Blog

  • Wayanad: মানা হয়নি সতর্কতা! অতিরিক্ত পর্যটনই কি দায়ী ওয়েনাড় বিপর্যয়ের জন্য? উঠছে প্রশ্ন

    Wayanad: মানা হয়নি সতর্কতা! অতিরিক্ত পর্যটনই কি দায়ী ওয়েনাড় বিপর্যয়ের জন্য? উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই কি ওয়েনাড়ে (Wayanad) ঘটল এমন বিপর্যয়? এই প্রশ্নই তুলছে কোনও কোনও মহল। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে যার ফলেই ঘটেছে এমন বিপর্যয়। দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রাকৃতিক শোভার কারণে পর্যটন শিল্পের জন্য এক উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ওয়েনাড়ে (Wayanad) গত বছরে ১০ লাখেরও বেশি দেশী ও বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন বলে জানা যায়। ভূমিধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড়ের মুন্ডাকাইত এলাকা। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে ৫০০ পরিবার বাস করতেন। পর্যটন শিল্পের জন্য, এর আশেপাশের গ্রামগুলিতে ৭০০ রিসর্ট, হোমস্টে প্রভৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে রয়েছে পাহাড়ের কোলে বিস্তৃত চা বাগান।

    মানা হয়নি সরকারি সতর্কতা (Landslide)

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিগত ১৩ বছর ধরে বেশ কয়েকটি সরকারি রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছিল যে পর্যটন শিল্পের জোয়ার আনতে গিয়ে প্রাকৃতিক জলের প্রবাহকে বাধা দেওয়ার ফলে ভূমিধস (Landslide) ও বন্যার মতো বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিন্তু তারপরেও এই সমস্ত সর্তকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের অন্যতম প্রযুক্তি কেন্দ্র বলে পরিচিত বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েনাড় সড়ক পথে মাত্র ৬ ঘণ্টা দূরত্ব। বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মীরা সপ্তাহের শেষে ওয়েনাড়ে আসেন ছুটি কাটাতে। বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ তুলছেন যে অতিরিক্ত উন্নয়নের কারণে বেশ কিছু জায়গায় বনভূমিকেও ধ্বংস করা হয়েছে। সাধারণভাবে বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এবং বন্যা প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়াতে প্রাকৃতিক যে জলপ্রবাহ তা শোষণ হয়নি।

    মৃত্যুপুরী ওয়েনাড় (Wayanad)

    বিগত কয়েক দিনের ভূমিধসে ওয়েনাড় যেন মৃত্যুপুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়েনাড় অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় রিসর্ট ছিল স্টোন হাউজ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভোরে পরপর দুটি ভূমিধসে (Landslide) এই বিল্ডিংটি একেবারে ভেসে গিয়েছে। আগেই অবশ্য পর্যটক ও কর্মচারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজন থেকে বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই এখন খুঁজছেন ওয়েনাড়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ এবং সেখানেই প্রশ্ন উঠছে যে অতিরিক্ত পর্যটনের জোর দেওয়ায় জন্যই এমন অবস্থা। প্রসঙ্গত, এর আগেই ২০১৮ সালে বন্যার কারণে কেরলে ৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন, তারপরে ওয়েনাড়ে ঘটল বিধ্বংসী ভূমিধস (Landslide)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল (BSF Chief) নিতীন আগরওয়াল এবং তাঁর ডেপুটি স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে শুক্রবার পদ থেকে অপসারণ করল কেন্দ্র। পদস্থ এই দুই অফিসারকে অবিলম্বে তাদের রাজ্য ক্যাডারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমানা (Border Security Force) পেরিয়ে বার বার জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং উপত্যকায় অশান্তির কারণে এই পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আবার অনেকের অনুমান বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া ঘটাতে ব্যর্থ এই দুই অফিসার। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে তাই এই পদক্ষেপ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন অপসারণ (Border Security Force) 

