Blog

  • Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে মানুষের জীবন বিপন্ন। জামাত এবং বিএনপি সমর্থক গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh border) বাংলাদেশি হিন্দুদের ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। এই ভিড়ের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার। তাঁরা শরণার্থী হিসাবে হয়তো আশ্রয় চান ভারতে। একই ভাবে সেই দেশের জঙ্গিরাও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ (BSF), এতদিন পর্যন্ত খোলা পড়ে থাকা বর্ডারগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এবং বিএসএফ দ্রুত কদমে কাজ শুরু করেছে।

    ২২৪ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে তোরজোড় (Bangladesh border)  

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ২২০০ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (Bangladesh border) রয়েছে। তাঁর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসেছে। বাকি যেখানে এখনও তার বসেনি, তার একটা বড় অংশ আবার নদী দিয়ে ঘেরা। এখন ২২৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর তোরজোড় চলছে। জমির বন্দোবস্ত করার চেষ্টাও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ৪৩ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আবার মমতার মন্ত্রিসভা ২৬৭ কিমি জমি কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। অপরদিকে, ১১২.৩ কিমি জমি কিনতে রাজ্যকে ২২১ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ১৫৪ কিমি জমি কেনার হিসেব কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। ফলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা বিএসএফের কাছে প্রাথমিক বিষয়। বাংলাদেশের অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রচুর জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে জেএমবি বা আল-কায়েদা জঙ্গিরা যাতে অবাধে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকের কথা মাথায় রেখে বিএসএফ (BSF) এই কোচবহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    হিন্দুদের সুরক্ষার বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে

    বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ১৭ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের টার্গেট করেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র। দেশে হিন্দুদের ধর্মীয়স্থল মন্দির, মঠে আগুন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। একাধিক জেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ব্যবসার কেন্দ্রে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক জায়গার অত্যচার-আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি সুরক্ষা করার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তকে (Bangladesh border) আরও সুরক্ষিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিএসএফ (BSF)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape-Murder Incident) ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের (State Government Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।

    অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় (RG Kar Hospital) উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

    নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস ঘটনা (RG Kar Hospital)

    পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মধ্যে কলকাতা সমেত জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এদিন দিনভর প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনকারী (Doctor Rape-Murder Incident) ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদর সাফ কথা, ‘‘আমরা রাত জেগে রোগীদের জীবন রক্ষা করব, অথচ আমাদের নিজেদের জীবনের কোনও সুরক্ষা থাকবে না? আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার।’’

    কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি (Doctor Rape-Murder Incident)

    নৃশংস এই ঘটনায় (RG Kar Hospital) ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না তাঁরা। কলকাতা থেকে জেলা সর্বস্তরে চিকিৎসকদের হাতে এদিন রয়েছে পোস্টার, তাতে লেখা ‘বিচার চাই’। কলকাতা মেডিকেল কলেজেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Doctor Rape-Murder Incident)। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, শিশু মঙ্গল হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও নীলরতন সরকার হাসপাতালেও। সর্বত্র প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে।

    নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

    কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর পরিবার-পরিজনদের এদিন সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁরা কোনও রকমের চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন না। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে রাতে, সেই সঙ্গে মৃত তরুণীর (RG Kar Hospital) জন্য উপযুক্ত তদন্ত ও অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও হাতে পোস্টার হাতে বসে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    অন্যদিকে, শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন (Doctor Rape-Murder Incident)। তাঁদের হাতেও রয়েছে পোস্টার। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ম আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দোষী বা দোষীদের। এছাড়া,  সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি-বিক্ষোভ অবস্থানে (RG Kar Hospital) নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন।

    জেলাগুলিতেও চলছে প্রতিবাদ-কর্মবিরতি 

    অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলিতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সর্বত্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগও বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কমবেশি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের বক্তব্য একই, দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে এবং কঠোর সাজা (RG Kar Incident) দিতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    কী বলছেন জেলার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘ডাক্তারদের মারধর, অসম্মান এত দিন আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা খোলা আছে। আমরা বিচার চাই।’’ তবে এমন আন্দোলনের প্রভাব দেখা গিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাতেও। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে কোথাও জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি।

    কী বলছেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসরা? 

    আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই এখানে। গত দিনের ঘটনার পর আমরা ভয়ে আছি। আমাদের পরিবার চিন্তায় আছেন। আমাদের এক জনকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলে দেওয়া হল। তার পরেও কীভাবে আমরা এই হাসপাতালে কাজ করব?’’ অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে যা হয়েছে, আগামী দিনে তা আমার সঙ্গেও হতে পারে। আমরা এখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে, দোষীদের কঠোর শাস্তি না হলে আমরা কাজে ফিরব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Interim Govt: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ খালিদ হোসেন! জানুন পরিচয়

    Bangladesh Interim Govt: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ খালিদ হোসেন! জানুন পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরাজক বাংলাদেশের (Bangladesh Interim Govt) হাল ধরতে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। চমক রয়েছে অন্যত্র। সেটা হল, বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা তথা বাংলাদেশের সাবেক নায়েব আমির ও ইসলামি চিন্তাবিদ এএফএম খালিদ হোসেন (AFM Khalid Hossain)। তাঁর দলের বিরুদ্ধে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।

    শুভেচ্ছা মোদির (Bangladesh Interim Govt)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন ইউনূস। বাংলাদেশের নোবেল জয়ী অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।

    অন্তর্বর্তী সরকারে খালিদ

    ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Interim Govt) সদস্য সংখ্যা ১৭। এঁদেরই একজন এএফএম খালিদ হোসেন। তার পুরো নাম আবুল ফয়েজ মহম্মদ খালিদ হোসেন। তিনি হেফাজত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্ত বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। খালিদ হোসেনের দলটি কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে হিন্দু নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খালিদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বক্তা। তিনি এবং হেফাজত-ই-ইসলামের আরও কয়েকজন নেতা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমাদের প্রভাবিত করেছেন। হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ভালো। সেই সম্পর্কের বিরুদ্ধেও তিনি মুসলমানদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের একটি কলেজে তিনি ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ইসলামিক ছাত্র সমাজের প্রেসিডেন্টও তিনি। এই ইসলামি ছাত্র সমাজ হল নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির ছাত্র শাখা।

    হেফাজত-ই-ইসলাম

    ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে জন্ম হয় হেফাজত-ই-ইসলামের (AFM Khalid Hossain)। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামপন্থী আহমেদ শফি। সংগঠনের লক্ষ্যই হল ইসলাম বিরোধী উদ্যোগ থেকে ইসলামকে রক্ষা করা। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা লোপ এবং কঠোর ইসলামি বিশ্বাসের প্রচারের লক্ষ্যও ছিল এই ইসলামিক সংগঠনের। এই গোষ্ঠীটি সুন্নি ইসলামপন্থী, তাদের মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এবং সমর্থকদের নিয়ে গঠিত। এর নেতারা সব সময় প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও আইনি সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে। বাংলাদেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দাবিও জানিয়েছে। আক্রমণ শানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাকে। ২০১৩ সালে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিল। এর মধ্যে লিঙ্গ বিচ্ছিন্নতা ও বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসলামিক পণ্ডিতদের মুক্তি দেওয়াও ছিল। তারা জামাত-ই-ইসলামি আধিকারিকদের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছিল (Bangladesh Crisis)। নিন্দা করেছে ধর্মনিরপেক্ষ পদক্ষেপের।

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি অফিসেও। মোদি চলে আসার পর হিন্দুদের মন্দিরেও হামলা চালায় মুসলানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামির সদস্যরা চিৎকার করতে থাকে, “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে মহম্মদ আলি জিন্নার ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন’-এর উল্লেখের জেরে বাংলায় ব্যাপক গণহত্যা হয়।

    বাংলাদেশ হবে তালিবান রাষ্ট্র!  

