ সেস নিয়ে আলোচনা করেছে। ঋণের রিপেমেন্টের পর সেস থেকে অনুমান করা উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৪০ হাজার। কম্পেনসেসন সেস কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গ্রুপ অফ মিনিস্টার গঠন করা হবে।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার জন্য প্রদত্ত ফান্ডকে জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এছাড়াও, যাঁরা এ বিষয়ে আয়কর ছাড় দাবি করেছেন, তাঁদের জন্যও নিয়মটি সমানভাবে প্রযোজ্য। ২ হাজার টাকার নীচে অনলাইন আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে জিএসটি (GST Council Meet) চালু করার বিষয়টি আরও আলোচনা করতে ফিটমেন্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আগরওয়াল। চিকিৎসা সংক্রান্ত বীমার হার যৌক্তিকরণের জন্য গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স-এ নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের (Nirmala Sitharaman) অক্টোবর মাসের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে। জিএসটি কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে নভেম্বর মাসে (GST Council Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)৷ এবার সন্দীপেরই পরিচিত এক মহিলা নার্গিসকে জেরা করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাসপাতাল চত্বরেই নার্গিসের নামে ছিল ক্যাফে। অভিযোগ, নার্গিসকে অনেক ক্ষেত্রে নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ। এই মহিলার নামে বেশ কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে। 

    কে এই নার্গিস

    ইডি সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নেমে নার্গিস খাতুন নামে এক মহিলার সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ ওই মহিলার নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ এই নার্গিস খাতুন হলেন আফসার আলি খানের স্ত্রী। আলি খান ছিলেন সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী৷ তাঁকে ইতিমধ্য়েই সিবিআই গ্রেফতার করেছে৷ আলি খান সন্দীপের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন৷ সেই সূত্রেই নার্গিসের সঙ্গে বেশ ভালো পরিচয় গড়ে ওঠে সন্দীপের৷ আফসারের নামে এক সময় আরজি করে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত, এমনটাই শোনা যায়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    নার্গিসের নামে ক্যাফে

    ইডি সূত্রে খবর, নার্গিসের নামে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident) চত্বরে ক্যাফে খুলেছিলেন আলি খান ৷ শুধু তাই নয়, ক্যাফের বরাত পাওয়ার জন্য যে অর্থ নার্গিসের নামে জমা পড়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে, পরে তা প্রভাব খাটিয়ে সন্দীপ (Sandip Ghosh) ফিরিয়ে দেন৷ অথচ এই অর্থ নন-রিফান্ডেবল (ফেরত যোগ্য নয়) হিসেবেই জমা নেওয়া হয়৷ কেন এই বাড়তি সুবিধা পেলেন নার্গিস? আপাতত সেটাই জানতে চান ইডির তদন্তকারীরা৷ সেই কারণে শীঘ্রই নার্গিসকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে৷ নার্গিসের নামে একাধিক সংস্থা রয়েছে৷ তাঁর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে৷ সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে যে লেনদেন হতো, যে সংস্থাগুলির সঙ্গে নার্গিসের নাম জড়িয়ে, সেগুলিতে সন্দীপের ‘অবদান’ কতটা সেই বিষয়েও ইডির তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন নার্গিস খাতুনকে ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share