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিএসএফ প্রধানের (BSF Chief) বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভাব সহ গুরুতর বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ এবং একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। মন্ত্রকের এক অফিসারের কথায়,”বাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই ওই দুই অফিসারকে পদ খোয়াতে হল।” বিএসএফের প্রায় ২.৬৫ লাখ কর্মী রয়েছেন যাঁরা পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্তে (Border Security Force) একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এবার বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    বিএসএফের ডিজির (BSF Chief) পদে ছিলেন নীতিন আগরওয়াল। তিনি গত বছরের জুন মাসে ওই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সময়ের আগেই তাঁকে অপসারিত করে রাজ্য স্তরের ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হল। অন্য দিকে, স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) পদে এত দিন ছিলেন ওয়াইবি খুরানিয়া। তাঁকেও রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১৯৮৯ সালের কেরল ক্যাডারের আধিকারিক ছিলেন নীতিন। খুরানিয়া ছিলেন ১৯৯০ সালের ওড়িশা ক্যাডারে। দু’জনকেই সময় শেষ হওয়ার আগেই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শুক্রবার পৃথক ভাবে দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে সেই নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে। তবে ওই দুই পদের দায়িত্বে কাদের আনা হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad) গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে এবং সেখানে দেখা যায়, রাহুল গান্ধীর কনভয়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাঁকে গাড়ি থেকে নামার অনুরোধও করছেন স্থানীয়রা তবে নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছেন রাহুল। 

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর তোপ

    এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এবং তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সরকারকেই। অমিত মালব্য জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকারই পশ্চিমঘাট ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল রিপোর্টকে খারিজ করেছিল। প্রসঙ্গত, এই রিপোর্টটি মেপাদ্দিতে পরিবেশ বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন অমিত মালব্য। বিপর্যয়ের দায় যে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এড়াতে পারেন না সে কথাও নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন মালব্য।

    তিনি কেন এখানে এসেছেন (Rahul Gandhi)!

    প্রসঙ্গত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে স্থানীয়রা রাহুল গান্ধীকে গাড়ি থেকে নিচে নামতে বলছেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিশ্চুপভাবে গাড়িতেই বসে আছেন। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সাংসদ জনগণের বিষয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নন। একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ওনাকে গাড়ি থামাতে বলো! আমরাই হলাম সেই সমস্ত ভোটার যাঁরা ওনাকে সাংসদ বানিয়েছি। তিনি এই কেন্দ্রের (Wayanad) এমপি ছিলেন। তিনি যদি গাড়ি থেকে না নামতে পারেন এবং কাদায় পা না দিতে পারেন, তাহলে তিনি কেন এখানে এসেছেন!’’ আরও একজন ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন যে রাহুল গান্ধীর সফরের জন্যই দোকান পাট সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এই কারণে তাঁরা আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্ষুধার্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Paris Olympics 2024: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    Paris Olympics 2024: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে ইতিহাস। এই প্রথম ভারতের পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে উঠলেন লক্ষ্য। শুক্রবার ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে উঠলেন লক্ষ্য সেন। কোয়ার্টার ফাইনালে চিনা তাইপেইয়ের চৌ তিয়েন চেনকে ১৯-২১, ২১-১৫, ২১-১২ গেমে হারালেন তিনি। সেমিফাইনালে জিতলেই রুপো নিশ্চিত হবে। হারলেও ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে নামবেন লক্ষ্য।

    পিছিয়ে থেকেও প্রত্যাবর্তন 

    এদিন প্রথম গেম খোয়ালেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন লক্ষ্য। প্রকাশ পাড়ুকোনের গুরু মন্ত্রে ফিরে আসেন খেলায়। দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রথম থেকেই লড়াই হচ্ছিল সমানে সমানে। তবে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিলেন চৌ। তাঁর একের পর এক স্ম্যাশের কোনও উত্তর ছিল না লক্ষ্যের কাছে। পাশাপাশি তাঁর গতি সমস্যায় ফেলছিল লক্ষ্যকে। তবু ভারতের খেলোয়াড় যথাসম্ভব লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন। ১১-১৫ পিছিয়ে থাকা থেকে ১৫-১৫ করে ফেলেন। সেই সময় পাশ থেকে কোচ প্রকাশ পাড়ুকোন চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, “ওকে সমস্যায় ফেলো। লম্বা র‌্যালি হলেও চিন্তা কোরো না।” সে কথা শোনেন লক্ষ্য। চৌ-এর একের পর এক স্ম্যাশের প্রায় প্রতিটিই ফেরত দিতে থাকেন। দুর্দান্ত রক্ষণ দেখা যায় ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকার ব্যাটে। তবে শেষ দিকে মুহূর্তের ভুলে হেরে যান গেম।

