Blog

  • RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) শতবর্ষের পথচলা — এই শীর্ষক বক্তৃতা সিরিজে বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতে ভাষা সম্প্রীতির কথা বলেন। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব এবং তিনি জানান যে ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা। তাঁর নিজের ভাষায়, “ভারতের প্রত্যেক কথ্য ভাষাই হল এ দেশের জাতীয় ভাষা।”

    ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয়

    তিনি এদিন আরও বলেন যে ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয় এবং প্রত্যেকটা ভারতীয় ভাষার মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হয় দেশপ্রেম, যখন একজন মানুষ অপরজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাষার বিবিধতা এবং বৈচিত্র্যতাই এ দেশের বড় শক্তি। এদিন আরএসএস প্রধান যে কোনও দুটি ভারতীয় ভাষার (RSS) মধ্যে বিভেদ আনার প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে নষ্ট করবে। ভাষাগত বিভেদ নিজেদের মধ্যে আনা উচিত নয়।

    কথোপথন ভারতীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত (RSS)

    এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ভাষাই হল জাতীয় ভাষা এবং আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথন করব, তখন যেন অবশ্যই যে কোনও ভারতীয় ভাষাতে কথা বলি — কোনও বিদেশি ভাষায় নয়।’’ সব মিলিয়ে ডঃ মোহন ভাগবত এদিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য় রাখলেন। বিশেষত ভারতীয় ভাষা নিয়ে যখন দেশে বিতর্ক চলছে। আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি প্রসঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই ভাষা-সম্পর্কিত মন্তব্য জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে জোরদার করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না

    এদিনের বক্তব্যে ডঃ মোহন ভাগবত বলেন, ১৯৪৮ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘জ্বলন্ত মশাল’ হাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই সংঘের একটি শিবিরে উপস্থিত হয়ে বলেন, “পরিবর্তন একমাত্র সংঘের মাধ্যমেই আশা করা যায়।” মোহন ভাগবতের মতে, আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না — গোটা সমাজই আমাদের আপন। তিনি আরও বলেন, “অখণ্ড ভারতের ধারণা কখনও রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক।” এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে জনবিন্যাস পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। ডঃ ভাগবত বলেন, “যখন জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে, তখনই দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন নয়, তারা এক। তাই তাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও ‘ঐক্য’ গঠনের প্রয়োজনই নেই।” এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত আরও বলেন, ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রথমে সমাজকে বদলাতে হয়, তারপরই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা বা কাঠামো পরিবর্তিত হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোনও হিংসাত্মক সংগঠন নয়। যদি সংঘ সত্যিই হিংসা ছড়াত, তাহলে দেশের ৭৫ হাজার স্থানে তার শাখা গড়ে উঠত না।

  • Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিহারে কংগ্রেসের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময়েই দ্বারভাঙায় একটি সভা থেকে এই স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দ্বারভাঙার সিমরি থানার অন্তর্গত বিথৌলির ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি সভায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রত্যাশী মহম্মদ নওশাদ-এর উদ্যোগে এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের (হীরাবেন মোদী) নামে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি লেখে, “রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত যাত্রার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির প্রয়াত মা সম্পর্কে চরম অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে এরকম অধঃপতন আগে কখনও দেখা যায়নি। এই যাত্রা অপমান, ঘৃণা এবং অশ্লীলতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    বিহারের মানুষ ক্ষমা করবে না

