Blog

  • RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) মধ্যে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভাইরাল ভিডিওটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমের বলে দাবি করা হয়েছে। যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ওই জমায়েতের ভিডিও যখন তোলা হয়েছে, তখন সেমিনার রুমের মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ ছিল। আর বাইরে তাঁর বাবা-মা অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে সিবিআই বা কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। (ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। )

    ভিডিওয় কী দেখা গিয়েছে

    যে ভিডিও (RG Kar Incident) সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেমিনার রুমের বাইরে শান্তনু দে-কে। তিনি আইনজীবী। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, এই শান্তনু দে হলেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ছায়াসঙ্গী। কিন্তু সেখানে আইনজীবী কী করতে গিয়েছিলেন? প্লেস অফ অকারেন্সে বা ঘটনাস্থলে দেখা মিলেছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ফরেন্সিক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের। তাঁকে সোমবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তিনি আরজি করের কর্মীই নন। কিন্তু ঘটনার পর মুহূর্তেই সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দাবি স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ। দেখা গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের আরও এক কাছের লোক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও। 

    ভাইরাল ভিডিও তুলছে প্রশ্ন

    ফরেন্সিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর, সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী আর সন্দীপ ঘনিষ্ঠ (Sandip Ghosh) আইনজীবী কেন সেই সময় ঘটনাস্থলে? প্রশ্ন উঠছে, এই যে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ তাঁরা সেখানে কীভাবে পৌঁছলেন? তাঁদেরকে কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেখানে পরিকল্পনা চলছিল, কীভাবে সেখানে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায়? চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার থেকে শুরু করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল সেদিন। শাসকদলের প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা হিসাবে পরিচিত অনেককেই সেদিন আরজি করে (RG Kar Incident) দেখা গিয়েছিল। এমনকী, এও অভিযোগ, যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল, সেই সেমিনার রুমে মিটিং করেন এই তিন মূর্তি। ওই চিকিৎসক নেতারা কেউই আরজি করে কর্তব্যরত নন। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদাধিকারীও নন, বলে দাবি আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের।

    আরও পড়ুন: ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    ওঁরা গেলেন কীভাবে? প্রশ্ন বিজেপির

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, ‘দেবাশিস সোম – ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক। প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিলেন? ফরেন্সিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারও যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওঁরা গেলেন কীভাবে? পুলিশ আটকাল না কেন?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami 2024: মায়াপুর ইসকনে জন্মাষ্টমী উৎসব, সামিল হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্ত

    Janmashtami 2024: মায়াপুর ইসকনে জন্মাষ্টমী উৎসব, সামিল হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১ তম শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে নদিয়ার মায়াপুর ইসকনে (ISKCON) জাঁকজমকভাবে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী উৎসব। আর এই উৎসবে (Janmashtami 2024) সামিল হতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত ইসকনের প্রধান কেন্দ্র মায়াপুরে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকেই ভক্তরা উৎসবে মেতে উঠেছেন।

    জন্মাষ্টমীতে দেশি-বিদেশি ভক্ত সমাগম (Janmashtami 2024)

    জানা গিয়েছে, সোমবার ইসকন মায়াপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার পালন করা হবে নন্দ উৎসব। ইসকন মন্দিরে তৈরি করা হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম মন্দির। মন্দিরের চূড়াই রয়েছে সোনায় মোড়ানো চক্র। বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল এই তিনচক্র। তারপর বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মন্দিরের মূল চূড়ায় সেই চক্র স্থাপন করা হয়। শুধু জন্মাষ্টমী নয়, সারা বছরই বিভিন্ন তিথিতে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে ইসকন মন্দির। শ্রীকৃষ্ণের ভোগ নিবেদনে থাকে বিপুল আয়োজন। আর প্রত্যেকটি তিথিতেই লক্ষ লক্ষ দেশি-বিদেশি ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকে। বিশেষ করে ঝুলন যাত্রা এক অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে। তারপরে জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2024) তিথি শুরু হয়।

    সোমবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব মায়াপুর ইসকন মন্দির চত্বর। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ এসে পৌঁছেছেন। নদী ঘাটগুলিতে রয়েছে প্রশাসনিক বিশেষ তৎপরতা। কারণ, মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পৌঁছাতে গেলে নদীপথ পার করতে হয় ভক্তদের। তবে, সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মায়াপুর ইসকনের নিজস্ব নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয় মন্দির চত্বর। আজ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক কী বললেন?

    মঙ্গলবার নন্দ উৎসবে সকাল থেকেই চলবে হরিনাম সংকীর্তন। কীর্তনের ছন্দে নাচে-গানে মেতে উঠবেন দেশি-বিদেশি ভক্তরা। জানা গিয়েছে, যত দিন যাচ্ছে ততই বিদেশি ভক্তদের আনাগোনা বাড়ছে। মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন,  ‘‘জন্মাষ্টমীকে (Janmashtami 2024) কেন্দ্র করে তিনদিন ধরে অনুষ্ঠান চলছে। প্রথমদিন অধিবাস ছিল। সোমবার ভোর সাড়ে চারটে থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার নন্দ উৎসবেও দেশ-বিদেশের ভক্তরা সামিল হবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    RG Kar Rape-Murder: ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক তোলপাড়। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একাধিক দুর্নীতির (Corruption Nexus) কথা উঠে এসেছে। হাসপাতালের মর্গে রাখা থাকত মদ। চিকিৎসালয় যেন রীতিমত পানশালায় পরিণত করেছিলেন এই অধ্যক্ষ। একই ভাবে মৃতদেহ নিয়ে চলত দালাল চক্র। ময়নাতদন্ত থেকে বাড়িতে পৌঁছানো, সবটাই চলত প্যাকেজ সিস্টেমে। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন হেড-ক্লার্ক (Head clerk) তারক চট্টোপাধ্যায়।

    রীতিমতো  হাসপাতাল যেন পানশালা (RG Kar Rape-Murder)

    আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) কর্মী তারক চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “মদ খাইয়ে কিছু লোককে হাতে রাখতেন সন্দীপ ঘোষ। গেস্ট হাউসে তাঁর প্রত্যক্ষ মদতে বসত মদের আসর। কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার এবং বাউন্সারের গ্রুপ ছিল তাঁর। পড়াশুনায় পাশ-ফেলের বিষয় একক ভাবে দেখতেন নিজে তিনি। কাছের ছাত্রদের মদ খাওয়াতেন। তাঁর অনুগামী হলে ফেল করার সম্ভাবনা থাকত না। বাইরে থেকে লোক এলে গেস্ট হাউসে বসত মদের আসর। মর্গের কর্মী সন্তোষ, তাঁর অনুগামী ছিলেন। মর্গের পাশে বসার ঘরকে রীতিমতো পানশালা বানিয়ে তুলেছিলেন। একই ভাবে মর্গেই রাখা থাকত মদের বোতল।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের ‘দুর্নীতি’তে সিবিআই রেডারে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ২ জন, কীভাবে চলত চক্র?

    কাটা বডি দেখিয়ে জোর করে টাকা নেওয়া হতো!

    একই ভাবে আগেই (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং স্ত্রী কাকলি সেন, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছেন। আবার প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলিও সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চাল্য অভিযোগ তুলেছেন। এবার তারক চট্টোপাধ্যায় বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, “মৃতদেহ প্রতি ১০ হাজার করে টাকা নেওয়া হতো (Corruption Nexus)। দেহের ময়নাতদন্তের পর স্টিচ করতে হতো মোটা টাকা দিয়ে। টাকা না দিলে বলা হতো, নিজেরাই স্টিচ করে নিন। ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হতেন মৃতের পরিবার। অতিরিক্ত সময়ে মর্গে দেহ রাখতেও নেওয়া হতো মোটা টাকা। অনেক সময় মৃতার পরিবার আর্থিক ভাবে সক্ষম না হলে, কাটা বডি দেখিয়ে জোর করে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০ করে টাকা নেওয়া হতো।”

