Blog

  • Supreme Court: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে (CBI) দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

    দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের নির্দেশ (Supreme Court)

    সিবিআই অবশ্য এদিন একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট খুঁটিয়েও পড়ে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সিবিআই তদন্ত যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তা চলুক। তার পর আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করুক সিবিআই।” সে ক্ষেত্রে পরের মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানি হতে পারে এই মামলার। তিনি বলেন, “তদন্তে যাতে প্রভাব না পড়ে, তাই ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। আগামী সোমবার তদন্তের আবার একটা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিন। তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে এল, তা নিয়ে আগামী সোমবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।” আইনজীবীদের একাংশের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশেই পরিষ্কার যে তদন্তের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিবিআইয়ের ওপর চাপ রাখছে শীর্ষ আদালত। সেই কারণেই দ্রুত দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে (Supreme Court)। 

    সিব্বলকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    এই মামলায় রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত কখন ঢুকছে বা কখন বের হচ্ছে। ভোর সাড়ে ৪টের পরের সিসিটিভি ফুটেজও কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। তিনি বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘণ্টা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি, তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।”

    এদিকে, এদিনই দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। স্বরাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র অফিসার এবং সিআইএসএফের সিনিয়র অফিসাররা আলোচনা (CBI) করে পুরো বন্দোবস্ত করবেন (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তিনি মিথ্যাচার করেছেন। ঠিক এই দাবিতে গর্জে উঠেছেন আন্দোলনরত আরজি করের (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তাররা। হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হলে, তা নিয়ে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, যুবক নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন, আর তাকে ঘিরেই ব্যাপক বিতর্কের দানাবাঁধে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ (RG Kar Case)

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা, তৃণমূল সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন। একই ভাবে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন ডাক্তার সংগঠন। তৃণমূল নেতার বিনা চিকিৎসার তত্ত্বকে অস্বীকার করে বলেছেন, “সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যর সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চলছিল। কাজেই তৃণমূল নেতার দেওয়া তথ্য ভুল।” অপর দিকে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যুবককে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সমস্ত চিকিৎসার পরিষেবা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। অস্থিবিশারদ ও ট্রমা কেয়ারের টিমের সিনিয়র চিকিৎসকরা যুবকের চিকিৎসা শুরু করেছিলেন৷ বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হয়েছিল৷ সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও রয়েছে আমাদের কাছে।” জুনিয়র ডাক্তাররা সেইসঙ্গে বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি চললেও পরিষেবা কোনও রকম ভাবে বন্ধ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    অভিষেক কী বলেছিলেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর নিজের এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “৩ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরজি করের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত কোন্নগরের ওই যুবক। জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) দাবি ন্যায্য হলেও, প্রতিবাদ এমন ভাবে করা উচিত, যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না হয়।” উল্লেখ্য যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর হাসপাতালে। সেখানে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার বলেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Case) রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।” ফলে অভিষেকের মন্তব্যে ডাক্তার মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষকে কথা দিয়েছি। তাই আর ফেরা সম্ভব নয়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মুখের ওপর এ কথা বলে দিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। রবিবার সাংসদ পদে ইস্তফা ও রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন জহর। তার পরেই তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

    কী বললেন জহর? (Jawhar Sircar)

    বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে আর সাংসদ পদে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর ফিরতে না পারার কারণও ব্যাখ্য করেন প্রাক্তন আমলা।জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাবেন তিনি। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন জহর। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি এই প্রাক্তন আমলা। শুধু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে বা কী কথা হয়েছে, তা আমি প্রকাশ্যে বলব না।”

    সেই মমতা কই?

    দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।” প্রাক্তন এই আমলা লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। তাই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু এক বাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।” জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। তবে আমার রাজ্যে (Mamata Banerjee) দুর্নীতি আর দলীয় নেতাদের একাংশের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে ভারতে প্রথম সন্দেহভাজন এমপক্স আক্রান্তের হদিশ (Mpox in India) মিলেছে। এর পরেই রাজ্যগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা (Centre Issues Advisory) জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যকে তা পালন করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যদিও কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ যথাযথ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে আছে দেশে এমপক্সের মোকাবিলায়। সম্প্রতি সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স (Mpox in India) সংক্রমণের শিকার হয়ে এক পুরুষ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনও তবে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি (Centre Issues Advisory) যে ওই রোগী কোন দেশ থেকে এসেছেন বা কীভাবে তিনি সংক্রমণিত  হয়েছেন!

