Blog

  • Mohan Bhagwat: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “তাঁরা যাতে কোনও (Bangladesh Crisis) অবিচার ও নৃশংসতার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার দায় রয়েছে আমাদের দেশেরও।”

    হিন্দুরাই টার্গেট (Mohan Bhagwat)

    এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল নাগপুরের মহল এলাকায়, আরএসএসের সদর দফতরে। সেখানেই তিনি বলেন, “আগামী প্রজন্মের কর্তব্য হল ‘স্বতন্ত্রে’র (স্বাধীনতা) ‘স্ব’ (নিজের)-কে রক্ষা করা। কারণ পৃথিবীতে এমন অনেক লোক আছে, যারা সব সময় অন্য দেশকে ডমিনেট করতে চায়। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যত্নবান হতে হবে। তাদের হাত থেকে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে।” সরসঙ্ঘচালক বলেন, “পরিস্থিতি যে সব সময় একই রকম থাকবে, তা নয়। কখনও কখনও এটা ভালো, অন্যের পক্ষে সেটা ভালো নাও হতে পারে। এই উত্থান-পতন চলতেই থাকবে।” ভাগবত বলেন, “আমরা এখন এই পরিস্থিতিই দেখতে পাচ্ছি। প্রতিবেশী দেশে প্রচুর হিংসার ঘটনা ঘটছে। সেখানে যেসব হিন্দু বাস করেন, কোনও কারণ ছাড়াই তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) এক বারের জন্যও বাংলাদেশের নাম না নিলেও, তাঁর আক্রমণের অভিমুখ যে বাংলাদেশের দিকেই, তা স্পষ্ট।

    ভারতের ঐতিহ্য

    আরএসএস প্রধান বলেন, “অন্যদের সাহায্য করার ঐতিহ্য রয়েছে ভারতের। আমরা গত কয়েক বছরে দেখেছি, ভারত কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। তারা আমাদের সঙ্গে যেমনই আচরণ করুক না কেন, তাদের সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা দেখেছি, আমাদের দেশ নিরাপদেই রয়েছে। একই সঙ্গে অন্য দেশকে সাহায্য করছে।” এর পরেই সরসঙ্ঘচালক বলেন, “আমাদের দেশের দায়িত্ব রয়েছে তাদের বাঁচানোর, যাঁরা ভিন দেশে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে তার নিজের লেভেলে দেখতে হয়। তবে এটি তখনই শক্তি পায় যখন সমাজ তার দায়িত্ব পালন করে। দেশের প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে”, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অশান্তির আঁচ থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে বাংলাদেশে ব্যাপক অত্যাচার হয় হিন্দুদের ওপর। সেই প্রসঙ্গেই এদিন (Bangladesh Crisis) ভাগবতের এহেন মন্তব্য বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।      

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ ও ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ ও ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এবার লালকেল্লা থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, ‘এখন আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পথে হাঁটতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশে ভেদাভেদ হচ্ছে, সাধারণ মানুষ নিজেদের বঞ্চিত মনে করেন, তা থেকে মুক্তি মিলবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে।’ একইসঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি তিনি সওয়াল করেন এক দেশ এক নির্বাচনের ( One Nation One Election) পক্ষেও। 

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)  

    এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ভারতের একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা প্রয়োজন। আমরা একটি সাম্প্রদায়িক বিধি নিয়ে ৭৫ বছর বেঁচে আছি। এবার, বদলের সময় এসেছে। আমাদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথে চলতে হবে। তবেই ধর্মভিত্তিক বৈষম্য দূর হবে।” একইসঙ্গে এদিন ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ – এর উদ্যোগের সমর্থনে সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন মোদি । তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করতে এবং শাসনে অধিকতর দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য এই সিদ্ধান্তের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে ঘন ঘন নির্বাচন দেশের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে।  