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দুর্গাপুজোর অনুদানে ‘না’, ঘোষণা বারাসতের ক্লাবের

    Barasat: নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দুর্গাপুজোর অনুদানে ‘না’, ঘোষণা বারাসতের ক্লাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল দেশ। নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। কয়েকদিন আগেই হাইল্যান্ড পার্ক, উত্তরপাড়া, তারকেশ্বরের কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটি তৃণমূল সরকারের অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ দিল বারাসতের (Barasat) একটি  পুজো কমিটি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান নিচ্ছেন না বারাসতের সরোজিনী পল্লি উন্নয়ন সমিতি নামে একটি ক্লাবের সদস্যরা।

    নির্যাতিতার স্মরণে অনুষ্ঠান (Barasat)

    রবিবার বারাসতের (Barasat) সরোজিনী পল্লিবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। সেখানেই পুজোয় সরকারি অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু পুজোর অনুদান না নেওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ক্লাবটি। সেই সঙ্গে এবছরের দুর্গাপুজোও অনাড়ম্বরভাবে করতে চলেছেন তাঁরা। শুধু আরজি করের নির্যাতিতার প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে পুজো কমিটি। নির্যাতিতার স্মরণে দুর্গাপুজোতে রক্তদান এবং বস্ত্র বিতরণের মতো সমাজসেবামূলক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। বারাসতের এই ক্লাব কমিটি বেশ ধুমধাম করেই প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করে। পুজোর তিনদিন পাড়ার সমস্ত লোকজনকে নিয়ে চলে খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু, এবছর তার কোনওটাই হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ক্লাবের কর্মকর্তারা কী বললেন?

    ক্লাবের (Barasat) সম্পাদক কার্তিক কর্মকার বলেন, ‘‘আরজি করে (RG Kar Incident) যা হয়েছে তা  নিন্দনীয়। এই ঘটনায় প্রশাসন এখনও বিচার দিতে পারেনি। সরকার সঠিক বিচার দিতে পারছে না বলেই আমরা এবছর পুজোর অনুদান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা শীঘ্রই জেলাশাসককে এই বিষয়ে জানিয়ে দেব। আর এবছর যদি নির্যাতিতা বিচার না পান, তাহলে আগামী বছরও সরকারি অনুদান নেব না আমরা। সুবিচারের দাবিতে আমাদের সংগ্রাম চলবে।’’ ওই ক্লাবেরই আরেক সদস্য কমল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের পুজো কমিটির মিটিংয়ে একজনও অনুদান নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। সরকার যদি পরের বছর দুর্গাপুজোর অনুদান না দিতে চায়, তাতেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা অনুদানের ওপর ভরসা করে পুজো করি না। আমাদের পুজো ঠিক হয়ে যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 114: “পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে, মুখে করে খাবার নিয়ে যায়”

    Ramakrishna 114: “পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে, মুখে করে খাবার নিয়ে যায়”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার বলিতেছে, জীব যেন ডাল, জাঁতার ভিতর পড়েছে; পিষে যাবে। তবে যে কটি ডাল খুঁটি ধরে থাকে, তারা পিষে যায় না। তাই খুঁটি অর্থাৎ ঈশ্বরের শরণাগত হতে হয়। তাঁকে ডাক, তাঁর নাম কর তবে মুক্তি। তা না হলে কালরূপ জাঁতায় পিষে যাবে। ঠাকুর আবার গান গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    পাড়িয়ে ভবসাগরে ডুবে মা তনুর তরী।

    মায়া-ঝড় মোহ-তুফান ক্রমে বাড়ে গো শঙ্করী।।

    একে মন-মাঝি আনাড়ি, তাহে ছজন গোঁয়াড় দাঁড়ি;