    ১২০টি দেশে মিলেছে ভাইরাসের সন্ধান (Suspected Mpox Case)

    এমপক্স-এর (Mpox in India) নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘ক্লেড ১বি’, প্রথম কঙ্গোতে হদিশ মেলে এই ভ্যারিয়েন্টের। গত ১৪ অগাস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বজুড়ে। ১২০টিরও বেশি দেশে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত  এমপক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলিছে। জানা গিয়েছে, ১ লাখের বেশি রোগীর (Mpox in India) শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের, একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Centre Issues Advisory)।

    কীভাবে ছড়ায় সংক্রমণ (Suspected Mpox Case)

    ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়

    সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ বা গলা থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস

    সংক্রামিত কোনও প্রাণীর সংস্পর্শে এলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

    সংক্রামিত রোগীর পোশাকের মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।

    কেন মাঙ্কিপক্সকে (Mpox in India) এমপক্স বলা হয়?

    এই অসুখের কথা বিজ্ঞানীরা প্রথম বলেন ১৯৫৮ সালে। সেই বছর গবেষণাগারে বাঁদরের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ক্রমে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বাঁদরের মধ্যে এই রোগ প্রথম চিহ্নিত হওয়ার নাম দেওয়া হয় ‘মাঙ্কিপক্স’ (Mpox in India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে শিক্ষানবিশ তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিদেশের মাটিতেও। ২৫টি দেশের মোট ১৩০টি শহরে প্রবাসীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন। রবিবার নির্যাততার জন্য ন্যায় বিচার (Justice) চেয়ে আমেরিকার ৬০টি শহরে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মূলত ছিলেন ভারতীয়রা, তবে তাঁদের মধ্যে আয়োজক ছিলেন বাঙালি সমাজ।

    আমেরিকার কোথায় কোথায় প্রতিবাদ

    চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে খুনের প্রতিবাদে আমেরিকার যে শহরগুলিতে আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম — আটলান্টা, ডাবলিন, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া। আবার জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, নিউজিল্যান্ডেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

    ব্রিটেন-সুইডেনেও বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টারের মতো শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সকলের একটাই দাবি ছিল, জাস্টিস ফর আরজি কর। ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে সুইডেনে মূলত মহিলারা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের পরনে ছিল কালো পোশাক। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গান গেয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তুলেছেন স্লোগান। এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন দীপ্তি জৈন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিক। দীপ্তি বলেন, “কলকাতার হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা শিহরিত। এটা মানব সভ্যতার লজ্জা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    রবিবার রাত দখলে জনজোয়ার

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রবিবার ফের মেয়েদের রাত দখলকে ঘিরে রবিবার শহর কলকাতা জুড়ে জন জোয়ায়ের ঢল নেমেছিল। আপামর বাঙালি সমাজের একটাই দাবি বিচার চাই (Justice), বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩ তারিখ থেকে মামলার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে সিবিআই তার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: দলে বাংলার আকাশ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের ভারতীয় দল ঘোষিত

    India vs Bangladesh: দলে বাংলার আকাশ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের ভারতীয় দল ঘোষিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের (India vs Bangladesh) দল ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। ১৬ জনের দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার আকাশ দীপ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলে ফিরেছেন ঋষভ পন্থও। ২০২২ সালের পর আবার টেস্ট দলে ফিরলেন পন্থ।  দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন ধ্রুব জুরেল।

    পূর্ণ শক্তির দল

    পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে নামবে ভারত। সদ্য পাকিস্তানকে টেস্টে ক্লিনসুইপ করেছে বাংলাদেশ। তাই কোনও পরীক্ষার পথে যেতে চান না কোচ গম্ভীর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ঘরের মাঠে এই ম্যাচ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। 

    দলে কারা

    রোহিত ছাড়াও ওপেনার হিসাবে দলে রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। তিন নম্বরে খেলতে পারেন শুভমন গিল। দলে ফিরলেন বিরাট কোহলি। জায়গা পেলেন লোকেশ রাহুলও। মিডল অর্ডারে সরফরাজ খান। দলে রয়েছেন চার স্পিনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে রয়েছেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেল। বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদবও রয়েছেন। চার জন স্পিনারের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে চার জন পেসারকে। তবে মহম্মদ শামি এখনও সুস্থ নন। তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। দলে রয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ এবং যশ দয়াল। জায়গা পাননি নাইট অধিপতি শ্রেয়স আয়ার।

