Blog

  • Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ 

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    তবে দর্শনের পর ভক্তের সাধ হয় তাঁর লীলা কি, দেখি। রামচন্দ্র রাবণবধের পর রাক্ষসপুরী প্রবেশ করলেন; বুড়ী নিকষা দৌড়ে পালাতে লাগল। লক্ষ্মণ বললেন, রাম! একি বলুন (Kathamrita) দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার এত প্রাণের ভয়, পালাচ্ছে! রামচন্দ্র (Ramakrishna) নিকষাকে অভয় দান করে সম্মুখে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে নিকষা বললে, রাম এতদিন বেঁচে আছি বলে তোমার এত লীলা দেখলাম। তাই আরও বাঁচার সাধ আছে। তোমার আরো কত লীলা দেখব। (সকলের হাস্য)

    (শিবনাথের প্রতি)—তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করে। শুদ্ধাত্মাদের না দেখলে কি নিয়ে থাকব? শুদ্ধাত্মাদের পূর্বজন্মের বন্ধু বলে বোধ হয়।

    একজন ব্রহ্মভক্ত (Ramakrishna) জিজ্ঞাসা করলেন, মহাশয়! আপনি জন্মান্তর মানেন?

    জন্মান্তর—বহুনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন

    আরও পড়ুনঃ “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Protest Rally: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারের কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    BJP Protest Rally: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারের কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলল বিজেপি (BJP Protest Rally)। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। কলকাতায় বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতাদের উপস্থিতিতে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। আরজি কর হাসপাতালের কাছাকাছি কোনও স্থানে মঞ্চ বেঁধে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ। বিজেপি সূত্রের খবর, সুকান্তর পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাজির থাকবেন। স্বাভাবিকভাবে আরজি কর ইস্যুতে এই আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা (BJP Protest Rally)

    বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই কর্মসূচির কথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে একেবারে ব্যর্থ। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে কলকাতা এবং জেলায় জেলায় আন্দোলন (BJP Protest Rally) কর্মসূচি শুরু হবে। সাধারণ মানুষের কাছে শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকানপাট এবং সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি। দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পথ অবরোধ করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তবে, এই প্রতিবাদ হবে প্রতীকী। শুক্রবারই বিজেপির মহিলা মোর্চা হাজরা মোড় থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি এবং মশাল মিছিল করবে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী ভনতি শ্রীনিবাসন ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।’’ 

     

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    আন্দোলনে সরগরম হবে কলকাতার রাজপথ!

    প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তের মহিলারা রাস্তায় নেমে সরব হয়েছিলেন। বিজেপিও এই ইস্যুকে সামনে রেখে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলন (BJP Protest Rally) সংগঠিত করতে চলেছে। ফলে, শুক্রবার আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে সরগরম হবে কলকাতার রাজপথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ফক্সকন কর্তার সঙ্গে বৈঠক মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: ফক্সকন কর্তার সঙ্গে বৈঠক মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফক্সকনের (foxconn) সিইও তথা চেয়ারম্যান ইয়াং লিউয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয়া বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতেই লিউয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মোদি-লিউয়ের বৈঠকে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর অগ্রগতি কেন্দ্রিক উৎপাদন এবং স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্মাতা ফক্সকন

    ফক্সকন তাইওয়ানের একটি নামজাদা কোম্পানি। পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্মাতা ফক্সকন। কোম্পানিটি বিশ্বের একাধিক নামী ব্র্যান্ড যেমন, অ্যাপল, ইনকর্পোরেটেড আইপড এবং আইফোনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরি করে। বুধবার এই কোম্পানিরই সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। অদূর ভবিষ্যতে যে সেক্টরগুলিতে ভারত উজ্জ্বল ভূমিকা নেবে, সেখানে বিনিয়োগের সুবিধার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে ভারতের একাধিক রাজ্যে বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান লিউ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে ফক্সকনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়েছে।” গত বছরই একবার ভারত সফর করে গিয়েছেন লিউ। সেবার তিনি যোগ দিয়েছিলেন গুজরাটে সেমিকন ইন্ডিয়া কনক্লেভে। জুলাই মাসের ওই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও (PM Modi)। সেই সময়ও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল লিউয়ের।

