Blog

  • PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী (Canadian FM) অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আনন্দ এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। চলতি সফরে তাঁর তিনটি দেশে যাওয়ার কথা। সেই সফরে বেরিয়েই আনন্দ প্রথম এসেছেন ভারত সফরে। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সফরকে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের একটি সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    মোদি-আনন্দ সাক্ষাৎ (PM Modi)

    এদিন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আনন্দকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন যে তাঁর এই সফর ভারত–কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের চলমান প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার গুরুত্বও তুলে ধরেন (PM Modi)।

    কী বললেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে নিজের সাক্ষাৎ সম্পর্কিত বিস্তারিত শেয়ার করে আনন্দ লেখেন, “আজ সকালে আমি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই বছরের গ্রীষ্মে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী @মার্ককার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের গতিকে ভিত্তি করে কানাডা ও ভারত আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে—একইসঙ্গে আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা আলোচনা বজায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও সম্প্রসারিত করছে।”

    রবিবার আনন্দ পৌঁছন নয়াদিল্লিতে। বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীনভাবে আরও মজবুত করা উচিত।” চলতি সফরে আনন্দের (Canadian FM) বৈঠক করার কথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। নয়াদিল্লি সফর শেষে কানাডার বিদেশমন্ত্রী যাবেন চিন এবং সিঙ্গাপুরে (PM Modi)।

  • Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়ের একটু বেকায়দায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার পর রবিবার বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথ এখন অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের জন্য। এখন টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচ ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব কটাতেই জয় দরকার ভারতের, তাহলেই নিশ্চিত হবে শেষ চারে ওঠা। বর্তমানে ভারত পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে ১০।

    সেমিফাইনালের টিকিট কারা পাবে

    মেয়েদের বিশ্বকাপ মোট ৮টি দল নিয়ে হচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করবে। অস্ট্রেলিয়া (৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট) ও ইংল্যান্ড (৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) শীর্ষ দুই স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু ভারত টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় তিন বা চার নম্বরে জায়গা করে নিতে পারবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। ভারতকে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। কোনও ম্যাচ হারা চলবে না। যেটা ভালো খবর, সেটা হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও পয়েন্ট তালিকায় ভারত (চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) নিজেদের তিন নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ যেটা, সেটা তাদের রানরেট। ভারতের রানরেট বর্তমানে ০.৬৮২। স্বাভাবিক ভাবে রানরেট ভালো হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু শুধু রানরেট যথেষ্ট নয়, মাঠে নেমে জিততেই হবে। না হলে ভারত শীর্ষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে।

    অস্ট্রেলিয়া ভাল খেললে সহজ হবে ভারতের পথ

    তবে ভারত যদি সব ম্যাচ না জিততেও পারে সেক্ষেত্রে ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। কারণ, ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এই তিনটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে বাকি ম্যাচগুলোতে, আর সেই ফলাফলই নির্ধারণ করবে শেষ চারের লড়াইয়ের সমীকরণ। তবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মোটেই সহজ নয়। ফলে অন্য ম্যাচগুলিতে ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার অনুকূলে গেলে ভারত শুধুমাত্র দুটি ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে। আর যদি ১৯ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ২৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড এবং ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ— ভারত যদি এই তিনটি ম্যাচ জেতে, তা হলে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠবে।

  • Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না! আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী।” সোমবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের (Durgapur Gangrape) শিকার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সামনে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে সেই মঞ্চ বাঁধায় পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের তর্কাতর্কি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। পরে ওই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।

    ‘আমরা লজ্জিত’ (Durgapur Gangrape)

    এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সটান চলে যান নির্যাতিতার বাড়িতে। পরে বলেন, “ওঁর পরিবার জানিয়েছে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ওরা ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চায়। আমি শুনে আরও লজ্জিত হয়েছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন।” এদিকে, দুর্গাপুরের ওই গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আরও একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