    দলে বাংলার পেসার 

    দলীপ ট্রফির মাঝেই বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে টেস্ট দল ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। আপাতত এক ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছে। দলীপ ট্রফিতে ভাল খেলার ফল পেলেন বাংলার পেসার আকাশ দীপ। বাংলার আকাশ এর আগে একটি টেস্ট খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু প্রথম টেস্ট। চেন্নাইতে হবে ম্যাচটি। তার আগে চেন্নাইতে শিবির করবে ভারতীয় দল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    মায়া বা অহং-আবরণ গেলেই মুক্তি বা ঈশ্বরলাভ

    বিজয়—মহাশয়! কেন আমরা এরূপ বদ্ধ হয়ে আছি? কেন ঈশ্বরকে (Kathamrita) দেখতে পাই না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীবের অহংকারই মায়া। এই অহংকার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল। যদি ঈশ্বরের কৃপায় আমি অকর্তা এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।

    এই মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ। সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না—মেঘ সরে গেলেই সূর্যকে দেখা যায়। যদি গুরুর কৃপায় একবার অহংবুদ্ধি যায়, তাহলে ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আড়াই হাত দূরে শ্রীরামচন্দ্র, যিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর (Ramakrishna); মধ্যে সীতারূপিণী মায়া ব্যবধান আছে বলে লক্ষ্মণরূপ জীব সেই ঈশ্বরকে দেখতে পান নাই। এই দেখ, আমি এই গামছাখানা দিয়ে মুখের সামনে আড়াল করছি আর আমায় দেখতে পাচ্ছ না। তবু আমি এত কাছে। সেইরূপ ভগবান সকলের চেয়ে কাছে, তবু এই মায়া-আবরণের দরুন তাঁকে দেখতে পারছ না।

    জীব তো সচ্চিদানন্দস্বরূপ। কিন্তু এই মায়া বা অহংকারে তাদের সব নানা উপাধি হয়ে পড়েছে, আর তারা আপনার স্বরূপ ভুলে গেছে।

    এক-একটি উপাধি হয়, আর জীবের স্বভাব বদলে যায়। যে কালোপেড়ে কাপড় পরে আছে, অমনি দেখবে, তার নিধুর টপ্পার তান এসে জোটে; আর তাস খেলা, বেড়াতে যাবার সময় হাতে ছড়ি (stick) এইসব এসে জোটে। রোগা লোকও যদি বুট জুতা পরে সে অমনি শিস দিতে আরম্ভ করে, সিঁড়ি উঠবার সময় সাহেবদের মতো লাফিয়ে উঠতে থাকে। মানুষের হাতে যদি কলম থাকে, এমনি কলমের গুণ যে, সে অমনি একটা কাগজ-টাগজ পেলেই তার উপর ফ্যাসফ্যাস করে টান দিতে থাকবে।

    টাকাও একটি বিলক্ষণ উপাধি। টাকা হলেই মানুষ আর-একরকম হয়ে যায়, সে মানুষ থাকে না।

    এখানে একজন ব্রাহ্মণ আসা-যাওয়া করত। সে বাহিরে বেশ বিনয়ী ছিল। কিছুদিন পরে আমরা কোন্নগরে গেছলুম। হৃদে সঙ্গে ছিল। নৌকা থেকে যাই নামছি, দেখি সেই ব্রাহ্মণ গঙ্গার ধারে বসে আছে। বোধ হয়, হাওয়া খাচ্ছিল। আমাদের দেখে বলছে, কি ঠাকুর (Ramakrishna)! বলি—আছ কেমন? তার কথার স্বর শুনে আমি হৃদেকে বললাম, ওরে হৃদে! এ লোকটার টাকা হয়েছে, তাই এইরকম কথা। হৃদে হাসতে লাগল।

    একটা ব্যাঙের একটা টাকা ছিল। গর্তে তার টাকাটা ছিল। একটা হাতি সেই গর্ত ডিঙিয়ে গিছিল। তখন ব্যাঙটা বেরিয়ে এসে খুব রাগ করে হাতিকে লাথি দেখাতে লাগল। আর বললে (Kathamrita), তোর এত বড় সাধ্য যে, আমায় ডিঙিয়ে যাস! টাকার এত অহংকার।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন সেই ইতিহাস