    জানা গিয়েছে, ভারতে ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা করেছে লিউয়ের কোম্পানি। কর্মসংস্থান হবে ৪০ হাজার মানুষের। তামিলনাড়ুতে ফক্সকন ১৬০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, এ রাজ্যে নিউ ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টস ইউনিট খুলবে ফক্সকন। কর্মসংস্থান হতে পারে আরও ৬ হাজার জনের। তেলঙ্গানায় তাইওয়ানের এই কোম্পানি লগ্নি করবে অতিরিক্ত ৩৩০০ কোটি টাকা। ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি তৈরিতেই বিনিয়োগ করা হবে এই পরিমাণ (PM Modi) অর্থ।

    আরও পড়ুন: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার পরেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র আওয়াজ তোলেন তিনি। এই প্রোগ্রামেই বিদেশি নামী কোম্পানিগুলিকে ভারতে কারখানা গড়ার আহ্বান জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই প্রোগ্রামে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। গত ১০ বছরে ভারতে বেড়েছে বিদেশি কোম্পানির (foxconn) বিনিয়োগ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

     যখন রাধাকান্তের গয়না চুরি গেল, সেজোবাবু (রাসমণির জামাই) রাধাকান্তের মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরকে (Ramakrishna) বলতে লাগল, ছি! ঠাকুর! তোমার গয়না রক্ষা করতে পারলে না! আমি সেজোবাবুকে বললাম, “ও তোমার কি বুদ্ধি! স্বয়ং লক্ষ্মী যাঁর দাসী, পদসেবা করেন, তাঁর কি ঐশ্বর্যের অভাব! এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা! ছি! অমন হীনবুদ্ধির কথা বলতে নেই; কি ঐশ্চর্য তুমি তাঁকে দিতে পার? তাই বলি, যাঁকে নিয়ে আনন্দ হয়, তাঁকেই লোকে চায়, তার বাড়ি কোথায়, কখানা বাড়ি, কটা বাগান, কত ধন-জন, দাস-দাসী এ খবরে কাজ কি? নরেন্দ্রকে যখন দেখি, তখন আমি সব ভুলে যাই। তার কোথা বাড়ি, তার বাবা কি করে, তার কটি ভাই এ-সব কথা একদিন ভুলেও জিজ্ঞাসা করি নাই। ঈশ্বরের (Ramakrishna) মাধুর্যরসে ডুবে যাও! তাঁর অনন্ত সৃষ্টি, অনন্ত ঐশ্বর্য! অত খবরে আমাদের কাজ কি।  

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে (Kathamrita) শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

                                                                 যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণসপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    অবতারাদি শরীর সমাধি পর—লোকশিক্ষা জন্য

    সমাধিস্থ হবার পর প্রায় শরীর থাকে না। কারু কারু লোকশিক্ষার জন্য শরীর থাকে—যেমন নারদাদির আর চৈতন্যদেবের মতো অবতারদের। কূপ খোঁড়া হয়ে গেলে, কেহ কেহ ঝুড়ি-কোদাল বিদায় করে দেয়। কেউ কেউ রেখে দেয়—ভাবে, যদি পাড়ায় কারুর দরকার হয়। এরূপ মহাপুরুষ জীবের দুঃখে কাতর। এরা স্বার্থপর নয় যে, আপনাদের জ্ঞান হলেই হল। স্বার্থপর লোকের কথা তো জানো। এখানে মোত বললে (Kathamrita) মুতবে না, পাছে তোমার উপকার হয়। এক পয়সার সন্দেশ দোকান থেকে আনতে দিলে চুষে চুষে এনে দেয়। (সকলের হাস্য)