    বাংলাদেশে ওই হিংসার ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় হেফাজত-ই-ইসলামের বেশ কয়েকজন নেতাকে। ক্ষমতায় এলে তারা বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে কবুল করেছে। ওই গোষ্ঠীরই এক প্রভাবশালী নেতা মামুনুল হক স্বীকার করেছেন, তিনি এবং তাঁর মতো আরও কয়েকজন বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে হেফাজত-ই-ইসলামের কয়েকজন নেতা। তার জেরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চলছে।

    মাদানির উসকানি

    রফিকুল ইসলাম মাদানি নামের এক হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা মুসলমানদের এই বলে উসকানি দিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনা হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করছেন। মোদি যা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তাই হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “আজ সমস্ত মন্দির আপগ্রেড করা হচ্ছে। এখানকার মসজিদগুলি শেষ হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের নামে ওরা মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবে। আমরা চাই দেশটি (AFM Khalid Hossain) একটি সত্যিকারের ইসলামি প্রজাতন্ত্র হোক (Bangladesh Interim Govt)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Arijit Singh: পিছনে ফেললেন টেলর সুইফ্টকে, ফলোয়ার সংখ্যায় স্পটিফাই-তে এক নম্বর বাংলার অরিজিৎ

    Arijit Singh: পিছনে ফেললেন টেলর সুইফ্টকে, ফলোয়ার সংখ্যায় স্পটিফাই-তে এক নম্বর বাংলার অরিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয়তার বিচারে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী টেলর সুইফ্টকে (Taylor Alison Swift) পিছনে ফেললেন মুর্শিদাবাদের ছেলে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। গান শোনার প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই-তে এতদিন সবচেয়ে ‘ফলোড’ ছিলেন ১৪টি গ্র্যামির অধিকারিণী টেলর সুইফ্ট। এবার সংখ্যার বিচারে টেলর সুইফ্টকে হারিয়ে সারা বিশ্বে এক নম্বর স্থানে উঠে এলেন অরিজিৎ।

    বিশ্বজয়ী অরিজিৎ-এর কত ফলোয়ার (Arijit Singh)?

    স্পটিফাই হল গান শোনার অন্যতম প্রধান এবং বহুল জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। শ্রোতারা এই প্ল্যাটফর্মে গান শোনার পাশাপাশি, সঙ্গীত শিল্পীদের ‘ফলো’-ও করতে পারেন। ফলে সেই অনুরাগীদের সংখ্যার সাপেক্ষে টেলর সুইফ্টকে হারিয়ে বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করেছেন বাংলার জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ (Arijit Singh)। এই সময়, তাঁর মোট ফলোয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭২ লক্ষ ১১ হাজার ১৫৪ জন। অপর দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলর সুইফ্টকে ফলো করার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৯৯ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, এড শেরন। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ১১ কোটি ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডে ও বিলি আইলিশ। এখনও তাঁরা ১০ কোটি সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেননি। তবে বছর খানেক আগে এই তালিকায় ছিলেন এড শেরন। আবার গত বছর অগাস্ট মাসে অরিজিৎ-এর স্পটিফাইতে সংখ্যা ছিল সাড়ে ৮ কোটি। কিন্তু তাঁকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেছনে ফলে এগিয়ে যান টেলর সুইফ্ট (Taylor Alison Swift)। কিন্তু তার ছয় মাসের মধ্যেই আবার টেলরকে পেছনে ফেলে এক নম্বরে পৌঁছে গেলেন অরিজিৎ।

    আরও পড়ুনঃ এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    ‘তুম হি হো’ গানে ব্যাপক সাফল্য পান

    বলিউডের বিখ্যাত তরুণ সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং-এর (Arijit Singh) জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তাঁর জন্ম জিয়াগঞ্জের এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। সেখানেই তাঁর বড় হওয়া এবং স্কুল জীবন। প্রেমে বিরহের গানে আপামর যুব সমাজের মনকে হরণ করেছেন তিনি। তবে তিনি চেনা-পরিচিত আড়ম্বরের জীবনকে খুব একটা পছন্দ করেন না। গুরুকুল নামে এক রিয়ালিটি শো-তে প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সেরার সেরা তকমা না পেলেও থেমে থাকেননি তিনি। মুম্বইয়ের সঙ্গীত নির্দেশক প্রীতমের কাছে কাজ শিখেছেন। নিজেকে সেখানে পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন। ‘আশিকি ২’ সিনেমার ‘তুম হি হো’ গান করে ব্যাপক সাফল্য পান। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি অরিজিৎ-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    Assam: ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) হাইলাকান্দি থেকে এক যুবককে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের মতো অসম সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে হিংসা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম রেজুয়ান উল্লা মাজারভূইয়া।

    ফেসবুকে কী লিখেছিলেন? (Assam)

    রেজুয়ান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা। খুব শিগগিরই অসমে বাংলাদেশের প্রভাব শুরু হবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে এক নেটিজেন তাঁকে কোথা থেকে এসেছেন জিজ্ঞাসা করলে, রেজুয়ান বাংলায় উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি ভারতে কাজ করলেও আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। সবসময় পাকিস্তানে আল-কায়েদা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছি। আমি বাংলাদেশকে আমার হৃদয়ে রাখি এবং সবসময় বাংলাদেশকে কাছে রাখি। বাংলাদেশই আমাদের বন্ধুত্বের প্রধান কারণ।”

    থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার!