    শুভেন্দুর তোপ

    অন্যদিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডের মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। দুর্গাপুরের এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” তিনি বলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন জঙ্গলের মধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠীকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর সহপাঠী তাঁকে সেখানে ফেলে চলে এসেছিলেন। আধঘণ্টা পরে তিনি আবারও সেখানে যান এবং নির্যাতিতাকে নিয়ে আসেন। কেন তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন, কেনই বা পরে সহপাঠীকে ফেরত নিতে এসেছিলেন (Shuvendu Adhikari), সেই সব মিসিং লিঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ (Durgapur Gangrape)।

  • India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কাজ আমেরিকার মতন রাষ্ট্রশক্তি পারেনি, রাশিয়া পারেনি, ন্যাটো পারেনি— সে কাজ করে দেখাল ভারত সরকার (India Afghanistan Relation)। আদ্যান্ত মহিলা বিরোধী, তালিবান সরকার বাধ্য হল মহিলা সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে। যারা মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে বংশবিস্তার করার জন্য, যারা মনে করে মেয়েদের চোখ টুকু বাদ দিয়ে পুরো শরীরটাই পর্দা করা দরকার সেই তালিবানরা যখন ভারতে এসে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনটি করে সেখানে মহিলা সাংবাদিক ছিল না। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে। যদিও ভারত সরকার বিবৃতি দেয় যে, আফগান দূতাবাসের ভেতর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাতে ভারতের কোনও হাত থাকে না। তা সত্ত্বেও একদল বামপন্থী এবং তৃণমূলের লোকজন ভয়ংকর প্রচার চালাচ্ছিল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

    ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য

    ভারত সরকারের (India Afghanistan Relation) অপমান হচ্ছে বুঝতে পেরে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ করে তালিবান সরকার। পরের দিন আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে তারা এবং অবাক করা বিষয় এইবার সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলারা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের কূটনীতির ফলেই। তাহলে কি তালিবান-রা শুধরে গেল? ভারত বন্ধু হয়ে গেল? হয়ত নয়। বা সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আগের ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে যে সরে এসেছে তালিবানরা সেটা স্পষ্ট। চাণক্য বলতেন যখন চারদিকে শত্রু রয়েছে৷ তখন সবার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমীচীন নয়৷ শত্রু বন্ধু না হলে, শত্রুতা নিষ্ক্রিয় করো যতটা সম্ভব৷ মোদির ভারত ঠিক এই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছে তালিবানের জন্য। পাক সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে যতটা দূর্বল করা যায় ততটাই ভারতের জন্য মঙ্গল।

    পাক বিরোধিতায় তালিবান

    পাকিস্তান তাদের জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছে। সম্মুখ সমরে বার বার হারার পর, ভারতে সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়ে আক্রমণ করে গিয়েছে৷ নতুন ভারত পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে৷ কিন্তু শুধু ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েই থেমে নেই মোদি সরকার। কংগ্রেসের আমলে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হানা, প্লেন হাইজ্যাকের মতো একাধিক বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে অংশ নিত তালিবান৷ সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থানে পহেলগাঁও হামলার সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তালিবান৷

    আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার

    ভারতের আফগানিস্তান (India Afghanistan Relation) বিজয়ের চেষ্টা বেশ কয়েক বছর আগের৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার৷ আফগানিস্তানে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক, হাসপাতাল, সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করা শুরু করে ভারত। ভারতের সাহায্যে একাধিক ব্রিজ নির্মাণ হয় আফগানিস্তানে৷ এমনকি ক্রিকেটের মতো খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারত আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করে। তালিবানরা আফনাগিস্তানে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আফগানদের ভারত নির্ভরশীলতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল মোদি সরকার৷

    ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্কে নয়া মোড়

    ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান৷ সে সময়ও খবুই সাবধানী তালিবান নীতি নিয়েছিল ভারত৷ সে সময় তালিবান শাসকদের সরাসরি সরকার না বলে, ‘আফগানিস্তানে যারা শাসন ক্ষমতা নিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে৷ এমনকি ২০২১-২২ সালে আফগানিস্তান দূতাবাসে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কিছু সদস্য রেখে বাকিদের সুরক্ষার কারণে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত৷ শাসন ক্ষমতা দখল করেও ভারত বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি তালিবানরা৷ উল্টে বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা৷ যে তালিবানরা ভারত-পাক সীমান্ত সমস্যায় পাকিস্তানকে শক্তি যুগিয়ে আসত তারাই এখন ভারতের পাশে। তালিবান-পাকিস্তান সীমান্ত সমস্যা তো রয়েছেই কিন্তু মোদি সরকারের ভবিষ্যতমুখী আফগান নীতিই ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্ককে নতুন সুতোয় বুনছে৷