    কিন্তু শক্তিবিশেষ। সামান্য আধার লোকশিক্ষা দিতে ভয় করে। হাবাতে কাঠ নিজে এরকম করে ভেসে যায়, কিন্তু একটা পাখি এসে বসলে ডুবে যায়। কিন্তু নারদাদি (Ramakrishna) বাহাদুরী কাঠ। এ-কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

                                                                                                                                                      সপ্তম পরিচ্ছেদ

                                                                                                                      অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণনা

    পূর্বকথা—দক্ষিণেশ্বরে রাধাকান্তের ঘরে গয়না চুরি—১৮৬৯

    শ্রীরামকৃষ্ণ (শিববাথের প্রতি)হ্যাঁগা, তোমার ঈশ্বরের (Ramakrishna) ঈশ্বর্য অত বর্ণনা কর কেন? আমি কেশব সেনকে ওই কথা বলেছিলাম। এদিন তারা সব ওখানে (কালীবাড়িতে) গিছিল। আমি বললুম, তোমার কিরকম লেকচার দাও, আমি শুনব। তা গঙ্গার ঘাটের চাঁদনিতে সভা হল, আর কেশব বলতে লাগল। বেশ বলল, আমার ভাব হয়ে গিছিল। পরে কেশবকে আমি বললুম, তুমি এগুলো এত বল কেন?—হে ঈশ্বর, তুমি কি সুন্দর ফুল করিয়াছ, তুমি আকাশ করিয়াছ, তুমি সমুদ্র করিয়াছ, এই সব? যারা নিজে ঐশ্বর্য ভালবাসে তারা ঈশ্বরের ঐশ্বর্য বর্ণনা করতে (Kathamrita) ভালবাসে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ritwik Ghatak: ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীর বাড়ি, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়

    Ritwik Ghatak: ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীর বাড়ি, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রাজপথে বঙ্গবন্ধু মূর্তিতে ভাঙচুর চালানো হয়। বাদ যায়নি বিশ্বকবির মূর্তিও। দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এই আবহের মধ্যে এবার ওপার বাংলার রাজশাহীতে অবস্থিত এপার বাংলার বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) পৈতৃক ভিটে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আর এই বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়াল সরকারি হোমিওপ্যাথি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

    আগেও দখল হয়েছে চিত্র পরিচালকের জমি! (Ritwik Ghatak)

    জানা গিয়েছে, জীবনের শুরুর দিকের বেশ কিছুটা সময় রাজশাহীর ঘোড়ামারা মহল্লায় মিয়াপাড়ার ওই বাড়িতে কাটিয়েছিলেন চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক (Ritwik Ghatak)। তাঁর বাবা সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। পরে বদলি হয়ে রাজশাহীতে আসেন তিনি। সেখানেই পাকাপাকিভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি সংরক্ষণের বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ইজারা দেয়। ২০১৯ সালে বাড়িটির একাংশ ভেঙে সাইকেল গ্যারাজ তৈরির অভিযোগ উঠেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তখন রাজশাহী-সহ সারা দেশে এই ঘটনার প্রতিবাদ হয়। পরে ২০২০ সালে বাড়িটি সংরক্ষণে উদ্যোগী হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন সংরক্ষণের জন্য ভূমিমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিল। তাতে বাড়িটি ইজারা থেকে মুক্ত করে ঋত্বিক ঘটকের নামে করে দেওয়ার জন আবেদন করা হয়েছিল। তা ফলপ্রসূ হওয়ার আগেই বাড়িটা ভাঙা হয়ে গেল।’’ জানা গিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির অধিকাংশ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বলা যেতে পারে, গোটা বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ঠিকাদার বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়

