Blog

  • Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চিঠির মাধ্যমে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন করে কোন পথে এগোতে পারে, তার সম্ভাবনা যাচাই করতে চেয়েছিল বেজিং। ভারতের এক শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

    চিঠি পৌঁছায় মোদির হাতে

    প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রপতির দফতকে (Droupadi Murmu) পাঠানো সেই চিঠি পরে পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই, জুন মাসে, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে নামে উভয় দেশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সম্প্রীতির পিছনে বড় একটি ভূমিকায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের শুল্কনীতি।

    শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত

    চিনের বার্তা ছিল স্পষ্ট (Droupadi Murmu)— যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত, কারণ এই দুই দেশেরই সামনে অভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দাঁড় করিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই বার্তাই পরোক্ষভাবে তুলে ধরা হয়েছে শি জিনপিংয়ের (Chinese President) চিঠিতে। চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুদিন পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান। প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের পাশাপাশি মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা রবিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    ভারতের ওপর শুল্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকার বিরোধী দল

    মার্চ থেকে অগাস্ট— এই কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিমণ্ডলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির কারণে ভারতের পণ্যের উপর প্রায় ৫০ শতাংশ আমেরিকান শুল্ক চাপানো হয়, যা মোদি প্রশাসনের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চিন (Chinese President) রাশিয়া থেকে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি তেল আমদানি করলেও, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এই বৈষম্য নিয়ে আমেরিকার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, গত দুই দশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে চেয়েছিল আমেরিকা। এখন সেই ভারতই যদি বাণিজ্য নীতিতে কোণঠাসা হয়, তা হলে সেই কৌশলগত বোঝাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    চিন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে

    চিন বারবার তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে। ভারতও একইসঙ্গে বিশ্ব কূটনীতিতে নিজস্ব ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে, দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা এবং সীমান্ত সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলির সমাধানে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে অগ্রগতি হয়েছে। কয়েক দিন আগেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্জীবিত করতে চাইছে এবং এর পেছনে তাদের স্পষ্ট ও কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

  • India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও জাপান (Japan) দুই দেশের মধ্যে দিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ পেশাদার জাপানে কাজের সুযোগ পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়বে। পাশাপাশি, যৌথ উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণামূলক কাজ আরও গতিশীল হবে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও শিক্ষাবিদদের জাপানে যাওয়ার সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি জাপানি কর্পোরেট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও ভারত সফরে আসবেন। এছাড়া ভারতীয় শিক্ষকরা জাপানের জনপ্রিয় জেট (Japan Exchange and Teaching) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগও পাবেন।

    প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষার প্রসারে জোর

    এই যৌথ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত ও জাপানের মধ্যে ছাত্র ও গবেষকদের আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাগত সম্পর্ক জোরদার করা। ভারতের (India) জন্য জাপানের (Japan) টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা প্রোগ্রাম দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের দ্বার খুলে দিচ্ছে। এর জন্য সারা ভারত জুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যাতে আরও বেশি দক্ষ কর্মী এই প্রক্রায় অংশ নিতে পারেন। ভারত (India) “ইন্ডিয়া-নিপ্পন প্রোগ্রাম ফর অ্যাপ্লাইড কম্পিটেন্সি ট্রেনিং” চালু করবে, যেখানে ভারত ও জাপানের যৌথ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জাপানি শিল্পদক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয়ুর্বেদ, যোগা এবং অন্যান্য সুস্থতা-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান জাপানে স্থাপন করা হবে।

    দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে

    এই চুক্তির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ভাষা শিক্ষার প্রসার। জাপান ফাউন্ডেশন ভারতজুড়ে (India) আরও বেশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ভাষা কেন্দ্র চালু করবে। পাশাপাশি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও জাপানের বিদেশ মন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং প্রতিবছর একটি অগ্রগতি রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সব মিলিয়ে, শিক্ষা, দক্ষতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত-জাপানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে।

  • Daily Horoscope 30 August 2025: অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 30 August 2025: অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 454: ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চর্য, খুব কম লোকের হয়!