    মোদি (PM Modi) বলেন, ”আজ দেশে যে কোনও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নির্বাচনের জন্য থেমে যায়। প্রতি তিন মাস অন্তর কোথাও না কোথাও ভোট হচ্ছে। কাজ শুরু হয়, ভোট আসে তারপর তা থেমে যায়। বারবার নির্বাচন উন্নয়নের পথে বাধা নিয়ে আসে।” মোদি বলেন, ”আমাদের অবিলম্বে এক দেশে এক নির্বাচনে পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আমি সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব এই উদ্দেশে এগিয়ে আসুন। সরকার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। একটি কমিশন তৈরি হয়েছে, যা ভালো রিপোর্ট দিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে”, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য

    আগামী দিনে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”দেশের শীর্ষ আদালতও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছে। একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি সংবিধান নির্মাতাদের স্বপ্ন ছিল। যে আইনে ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করা হয়েছে, যে আইন উচ্চ বর্ণ-নিম্ন বর্ণের মধ্যে ফারাক তৈরি করে, আধুনিক সমাজে সেই আইনের কোনও জায়গা নেই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

    Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হল। মূল অভিযোগে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার-বিরোধী আন্দোলন দমন করা ও গণহত্যায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের। একথাই বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে। এছাড়াও বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা এবং অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এসবই হাসিনার ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল চলছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত নেতা আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মহম্মদ বুলবুল কবীরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম বুধবার মামলা দায়ের করেন। ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের আঞ্চলিক দফতরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন আইনুযায়ী তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপের আবেদন জানান তিনি। তবে এই আবেদনে ঘটনাস্থল হিসেবে সারা বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়েছিল। এই অভিযোগে হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক এবং আওয়ামি লিগ ও তার ছাত্র-যুব শাখার নেতাদের অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক আতাউর রহমানও বলেন, “এদিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, গাজি এমএইচ তামিম এই সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছতে চায় বাংলাদেশ! জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল

    হাসিনা ছাড়া আর কাদের বিরুদ্ধে মামলা?

    ১৪ অগাস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় হাসিনা ছাড়াও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতাদের আসামি হিসেবে নাম যুক্ত করা রয়েছে। তাঁরা হলেন, প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এমএ আরাফাত, প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও প্রাক্তন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। এছাড়াও আওয়ামি লিগ, যুব লিগ, ছাত্র লিগ-সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের জের, কন্যাশ্রী দিবস বয়কট ছাত্রীদের, প্রশ্ন করল নিরাপত্তা নিয়ে

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের জের, কন্যাশ্রী দিবস বয়কট ছাত্রীদের, প্রশ্ন করল নিরাপত্তা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) উত্তাল রাজ্য। বুধবার রাতে কলকাতার রাজপথ সহ রাজ্যের অধিকাংশ শহরের রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মহিলারা। এই আবহের মধ্যে বুধবার ছিল কন্যাশ্রী দিবস। কন্যাশ্রী (Kanyashree) দিবস নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ছাত্রীরা। তাদের প্রশ্ন, যে রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, সেখানে কন্যাশ্রী নিয়ে কী হবে? আর পূর্ব বর্ধমানের মালডাঙা স্কুলের ছাত্রীরা প্রকাশ্যে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করে তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। ফলে, স্কুলের ছাত্রীরাও এই ঘটনায় রীতিমতো রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    কন্যাশ্রী দিবস বয়কট! (Kanyashree)

    পূর্ব বর্ধমানের মালডাঙা রাজেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার কন্যাশ্রী দিবস (Kanyashree) বয়কট করে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ জানাল ছাত্রীরা। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে এদিন সরব হল তারা। এই ঘটনা কার্যত সরকারের কাছে চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছে দিল বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। পরে অবশ্য শিক্ষকদের অনুরোধে কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে বিরত হয়। জানা গিয়েছে, মালডাঙা রাজেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েদের ওপর অত্যাচারের কথা হাতে লেখা বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি র‍্যালির আয়োজন করে। পরে বিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়ে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করে। এই বিষয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের বক্তব্য, ‘‘আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে যেভাবে অত্যাচার করে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাতে দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিতকরণ করতে হবে। পাশাপাশি, কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আজ পরিস্থিতি এমনই যে দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও মেয়েরা আজ নিরাপদে নেই। মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যেখানে মেয়েদেরই নিরাপত্তা নেই, সেখানে কন্যাশ্রী অনুষ্ঠান করার কোনও মানে হয় না। তাই আমরা মেয়েদের ওপর এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করে কন্যাশ্রী দিবস বয়কট করেছি।’’ 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    এত আয়োজন, কন্যাদের নিরাপত্তা কোথায়?