    কুবাতাসে দিয়ে পাড়ি, হাবুডুবু খেয়ে মরি।

    ভেঙে গেল ভক্তির হাল; ছিঁড়ে পড়ল শ্রদ্ধার পাল,

    তরী হল বানচাল, উপায় কি করি;

    উপায় না দেখি আর, অকিঞ্চন ভেবে সার;

    তরঙ্গে দিয়ে সাঁতার, শ্রীদুর্গানামের ভেলা ধরি।।

    বিশ্বাসবাবু অনেকক্ষুণ বাসিয়াছিলেন, এখন উঠিয়া গেলেন। তাঁহার অনেক টাকা ছিল, কিন্তু চরিত্র মলিন হওয়াতে সমস্ত উড়িয়া গিয়েছে। এখন পরিবার, কন্যা প্রভৃতি কাহাকেও দেখেন না। বলরাম তাঁহার কথা পাড়াতে ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন (Kathamrita), ওটা লক্ষ্মীছাড়া দারিদ্দির। গৃহস্থের কর্তব্য আছে, ঋণ আছে, দেব-ঋণ, পিতৃ-ঋণ, ঋষি-ঋণ আবার পরিবারদের সমন্ধে ঋণ আছে। সতী স্ত্রী হলে তাকে প্রতিপালন; সন্তানদিগকে প্রতিপালন যতদিন না লায়েক হয়।

    সাধুই কেবল সঞ্চয় করবে না। পঞ্জি আউর দরবেশ সঞ্চয় করে না। কিন্তু পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে। ছানার জন্যে মুখে করে খাবার নিয়ে যায়।

    বলরাম—এখন বিশ্বাসের সাধুসঙ্গ করবার ইচ্ছা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—সাধুর কমণ্ডলু চারধামে ঘুরে আসে, কিন্তু যেমন তেতো তেমনি তেতো থাকে। মলয়ের হাওয়া যে গাছে লাগে, সে—সব চন্দন হয়ে যায়! শিমুল, অশ্বথ, আমড়া এরা চন্দন হয় না। কেউ কেউ সাধুসঙ্গ করে গাঁজা খাবার জন্য। (হাস্য) সাধুরা গাঁজা খায় কিনা, তাই তাদের কাছে এসে বসে গাঁজা সেজে দেয় আর প্রসাদ পায়। (সকলের হাস্য)

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pavel Durov: প্যারিসে গ্রেফতার টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ! তবে কি বন্ধ হবে অ্যাপ?

    Pavel Durov: প্যারিসে গ্রেফতার টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ! তবে কি বন্ধ হবে অ্যাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তিনি আজারবাইজানের বাকু থেকে প্যারিসে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে (Pavel Durov)?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালকদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংসা রুখতে কাজ করে ফ্রান্সের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অফমিন’। তারাই দুরভের (Pavel Durov) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ জারি করেছিল। পাভেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নৈতি করা টেলিগ্রাম অসামাজাকি কার্যকলাপের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। ওই সামাজিক মাধ্যম মারফৎ প্রতারণা, মাদক পাচার, সাইবার বুলিং, সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ প্রচারের মতো গুরুতর কাজ হয়। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও টেলিগ্রামে অপরাধীদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ফলে অভিযোগ যে মারাত্মক ছিল, তা অনুমেয়।