    Ramakrishna 454: ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চর্য, খুব কম লোকের হয়!

    শশী তখন সবে ঠাকুরের কাছে যাওয়া-আসা শুরু করেছেন। তিনি তখন বিদ্যাসাগরের কলেজে বিএ-র প্রথম বর্ষে পড়েন। ঠাকুর তখনই তাঁর কথা বলছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ ভক্তদের উদ্দেশে বলছেন— “সেই যে ছেলেটি মাঝে মাঝে আসে, কিছুদিন তার মনে টাকাকড়ির ভাব ওঠে — আমি দেখেছি। কিন্তু কতজনকে দেখেছি, যাদের মনে আদৌ সে ভাব ওঠে না। কয়েকটি ছোকরা তো বিয়েই করবে না।”

    ভক্তরা নিঃশব্দে বসে শুনছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি) — মন থেকে কামিনী-কাঞ্চন সব না গেলে অবতারকে চিনতে পারা কঠিন। বেগুনওলাকে হীরার দাম জিজ্ঞাসা করেছিল, সে বললে, আমি এর বদলে নয় সের বেগুন দিতে পারি, এর একটাও বেশি দিতে পারি না। (সকলের হাস্য ও ছোট নরেনের উচ্ছ্বাস)

    ঠাকুর দেখিলেন, ছোট নরেন কথার মর্ম ফস করিয়া বুঝিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এর কী সূক্ষ্মবুদ্ধি! ন্যাংটা এইরকম ফস করে বুঝে নিত — গীতা, ভাগবত, যেখানে যা, সে বুঝে নিত।

    [কৌমার্যব্রত্য আশ্চর্য — বেশ্যার উদ্ধার কিরূপে হয়]

    শ্রীরামকৃষ্ণ — ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চর্য। খুব কম লোকের হয়! তা না হলে যেমন শিল-থেকে আম — ঠাকুরের সেবায় লাগে না — নিজে খেতে ভয় হয়।

    “আগে অনেক পাপ করেছে, তারপরে বুড়ো বয়সে হরিনাম করছে এ মন্দের ভাল।

    “অমুক মল্লিকের মা, খুব বড় মানুষের ঘরের মেয়ে! কেশবদের কথায় জিজ্ঞাসা করলো, ওদের কি কোন মতেও উদ্ধাৰ হবে না? নিজে আগে আগে অনেকরকম করছে কি না! তাই জিজ্ঞাসা করলো। আমি বললুম, হ্যাঁ, হবে — যদি আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, আর বলে আর করব না। শুধু হরিনাম করলে কি হবে, আন্তরিক কাঁদতে হবে।”

  • Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের জাপান সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সফরের সময় তাঁকে উপহার হিসেবে একটি বিশেষ পুতুল দেওয়া হয়, যাকে “দারুমা পুতুল” বলা হয়। স্থানীয় জাপানি ভাষায় এ নামেই পরিচিত এই পুতুলটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পুতুলের মধ্যেই জাপানের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন প্রতিফলিত হয়। জানা যাচ্ছে, এই দারুমা পুতুলটি উপহার দেন তাকাসাকির শোরিনজান দারুমা-জি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, রেভারেন্ড সেইশি হিরোস। এটি শুধু একটি খেলনা নয়—জাপানের ঐতিহ্যের একটি প্রতীকও বটে।

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুলের বৈশিষ্ট্য

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুল সাধারণত একটি গোলাকার মূর্তি, যার মধ্যে জাপানের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস প্রতীকীভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেকেই একে “ধর্ম পুতুল” হিসেবেও আখ্যা দেন। মূলত এটি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত, এবং সাধারণভাবে বৌদ্ধ পুতুল হিসেবেই বিবেচিত হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন এই পুতুল সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে, পুতুলটির মুখে এক ধরনের কঠোরতা থাকে এবং চোখ দুটি সম্পূর্ণ সাদা। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল—নিচের অংশ ভারী হওয়ার কারণে এটি পড়ে গেলেও নিজে থেকেই আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এই গুণের ভিত্তিতে জাপানি প্রবাদে বলা হয়: “নানাকোরোবি ইয়াওকি”, অর্থাৎ ‘সাতবার পড়লেও, আটবার উঠে দাঁড়াও।’