    হাইলাকান্দি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেলের কর্তাদের ফেসবুক পোস্টটি নজরে পড়ে। এরপরই রেজুয়ানকে দক্ষিণ অসমের (Assam) হালিয়াকান্দি জেলার রংপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রের দাবি নিয়ে থানায় তাঁকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি দাবি করেন, যে পাকিস্তানে আল-কায়েদা অপারেটিভদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ জানিয়েছে যে, রেজুয়ান পোস্টটি “আমাদের হাইলাকান্দি” নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করেছিলেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত প্রোফাইলেও অনুরূপ একটি বার্তা পোস্ট করেছেন। হাইলাকান্দির (Assam) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সমীর বড়ুয়া বলেন, রেজুয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ধারা ৬১ (২০  (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা), এবং ৩৯ ধারা সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস) এর ১৯৬  (শত্রুতা প্রচার) এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ (ইউএপিএ) ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।

    ইসলামপন্থিরা ভারতে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার স্বপ্ন দেখছে!

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংরক্ষণ-বিরোধী বিক্ষোভ জামাত-ই-ইসলামির মতো ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলি হাইজ্যাক করেছে বলে অভিযোগ। অনেক বিরোধী নেতা এবং ইসলামপন্থিরা ভারতে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার জন্য একই ধরনের হিংসা ঘটানোর স্বপ্ন দেখছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা রয়েছে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ভারতে একই ধরনের ‘বিদ্রোহ’ আশা করে মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, মণিশঙ্কর আইয়ার এবং একাধিক কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন যে, ভারতের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতোই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধানে এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” উপশ্রেণি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। গত সপ্তাহে সাব কোটা মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Supreme Court), রাজ্যগুলির এই ক্ষমতা রয়েছে যে, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে আরও উন্নীত করার লক্ষ্যে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিভাগের মধ্যে কোটা বরাদ্দ করতে পারবে।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধানের প্রদত্ত এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। তবে, তাকে এখনই কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী, এসসি-এসটি সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসসি-এসটিতে ক্রিমি লেয়ার চিহ্নিত করতে হবে। সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু এনডিএ সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান হওয়া উচিত সংবিধান মেনে।”

    বৈঠকে মন্ত্রিসভা

    দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকেই সংবিধানে প্রদত্ত এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আম্বেডকরের সংবিধানে এসসি-এসটি’র জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই, সেহেতু সংবিধান অনুযায়ীই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    চলতি মাসের শুরুর দিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে (Ashwini Vaishnaw) সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এসসি-এসটি বিভাগে কোটা যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসসি-এসটি ক্যাটেগরির মধ্যে একটি নয়া সাব ক্যাটেগরি তৈরি করা যেতে পারে। এর অধীনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে (Supreme Court)। শুক্রবার, বিজেপির এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ ফাগ্গান সিং কুলাস্তে। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি ক্রিমি লেয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন না।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা এসসি/এসটি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা প্রকাশিত ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে  আলোচনা করেছি, যা এসএস/এসটি সম্প্রদায়ের ক্রিমি লেয়ারকে চিহ্নিত করার ও তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতামতের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। এবং এটি বাস্তবায়ন না করার অঙ্গীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

    অশ্বিনীর মতো প্রায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের গলায়ও। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, “এসসি/এসটির উপ শ্রেণিবিভাগে ক্রিমি লেয়ারের উল্লেখটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের একটি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সদস্যদের সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