    ওই পোস্টেই রাহুল এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ করে বলা হয়, ‘এটি এমন একটি ভুল যে রাহুল এবং তেজস্বী যদি হাজার বার কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবুও বিহারের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।’যদিও এই ভাষায় আক্রমণকে ‘নিন্দনীয়’ বলেই জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের ওই মিটিংয়ের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারে ১৬ দিনের এক রাজনৈতিক অভিযান, যা ২০টি জেলায় ১,৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করছে। এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও “ভোট চুরি”-র বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। যাত্রাটি ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ে ছেঁড়াফাটা একটা শাল। রাস্তার ধারে বসে রয়েছেন মলিন বেশের একটি মানুষ (Ajit Doval)। গায়ে মাথায় ধূসর ধুলোর আস্তরণ। এহেন ভিখিরিকে দেখে পাকিস্তানের কেউ একটা বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি (Pakistans Nuclear Plans)। এমন কত মানুষই তো রাস্তার ধারে বসে থাকে! সমাজের অবাঞ্ছিত এই সব মানুষের ভিড়েই সেদিন মিশে গিয়েছিলেন অজিত ডোভাল। বর্তমানে আশি ছুঁইছুঁই যে মানুষটি সামলাচ্ছেন মোদি সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। আটের দশকে তিনিই উদ্দেশ্যহীনভাবে (?) ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অলিতে-গলিতে।

    ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় (Ajit Doval)

    দিন কয়েক রাস্তার ধারে ধূলিধূসরিত যে মানুষটি বসেছিলেন, তিনিই এবার ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় রাস্তায়। লোক দেখলেই চাইছেন ভিক্ষে। মাথা ভর্তি চুল-দাড়ি আর ছেঁড়া শালের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন যে মানুষটি, তাঁর বুদ্ধি ক্ষুরধার। ইসলামাবাদে তাঁর এই ছদ্মবেশ ধারণ করার আসল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করা। পাকিস্তানের সব চেয়ে সুরক্ষিত পারমাণবিক পরিকল্পনার রহস্য উদ্ঘাটন করা। আর তা করতে হলে যেন-তেন প্রকারে ঢুকতে হবে পাকিস্তানের গবেষণা কেন্দ্রে কিংবা সংগ্রহ করতে হবে নমুনা। ১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পর নয়াদিল্লিকে টেক্কা দিতে কোমর (Ajit Doval) বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে ইসলামাবাদও। এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য (Pakistans Nuclear Plans) করেছিল চিন। ভারতের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের এই গোপন প্রচেষ্টার একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ। আর সেই গুরু দায়িত্ব পড়েছিল অজিত ডোভালের ঘাড়ে, যিনি তখন পরিচিত ছিলেন ‘সুপার কপ’ নামে।

    খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ

    ইসলামাবাদের কাহুটায় রয়েছে কুখ্যাত খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি। এটি কোনও সাধারণ শহর নয়। বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে ঢুকতে হত শহরে। কঠোর নিয়ম মেনে চলাফেরা করতেন বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা কর্মী এবং সরকারি কর্তারা। শ্যেনদৃষ্টিতে তাঁদের চলাফেরার ওপর তাকিয়ে থাকতেন প্রহরীরা। মাস কয়েক ধরে ভিখিরির ছদ্মবেশে এখানকারই রাস্তায় ঘুরতে লাগলেন ডোভাল। পর্যবেক্ষণ করলেন এখানে আসা লোকজনকে, নিলেন নোটও। হাতড়ে বেড়ালেন ওই গবেষণা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা। সেখান থেকে বেরনোর উপায়ই বা কি! এই গবেষণা কেন্দ্রে যাতায়াত করার প্রতিটি ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি, নড়াচড়া, কে, কোথায় যান, তাঁদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করলেন ডোভাল।

    তিনি লক্ষ্য করলেন, এই গবেষণা কেন্দ্রে আসা লোকজন স্থানীয় একটি (Ajit Doval) নির্দিষ্ট সেলুনেই যান চুল কাটতে। একদিন ওই সেলুনে গেলেন ডোভালও। সংগ্রহ করলেন মেঝেয় পড়ে থাকা বিজ্ঞানীদের কয়েকটা চুল। গোপনে পাঠিয়ে দিলেন ভারতে, বিশ্লেষণের জন্য। সেই চুল পরীক্ষা করে ভারতীয় গবেষকরা জানতে পারেন, চুলে রয়েছে ইউরেনিয়াম এবং তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে যার গুরুত্ব অপরিসীম (Pakistans Nuclear Plans)। টানা ছ’বছর ধরে ইসলামাবাদে কাটিয়ে এলেও, এই দুঁদে গোয়েন্দার টিকিটিও ছুঁতে পারেননি কোনও পাক কর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই কাজের ফলে পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫ বছর (Ajit Doval)।

  • Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছে তিন জইশ জঙ্গি (Jaish Terrorists)। গোয়েন্দাদের তরফে বিহার পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক (High Alert) করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বিহার পুলিশ। ভারতে ঢুকে পড়া তিন পাক জঙ্গিকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এরা হল রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলি, উমরকোটের বাসিন্দা আদিল হুসেন এবং বহওয়ালপুরের মহম্মদ উসমান।

    জইশ-ই-মহম্মদের ৩ জঙ্গি (Jaish Terrorists) 

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গিরা অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। সম্প্রতি তারা ঢোকে ভারতে। তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযানও। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যেন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর থেকে আঁটসাঁট করা হয়েছে বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা।

    ভায়া নেপাল ভারতে ঢুকেছে পাক জঙ্গিরা!

    বিহারের দিকে ভারতের সঙ্গে নেপাল সীমান্তের প্রায় ৭২৯ কিলোমিটার উন্মুক্ত। তাই এই জায়গাগুলিই অনুপ্রবেশের হটস্পট হয়ে উঠেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, সহজেই সীমান্ত পারাপার হয় এই অঞ্চল দিয়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, সীমান্তবর্তী জেলাগুলির কোনও একটি হয়েই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে বিহারে। চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, তার আগে বিহারে একটি বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এই তিন জঙ্গিকেই গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। চলছে জেরাও। যদিও সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি তিন জঙ্গির গ্রেফতারির খবর। এই জঙ্গিদের (Jaish Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, তাদের সঙ্গে আর কোনও জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে কিনা। নাশকতার ছকের এই জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, মাত্র তিন মাস আগেই ২০ দিনের মধ্যে বিহারে ঢুকেছিল ১৮ জন সন্দেহভাজন। তাদের (High Alert) মধ্যে একজনকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ (Jaish Terrorists)।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টাকে সফল ভাবে রুখে দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে নওশেরা নার এলাকায় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে, কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও কেউ সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোররাতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নওশেরা নার ৪’। গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয় এবং বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সেনার বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পর্কে পুলিশের দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুরেজ় সেক্টরে একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা ও পুলিশের একটি দল। সে সময় দুই সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে সেনা গুলি চালালে তারাও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।’’

    উপত্যকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে

    সম্প্রতি পহেলগাঁও কাণ্ড ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় (Indian Army) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দেখা হচ্ছে, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী লুকিয়ে রয়েছে কি না। গত মাসেই শ্রীনগরে (Jammu and Kashmir) ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি মুসা। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের লোকেশন জেনে নিয়েই অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা। লোকসভায় এই বিষয়ে বিবৃতিও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে পাঁচ ঘণ্টায়। এমনই এক বুলেট ট্রেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi in Japan) দেখাতে চলেছে জাপান। ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপান সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি। ২৯ ও ৩০ অগাস্ট জাপানে থাকবেন মোদি। জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi’s Big Japan Agenda)।

    শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে জাপানে

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi in Japan)৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর ৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন তিনি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শিগেরু ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হচ্ছে ভারত-জাপান (India-Japan) শীর্ষ সম্মেলন। ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা ৷

    বুলেট ট্রেন নিয়ে আলোচনা

    বুলেট ট্রেন তৈরিতে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থান বহু বছর জাপানের (Japan) দখলে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ট্রেনকে রকেটের গতি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফরে জাপান সরকার এমনই একটি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তাঁকে দেখাতে চলেছে যেটি সে দেশে এখনও চলাচল শুরু করেনি। কারখানায় নির্মীয়মান অবস্থায় আছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিয়াগিতে যাবেন। সেখানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন। ওই ট্রেন জাপানে চালু হওয়ার পর পরই ভারতে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৫ সালের জাপান সফরে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর চুক্তি হয়েছিল। তখন কথা হয় জাপান তাদের ই-৫ সিরিজের বুলেট ট্রেন ভারতকে সরবরাহ করবে। এখন তারা সিদ্ধান্ত বদলে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় দু-দেশের আধিকারিকেরা ওই ট্রেন নেওয়ার আলোচনা সেরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Modi’s Big Japan Agenda) সরাসরি কারখানায় নিয়ে গিয়ে ই-১০ সিরিজের নির্মীয়মান ট্রেন দেখাতে চান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    কত কোটি বিনিয়োগ