    রাজ্যের কন্যাশ্রী (Kanyashree) দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধনধান্যে স্টেডিয়ামে এসেছিল স্কুল ছাত্রীরা। সেখানেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁদের। ছাত্রীরা বলেছে, ‘‘রাজ্যে কন্যাশ্রীদের জন্য এত এত আয়োজন। কন্যাদের নিরাপত্তা কোথায়? নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়েছে কি? প্রশাসনের গোটা ঘটনা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এখানে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে আবার রাজ্যে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কোনওটাই মেনে নেওয়া যায় না। মা-বাবারাও চিন্তায় রয়েছেন।’’  আর এক ছাত্রী বলে, ‘‘সমাজে একজন ডাক্তার নিরাপদ নয়। এটা কী করে সম্ভব? আবার এই ঘটনা ঘটেছে আরজি করের (RG Kar Incident) মতো জায়গায়। একই সুর আরও এক ছাত্রীর গলাতেও। ক্ষোভের সঙ্গেই তাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আমরা কোনও জায়গাতেই সেফ নই। কাজের জায়গাতেও নিরাপদ নই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে”, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে”, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    সেই সময়ই তিনি বলেন, “একটি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে, আমি বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে, তা নিয়ে উদ্বেগ বুঝতে পারি। আমি আশা করি, সেখানকার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। সেখানে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪০ কোটি দেশবাসীর উদ্বেগ – ভারত সব সময় চায় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলি সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে হাঁটুক।” তিনি বলেন, “আমরা শান্তির প্রতি দায়বদ্ধ। আগামী দিনে বাংলাদেশের বিকাশ যাত্রার শুভ কামনা করি আমরা। কারণ আমরা মানবতার কল্যাণ কামনা করি।”

    ইউনূসকে কী বলেছিলেন মোদি

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। আন্দোলনের তীব্রতার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পরেই পদ্মাপারের দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেছিলেন, “আমরা আশা করি, দ্রুত স্বাভাবিকতা ফিরবে। হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন। অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।”

    আরও পড়ুন: রাতের রাজপথে জনজাগরণ, তৃণমূলের বুকে ধরল কাঁপন

    এদিকে, বুধবার লখনউতে দেশভাগের ভয়াবহ স্মরণ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেছিলেন, “তারিখ এবং মুখগুলো হয়তো বদলে গিয়েছে। তবে ঘটনার প্রকৃতি ১৯৪৭ সালের মতোই। এটা এখনও ঘটছে পাকিস্তানে। বাংলাদেশেও হচ্ছে।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই সময় ১০ লাখ হিন্দু ও শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। আজও আমরা একইভাবে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মেয়ে-বোনদের হয়রান হতে দেখছি।” তাঁর প্রশ্ন, “অতীতের ভুল থেকে আমরা কবে শিক্ষা নেব?” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তাদের সম্মান বাঁচাতে দেড় কোটিরও বেশি হিন্দু কাঁদছে।” আদিত্যনাথ বলেন, “ভারতের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষরা একটি শব্দও উচ্চারণ করছে না। দুর্বলদের জন্য আওয়াজ (Bangladesh Crisis) তুললে পাছে তাদের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামে, তাই। তারা কেবল ভোটব্যাঙ্ক নিয়েই চিন্তিত (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • PM Modi: ‘‘এই সময়টি ভারতের স্বর্ণযুগ’’, স্বাধীনতা দিবসে  ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘এই সময়টি ভারতের স্বর্ণযুগ’’, স্বাধীনতা দিবসে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। তাই প্রতিবারের মতো এই উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবসের (78th Independence Day) দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিলেন তিনি। এদিন মহিলাদের উপর অত্যাচার, নারী সুরক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গের সঙ্গেই তিনি তুলে ধরলেন ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর অগ্রগতির কথা। 

