Blog

  • Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার পারদ ক্রমেই চড়ছে। আর তার ফলে দেখা দিচ্ছে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি (Summer Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে গরমের দাপট বাড়তেই ফুসফুস কিংবা পেটের নানান অসুখের মতোই হানা দিচ্ছে মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময়েই সংক্রমণ প্রাথমিক ভাবে কমে গেলেও, ফের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বারবার সংক্রমণের জেরে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কেন গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমের জেরে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের অভাবেই মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া লাগামহীন এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকছেন আবার কিছু সময় থাকার পরেই ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন।

    এর ফলে শরীরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস এবং পেটে নানান ধরনের সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ছে। আর তার থেকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এড়াতে শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশপাশি গরমে শরীরে যাতে বাড়তি জলের চাহিদা পূরণ হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি (Summer Health Problems)।

    এই রোগের উপসর্গ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection) হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বারবার জ্বর হয়। এর পাশপাশি পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত মূত্রত্যাগের সময় আরও বেশি যন্ত্রণা শুরু হয়। পায়ে খিঁচ ব্যথাও অনুভব হতে পারে।‌ এই সমস্যা দেখা দিলে বারবার বমি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। যাতে পেটে এবং মূত্রনালিতে কোনও রকম সংক্রমণ না হয়।

    ● নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। এতে শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাবে। পেটের সমস্যা কমবে। এমনকি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে‌।

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে নিয়মিত সবুজ সব্জি খাওয়া জরুরি। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ফলে যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা (Summer Health Problems) সহজ‌ হয়। তাই নিয়মিত অন্তত এক গ্লাস লেবুর সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ● বারবার চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গরমে বারবার চা কিংবা কফি জাতীয় পানীয় খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    ● শৌচাগার পরিষ্কারভাবে রাখার পাশপাশি নিজেও সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়মগুলো মেনে চললে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি পাঠিয়ে ২৬টি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পুরস্কার! না কি পাকিস্তানে (Pakistan) ফের গণতন্ত্রের অবসান! অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান আবারও সামরিক শাসনের পথে? সেনাপ্রধান থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক আয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসেবে মুনির ‘পাঁচ তারা জেনারেল’ পদ পেলেন। এই পদোন্নতি মূলত প্রতীকী। তবুও মুনিরকে এই পদে বসানোয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা পাক মুলুকে অতীত সামরিক শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

    কেন এই পদে মুনির

    মঙ্গলবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ফিল্ড মর্শাল পদে বসালেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ। বস্তুত, ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ায় জল, স্থল এবং নৌ-তিন সেনারই নিয়ন্ত্রণ চলে এল মুনিরের হাতে। এমনিতে মুনির শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ। ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর নেপথ্যেও এই মুনিরের হাত রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সফলভাবে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর ‘অনুকরণীয় ভূমিকা’ পালনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিফ মন্ত্রিসভা। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে জয়ের দাবি করলেও, ভারত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে প্রমাণ-সহ ইসলামাবাদের মিথ্যাচার ফাঁস করেছে।

    ইতিহাসের ছায়া, আয়ুব খান ও সামরিক শাসনের শুরু

    ১৯৫৯ সালে যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, তখন পাকিস্তান প্রবেশ করেছিল সামরিক শাসনের এক নতুন অধ্যায়ে। মাত্র এক দশকেই দেশটির সাতজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা সংসদ ভেঙে মার্শাল ল’ ঘোষণা করেন এবং আয়ুব খানকে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু খুব অল্প সময়েই আয়ুব খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। আয়ুবের ‘ফিল্ড মার্শাল’ উপাধি গ্রহণ ছিল কৌশলগত—তিনি চেয়েছিলেন সামরিক ও অসামরিক উভয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। তাঁর শাসনকাল (১৯৫৮-১৯৬৯) ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

    বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসিম মুনির ও আঞ্চলিক উত্তেজনা

    ২০২৫ সালে আসিম মুনিরের (Asim Munir) এই পদোন্নতি এসেছে এক জটিল পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি শেষ করার জন্য ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভারত তাদের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বিরোধী পাক জেনারেল মুনির, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখান। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ উল্লেখ করে ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দেন। ফিল্ড মার্শালের পদ, যদিও এখন আর কার্যকরী সেনা পদ নয়, তবে এর প্রতীকী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বলছেন, এটি সেনাবাহিনীর আরও কর্তৃত্ব প্রদর্শনের সংকেত। যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

    বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা

    পহেলগাঁও হামলার পরই অবশ্য বিভিন্নভাবে মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৯ মে সেনাপ্রধানের হাত শক্ত করতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার থেকে সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের মামলারও শুনানি করা যাবে। যার অর্থ, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সামরিক শক্তি পুরোটাই এখন মুনিরের হাতে।

    রাজনৈতিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

    পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রভাবাধীন। পাক সরকার, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রায়শই সামরিক চাপের মুখে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের পদোন্নতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “এটা একটি বিপজ্জনক বার্তা। ‘ফিল্ড মার্শাল’ কেবল একটি পদ নয়—এটা অবারিত ক্ষমতার প্রতীক। পাকিস্তান আরেকটি স্বৈরাচারী অধ্যায় সহ্য করতে পারবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মুনিরের পদোন্নতি ও তাঁর কট্টর অবস্থান এই উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদোন্নতি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আয়ুব খানের মতো, তাঁর পদোন্নতি এমন এক সময় এসেছে যখন দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকটে রয়েছে।

  • Daily Horoscope 21 May 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 May 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য স্নাতক হওয়া আইনের পড়ুয়ারা বিচারক হতে চাইলে এবার থেকে তাঁদের তিন বছরের প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবেই। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা না থাকা আইন স্নাতকরা বিচারক হলে আদালতের কাজকর্মে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সুপ্রিম কোর্ট তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করল। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে আইন পাশ করার বছর থেকেই জুডিশিয়াল সার্ভিস দেওয়া যেত, তা এবার সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশিকায় বন্ধ হল।

    ২০০২ সাল পর্যন্ত থাকা নিয়মকেই পুনরায় ফিরিয়ে আনল শীর্ষ আদালত

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত ন্যূনতম তিন বছর প্র্যাকটিস করলে তবেই বিচারক (Judicial Service) হওয়ার পরীক্ষায় বসা যেত। ২০০২ সালে সেই নিয়ম তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তীকালে আবার ২৩ বছর পরে তা ফের একবার লাগু হল। মঙ্গলবারই দেশের প্রধান (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এজি মাসিহ এবং বিচারপতি কে বিনোদচন্দ্রনের এই বেঞ্চ এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে।

    বর্তমানে যে নিয়োগ চলছে সেখানে কার্যকর হবে না নয়া নিয়ম

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, আইনে স্নাতক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জুডিশিয়াল সার্ভিসে বসা যাবে না। এর জন্য তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার কারণ কোর্টের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিন এমন নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য সরকারকে নিয়ম সংশোধন করতেও নির্দেশ দিয়েছে। যাতে সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ যাঁরা করবেন, তাঁদের ন্যূনতম তিন বছরের প্র্যাকটিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তার উপরে কোন প্রভাব ফেলবে না এই নির্দেশিকা (Judicial Service)। পরবর্তীকালে যে নিয়োগগুলি হবে সেখানেই লাগু হবে এই নয়া নিয়ম।

  • World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর। ভারতের স্বাস্থ্য সংস্কারে অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রধান নীতি। আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেন (World Health Assembly) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৭৮তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি (PM Modi)। ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’ এই ঐক্যবদ্ধ মূলভাবের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য উদ্যোগে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (World Health Assembly)

    এদিন তাঁর ভাষণে অবধারিতভাবেই আসে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন, “আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প। এটি ৫৮ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে। সম্প্রতি এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়ে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সব ভারতীয়কেও আওতায় এনেছে।” প্রধানমন্ত্রী ভারতের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নেটওয়ার্কের গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো রোগ চিহ্নিত ও নির্ণয়ে কাজ করে।

    হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের বিশাল নেটওয়ার্ক

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে হাজার হাজার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এরা ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতো রোগ নির্ণয় ও চিহ্নিত করে। হাজার হাজার সরকারি ফার্মাসিস্ট বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে উচ্চ মানের ওষুধ সরবরাহ করে।” এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ফের মনে করিয়ে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশগ্রহণের জন্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবার যোগ দিবসের থিম “এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ” (World Health Assembly)।

