Blog

  • Rekha Patra: রেখা পাত্রের আবেদন শুনল হাইকোর্ট, বসিরহাট নির্বাচনের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    Rekha Patra: রেখা পাত্রের আবেদন শুনল হাইকোর্ট, বসিরহাট নির্বাচনের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের (Rekha Patra) আবেদন শুনল কলকাতা হাইকোর্ট। বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিয়েছে আদালত। লোকসভা ভোটের ফলাফলকে নিয়ে আগেই ইলেকশন পিটিশেন দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল ব্যাপক ছাপ্পা এবং কারচুপি করেছে। সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর এবং নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির চমক ছিল রেখা পাত্র (Rekha Patra)

    এই বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রার্থী ছিলেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র। তাঁকে বসিরহাট লোকসভায় টিকিট দিয়ে নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনকে একটি ব্যাপক মাত্রা দিয়েছিল বিজেপি। তবে ভোটের দিন এলাকায় পুলিশ ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন রেখা। ফলাফলে দেখা যায় তৃণমূলের থেকে তিন লাখের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। কিন্তু সন্দেশখালি বিধানসভায় বাজিমাত করেছিলেন তিনি। আবার বিজেপির তরফ থেকে কোচবিহারের পরাজিত নিশীথ প্রামাণিক, ঘাটালে পরাজিত হিরণ চট্টোপাধ্যায়, আরামবাগে পরাজিত অরূপকান্তি দিগার এবং ডায়মন্ডহারবারের পরাজিত অভিজিৎ দাস ববি প্রত্যেকে মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এই কেন্দ্রগুলি মিলিয়ে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মোট ৫টি মামলা আদালতে করেছে বিজেপি। প্রার্থীদের প্রত্যেকের অভিযোগ ছিল, ভোটে কারচুপি হয়েছে। তৃণমূল ব্যাপক ভাবে ছাপ্পা এবং ইভিএম বদল করেছে। তাই এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট বাতিলের দাবি বিজেপির।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    পাঁচ পৃথক বিচারপতির এজলাসে মামলা

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিজেপির ইলেকশন পিটিশন জমা হওয়ার পরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, পাঁচটি মামলা পাঁচ পৃথক বিচারপতির এজলাসে পাঠিয়েছিলেন। এর মধ্যে রেখার (Rekha Patra) মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাওয়ের এজলাসে। এই মামলায় বুধবার সব পক্ষকে নোটিশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হল মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সিংহভাগই মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। অসমকেও (Assam) সিংহভাগ দেশবাসী সেরকমই একটি রাজ্য হিসেবে চেনেন। তবে তাঁদের ধারণা ভুল। এক সময় অসম উপজাতি অধ্যুষিত (Muslim Population) একটি রাজ্য হলেও, বর্তমানে আর তা নয়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যার গ্রাফ। ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। আগামী তিন দশকের মধ্যে অসম মুসলমানরাই হয়ে পড়বেন সংখ্যাগুরু। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছু দিন আগেই বলেছিলেন, “দু’দশকের মধ্যেই অসমে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সমান সমান হয়ে যাবে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Assam)

    জানা গিয়েছে, মুসলমান জনসংখ্যার এই ‘হাইপে’র নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। গত শতাব্দীতে দলে দলে বাংলাদেশি মুসলমান ঢুকেছে এ দেশে। তাই এ রাজ্যে তাদের জনসংখ্যাই বাড়ছে হু হু করে। প্রতিটি জনগণনায়ই দেখা যাচ্ছে, অসমে কমছে অসমিয়া ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা। দ্রুত কমছে তারা। এই জায়গাটা দখল করছে বাংলাভাষী মুসলমানরা। প্রতিটি দশকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাদের সংখ্যা। যাঁরা বামপন্থী ঘরানার, তাঁরা বলবেন এর কারণ অনুপ্রবেশ নয়। তবে বাস্তব বলছে অন্য কথা (Assam)। জানা গিয়েছে, এ দেশে যত অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশ থেকে ঢোকে, তার সিংহভাগই ঢোকে অসম দিয়ে।

    আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ

    অসমে যে ক্রমেই মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। দিন কয়েক আগে তিনি বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে অসমের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই মুসলিম। ২০৪১ সালে মুসলিম প্রধান রাজ্য হয়ে উঠবে অসম। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেছিলেন, “১০ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে।” তিনি বলেন, “মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে কংগ্রেসের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাহুল গান্ধী যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্র্যান্ড অ্যাস্বাসাডর হন, তাহলে তা সম্ভব হবে। কারণ এই ধর্মের মানুষ কেবল তাঁর কথা শোনে।” অসমের মতোই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ঘেঁষা রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও। বাংলা হয়ে সেখানেও ঢুকছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। উপজাতি সম্প্রদায়ের তরুণীদের বিয়ে করে দখল করছে জমি-জিরেত। যার জেরে ঝাড়খণ্ডেও বদলে যাচ্ছে ডেমোগ্রাফি। মাটি হারাচ্ছেন উপজাতির লোকজন। ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। সেই ঝাড়খণ্ডের মাটিতেই দাঁড়িয়ে অসমের ভয়ঙ্কর ছবিটা তুলে ধরেছেন হিমন্ত।

    সেনসাসের রিপোর্ট

    মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মেলে গত কয়েকটি সেনসাসের রিপোর্ট দেখলেই। ২০১১ সালে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১,৯১,৮০,৭৫৯। মুসলমান ছিল ১.০৬,৭৯,৩৪৫। ২০২১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ২,১২,৬৯,৫৪৩। মুসলমান জনসংখ্যা ১,৩৮,৩৯,৩৬৩। ২০৩১ সালে এটা হতে পারে হিন্দু ২,৩৫,৮৫,৭৬৯। মুসলমান হতে পারে ২,৭৯,৩৪,৪৩১। ২০৪১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা হতে পারে ২,৬১,৫৪,২৯০। মুসলমান জনসংখ্যা হবে ২,৩২,৪১,২২২। ২০৫১ সালে এটাই হবে হিন্দু ২,৯০,০২,৪৯২। মুসলমান ৩,০১,১৮৩০৮। ১৯৫১ সালে ১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বেড়ে  অসমে হিন্দু জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৯০ লাখ। এই সময় ৩০ শতাংশ মুসলমান বেড়ে হবে ৩ কোটি। যার অর্থ, এ রাজ্যে মুসলমানরাই (Assam) হবে সংখ্যাগুরু। মুসলমানদের এই জনসংখ্যার (Muslim Population) একটা বড় অংশই অনুপ্রবেশকারী। যার জেরে ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে অসমিয়া ভাষা। গত কয়েক দশকে এর আকার হয়েছে ভয়ঙ্কর।

    বিপন্ন অসমিয়া ভাষা

    অসমের দুটি অংশ। দক্ষিণাংশটি পরিচিত বরাক ভ্যালি নামে। এখানে হিন্দু রয়েছেন ১২ লাখ। ব্রহ্মপুত্র ভ্যালিতে রয়েছে প্রায় ২৮ লাখ বাঙালি। ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল, ৯০ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিজেদের বাংলাভাষী বলে দাবি করেছে। যার অর্থ হল, ৫০ লাখ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, তাদের মাতৃভাষা বাংলা বলে জানিয়েছিলেন জনগণনাকর্মীদের। ১৯৯১ সালে ভাষাভিত্তিক জনগণনায় দেখা গিয়েছিল অসমিয়া ভাষায় কথা বলেন রাজ্যটির ৫৭.৮১ শতাংশ মানুষ। এর পরের দুদশকে দেখা গিয়েছে এই সংখ্যাটা বাড়ে তো নিই, উল্টে কমেছে। হয়েছে ৪৮.৩৭ শতাংশ। ওই সেনসাসেই জানা গিয়েছিল বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল ২১.৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৮.৯৩ শতাংশ।  

    মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে

    ভাষা বদলের এই ছবি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে নামনি অসমের বরপেটা, ধুবড়ি-সহ মুসলমান অধ্যুষিত ৭ জেলায়। ১৯৯১ সালের জনগণনায় দেখা গিয়েছে, ওই সাত জেলায় অসমিয়া ভাষায় কথা বলতেন ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ২৯ জন। ২০১১ সালে এটাই বেড়ে হয়েছে ৫৭ লাখ ২০ হাজার ৪৬৬ জন। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ওই জেলাগুলিতেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫.৯৯ শতাংশ। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, অসমে (Muslim Population) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Israel attack: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    Israel attack: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় ১২ শিশুমৃত্যুর বদলা নিল ইজরায়েল। এবার ইজরায়েলের (Israel attack) পাল্টা মারে খতম হল হিজবুল্লার অন্যতম কমান্ডর ফুয়াদ শুক্র (Fuad Shukr)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুয়াদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। একটি বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, তাদের যুদ্ধবিমান বৈরুট এলাকায় হিজবুল্লার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। সেখানেই তাদের প্রথম সারির এক কমান্ডার মৃত্যু হয়েছে। যদিও হিজবুল্লার তরফে এখনও এই দাবির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।  

    ১২ শিশুমৃত্যুর বদলা (Israel attack) 

    সম্প্রতি সিরিয়াকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়েছিল ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার মধ্যে। গত শনিবার গোলান মালভূমিতে হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লা। ঘটনায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়। হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার হিজবুল্লা কমান্ডারকে খতম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ইজরায়েল। এই পাল্টা হামলার পরেই ইজরায়েলি সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, রকেট হামলায় হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল সেনার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল এই ফুয়াদ। এমনকি ৯০-এর দশকে ইজরায়েলের ৩ সেনা আধিকারিক খুনে যুক্ত ছিল সে। 

    আরও পড়ুন: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    কে এই ফুয়াদ শুক্র? (Fuad Shukr) 

    শীর্ষ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ফুয়াদের নাম। আনুমানিক ৬০ বছর বয়সি এই ফুয়াদকে হিজবুল্লার নেতা হাসান নাসারাল্লার ‘শীর্ষ উপদেষ্টা’ বলা হয়। ১৯৮২ সালে মুগনিয়ে ও মুস্তফা বদরুদ্দিনের পাশে থেকে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধেও লড়েছিলেন ফুয়াদ। এরপর ২০০৮ সালে দামাস্কাসে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তৎকালীন হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ফুয়াদ। ইজরায়েলে একাধিক সশস্ত্র হামলার (Israel attack) ছক কষেছেন তিনি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ID) শীর্ষ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, কোনও বৃহত্তর যুদ্ধ ছাড়াই ‘যে কোনও পরিস্থিতি’তে হিজবুল্লার সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। কিন্তু হিজবুল্লার কিছু নেতাদের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Kumar: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    Dilip Kumar: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান। বলিউডের দাপুটে নায়কদের অনেকেরই শুরুর দিনগুলি সহজ ছিল না। বহু কষ্ট করে সোনালি জগতে নাম খোদাই করেছেন তাঁরা। যাঁর হাত ধরে এই যাত্রার শুরু তিনিই হলেন দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। জন্মসূত্রে নাম মহম্মদ ইউসুফ খান, মুসলিম পরিবারের ছেলে। ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। লালা গোলাম সারওয়ার খান এবং আয়েশা বেগমের ১২ সন্তানের মধ্যে অন্যতম দিলীপ।