    Durga Puja 2024: গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বারোয়ারি শব্দের বহুল ব্যবহার। তাই স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এই কথাটির প্রকৃত অর্থ কী? পুজোর ক্ষেত্রে এই কথাটি এল কীভাবে? আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, এই শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? ‘বারোয়ারি’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বারো’ এবং ‘ইয়ার’ এই দুটি শব্দ থেকে। ‘ইয়ার’ শব্দের অর্থ বন্ধু। তাহলে বারোয়ারি বলতে বোঝায় বারোজন বন্ধু। বাস্তবে ঘটেওছিল এমনটাই, বারোজন বন্ধুই প্রথম একজোট হয়ে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) করেছিলেন। তাই এক সঙ্গে যখন অনেকে পুজো করেন, তখন তাকে বলা হয় বারোয়ারি পুজো। এখন অবশ্য ‘বারোয়ারি’ কথাটির বদলে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার কারণ, এখন আর বারোজন মিলে কোনও পুজো করেন না, করেন অনেকে মিলে। কোথাও একটা গোটা পাড়া, কোথাও আবার পাড়ার বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলা হয়। তাই বারোয়ারি পুজো এখন বদলে হয়েছে সর্বজনীন।

    শুরু হুগলির গুপ্তিপাড়ায় (Durga Puja 2024)

    কিন্তু মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রথম যে বারোজন মিলে পুজো শুরু করেছিলেন, তাঁরা কারা? কোথায়ই বা তাঁরা সেই পুজো করেছিলেন। এবার আসা যাক সেই ঘটনাতেই (History)। জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারোজন ব্রাহ্মণ বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে পুজো শুরু করেন। এই পুজোই বারোয়ারি পুজো নামে খ্যাত। মর্ত্যে যখন দুর্গাপুজো শুরু হয়, তখন তা মূলত হত ধনীদের বাড়িতেই। কারণ দুর্গাপুজোর খরচ বিস্তর। পুজোও চার-পাঁচ দিনের। তাই ধনীরা পুজো করতেন। কিছু কিছু ব্রাহ্মণ বাড়িতেও পুজো হত। তবে তা নিতান্তই সাদামাটাভাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুজো হত পট কিংবা যন্ত্রে। সেখানে ধনী গৃহস্থ বাড়িতে পুজো হত প্রতিমা বানিয়ে।

    কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজোও সর্বজনীন

    এক সময় কলকাতায় হাতে গোণা কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) হত। কালক্রমে পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আলোর রোশনাই-জৌলুসও। তবে কেবল দুর্গাপুজোই যে সর্বজনীনভাবে হয় তা নয়, বারাসত-বারাকপুরের কালীপুজো, কৃষ্ণনগর, চন্দননগর, বাউড়িয়ার জগদ্ধাত্রীপুজো, উলুবেড়িয়া, কাটোয়া, চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো এবং নবদ্বীপের শাক্ত রাসও হয় সর্বজনীনভাবে।

    পুরাণে পুজো নিয়ে কী রয়েছে?

    আগে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরাণ ও শাস্ত্র সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণই প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তার পরে দেবীর আরাধনা করেছিলেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা। তারও পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন মহাদেব। পরে আরও অনেক দেবতাই বিপদ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য শরণ নিয়েছিলেন মহামায়ার। এ তো গেল দেবতাদের দেবী আরাধনার উপাখ্যান। ব্রহ্মার মানস পুত্র মনু মর্তে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) প্রচলন করেছিলেন বলে কোনও কোনও শাস্ত্র রচয়িতার দাবি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে দ্রুত কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই এ কথা বলেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই জনগনের দাবি মতো, পুলিশ কমিশনারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

    সিদ্ধান্ত নিক নবান্ন

    প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেরি করে এফআইআর দায়ের করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পর প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন আরজি করে (RG Kar Incident) যখন ভাঙচুর চালানো হয়, তখনও পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি ক্রমে জোরালো হয়েছে। কিছু দিন আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপির পদত্যাগ চেয়ে লালবাজার অভিযান করেছিলেন চিকিৎসকেরা। লালবাজারের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিপির সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। রবিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতাকে। আরজি কর আবহে জনতার দাবি প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ

    রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সরকার তাতে চুপ করে থাকতে পারে না। সরকারকে সংবিধান এবং আইনের শাসন মেনেই চলতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে। রাজ্যপাল মনে করেন যে রাজ্য সরকার নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose) বলেন, ‘সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে রাজ্যের কাজ করা উচিত। সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজ্য সরকারের।’ মৃত মহিলা চিকিৎসকের বিচারের আশায় সাধারণ মানুষ যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share