    তিনি বলেন, জুন মাসে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছরের থিম হল ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ’। যে দেশ থেকে যোগ বিশ্বকে উপহার দেওয়া হয়েছে, সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সকল দেশকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই।” প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএইচও (WHO) -র সদস্য দেশগুলোকে ভবিষ্যৎ মহামারির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার লক্ষ্যে আইএনবি চুক্তি সফলভাবে আলোচনার জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি ডব্লিউএইচও এবং সমস্ত সদস্য দেশকে আইএনবি চুক্তির সফল আলোচনার জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি একটি যৌথ অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের মহামারির বিরুদ্ধে বৃহত্তর সহযোগিতার সঙ্গে লড়াই করতে পারব এবং একটি সুস্থ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব। আসুন আমরা নিশ্চিত করি, যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে (World Health Assembly)।”

  • ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে চর (ISI Spy) জ্যোতি মালহোত্রর (Jyoti Malhotra) সম্পর্ক ছিল, তা আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিহ্নিত করতে ও তাদের ওপর নজরদারি করতে ভারতীয় ইউটিউবার জ্যোতিকে ব্যবহার করেছিল আইএসআই। হরিয়ানার ওই ইউটিউবার রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। তাকে জেরা করেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে জ্যোতির করা সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। প্রতিটিতে একটি করে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। আরএসআইয়ের এক এজেন্ট জ্যোতিকে নির্দেশ দেয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার সময় সে যদি কোনও ভারতীয় গুপ্তচরকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিতে দেখে, তা যেন তাকে জানায়। আপাতত এই চ্যাটের মাধ্যমেই জ্যোতির আসল সত্যিটা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতি ও আলি হাসান (ISI Spy)

    সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু’জনের কথাবার্তা হয়েছে। আলি জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করে, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ প্রোটোকল পেতে দেখেছে কিনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ এই দুই শব্দের ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। এ থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত আইএসআই।

    ষড়যন্ত্র ফাঁস

    জ্যোতির গ্রেফতারের মাধ্যমে আইএসআইয়ের একটি বড় মডিউলের সঙ্গে জড়িত একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে একটি গুপ্তচর (ISI Spy) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, জ্যোতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইএসআই একটি পরিকল্পিত মডিউল তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, যাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর প্রভাব রয়েছে। শুধু গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিদের। প্রসঙ্গত, জ্যোতির (Jyoti Malhotra) ইউটিউবে প্রায় ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে (ISI Spy)।

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

  • Central Government: ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠাতে হবে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Central Government: ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠাতে হবে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Central Government)। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এই কারণেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে (Central Government) বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে দিল্লি। জানা যাচ্ছে, একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এবং অসম রাইফেলসকেও। বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত পাহারা দিয়ে থাকে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    কী বলা হল নির্দেশিকায়

    সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে সন্দেহজনক বাংলাদেশি এবং মায়ানমারের বাসিন্দার যাঁরা নিজেদের ভারতের বাসিন্দা বলে দাবি করে, তাঁদের তিরিশ দিনের মধ্যে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের মূলত রোহিঙ্গা জাতির মানুষ ভারতে নানা প্রান্তে রয়েছে। ভারত সরকার (Central Government) তাদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতিও দেয়নি। কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে রোহিঙ্গা জনজাতির মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বহু মানুষ আইনি ও বেআইনি পথে এসে আর ফিরে যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।

    গুজরাটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতকরণ অভিযান

    সপ্তাহ দুই হল ভারত সরকার বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। গুজরাট থেকে ৭৮ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনী। গুজরাট সরকার ইতিমধ্যে ছয় হাজারের বেশি সন্দেহজনক বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে। তারা নিজেদের ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দা বলে মিথ্যা দাবি করেছে। তাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে (Central Government) বলে জানা যাচ্ছে। নথিপত্র দিয়ে ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট  শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের এদেশে আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এই আবহে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