    শুরুর দিনগুলো

    দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) বাবা ছিলেন ফলের ব্যবসায়ী। ১৯৩০ সালের শেষের দিকে, ১২ সদস্যের পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান দিলীপ কুমারের বাবা। দিলীপ কুমার নাসিকের কাছাকাছি দেওলিয়ার বার্নস স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। তবে প্রথম থেকেই তাঁর বাবার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার দরুণ এক দিন বাড়ি ছেড়েই বেরিয়ে পড়লেন কিশোর ইউসুফ। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন রাজ কাপুর। যিনি পরবর্তীকালে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর সহ-অভিনেতা হন।  পেশোয়ারে যেখানে পৈতৃক বাড়ি দিলীপের, সেখানেই বাড়ি ছিল রাজের। বাড়ি ছাড়ার পর ইউসুফ ওরফে দিলীপ আসেন পুনেতে। সেখানে পৌঁছে আলাপ হল এক ক্যাফে মালিকের সঙ্গে। পাশে পেলেন এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান দম্পতিকে। তাঁদের সহায়তাতেই দিলীপ কুমার সেনাবাহিনী ক্লাবের কাছে স্যান্ডউইচের দোকান খুলে ফেলেন। তাঁর ব্যবসাও রমরমিয়ে চলতে শুরু করে দেয়। সেখানেই একদিন দেশাত্মবোধ নিয়ে কথা বলে ব্রিটিশদের বিপাগ ভাজন হন দিলীপ। এমনকী কয়েক মাস তাঁকে জেলও খাটতে হয়। 

    দিলীপের প্রথম তিন ছবি ফ্লপ

    বাবার ভয়ে বেনামে ছবি করতে শুরু করেন দিলীপ (Dilip Kumar)। অভিনেত্রী তথা প্রযোজক দেবিকা রানির পরামর্শেই আসল নাম পাল্টে দিলীপ কুমার করে নেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাঁটা’  সে ভাবে সাড়া ফেলেনি। দ্বিতীয়, তৃতীয় ছবিও নয়। নুর জাহানের সঙ্গে চতুর্থ ছবি ‘জুগনু’ বিরাট সাফল্য পায়। এর পর ‘শহিদ’, ‘মেলা’, ‘অন্দাজ’-এর মতো হিট ছবি উপহার দেন।পাঁচের দশকে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পান দিলীপ কুমার। ‘যোগন’, ‘বাবুল’, ‘দীদার, ‘তরানা’, ‘দাগ’, ‘নয়া দওর’-এর মতো ছবি করেন। ব্যবসার নিরিখে দেশের অন্যতমন সফল ছবি দিলীপ কুমার অভিনীত  ‘মুঘল-ই-আজম’ দীর্ঘ ১৫ বছর সেরা সফল ছবির খেতাব ধরে রেখেছিল, ১৯৭৫ সালে যা ভেঙে দেয় ‘শোলে’। 

    আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

    নানা সম্মান

    দিলীপ কুমারই (Dilip Kumar) প্রথম অভিনেতা, যিনি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার জেতেন, ‘দাগ’ ছবির জন্য। ছবি পিছু ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া প্রথম অভিনেতাও (Bollywood) তিনি। সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে একাধিক সুন্দরী নায়িকার সঙ্গে নাম জড়ায় দিলীপ কুমারের। মধুবালার সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর। ১৯৬৬ সালে বয়সে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপকুমার। হিন্দকো, উর্দু, হিন্দি, পশতু, পঞ্জাবি, মারাঠি, ইংরেজি, বাংলা, গুজরাতি, ফারসি, ভোজপুরি এবং অওয়ধি ভাষায় ঝরঝর করে কথা বলতে পারতেন দিলীপ কুমার। ছবির কাজ করতে গিয়ে শিখেছিলেন সেতারও। ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন। পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে-সহ দেশ-বিদেশে অজস্র সম্মান পেয়েছেন দিলীপ কুমার। বছর তিনেক আগেই ৭ জুলাই, ২০২১ অনুরাগীদের কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন দেশের প্রথম সুপারস্টার দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। এখনও তাঁর জনপ্রিয়তার কাছে হার মানেন নবপ্রজন্মের তারকারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আকবর নগরের নাম পাল্টে হল ‘সৌমিত্র বন’, ঘোষণা যোগীর, জানেন এই নামের তাৎপর্য?