    ‘বিকশিত  ভারত ২০৪৭’ (78th Independence Day) 

    প্রসঙ্গত, বিকশিত ভারত ২০৪৭ হল ভারত সরকারের স্বাধীনতার ১০০তম বছর অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন, যা দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, সুশাসন সহ উন্নয়নের বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করে।

    কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    এদিনের বক্তৃতায় বিকশিত ভারত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ‘এক জেলা এক পণ্য’ উদ্যোগের সাফল্য তুলে ধরেন। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন, কীভাবে কোভিডের সময় সারা দেশের মানুষকে সরকার ভ্যাকসিন দিয়েছিল। এছাড়াও দেশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ”এই দেশ এমন একটি দেশ যেখানে সন্ত্রাসী হামলা হলেও, দেশের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় দেশকে আগলে রেখেছে।” অন্যদিকে নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে মহিলাদের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”আজ দেশের ১০ কোটিরও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অংশ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন। এই বিষয়টি অবশ্যই ভারতের জন্য গর্বের মুহূর্ত।” সব শেষে দেশে যুব সমাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”এই সময়টি ভারতের স্বর্ণযুগ। তাই নিজেকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কখনও কেউ দেশের কোনও ক্ষেত্রে উন্নতিতে বাধা না হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

    দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে পরামর্শ 

    এছাড়াও এদিন তিনি (PM Modi) বলেন, ”বিকশিত ভারত ২০৪৭ শুধু একটি ভাষণের অংশ নয়। এর পিছনে কঠোর পরিশ্রম চলছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আমরা দেশবাসীর কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছি। আমি খুশি যে আমার দেশের কোটি কোটি নাগরিক বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর (78th Independence Day) জন্য অগণিত পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিটি দেশবাসীর সংকল্প এতে প্রতিফলিত হয়েছে। যখন দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন কেউ মনে রাখবেন যে তিনি উন্নত এই ভারতের জন্য মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, যখন তিনি দেশবাসীর দেওয়া এই পরামর্শগুলি দেখেছিলেন, তখন আনন্দিত হয়েছিলেন৷ তিনি জানান, কিছু মানুষ ভারতকে বিশ্বের ইস্পাত রাজধানী করার পরামর্শ দিয়েছিল৷ অন্যদিকে আবার ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারতের লক্ষ্যে, কিছু মানুষ দেশকে উৎপাদনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র করার পরামর্শ দিয়েছিল৷ আবার কিছু মানুষের পরামর্শ ছিল যে আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষকদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া উচিৎ। এরপর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করা উচিত। দেশবাসীর এই স্বপ্ন আমাদের মধ্যে নতুন সংকল্প সৃষ্টি করে। এর ফলে আরও উন্নত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস জন্মায়।” 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Aurobindo: ‘বিপ্লবী’ থেকে ‘ঋষি’, অরবিন্দর জীবন কেমন ছিল জানেন?

    Sri Aurobindo: ‘বিপ্লবী’ থেকে ‘ঋষি’, অরবিন্দর জীবন কেমন ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতার ৭৮ তম দিন। দেশ জুড়ে প্রবল উৎসাহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হচ্ছে। আর আজকের দিনেই ১৮৭২ সালে জন্ম নিয়েছিলেন বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং আধ্যাত্মিক গুরু (Revolutionary) শ্রীঅরবিন্দ (Sri Aurobindo)। তিনি ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছিলেন সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় এবং আর্থিক পরিসরে ভারত মাতার পুনর্জাগরন। দেশের ‘স্ব’কে নির্মাণ করাই ছিল তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য। আলিপুর বোমা মামলায় তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত করে জেলে বন্দি করেছিল। সরকারের নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিনি শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামী বা বিপ্লবী ছিলেন না, একাধারে ‘বন্দেমাতরম্‌’ পত্রিকার সম্পাদক আবার লেখক, দার্শনিক ও সংগঠক ছিলেন। তাঁর কথা ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয়।

