Blog

  • BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ‘বিজেপিকে জানুন’ নামে একটি কর্মসূচিতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি সম্প্রতি তিন দিনের সফরে এসেছেন ভারতে। নাড্ডা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত আশা প্রকাশ করেছেন।

    ঠিক কী বললেন নাড্ডা (BJP)?

    বিজেপির (BJP) বিদেশ পর্যবেক্ষক বিজয় চৌথাইওয়ালে জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকে ওই দেশের শাসকদল ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ‘বিজেপিকে জানুন’-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নাড্ডা (JP Nadda) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের শাসক দলের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ভাবনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাই দাতো সেরি আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করে বেশ সম্মানিত হয়েছি। আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করতে পেরেছি। দুই দেশ এবং দুই শাসক দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর ভাবে অধ্যায়ন করা সম্ভবপর হয়েছে। ভারত-মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে আলোচনা

    বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গত এক দশকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। দুই দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে মতবিনিময়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং পিপলস জাস্টিস পার্টির মধ্যে সহজতর সম্পর্ক নির্মাণে আলোচনা হয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং পরস্পরের বোঝাপড়া গড়ার বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কার্যকালের প্রথম সফরসূচি বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে। নিহত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer)। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও রাজ্যে একাধিক জেলায় সিভিকদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, শ্লীলতাহানিসহ নানা কুকর্ম করার অভিযোগ ওঠে। ফলে, সিভিকদের ভাবমূর্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে সিভিকদের বোনাস (Bonus) বৃদ্ধির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সঙ্গে সিভিকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    ক্ষতে প্রলেপ দিতেই বোনাস বৃদ্ধি! (Civic Volunteer)

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারের উদ্যোগ না নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ দিল সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, সন্দীপকে নিয়ে গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর তাঁকে আড়াল করতেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল! ঠিক একইভাবে বোনাস বৃদ্ধি করে সিভিকদের (Civic Volunteer) মন জয় করার মরিয়া চেষ্টা তৃণমূল সরকারের। জানা গিয়েছে, গত বার প্রথম যে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, তাতে কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস ৫ হাজার ৩০০ টাকা থাকলেও জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রে ছিল ২ হাজার টাকা। এ বার কলকাতার সঙ্গে জেলার সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা গ্রামীণ এলাকার ভিলেজ পুলিশের বোনাসের অঙ্কের কোনও ফারাক রইল না। নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস করা হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    শুভেন্দুর চাপও আছে

    সিভিকদের বোনাস বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, “কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ৫ হাজার ৩০০ টাকা পান তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা (Civic Volunteer) কেন বঞ্চিত হবেন? কেন তাঁদের কম অর্থ দেওয়া হবে। জেলার প্রতি বিমাতৃসুলভ মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য।” সিভিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। যদিও তার পরে ক্ষতি প্রলেপ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই রাজ্যের অন্য জেলায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও সমান অঙ্কের পুজোর বোনাস পাবেন। অবশেষে সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সে আল কায়েদা-প্রাণিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ (Ansarullah) বাংলা টিমের (ABT) প্রধান। ১৮ অগাস্ট তাকেই মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জসিমুদ্দিন রাহামানি বন্দি ছিল গাজিপুরের কাশিমপুর উচ্চ নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে তাকে মুক্তি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

    কী বলছেন জেল সুপার (Bangladesh Crisis)

    জেল সুপার বলেন, “তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ায় রবিবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।” রাহামানিকে মুক্তি দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউশনের আইনজীবী এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধীরা। তাঁদের মতে, রাহামানির মুক্তি সন্ত্রাসের হুমকি বাড়াবে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে  দায়ের করা মামলার বিচারে বাধার সৃষ্টি করবে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয় রাহামানিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হিংসায় জনগণকে প্ররোচিত করেছিল সে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩০ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বন্দিদশা কাটাচ্ছিল রাহামানি। তার বিরুদ্ধে ছ’টি আলাদা আলাদা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সবক’টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

    ব্লগার খুনেও অভিযুক্ত

    ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুন হন ব্লগার রাজীব হায়দার। এই খুনের ঘটনায় রাহামানিকে (Bangladesh Crisis) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। বাংলাদেশের পল্লবী থানার এই মামলাটি ছাড়াও মহম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি, গুলশান থানায় একটি, বরগুনা সদর থানায় একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলাই বিচারাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে। ২০২০ ও ২০২২ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জামিন দেয় তাকে। ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, অন্য তিনটি মামলায়ও জামিন দেওয়া হয় তাকে।

    আরও পড়ুন: নকশাল দমনের গতিপ্রকৃতি জানতে দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রানজিশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা এখন রহমানিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সে আমাদের নজরদারিতে থাকবে।” ভারতেও ঘাঁটি গেড়েছিল রহমানিয়ার সংগঠন। ২০২২ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, যেটা আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত, এ রাজ্যে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল। গত ছ’মাসে রাজ্যে এবিটির (Ansarullah) পাঁচটি মডিউল ধরা পড়েছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeep Ghosh: মরদেহ লোপাট থেকে অবৈধ নিয়োগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?