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি সর্বত্র দেখা যায় এই পুতুল

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি—প্রায় সর্বত্রই এই পুতুলের দেখা মেলে। জাপানিরা বিশ্বাস করেন, এটি সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। দারুমা (Daruma Doll) নামে পরিচিত এই পুতুলটির ইতিহাস ভারতবর্ষের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। এর নামকরণ ও অনুপ্রেরণা এসেছে বোধিধর্ম (বা বোধি ধর্ম) নামক এক ভারতীয় সাধকের জীবন থেকে। বোধিধর্ম ছিলেন তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে জন্মগ্রহণকারী একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ধারণা করা হয়, তিনি ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং পঞ্চম-ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিন হয়ে জাপানে পৌঁছান। বৌদ্ধ ধ্যানচর্চার একাগ্রতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে তিনি একটানা ৯ বছর ধ্যানস্থ ছিলেন। এত দীর্ঘ সময় ধ্যানমগ্ন থাকার ফলে তাঁর হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। আরও জানা যায়, ধ্যানের সময় যাতে ঘুম না আসে, সেজন্য তিনি নিজের চোখের পাতা নিজেই উপড়ে ফেলেন। সেই কারণেই দারুমা পুতুলে চোখ বড় বড় এবং চওড়া।

    জাপানে নতুন বছরের শুরুতে সবাই দারুমা কেনেন

    ধারণা করা হয়, অতীতে গুটিবসন্ত মহামারির সময়, এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় দারুমাকে লাল রঙে রাঙানো হতো। সেই প্রথা থেকেই দারুমা সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে এর বিভিন্ন রঙের পেছনেও রয়েছে আলাদা প্রতীকী মানে—হলুদ দারুমা সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতীক, সাদা দারুমা প্রেম ও একতার প্রতীক। প্রতিটি দারুমা পুতুলের মুখের নিচে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকে “ফুকু ইরি”, যার অর্থ—‘সৌভাগ্য বহনকারী’। জাপানে নতুন বছরের শুরুতে মানুষ একটি দারুমা কেনেন এবং কোনো ইচ্ছা থাকলে তার একটি চোখে রং দিয়ে “প্রাণ প্রতিষ্ঠা” করেন। যদি বছরের মধ্যে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়, তবে অন্য চোখেও রং পূরণ করা হয়। আর যদি ইচ্ছেপূরণ না হয়, তবে সেই দারুমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে “দারুমা কুইও” নামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে পূজা দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

  • PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতেও এটি স্থিতিশীলতা আনবে—শুক্রবার জাপানে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূ-রাজনীতিতে যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাপান সফরে চিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    জাপান সফরে মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দুই দিনের জাপান সফরে রয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলেই জানা গেছে। একই সঙ্গে, জাপানের বিখ্যাত ই-টেন শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ভারতে আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার, ৩০ অগাস্ট তিনি জাপান সফর শেষে চিন (PM Modi) সফরে যাবেন (PM Modi)। সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

    চিন সফর ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

    এই SCO বৈঠকটি ২৫তম এবং এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন বিশ্বজুড়ে একাধিক সংঘাত চলছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইজরায়েল সংঘাত, ও আমেরিকার শুল্ক নীতি তার মধ্যে অন্যতম। SCO-তে চিন (China) , রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে রয়েছে। শুক্রবার জাপানে এক সংবাদমাধ্যমকে মোদি (PM Modi) বলেন, “চিনের (PM Modi) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আমি এই বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছি। গত বছর চিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর ভারত-চিন সম্পর্ক অনেকটাই স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অগ্রগতি পেয়েছে।” কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

  • CBI Raids: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে সিবিআই

    CBI Raids: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি (RG Kar Case) মামলার তদন্তে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI Raids)। সিবিআই-এর তিনটি গাড়ি শুক্রবার দুপুর ২টোর পর অতীনের উত্তর কলকাতার বাড়িতে পৌঁছেছে। রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি।