    কেন প্রথমে কিছু বলেনি ভারত

    ভারতে আফগান (India Afghanistan Relation) দূতাবাসে বসে তালিবান বিদেশমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। যেখানে মহিলা সংবাদিকদের জায়গা না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিরোধীরা৷ বাম-কংগ্রেস-নকশালপন্থী সাংবাদিক-ব্লগার-বুদ্ধিজীবীরা এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েন। বিরোধীদের অদ্ভুত যুক্তি হল, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী করে মেনে নিতে পারে! কিন্ত প্রশ্ন হল কোথায় হল এই সাংবাদিক সম্মেলন? সাউথ ব্লকে? খুব সাধারণ উত্তর, না। এই সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে আফগান দূতাবাসে। তালিবান নেতা ওমর আল মুত্তাকির এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    ভিয়েনা কনভেনশন-এর যুক্তি

    ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস, ১৯৬১-এর ধারা ২২ এর ১, ২২ এর ২ এবং ২২ এর ৩ অনুযায়ী কোন দেশে বিদেশি রাষ্ট্রের দূতবাস বিশেষ কিছু ক্ষমতা ভোগ করে। ধারা ২২ এর ১ এ বলা হয়েছে দূতাবাসের জায়গায় অন্যরা যখন তখন ঢুকে পড়বে না৷ অর্থাৎ ভারতের কোনও সরকারি আধিকারিককে কোনও দূতাবাসে ঢুকতে হলে সেই দেশের অনুমতি নিতে হবে৷ আতিথ্যদানকারী দেশ (host country) দূতাবাসের প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না বা সেখানে তাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগ করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণভাবে দূতাবাসের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বা অধিকার।

    মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ

    মজার বিষয় হচ্ছে যারা সব ইস্যুতে মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে রাস্তায় নামে তাদেরও অনেকে এই ভিয়েনা কনভেনশনটি জানেই না৷ অনেকে আবার জেনে বুঝে মোদি-বিরোধী মিথ্যে প্রচারটি করছিলেন৷ ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মেয়েদের উপর যখন একের পর এক শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে তালিবানরা তখন ভারত সেই নীতির বিরোধিতা করে স্পষ্ট বলেছিল, ‘আফগানিস্তানে তালিবানের নারী নীতি উদ্বেগজনক। নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাক তালিবান। স্পষ্টতই ভারতের আফগান নীতি ভারতের শর্তে। অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নীতির কারণে বা পিছু হঠে নয়।

    নতুন ধারণা তৈরি করতে মরিয়া তালিবান

    তালিবান মানেই ‘নারীবিদ্বেষী’, এই ধারণা ভাঙতে মরিয়া মন্ত্রী মুত্তাকিও। রবির সাংবাদিক বৈঠক থেকে তালিবান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১ কোটি। যার মধ্য়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। মাদ্রাসাতেও শিক্ষায় কোনও সীমা নেই। একেবারে স্নাতক স্তর পর্যন্ত কেউ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনওই মেয়েদের শিক্ষাদানকে হারাম বলে মনে করি না।’ আগের দিনের সমস্যা প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ‘ওই সাংবাদিক বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত নোটিসে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নয় যে তাতে কোনও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু একটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’ তবে কারণ যাই হোক শেষ সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিকদের দূতাবাসে প্রবেশ করতে দিয়ে তালিবান বুঝিয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে শেষ কথা বলে মোদির ভারতই।

  • Pakistan TLP: টিএলপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন পাক পুলিশের, গুলিতে হত ১১