    ২০০৫ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এসসি-এসটির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটির মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বৃহস্পতিবার। বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এসসি-এসটির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও (Supreme Court) ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন (Ashwini Vaishnaw) বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের (Hindu Dharma) অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হল ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra 2024)। এই উৎসব প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে পালিত হয়। ইংরেজি মাস হিসেবে দেখলে জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই পড়ে ঝুলন যাত্রা। কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণবদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব মনে করা হয় ঝুলন যাত্রাকে। ঝুলন উৎসব পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় তাই একে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের একাদশী তিথি থেকে রাখিপূর্ণিমা — এই পাঁচ দিন ধরে ঝুলনযাত্রা পালন করা হয়। দোলযাত্রা এবং জন্মাষ্টমীর মতোই কৃষ্ণ ভক্তরা এই উৎসবে প্রভুর বন্দনায় মেতে ওঠেন। ২০২৪ সালের ঝুলন যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শ্রাবণ শুক্রবার। ইংরেজি তারিখ হিসেবে ১৬ অগাস্ট।

    হিন্দু বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024) পালন করেন

    দেশজুড়েই পালিত হয় এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024)। এর মধ্যে মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী ও মায়াপুর- ঝুলন যাত্রার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। ঝুলন যাত্রাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের পা পড়ে মথুরা-বৃন্দাবন-পুরী-মায়াপুরে। বৃন্দাবনের মধ্যে শ্রী রূপ-সনাতন গৌড়ীয় মঠ, বাঁকেবিহারী মন্দির এবং রাধারমণ মন্দির, মথুরার দ্বারকাধীশ মন্দির, পুরীর গৌড়ীয় মঠ, ইস্কন মন্দির, গোবর্ধন পীঠ, শ্রী রাধা কান্ত মঠ, শ্রী জগন্নাথ বল্লভ মঠ এবং মায়াপুরের ইসকন প্রভৃতি স্থানে এই উৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। দোলনায় অধিষ্ঠিত করা হয় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। ভক্তরা কৃষ্ণ বন্দনায় মেতে ওঠেন। তবে শুধুমাত্র মন্দিরেই নয়, এর পাশাপাশি হিন্দু (Hindu Dharma) বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা, এই উৎসব পালন করেন। দুই মূর্তিকে সাজিয়ে পুজো করা হয়। প্রতি পাড়াতেই হিন্দু বালক-বালিকারা এদিন রাধাকৃষ্ণের বেশে সেজে ওঠে।

    শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরালে মিলবে শুভ ফল

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শুধুমাত্র মায়াপুরই নয়, এর পাশাপাশি নবদ্বীপ ও শান্তিপুরেও ঝুলনযাত্রা বড় করেই পালিত হয়। ঝুলন যাত্রায় (Jhulan Yatra 2024) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত পৌরাণিক ঘটনাগুলিকে পুতুল দিয়ে সাজানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, ঝুলন উৎসবে রাধার সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণকে দোলনায় অধিষ্ঠিত করলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কলকাতার বরানগরের পাটবাড়ি আশ্রম ও বউ বাজারের বিখ্যাত রামকানাই অধিকারীর বাড়িতে ঝুলনযাত্রা উৎসব দেখার জন্য প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, ঝুলন যাত্রার বিশেষ দিনে শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরিয়ে, হলুদ মিষ্টি, হলুদ ফল, হলুদ ফুল সহযোগে পুজো করলে বিশেষ সুফল মেলে। এর পাশাপাশি ঝুলন যাত্রার উৎসবে ময়ূরের পালক কিনে তা ভগবানের পাশে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি শুভ ফল পাওয়া যায়।

    ঝুলন যাত্রার কেন পালিত হয়? বৈষ্ণব শাস্ত্রের কাহিনী জানুন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, যুগ যুগ ধরেই ঝুলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে আবির্ভূত হয়েছিলেন। বৃন্দাবনে থাকাকালীন তিনি নানা লীলা করেন। কিশোর শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানির প্রেমের অংশই হল ঝুলন যাত্রা উৎসব।