    জাপানের বুলেট ট্রেনগুলি (Japan’s Bullet Train) ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অর্থাৎ কলকাতা-দিল্লি রুটে চলাচল করলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব। মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে সময় লাগবে বড়জোর দু-ঘণ্টা। এই প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (JICA) প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা মোট ১,০৮,০০০ কোটির প্রকল্পের প্রায় ৮১ শতাংশ। বাকি অর্থ কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকার মিলে বিনিয়োগ করবে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই নেই

    ই-১০ সিরিজের (E-10 series) যে নতুন ট্রেন তৈরি হচ্ছে সেটির বৈশিষ্ট হচ্ছে তা সাইক্লোন তো দূরের কথা, ভূমিকম্পেও বেলাইন হবে না। এমনকী মুখোমুখি সংঘর্ষেও নয়। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার সামনের কামরার হবে। সেই কামরাই যাবতীয় ধাক্কা সামলে নেবে। কারও মারা যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইঞ্জিনে কোনও চালক থাকবেন না। জাপান এই নতুন ট্রেনের মহড়া চালাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

    ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত-জাপান সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরের সংলাপ মঞ্চই হল এই সম্মেলন। তাঁর কথায়,“গত দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি ও উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এই সফরে নতুন কিছু যৌথ উদ্যোগের সূচনা হতে পারে, যা পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।” এই সফরে ২০০৮ সালের ‘জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন’ (Joint Declaration on Security Cooperation) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ’ (Economic Security Initiative) প্রসঙ্গে কথা হবে। এতে সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), টেলিযোগাযোগ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

    দুই নেতার আলোচনায় কোয়াড জোটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের এই জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবের মোকাবিলায় একটি কৌশলগত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত—কোয়াডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবুও ভারত এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসায়ী সম্মেলন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan) তাঁর এই সফরকালে একটি বিজনেস লিডারস ফোরামেও অংশ নেবেন, যেখানে ভারত ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্প্রতি গুজরাটে মোদির উপস্থিতিতে সুজুকি মোটর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ইভি উৎপাদন শুরু করেছে, যা এই সফরের প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য। এই সফর শুধু ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়, গোটা এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।

  • New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শপিং মল বা নামী বিপণি মৌখিকভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাইতে পারবে না (New Data Law)। কেন্দ্রীয় সরকার এমনই এক নতুন আইনের পথে হাঁটছে, যার লক্ষ্য ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রের মতে, মুখে মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে সেই তথ্য গোপন থাকে না এবং তা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে। আবার কেন্দ্রের তরফ সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর না দিলেও পণ্য পরিষেবা দিতে হবে বিক্রেতাকে।

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (New Data Law)

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হলে, জনসমক্ষে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া বেআইনি বলে গণ্য হবে। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইনের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ( Digital Personal Data Protection Act), প্রস্তাবিত বিধিতে কোনও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে প্রায় সব বড় দোকান, ওষুধের শোরুম বা শপিং মলে রশিদ দেওয়ার নাম করে বা ‘লয়্যালটি পয়েন্ট’ দেওয়ার অজুহাতে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হয় মুখে জিজ্ঞাসা করে, যেখানে আশপাশের লোকজনও শুনে ফেলেন নম্বরটি। এতে ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পায়, যা নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি বলে মনে করছে সরকার।

    বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের তথ্য রেকর্ড করে রাখে (New Data Law)