    ঋত্বিক ঘটক (Ritwik Ghatak) ফিল্ম সোসাইটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছে। তাঁদের বক্তব্য, রাজশাহী হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের একদম পাশে এই বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলেও হাসপাতালে কোনও আঁচ পড়েনি। এর থেকেই বোঝা যায় কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, ঋত্বিক ঘটকের বাড়ির জমির কিছুটা দখল করে আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিল্ডিং বানিয়েছে। এবার পুরো জায়গা দখল করার জন্যই এই কাজ করেছে। মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। পরিচালক তৌকির শাইকের দাবি, এর আগে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ভাঙার বহু চেষ্টা করেছে তাঁরা। কিন্তু পারেননি। তবে বাড়ি ভাঙার অজুহাত খুঁজছিল। এমনকী তিনি এও জানিয়েছেন, এই বাড়ির ওপর যাতে কোনও আক্রমণ না হয় তার জন্য স্টে অর্ডার আনা হয়েছিল। কিন্তু গত ৬ অগাস্ট থেকে মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি যা বাড়ির দিকে ছিল তা বন্ধ করা রয়েছে। কেন তা করা হয়েছে, তার কোনও উত্তর নেই।

    অধ্যক্ষ কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে এই অভিযোগ ওঠার পর রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘৬ অগাস্ট একদল ছাত্র এসে আমাকে বলে যে কলেজ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাতে হবে এবং ওই বাড়িটা ভেঙে ফেলা হবে। পরে সেদিন রাতেই আমি জানতে পারি যে, বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে। আমাকে শ্রমিকরা জানিয়েছেন যে কিছু লোক টাকা দিয়ে বাড়িটি ভাঙতে বলে গিয়েছিল। আমার কাছে খবর আসে ৬-৭ জন মিলে ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করায় তারা পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আমি চিনি না।’’ সিসিটিভি ফুটেজ কেন নেই, এই প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরাই তা ভেঙে দিয়েছে। ’’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ে টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন মোদি (PM Modi)। আর এই দিনই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে দীর্ঘতম ভাষণ (Independence Day Speech) দিয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে একটানা ৯৮ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। এর আগে ২০১৬ সালে মোদি টানা ৯৬ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। এতদিন সেটাই ছিল দীর্ঘতম ভাষণের রেকর্ড। ফলে, অতীতে নিজের গড়া নজির এদিন নিজেই ভেঙে নয়া নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অন্যদিকে, ২০১৭ সালে তিনি ৫৬ মিনিট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এটাই তাঁর সংক্ষিপ্ততম ভাষণ। গড়ে, মোদি ৮২ মিনিট বক্তব্য রাখেন— এটিও দেশের যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দীর্ঘতম।

    সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে মোদি (PM Modi)

    সবচেয়ে বেশিবার ভাষণ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীদের নিরিখে মোদি এখন তৃতীয় স্থানে। কারণ ২০১৪ সাল থেকে টানা ১১ বার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন মোদি। তাঁর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বেশিবার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু। লালকেল্লায় মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভাষণও দেন নেহরুই। আর তাঁর পর ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোট ১৬ বার পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ (Independence Day Speech)  দেন। তাঁদের পরে এতদিন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে এবার টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে মনমোহনকে ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনতা দিবসে ভাষণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।  

    আরও পড়ুন: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    উল্লেখ্য, এবারের স্বাধীনতা দিবসে  সরকারের মূল লক্ষ্যগুলিকে নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে  তুললেন ‘বিকশিত ভারতে’র কথা। স্বপ্ন দেখালেন ভারতকে ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে গড়ে তোলার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    আমার এই অবস্থার পর গঙ্গাজলে তর্পণ করতে গিয়ে দেখি যে, হাতের আঙুলের ভিতর দিয়ে জলে গলে পড়ে যাচ্ছে। তখন হলধারীকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলাম, দাদা, একি হল! হলধারী বললে একে গলিতহস্ত বলে। ঈশ্বরদর্শনের (Ramakrishna) পর তর্পণাদি কর্ম থাকে না।

    সংকীর্তনে প্রথমে বলে নিতাই আমার মাতা হাতি! নিতাই আমার মাতা হাতি! ভাব গাঢ় হলে শুধু বলে হাতি! হাতি তারপর কেবল হাতি এই কথাটি মুখে থাকে। শেষে হা বলতে বলতে ভাবসমাধি হয়। তখন সে ব্যক্তি, এতক্ষণ কীর্তন করছিল, চুপ হয়ে যায়।