    পড়াশুনা ও বিপ্লবী কর্মজীবন (Sri Aurobindo)

    বিপ্লবী (Revolutionary) অরবিন্দ ঘোষের (Sri Aurobindo) বাবা চিকিৎসক কৃষ্ণধন ঘোষ ও মাতা স্বর্ণলতা দেবী। মাতামহ ছিলেন রাজনারায়ণ বসু। শৈশব বয়স থেকে অরবিন্দ দার্জিলিংয়ের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেছিলেন। এরপর ইংল্যান্ডে বাকি পড়াশুনা করেন। সেখানে থাকার সময়ে ইতালি, আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক ঘটনাবলি দ্বারা দারুণ প্রভাবিত হয়েছিলেন। ভারতে এসে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদন নীতির চরম বিরোধী ছিলেন। তিনি তাঁর লেখা দিয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে ভীষণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দেশমাতৃকার মুক্তি ছিল তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য। তিনি ভারতীয় ইতিহাস, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, উপনিষদ দ্বারা প্রভাবিত হন এবং ভারত আত্মার মুক্তির কথা যুব সমাজের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তবে বিশেষ করে গীতার ‘নিষ্কাম কর্ম’ এবং ‘আত্মত্যাগ’-এর কথা দ্বারা ভারত মায়ের মুক্তির কথাকে বেশি করে নিজের লেখায় উপস্থাপন করতেন। তাঁর লেখা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যে চাপের মধ্যে থাকত, তা বলাই বাহুল্য। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ দ্বারা ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হন। অনুশীলন সমিতির মতো গুপ্ত সমিতির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর ভবানী মন্দিরে বঙ্গজননী ভারত মায়ের মুক্তির কথা প্রচার করে বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যোগাতেন। ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকারের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বঙ্গীয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গড়ে তোলেন। বরোদার ৭০০ টাকার বেতন ত্যাগ করে আজকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেছিলেন। স্বদেশী শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলে রাইটার্সের গোলদীঘির গোলামখানার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করেছিলেন তিনি।

    আলিপুর বোমা মামলা

    অরবিন্দকে (Sri Aurobindo) ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলা চলে ১ বছর। টানা এক বছরের জেল জীবন কাটান। জেলের বন্দি জীবন নিয়ে ‘কারা কাহিনী’ লেখেন। ব্রিটিশ সরকার কতটা নির্মম ছিল সেই কথা বলে গিয়েছেন তাঁর লেখায়। ভারতবাসীর মুক্তির জন্য জেলে বসেই নরের মধ্যে নারায়ণকে দর্শন করেন। বিপ্লবী বিপিন চন্দ্র পালকে স্মরণ করেছিলেন। ১৯০৯ সালে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মতাদর্শ-ভাবাদর্শকে আধ্যাত্মিক আন্দোলনে রূপান্তর করে নিজেকে পরিবর্তন করেন। ১৯১০ সালে পন্ডিচেরিতে চলে যান। এরপর ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতা নিয়ে কাজে মনোনিবেশ করেন। এভাবেই অরবিন্দ ‘ঋষি’ অরবিন্দে পরিণত হন। ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    তাঁর কিছু বাণী

    অরবিন্দের (Sri Aurobindo) কিছু বাণী সাধারণ মানুষের মনকে আজও প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করে।

    ১> “দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তবে আমি অপরাধী”

    ২> “কোনও দেশ বা জাতিই এখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না।“

    ৩> “যেমন সারা সংসারের পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনই ভারতকেও পরিবর্তিত হতে হবে।“ 

    ৪> “ভারত বৈষয়িক সমৃদ্ধিহীন। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার উচ্ছ্বাস তার জীর্ণ দেহে বাস করে।“

    ৫> “পড়াশোনা কর, লেখ, এগিয়ে যাও, কাজ করো, একমাত্র মাতৃভূমির জন্য, মায়ের সেবার জন্য।”

