Blog

  • RBI:  এক টানা ৯ বার! রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, কতটা সুরাহা হল?

    RBI: এক টানা ৯ বার! রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, কতটা সুরাহা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ন’বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তথা আরবিআই (RBI)। ঋণের চাপ থেকে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের রেহাই দিতেই এই পদক্ষেপ। আগের মতো রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই থাকছে। বাজেট পর্ব মেটার পর এই প্রথম রেপো রেট (Repo Rate) ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।  

    রেপো রেট কী

    যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI), তাই হল রেপো রেট। কোনও বদল হয়নি রিভার্স রেপো রেটেও (Repo Rate)। যে হারের সুদে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাই হল রিভার্স রেপো রেট। বৃহস্পতিবার ‘মনিটারি পলিসি কমিটি’র দ্বিমাসিক বৈঠকের শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। 

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    কেন এই পদক্ষেপ

    শক্তিকান্ত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে যে ধারাবাহিক পদক্ষেপ করছে, এই সিদ্ধান্ত সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৃদ্ধির হার এখন স্থিতিশীল হলেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর।

    তাঁর দাবি, এখনও দেশে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫ শতাংশ। আগামী দুই ত্রৈমাসিকে সেটা সামান্য বাড়লেও পরবর্তী ত্রৈমাসিকগুলিতে সেটা কমার কথা। এদিকে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি কমিটি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে এখন বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ২ অগাস্ট ৬৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সর্বকালীন নজির গড়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় যাচ্ছেন মোদি, খতিয়ে দেখবেন হাল হকিকত

    PM Modi: শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় যাচ্ছেন মোদি, খতিয়ে দেখবেন হাল হকিকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলে সূত্রের খবর। এ পর্যন্ত কেরলের পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলে ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি থেকে কান্নুর বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। সেখান থেকে (PM Modi) হেলিকপ্টারে ওয়েনাড় পরিদর্শন করবেন বলে জানা যাচ্ছে।  

    রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী (Wayanad Landslide)

    ভূমিধসের পর, নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে অনুসন্ধান দশম দিনে পৌঁছল। বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান অভিযানগুলি সানরাইজ ভ্যালিতে কেন্দ্রীভূত করা হয়। জীবিত কিংবা মৃতদের খোঁজার কাজ ত্বরাণ্বিত করতে অনুসন্ধানকারী পুলিশ কুকুরের দলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সামগ্রিক এলাকা ছয় ভাগে বিভক্ত করে চুরামালা, মুন্ডাকাই ও সামালিমাত্তম এলাকায় নিয়মিত অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সফরের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা মূল্যায়ন করবেন এবং বেলি ব্রিজ হয়ে চুরামালা সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে ঠিক করা হয়েছে। তিনি অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন করার পর, (Wayanad Landslide) চলমান ত্রাণ ব্যবস্থা নিয়ে বিশদে আলোচনা করবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। যদিও আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    কেন্দ্রের ভূমিকার প্রশংসা (PM Modi)

    ৩০ জুন প্রথম দিকে এই ভূমিধসের সূত্রপাত। এরপর ধসের ভয়াবহ প্রভাব হয় (Wayanad Landslide) বিভিন্ন এলাকায়। ইতিমধ্যে ১৬টি শিবিরে প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু মানুষ। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ওয়েনাড় ভূমিধসকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (PM Modi) কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেছেন। ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিও রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    Bangladesh Crisis: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এই কথাগুলিই লিখেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) এক হিন্দু ছাত্রী। পক্ষকালেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে বাংলাদেশে। আগুনে পোড়ানো হচ্ছে (PM Modi) হিন্দুদের ঘরবাড়ি। লুটপাটের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে ভাঙচুরও। মহিলাদের ওপর নিদারুণ নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    অরাজক পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)

    অরাজক এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন বাংলাদেশের ওই হিন্দু কিশোরী। ওই কিশোরীর হৃদয় বিদারক চিঠিটি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সৌর্য চক্র পদক প্রাপ্ত মেজর পবন কুমার। এই পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী বাংলাদেশের একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছে সে। বাংলাদেশে দেশে হিন্দুরা কীভাবে ভয়ঙ্কর সব ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন, চিঠিটির ছত্রে ছত্রে তা তুলে ধরেছে ওই ছাত্রী।