  • Rajdhani Express: ফের রেল নাশকতার ছক, উত্তরপ্রদেশে অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেস

    Rajdhani Express: ফের রেল নাশকতার ছক, উত্তরপ্রদেশে অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বড়সড় রেল নাশকরাতর ছক উত্তরপ্রদেশে। রাজধানী (Rajdhani Express) ও কাঠগোদাম দুটি ট্রেনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা! দুটি ক্ষেত্রেই চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেন দুটি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলাতে। রেললাইনে কাঠের গুঁড়ি বেঁধে এই নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।

    রাজধানীকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা (Rajdhani Express)

    সোমবারই নয়াদিল্লি থেকে অসমের ডিব্রুগড় যাচ্ছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। সন্ধ্যায় ডালেনগর থেকে উমরতলি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় রেললাইনের (Uttar Pradesh) ওপর বিদ্যুতের তার জড়ানো কাঠের গুঁড়ি দেখতে পান চালক। এই সময়ে ট্রেনের গতিবেগ তুলনামূলক কম থাকায় ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দেন চালক। জানা গিয়েছে, এরপর ট্রেন চালক (Rajdhani Express) নিজেই ট্রেন থেকে নেমে কাঠের টুকরোটি সরিয়ে ট্রেনটিকে গন্তব্যে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে, তৎক্ষণাৎ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে খবরও দেন তিনি।

    কাঠগোদাম এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা

    সেই ঘটনার কিছু পরেই একই লাইন দিয়ে আসছিল কাঠগোদাম এক্সপ্রেস৷ সেই ট্রেনটিকেও লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রেও লাইনের ওপর তার জড়ানো গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুটি ক্ষেত্রেই চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে ৷

    ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল আধিকারিকরা

    দুই এক্সপ্রেসের চালকের (Rajdhani Express) কাছে নাশকতার ষড়যন্ত্রের এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল পুলিশ, আরপিএফ ও জিআরপি। পরিদর্শনের পর ঘটনাপ্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেন রেলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন স্থানীয় পুলিশও। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে রেলও। সম্প্রতি, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷ সম্প্রতি, জম্মু-কাশ্মীরের রেল যোগাযোগের ওপরেও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হয়েছিল ৷ এই আবহে রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপার বাংলায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি, আর ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নৈরাজ্য – এই জোড়া যোগে রমরমা জঙ্গিদের (Terror Funding)। ডামাডোলের বাজারে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা (Jihadist Outfits)। তারপর মিশে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনারণ্যে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের আমলে এ রাজ্যে বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রশ্ন হল, কীভাবে? সাধারণত প্রচলিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানো হলে তা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই কারণে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে ৫ কিংবা ১০ হাজার করে টাকা পাঠাচ্ছিল। এই জঙ্গি সংগঠনগুলি মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জঙ্গি মডিউলে কাজে লাগাতে। জঙ্গিদের এই কৌশলটি প্রকাশ্যে আসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দ্বারা আর একটি ইসলামপন্থী জঙ্গি মডিউল ধ্বংস করার মাধ্যমে। ৯ মে এসটিএফ বীরভূমের নলহাটি থেকে মডিউলটির প্রধান বছর আঠাশের আজমল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় তারই সমবয়সি মডিউলের আর এক শীর্ষ সদস্য সাহেব আলি খানকে। ১০ মে কলকাতার ডায়মন্ড হারবারের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা মডিউলের আর এক সদস্য বছর পঁচিশের আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে।

    জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা (Terror Funding)

    এসটিএফের সিনিয়র কর্তারা টানা জেরা করেন ওই জঙ্গিদের। তখনই জানা যায়, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা যাঁরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের কাজ করেন, তাঁদের মাধ্যমে এই জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হচ্ছিল। এসটিএফ সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে। আইবি-র (ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “প্রবাসীদের মাধ্যমে জঙ্গিদের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি একটি নয়া প্রবণতা। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলি এই পদ্ধতিতে অর্থ পাঠাচ্ছে কারণ হাওলা লেনদেনের ওপর নজরদারি অনেক বেড়েছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা পাঠানো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই তারা এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে।”

    কী বলছেন আইবি কর্তা?

