Blog

  • Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ। মনের হিংসা পুড়িয়ে দিচ্ছে সভ্যতার দলিল। উন্মত্ত জনতার হাতে বলি হচ্ছে বহু হিন্দু পরিবার। বলি হচ্ছে বিএনপি-জামাত বিরোধীরা। খুন করে উল্টে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ। আজ যখন বাংলাদেশে এই অবস্থা, তখন আমরা একটু পিছন দিকে ফিরে দেখার চেষ্টা করব (Direct Action Day)।

    ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট…

    সময়টা ছিল ১৯৪৬। তখনও দেশ ভাগ হয়নি। তবে স্বাধীনতার তোড়জোড় চলছে। দেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ব্রিটেন থেকে পাঠানো হয়েছে ক্যাবিনেট মিশনকে। দিল্লিতে থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন ভাইসরয় লর্ড ওয়েভেল। প্রায় প্রতিদিনই আলোচনা চলছে। মুসলিম লিগ আলাদা পাকিস্তানের দাবিতে অনড়।

    পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি (Direct Action Day)

    ১৯৪০ সালের লাহোর অধিবেশন থেকেই মুসলিমদের আলাদা দেশ তৈরির জন্য উঠে পড়ে লাগেন মহম্মদ আলি জিন্না। চল্লিশের দশকের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অশান্তির ঘটনা।অবিভক্ত বাংলায় তৈরি হয় সুরাবর্দীর সরকার। মনে রাখতে হবে, সেসময় অখন্ড বাংলায় মুসলিমদের সংখ্যা সামান্য বেশি ছিল। হিন্দুরা ছিল ৪৭ শতাংশ। মুসলিম প্রায় ৫২ শতাংশের ওপর। এই প্রেক্ষিতেই প্রাদেশিক সরকার তৈরি করে মুসলিম লিগ। যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দী। (সেই সময় বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছিল না। প্রদেশের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই উল্লেখ করা হত।)

    তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। চার্চিলের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ক্লেমেন্ট অ্যাটলি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৯৪৮ সালের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কিন্তু কীভাবে এই কাজটা হবে, কতটা মসৃণভাবে করা যাবে, তার জন্যই চলছে আলোচনার পর আলোচনা। নেহরুর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে মুসলিম লিগ কখনও ঢুকছে, কখনও বেরোচ্ছে। বলা চলে, সরকার গঠন নিয়ে খেলা করছে। এই পরিস্থিতিতেই ১৯৪৬ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লিতে ৩ দিনের কনভেনশনের ডাক দেন জিন্না। সেখানে ডাকা হয় লিগপন্থী সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রাদেশিক নেতাদের। বাংলা থেকে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য একটা গোটা ট্রেনেরই ব্যবস্থা করে ফেলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তাতে অংশ নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুরও। তিনি তখন কলকাতার কলেজের ছাত্র। 

    ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক জিন্নার 

    এই কনভেনশন থেকেই ১৬ অগাস্ট দেশজুড়ে ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’ (Direct Action Day) বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন জিন্না। স্লোগান ওঠে, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান। মানে, যে কোনও ভাবেই হোক আদায় করতে হবে পাকিস্তান। হিসেব বলছে, দেশে তখন প্রায় ৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। এর মধ্যে বাংলা ও পাঞ্জাবে সংখ্যায় বেশি মুসলিমরাই। 

    ডায়রেক্ট অ্যাকশন প্ল্যান ডাক দেওয়াই নয়, সেই মতো প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৬ অগাস্ট সরকারি ভাবে ছুটি ঘোষণা করেন তৎকালীন অখণ্ড বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র আজাদের সম্পাদকীয়তে লেখা হল, ১৬ অগাস্ট থেকে পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ শুরু হবে। মৌলানা আক্রম খান পবিত্র রমজান মাসে কাফেরদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার দায়িত্ব স্মরণ করালেন। আর শুক্রবার ময়দানে জমায়েতের ডাক দিল মুসলিম লিগ। 

    মুসলিম জনতাকে উত্তেজিত করে সুরাবর্দীর ভাষণ

    সেদিন দুপুর ২টোর দিকে সমাবেশ শুরু হয়, যদিও নামাজের পর থেকেই কলকাতার সব জায়গা থেকে মুসলমানদের মিছিল জড়ো হতে শুরু করে (The Great Calcutta Killing)। অংশগ্রহণকারীদের একটি বিশাল অংশের হাতে ছিল লোহার রড ও লাঠি। সমাবেশে হাজির ছিল বিপুল মানুষ। প্রধান বক্তা হিসাবে খোয়াজা নাজিমউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী হোসেন শাহিদ সুরাবর্দী ছিলেন। তাঁরা সেই অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মুসলিম জনতাকে যথেষ্ট উত্তেজিত করলেন, গর্জন উঠতে থাকল সভা থেকে। দীনেশ চন্দ্র সিনহা তাঁর ১৯৪৬ কলকাতা হত্যা বইতে লিখেছেন, সুরাবর্দী নাকি সেখানে বলেছিলেন, তোমাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল, যা করার তাই করো। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে জানা যাচ্ছে, সোরাবর্দীর প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল – যাতে কোনও পুলিশ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