    কী লিখেছেন ছাত্রী

    চিঠিতে ওই কিশোরী লিখেছে, “এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে ক্ষতি ভারতেরই, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন’ কর্তার

    বিনীত অনুরোধ

    চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “স্যর, আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের জন্য কিছু করুন। এটা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আমরা আমাদের সব অধিকার নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারি। আমি জানি, আপনারা সবাই আমাদের নিয়ে চিন্তিত। আমি বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দুর পক্ষ থেকে আপনাকে অনুরোধ করছি, দয়া করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ স্যর, আপনি আমাদের জন্য যা করছেন, সেজন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। একই সঙ্গে ভারতের সব বাসিন্দাকে তাদের উদ্বেগ ও আমাদের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভগবান আমাদের রক্ষা করুন।”

    উত্তাল বাংলাদেশ

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পরেই বাংলাদেশজুড়ে চলছে অরাজক পরিস্থিতি। হিন্দুদের খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। কোথাও আবার আক্রোশ মেটাতে খুন করে লাথি মেরে থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে মৃতদেহের মুখ। হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি নির্যাতন করা হচ্ছে মহিলাদের।  এককথায়, বাংলাদেশ এখন হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য।

    ভারতের বিপদ

    বাংলাদেশের মোট জনসংখ্য মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু। এই হিন্দুরা বরাবর আওয়ামি লিগের সমর্থক। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার জেরে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে। দুষ্কৃতীরা হিন্দু শূন্য বাংলাদেশ গড়ার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ। বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে আদতে বিপদে পড়বে ভারতই। এমনই মনে করেন ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক দীপন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে।”

    মোদির জনপ্রিয়তা

    বাংলাদেশবাসী হিন্দুদের হয়ে এই কথাটাই তো চিঠির মাধ্যমে লিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠিয়েছে ওই ছাত্রী। তার বিশ্বাস, এ ক্ষেত্রে যদি কিছু করতে পারেন, তা পারবেন মোদিই। যেহেতু বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই মোদি হয়তো কিছু করবেন না। তবে এটা ঠিক, তামাম বিশ্বে ক্রমেই বাড়ছে মোদির গ্রহণযোগ্যতা। ভরসা বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরও।

    এর প্রমাণ আগেও মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন মোদি (PM Modi)। কিছুদিন আগেই তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা পেরিয়েছে ১০০ মিলিয়নের গন্ডি। এক্স হ্যান্ডেলে ফলোয়ারের নিরিখে তাঁর ধারে কাছে নেই বিশ্বের (Bangladesh Crisis) আর কোনও রাষ্ট্রনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: “ভারতে নিরাপদেই রয়েছি, দুশ্চিন্তা পরিবারের জন্য”, বললেন আলিগড়ের বাংলাদেশি পড়ুয়া

    Bangladesh Crisis: “ভারতে নিরাপদেই রয়েছি, দুশ্চিন্তা পরিবারের জন্য”, বললেন আলিগড়ের বাংলাদেশি পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক মাস ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পরও হিংসা থামেনি (Bangladesh Crisis)। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ধারাবাহিক এই অশান্তির মধ্যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) (এএমইউ) বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জানিয়ে দিলেন। তাঁরা ভারতের মধ্যে নিরাপদ বোধ করছেন। বরং অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে স্বদেশে ফিরতেই তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।  

    পরিবারের জন্য উদ্বেগ আলিগড়ের বাংলাদেশি ছাত্রীর (Bangladesh Crisis)

    এএমইউ-র (Aligarh Muslim University) একজন পিএইচডি ছাত্রী পায়েল রায় বলেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আমার বাড়ি গ্রামে। অশান্তি হওয়ার পর দেশে যেতে পারিনি। আর এখন যা পরিস্থিতি, তাতে পরিবারের কাছে থাকলে ভালো হত। কিন্তু, এখন সেখানে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এটা আমার কাছে চরম উদ্বেগের বিষয়। সব সময় সেখানকার খোঁজখবর নিচ্ছি। খবরে চোখ রাখছি। ভারতে নিরাপদেই রয়েছি, দুশ্চিন্তা হচ্ছে পরিবারের জন্য। আমরা প্রার্থনা করছি, আমাদের পরিবারগুলি এই দুঃসময়ে নিরাপদে থাকুক। এই আতঙ্কের পরিস্থিতির মধ্যে আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ভারতীয় বন্ধুদের সমর্থন আমাকে কিছুটা সান্ত্বনা দিয়েছে।” পায়েল এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশি জনগণকে সমর্থন করার জন্য ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যখন কেউ কেউ বর্তমান ভারত সরকারের সমালোচনা করে, বিশেষ করে যখন ভারত সঙ্কটের সময়ে বাংলাদেশি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, তখন তা হতাশাজনক।”

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    “বাংলাদেশের অস্থিরতার পিছনে পাকিস্তান”!