    ৬> “ভারত যদি পাশ্চাত্য সভ্যতার ভালো দিকগুলি গ্রহণ করে এবং নিজের ক্ষমতা ধ্বংস হতে না দেয়, তাহলে এর সংমিশ্রণে এখানে যে সংস্কৃতি বেরিয়ে আসবে, তা সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকারী হবে। সেই সংস্কৃতি হয়ে উঠবে বিশ্বের পরবর্তী সংস্কৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?’’ মমতাকে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?’’ মমতাকে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। শহরের বুকে একজন ডাক্তারকে অন ডিউটি থাকাকালীন (গণ)ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, এরকম ঘটনা গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে আর আছে? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। এখানে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের এক সাংসদও জড়িত রয়েছে বলে তিনি সরব হন। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

    হাসপাতালে মাদক-যৌন চক্র! (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে মাদক চক্র, যৌন চক্র চলত। ডাক্তার টিমে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই জাতীয় অনেক বিষয় উঠে এসেছে, এর কিছু স্ক্রিনশটও আমাদের কাছে পৌঁছেছে। একজন তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর ভাইপোর নাম বারবার উঠে আসছে, আমি জানি না কী হয়েছে, তবে যেটাই হোক সেটা ভুল হয়েছে। তৃণমূলে এত মহিলা সাংসদ থাকা সত্ত্বেও একজন মহিলা সাংসদও এই বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি। এমনকী, তৃণমূলের ১ জন সাংসদ, ৩ জন বিধায়ক, ২ জন একই মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু তাঁদের মুখেও সেলোটেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপি কয়েকজন হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে মৃত স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত রাতে বেআইনিভাবে করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার মানুষ

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রতিবাদের রূপ একেক রকম হয়। যে যেভাবে প্রতিবাদ করবে। সেটা মোমবাতিও হতে পারে, মশালও হতে পারে। তবে, প্রতিবাদ হওয়াটা জরুরি। আমরা দেখেছি মা সীতাকে অপমান করার জন্য লঙ্কা আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয়েছিল। সেইরকম এই সরকারও মানুষের ক্রোধাগ্নিতে পুড়ে যাবে। যখন দেখেছে বাংলার মহিলারা জেগে উঠেছে, এর প্রতিবাদ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের নেতারা এখন গ্যালারি শো করতে নেমেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার মানুষ।”

    নাটক করতেই পদত্যাগ!

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে বলেন, “অধ্যক্ষ এই ঘটনায় ১০০ শতাংশ যুক্ত। পুলিশকেও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া ছিল ঘটনাটাকে ধামাচাপা দেওয়ার। কিন্তু যখন ধামাচাপা দেওয়া যায়নি তখন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা বিষয়টিতে মুখ খুলেছে। তার আগে পর্যন্ত সবটাতেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য অধ্যক্ষকে দিয়ে পদত্যাগের নাটক করানো হয়।”

    কন্যা না বাঁচলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন?

    বুধবার ছিল কন্যাশ্রী দিবস, ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কন্যাশ্রীর টাকা দিচ্ছেন ভালো কথা, কিন্তু তার আগে বলব কন্যাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করুন। আমার ঘরের কন্যাই যদি না বাঁচে তাহলে কন্যাশ্রীর টাকা কাকে দেবেন? আজ যে মহিলা নিজের একমাত্র মেয়েকে মেডিক্যাল কলেজে এমডি পড়াতে গিয়ে হারালেন তাঁকে যদি মাসে মাসে কন্যাশ্রীও দেন, সেই মায়ের কোলে কি মেয়ে ফেরত আসবে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: রাতের রাজপথে জনজাগরণ, তৃণমূলের বুকে ধরল কাঁপন

    RG Kar Hospital: রাতের রাজপথে জনজাগরণ, তৃণমূলের বুকে ধরল কাঁপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে রাজপথের দখল নিলেন প্রমীলারা (Meyera Raat Dokhol Koro)। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই শুরু হল মিছিল (RG Kar Hospital)। সেই কালো মাথার মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট মধ্য রাতে গর্জে উঠেছিল স্বাধীন ভারত। আর এদিন মধ্যরাতে কলকাতার রাজপথ চলে গেলে শুধুই ‘অর্ধেক আকাশ’দের দখলে।