    Yogi Adityanath: আকবর নগরের নাম পাল্টে হল ‘সৌমিত্র বন’, ঘোষণা যোগীর, জানেন এই নামের তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকবরনগর এখন ‘সৌমিত্র বন’ নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই কথা ঘোষণা করেছেন। এই ভাবে এলাকায় অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা বলে সমাজবাদী পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath)?

    আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) লখনউ সেন্ট্রাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এসপি বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় বলেছেন, “লখনউয়ের ইতিহাস দেখলে জানতে পারবেন, যেখানে গোমতী এবং কুকরাইল নদীর সঙ্গম ছিল। আকবরনগর, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল, তবে এর বেশিরভাগই অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাল নথি ও কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ ভাবে নিবন্ধীকরণ করে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ হয়েছে। এখন থেকে আকবরনগর এখন সৌমিত্র বন নামে জানা যাবে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে হবে ‘সৌমিত্র বন’।”

    জমি দখলকারী মাফিয়ারা সমাজবাদী ঘনিষ্ঠ

    সামজবাদী বিধায়কে প্রশ্নের উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেছেন, “আপনারা গিয়ে দেখে নিন কুকরাইল, নদী নাকি নালা! আজ সেখানে আপনি নদী দেখবেন, কিন্তু নালা নয়। দেশ জুড়ে নদী সংস্কারের অভিযান চলছে। আমরা বলি জলই জীবন, কিন্তু আমরা কি একে ধ্বংস করে জীবন কল্পনা করতে পারি? একদিকে সমাজবাদীরা গোমতী নদীকে ‘মা’ বলছেন, আবার অন্যদিকে পুরো নদীকে নোংরা নালায় পরিণত করেছেন। এটা তাঁদের দ্বিচারিতা। নদী সংস্কারের জন্য যে প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, তার জন্য তো সরকারকে প্রশংসা করা উচিত আপনাদের। গরিব মানুষকে ঠকিয়ে জমি দখলকারী মাফিয়াদের বেশিরভাগই সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ঠ। আমরা ইন্দ্রপ্রস্থ নগর এবং পান্ত নগরে মাফিয়াদের চিহ্নিত করেছি।”

    আরও পড়ুনঃ লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    ১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন

    গত ১৯ জুন আকবর নগরের (Soumitra Van) কুকরাইল নদীর পাড়ে অবৈধ নির্মাণের ভাঙার কাজ শেষ করেছে যোগী সরকার (Yogi Adityanath)। বুলডোজার সহ ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মোট ১১৬৯টি অবৈধ বাড়িঘর এবং ১০০টিরও বেশি দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৪.৫ একর জমির ওপর অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছিল। ওই এলাকায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানসহ মোট ১৩২০টিরও বেশি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আকবরনগরে বসবাসকারী পরিবারগুলি যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য শহরের অন্যান্য অংশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী ওঠানামা করেন। স্টেশন জুড়েই রয়েছে বিশাল ছাদ। সেই ছাদের মধ্যে কী কর্মকাণ্ড চলে, তা সিংহভাগ যাত্রীই জানেন না। মূলত, জলের অপচয় বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রেল (Rail) দফতর। বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করে তা পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক ফোঁটা জলও পরিবেশের জন্য মূল্যবান। তাই বৃষ্টির জল বাঁচাতে হাওড়া স্টেশনে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। বৃষ্টির জল এক ফোঁটাও নষ্ট করা যাবে না, এটাই রেলের অঙ্গীকার। রেলের এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে সকলে।