    Pakistan TLP: টিএলপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন পাক পুলিশের, গুলিতে হত ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) কর্মীদের (Pakistan TLP) ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ।  মুরিদকেতে (Islamabad Violence) পাকিস্তানি পুলিশের এই অভিযানে মৃত্যু হয় ১১ জনের, জখম হন ৫০ জনেরও বেশি। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল-গাজা সংঘাতের জেরে গাজার সপক্ষে মিছিল করে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন টিএলপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পার্টির প্রধান সাদ হুসাইন রিজভির নেতৃত্বে লাহোর থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। অভিযোগ, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের রুখতে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে, ছোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেলও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্সও। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের পথে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মুরিদকে শিবির করে। জানা গিয়েছে, টিএলপি নেতৃত্ব ‘রণাঙ্গন’ থেকে পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।

    গুলিতে হত ১১ (Pakistan TLP)

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে পুলিশ যখন প্যালেস্তাইনপন্থীদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের জন্য রাজধানীর দিকে টিএলপির মিছিল রোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন লাহোরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। টিএলপির অভিযোগ, পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতে তাদের ১১ জন কর্মী নিহত হয়, জখম হয় ৫০ জনেরও বেশি (Pakistan TLP)।

    কী বললেন টিএলপি নেতা

    প্রতিবাদের একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এক টিএলপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আজ সকাল থেকে টিএলপির ১১ জন নিহত হয়েছে। অবিরাম শেলিং ও গুলিবর্ষণ চলছে।” প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ১১ অক্টোবর তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে। পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার জুম্মার নমাজের সময় লাহোরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিএলপির প্রধান বলেন, “গ্রেফতার কোনও সমস্যা নয়, গুলি কোনও সমস্যা নয়, শেলও কোনও সমস্যা নয় – শহিদ হওয়া আমাদের নিয়তি (Islamabad Violence)।” পাকিস্তানের মন্ত্রী তালাল চৌধুরী টিএলপির নিন্দে করে বলেন, “গোষ্ঠীটি গাজা সঙ্কটকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ব্যবহার করছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকার কোনও সংগঠনের (Pakistan TLP) হিংসা বা জবরদস্তি সহ্য করবে না।

  • Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের জন্য ভারত সফরে এসেছেন আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Amir Muttaqi)। ৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছন তিনি। তাঁর ভারত সফর চলাকালীনই পাক যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং আশপাশ এলাকায় হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দেয় আফগানিস্তানের তালিবান সরকারও। তালিবানরা ২৫টি পাক সামরিক চৌকি দখল করে, হত্যা করে ৫৮ জন সৈন্যকে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্বের এই আবহে দুই দেশই পরস্পরকে পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে। দুই মুসলিম রাষ্ট্রের এহেন রণহুঙ্কারে উদ্বিগ্ন আরও দুই ইসলামিক রাষ্ট্র – সৌদি আরব এবং কাতার। দ্বন্দ্বের অবসানে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে এই দুই দেশই।

    বিরোধের মূল কারণ (Pakistan Taliban War)

    প্রশ্ন হল, দুই মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিরোধের মূল কারণ কী? ভারতে কি এর কোনও প্রভাব পড়তে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের দেখে নিতে হবে পাক-আফগান সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি কী? যুদ্ধের সম্ভাবনাই বা কতটা? এর উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখে নিতে হবে আফগান বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের দিনগুলিতে ঠিক কী ঘটেছিল ‘আফিমের দেশে’। ৯ অক্টোবর রাতে পাকিস্তান শুধু কাবুলেই নয়, খোস্ত, জলালাবাদ ও পাকতিকা প্রদেশেও বিমান হামলা চালায়। টার্গেট ছিল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রধান নূর ওয়ালি মেহসুদ। ১০ অক্টোবর টিটিপি পাকিস্তানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে এক মেজর, এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ২০ জন সৈন্য এবং ৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