    নিয়ন আলোয় হাঁটছেন প্রমীলারা (RG Kar Hospital)

    উত্তরে আরজি কর তো বটেই, দক্ষিণে যাদবপুর, মধ্য কলকাতায় অ্যাকাডেমি, কলেজস্ট্রিট সর্বত্রই কেবল মিছিল আর মিছিল। হাইমাস্টের নিয়ন আলোয় নির্ভয়ে হেঁটে চলেছেন প্রমীলারা। রাতের নির্জনতা ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ধ্বনিতে। কলকাতার রাজপথের পাশাপাশি এদিন মহিলারা রাত জেগেছেন দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতেও। স্ত্রী-শক্তির এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে সাগরপারের এডিনবরা (ব্রিটেন) শহরও।  বাংলার বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জেও রাত জেগেছে প্রমীলা বাহিনী। আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছে নারী শক্তি।

    মশাল হাতে নারী শক্তি

    শহরে যখন পথবাতির আলোয় হয়েছে মিছিল, তখন গাঁ-গঞ্জে প্রমীলারা পথে নেমেছেন মশাল হাতে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো প্রত্যন্ত জেলায়ও রাত জেগেছে স্ত্রী শক্তি। শহর থেকে গ্রাম – অনেক মাকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে শিশু কোলে। রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তার পর লোকমুখে ছড়িয়েছে সেই ডাক। বুধবার আক্ষরিক অর্থেই রাত দখল করল অর্ধেক আকাশ। সফল হল নারীর নৈশ অভিযান। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে যে অভিযানে শামিল হলেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের স্বাধীনতাকামী নারীরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ছাঁদের ইংরেজি স্লোগানও যেমন ছিল, তেমনি ছিল শঙ্খ বাজানোর সনাতনী রীতিও। যা থেকে প্রমাণ হয়, অতি আধুনিকার পাশাপাশি এদিন রাত জেগেছেন সনাতনী আদর্শের নারীরাও। মিছিল থেকেই আরজি করকাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিও উঠেছে।

    ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

    এবং এই আওয়াজ যেমন শোনা গিয়েছে বেহালা, গড়িয়া, দমদম, নিউটাউনে, তেমনি শোনা গিয়েছে হাওড়া, লিলুয়া কিংবা বাগনান, কোলাঘাটেও। কল্যাণী থেকে বনগাঁ, জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি – সর্বত্রই এক আওয়াজ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এর পাশাপাশি এদিন কলকাতায় আরও একটি আওয়াজ তুলেছেন জনা কয়েক প্রতিবাদী। তাঁরা ফাঁসি চেয়ে বসেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অল্প কয়েকজনকে এই আওয়াজ তুলতে দেখা গেলেও, এর তাৎপর্য কম নয়। কারণ যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী, সেখানেই নিত্য হয় নারী নির্যাতন। কেবল (RG Kar Hospital) বদলে যায় দৃশ্যপট। সে পটে কখনও ভেসে ওঠে কামদুনির নির্জন রাস্তা, কখনও আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও কক্ষ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্যাতনের শিকার সেই নারী। সেই নারী নির্যাতনের প্রতিবাদেই এদিন মধ্যরাতে গর্জে উঠল তামাম বাংলা।