    কীভাবে বৃষ্টির জল বাঁচানো হচ্ছে? (Howrah Station)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) মোট ছাদের এলাকা ৭৮৮৩১.৬০ বর্গমিটার। আর এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৬৪.৯৫০ মিমি। স্টেশনের আশপাশের এলাকায় মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় ৯৭৫২৪.৫৪ ঘনমিটার। এই বিশাল পরিমাণ বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহার করে জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বছরে মোট ৭৩ লক্ষ লিটার বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে কনস্ট্রাকশন পিট নির্মাণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে পিভিসি ট্যাঙ্কে পাথর ও বালি ভরাট করে বৃষ্টির জল প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত করা হয়।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে কী করা হয়?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ৯০ শতাংশ এলাকা ছাউনি ও ছাদ দিয়ে ঢাকা রয়েছে, যা বৃষ্টির জল সংগ্রহের জন্য উপযোগী। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরিশোধনের পর সেই জল প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, স্টেশনে নতুন জল ব্যবহার না করে শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করা হয়। ফলে, জলের অপচয় কমানো যায়। এই জল সংরক্ষণের ফলে স্টেশন প্রাঙ্গণে নতুন জলের ব্যবহার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। স্টেশন চত্বরে জলের অপচয় রোধ করা হচ্ছে। বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    রেল (Rail) আধিকারিকদের বক্তব্য, এই স্টেশনে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগটি পরিবেশ কল্যাণের উদাহরণ। এটি জল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসকে ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করতে চান? জেনে নিন উপায়

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসকে ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করতে চান? জেনে নিন উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকেন। ব্যবহারকারীদের চ্যাট এবং স্ট্যাটাস আপডেটের মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত হতে, অ্যাপটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ফিচারের পরিবর্তন করে থাকে। এর ফলে একাধিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস বৈশিষ্ট্যটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যা ব্যবহারকারীদের ছোট ভিডিও, ভয়েস নোট, ছবি এবং আরও অনেক কিছু পোস্ট করতে সাহায্য করে। এবার থেকে ব্যবহারকারীরা তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ফেসবুক (Facebook) স্টোরিতে শেয়ার করতে পারবেন। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ পরিচিতির বাইরের শ্রোতাদের কাছে বার্তা পৌঁছে যাবে খুব সহজেই।

    করার ধাপ (WhatsApp)

    আপনার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) স্ট্যাটাসকে ফেসবুক (Facebook) স্টোরি হিসাবে বিনিময় করতে চাহিলে নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন—

    প্রথম ধাপ: আপনার হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন এবং আপনি শেয়ার করতে চান এমন একটি ফটো, ভিডিও বা পাঠ্য সহ আপনার স্ট্যাটাস আপডেট করুন।

    দ্বিতীয় ধাপ: আপনার স্ট্যাটাস আপডেট করার পরে, স্ট্যাটাস বিভাগে তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করুন এবং এটিকে ফেসবুক স্টোরি করার বিকল্পটি খুঁজুন।

    তৃতীয় ধাপ: স্টিকার, টেক্সট বা অঙ্কন দিয়ে আপনার স্ট্যাটাসকে আরও আকর্ষণীয় করতে কাস্টমাইজ করুন।

    চতুর্থ ধাপ: আপনার সমস্ত বন্ধু বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে দৃশ্যমান একটি ফেসবুক স্টোরি হিসেবে এটি ভাগ করতে বেছে নিন।

    পঞ্চম ধাপ: ফেসবুক স্টোরি হিসেবে পোস্ট করার আগে আপনার কাস্টমাইজড স্ট্যাটাস ঠিক করুন এবং নিশ্চিত করুন।

    আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে লাগবে না কোনও ফোন নম্বর, শীঘ্রই আসছে নতুন ফিচার

    সম্প্রতি এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল

    এদিকে, গত জুন মাসে, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার চ্যানেল ফিচার চালু করেছে, যা এখন বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ। চ্যানেল বৈশিষ্ট্যটি সম্প্রচারিত বার্তাগুলির মাধ্যমে এক থেকে একাধিক যোগাযোগের সুবিধা দেয়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মালিক হিসেবে, আপনার চ্যানেল পরিচালনা করতে সাহায্য করার জন্য ১৬ জন অতিরিক্ত অ্যাডমিনকে আমন্ত্রণ করতে পাবেন। ইমোজির ধরন সহ চ্যানেলের নাম, আইকন, বিবরণ এবং সেটিংস পরিবর্তন করার ক্ষমতা অ্যাডমিনদের থাকে। অ্যাডমিনদের দ্বারা করা যেকোনও আপডেট অবিলম্বে শেয়ার করা যায় এবং চ্যানেল মালিকের কাছ থেকে অনুমোদনেরও প্রয়োজন হয় না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    Uttar Pradesh: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই এক হিন্দু কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার শ্রমিক দিলশাদের বিরুদ্ধে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করতে চায় বলেও জানিয়েছিল দিলশাদ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বেরিলির ওই ঘটনায় তোলপাড় দেশ। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে উদ্যোগী হল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