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে কাজ করেন। তাঁদের পাঠানো টাকার ওপর নজরদারি করা আমাদের সংগঠনগত সম্পদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে।”  গোয়েন্দাদের অনুমান, কয়েকশোরও বেশি প্রবাসীকে ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে এমন ছোট ছোট অঙ্কের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে (Jihadist Outfits) পাঠানো হচ্ছিল। আইবির ওই কর্তা বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল — এই প্রবাসীরা, যাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন, তাঁরা সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এর মানে তাঁরা চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদে সহায়ক হয়ে উঠেছেন (Terror Funding)।”

    ধৃতেরা জেএমবির নির্দেশে কাজ করছিল!

    গত সপ্তাহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নির্দেশে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করেছিল। জেএমবির সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই মডিউলের প্রধান আজমল হোসেন বছর ছয়েক আগে বাংলায় জেএমবির সদস্যদের দ্বারা চরমপন্থায় দীক্ষিত হয় এবং তারাই তাকে নিয়োগ করে। ২০২২ সালের কোনও এক সময় তাকে একটি পৃথক জঙ্গি মডিউল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। হোসেনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ভারতের আরও অনেক রাজ্যে স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই এবিটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সম্পর্ক রয়েছে। হোসেন ও খান লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র চালানো এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছে।

    আজমল হোসেনের হ্যান্ডলার

    এক আইবি কর্তা বলেন, “আজমল হোসেনের এক হ্যান্ডলার রয়েছে। সে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। ওই হ্যান্ডলার নিয়মিতভাবে তাকে নির্দেশ পাঠাত। বছর দুই আগে পর্যন্ত এই হ্যান্ডলার হাওলা পদ্ধতিতে তাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠাত। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির কারণে সম্ভবত সেই পথটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “মোল্লা সম্প্রতি তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ পেয়েছে। এর বিনিময়ে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় (Terror Funding)।”

    আজমলের দায়িত্ব

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমল হোসেনকে বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় সমর্থক ও সদস্যদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “তাকে (আজমল) স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কীভাবে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করতে হবে এবং কীভাবে প্রতিটি স্লিপার সেল গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটিতে ২-৩ জন কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী থাকবে। এরা ছড়িয়ে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরাজুড়ে। তাদের বলা হয়েছিল মুসলিম যুবক ও কিশোরদের মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ করতেও। কীভাবে তরুণ মুসলিমদের (Jihadist Outfits) র‍্যাডিকালাইজ করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।” এসটিএফের এক কর্তার মতে, প্রথম ধাপ ছিল দুর্বল কিশোর ও তরুণদের শনাক্ত করা। পরে তাদের মগজ ধোলাই করা হয়। তারা যাতে ভারতীয় মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের মিথ্যে কথা প্রচার করে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আজমল হোসেন ও তার শাগরেদরা মালদা ও মুর্শিদাবাদে ধর্মীয় মেহফিলের আয়োজন করছিল, যার মাধ্যমে তারা মৌলবাদী ইসলাম প্রচার করত।

    এসটিএফের কর্তার বক্তব্য

    এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরুণদের উগ্রপন্থার পথে পরিচালিত করা হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে দেশদ্রোহী ও জেহাদি সাহিত্য বিলি করার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। তাদের মধ্যে প্রচুর জেহাদি মতাদর্শ ঢোকানো হয় এবং মগজধোলাই করে জেহাদি বানানো হয়, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে জেএমবি বা এবিটিতে নিয়োগ করা হয়। এই সদস্যদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী (Jihadist Outfits) সংগঠন এবং আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”  তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছাকাছি একটি নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে আসা নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা যখন এই মডিউলটি ভেঙে দিই, তখন অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছিল (Terror Funding)।”

    পলাতক স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য

    নয়া জঙ্গি মডিউলের তিন শীর্ষ সদস্য গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালিয়ে গিয়েছে স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। আইবির ওই কর্তা বলেন, “তাদের খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে। আরও একটি গুরুতর বিষয় হল — বাংলা থেকে প্রবাসীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সঙ্গে। তারপর ওই ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে (Jihadist Outfits) বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে (Terror Funding)।”

LinkedIn
Share