Blog

  • Nag Panchami 2024: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    Nag Panchami 2024: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় নাগ পঞ্চমী। এ বছর আজ, ৯ অগাস্ট শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী (Nag Panchami 2024)। সনাতন ধর্মে, নাগ দেবতাকে ভগবান ভোলানাথের অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে তাই নাগ দেবতার পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে নাগ পঞ্চমীতে নাগ দেবতার পুজো করলে ভগবান শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তি জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।

    তিথি ও পুজোর সময় (Nag Panchami 2024)

    ৯ অগাস্ট সকালেই শুরু হয়ে গিয়েছে তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে, পুজোর শুভ সময় সকাল ৫টা ৪৭ মিনিট থেকে ০৮টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে। দুপুরে পুজোর শুভ সময় হবে দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা বেলায় পুজোর সময় ০৬টা ৩৩ মিনিট থেকে রাত ০৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।

    নাগ পঞ্চমীর (Nag Panchami 2024) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হল নাগ পঞ্চমী। প্রসঙ্গত শুধুমাত্র ভারতেই নয়, পার্শ্ববর্তী নেপালেও পালন হয় এই উৎসব। নাগপঞ্চমী ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনীও। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ একবার যমুনা নদীর ধারে খেলছিলেন। এমন সময়ে শ্রীকৃষ্ণ নদীতে পড়ে যান এবং কলিঙ্গ নামের একটি সাপ তাঁকে জাপটে ধরে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য কঠিন লড়াই শুরু করেন ভগবান। কলিঙ্গ সাপ বুঝে যায় যে শ্রীকৃষ্ণ কোনও সাধারন শিশু নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মারে কলিঙ্গ সাপের তখন বেসামাল অবস্থা। কলিঙ্গ সাপ এরপর শ্রীকৃষ্ণকে অনুরোধ করেন, তাঁকে হত্যা না করার জন্য। শ্রীকৃষ্ণ আশ্বাস দেন এবং কলিঙ্গ সাপকে ছেড়ে দেন। এর পাশাপাশি ওই সাপকে তিনি বলেও দেন যে সাধারণ মানুষের কোনও রকম ক্ষতি না করার জন্য। সাধারণভাবে নাগ পঞ্চমী শ্রীকৃষ্ণের বিজয়কেই চিহ্নিত করতে উদযাপিত হয়, বলে বিশ্বাস করেন অনেক ভক্ত।

    বৃষ্টি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয় নাগদেবতার কাছে

    হিন্দু ধর্মে এই দিন গোবর দিয়ে সাপের প্রতিকৃতি বানানোর প্রথা দেখা যায়। নাগ পঞ্চমীর দিন বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে গোবর দিয়ে সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। সনাতন ধর্মে, নাগ দেবতাকে জল এবং খাদ্যের দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গোবর দিয়ে তৈরি সাপ রূপী নাগ দেবতার পুজো করা হয় এবং বৃষ্টি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয় তাঁর কাছে।

    শিব ও পার্বতীকেও এইদিন পুজো করা হয়

    নাগ দেবতা (Nag Panchami 2024) শিবের (Lord Shiva) গলায় অবস্থান করেন। নাগ পঞ্চমীর এই বিশেষ দিনে শিব ও পার্বতীকেও পুজো করা হয় বেশ কিছু জায়গায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এর ফলে পরিবারে সুখের আগমন ঘটে। এর সঙ্গে ইতিবাচক শক্তিও সঞ্চারিত হয় মনে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গোবর দিয়ে তৈরি সাপের প্রতিকৃতি ঘরে মঙ্গল বয়ে আনে। এটি তৈরি করলে ঘরে কখনও সাপের ভয় থাকে না।

    নাগ দেবতাকে সম্পদ ও শস্যের দেবতাও মনে করা হয়

    নাগ দেবতাকে সম্পদ ও শস্যের দেবতাও মনে করা হয়। বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি নাগদেবতার প্রতিকৃতি তৈরি করলে গৃহে সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মূল দরজায় সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করলে ঘরে প্রবেশকারী সমস্ত মানুষের উপর নাগ দেবতার আশীর্বাদ থাকে। এছাড়া মূল ফটকে সাপের প্রতিকৃতি তৈরি করলে ভগবান শিবেরও (Lord Shiva) আশীর্বাদ মেলে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