    হিন্দুস্তানি বিরদারির ভাইস চেয়ারপার্সন তথা সমাজকর্মী বিশাল শর্মা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অশান্তির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন। কেন পাকিস্তান এভাবে শান্ত বাংলাদেশকে অশান্ত করেছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধের পুরানো প্রতিশোধ নিচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান নিজেই একটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তবুও মনে হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার পিছনে তারা রয়েছে।” সমাজকর্মী আমির কুরেশিও ভারত সরকারের পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত সত্যিকারের অভয়ারণ্য হওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র শ্রাবণ মাসে গুজরাটে (Gujarat) উৎসবের মরসুমও শুরু হয়েছে। দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করে পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। আচমকা, দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে কয়েকজন মুসলিম যুবক। এতে ওই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় রাজকোটে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভীষণভাবে আতঙ্কিত। হিন্দু পরিবারে এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দোষীদের দ্রুত কঠিন শাস্তির দাবি করেছে হিন্দু সংগঠন।

    অভিযুক্ত মুসলিম যুবকদের পরিচয় (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু পরিবারের দুই সদস্য দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করতে যাচ্ছিলেন। তখন সিকান্দার, আফজাল, সমির ও দারেড নামের ৪ মুসলিম যুবকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর যুবকরা, ওই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হিন্দু পরিবারের সদস্য জগদীশভাই ভাঘেলা ভগবতীপাড়া স্ট্রিটেই থাকেন। সেই সঙ্গে একটি মণ্ডপে পরিষেবা দিয়ে থাকেন৷ পাশেই মিহির ও আশিস নামে তাঁর ২ ছেলে ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। 

    এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করি!

    হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মিহির অভিযোগ করে বলেছেন, “আশাবা পীরের দরগার কাছে বসবাসকারী হিন্দুদের পক্ষ থেকে দশম ব্রতের জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করতে প্রধান সড়কে যাওয়া হচ্ছিল। পথে সিকান্দার, আফজাল, দারেড ও সমির নামে মুসলিম যুবকরা বাধা দেয়। সেই সঙ্গে আমার বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পরের বার যেন এই এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করা হয়। এরপর আমার বাবা অন্য একজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আমরা পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় চারজন মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বাড়িতে। সেই সঙ্গে আমার বাবা-মাকেও মারধর করে। আমার ভাই আশিসের (১৯) পেটে ছুরি দিয়ে পর পর কোপ মারা হয়। বর্তমানে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরপর রাজকোট (Gujarat) বি বিভাগে একটি মামলা দায়ের করেছি।”

    পরিবারের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Gujarat)

    আক্রমণের শিকার এই হিন্দু পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজকোটের (Gujarat) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা ইনচার্জ আশিস শেঠ বলেছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে ভগবতীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা পরিবারের জন্য সবরকম সাহায্য করব। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। ভিএইচপি সহ সমস্ত হিন্দু গোষ্ঠী পরিবারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পরিবারের আহত ছোট ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তরা তাকে নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করেছে এবং চিৎকার করে বলেছে, ‘‘ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

    আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মামলা দায়ের

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপরাধ গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে হালকা ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু আক্রান্ত পরিবার মামলার ধারা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এরপর পরিবার বি ডিভিশন থানায় গিয়ে ফের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর উচ্চপদস্থ আধিকারিক জাদেজা, পরিবারকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর অভিযুক্ত চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে গুজরাট (Gujarat) পুলিশ। অভিযুক্ত চার মুসলিম যুবক সিকান্দার, আফজাল, দারেড (ডালিও নামেও পরিচিত) এবং সমির রউমার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ১১৮(২), ১১৫(২), ৩৫২ এবং ৫৪ এনএস ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার গুজরাট পুলিশ আইন (GPA) এর ১৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফি-বছর বর্ষাকালে রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি বাড়ায় ডেঙ্গি। মশাবাহিত এই রোগে নাজেহাল সকলেই। কয়েক হাজার মানুষ মারাও যান। লাখখানেক মানুষ আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সচেতনতার অভাব এই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে! আসুন, এক নজরে দেখে নিই এই মারণ রোগের খুঁটিনাটি।