    যেমন ব্রাহ্মণভোজনে—প্রথমে খুব হৈ-চৈ। যখন সকলে পাতা সম্মুখে করে বসলে, তখন অনেক হৈ-চৈ কমে গেল, কেবল লুচি আন লুচি আন শব্দ হতে থাকে। তারপর যখন লুচি তরকারি খেতে আরম্ভ করে, তখন আনা শব্দ কমে গেছে। যখন দই এল তখন সুপসুপ (সকলের হাস্য)—শব্দ নাই বললেও হয়। খাবার পর নিদ্রা। তখন সব চুপ।

    তাই বলছি (Kathamrita), প্রথম প্রথম কর্মের খুব হৈ-চৈ থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) পথে যত এগুবে ততই কর্ম  কমবে। শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি।

    গৃহস্থের বউ অন্তঃসত্ত্বা হলে শাশুড়ি কর্ম কমিয়ে দেয়, দশমাসে কর্ম প্রায় করতে হয় না। ছেলে হলে একেবারে কর্মত্যাগ। মা ছেলেটি নিয়ে কেবল নাড়াচাড়া করে। ঘরকন্নার কাজ শাশুড়ী, ননদ, জা—এরা সব করে।

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    মনের পঞ্চভূমি—কণ্ঠ। মন যার কণ্ঠে উঠছে, তার অবিদ্যা অজ্ঞান সব দিয়ে, ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) কথা বই অন্য কোন কথা শুনতে বা বলতে ভাল লাগে না। যদি কেউ অন্য কথা বলে, সেখান থেকে উঠে যায়।

    মনের ষষ্ঠভূমি—কপাল। মন সেখানে গেলে অহর্নিশ ঈশ্বরীয় দর্শন হয়। তখনও একটু আমি থাকে। সে ব্যক্তি সেই নিরুপম রূপদর্শন করে, উন্মত্ত হয়ে সেই রূপকে স্পর্শ আর আলিঙ্গন করতে যায়, কিন্তু পারে না। যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো আছে, মনে হয় এই আলো ছুঁলাম ছুঁলাম, কিন্তু কাচ ব্যবধান আছে বলে (Kathamrita) ছুঁতে পাড়া যায় না।

    শিরোদেশ—সপ্তভূমি—সেখানে মন গেলে সমাধি হয় ও ব্রহ্মের (Ramakrishna) প্রত্যক্ষ দর্শন হয়। কিন্তু সে-অবস্থায় শরীর অধিক দিন থাকে না। সর্বদা বেহুঁশ, কিছু খেতে পারে না, মুখে দুধ দিলে গড়িয়ে যায়। এই ভূমিতে একুশ দিনে মৃত্যু। এই ব্রহ্মজ্ঞানীর অবস্থা। তোমাদের ভক্তিপথ। ভক্তিপথ খুব ভাল আর সহজ।

    সমাধি হলে কর্মত্যাগ-পূর্বকথা-ঠাকুরের তর্পণাদি কর্মত্যাগ

    আমায় একজন বলেছিলেন (Kathamrita), মহাশয়! আমাকে সমাধিটা শিখিয়ে দিতে পারেন? (সকলের হাস্য)

    সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়। পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়। প্রথমে কর্মের বড় হৈ-চৈ থাকে। যত ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে এগুবে ততই কর্মের আড়ম্বর কমে। এমন কি তাঁর নামগুণগান পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। (শিবনাথের প্রতি) যতক্ষণ তুমি সভায় আসনি তোমার নাম, গুণকথা অনেক হয়েছে। যাই তুমি এসে পড়েছ, অমনি সে-সব কথা বন্ধ হয়ে গেল। তখন তোমার দর্শনেতেই আনন্দ। তখন লোকে বলে, এই যে শিবনাথ বাবু এসেছেন। তোমার বিষয়ে অন্য সব কথা বন্ধ হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘এক মেয়ে হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি’’, আন্দোলনের প্রশংসা নির্যাতিতার বাবার