    পশ্চিমবঙ্গ বাদে অন্যত্রও হয় নাগ পঞ্চমী উৎসব

    শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, মহারাষ্ট্র কেরল সর্বত্র এই উৎসব দেখা যায়। মহারাষ্ট্রে এই দিন থালায় করে সাপ নিয়ে গৃহস্থের দরজায় দরজায় যাওয়ার রীতি রয়েছে। অন্যদিকে, কেরলেও একইভাবে সাপের মূর্তি পুজো করার রীতি দেখা যায়। অনেক জায়গাতে ভারতবর্ষে কাদা ও বালির তৈরি সাপের মূর্তিও পুজো করা হয়। নাগ দেবতাকে দুধ, ধান, দুর্বা অর্পণ করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে, দেবাদিদেব মহাদেবের গলায় জড়িয়ে থাকে নাগ দেবতা, তাই সেই নাগ দেবতাকে খুশি করলে সুফল পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: জীবনের সেরা থ্রো করেও অধরা সোনা, রুপো জয়ের পর নীরজকে শুভেচ্ছা মোদির

    Neeraj Chopra: জীবনের সেরা থ্রো করেও অধরা সোনা, রুপো জয়ের পর নীরজকে শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারলেন না নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। টোকিওয় সোনা জিতলেও প্যারিসে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল নীরজকে। রুপো জিতে প্যারিস (Paris Olympics 2024) থেকে ফিরতে হচ্ছে ভারতীয় তারকাকে। তবে পর পর দুটো অলিম্পিক্সে সোনা ও রুপো জিতলেন ভারতীয় তারকা। তিনিই একমাত্র ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিক্সে একটি সোনা ও একটি রুপো জিতলেন। নীরজের সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘‘নীরজ চোপড়া এক শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি! বারবার তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। ভারত উচ্ছ্বসিত যে তিনি আরও একটি অলিম্পিক্সে সফল হলেন। রুপো পাওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন। তিনি অগণিত আসন্ন ক্রীড়াবিদদের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে সাহায্য করবেন। নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবেন। আমাদের দেশকে গর্বিত করবেন।’’

    পাঁচটা থ্রো-ই ফাউল

    এদিনটা নীরজের (Neeraj Chopra) ছিলই না, এমনই মনে করছেন অনেকে। প্যারিসে (Paris Olympics 2024) ফাইনালের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় তারকার। প্রথম থ্রো করতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। দাগে পা লেগে যাওয়ায় প্রথম থ্রো বাতিল হয়। ফলে চাপ আরও বাড়ে। বাকি দু’টি থ্রোয়ের মধ্যে ভাল করতে হত তাঁকে। পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম নিজের দ্বিতীয় থ্রোয়ে ছোড়েন ৯২.৯৭ মিটার। নতুন অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়েন তিনি। ফলে চাপ আরও বেড়ে যায় নীরজের উপর। সোনা জিততে হলে নিজের সেরা থ্রো করতে হত তাঁকে। দ্বিতীয় থ্রো ভাল করেন নীরজ। ৮৯.৪৫ মিটার ছোড়েন তিনি। চলতি মরসুমের সেরা থ্রোয়ের পরেও নীরজের থেকে সোনা তখনও দূরে ছিল। নীরজের তৃতীয় থ্রো-ও বাতিল হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডেও শুরুটা ভাল হয়নি তাঁর। চতুর্থ থ্রো-ও বাতিল হয় নীরজের। পরের থ্রোয়েও একই ছবি। মেজাজ হারাতে দেখা যায় ভারতীয় খেলোয়াড়কে। শেষ থ্রো-ও ভাল হয়নি। আরশাদ শেষ থ্রো-ও করেন ৯০ মিটারের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন নীরজ।