    দ্বিতীয় গেমের আগে প্রকাশ শান্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রকে। বলেন, “জাজমেন্ট করো। বাইরে যাবেই। শান্ত থাকো। তাড়াহুড়ো কোরো না।” প্রথম গেমেই মতোই শুরু হয় দ্বিতীয় গেমও। দুই খেলোয়াড়ের কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিচ্ছিলেন না। কোচের কথা মেনেই খেলা একটু ধীরে করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। লম্বা র‌্যালি করতে থাকেন। এক সময় গেম পকেটে পুরে নেন। তৃতীয় গেমে আবার প্রথম গেমের পুনরাবৃত্তি। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৪-৩ এ এগিয়ে যান লক্ষ্য। লিড ধরে রাখেন। বিরতিতে ১১-৭ এ এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় শাটলার। ফাইনাল গেমে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। চাইনিজ তাইপের প্রতিযোগীর ক্লান্তি পার্থক্য গড়ে দেয়। অন্যদিকে অনেক বেশি সতেজ ছিল লক্ষ্য। যার প্রতিফলন হয় কোর্টে। 

    ভারতের আশা

    ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে লক্ষ্য সেন। পদকের থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে তিনি। চলতি অলিম্পিক্সে ব্যাডমিন্টনে ভারতের একমাত্র আশা এখন লক্ষ্য সেন। পিভি সিন্ধু, সাত্ত্বিক-চিরাগ ছিটকে যাওয়ার পর সব নজর তাঁর দিকেই। বিশ্বের তিন নম্বর জোনাথন ক্রিস্টিকে হারানোর পর আশা জাগান ভারতীয় শাটলার। গতবছর সিঙ্গাপুর ওপেনে চৌ তিয়েন চেনের কাছে হেরে গিয়েছিলেন লক্ষ্য। এদিন ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকার কাছে ছিল বদলার ম্যাচ। শেষমেষ প্রতিশোধ নিলেন লক্ষ্য।

     

  • Daily Horoscope 03 August 2024: প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 August 2024: প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে। 

    ৩) মানসিক চাপে কাটবে দিনটি। 

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে। 

    ৩) আশাহত হবেন।

    কন্যা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    তুলা

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    মকর

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে খরচ বৃদ্ধি হবে। 

    ৩) অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে হবে।

    কুম্ভ

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩১ জুলাই মুসলিম সংগঠন ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি (Indian Muslim Association-Noori) একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে এবং সেখানে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে তারা, কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামিকে। ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি আরও দাবি জানিয়েছে, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) শুধুমাত্র কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে না উপরন্ত গোটা দেশে তারা জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং দেশজুড়ে ভারত বিরোধী ও জিহাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যুবসমাজকে নিজেদের সংগঠনে তারা জুড়ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরির সভাপতি কী বলছেন?

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি যার সংক্ষিপ্ত নাম হল ইমান (Indian Muslim Association-Noori), এই সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হামিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা শুধুমাত্র জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি না। এর পাশাপাশি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলি থেকে নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করছে জামাত। তাদের কর্মসূচিগুলিকেও চিহ্নিত করতে হবে।

    প্রেস বিবৃতি

    নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে ইমান বলেছে, ‘‘বিগত কয়েক মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। জঙ্গিরা আক্রমণ চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর ওপর। রাজৌরি, কুপওয়ারা, ডোডা প্রভৃতি জেলা থেকে মিলছে সন্ত্রাসবাদের একের পর এক খবর। এই ধরনের হামলাগুলিতে জয়শ-ঈ-মহম্মদ, কাশ্মীর টাইগার প্রভৃতি সংগঠনগুলির পাশাপাশি রয়েছে জামাত-ই-ইসলামিও। এদের লক্ষ্য হল ভারতকে অস্থির করে রাখা। সম্প্রতি জামাত-ই-ইসলামিকে (Jamaat-e-Islami) জম্মু-কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংগঠনকে সম্পূর্ণ দেশে নিষিদ্ধ করা হোক।’’

    জামাতের (Jamaat-e-Islami) ইতিহাস

    প্রসঙ্গত, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৈয়দ-আবু-আল-মৌদাদী। কট্টরপন্থী ইসলামিক ভাবধারাকে বাস্তবায়িত করতে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাকে সাহায্য করে এই সংগঠন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার চালায় জামাত। হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করে তারা। মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। প্রসঙ্গত প্রথমদিকে অর্থাৎ ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানে জামাত-ই-ইসলামি একটা রাজনৈতিক দল ছিল এবং তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। পরবর্তীকালে তারা ছাত্র-যুবদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করে। যার নাম দেয় জামাত-ই-তালাবা। এই সংগঠন পাকিস্তানের বেশিরভাগ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের দখলে আনে ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে থাকে। সেই থেকেই শুরু হয় জামাতের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। আন্তর্জাতিক স্তরেও এই সংগঠন জাল বিছিয়েছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড নামের সংগঠনের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হজ কমিটির (Haj Committee) নামে মারাত্মক অভিযোগ করলেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ হায়দ্রাবাদের সাংসদের। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