    এই নিয়ে একটি কাহিনীও বৈষ্ণবদের শাস্ত্র অনুযায়ী প্রচলিত রয়েছে। একবার ব্রজের গোপীরা সেজেগুজে কুঞ্জবনে এসেছিলেন, সেখানে তাঁরা রাধা ও কৃষ্ণকে দোলনায় দোল খাওয়াবেন বলে সমবেত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সেদিন রাধাকে নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। বৈষ্ণব শাস্ত্র অনুযায়ী, ঐদিন গোপীরা কোনওভাবেই বুঝতে পারছিলেন না, কোনটা রাধা আর কোনটা কৃষ্ণ! দুজনকেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলেন আবার কখনও দুজনকেই রাধা হিসেবে দেখছিলেন। এভাবেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে রাধা মনে করে তাঁকেই দোলনার কাছে নিয়ে যান। রাধা ভেবে গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন যে, তাঁর চেহারা এমন পুরুষের মতো কীভাবে হল? কথিত আছে, সেসময় শ্রীকৃষ্ণ রাধার কণ্ঠে জবাব দিয়েছিলেন যে, তাঁর ওপর মন্ত্রপূত জল ফেলে শ্রীকৃষ্ণ এরকম পুরুষালী চেহারা করে দিয়েছেন, তিনি আসলে রাধা। বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে, এরপরেই গোপীদের একে একে আড়ালে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁদের বোঝাতে থাকেন, তিনি রাধা নন। আবার যোগমায়া বলে গোপীদের সেসব কথা তিনি ভুলিয়েও দেন। এরপরে জানা যায়, রাধা গোপীদের শ্রীকৃষ্ণের (Jhulan Yatra 2024) ছলনা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। গোপীদের ভুল ভেঙেছিল এর ফলে। তারপর একে একে সমস্ত সখীরা, রাধাকৃষ্ণকে দোলনায় বসিয়ে দোল খাইয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু ঝুলনযাত্রা। সাধারণভাবে ঝুলনে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে দোল খাওয়ানোর রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • J&K Assembly Election: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন দোড়গোড়ায়, ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

    J&K Assembly Election: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন দোড়গোড়ায়, ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন আসন্ন। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার। সম্প্রতি একটি (Election Commission) বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের বিধানসভা নির্বাচনের (J&K Assembly Election) মাধ্যমে তাঁদের নিজস্ব সরকার করার সময় এসেছে। সময় এসেছে বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আপনার নিজের সরকার তৈরি করার।”

    নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ভূস্বর্গ (J&K Assembly Election)

    বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অপর দুই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) জ্ঞানেশ কুমার এবং এস এস সন্ধু ছিলেন। রাজীব কুমার এদিন বলেন, “এখন, সময় এসেছে যে স্বপ্নগুলি আপনারা আমাদের দেখিয়েছিলেন তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।” রাজীব এখানে লোকসভা নির্বাচনের উদাহরণ প্রস্তুত করেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় উপত্যকার ভোটকেন্দ্রগুলির সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। যদিও নির্বাচন্ন আসন্ন জানালেও তাঁর দিনক্ষণ জানা যায়নি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য-স্তরের (J&K Assembly Election) প্রাথমিক পর্যালোচনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অমরনাথ যাত্রা শেষ হবে ১৯ অগাস্ট। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বাহিনীর প্রাপ্যতার মূল্যায়ন হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই নির্বাচন (Election Commission)

    কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ৩০ সেপ্টেম্বরের (J&K Assembly Election) সময়সীমা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান, “আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটি মাথায় রাখব।” অগাস্টে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, সারা দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের উৎসাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভোটারদের সুবিধার্থে প্রতি দুই কিলোমিটারে একটি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission), প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি কভারেজ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ”ওয়াকফ বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা”, অভিযোগ অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডেরই

    জম্মু অঞ্চলে জঙ্গি হামলায় সাম্প্রতিক বৃদ্ধির বিষয়ে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ২০৫টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা, ইউনূসকে খোলা চিঠি ঐক্য পরিষদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ২০৫টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা, ইউনূসকে খোলা চিঠি ঐক্য পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা পদত্যাগের পর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর। এবার সেই দেশের সংখ্যালঘুররা জোটবদ্ধ হয়ে সরব হয়েছেন। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিদায়ের পর বাংলাদেশের ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার ২০৫টি ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলা চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে চিঠি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

    চিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (Bangladesh Crisis)