    চোট রয়েছে নীরজের

    টোকিও-য় সোনা জয়ের পর নীরজকে (Neeraj Chopra) নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল ভারতবাসী। প্যারিসের কথা ভেবে নীরজে জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করেছে ভারত সরকার। কোনও ফাঁক রাখা হয়নি।  তবু এক একটা দিন এক একজনের হয়। এদিনটা ছিল পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমের। নীরজ হেরে গেলেন তাঁর কাছে। নীরজের বাবা সতীশ কুমার জানান, ‘ওর কুঁচকিতে চোট রয়েছে। আমার মনে হয় সেটার জন্যই অস্বস্তিতে ছিল নীরজ।’

    নাদিমের সোনা

    ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা গেমসের ৩২ বছর পর আবার অলিম্পিক্সে পদক পেল পাকিস্তান। সে বার হকির ব্রোঞ্জের পর এ বার পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতলেন আরশাদ নাদিম। ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়ে নতুন অলিম্পিক্স রেকর্ডও গড়লেন। পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত সোনা জিতলেন। পাকিস্তানের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন ইতিহাস লিখলেন নাদিম।

    নীরজের সাফল্যে মিষ্টিমুখ

    সোনা না পেলেও রুপো জমিতেছেন নীরজ (Neeraj Chopra)। তাঁর  মা সরোজ দেবী ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। গত অলিম্পিকের পর থেকে যে ভাবে চোট আঘাতে পড়েছেন নীরজ, তারপরও রুপো। সরোজ দেবী বলছেন, ‘আমরা সকলেই খুব খুশি। আমাদের কাছে এই রুপোর পদকও সোনার সমান। ওর চোট ছিল। যে ভাবে পরিশ্রম করেছে, আগামীতে ও আবারও সোনা জিতবে। আমরা ওর পারফরম্যান্সে খুবই খুশি।’

    টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে বাড়ি ফেরার পর বিশেষ আয়োজন ছিল নীরজের জন্য। এবারও (Paris Olympics 2024) নীরজের পছন্দের খাবার হবে, ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় মা সরোজ দেবী। নীরজের সাফল্যে রাতেই মিষ্টিমুখ শুরু হয় তাঁর পাড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার আহ্বানও জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমাজ মাধ্যমের পাতায় মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লিখেছেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ তারপরেই তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

    ৮৪ বছর বয়সি ইউনূস ২০০৬ সালেই পেয়েছিলেন নোবেল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট বার্তায় আরও জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের জনগণের যৌথ আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর বয়সি মহম্মদ ইউনূস হলেন একজন অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ২০০৬ সালে তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভাবনার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, নানান জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মানও পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, মোদিকে (PM Modi) চিঠি ছাত্রীর

    প্রসঙ্গত, অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে এক কিশোরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লেখেন। বৃহস্পতিবারই সামনে আসে ওই চিঠি। হিন্দুদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘‘এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 August 2024: প্রতিবেশীর অশান্তির দায় কাঁধে চাপতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 August 2024: প্রতিবেশীর অশান্তির দায় কাঁধে চাপতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ২) কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ দেখাবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে অন্যদের সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে খরচ বার বার হবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবে না।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তহীনতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানির সম্ভাবনা। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে। 

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির একটি স্বাধীন সংস্থা হল ‘দ্য সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিস’ (CIHS)। সম্প্রতি, এই সংস্থা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে বাংলাদেশি হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu)  ওপর। ওই রিপোর্টে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘হিন্দু জেনোসাইড আনফোল্ডিং ইন বাংলাদেশ’,  এবং এখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বেছে বেছে টার্গেট বানানো হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের। এর ফলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সর্বদাই লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, এমন কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। এর পাশাপাশি, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত ওই সংস্থা, ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিজ’- এই রিপোর্ট তৈরি করেছে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। বিগত ৭৬ বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশই কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। হিন্দু জনগোষ্ঠীর (Bangladeshi Hindu) এমন সংখ্যা ক্রমশই কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সাম্প্রদায়িক হিংসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের পাশাপাশি বৈষম্যকেও দায়ী করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুর জনসংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ কিন্তু ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশে।

    মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে (Bangladeshi Hindu) 