    ব্যবস্থাপনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Asaduddin Owaisi)

    হজ কমিটির (Haj Committee) বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা অনেক দীর্ঘ। অভিযোগ হজ কমিটির বাবুরা হজ যাত্রীদের প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক তছরূপের সঙ্গে লিপ্ত। শুধু তাই নয়, হজ কমিটির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে হজযাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবক সেজে বিনামূল্যে হজ যাত্রা করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হজ যাত্রার আগে হজ যাত্রীদের থাকা খাওয়ার জন্য বরাদ্দ অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে হজ কমিটির বিরুদ্ধে। হজ কমিটি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। একদা এই কমিটির হাতে অনেক ক্ষমতা ছিল। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি হচ্ছে আঁচ করতে পেরে সরকার এই কমিটির ডানা ছেঁটেছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের হজ কমিটি রয়েছে। তারাও একই পথের পথিক বলে অভিযোগ। বিশেষ করে হজ করতে গিয়ে সেখানেও নানান সমস্যায় পড়েন ভারতীয় মুসলিমরা। দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা অনেক গভীরে, অভিযোগ হজ যাত্রীদের।

    কংগ্রেস নেতার অভিযোগ (Haj Committee)

    প্রসঙ্গত, গতবছর কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিভাগের মন্ত্রী আরিফ নাসিম খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হজ যাত্রার ব্যবস্থাপনায় বিরাট দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন। এমনকি হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ জানান। সূত্রের খবর, প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে হজ কমিটির (Haj Committee) অবৈধ আঁতাত থাকে। প্রাইভেট ট্যুর অপারেটররা হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সেই টাকার একটা অংশ হজ কমিটির বাবুদের পকেটে যায় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। সংসদে এই একই বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি (Asaduddin Owaisi) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি!’ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি!’ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা, নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভায় এদিন স্লোগান তোলা হয় ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি?’ এর পাশাপাশি এদিন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের অভিনব বিক্ষোভও দেখায় গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে এদিন বিধানসভার সামনে প্রতীকী সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তাঁদের দাবি, ৪০ টাকার আলু এদিন ১০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে

    বিধানসভার চলতি অধিবেশনে অনেকবারই বিজেপির বিধায়করা অভিযোগ তুলেছেন, বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনা হলেও, সে সব বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেননা স্পিকার। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও তুলেছে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য মাত্র ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করেন স্পিকার। বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দলের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কালোবাজারি বন্ধ এবং ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। পুরুলিয়ার জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো প্রস্তাবটি বিধানসভায় পাঠ করেন।

    অভিনব নামতা পাঠ করলেন শুভেন্দু (BJP)

    বিজেপি (BJP) বিধায়কদের গলায় ছিল এদিন সবজির প্ল্যাকার্ড। অভিনব কায়দায় ২০-এর ঘরের নামতা পড়তে শোনা যায় বিরোধী দলনেতাকে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘২০ এক্কে পাউচ, ২০ দু’গুণে আলু, তিন ২০ টমেটো,  পাঁচ ২০ ক্যাপসিকম, সাত ২০ রসুন, আট ২০ আদা, নয় ২০ মটরশুটি, ২০ দশে মুরগি!’’ পরে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ করেন, ‘‘চাষিরা দাম পাচ্ছেন না অথচ মানুষ বাজারে সব্জি কিনতে পারছেন না। কারণ, মাঝে ফড়েরা দালালি করছে। এই কারণেই ফসলের দাম বৃদ্ধি।’’
     