    মৃত ২ হাজার, আহত ৮ হাজারের বেশি

    সেই সময়ের হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড কাগজের প্রথম পাতায় খবরে দেখা যাচ্ছে, তিন দিনের হিংসায় ২ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ হাজার জন (Direct Action Day)। সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। হাসপাতালে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছিলেন এবং রেড ক্রস সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, অনেকেই সেদিন হাসপাতালে যেতে পারেননি। রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। 

    ১৬ অগাস্ট সকাল দশটা পর্যন্ত সব কিছু শান্তই ছিল। ৩০ অগাস্টের পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে জানা যাচ্ছে, আড়াইশ-তিনশ জন মুসলিম আচমকা হামলা শুরু করে চোরবাগান এলাকায়। লাঠি, ছুরি, কুকরি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই এলাকায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ১৮ বছরের ছেলেকে কুপিয়ে মারে। এরপর এগিয়ে যায় মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের দিকে। সেখান থেকে ফিরে এসে একটি ধরমশালায় ঢুকে ৬ জনকে কুপিয়ে মারে। চলে নির্বিচারে লুঠপাট। 

    কিশোরীকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় 

    হ্যারিসন রোড ও ধর্মতলা স্ট্রিটে কয়েক হাজার দোকান ও বাড়িতে লুঠপাট করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। সোনার দোকান থেকে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবরের কাগজ থেকে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার দোকান ও বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ক্ষতি হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা (The Great Calcutta Killing)। 

    ১৬ অগাস্ট দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মানিকতলা, টেরেটি বাজার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, বিডন স্ট্রিট এলাকায়। শিয়ালদা স্টেশনের কাছে এক হিন্দু পরিবারকে কোপানো হয়। ওই পরিবারের কিশোরী কন্যাকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয়। ধর্মতলা, রিপন স্ট্রিট, চাঁদনি চক, গরপার, হ্যারিসন স্ট্রিট, মল্লিক বাজার — এসব এলাকায় দাপাতে শুরু করে মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের দাঙ্গাকারীরা।

    শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল, আকাশ ঢেকেছিল শকুনে

    ১৬ অগাস্ট নরসংহারের সবচেয়ে বড় ছবি পাওয়া যায় মেটিয়াবুরুজে (Direct Action Day)। সেখানে ৬০০ জন হিন্দু খুন হন। তাদের বেশিরভাগই ওড়িয়া। তাঁরা থাকতেন কেশোরাম কটন মিলের পিছনে। লিচুবাগানে। সকলেই শ্রমিক। এই হামলা চলাকালীন দিলখুশ স্ট্রিটে চলচ্চিত্র অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়ির ওপর আক্রমণ হয়। নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকারের বড় ছেলেকে। মৃত্যু হয় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ভীমচন্দ্র নাগের সন্তানের। বলা হয়, এত লাশ পড়েছিল সেদিন যে শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল। কলকাতার আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল শকুনে।

    আজও বন্ধ ভিক্টোরিয়া কলেজের সেই হলঘর

    তবে, নৃশংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া কলেজে। সেখানে ঢুকে একের পর এক হিন্দু মেয়েদের গণধর্ষণ করে লিগের গুন্ডারা।  তাদের জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, ‘হাতে বিড়ি মুখে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান।’ শুধু তাই নয়, রাজাবাজারের মাংসের দোকানে হিন্দু মেয়েদের নগ্ন দেহ হত্যা করার পর টাঙিয়ে দেওয়া হয়। হত্যার পর কয়েকজনের বক্ষদেশ শরীর থেকে আলাদা করে কলেজের দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছিল গুন্ডারা। শোনা যায়, কলেজের যে হলে ওই নৃশংস কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তা সেদিন থেকে তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে।

    গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে প্রতিরোধ হিন্দুদের (The Great Calcutta Killing)

    ক্রমশ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে হিন্দুরাও আত্মরক্ষার জন্য জায়গায় জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করে। এই সময় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। যিনি এলাকায় পরিচিত গোপাল পাঁঠা নামে। বউবাজার এলাকায় তাঁদের পারিবারিক মাংসের দোকান ছিল। তাই ওই নামেই সবাই তাঁকে চিনত। তাঁর কাকা ছিলেন বিপ্লবী বিপিন বিহারী গাঙ্গুলির অনুগামী অনুকূল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই নেতাজি সুভাষ, অরবিন্দ ঘোষের গুণমুগ্ধ ছিলেন গোপাল। শরীর গঠনের জন্য তাঁদের একটি দলও ছিল। নাম ভারত জাতীয় বাহিনী। তিনি যখন দেখেন, মুসলিম লিগের পোশা গুণ্ডা মীনা পেশোয়ারি, বোম্বাইয়ার মতো দাঙ্গাবাজরা এলাকায় হিন্দুদের কচুকাটা করছে, তখন দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোপাল। একজন হিন্দু মারা গেলে ১০ জন মুসলিমকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁকে নিরস্ত হওয়ার ডাক দেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু গোপাল বলেন, আগে দাঙ্গা বন্ধ হোক, তারপর তিনি চুপ করবেন। 