    রাশিয়া ছেড়েছিলেন ২০১৪ সালে

    টেলিগ্রাম মূলত মেসেজিং অ্যাপ। এটি মূলত দুবাই কেন্দ্রিক। অন্যান্য বার্তা বাহক অ্যাপ হিসেবে এই টেলিগ্রাম বেশ কিছু সময় ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করে থাকে। একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে দুরভ (Pavel Durov) বলেন, “প্রথমে একটি সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট তৈরি করেছিলাম। তা নিয়ে রাশিয়া সরকার ব্যাপক চাপ তৈরি করেছিল। পরে তা বিক্রি করে রাশিয়া ছেড়েছি ২০১৪ সালে। এরপর এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ নির্মাণের ভাবনাও ভেবেছিলাম এবং তৈরি করলাম টেলিগ্রাম। এরপরে দুবাইতে ভিত্তি করে টেলিগ্রামের ব্যবসা শুরু করি।” উল্লেখ্য এই অ্যাপ দুই লক্ষ সদস্য নিয়ে গ্রুপ তৈরি করতে দেয়। ফলে এই মাধ্যমে খুব সহজেই দ্রুত যেকোনও বার্তাকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আর এখানেই বিদ্বেষমূলক ভাবনা, মিথ্যে তথ্য, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০

    ২০২১ সাল থেকে ফ্রান্সে নাগরিকত্ব নেন

    মূলত রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন পাভেল দুরভের (Pavel Durov)। এখন বয়স মাত্র ৩৯। তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপের মালিক। একপ্রকার হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, উইচ্যাটের মতো প্রতিযোগী এই মেসেজিং অ্যাপ। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সাবেক সোভিয়েত ভেঙে তৈরি হওয়া দেশগুলিতে ব্যাপক জনপ্রিয় টেলিগ্রাম। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, পাভেলের সম্পত্তির পরিমাণ হল ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে তিনি ২০২১ সাল থেকে ফ্রান্সে নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এখন দুবাই থেকে ব্যবসা চালাতেন। এবার, পাভেল গ্রেফতার হওয়ার জেরে টেলিগ্রামের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই নিয়ে কৌতুহল নেট-দুনিয়ায়।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের জন্য  ১৫ প্রার্থীর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। ১৫ জন প্রার্থীর এই সংশোধিত তালিকায় ১০ জন মুসলিম। রয়েছেন একজন মহিলাও। এর আগে, সোমবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে (J&K Assembly polls) ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় পুরনো তালিকা প্রত্যাহার করে নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার 

    প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৯০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভা (Jammu Kashmir) ভোটে মোট ৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম দফার ভোটের ১৫ জন, দ্বিতীয় দফার ১০ এবং তৃতীয় দফার ১৯ জনের নাম ছিল এই তালিকায়। কয়েক ঘণ্টা পর ফের নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে দল। তাতে প্রথম দফার ভোটের জন্য মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানা। রানা সম্প্রতি আবদুল্লা পরিবারের ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার করা হল? বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম তালিকায় প্রথম দফার ভোটের নাম ঘোষণার কথা ছিল। ভুল করে তিনটি তালিকায় একসঙ্গে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই তা প্রত্যাহার করা হয়।

    রাজ্যের মর্যাদা দাবি

    প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর-মোট তিন ধাপে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর। কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা (J&K Assembly polls) ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছিল। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরে রয়েছে ৪৭টি আসন বাকি ৪৩টি আসন রয়েছে জম্মুতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি, পাকিস্তানে নিহত ২৩

    Pakistan: বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি, পাকিস্তানে নিহত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় জাতীয় সড়কের ওপর সন্ত্রাসবাদীদের অতর্কিত হামলা। ট্রাক ও বাস (Bus Attack) থেকে যাত্রী নামিয়ে পরিচয় যাচাই করে পরপর গুলি করে ২৩ জনকে খুন করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সোমবার সকালে বালুচিস্তান প্রদেশের মুসাখাইল জেলায় এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা করে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এই অঞ্চলে হিংসা মোকাবিলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Pakistan)

    পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচিস্তানের মুসাখেলে রারাশামের কাছে আগে থেকেই হাইওয়ে আটকে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গিরা। এই পথে আসা সমস্ত বাস ও ট্রাক থেকে যাত্রীদের নামতে বাধ্য করে তারা। এরপর এক এক করে সকলের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে ২৩ জন যাত্রীকে গুলি করে মারা হয়। নিহতেরা সকলেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। এর পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাস ও ট্রাকগুলিতে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ১০টি গাড়ি। বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, নিহতরা সাধারণ পোশাকে সামরিক কর্মী ছিল। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পাঞ্জাবি শ্রমিক এবং দুই আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। সহকারি কমিশনার মুসাখাইল নজিব কাকারের বলেন, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা মুসাখেলের রারাশাম জেলার হাইওয়ে অবরোধ করে। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা ১০টি গাড়িতে আগুনও দেয়।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    আগেও হামলা!