    দাবি, পাল্টা দাবি

    পরের রাতে তালিবান বাহিনী সীমান্ত বরাবর পাল্টা আক্রমণ চালায়। কাবুলে সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, এই সংঘর্ষে ৫৮ জনেরও বেশি পাক সেনা নিহত এবং ৩০ জন জখম হয়েছে। তালিবান বাহিনী অস্থায়ীভাবে ২৫টি পাকিস্তানি চৌকি দখল করেছিল। সংঘর্ষ শেষের পরে সেগুলি পাকিস্তানকে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয় (Amir Muttaqi)। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি জানান, পাকিস্তান কঠোর জবাব দিয়েছে। এতে ৯ জন তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান চুপ করে থাকবে না, ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে।” আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের অভিযান মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের কোনও সীমান্ত লঙ্ঘন হলে পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে (Pakistan Taliban War)। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের রাশ হাতে নেয়। তার পর এই প্রথম পাকিস্তান সরাসরি কাবুলে ড্রোন ও জেট হামলা চালিয়েছে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিবেক মিশ্র বলেন, “সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে পারে। তবে হামলা চলতে থাকলে সম্পূর্ণ যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

    মুত্তাকির ভারত সফরের জেরেই কি পাকিস্তান ক্ষুব্ধ?

    মুত্তাকি ভারতে পৌঁছন ৯ অক্টোবর। সেই দিনই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আফগানিস্তানকে সবচেয়ে বড় শত্রু আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “সেনাবাহিনী ও সরকারের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। আফগান মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ আর সহ্য করা হবে না।” বস্তুত, এরই কয়েক ঘণ্টা পরে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়। পরের দিন এক (Amir Muttaqi) সাক্ষাৎকারে আসিফ অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের দিকে। তাঁর অভিযোগ, “আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে প্রতিশোধ নিচ্ছে ভারত।” তিনি দাবি করেন, “একই ধর্মের পড়শি হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান কখনও ভাইয়ের মতো আচরণ করেনি (Pakistan Taliban War)।”

    আরও খেপে যায় পাকিস্তান

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মুত্তাকির বৈঠকের পর আরও খেপে যায় পাকিস্তান। কারণ যৌথ বিবৃতিতে তালিবান জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দে করে। এর পরেই পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে আফগান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রবল আপত্তি জানায়। এও জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্য রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব ও ওই অঞ্চলের আইনানুগ মর্যাদা লঙ্ঘনের শামিল।ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিক বীণা সিক্রি বলেন, “মুত্তাকির ভারত সফর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে পাকিস্তান।” জেএনইউয়ের অধ্যাপক রাজন কুমার বলেন, “পাকিস্তানের হামলার সময়সূচি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে মুত্তাকির ভারত সফরের সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর ইঙ্গিতও স্পষ্ট। আফগানিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, তবে তার মাশুল গুণতে হবে তাদের (Pakistan Taliban War)।”

    সংঘাতের ৩ কারণ

    প্রশ্ন হল, পাকিস্তান ও তালিবানের সংঘাতের প্রকৃত কারণ কী? নয়ের দশকে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম হয় তালিবানের। তালিবান যোদ্ধাদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দেয় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ১৯৯৬ সালে কাবুল পতনের পর তালিবান সরকারকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল যারা, তাদের মধ্যে ছিল পাকিস্তানও। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে ঢুকলে আমেরিকার পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এর জেরে তালিবান নেতা মোল্লা ওমর পাকিস্তানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন। এর পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের। ২০২১ সালে তালিবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করে। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং, তিনটি বড় ইস্যুতে সংঘাত তীব্র হয়।

    সংঘাতের ইস্যু

    এই ইস্যুগুলি হল, টিটিপিকে (TTP) আশ্রয় দেওয়া। টিটিপি পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হুমকি, যারা ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান তালিবান সীমান্তের ওপারে টিটিপি জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর ওপর রয়েছে সীমান্ত বিরোধ। ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুরান্ড লাইনকে  (Durand Line) (১৮৯৩ সালে এই রেখা টেনেছিলেন ব্রিটিশ অফিসার মোর্টিমার ডুরান্ড) আফগানিস্তান কৃত্রিম ঔপনিবেশিক সীমারেখা হিসেবে অস্বীকার করে। এই রেখাই পশতুন ও বেলুচ সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে রেখেছে (Amir Muttaqi)। ২০২১ সালের পর জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান সীমান্তে বেড়া দিতে শুরু করে। তালিবান প্রশাসন একে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে। আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কারও, দুই দেশের দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ। সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় থেকে পাকিস্তান লক্ষাধিক আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, এখনও প্রায় ১৫ লাখ আফগান পাকিস্তানে রয়েছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান নিরাপত্তা উদ্বেগ ও অর্থনৈতিক বোঝার কথা বলে অ-নথিভুক্ত আফগানদের বহিষ্কার করতে শুরু করে। তালিবান একে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি বলে অভিহিত করে। তারা কবুল করে, আফগানিস্তানের পক্ষে এই শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই (Pakistan Taliban War)।