    গোপাল পাঁঠার কাছে হার মানে দাঙ্গাবাজরা

    তাঁর একরোখা মানসিকতার কাছেই হার মানে দাঙ্গাবাজরা (Direct Action Day)। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেনা নামানোর জন্য আর্জি জানান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তবে তার আগেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কলকাতা ছাড়েন অসংখ্য লোক। এই দাঙ্গাকেই ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ (The Great Calcutta Killing) বলে অভিহিত করা হয়। মুলত তাঁদের এই রুখে দাঁড়ানোতেই থমকে যায় মুসলিম লিগ। থমকে যায় ইংরেজ সরকারও। কারণ, মুসলিম লিগ প্ল্যান করেছিল, কলকাতা সহ গোটা বাংলাকেই পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার। কিন্তু সেসময় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। হিন্দুদের জন্য আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি করেছিলেন তিনি। এই উদ্যোগে সামিল হন অনেকেই। শেষে হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়। 

    বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায়

    তবে চিরকালের জন্য বাংলার বুকে ঘা রেখে যায় ১৬ অগাস্টের দাঙ্গা (The Great Calcutta Killing)। যেদিন মুসলিমদের জন্য পৃথক দেশের দাবি তুলে নিধন যজ্ঞে সামিল হয় এক শ্রেণির গুন্ডা। আর তাতে সরাসরি প্ররোচনা দেয় শাসক পক্ষ। নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মানুষ খুন করতেও যারা পিছপা হয়নি। ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট (Direct Action Day), বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rabindranath Tagore: জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু, প্রকাশ্যে সেই পাণ্ডুলিপি

    Rabindranath Tagore: জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু, প্রকাশ্যে সেই পাণ্ডুলিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন-গণ-মন’ ইংরেজিতেও লেখা হয়েছিল। আর সেটা লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) স্বয়ং। এই তথ্য অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সঙ্গীতের একটি পাণ্ডুলিপির ছবি পোস্ট করল নোবেল পুরস্কার কমিটি। পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায়। শিরোনাম ‘দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ ‘ভারতের প্রভাতী’। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ওই ইংরেজি পাণ্ডুলিপি আদতে ‘জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটিরই ইংরেজি তর্জমা।

    গানটির ইংরেজিতে অনুবাদ হয় অন্ধ্রপ্রদেশে (Rabindranath Tagore)

    রবীন্দ্র গবেষকেরাই জানাচ্ছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মদনপল্লিতে বিশ্বকবির বন্ধু আইরিশ ভাষার কবি জেমস এইচ কাজিন্স থাকতেন। তিনি ছিলেন সেখানকার বেসান্ত থিওজফিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর আমন্ত্রণে কবি সেখানে গিয়েছিলেন। কবিগুরু (Rabindranath Tagore) তাঁকে গানটি বাংলায় গেয়ে শোনান। পরে, তাঁর অতিথি হয়ে থাকাকালীনই গানটির ইংরেজি অনুবাদও করেন। কবিগুরুর হস্তাক্ষরে সেই অনুবাদ এখনও ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা আছে মদনপল্লির ওই কলেজের গ্রন্থাগারে। নোবেল কমিটি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তারই ছবি প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, “জনগণমন হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। যা প্রথমে বাংলায় লিখেছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাঁকে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল।”

     

    style=”text-align: justify;”> 

    ‘জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটি প্রথম কবে গাওয়া হয়?

    জানা গিয়েছে,’জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয় ১৯৫০ সালে। রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) মৃত্যুর ন’বছর পরে। তবে, গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া ওই গানটির পরিচালনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের বড় দাদার পৌত্র দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার পরের দিন ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকায় ওই অধিবেশনের খবরের পাশাপাশি গানটির ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশিত হয়।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    নেটিজেনরা কী বললেন?