    লাভ জিহাদের ক্ষেত্রে সাজা (Uttar Pradesh)

    এবার লাভ জিহাদের (Love Jihad Law) মতো ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব যোগী সরকারের। বিধানসভায় সরকার নিয়ে আসে ‘বেআইনি ধর্মান্তকরণ সংশোধনী আইন’ বিল, ২০২৪। বর্তমান বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন ২০২১-এর অধীনে থাকা একাধিক বিধি সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই বিলে। সংশোধনী বিলের প্রস্তাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির প্রস্তাবও রয়েছে। প্রথমবার লাভ জিহাদের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

    কী বলছে সরকার?

    প্রস্তাবিত বিলে দশ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। কঠোর করা হয়েছে জামিন পাওয়ার রাস্তাও। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই ধরনের ঘটনায় যে কোনও কাউকে অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২ অগাস্ট বিলটি বিধানসভায় পাশ করাতে চায় যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, “এই সিদ্ধান্তকে সকলেরই স্বাগত জানানো উচিত।”

    ইউ-টার্ন মলদ্বীপের, ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান ফেলে দ্বীপরাষ্ট্রের গলায় ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়া’!

    বিজেপি নেতা মহসিন রাজা বলেন, “আইনটি সংশোধন করা হলে এটি অবৈধ ধর্মান্তর মোকাবিলায় ব্যাবকভাবে সাহায্য করবে। কারণ অনেক লাভ জেহাদের ঘটনা সামনে আসছে, যেখানে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে মেয়েকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “কেউ যদি মিথ্যে পরিচয় দিয়ে কোনও মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করে, তাহলে অপরাধীকে কেন জবাবদিহি করতে হবে না? একজন প্রতারক যদি তার পরিচয় গোপন করে ও বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যে কোনও মেয়েকে বিয়ে করে, তাহলে কেন এমন লোকদের আইনের আওতায় আনা যাবে না?”

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পাশ হওয়া আইনে এই জাতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ ছিল ১০ বছর। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা (Uttar Pradesh)। প্রস্তাবিত নয়া বিলে সাজার মেয়াদ এবং অপরাধের পরিধি, দুটোই বাড়ানো হয়েছে (Love Jihad law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জাতগণনা ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ করে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) ঘিরে উত্তাল হয় লোকসভা। এবার অনুরাগ ঠাকুরের সেই মন্তব্যেরই ভরপুর সমর্থন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। 

    প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য (PM Modi)   

    এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সমাজমাধ্যমে সাংসদ কক্ষের সেই তর্কবিতর্কের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন যে, ”আমার তরুণ সহকর্মীর বক্তব্য শুনুন সকলে। তিনি কত সুন্দর করে তথ্য এবং যুক্তি দিয়ে ‘ইন্ডি জোটের নোংরা রাজনীতি’ সকলের কাছে ফাঁস করে দিলেন।”   

    আগে কী বলেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর? 