    তালিবানি কৌশল

    প্রশ্ন হল, যদি সত্যিই যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে কী হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে তালিবানরা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক দুর্বল। তবে পাকিস্তানকে সামরিকভাবে চাপে ফেলতে তারা গেরিলা কৌশল অবলম্বন করতে পারে। রাজন কুমার বলেন, “অস্বীকার করলেও, তালিবান টিটিপিকে মদত দিয়ে চলেছে। তার কারণ উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে যাতে পাকিস্তানকে দু’টি ফ্রন্টে লড়াই করতে বাধ্য করা যায়।এদিকে, সম্প্রতি, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাতে বলা হয়েছে একটির ওপর আক্রমণ উভয়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সৌদি আরব। তাই দ্বন্দ্ব মেটাতে এগিয়ে এসেছে তারা। এগিয়ে এসেছে মুসলিম রাষ্ট্র কাতারও (Pakistan Taliban War)।

    ভারতের ওপর প্রভাব

    প্রশ্ন হল, পাক-তালিবান সংঘাত ভারতের ওপর কী প্রভাব ফেলবে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ও তালিবানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করছে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতকে (Amir Muttaqi)। রাজন কুমারের পর্যবেক্ষণ, তালিবান ভারতের মতাদর্শগত মিত্র না হলেও, তারা নয়াদিল্লির কাছে অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিগত সাহায্য চায়। তবে ভারত সম্ভবত মানবিক ও উন্নয়নমূলক সাহায্যের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে, এড়িয়ে চলবে সামরিক জটিলতা (Pakistan Taliban War)।

  • Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। তার আগে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেল রাজ্যের আরজেডি (RJD) নেতৃত্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ‘ল্যান্ড ফর জবস’ ও ‘আইআরসিটিসি দুর্নীতি’ মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার নির্বাচনের আগে লালু পরিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ‘ল্যান্ড ফর জবস’ মামলায় চার্জ গঠন

    সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু প্রসাদ যাদব গ্রুপ-ডি পদের চাকরির বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের জমি বা সম্পত্তি খুব কম দামে নিজের পরিবারের নামে নেন। এই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে লালু যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতীসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাটনা ও তার আশপাশের বেশ কিছু জমি লালু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৩(২) ও ১৩(১)(ডি) ধারায় চার্জ গঠন করেছে। শেষ দু’টি ধারা শুধুমাত্র লালু যাদবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদিন আদালতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বী- তিনজনেই জানিয়েছেন তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবী বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।”

    আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলা

    এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেল রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দু’টি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বিজয় ও বিনয় কোচারের মালিকানাধীন সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-কে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। আদালত ২৯ মে মামলার শুনানি শেষ করেছিল, সেই থেকে রায় সংরক্ষণ করে, এবং পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারক অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই ২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দিল্লির আদালতকে বলেছিল যে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দিল্লিতে পৌঁছে সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যান লালু প্রসাদ যাদব। অসুস্থতার কারণে তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রেমচাঁদ গুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই মামলায় একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় লালু পরিবারের প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যদিও ঘুষের সরাসরি প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লালু পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আরজেডি-র ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। দুর্গাপুরে (Durgapur medical student rape) ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘মেয়েদের রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়’। তাঁর এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা ও জোর বিতর্ক শুরু হতেই মমতা দাবি করেন, তাঁর কথার বিকৃতি করা হয়েছে। কিন্তু, মমতার সেই দাবি খারিজ করে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই মন্তব্য আসলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ আর নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের চরম ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল।

    প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা

    শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের পিছনের নির্জন এলাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান, কারণ দুর্গাপুরে আর নিরাপত্তা নেই বলে মনে করছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ছাত্রী রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলেন? তাঁর এই প্রশ্ন নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডিও-প্রমাণ সহ জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসলে তাঁর প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা।