    ইংরেজিতে লেখা এই কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- আমরা সবাই ছোটবেলায় জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করে রেখেছিলাম এবং আজ পর্যন্ত আমরা তা ভুলতে পারিনি, এটা গুরুদেবের (Rabindranath Tagore) লেখার জাদু মাত্র। তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন, যে আমি একজন ভারতীয় এবং আমি গর্বিত যে আমি সেই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে বিচারের দাবিতে সরব হৃতিক রোশন, কৃতি শ্যাননরা

    RG Kar Incident: আরজি কর ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে বিচারের দাবিতে সরব হৃতিক রোশন, কৃতি শ্যাননরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস খুন-ধর্ষণের ঘটনার জেরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত আমজনতা থেকে সেলেব্রিটিরা।অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি হাসপাতালে যদি একজন মহিলা চিকিৎসকের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে পথেঘাটে নিত্যদিন চলা মেয়েরা কতটা নিরাপদ? আরজি কর কাণ্ডে আগেই সরব হয়েছিলেন একাধিক টলিউড সেলেব্রিটি। আর এবার স্বাধীনতা দিবসে নারী সুরক্ষায় নজর দেওয়ার আর্জি জানালেন বলিউড সেলেবরাও (Bollywood celebrities)।

    আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বলিউড (RG Kar Incident) 

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মুখ খুলছেন বলিউডের একাধিক তারকা (Bollywood celebrities)। হৃতিক রোশন, কৃতি স্যানন, সামান্থা সহ বহু তারকা এই নৃশংস খুনের বিচার চেয়েছে। কখনও আয়ুষ্মান খুরানার কবিতা, কখনও করিনা-আলিয়ার পোস্ট। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসেও প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা। 

    বলিউড অভিনেতা (Bollywood celebrities) হৃতিক রোশন রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমাদের এমন একটা সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে আমরা প্রত্যেকে সুরক্ষিত অনুভব করি। কিন্তু তা হতে বহু দশক পার হয়ে যাবে। কিন্তু ততদিন? এই মুহূর্তে সঠিক বিচারই একমাত্র এই ধরনের সাংঘাতিক ঘটনায় ইতি টানতে পারে।’ 

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় (RG Kar Incident) কৃতি শ্যানন স্বাধীনতা দিবসের দিন নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে আমার অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানাতে ভালো লাগছে না। মন ভালো নেই।’ 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Kriti (@kritisanon)

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামান্থা, আয়ুষ্মান খুরানা

    এছাড়া দক্ষিণী অভিনেতা সামান্থাও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে পোস্ট করেছেন। সারা আলি খানও ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ কথা প্রতিবাদের সুরে কবিতায় বললেন অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। একইসঙ্গে এই ঘটনায় (RG Kar Incident) সরব হয়েছেন অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্যা নভেলি নন্দ, ট্যুইঙ্কল খান্না, করিনা কাপুর, আলিয়া ভাট, দিয়া মির্জা, প্রীতি জিন্টা সহ আরও অনেকে (Bollywood celebrities)।

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে বুধবার মধ্যরাতে রাজ্যজুড়ে জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। মেয়েদের এই রাত দখল অভিযানে সামিল হওয়া প্রত্যেকটি মানুষের দাবি একটাই ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘বাঁচতে চাইলে দিতে হবে টাকা’! বাংলাদেশে হিন্দুদেরকে হুমকি, দেশ ছাড়ার নির্দেশ

    Bangladesh Crisis: ‘বাঁচতে চাইলে দিতে হবে টাকা’! বাংলাদেশে হিন্দুদেরকে হুমকি, দেশ ছাড়ার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস শান্তি ফেরানোর কথা বললেও এখনও পর্যন্ত পদ্মাপারে সুরক্ষিত নন হিন্দুরা (Hindu in Bangladesh)। অভিযোগ, নিরাপত্তা দানের জন্য তাঁদের থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের জন্য নয়, আর যদি তাঁরা এখানে থাকতে চান তবে তাঁদের ‘চাঁদা’ দিয়ে থাকতে হবে। এমনই জানালেন ঢাকায় কর্মরত এক হিন্দু ইঞ্জিনিয়ার। যিনি শিক্ষার্থী ভিসায় ভারতে এসে মহারাষ্ট্রের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। এখন ঢাকায় কাজ করছেন। সম্প্রতি দেশে পালাবদলের পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই যুবক।

    হিন্দু ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগ

    ওই হিন্দু ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামে। সম্প্রতি তাঁরা একাধিক হুমকি ফোন কল পান, যেখানে তাঁদের লক্ষাধিক টাকা না দিলে বা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, “আমার বাবা-মা বাংলাদেশের বন্দরনগরীর এক কলোনিতে থাকেন, যেখানে অন্যান্য হিন্দুরাও বসবাস করেন। সংখ্যালঘুদের বাড়িগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং মালিকদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ফোনে বলা হয়েছে, টাকা দিতে না পারলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে।” 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    শঙ্কিত হিন্দুরা

    ওই হুমকিদাতা নিজেকে একটি ইসলামি গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন বলেও জানা যায়। চট্টগ্রামের আরও অনেকে একই ধরনের কল পেয়েছেন। ওই হিন্দু ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, “আমি চাকরির কারণে ঢাকায় চলে এসেছি, কিন্তু আমার বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনরা তাদের নিজ শহর চট্টগ্রামে রয়ে গিয়েছেন। গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি লুট হয়ে যাচ্ছে, তবে শহরে বসবাসকারীরা কিছুটা নিরাপদ।” বাংলাদেশের শহুরে এলাকায় সংখ্যালঘুরা (Hindu in Bangladesh) এখনও রাস্তায় চলাচল করতে পারে, তবে উদ্বেগ স্পষ্ট। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা নীরবে থাকেন এবং জনসমক্ষে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলেন। ওই ইঞ্জিনিয়ার দ্রুত ভারতে ফিরতে চান। সেজন্য ভিসারও আবেদন করেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna: বাঙালির নবজাগরণকে দিশা দিয়েছিলেন, আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস

    Ramakrishna: বাঙালির নবজাগরণকে দিশা দিয়েছিলেন, আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৬ অগাস্ট শুক্রবার, রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেবের প্রয়াণ বার্ষিকী। ১৮৮৬ সালের এই দিনেই পরলোক গমন করেন তিনি। প্রসঙ্গত, কামারপুকুরের ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান গদাধর চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে বিখ্যাত হন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (Ramakrishna Death Anniversary) নামে। ১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলি জেলার কামারপুকুরে। তাঁর পিতার নাম ছিল ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, মাতার নাম ছিল চন্দ্রমণি দেবী। প্রসঙ্গত, বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। উনিশ শতকে বাঙালি নবজাগরণে অন্যতম বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাঙালিকে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন, আধ্যাত্মিক-সামাজিক ক্ষেত্রে। তাঁর প্রধান শিষ্য ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

    ৫২ বছর বয়সে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেব

    মাত্র ৫২ বছর বয়সে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কাশীপুর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা যান বলে জানা যায়। ঠাকুরের শেষ দিনগুলি সম্পর্কে বৈকুণ্ঠ নাথ সান্যাল লিখছেন, ‘‘ঠাকুর সেই সময় মন্তব্য করতেন, ভিতরে এত খিদে যে হাড়ি হাড়ি খিচুড়ি খাই মনে হচ্ছে। কিন্তু মহামায়া কিছুই খেতে দিচ্ছেন না।’’ শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেবের পরলোক গমন সম্পর্কে স্বামী অভেদানন্দ তাঁর একটি লেখায় বর্ণনা করেছেন যে মৃত্যুর দিন তিনি একপাশে গড়িয়ে পড়েন ঠাকুর। নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ তখন ঠাকুরের পা লেপ দিয়ে ঢেকে দেন এবং ছুটে সিঁড়িতে নেমে আসেন কারণ এই দৃশ্য স্বামী বিবেকানন্দ সহ্য করতে পারছিলেন না। পরে দেখা যায় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের নাড়ি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভক্তরা মনে করতে থাকেন যে তিনি হয়ত সমাধিতে চলে গিয়েছেন কিন্তু ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার ১৬ অগাস্ট সকালে এসে জানান যে ঠাকুর পরলোক গমন করেছেন।

    গল্পের রাজা ঠাকুর (Ramakrishna)

    গৃহস্থ মানুষকে সহজ-সরল ভাষায় ধর্মবিষয়ে উপদেশ দান করতেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। তাঁকে বলা হত গল্পের রাজা। মানী-গুণী পণ্ডিত ব্যক্তি থেকে প্রত্যেকেই তাঁর কাছে হাজির হতেন বাণী শোনার জন্য। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী নিয়েই পরবর্তীকালে লিপিবদ্ধ হয় কথামৃত। তাঁর কিছু বিখ্যাত বাণী হল—

    – লোভী মানুষের মন অনেকটা নর্দমায় বেড়ে ওঠা কীটের মতো, তাকে যতই ভালো জায়গায় রাখো না কেন সে তো ফিরে নর্দমাতে যাবেই।

    – যদি তুমি মনের মধ্যে অহংকারের কালো মেঘ পুষে রাখো, স্বয়ং ঈশ্বর তোমাকে আলোর পথ দেখাতে পারবেন না। 

    – জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লাগুলোকে ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে যতক্ষণ কাম-ক্রোধ-লোভের বাস সেখানেই সর্বনাশ।

    – যেমন মুক্ত পেতে হলে ঝিনুকের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পরম ঈশ্বরকে পেতে হলে সত্‍ কর্ম ও ঈশ্বরে ভক্তির প্রয়োজন।

    – তোমার ধর্ম আমার ধর্ম বলে লড়াই করে কী লাভ? যখন তোমার আমার সবার গন্তব্য সেই এক জনেরই কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    RG Kar Incident: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে ঠিক এক সপ্তাহ আগে জানা গিয়েছিল অসহনীয় নির্যাতনের কথা। অকালে ঝড়ে গিয়েছিল একটি ফুল। খোদ কলকাতার বুকে এক সরকারি হসাপাতালে লালসার শিকার হয়েছিলেন এক চিকিৎসক ছাত্রী। এরপর থেকেই উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident)। আন্দোলন-বিক্ষোভে অশান্ত হাসপাতাল চত্বর। তবে, স্বাধীনতা দিবসের রাতে আরজি করে হামলার ঘটনা আরও কিছু প্রশ্ন তুলে দিল। হাজার হাজার লোক ব্যারিকেড উল্টে ঢুকে পড়ল হাসপাতালে। আতঙ্কে দৌড়ে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক, কর্মী, পুলিশ থেকে সাংবাদিকরা। কোথায় নিরাপত্তা, কোথায় প্রশাসন? পুলিশ নিজেই লুকোল রোগীর চাদরের তলায়। নার্স বাঁচল বাথরুমে ঢুকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলার জন্য আন্দোলকারীদের দিকে আঙুল তুলছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে আন্দোলনে নিজের ইচ্ছায় পথে নেমেছিল বঙ্গবাসী, সেই আন্দোলনকে কেন কালিমালিপ্ত করবেন প্রতিবাদীরা? 