    এর আগে লোকসভায় বাজেট নিয়ে বিতর্কে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, ‘ইন্ডি জোট’ ক্ষমতায় এলে দেশের ওবিসিদের সংখ্যা নির্ধারণে জাতগণনা করাবে। এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি সাংসদ, প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নাম না করেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেছিলেন, ”যাঁর নিজের জাতের ঠিক নেই, সে এখন গণনার কথা বলছে।” এখানেই শেষ নয়, অনুরাগ আরও কটাক্ষ (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) করে বলেন যে, ” কিছু মানুষ আছে যারা হঠাৎ করে হিন্দু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁদের মহাভারত সম্বন্ধেও কম জ্ঞান আছে।” 

    আরও পড়ুন: ওয়েনাড়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩! চলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান

    অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যের পরেই গোটা বিরোধী শিবির প্রতিবাদ জানায়। রাহুল নিজে উঠে বলেন, ”এ দেশে বঞ্চিত, গরিবের জন্য যে মুখ খুলেছে, তাঁকে গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আপনারা আমায় যত অপমান করুন, আমি ক্ষমা চাইতে বলব না। কিন্তু এই সংসদে জাতগণনা পাশ করিয়ে ছাড়ব।” এদিনের এই বাকবিতণ্ডার মধ্যে অনুরাগ ঠাকুরের কটাক্ষকেই এবার ভরপুর সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। 
     
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে টি-২০ সিরিজে চ্যাম্পিয়ন ভারত  

    India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে টি-২০ সিরিজে চ্যাম্পিয়ন ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ (India vs Sri Lanka) জিতে গিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচ (T20 Series) ছিল কার্যত নিয়ম রক্ষার। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে হতশ্রী পারফরম্যান্স হয় ভারতের। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের মোট রান হয় ১৩৭। প্রথম দিকে ভালই শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ অবধি ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে মাত্র ২ রান হয় শ্রীলঙ্কার। প্রথম বলেই চার মেরে ভারতকে জয় এনে দেন সূর্যকুমার যাদব। প্রায় জিতে যাওয়ার ম্যাচ হাতছাড়া করে সিংহলিরা।

    নিয়মিত ব্যবধানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উইকেট পতন (India vs Sri Lanka)

    টসে জিতে সিরিজ (India vs Sri Lanka) ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট পতন হয় ভারতের। সহ অধিনায়ক শুভমন গিল ছাড়া কোনও প্রথম সারির ব্যাটসম্যান রান পাননি এদিন। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও ৮ রান করে আউট হয়ে যান।  যশস্বী জয়সওয়াল (৯ বলে ১০), রিঙ্কু (২ বলে ১) পর পর আউট হয়ে যান। সুযোগ পেয়েও টানা দুই ম্যাচে রান করতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন (৪ বলে শূন্য)। দলকে ভরসা জোগাতে পারেনি শিবম দুবেও। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান দুবে। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ২২ গজের এক দিক আগলে রেখেছিলেন শুধু শুভমন গিল। জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ভাবে খেললেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ভারতের বোলারেরা তাঁদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেনি। প্রথম উইকেটের জুটিতে নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস ৫৮ রান তোলেন। নিশাঙ্কা করেন ২৭ বলে ২৬ রান।

    আরও পড়ুন: সিমেন্ট সংস্থার কর্তৃত্ব হারালেও শ্রীনিবাসনের হাতেই থাকছে চেন্নাই সুপার কিংস

    ৫টি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে। মেন্ডিসের অবদান ৪১ বলে ৪৩। ৩টি চার মারেন তিনি। নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কুশল। তিনি ৩৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার। হাসরঙ্গ (৪ বলে ৩) এবং আসালঙ্কা (শূন্য)। 

    সুপার ওভারে জয় (T20 Series)

    পর পর আউট হওয়ায় শেষ দিকে চাপ বাড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। ১৮ তম ওভারে জঘন্য বল করে শ্রীলঙ্কাকে সিরিজ (India vs Sri Lanka) সুবিধাজনক জায়গা পৌঁছে দেন ভারতের খলিল আহমেদ। পাঁচটি ওয়াইড করলেন তিনি। ভারতের সফলতম বোলার রিঙ্কু সিং ৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১৯ তম ওভারে বল করতে এসে ভারতকে আবার লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিনি। শেষ ওভারে বল করতে এসে ৫ রানে ২ উইকেট নেন সূর্যকুমারও। ওয়াশিংটন ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেন। রবি বিষ্ণোই ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ টাই হওয়ায় লড়াই গড়ায় সুপার ওভারে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share