    ওই রিপোর্টে উল্লেখযোগ্যভাবে দাবি করা হয়েছে, বিগত ৭৬ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কোনও স্বাভাবিক কারণে কমেনি। উপরন্ত তা কমানো হয়েছে অত্যাচারের মাধ্যমে, ধর্মান্তকরণের (Bangladeshi Hindu) মাধ্যমে। ওই সংস্থার রিপোর্টে আরও দাবি জানানো হয়েছে যে, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান এবং মূর্তিগুলির উপরে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটেছে লুট এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও। হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বাংলাদেশ থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই এমন তাণ্ডব সেখানে মৌলবাদীরা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রিপোর্টে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের নতুন কালী মন্দির অথবা চট্টগ্রামের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের কথা। এই মন্দিরগুলিতে লুট হয়, মূর্তি ভাঙা হয় এবং সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাতে গৌড়-নিতাই মন্দিরে হামলা চালায় একদল মৌলবাদী। সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠীগুলির বাড়িতেও লুট চালানো হয়।

    ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৫৭ টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে

    সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ছিল আসলে মুখোশ, যার মুখ বেরিয়ে এল গত সোমবারই। ক্ষমতার রাশ সম্পূর্ণভাবে চলে এসেছে জামাত-ই-ইসলাম এবং বিএনপি’র মতো সংগঠনগুলির হাতে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে হেফাজতি ইসলামের মতো সংগঠনগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার যে সংজ্ঞা রয়েছে তার প্রতিটি শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) মৌলবাদীরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমারকে কুপিয়ে হত্যা করে জেহাদিরা। অন্যদিকে হিন্দু রাজনৈতিক নেতা হারাধন রায় ও তাঁর ভাইপোকে যেভাবে হত্যা করা হয় তাতে বোঝাই যায় যে সম্পূর্ণভাবে এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক। ওই সংস্থার (CIHS) রিপোর্টে ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ৫৭টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

    জুন মাসের ঘটনাগুলি

    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ১৪ বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) লক্ষীপুরের একটি ঘটনা ঘটে, যখন ১৪ বছরের একজন হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় জেহাদিরা, স্থানীয় গালইয়ারচর গ্রাম থেকে। ঠিক তার পরের দিন ঢাকাতেই একটি হিন্দু পরিবার, যারা লালবাগ অঞ্চলে বসবাস করত তাদের ওপরে ভয়ঙ্কর হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাদের বাড়িতে লুট চালানো হয়। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে একাধিক ঘটনা ঘটে যখন হিন্দুর মন্দিরগুলিতে উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনা ঘটে গত জুনের ২৫ তারিখ।

    জুলাই ও অগাস্টের হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা

    জুলাই মাসেও একই ধরনের তাণ্ডবলীলা চালাতে থাকে মৌলবাদীরা। ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ইসলামিক মৌলবাদীরা হিন্দুদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, হিন্দুদের বাড়িগুলিতেও হামলা চালানো হয়। ১৪ জুলাই ঢাকাতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই বরিশালে হিন্দুদের ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে হামলা চালানো হয়। চলতি অগাস্ট মাসের ৪ তারিখ হিন্দু কাউন্সিলর কাজল রায়কে হত্যা করা হয়। ইস্কন ও কালী মন্দির ভাঙচুর করা হয় নোয়াখালিতে। একই দিনে উগ্র মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালাতে থাকে এবং সেখানকার রায়গঞ্জের হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিককে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে হিন্দু দোকানগুলিকে লুট করা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও সংগঠনগুলি অভিযোগ, ২৯টি জেলাতেই হিন্দুদের উপরে আক্রমণ চলে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে দাবি

    ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সিআইএইচএস আবেদন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এমন দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের কাছে। ভারত সরকারের কাছে একইভাবে ওই সংস্থা দাবি জানিয়েছে যে, কূটনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে যেন রক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: কোটা-বিরোধী আন্দোলনে সামিল, তার পরেও আক্রান্ত! বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দু পড়ুয়ারা