    কেন হামলা

    মেয়েদের চিৎকার করার আহ্বান জানিয়ে ওই রাতে পথে নামে নামে লক্ষ মহিলা। যে বিক্ষোভ শহর-রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইলে টর্চ জ্বালিয়ে, কোথাও মোমবাতি জ্বালিয়ে আবার কোথাও মশাল জ্বালিয়ে বিচারের দাবি জানান মহিলারা। সেই মিছিলে ছিল না রাজনৈতিক পতাকা। ছিল স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ার। রাত ১২টা বাজতেই স্বাধীনতা দিবসে সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলান প্রতিবাদী মহিলারা। তারই মধ্যে আন্দোলনের অভিমুখ ঘোরাতে হামলা আরজি করে (RG Kar Incident)। হঠাতই অহিংস প্রতিবাদকারীরা কেন হিংসা ছড়াবেন? কেন ভাঙবেন আন্দোলন মঞ্চ? আসল উদ্দেশ্য অন্য? শাসক দলের একাংশের মদতেই কি এই হামলা? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে রাজ্যের সর্বত্র। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ধামাচাপা দিতে, বিচারের দাবিতে পথে নামা মানুষদের কলুষিত করতেই এই হামলা, অভিমত রাজ্যবাসীর।

    হুমকির পর হুমকি

    বৃহস্পতিবার, রাতে হামলা নিয়ে ভয়াবহ অভিযোগ আনলেন আরজি করের এসএনসিইউ বিভাগের এক নার্স। ওই নার্স জানান, প্রায় শ’দুয়েক লোক এসে হামলা করেছিল। সকলেই প্রায় মাস্ক পরা। তারা বলে, ‘‘আজকে দেখে গেলাম, কাল ধর্ষণ করে যাব। মা-বোন-বাচ্চা কাউকে ছাড়ব না।’’ এই ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরজি করের নার্সরা। তাঁদের আশঙ্কা, ফের হামলা হতে পারে। হাসপাতালের ওই নার্স স্বাধীনতা দিবসের রাতে আরজি করে ডিউটিতে ছিলেন। ওই নার্স বলেন, ‘‘এখনও আমরা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি, কর্তপক্ষকে সময় দিচ্ছি, নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। সেই ভরসা লিখিতভাবে পেলে তবেই নাইট ডিউটিতে আসার কথা ভাবব। এই হুমকির মুখে কাজ করা সম্ভব নয়। কালকে পুলিশের যে রূপ দেখেছি, আমরা একেবারেই ভরসা পাচ্ছি না কাজ করার। ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে ছিলাম আমি। আমাকে ও আমাদের অনেক কর্মীকে হুমকি দেওয়া হয়।’’

    নিরাপদ নয় আরজি কর

    ভাঙচুর নিয়ে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা চোখে দেখেছি, এমার্জেন্সি পুরো ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়েছে। তার পরে ওপরে উঠছিল ওরা, ইএনটি বিভাগ পর্যন্ত উঠতে পারে, সেখানেও ভাঙচুর করে। চেস্ট ডিপার্টমেন্ট অবধি যাওয়ার চেষ্টা করছিল, পারেনি। ওদের যারা আটকেছিল তারা কেউ পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী নয়। ডাক্তার, ছাত্ররাই আটকেছিল।’’ বাড়ি ফিরে গিয়েছেন আরজি করের নার্সিংয়ের এক ছাত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের বাসিন্দা ওই নার্সিং পড়ুয়া বুধবার রাতের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ফিরে যান বৃহস্পতিবার সকালেই। সন্ধ্যায় দাসপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়ে ওই নার্সিং ছাত্রী বলেন, ‘‘আরজি করের এমনই অবস্থা যে নিরাপদ বোধ করতে পারছিলাম না ওখানে। ওপেন থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। তারপর আর কীভাবে থাকব।’’