    শাসকের বুকে কাঁপন

    এই গর্জনই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে শাসকের বুকে। আগেভাগেই যার আঁচ পেয়ে অশ্লীল রসিকতা করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহ। ফেসবুক পোস্টে উদয়ন লিখেছিলেন, “দিনহাটার কেউ কেউ কাল (বুধবার) রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।” রাজনৈতিক মহলের মতে, রাত দখলের কর্মসূচিকে ঘিরে শাসক যে ভয় পেয়েছে, দলবদলু উদয়নের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। বুধবার রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে রাত দখল করো আন্দোলনের ঝাঁঝ। এবং সেই আন্দোলন থেকেই যখন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর ফাঁসির আওয়াজ ওঠে, তখন আরও বিপন্ন বোধ করে শাসক। যদিও ঘটনার পরে পরেই দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে (Meyera Raat Dokhol Koro) ভবি ভোলেনি, খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই ফাঁসির দাবি ওঠায় তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    নৈশ-মিছিল থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে কাঁচা চিত্রনাট্য!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রমীলাদের এই আন্দোলন কৌশলে দমাতে চেয়েছে তৃণমূল। নৈশ-মিছিল শুরু হতেই কারা যেন গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। পুশিলের আধপোড়া উর্দিও মিলেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরোটাই একটা সাজানো নাটক (RG Kar Hospital)। এই নাটকের চিত্রনাট্যকার যিনি, তিনি আন্দোলন থেকে বঙ্গবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন। বাংলার গৃহবাসীকে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন, আন্দোলনের নামে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে প্রমীলা বাহিনী। পুলিশের আধ পোড়া উর্দি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন পুলিশ পিটিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে চিত্রনাট্যটা বড়ই কাঁচা। এবং এই চিত্রনাট্যের পর্দা ফাঁস করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, প্রতিবাদী সেজেই গুন্ডারা ঢুকে পড়েছিল আরজি করে। তাদের সেখানে ঢোকার সুযোগ করে দেয় পুলিশই। আরজি করকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। শুভেন্দুর অভিযোগ, সেই কারণেই হামলা চালিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে (RG Kar Hospital)।

    চিত্রনাট্য ফাঁস (Meyera Raat Dokhol Koro)! অতএব, সাধু সাবধান!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘কড়া শাস্তি হোক মা-বোনেদের ওপর অত্যাচারীদের’’, আরজি কর আবহে বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘কড়া শাস্তি হোক মা-বোনেদের ওপর অত্যাচারীদের’’, আরজি কর আবহে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও  হত্যাকাণ্ড ঘিরে বাংলা সহ গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। আর এরই মাঝে এবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2024) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মোদি তাঁর ভাষণে সরাসরি কোনও নাম না নিলেও, স্পষ্ট ইঙ্গিত গেল আরজি করের ঘটনার দিকেই। এরাজ্যের সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এবং তার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদের দিকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তাঁর ভাষণে নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় (Crimes Against Women) দ্রুত তদন্ত করে কড়া শাস্তির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    মহিলা চিকিৎসকের ওপর অত্যাচার নিয়ে সোচ্চার প্রধানমন্ত্রী 

    স্বাধীনতা দিবসের সকালে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সে সময়ই নারীদের উপর অত্যাচার ও নারীদের সুরক্ষা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। বলেন, ”নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আপামর জনতা ক্রুদ্ধ। নারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। নারীদের ওপর অত্যাচারের (Crimes Against Women) ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে অপরাধের ঘটনা ঘটাতে সকলে ভয় পায়। এই ভয় তৈরি করাটা দরকার। জনতার বিশ্বাস ফিরে পেতে কড়া পদক্ষেপ করতেই হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা (Modi on Woman)

    এছাড়াও এদিন জনগণের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ”সাময়িক হাততালি কুড়োনোর জন্য কিংবা কোনও বাধ্যবাধকতার কারণে নয়, দেশকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা সংস্কারের কাজে দায়বদ্ধ। আমাদের মা, বোন, মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে (Crimes Against Women), তার বিরুদ্ধে দেশের আক্রোশ রয়েছে, জনমানসের আক্রোশ রয়েছে। এই আক্রোশকে আমি অনুভব করছি। দেশবাসী দুর্নীতির উন্মাদনায় বিপর্যস্ত। প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি জনগণের আস্থা ভেঙে দিয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।”  

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর ছক?

    উল্লেখ্য, আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2024) প্রাক্কালে রাত জেগেছেন মহিলারা৷ রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র মোমবাতি হাতে মিছিল, স্লোগান, গান, কবিতায় প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী শক্তি (Crimes Against Women)৷ তবে রাত দখলের আন্দোলনের ঠিক পরেরদিনই নারীদের ওপর অত্যাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share