    Bangladesh Crisis: কোটা-বিরোধী আন্দোলনে সামিল, তার পরেও আক্রান্ত! বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দু পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার রাজপথে কোটা-আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু ছাত্রছাত্রীরাও। চাকরির আশায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরাও। কিন্তু আন্দোলনকারীদের কথামতো দেশ দ্বিতীয়বার ‘স্বাধীন’ হতেই ঘুম ভাঙল এই পড়ুয়াদের। স্বপ্ন ভেঙে কঠিন বাস্তবে আছড়ে পড়লেন বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর, সে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। ছাত্র আন্দোলন দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, তা এখন লুটতরাজ, হিন্দু সংখ্যালঘুদের হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-মন্দির ভাঙচুরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

    রাতে ঘুম নেই

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন ছাত্র সাম্প্রতিক কালে হিংসার শিকার নিলয় কুমার বিশ্বাস (২৬), রাতে ঘুমাতে পারছেন না। পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। তিনি জানান, ঢাকায় নিজেকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে হলেও, রাজধানীর বাইরে থাকা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের কাছ থেকে আসা উদ্বেগজনক খবর তাঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নিলয়ের কথায়, আন্দোলনের শুরুতে হিন্দু শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছিল। তাঁরাও মুসলিম সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। তখন হিন্দু-মুসলিম ভেদ বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন তাঁরাই উগ্রবাদীদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বাড়ি ও মন্দিরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে, আমরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছি। ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে আজ হিন্দু সম্প্রদায় খুবই অসহায় বোধ করছে।”

    কীসের জন্য আন্দোলন 

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমন কি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এটা কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল না, বলেই মনে করছে বাংলাদেশে ছাত্রদের একাংশ। কুটনৈতিক মহলের মতে, সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলে, যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তার প্রথম শর্তই হওয়া উচিত, সংখ্যালঘুদের প্রাণ, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা, তা করতে ব্যর্থ আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিল। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। আন্দোলনের চাপে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার এই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। কিন্তু চলতি বছরের জুনে হাইকোর্টের রায়ে আবারও পূর্বের কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।

    এগিয়ে আসুক মুসলিম বন্ধুরা

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিন্দু শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শুরু হওয়া অস্থিরতায় তারা এখন নিজেদেরই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাসের মতে, হিন্দুদের বাড়ি, মন্দির ধ্বংস ও নারীদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের রক্ষা করার জন্য আমাদের মুসলিম বন্ধুদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে ক্ষতি ভারতেরই, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন’ কর্তার

    শান্তির আবেদন

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল পদ্মাপারের দেশ (Bangladesh Crisis)। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। তবে অশান্তি এখনও জিইয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আরিয়া ভৌমিক, যিনি শুরুতে শেখ হাসিনার পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, এখন হামলার শিকার হয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে নয়, মানবতার ভিত্তিতে আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা, হিন্দুরা, আক্রান্ত হচ্ছি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীরা (Anti Hindu violence) এখন অসহায়ভাবে নিজেদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা করছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু শান্তি…তা হয়তো অলীক স্বপ্ন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    হরিহর ঘোষাল

    ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বলা বাহুল্য, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির (Victoria Memorial) প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি সে কথা বলেনও। শুরু হয় প্রস্তুতি।

    তাজমহলের আদলে ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial)

    স্মৃতিসৌধ বানাতে কলকাতায় (Kolkata) জমি খোঁজা শুরু হয়। যে জমিতে আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) অবস্থান করছে, অতীতে সেটি ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদেরই এই জেলে রাখা হত। তবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাবের পর প্রেসিডেন্সি জেল সেই জমি থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ভিক্টোরিয়াকে হঠাৎ দেখলে তাজমহল বলে ভুল হয়। আসলে তাজমহলের অনুসরণেই এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়েছিল। বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। তাঁকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগ তাঁর পছন্দ ছিল না। তাই ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল শিল্পকলা যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন এমারসন। এছাড়াও ভিক্টোরিয়াতে মিশরীয়, ইসলামিক, ভেনেটিয়ান এবং ডেকানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

    স্মৃতিসৌধ করতে লেগেছিল ১১ বছর

    ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯০১ সালে, যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান। ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল, তাক লাগানো সেই স্মৃতিসৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। রানির স্মৃতিসৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন, ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেষ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

    ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ২০ বছর। রানি ভিক্টোরিয়া প্রয়াত হন ১৯০১ সালে। তাঁর স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯০৬ সালে। অফিশিয়ালি নির্মাণকাজ শুরু হয় তার প্রায় চার বছর পর অর্থাৎ ১৯১০ সালে। নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ১১ বছর। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণ শেষ হয় ১৯২১ সালে। এর নকশা করেছিলেন স্যার উইলিয়ম এমার্সন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। সৌধ নির্মাণের বরাত দেওয়া হযেছিল কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোং-কে। এই সংস্থার যুগ্ম মালিক ছিলেন স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখোপাধ্যায়। সৌধ নির্মাণের পর রাজেন মুখোপাধ্যায়কে নাইট উপাধি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

    কত খরচ?

    ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) স্মৃতি সৌধ তৈরির জন্য পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে। বিশালাকার স্মৃতসৌধটির উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিশালাকার গম্বুজ এবং চার ধারে রয়েছে চারটি ছোট গম্বুজ। দেশের টাকায় রানির স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন ব্রিটিশ ভাইসরয়। অথচ সেটি তৈরির খরচ প্রধানত বহন করতে হয়েছিল দেশের মানুষকে। তুলনায় ব্রিটিশদের খরচ ছিল অনেক কম। স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য লর্ড কার্জন ভারতীয় রাজা, জমিদার, ধনী-অভিজাত ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থদানের আবেদন জানান। আদতে তা ছিল ভাইসরয়ের আদেশ। সেই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। সেই সময় স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে খরচ পড়েছিল প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালো রং

    শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) একবার সম্পূর্ণ কালো রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকী জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সে সব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতিৎ ত্বয্যুপপদ্যতে

      ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।

    গীতা—২/৩/

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তির তমঃ যার হয়, তার বিশ্বাস জ্বলন্ত। ঈশ্বরের কাছে সে রূপ ভক্ত জোর করে। যেন ডাকাতি করে ধন কেড়ে লওয়া। মারো কাটো বাঁধো! এইরূপ ডাকাত-পড়া ভাব।

    ঠাকুর ঊর্ধব দৃষ্টি, তাঁহার প্রেমরসাভিসিক্ত কণ্ঠে গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায়।

    কালী কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায়।।

    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়।

    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফেরে, কভু সন্ধি নাহি পায়।।

    দয়া ব্রত দান আদি, আর কিছু না মনে লয়।

    মদনের যাগযজ্ঞ, ব্রহ্মময়ীর রাঙা পায়।।

    কালীনামের এত গুণ, কেবা জানতে পারে তায়।

    দেবাদিদেব মহাদেব, যাঁর পঞ্চমুখে গুণ গায়।।

    ঠাকুর ভাবোন্মত্ত, যেন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া গাহিতেছেনঃ

    নামমাহাত্ম্য ও পাপ—তিন প্রকার আচার্য

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে, জানা (Kathamrita) যাবে গো শঙ্করী।

    কি! আমি তাঁর না করেছি—আমার আবার পাপ! আমি তাঁর ছেলে। তাঁর ঐশ্বর্যের অধিকারী! এমন রোখ হওয়া চাই!

    তমোগুণকে মোড় ফিরিয়ে দিলে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna) হয়। তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক। আবার দেখ, এই তমোগুণকে পরের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যায়। বৈদ্য তিনপ্রকার। উত্তম বৈদ্য, মধ্যম বৈদ্য, অধম বৈদ্য। যে বৈদ্য এসে নাড়ী টিপে ঔষধ খেও হে এই কথা বলে চলে যায়, সে-অধম বৈদ্য—রোগী খেলে কিনা এ-খবর সে লয় না। যে বৈদ্য রোগীকে ঔষধ খেতে অনেক করে বুঝায়—যে মিষ্ট কথাতে বলে, ওহে ঔষধ না খেলে কেমন করে ভাল হবে। লক্ষ্মীটি খাও, আমি নিজে ঔষধ মেড়ে দিচ্ছি খাও—সে মধ্যম বৈদ্য। আর যে বৈদ্য, রোগী কোনও মতে খেলে না দেখে বুকে হাঁটু দিয়ে, জোর করে ঔষুধ খাইয়ে দেয়—সে উত্তম বৈদ্য। এই বৈদ্যের তমোগুণ, এ-গুণে রোগীর মঙ্গল হয়, অপকার হয় না।