    খোলা চিঠিটি ইউনূসকে একটি নতুন যুগের প্রধান হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঐক্য পরিষদ। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, অনেক হিন্দু মন্দিরে (Bangladesh Crisis) আগুন দেওয়া হয়েছে এবং হাজার হাজার পরিবার বাড়়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। একাধিক স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং বহু নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই সময়ে অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও দুর্ভোগ সহ্য করেছে। ৫ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা চরম আতঙ্ক, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তয় রয়েছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহল নিন্দা জানিয়েছে। এই পরিস্থিতির অবিলম্বে অবসান দাবি করা হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের শপথ অনুষ্ঠান থেকে কোরান ছাড়া অন্য ধর্মগ্রন্থ বাদ দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    ৫২টি জেলায় হিন্দু নিপীড়নে ২০৫টি ঘটনা

    ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে এখন পর্যন্ত ৫২টি জেলায় (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু নিপীড়নের অন্তত ২০৫টি ঘটনা ঘটেছে। আমরা সুরক্ষা চাই। কারণ, আমাদের জীবন একটি বিপর্যয়পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা রাত জেগে আমাদের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দিচ্ছি। এমন ঘটনা আমার জীবনে দেখিনি। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ বাদ দেওয়া আমাদের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বৈষম্যবিরোধী। আমরা আশা করি যে, সমস্ত প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাধ্য না হলে কেউ তাদের বাড়ি, মন্দির বা তুলসী গাছ ছেড়ে যায় না। অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। আমিও এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।”  

    নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তির দাবি

    কাউন্সিলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যারা সংখ্যালঘুদের (Bangladesh Crisis) নিপীড়নে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কোনও সংখ্যালঘু ব্যক্তির ওপর হামলা হলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য সুব্রত চৌধুরী বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়ন বন্ধ করার বিষয়ে অনেক কথা শুনেছি। কিন্তু, আমরা কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখিনি। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।” প্রেসিডিয়াম সদস্য রঞ্জন কর্মকার এবং বাসুদেব ধর উপস্থিত ছিলেন পরিষদের বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    RG Kar Medical College: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College) ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে যে ১১ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই ১১ জনের কমিটিতে কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারও রয়েছেন। যাঁরা রেজিস্টার্ড ডাক্তারই নন, তাঁরা কী করে এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তদন্তভার পেতে পারে, প্রশ্ন তুলে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে শুক্রবার রাতে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। 

    তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন 

    বিরধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠনের নামে আদতে অভিযুক্তদের আড়াল করা হতে পারে। এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতার পোস্ট, রাজ্য সরকার ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এই কমিটিতে কয়েকজন ইন্টার্ন রয়েছেন। আমার ধারণা, রাজ্য সরকার নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে অথবা তারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সরকারি হাসপাতালে (RG Kar Medical College) কীভাবে এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। লেখেন, ‘‘ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধ লুকাতে চেষ্টা করছে বলেও সরাসরি তোপ দাগেন তিনি। এর খানিকক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। 

    সিবিআই তদন্তের দাবি (CBI Investigation)

    আরজি করে (RG Kar Medical College) ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংশ্লিষ্ট ঘটনাটির প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘এমন ঘটনা কখনও এই রাজ্যে হয়নি। আমরা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আছি। শীঘ্রই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দরকার।’’ আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্য নাম কা ওয়াস্তে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই সিবিআই তদন্ত হওয়া জরুরি। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এ ব্যাপারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে না দেয় তাহলে পরিবারকে শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ, ‘‘আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন।‌ আমরা পাশে থাকব।’’

    কী ঘটেছিল (RG Kar student death)

    শুক্রবার, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College) মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ মাটিতে পড়ে ছিল সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান ওই তরুণী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়ার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতের চিকিৎসক বন্ধুদের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিএম আবাস যোজনায় তিন কোটি অতিরিক্ত বাড়ির অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    কেন সিবিআই (RG Kar student death)

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শারীরিক নির্যাতন করে তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণের সম্ভাবনার বিষয়টিও সামনে আসছে। সে কারণেই সিবিআই তদন্তের দাবি।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল, কাউন্সিলর সজল ঘোষ, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College) এইভাবে শিক্ষার্থী পড়ুয়া ডাক্তারকে, শারীরিক অত্যাচার করে খুন করা, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বড় প্রমাণ, আমি গোটা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে বলছি, মাঠে নামুন। প্রয়োজনে পতাকা ছাড়া নামুন। পুরো রাজ্যের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share