    নতুন আইন বলছে, আর মুখে মোবাইল নম্বর চেয়ে নেওয়া যাবে না। বিকল্প কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করতেই হবে। বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের ( Digital Personal Data Protection Act) তথ্য রেকর্ড করে রাখে। লয়্যালটি পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট বা অফারের সুবিধা দিতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। ডিজিটাল ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এক আইন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ছোট কিছু বদলের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেমন, মুখে না বলে ক্রেতা (New Data Law) যেন কিপ্যাড বা স্ক্রিনে নিজে নম্বর টাইপ করেন। এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোপনীয়তা বজায় রাখা যাবে। ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, নতুন আইনের অধীনে, কোনও তথ্য কেন নেওয়া হচ্ছে, কতদিন রাখা হবে এবং কবে মুছে ফেলা হবে — এসব বিষয়ে ক্রেতাকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু তথ্য চাওয়ার মাধ্যমে সম্মতি ধরে নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে সম্মতি নিতে হবে।

    ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো যেতে পারে

    আইন অনুযায়ী, কোনও ক্রেতা যদি মোবাইল নম্বর না-ও দেন, তবু তাঁকে পরিষেবা দিতে হবে। তবে, মোবাইল রিচার্জ বা অনুরূপ যেসব পরিষেবায় মোবাইল নম্বর আবশ্যক, সেখানে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, শুধু মোবাইল নম্বর নয় — বিপণিগুলিকে বিকল্প চিন্তা করতেও হতে পারে। যেমন, ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো, অথবা কাগজে ছাপা রশিদ দেওয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন, ব্যবসাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয় বরং, ক্রেতার দেওয়া তথ্য যেন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হয় এবং সময়মতো তা মুছে ফেলা হয় — সেটাই মূল লক্ষ্য।

    ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর তা আইনে পরিণত হয়। তবে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্র খসড়া বিধি প্রকাশ করে এবং এখন জানানো হয়েছে, এতে কোনও বদল আনার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এবার থেকে আর ক্রেতাকে মুখে বলে ফোন নং দিতে হবে না।

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Tariffs)। তার পরেই মার খেতে পারে ভারতের বস্ত্রশিল্প (Textile Exports)। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি বিশ্বের ৪০টি দেশে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এই ৪০টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। তাঁর মতে, এই ৪০টি দেশে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা হল এমন একটি কৌশল গ্রহণ করা যেখানে নিজেদেরকে উচ্চমানের, টেকসই ও উদ্ভাবনী বস্ত্রপণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি! একদিকে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির মোকাবিলা করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় বস্ত্রকে তুলে ধরাও হবে।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য (Trumps Tariffs) 

    তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পখাতের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা (যার মধ্যে ইপিসিএস এবং ওই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই ২২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে যে ৪০টি দেশের জন্য বিশেষ যোগাযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলিই বহুমুখীকরণের প্রকৃত চাবিকাঠি ধরে রেখেছে। প্রশ্ন হল, কেন এই ৪০টি দেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছে? সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, “এই ৪০টি দেশ একসঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানিতে ৫৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতের জন্য বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভারতের অংশীদারিত্ব মাত্র প্রায় ৫-৬ শতাংশ (Trumps Tariffs)। বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার এই ৪০টি দেশের প্রতিটিতে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারকেও।”

    মার্কিন চড়া শুল্ক হার

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের শুল্ক, যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রফতানিকে প্রভাবিত করবে। আধিকারিকদের মতে, ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলস্‌ (ইপিসিএস) হবে বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের মেরুদণ্ড (Textile Exports)। তারা বাজারের মানচিত্র তৈরি করবে, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য চিহ্নিত করবে এবং সুরাট, পানিপথ, তিরুপুর ও ভদোহির মতো বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ৪০টি দেশের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করবে। ইপিসিএসের কাছ থেকে আরও আশা করা হচ্ছে যে, তারা ভারতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠকে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ধারণার অধীনে বিভিন্ন খাতে প্রচারও করবে। কাউন্সিলগুলি রফতানিকারকীদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) ব্যবহারের উপায়, টেকসই মানদণ্ড পূরণ এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন পাওয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি বলেন, “এই ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এফটিএ এবং আলোচনার ফলে ভারতীয় রফতানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং এই খাতে প্রবৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে (Trumps Tariffs)।”

LinkedIn
Share