    আরও পড়ুন: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    অসহায় পুলিশ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় রাজ্য তথা কলকাতা পুলিশকে (Mob Attack in RG Kar) কোন জায়গায় নামিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তারও প্রমাণ মিলল এই রাতে। সম্মানের উর্দি পরেও চরম অপমানের শিকার পুলিশ। নিরাপত্তা দেওয়া তো দূর ভয়ে পালিয়ে গেল মমতার পুলিশ। ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন ওই নার্সিং ছাত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ নিরাপত্তা দেবে কী! ওরা নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। পুলিশ পেশেন্টের চাদরের ভিতরে লুকিয়ে ছিল। সকালে আবার ৫০০ টাকা দিয়েও গিয়েছে পেশেন্ট পার্টিকে।’’ কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন, সে কথা বলতে গিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘বাথরুমের মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম আমরা। আমাদের দরজা ধাক্কা দিয়ে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না।’’ গতকাল রাতে শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) আজ ষষ্ঠ প্রয়াণ বার্ষিকী। অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত অন্যান্য বিজেপি নেতারা শুক্রবার দিল্লিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ‘সদয়েব অটল’ স্মৃতিসৌধে। এদিন শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘দেশগঠনে তাঁর অবদান অসংখ্য মানুষ স্মরণ করে থাকেন, তাঁর স্বপ্ন আমরা পূরণ করব, তিনি নিজের জীবনকে দেশের কাজে উৎসর্গ করেছিলেন।’’

    শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি ভবনের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা। লেখা হয়, আজ সদয়েব অটল স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি।

    শ্রদ্ধা জানালেন উপরাষ্ট্রপতি

    এদিন সদয়েব অটল স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও।

     

    বঙ্গ বিজেপির শ্রদ্ধা

    ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির অসংখ্য কার্যকর্তার পথ প্রদর্শক, আমাদের প্রেরণা ভারত রত্ন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী জীর প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম।’’

    শ্রদ্ধা নিবেদন যোগী আদিত্যনাথের

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অটল বিহারী বাজপেয়ীকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘তিনি ছিলেন সুশাসনের প্রতীক। আমাদের প্রত্যেকের প্রেরণার স্রোত। একাধারে তিনি ছিলেন রাজর্ষি অন্যদিকে অজাতশত্রু। দেশকে সবার আগে অগ্রাধিকার দিতেন তিনি। তাঁর সম্পূর্ণ জীবন প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির কাছে এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।’’

    প্রথম অকংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী (Atal Bihari Vajpayee), যিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee Death Anniversary)। তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। তার মধ্যে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালে তাঁর সরকার মাত্র ১৩ দিন টিকে ছিল। অন্যদিকে, ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯-এর মধ্যে ১৩ মাসের সরকারেরও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ভারতবর্ষে এক উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সংস্কার দেখা যায়। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক সাহসী সিদ্ধান্তও তিনি নিতে পেরেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম অকংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী, যিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন (Atal Bihari Vajpayee)।

    বিজেপির প্রথম সভাপতি বাজপেয়ী

    ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) ছিলেন দলের প্রথম সভাপতি। ১৯৫৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের জন্য লোকসভায় নির্বাচিত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee Death Anniversary) জনসঙ্ঘের প্রতীকে। পরবর্তীকালে জনসঙ্ঘের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে যোগদেন ১৯৭৭ গঠিত হওয়া জনতা সরকারে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এক সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে সারা দেশ তাঁকে আজও শ্রদ্ধা জানায়।

    বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 

    ১৯৫১ সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘে যোগ দেন তিনি। দলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে তাঁর বিশেষ স্নেহভাজন হয়ে ওঠেন। ১৯৫৩ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাশ্মীর অভিযান করেন, বাজপেয়ীও (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর সঙ্গী ছিলেন। সেসময় বাজপেয়ীকে দিল্লি ফিরে যেতে বলেন জনসঙ্ঘের তৎকালীন সভাপতি। শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্য়ুর পরে জনসঙ্ঘের প্রসারের কাজে নিজেকে সঁপে দেন বাজপেয়ী।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান

    ১৯৫৭ সালে লোকসভার সদস্য হওয়ার সঙ্গেই, সেবছর জনসঙ্ঘের সভাপতিও হন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশগ্রহণ করেছিলেন অটল বিহারী (Atal Bihari Vajpayee)। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশের হাতে ধরা পড়েন, ২৪ দিনের সংক্ষিপ্ত হাজতবাসও হয়। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে লখনউয়ে আইন পড়তেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আরএসএসের পত্রিকা সম্পাদনার ডাক পেয়ে পড়ায় ইতি টানেন তিনি।

    অটলের বক্তৃতায় মুগ্ধ হতেন নেহরু 

    প্রথমবার যখন বাজপেয়ী লোকসভায় যান, সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। জানা যায়, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও মুগ্ধ হয়ে বাজপেয়ীর বক্তৃতা শুনতেন নেহরু। কখনও কোনও লিখিত বক্তৃতা পাঠ করতেন না বাজপেয়ী। তাঁর বক্তৃতা ছিল শ্রুতি মধুর, আলঙ্কারিক হিন্দি এবং নাটকীয় অঙ্গভঙ্গিতে ভরা। ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁর হিন্দি ভাষণ দুনিয়ার নজর কাড়ে। সেবারই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় শোনা গিয়েছিল হিন্দি পাঠ। ২০১৫ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে তদন্ত করছিল পুলিশ। এরপরই আদালতের নির্দেশ পেতেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামল সিবিআই। তিনজনকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি দল নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কাদের তলব করা হল (CBI)

    আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের পদত্যাগী এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠকে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন দুজন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন চেস্ট বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী ও ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক এবং ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনজনেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন। সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন টালা থানার অফিসার ইন-চার্জ। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিতে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয়েছিল কয়েক জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকেও। তলব অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা হাজির হয়েছেন। সূত্রের খবর, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্বন্ধে তাঁরা কে কী জানেন, কী ভাবে ঘটনার খবর পেলেন, ঘটনার দিন কে কোথায় ছিলেন, সেই সংক্রান্ত বয়ান রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক সিবিআই তলব প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    ২০ সদস্যের সিবিআই টিম

    গত মঙ্গলবারই টালা থানা থেকে ঘটনার এফআইআরের সার্টিফায়েড কপি নেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকেরা। এরপর রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সঙ্গে মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক টিম। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই দল কাজ করবে। জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে এই টিমে। রয়েছেন ডিআইজি পদ মর্যাদার অফিসারও।

    সিবিআই প্রসঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্য কী বললেন?

    নিহত চিকিৎসকের পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের যা জিজ্ঞাসা করেছেন, তা আমরা জানিয়েছি। এই তদন্তের ভার সিবিআই নেওয়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘তিলোত্তমা’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দিল্লি এসি (AC-1) শাখায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ‘তিলোত্তমাকে’ ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে একটি দল গঠন করে সিবিআই। সেখানে রয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তের মূল দায়িত্বে রয়েছেন দিল্লির অফিসাররা। সাহায্য করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এবার এক মহিলা অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে সিবিআই। তিনি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 16 August 2024: মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 August 2024: মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগতে পারে।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য রাখুন।

    মিথুন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে সমস্ত কিছু আলোচনা করুন।

    কর্কট

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। 

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন। 

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট। 

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃশ্চিক

    ১) সুন্দর কথা বলায় সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে। 

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন।

    ধনু

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) সাবধানে থাকুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হ্যাঁ, আমি শুনেছি জন্মান্তর আছে। ঈশ্বরের কার্য আমরা ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে কি বুঝব? অনেকে বলে গেছে, তাই অবিশ্বাস করতে পারি না। ভীস্মদেব দেহত্যাগ করবেন, শরশয্যায় শুয়ে আছেন, পাণ্ডবেরা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সব দাঁড়িয়ে। তাঁরা দেখলেন যে, ভীস্মদেবের চক্ষু দিয়ে জল পড়ছে। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, ভাই, কি আশ্চর্য! পিতামহ, যিনি স্বয়ং ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, অষ্টবসুর এক বসু, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন। শ্রীকৃষ্ণ ভীস্মদেবকে এ-কথা বলাতে (Kathamrita) তিনি বললেন, কৃষ্ণ, তুমি বেশ জানো, আমি সেজন্য কাঁদছি না! যখন ভাবছি যে, যে পাণ্ডবদের স্বয়ং ভগবান নিজে সারথি, তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই, তখন এই মনে করে কাঁদছি যে, ভগবানের কার্য কিছু বুঝতে পারলাম না।

    কীর্তনানন্দে—ভক্তসঙ্গে

    সমাজগৃহে এইবার সন্ধ্যাকালীন উপসনা হইল। রাত্রি প্রায় সাড়ে আটটা। সন্ধ্যার চারপাঁচ দণ্ডের পর রাত্রী জ্যোৎস্নাময়ী হইল। উদ্যানের বৃক্ষরাজি লতাপল্লব শরচ্চন্দ্রের বিমলকিরণের যেন ভাসিতে লাগিল। এদিকে সমাজগৃহে সংকীর্তন আরম্ভ হইয়াছে। ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নাচিতেছেন। সকলেই ভাবে (Kathamrita) মত্ত, যেন শ্রীভগবানের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছেন! হরিনামের রোল উত্তোরত্তর উঠিতেছে। চারিদিকে গ্রামবাসীরা হরিনাম শুনিতেছেন, আর মনে মনে উদ্যানস্বামী ভক্ত বেণীমাধবকে কতই ধন্যবাদ দিতেছেন।      

    কীর্তনান্তে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভূমিষ্ঠ হইয়া জন্মগতাকে প্রণাম করিতেছেন। প্রণাম করিতে করিতে বলিতেছেন, ভগবত-ভক্ত-ভগবান, জ্ঞানীর চরণে প্রণাম, সাকারবাদী ভক্তের চরণে, নিরাকারবাদী ভক্তের চরণে প্রণাম; আগেকার ব্রহ্মজ্ঞানীদের ইদানিং ব্রহ্মজ্ঞানীদের চরণে প্রণাম।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share