    ডেঙ্গি কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের রক্তে সংক্রমিত হয়। মূলত স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Dengue)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। তার সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত হাত ও পায়ের জয়েন্টে যন্ত্রণা বেশি হয়। মাথার যন্ত্রণা হয়। এর পাশপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে গোল দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে, বুঝতে হবে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

    কেন ডেঙ্গি বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমণ (Virus Infection) হলে আক্রান্তের রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ কমতে থাকে। আর তা হলেই রক্ত সঞ্চালন থমকে যায়। তার ফলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতা বাধা পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই ডেঙ্গি বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে ডেঙ্গি? (Dengue)

    প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গি সংক্রমণ যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডেঙ্গি মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দ্রুত পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মৃত্যুহার খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদের তুলনায় বেশি। 
    তবে একবার ডেঙ্গি আক্রান্ত আরেকবার ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গিতে সংক্রামিত হলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মূলত চারটি প্রজাতি রয়েছে। এক প্রজাতির ভাইরাস এক ব্যক্তির দেহে একাধিক বার সংক্রমিত হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয় না। কারণ সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তিকে বারবার এক ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সংক্রমিত করলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তখন আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একাধিক অঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে, তাকে আরও সতর্ক ভাবে থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) মশাবাহিত রোগ। তাই মশার দাপট রুখতে পারলেই ডেঙ্গির মোকাবিলা সহজ‌‌ হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর পাশপাশি বাড়ির আশপাশ ও এলাকা পরিষ্কারের দিকে নজরদারি জরুরি। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, যে কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এলাকার বিভিন্ন পার্ক ও বাগানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। এলাকার কেউ জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা দরকার। তবেই দ্রুত চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে। আক্রান্তকে‌ আলাদা ভাবে রাখতে হবে। এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত (Virus Infection) হলে বাকিদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। অন্যদিকে, এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনল ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

    ঢাকা থেকে দিল্লি এলেন ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মচারীরা 

    বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের একাংশকে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একান্ত জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ”বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভাঙা পড়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, ‘মানা যায় না’, বলছে ভাষা-শহিদের পরিবার

    বন্ধ বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি

    এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। 

    উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। সে দেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন কয়েক গুণে বেড়ে গিয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপি ও জামাত আশ্বাস দিলেও হামলার ঘটনা অব্যাহত। আজ, বৃহস্পতিবার নয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেবে। এরই মধ্যে ওই দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের হিন্দুদের একাংশ। সংখ্যালঘুদের উপর বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসার নিন্দা করলেন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি (Raja Krishnamoorthi)।

    কী বললেন রাজা কৃষ্ণমূর্তি

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি। তাঁর আশা, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে, তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। দেশে শান্তি ফেরাবে। কৃষ্ণমূর্তি (Raja Krishnamoorthi) বলেন, “বাংলাদেশ যখন তার অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন আমি সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা, নতুন প্রশাসন ও পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ করব তাঁরা যেন বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপত্তা দেন। দেশের হিন্দু সংখ্যালঘু, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা এবং তাদের মন্দির সবকিছুকে যেন রক্ষা করতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    হিংসা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) শেখ হাসিনা সরকারের অবসান ঘটেছে। আপাতত সেনার হাতে আইনকানুনের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকলেও, বৃহস্পতিতেই বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়ে যাবে বলে আশা। কিন্তু তার একদিন আগে পর্যন্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার খবর লাগাতার আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরেও হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। বুধবার এক বিবৃতিতে কৃষ্ণমূর্তি (Raja Krishnamoorthi) বলেন, “বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের নেতৃত্বে আমেরিকা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমেরিকা বাংলাদেশে সবরকম হিংসার প্রতিবাদ করছে। সব পক্ষকে হিংসা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Interfaith Marriage: গুজরাটে হিন্দু যুবক খুনে কাঠগড়ায় মুসলমান স্ত্রীর আত্মীয়রা