    বালুচিস্তানের (Pakistan) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায়ই পাকিস্তানের পূর্ব পাঞ্জাব অঞ্চলের শ্রমিক ও অন্যদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করার প্ররোচণা দেয় দেয় বলে অভিযোগ। এদিনের এই হত্যালীলা তারই অংশ বলেই ধরা হচ্ছে। পাক পাঞ্জাবের মানুষদের লক্ষ্য করে একই ধরনের হামলা আগেও হয়েছে। প্রায় চার মাস আগে মুসাখেলে একই ধরনের হামলা হয়েছিল। এপ্রিলে নোশাকির কাছে ১১ জন পাঞ্জাবি শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। তার আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তুরবাতে ছয়জন পাঞ্জাবি শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি এই হামলাকে “বর্বর” বলে অভিহিত করেছেন। যে বা যারা এর পিছনে রয়েছে, তাদের বিচার হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। পাক তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সন্ত্রাসবাদীদের বর্বরতার তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অপরাধীদের সাজা হবেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh: ভারতে কর্মরত দুই কূটনীতিককে বরখাস্ত করল বাংলাদেশ, কেন জানেন?

    India-Bangladesh: ভারতে কর্মরত দুই কূটনীতিককে বরখাস্ত করল বাংলাদেশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বাংলাদেশ (India-Bangladesh) দূতাবাসে কর্মরত দুই কুটনীতিককে বরখাস্ত করল মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে (Bangladeshi Diplomats) কর্মরত শাবান মাহমুদ এবং কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে থাকা রঞ্জন সেনকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দু’জনকেই কাজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে বরখাস্ত করা হল। তাঁদের দ্রুত দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। গত ১৭ অগাস্ট এই নির্দেশিকা জারি করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। 

    কেন বরখাস্ত, তা স্পষ্ট নয়

    বাংলাদেশে (India-Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও কূটনীতিকের (Bangladeshi Diplomats) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। যদিও কেন এই পদক্ষেপ, সেই কারণ স্পষ্ট করা হয়নি। সময়ের আগেই ওই দুই কূটনীতিককে সরাল ইউনূস সরকার। রঞ্জনের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। জানা যায়, কলকাতা দূতাবাসে কর্মরত রঞ্জন সেনকে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার পুনঃনিযুক্ত করেছিলেন। ফলে তাঁর ঢাকা ফেরার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: মাওবাদী-মুক্ত দেশ ২০২৬ সালের মধ্যেই, ঘোষণা অমিত শাহের

    নয়াদিল্লিকে বার্তা!

    বাংলাদেশে (India-Bangladesh) কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়েন তিনি। হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন পদ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। আর এর মধ্যেই এবার ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত দুই কুটনীতিককে (Bangladeshi Diplomats) সরিয়ে দেওয়া হল (India-Bangladesh)। এতদিন সে দেশের মধ্যেই রদবদল প্রক্রিয়া চললেও এই প্রথম কোনও কূটনীতিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছে হাসিনা মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। হাসিনা প্রসঙ্গে দিল্লি আগামী দিনে কী অবস্থান গ্রহণ করে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে। এই আবহে ভারতের দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে দেওয়ার পর কী পদক্ষেপ করে ইউনূস-প্রশাসন, সেই দিকেই তাকিয়ে নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share