    RG Kar: ‘‘এক মেয়ে হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পেয়েছি’’, আন্দোলনের প্রশংসা নির্যাতিতার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি এক মেয়ে হারিয়েছেন। কিন্তু, পাশে পেয়ে গিয়েছেন কোটি কোটি মেয়েকে। আন্দোলনকারীদের এভাবেই সমর্থন জানালেন নিহত ডাক্তার তরুণীর বাবা। 

    স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘রাত দখলে মেয়েরা’ নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। আরজি কর (RG Kar) ইস্যুতে কলকাতা শহরের দিকে দিকে তো বটেই, জেলা এমনকী অন্য রাজ্যতেও রাতের রাস্তায় ঢল নামে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের। বাংলার অন্যান্য প্রান্তের মতো আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা, নিহত চিকিৎসকের বাড়ির এলাকাতেও মধ্যরাতে নাগরিক জমায়েতে কার্যত জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল। যার জেরে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিটি রোড। সোদপুরে লোকসংস্কৃতি মঞ্চের সামনের জনপ্লাবন থেকে ওঠে রাজনৈতিক স্লোগানও। যদিও তাতে জমায়েতে কোনও ভাটা পড়েনি।

     মধ্যরাতে সোদপুর ট্রাফিক মোড় জনপ্লাবন (RG Kar)

    নিহত চিকিৎসকের (RG Kar) বাড়ি সোদপুরে। বুধবার রাত ৯টায় সোদপুরের নাটাগড় কদমতলা এলাকার দুর্গা মণ্ডপের চাতালে জমায়েত হয়েছিলেন একেবারে পাড়ার লোকেরা। সেই জমায়েতই ছিল কয়েকশো মানুষের। রাত বাড়তেই সেই জমায়েত এইচবি টাউন মোড়, সোদপুর উড়ালপুল হয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বিটি রোডের দিকে। অমরাবতী, ঘোলা, মহিষপোতা, কর্ণমাধবপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষের মিছিল এগোতে থাকে বিটি রোডের দিকে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সোদপুর-মধ্যগ্রাম রোডেও। রাত ১১টা নাগাদ বিটি রোডের সোদপুর ট্রাফিক মোড় মিনি-ব্রিগেড হয়ে ওঠে। নাটাগড়ের বাসিন্দা স্বাতী সরকার ভৌমিক বলেন, ‘‘এটা একটা রাজনৈতিক হত্যা। রাজনৈতিক অপদার্থতার কারণেই আমাদের পাড়ার মেয়েকে অকালে চলে যেতে হয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দিয়েছি।’’ ঘোলার বাসিন্দা অম্লান দত্তের কথায়, ‘‘এত মানুষ রাস্তায় নামবেন ভাবতেও পারিনি। এমন হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রণ করেছেন যাঁদের হয়তো এটাই জীবনের প্রথম মিছিল।’’  

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    ‘‘কোটি কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছি’’

    রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন (Agitation) নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন,  ‘‘ সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই, একটা মেয়েকে (RG Kar) হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছি। এই কোটি কোটি মেয়ে, আজ বলে নয়, আমার তো মনে হচ্ছে, ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন। এঁরা সবাই আমার মেয়ের মতো। যে পুরুষরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরা আমার ছেলের মতো। এঁদের ধন্যবাদ দিলে খুব অন্যায় করব আমি। কারণ আমার মেয়েকে তো কখনও ধন্যবাদ দিইনি! এঁদের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন আছে আমার। আমার মেয়েকে আগলে রাখতে পারিনি, আশা করি এঁদের আগলে রাখতে পারব, যদি এভাবেই এঁরা আমার পাশে থাকেন।’’

    দুষ্কৃতী তাণ্ডব

    প্রসঙ্গত, মধ্যরাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে। তাই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতেই কি ময়দানে নামানো হল দুষ্কৃতীদের? শুরুতেই কেন ভাঙচুর আটকাল না পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share