    Interfaith Marriage: গুজরাটে হিন্দু যুবক খুনে কাঠগড়ায় মুসলমান স্ত্রীর আত্মীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটিতে পড়ে আর্ত চিৎকার করছেন বছর চব্বিশের এক যুবক। কুড়ুল, লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে-পিটিয়ে চলেছে তাঁর স্ত্রীর মুসলিম আত্মীয়রা (Interfaith Marriage)। যারা মারছে, তারা অনবরত বলে চলেছে, “তোকে আজ বেঁচে ফিরতে দেব না।”

    ভিন ধর্মে বিয়ে (Interfaith Marriage)

    ঘটনাটি গুজরাটের (Gujarat) দ্বারকার। দ্বারকার যাজ্ঞিক দুধরেজিয়ার বয়স ২৪। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ভিন ধর্মে। জীবন দিয়ে তারই খেসারত দিতে হল বছর চব্বিশের ওই যুবককে। জেলা পুলিশ সুপার নীতীশ পাণ্ডে বলেন, “যে যুবকটি মারা গিয়েছেন, তিনি সাধু সম্প্রদায়ের। বিয়ে করেছিলেন মুসলিম মহিলাকে। যুবককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা সবাই মুসলমান। ভিন ধর্মে বিয়ে করায় খুন করা হয়েছে ওই যুবককে।”

    নৃশংসভাবে খুন হিন্দু যুবককে

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শেধাখাই গ্রামের যুবক যাজ্ঞিক ভালোবেসেছিল গ্রামেরই এক মুসলিম তরুণীকে। বছর দেড়েক আগে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। তরুণীর পরিবার ভিন ধর্মে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই অন্যত্র বসবাস করছিল ওই দম্পতি। মাস দেড়েক আগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। তার পরেই গ্রামে ফেরেন তাঁরা। শনিবার সন্ধেয় এক বন্ধুকে নিয়ে বেড়াতে বের হন ওই যুবক। তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়রা। তার পরেই শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। বেশ কিছুক্ষণ পরে উদ্ধার করে জামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন (Interfaith Marriage)।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে ক্ষতি ভারতেরই, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন’ কর্তার

    এর পরেই যাজ্ঞিকের মা তাঁর বউমার কয়েকজন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সাব ইন্সপেক্টর কেকে মারু বলেন, “আমরা ছ’জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের মধ্যে রয়েছে মৃতের শ্যালক ও তরুণীর কাকা। একজন নাবালককে আটক করা হয়েছে। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে হাজির করানো হবে।” গ্রামে অশান্তি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও (Gujarat) জানান তিনি। মারু জানান, ওই গ্রামে আর হিংসার খবর মেলেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (Interfaith Marriage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

    কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যকে (West Bengal) বঞ্চনা করছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে একেবারে উল্টো কথা। দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ মোদি সরকারের তথ্য সিলমোহর দিচ্ছে মমতার মিথ্যাচার ও কেন্দ্রের উন্নয়নকেই, এমনটাই বলছে অভিজ্ঞ মহল।

    গ্রামোন্নয়নে বিপুল টাকা! (West Bengal)

    পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং সারের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় ভর্তুকিতে উপকৃত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী (West Bengal)। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, বিগত ৫ বছরে ৯৩ হাজার ১৭১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়নে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে দিয়েছে ১১,৭৯২ কোটি টাকা, যা একটি অর্থবর্ষে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ। উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিগত পাঁচ বছরে দেওয়া হয়েছে ২,১৫১ কোটি টাকা। নগর উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। শুধুমাত্র শহরের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯টি। 

    জনজাতি উন্নয়ন

    পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী জনজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বিগত ৬ বছরে বাংলাকে দিয়েছে ৮৩৪ কোটি টাকা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তি প্রদান করেছে ২১ কোটি টাকারও বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃত স্টার্ট আপ বিগত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে, ৪ হাজার ২৬টি, এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত স্টার্ট আপের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও ঢেলে অনুদান  