    কেন অতীনের বাড়িতে সিবিআই

    অভিযোগ, হাসপাতালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলাটির তদন্তও করছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এখনও তিনি জেলে। প্রথম থেকে আরজি করের দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বার অতীনের নাম এসেছে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। অতীন আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে বেলগাছিয়া পূর্বের বিধায়ক। এই আরজি কর মেডিকেল কলেজ তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। তাই বিধায়ক হিসেবে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন অতীন, এখন তো চেয়ারপার্সনও বটে। এখন অতীনের থেকে সিবিআই কোনও নতুন তথ্য পায় কিনা সেটাই দেখার।

    চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    সূত্রের খবর, শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে আগেই অতীনকে জানানো হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে। সেই অনুযায়ী দুপুরে কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁর শ্যামবাজারের বাড়িতে যান। সিবিআই-এর দলে রয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি মামলার মূল তদন্তকারী অফিসার-সহ সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ একাধিক আধিকারিক। কিছু দিন আগে শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে যে আধিকারিক ছিলেন, অতীনের বাড়িতেও তিনি রয়েছেন। সন্দীপ-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন করেছে সিবিআই। আলিপুর আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।

    আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে

    কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়ি ছাড়াও তাঁর নার্সিংহোমেও হানা দিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল তল্লাশি। সূত্রের খবর, এবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অতীনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। তবে অতীন ঘোষ বাড়িতে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে সিবিআই প্রাথমিকভাবে কথা বলছে। আরজি করে ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলাটি এখনও চলছে। ধর্ষণ-খুনের মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগের তদন্তও চালাচ্ছে সিবিআই।

     

     

     

     

     

  • Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় (Kolkata) নারী সুরক্ষার চিত্র ফের উদ্বেগজনক। ন্যাশনাল অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যান্ড ইনডেক্স অন ওমেন্স সেফটি (NARI) ২০২৫ অনুযায়ী, দেশের মধ্যে সবচেয়ে অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় উঠে এসেছে আমাদের রাজ্যের কলকাতার নাম। দিল্লি ও পাটনার অবস্থানও একই রকম খারাপ। অন্যদিকে, সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে উঠে এসেছে মুম্বই, কোহিমা, বিশাখাপত্তনম ও ভুবনেশ্বর। এই সমীক্ষায় দেশের ৩১টি শহরের ১২,৭৭০ জন মহিলার মতামত নেওয়া হয়। রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার।

    দেশের মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের (Kolkata) মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এখনও অনেক নারী (Women) তাঁদের শহরে নিরাপদ বোধ করেন না। মুম্বই ও কোহিমা সুরক্ষিত শহরের তালিকায় থাকলেও আইজল, গ্যাংটক, ইটানগর এবং ভুবনেশ্বরকেও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ধরা হয়েছে। অপরদিকে, রাঁচী, শ্রীনগর, ফরিদাবাদ এবং জয়পুরকেও নিচু স্থানে রাখা হয়েছে। এই রিপোর্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে—শহর যত বড়, সুরক্ষা তত বেশি—এই ধারণা ভুল।

    সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলাদের (Kolkata) মতামত অনুযায়ী:

    হেনস্থার অভিযোগ জানালে মাত্র ২৫ শতাংশ নারীই কার্যকর পদক্ষেপ পেয়েছেন।

    প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জন নারী হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ করতেই দ্বিধা বোধ করেন, যার ফলে অনেক ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে না।

    ৬৯ শতাংশ নারী মনে করেন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে ৩০ শতাংশ এখনও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট।

    কী বলছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন

    বিশেষজ্ঞদের মতে (Kolkata), আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। কলকাতা ও দিল্লির মতো মহানগরীগুলিতে নারী সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে, অথচ উন্নতি কোথায় হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এই রিপোর্ট আবারও দেখিয়ে দিল—নারী সুরক্ষায় প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে প্রশাসনিক সদিচ্ছা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সামাজিক সচেতনতা—এই তিনটিই একসঙ্গে প্রয়োজন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতাকর এনিয়ে বলেন, ‘‘নারীদের কেবল রাস্তাঘাটে অপরাধ থেকে নয়, সাইবার অপরাধ, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং মানসিক হয়রানি (Women) থেকেও রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’’