    আরও পড়ুন: বিজেপির লাগাতার বয়কটে ধর্ম নিয়ে নিজের মন্তব্য থেকে পিছু হটলেন ফিরহাদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    গাড়ি চলিতে লাগিল। ইংরেজটোলা। সুন্দর রাজপথ। পথের দুইদিকে সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা। পূর্ণচন্দ্র উঠিয়াছে, অট্টালিকা যেন বিমল শীতল চন্দ্রকিরণে বিশ্রাম করিতেছেন। দ্বারদেশে বাষ্পীয় দীপ, কক্ষমধ্যে দীপমালা, স্থানে স্থানে হার্মোনিয়াম, পিয়ানো সংযোগে ইংরেজ মহিলারা গান করিতেছেন। ঠাকুর আনন্দ হাস্য করিতে করিতে যাইতেছেন। হঠাৎ বলিলেন (Kathamrita), আমার জলতৃষ্ণ পাচ্ছে; কী হবে? কি করা যায়! নন্দলাল ইন্ডিয়া ক্লাবের নিকট গাড়ি থামাইয়া উপরে জল আনিতে গেলেন, কাচের গ্লাসে করিয়া জল আনিলেন। ঠাকুর সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, গ্লাসটি ধোয়া তো? নন্দলাল বললেন, হাঁ। ঠাকুর (Ramakrishna) সেই গ্লাসে জলপান করিলেন।

    বালকের স্বভাব। গাড়ি চালাইয়া দিলে ঠাকুর মুখ বাড়াইয়া লোকজন গাড়ি-ঘোড়া চাঁদের আলো দেখিতেছেন। সকল তাতেই আনন্দ।

    নন্দলাল কলুটোলায় নামিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়ি সিমুলিয়া স্ট্রীটে শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্রের বাড়িতে আসিয়া লাগিল। ঠাকুর তাঁহাকে সুরেন্দ্র বলিতেন। সুরেন্দ্র ঠাকুরের পরম ভক্ত।

    কিন্তু সুরেন্দ্র বাড়িতে নাই। তাঁহাদের নূতন বাগানে গিয়াছেন। বাড়ির লোকেরা বসিতে নিচের ঘর খুলিয়া দিলেন। গাড়িভাড়া দিতে হবে। কে দিবে? সুরেন্দ্র থাকিলে সেই দিত। ঠাকুর একজন ভক্তকে বলিলেন, ভাড়াটা মেয়েদের কাছে থেকে চেয়ে নে না। ওরা কি জানে না, ওদের ভাতাররা যায় আসে। (সকলের হাস্য)

    নরেন্দ্র পাড়াতেই থাকেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে ডাকিতে পাঠাইলেন। এদিকে বাড়ির লোকেরা দোতলার ঘরে ঠাকুরকে বসাইলেন (Kathamrita)। ঘরের মেঝেতে চাদর পাতা, দু-চারটে তাকিয়া তার উপর; কক্ষ-প্রাচীরে সুরেন্দ্রের বিশেষ যত্নে প্রস্তুত ছবি (oil painting) যাহাতে কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়। আর বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব ইত্যাদি সম্প্রদায়ের সমন্বয়।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cashless Treatment: পথ দুর্ঘটনায় আহতরা পাবেন ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা! আসছে কেন্দ্রের বিশেষ স্কিম

    Cashless Treatment: পথ দুর্ঘটনায় আহতরা পাবেন ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা! আসছে কেন্দ্রের বিশেষ স্কিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য এবার নয়া প্রকল্প আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য় ক্যাশলেস চিকিৎসা (Cashless Treatment) ব্যবস্থা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেটা আনা হবে এই নতুন প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে চণ্ডীগড় ও অসমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে কোথায় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সেটা বড় কথা নয়। এই ধরনের দুর্ঘটনা হলেই ক্যাশলেস চিকিৎসা প্রয়োগ করা হবে। 

    কী বললেন গড়কড়ি

    শুক্রবার লোকসভায় একটা লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, এই স্কিমের (Cashless Treatment) আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকবে। আয়ুস্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার আওতায় প্যানেলভুক্ত হাসপাতালে ট্রমা ও পলিট্রমা কেয়ারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হবে। দুর্ঘটনার পর সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত এই সহায়তা করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাস ব্রাদার্স’-এর তুঘলকি কাণ্ডে ৫০০ কোটির ক্ষতি টলিপাড়ার! তাও চুপ রাজ্য

    কীভাবে প্রকল্পের প্রয়োগ

    প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্য়ু হয় পথ দুর্ঘটনার কারণে। পথ দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে। এই বিষয়টির কথা মাথা রেখেই এবার সরকার শীঘ্রই পথ দুর্ঘটনায় ক্ষেত্রে ক্যাশলেস চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ক্যাশলেস (Cashless Treatment) হতে চলেছে গোটা দেশে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nitin Gadkari) আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্প প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পুলিশ, প্যানেলভুক্ত হাসপাতাল, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক এজেন্সি, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার, জেনারেল ইনস্যুরেন্স কাউন্সিল— সকলে মিলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share