    স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত পাঁচ বছরে ইএসআইসি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আয়ুষ্মান যোজনার অধীনে হেলথ অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে ৩.২৪ কোটি। প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে অতি সুলভে উন্নতমানের ঔষধ প্রদানের কাজ চলছে বাংলায়। রাজ্যে এমন জন ঔষধি দোকান রয়েছে ৩৫৯টি। এই জন ঔষধির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের সাশ্রয় হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে ১,১৪৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে অবস্থিত এইম্‌সটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে কেন্দ্রের অনুমোদিত কর্মসূচি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ১১টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বীরভূম (রামপুরহাট), কোচবিহার, ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া এবং রায়গঞ্জে (উত্তর দিনাজপুর)। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বারাসত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম এবং তমলুকে।

    বিপুল অর্থ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে

    কৃষি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে তিরিশ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি শুধুমাত্র সারে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮,৪৯২ কোটি টাকা মোদি সরকার রাজ্যকে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে। এর পাশাপাশিকিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা মূল্যের ঋণ ধার্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনায় ২৩০ কোটি টাকার সহায়ক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিগত ৬ বছরে ২৮৩ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে মোদি সরকার পশপালন ক্ষেত্রের উন্নয়নে। এর পাশাপাশি নীল বিপ্লব ও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    নারীশক্তির উন্নয়নে বিপুল টাকা

    নারীশক্তি উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গকে বিপুল অনুদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ৬ বছরে নারীশক্তির বিকাশে পশ্চিমবঙ্গকে মোদি সরকার দিয়েছে ৫,৭৪৪ কোটি টাকা। ১৭১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মিশন বাৎসল্য যোজনায়। অন্যদিকে মিশন সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি যোজনায় বাংলা পেয়েছ ৫,২৩৯ কোটি টাকা। মিশন শক্তি যোজনায় কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। জল জীবন মিশনের দ্বারা প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে বিগত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ১৯,৫৯৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে রাজ্য থেকে ১৪ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অটল পেনশন যোজনায় যুক্ত হয়েছেন ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

    ৭ লাখেরও বেশি আবেদন বিশ্বকর্মা যোজনায়, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেলুর মঠেও

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনপত্র সংগৃহীত হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি, যার মধ্যে মহিলা আবেদনকারী সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩০ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্ফূর্তি যোজনায় ১৯টি নির্বাচিত গোষ্ঠী পেয়েছে ৪৫.৪৫ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা। এর পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানের উন্নতিতেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেলুড় মঠের উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০.০৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের মানোন্নয়ন, উন্নয়ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে রাজ্যকে দিয়েছে ৬৭.৯ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বাড়ানো হবে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৬৭৫ কোটি টাকা। ২,২১৬ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ভারতমালা পরিযোজনায় বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এবং খড়্গপুর-শিলিগুড়ি গ্রিনফিল্ড করিডর নির্মিত হচ্ছে। ভারতমালা পরিযোজনার প্রথম পর্যায়ের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আনুমানিক ৩২,৯৩৭ কোটি টাকার মূলধনী ব্যয়ে ৮৭৪ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ অনুমোদন করা হয়েছে। রেলওয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৪৮৩ কোটি টাকা।

    সাগরমালা প্রকল্পে ১৬,৩০০ কোটি টাকা

    সাগরমালা প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে ১৬,৩০০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের সামুদ্রিক পরিকাঠামো নির্মাণেও বিপুল টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে ৫৫৪৫.১ কোটি টাকা মূল্যের ৩৯টি প্রকল্পের কাজ চলছে সামুদ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথ তৈরি করার প্রকল্পও। যার দৈর্ঘ্য হল ১,৩৯০ কিলোমিটার। পণ্য সম্ভার পরিবহণে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরেরও ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে ৩৭৪.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরাক্কায় নতুন নেভিগেশন লক গেট-এর উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও শিক্ষার উন্নয়নেও বিপুল টাকা

    রাজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণেও ব্যাপক জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত পাঁচ বছরে ৫৮.১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরা প্রচারের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ৩৪.৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাকে। বিজ্ঞানের প্রচারের জন্য ১৫.৬২ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হয়েছে ৫.০৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণ শিল্পীদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে ৩.০৯ কোটি টাকা। বারাকপুরে গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়ের উন্নতি প্রকল্পে প্রদান করা হয়েছে ১৬.৩২ লাখ টাকা। শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৬৪৯ কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে। তফসিলি পড়ুয়াদের ৬৯ লাখ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ১,৯১৬ কোটি টাকা।

    এতকিছুর পরেও মমতা বলছেন, রাজ্য বঞ্চিত!!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share