     

    আরও পড়ুনঃ “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে পথে নামলেন (Protest Rally) কলকাতার সাধারণ মানুষ। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে পা মেলালেন। ছিল না কোনও দলের পতাকা। শুধুমাত্র ওপারের হিন্দুদের অধিকারের তাগিদে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

    ওপারের কান্নায় এপারের চোখ ভিজল (Protest Rally)

    অন্যদিকে, অপর একটি মিছিল (Protest Rally) শিয়ালদা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পৌঁছয়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে এই মিছিলের পা মিলান হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। প্রতিবাদীরা মানববন্ধন তৈরি করেন। ওপার বাংলায় প্রাণ হারানো হিন্দুদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালান। মুসলিম মৌলবাদীদের হাত থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিও তোলেন তাঁরা। এদিনের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহিত রায়, লেখক সন্দীপ বাগচী সহ অনেক বিশিষ্ট বর্গ।

    বামপন্থী ও সেলিব্রিটিরা চুপ কেন (Bangladesh Crisis)

    বর্তমানে যে সময় এই আন্দোলন চলছে, তখন বাংলাদেশে সেনা নিজেদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে নিয়েছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। তাঁরাও কতদূর কী করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গাজা থেকে প্যালেস্টাইন, ইসলামিক দুনিয়ায় কোনও অত্যাচারের অভিযোগ হলে, যারা প্রতিবাদে মুখরিত হন, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা টলিউডের তরফে এখনও বাংলাদেশের হিন্দুদের অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিষয়ে কোনও (Protest Rally) প্রতিক্রিয়া নেই। সেলিব্রেটি এবং বামপন্থীদের ‘সিলেক্টিভ’ প্রতিবাদ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে যাঁরা সমর্থন জানিয়েছিলেন, সেই সমস্ত বামপন্থী এবং অভিনয় জগতের সেলিব্রেটিরাও বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেখার দৃশ্য দেখেও যেন দেখতে পারছেন না। যাঁরা #alleyesonrafah লিখে ফেসবুক ভরিয়ে দিচ্ছিলেন, তাঁদের #alleyesonbangladesh লেখার সময় কি পাচ্ছেন না?

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি অভিবাসীদের জন্য বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আর্থিক প্যাকেজ, এমনকী কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) লোকসভায় এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Nityanand Rai)

    তিনি (Nityanand Rai) বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্যাকেজ, ২০১৫ এবং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্গঠন পরিকল্পনা, ২০০৮-এর অধীনে ৬ হাজার চাকরি অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭২৪টি পদ পূরণ করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসী প্রতি মাসে ৩২৫০ টাকা করে পান। এছাড়া তাঁদের পরিবারকে প্রতি মাসে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসীকে প্রতি মাসে ৯ কেজি চাল আর ২ কেজি আটা দেওয়া হয়। আর দেওয়া হয় প্রতি মাসে ১ কেজি চিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে তাঁদের জন্য ৬ হাজার ট্রানজিট আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    নিরাপত্তা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসী (Kashmiri Migrant) শিবিরগুলিতে চারটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ পাঁচটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক। স্ট্যাটিক গার্ডের সঙ্গে গ্রুপ সিকিউরিটি, কৌশলগত অবস্থানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য চেকপয়েন্ট রাখা হয়েছে। রাতে টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে যথাযথ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ২০২১ সালের অগাস্টে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে, যেখানে কাশ্মীরি অভিবাসীদের জমি দখল, নাম পরিবর্তন, সম্পত্তি পরিবর্তন, বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানানো যাবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, আয়ুষ্মান গোল্ডেন হেলথ কার্ড, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ক্যাম্পে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইন পোর্টাল www.jkmigrantrelief.nic.in এর মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share