    Sandeep Ghosh: মরদেহ লোপাট থেকে অবৈধ নিয়োগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Issue) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) ভূমিকা আতস কাচের তলায়। প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে হাসপাতালের মৃতদেহ লোপাট করার মতো মারাত্মক অভিযোগও। মর্গের রেজিস্টার গুম করে দিয়েছেন তিনি, ভেঙেছেন সরকারি নিয়ম, এক বছর আগে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। পেশাগত অনিয়মের কারণে বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হওয়ার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে চেম্বারে প্রবেশ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ 

    অধ্যক্ষ থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়েরও একাধিক অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, কোভিডের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হিসেব দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই যন্ত্রের তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ নাকি টেন্ডারের ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

    প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandeep Ghosh) করতেন অবৈধ নিয়োগ

    হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অবৈধ ভাবে ইন্টার্ন নিয়োগের অভিযোগও শাসক দল ঘনিষ্ঠ এই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে প্রভাশালী সন্দীপ বদলি হলেও বারবার ফিরে আসেন আরজি করে। অনেকে বলেন, স্বাস্থ্য ভবন তো আসলে সন্দীপেরই সাম্রাজ্য। একবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, জাদুবলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি ফের ফিরে আসেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবার বদলি হন উলুবেড়িয়াতে। সে বার ফিরতে সময় নিয়েছিলেন ২১ দিন। আরজি করে ডাক্তার ছাত্রীর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তো উঠেছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের কর্তব্যে গাফিলতি এবং তা আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে প্রভাশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে।

    ২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নোটিশ পাঠায় ক্যাগ

    অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও গরমিল ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) নোটিশ পাঠায় ক্যাগ। কিন্তু কোনওবারই জবাব দেননি সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যের জিএসটির নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল ক্যাগের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে আরজি করে (RG Kar Issue) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালেরই এক প্রাক্তন পদাধিকারী। বুধবার আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar) ন্যায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন রাজ্যবাসী। কোনও রকম দলীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়া ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নামে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার শ্যামবাজার মোড়ে বিজেপি পাঁচদিনের জন্য ধর্না-বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে। একই ভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছিলেন। কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সামাজিক সংগঠনও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় নেমেছে।

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু(RG Kar)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), একজন মহিলা চিকিৎসককে (RG Kar) ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বলেন, “সব পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে এই আন্দোলনে যোগদান করুন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে যাব। তবে এটা কোনও দলের আহ্বান নয়। সকলেই বুঝে গিয়েছেন, সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলব, ২৬ তারিখের মধ্যে পদত্যাগ করুন, যাতে ২৭ তারিখে কোনও গুলি চালাতে না হয়।”

    আরও পড়ুনঃ টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এরপর এবিভিপি এবং পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে, উভয় পক্ষের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। ছাত্রদের দাবি, পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। এরপর ২০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই ভাবে মহিলা ডাক্তার খুনের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিটে আন্দোলন হয়েছিল। অপর দিকে গড়িয়াহাটে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এবং যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-র নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন। ঠিক একই সময়ে আবার হাওড়া ব্রিজে বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাতে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এইভাবে দিকে দিকে ক্রমেই জোরদার হচ্ছে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Starbucks: বাড়ি থেকে অফিস ১৬০০ কিমি, স্টারবাক্সের নতুন সিইও যাতায়াত করবেন প্রাইভেট জেটে!

    Starbucks: বাড়ি থেকে অফিস ১৬০০ কিমি, স্টারবাক্সের নতুন সিইও যাতায়াত করবেন প্রাইভেট জেটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব একটু বেশিই, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সিয়াটেল প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিমি। ওই রাস্তা পেরিয়ে প্রতিদিন প্রাইভেট জেটে করে অফিসে যাতায়াত করবেন স্টারবাকস (Starbucks)-এর নতুন সিইও ব্রায়ান নিকোল (Brian Niccol)। তাঁকে প্রাইভেট জেট কেনার মূল্য দিয়েছে সংস্থাই। সম্প্রতি কোম্পানির হৃতগৌরব ফেরাতে আমেরিকান বহুজাতিক কফিহাউস এবং রোস্টারি রিজার্ভের চেইন, স্টারবাকস (Starbucks) নতুন সিইও  হিসেবে ব্রায়ান নিকোলকে (Brian Niccol) নিয়োগ করেছে।

    ব্রায়ানকে বিশেষ সুবিধা (Starbucks)