  • India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে ওড়িশার উপকূলে দেশীয় ‘সুদর্শন চক্র’-র (Sudarshan Chakra) তকমা পাওয়া ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন্স সিস্টেম’ (আইএডিডব্লিউএস)-এর প্রাথমিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। ফলে, হাতে ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন (DEW) সিস্টেম থাকা দেশগুলির এলিট তালিকায় যোগ দিয়েছে ভারত। এই কৃতিত্বের দৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইজরায়েলের সঙ্গে একাসনে যুক্ত হল ভারত, যাদের কাছে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত এই মাইলফলক অর্জন করার পর প্রতিক্রিয়ায় চিন স্বীকার করেছে যে, লেজার-ভিত্তিক আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়াদিল্লির এই সাফল্য আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে একটি ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’। মোদির চিন-সফরের মুখে ভারতের অস্ত্র-পরীক্ষা নিয়ে চিনা স্তুতি বিশেষ অর্থবহ।

    ভারতের নিজস্ব ‘সুদর্শন চক্র’

    গত বৃহস্পতিবার (২১ অগাস্ট) ওড়িশা উপকূলে পরীক্ষা চালানো হয় আইএডিডব্লিউএস-এর (IADWS) পরীক্ষা।। দুদিন পর, সেই কথা খোলসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইএডিডব্লিউএস একটি বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ঢাল হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তিনটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে। এগুলি হল— (১) কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (কিউআরএসএএম), (২) অ্যাডভান্সড ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ভিএসএইচওআরএডিএস) ক্ষেপণাস্ত্র এবং (৩) উচ্চ-শক্তি লেজার-ভিত্তিক নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (ডিইডব্লিউ)।

    আইএডিডব্লিউএস-এর তিন বাহু

    এই তিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজেও ফারাক রয়েছে। কিউআরএসএএম- দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এটি ৩ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুর বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম। ভিএসএইচওআরএডিএস- স্বল্প দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। কাছাকাছি কোনও বিপদ আঁচ করলেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠবে। এই সিস্টেম কাছাকাছি দূরত্বে আসা হুমকি যেমন – ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে কার্যকর। অন্যদিকে, ডিইডব্লিউ- এটি অত্যাধুনিক লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রুপক্ষের কোনও অস্ত্র আকাশসীমায় ঢুকলেই তা নষ্ট করে দেবে। এটি আলোর গতিতে শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন সহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এই অস্ত্র বহুবার ব্যবহার করা যায় এবং অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

    চমকে গিয়েছে চিন…

    ভারতের এই পরীক্ষা যে বিশ্বের নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। চিন ভারতের আইএডিডব্লিউএস পরীক্ষার ওপর নজর রাখছিল। তবে, কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তি নিয়ে বেশি মাতামাতিকে নারাজ চিন। তবে, ডিইডব্লিউ নিয়ে চিনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্য বিশাল আগ্রহ। বেজিং-ভিত্তিক এয়ারোস্পেস নলেজ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেন, “ভারতের আইএডিডব্লিউএস (IADWS) সিস্টেম মূলত ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমান থামানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।”

    ওয়াং আরও বলেন, “কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তিগতভাবে তেমন নতুন কিছু নয়, কিন্তু লেজার-ভিত্তিক সিস্টেম প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।” চিনের বিশেষজ্ঞের এই মন্তব্য দুটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম কারণ, চিন সাম্প্রতিক সময়ে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং পাকিস্তানকেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। দ্বিতীয় কারণ, ৯ বছর পর চলতি সপ্তাহের শেষে চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ডিইডব্লিউ ঠিক কী?

    ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম (ডিইডব্লিউ) হল একটি উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির উন্নত যন্ত্র। এটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ক্ষতি করার জন্য প্রচলিত গোলাবারুদের পরিবর্তে কেন্দ্রীভূত শক্তি (Directed Energy) ব্যবহার করে। ডিইডব্লিউ গুলি বা বিস্ফোরক ওয়ারহেডের পরিবর্তে আলোর গতিতে চলা উচ্চ-শক্তির লেজার রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বা পার্টিকেল বিম ব্যবহার করে।

    • হাই এনার্জি লেজার (এইচইএল): এটি শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ-আকাশেই পুড়িয়ে বা অক্ষম করতে ঘনীভূত আলোক বিম ব্যবহার করে।

    • হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (এইচপিএম): এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ দিয়ে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলিকে নষ্ট করে তাদের অক্ষম করতে পারে।

    • পার্টিকেল বিম ওয়েপন (পিবিডব্লিউ): এটি তীব্র চার্জযুক্ত কণার স্রোত ব্যবহার করে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অক্ষম করে দেয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

    প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে ডিইডব্লিউ-গুলি শান্তভাবে নিজেদের কাজ করে। এখানে রিলোডিং-এর সমস্যা নেই। ফলে, যতবার খুশি চালানো যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, শট প্রতি খরচ অত্যন্ত কম। ফলে, কামিকাজে ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং সস্তার সোয়ার্ম ড্রোন মোকাবিলায় এগুলি একটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

  • PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পণ্য উৎপাদন করুন, বিশ্বে রফতানি করুন। ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এই সফর। এদিন জাপান সফরের শুরুতে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন ভারত এবং জাপান একসঙ্গে এশিয়াকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে ৷ দু’দেশের সম্পর্ক এই শতাব্দীতে মহাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হবে ৷ তিনি মনে করেন, জাপানের উৎকর্ষতা এবং ভারতের দক্ষতা একত্রিত হলে উন্নয়নের পথ সুগম হবে৷

    বিশ্ব ভারতকে ভরসা করে

    শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রেখেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের ওপর ভরসাও করে। আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি এবং একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং খুব শীঘ্রই, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ১৮% অবদান রাখি, এবং আমাদের বাজারগুলি শক্তিশালী রিটার্ন প্রদান করছে। সংস্কার, রূপান্তর এবং কর্মক্ষমতার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্ত অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Japan) এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-জাপান স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করা এবং নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স, বায়োটেক এবং স্পেস টেকনোলজিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ক্রেডিট মেকানিজম ও ক্লিন-গ্রিন ফিউচার গঠনের চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সর্বত্রই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।”

    ভারত-জাপান পরমাণু সম্ভাবনা

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও জাপান যৌথভাবে পরমাণু শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের পর, আমরা বেসরকারি খাতের (লগ্নির) জন্য পারমাণবিক শক্তি খাতও খুলে দিচ্ছি।” গাড়ি উৎপাদন থেকে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের যৌথ অংশিদারিত্বও সাফল্যের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিতে পারে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর ৷

    ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Japan) জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ ভারতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স, সিঙ্গেল ডিজিটাল উইন্ডো, ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য, সবই ভারতের গ্লোবাল ইকোনমিতে অবদানকে আরও দৃঢ় করছে। ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে এক নতুন বিপ্লব আনবে।’ মোদি ভারতীয় প্রতিভাদের জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদি জানান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাপানের বাণিজ্য বৃদ্ধি ভারত ছাড়া সম্ভব নয় ৷ ওই সমস্ত দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের সরণিতে পা রাখতে শুরু করেছে ৷ তাতে ভারত এবং জাপানের দুটি দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷

    ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া

    জাপান সফরে শুক্রবার সকালে এক অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। টোকিও বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাপানি শিল্পীদের এক বিশেষ দল, যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের আবহে তাঁকে স্বাগত জানান। রাজস্থানি রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিল্পীরা যখন হাতজোড় করে বললেন ‘পাধারো আমহারে দেস’—তখন বিদেশের মাটিতেও দেশীয় উষ্ণতায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা শুধু রাজস্থানি পোশাকেই নয়, ভারতীয় কায়দায় হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে। এক শিল্পী গেয়ে ওঠেন দেশোয়ালি লোকসঙ্গীত “ভারি জাভু রে”, যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-জাপানের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি বা কূটনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনেই এর আসল শক্তি। ভারতীয় সংস্কৃতি আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গান, নাচ, ঐতিহ্য এভাবেই মানুষকে এক সূত্রে বাঁধছে।

LinkedIn
Share