    ব্রায়ান থাকেন ক্য়ালিফোর্নিয়ায়। আর স্টারবাকসের (Starbucks) সদর দফতর সিয়াটেলে। আমেরিকার দুই শহরের মধ্য়ে দূরত্ব ১৬০০ কিলোমিটার। ব্রায়ান তাঁর বাড়ি বদলাবেন না। কোম্পানির হাইব্রিড কাজের নীতি মেনে, ব্রায়ানকে সপ্তাহে কম করে তিনদিন অফিসে যেতেই হবে। আর এই পরিস্থিতিতে পড়ে ব্রায়ান কিনে ফেলেছেন একটি প্রাইভেট জেট। যা চেপে তিনি বাড়ি থেকে অফিস ও অফিস থেকে বাড়িতে যাতায়াত করবেন। কোম্পানির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ব্রায়ান তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটাবেন আমাদের সিয়াটেল সাপোর্ট সেন্টারে বা আমাদের স্টোর, রোস্টারি, রোস্টিং সুবিধা এবং সারা বিশ্বে অফিসে অংশীদার এবং গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা করে। তাঁর সময়সূচি আমাদের সমস্ত অংশীদারদের জন্য হাইব্রিড কাজের নির্দেশিকা এবং কর্মক্ষেত্রের প্রত্যাশাকেও অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

    ব্রায়ানকে ভরসা স্টারবাকসের

    স্টারবাকসের (Starbucks) বিক্রি সম্প্রতি অনেকটাই কমেছে। তাই কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য ব্রায়ানে আস্থা রাখছে স্টারবাকস। গত ৫০ বছরে নিকোলের কাজের অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। তাঁর দূরদর্শিতা প্রমাণিত অতীতের কাজেও। চিপোটেল মেক্সিকান গ্রিলে যখন তিনি সিইও পদে ছিলেন, তখন কোম্পানির স্টক ভ্য়ালু বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এহেন ব্রায়ানকে স্টারবাকস বছরে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতন দেবে। ক্যাশ বোনাসও রয়েছে সঙ্গে। যা ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৭.২ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। বার্ষিক ইকুইটি পুরস্কার হিসেবেও তাঁর পকেটে সর্বাধিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঢুকতে পারে। ব্রায়ান চিপোটেলে যখন ছিলেন, তখনও এই বাড়ি-অফিসের দূরত্বের জন্য় ভুগেছিলেন। যে কারণে ব্রায়ান যোগ দেওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই চিপোটেলের সদর দফতর কলোরাডো থেকে ক্য়ালিফোর্নিয়ায় চলে এসেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    Asansol: টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের জঙ্গি আন্দোলনের জের। কার্যত বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন আসানসোলের (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ইমেল মারফত আচার্য তথা রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তৃণমূল সরকার পরিচালিত এই রাজ্যে আর চাকরি করতে চান না তিনি। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্য ছেড়েই তিনি চলে যাচ্ছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Asansol)

    বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ-এর অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে। ব্যয় হওয়া প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা কখন, কোথায়, কী কারণে খরচ করা হয়েছে, তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়। টিএমসিপির জঙ্গি আন্দোলন এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করছিলেন উপাচার্য দেবাশিসবাবু। এ নিয়ে তিনি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালকে। গত ১৬ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু, ফের আন্দোলনের মুখে পড়েন। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই সেদিন কয়েক জন বহিরাগত ঢুকে শাসিয়েছিল, আরজি কর বানিয়ে দেব!” ওই বিষয়ে নিয়ে থানায় অভিযোগও করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পদত্যাগ প্রসঙ্গে টিএমসিপি-র পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, “উনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ হয়েছে তাঁর আমলে। সেই হিসেব না দিয়ে আন্দোলন এড়াতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন!”

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    কী বললেন পদত্যাগী উপাচার্য?

    দেবাশিসবাবু বলেন, “আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে হচ্ছিল। তাই ইস্তফাই দিলাম। রাজ্যপাল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।” এই রাজ্যে আর থাকতে চান না বলে জানান পদত্যাগী উপাচার্য। তিনি বলেন, “ভিনরাজ্যে একটি ‘ভালো অফার’ পেয়েছি। সেখানে চলে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) ২০২৪ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তাঁর মতে, এই বিলটি সময়ের দাবি।

    ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ (Mukhtar Abbas Naqvi)

    সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ পেশ করেছে মোদি সরকার। এই বিল নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি। তার আগে বিলটিকে সময়ের দাবি বলে দাবি করেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নাকভি। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করাতে চায় এনডিএ সরকার।

    পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক

    তবে বিলটি সম্পর্কে যাবতীয় পর্যালোচনা করবে পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশন। এই কমিশনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করবে বিলটির ভবিষ্যৎ। বিলটি পাশ করাতে মরিরা সরকার যে কেবল বিরোধীদের দাবির কথা শুনছে তা নয়, বিলটি যাতে বিতর্ক ছাড়াই পাশ করিয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য বোঝানোর চেষ্টা চলছে এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং চিরাগ পাশোয়ানকেও। তাঁরা যাতে বিলটি সমর্থন করেন, জোর কদমে সেই চেষ্টাই করে চলেছে মোদি সরকার।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) আগেই বলেছিলেন, “ওয়াকফ এবং ওয়াক্ত উভয়ের জন্যই এটি ভালো।” তাঁর মতে, সংস্কারগুলি সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। এদিন তিনি বলেন, “পুরো সিস্টেমটাকে (ওয়াকফ বোর্ডে) বেরিয়ে আসতে হবে টাচ মি নট পলিটিক্স থেকে। ওযাকফ সিস্টেমটাকে উন্নত করতেই সরকার এই বিল এনেছে।”

    আরও পড়ুন: পোল্যান্ড সফরে মোদি, গুজরাটের রাজার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, বৈঠক প্রবাসীদের সঙ্গে

    তিনি বলেন, “এমন নয় যে এই প্রথম ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়াকফ আইন সংশোধন হয়েছে।” নাকভি বলেন, “কংগ্রেস এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় এই আইন সংশোধন হয়েছে। সরকার যে বিল পেশ করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত, আলোচনা হওয়া উচিত, ডিটেইলসে বিশ্লেষণও করা উচিত। সেই কারণেই বিলটিকে পাঠানো হয়েছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে।” তিনি (Mukhtar Abbas Naqvi) বলেন, “জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি একটা সাংবিধানিক বডি। এর (Waqf Amendment Bill) বৈঠকে বিলটি নিয়ে খোলা মনে আলোচনা হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: এবার একেবারে স্বাস্থ্য ভবনে, এক রাতের ব্যবধানে আবার বড় আশ্রয় সন্দীপ ঘোষকে!

    RG Kar Incident: এবার একেবারে স্বাস্থ্য ভবনে, এক রাতের ব্যবধানে আবার বড় আশ্রয় সন্দীপ ঘোষকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আশ্রয় সন্দীপ ঘোষকে! আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব দেয় সরকার। তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেন সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা। হাইকোর্ট সন্দীপকে ছুটিতে যেতে নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টেও সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। চিকিৎসকদের চাপের মুখে পডে ফের সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি বুধবার প্রকাশ করে স্বাস্থ্যভবন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই পট পরিবর্তন। মাত্র এক রাতের ব্যবধানে আবার আশ্রয় সন্দীপ ঘোষকে। এবার স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ পদ পেলেন তিনি। সেই বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    কাদের সরানো হল?

    ছাত্রছাত্রীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরানো হল আরজি করে (RG Kar Incident) সদ্য অধ্যক্ষ পদে আসা সুহৃতা পালকে। সুহৃতার জায়গায় আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ হচ্ছেন মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সুপার হচ্ছেন সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। সুহৃতাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। আরজি করের এম‌এসভিপি এবং ডিন অব স্টুডেন্টসের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে শুধু আরজি করের ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে হিসেবে রাখা হল। এদিকে, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তিনি। এই চেস্ট মেডিসিন বিভাগেরই চিকিৎসক তথা ছাত্রী ছিলেন নির্যাতিতা।

    কেন সরানো হল?

    বুধবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান চালান জুনিয়র ডাক্তাররা। রাস্তায় নামেন হাজারো চিকিৎসক। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে হেঁটে পৌঁছে যান কয়েক হাজার জুনিয়র ডাক্তার। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা বলেন, যে ১০ দফা দাবি শুরু থেকে জানানো হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার জন্য ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল। তার মধ্যে সব মেনে নিতে হবে। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সহ যাঁরা ঘটনার সময় আরজি করের বিভিন্ন পদে ছিলেন, তাঁদের অপসারণ সহ একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়। দিনভর বিক্ষোভের পর অবশেষে রাতে আন্দোলকারীদের দাবি মেনে বদলি করা হয় আরজি করের চার আধিকারিককে। 

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    সন্দীপকে কেন আশ্রয়?

    রাজ্য সরকার আরজি করের (RG Kar Incident) চার আধিকারিককে সরালেও এখনই কর্মবিরতি তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকেও সরাতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে, উনি যাতে ভবিষ্যতে কোনও প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে না পারেন। এটা যত ক্ষণ না হচ্ছে,কর্মবিরতি চলবে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার করা হলেও তাঁকে স্বাস্থ্যভবনে পদ দিল সরকার। কেন বারবার যাঁর আমলে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে তাঁকে উল্টে ‘পুরস্কৃত’ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে গোটা রাজ্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share