    মধ্যযুগীয় মানসিকতার ছাপ

    বিজেপি নেতা রবিরার রাতে টুইটে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচায়ক। তাঁর মন্তব্যের প্রমাণ সহ ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ঢাকতে এখন ভিকটিম শেমিং-ই রাজ্য সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রায় নেই। মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রমাণ করছে প্রশাসনের ব্যর্থতা।’ উদাহরণ দিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে কসবা ল কলেজ, পাঁশকুড়া হাসপাতাল এবং সাম্প্রতিক দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের কথা মনে করিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, মেয়েদের দিনের বেলাতেও বাইরে বেরনো উচিত নয়, তারা পড়াশোনা বা চাকরিও করবে না।’

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিশের

    দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ রিয়াজউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস এবং আপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করতেই গেট বন্ধ করে দেন পুলিশকর্মীরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেত্রী-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন হাসপাতালে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কেন পুলিশ ভিতরে, অথচ সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকেরা বাইরে?

  • Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) আলোয় আলোকিত হতে প্রস্তুত অযোধ্যা। আগামী ১৭ থেকে ২০ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত ‘দীপোৎসব ২০২৫’ উৎসব। প্রভু রামের দর্শনে অযোধ্যায় এই সময়ে বিপুল ভক্ত সমাগম হবে। প্রশাসন এই উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে আসন্ন দীপোৎসবে আযোধ্যার সরযূ নদীর ৫৬টি ঘাট আলোকিত হবে ২৮ লক্ষ মাটির প্রদীপে। যা তৈরি করবে এক নয়া বিশ্ব রেকর্ড। এ বছর দীপোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর।

    দীপোৎসবের প্রধান আকর্ষণ

    দীপোৎসব (Deepotsav in Ayodhya) কেবল একটি উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শের প্রতীক। সরযূর তীরে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ যখন একসঙ্গে জ্বলবে, সেই দৃশ্য বিশ্বজুড়ে ভক্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে। এর আগে ২৬ লক্ষ দীপ জ্বালানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও, প্রস্তুতির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। গত বছর দীপোৎসবে ২৫ লক্ষেরও বেশি দীপ জ্বালানো হয়েছিল। সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এবছর প্রস্তুতি আরও ব্যাপকভাবে নেওয়া হয়েছে এবং দীপোৎসবকে এক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মহোৎসবে পরিণত করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। প্রথমবারের মতো ল‍ক্ষ্মণ কিলা ঘাটকেও উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘাটে প্রজ্বলিত হবে ১.২৫ লক্ষ দীপ। ভজন সন্ধ্যা ঘাটেও ১.৫ লক্ষ দীপ জ্বলবে বলে জানা গিয়েছে। পুরো উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে রাম কি পৈড়ি, যেখানে জ্বলবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ দীপ। উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে, দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই মহোৎসবের সূচনা করবেন তিনি।

    কড়া নিরাপত্তায় শহর

    দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) প্রধান আকর্ষণ রাম কি পৌড়ি এবং রামকথা পার্কের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নয়া ঘাটে সরযু আরতির স্থানটিতেও বিশেষ নজরদারি থাকবে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং মিডিয়াকে পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে কর্মকর্তারা নিযুক্ত হয়েছেন। ২০ অক্টোবর, মূল অনুষ্ঠানের দিন শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, হনুমানগড়ি এবং কারসেবকপুরমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন থাকবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ৪৭ জন রিজার্ভ ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ খাবারের মান পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে। উৎসবের নোডাল অফিসার সন্ত শরণ মিশ্র জানিয়েছেন, ৩৩ লক্ষ দীপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবক। এতে ব্যবহার হবে ৭৫,০০০ লিটার তেল ও ৫৫ লক্ষ সুতির বাতি। ফৈজাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২২টি কমিটি গঠন করেছে দীপোৎসব সফল করতে। কমিটিগুলোর দায়িত্বে থাকবে সমন্বয়, নিরাপত্তা, দীপ গণনা, যান চলাচল, পরিচ্ছন্নতা, গণমাধ্যম, প্রাথমিক চিকিৎসা, সজ্জা, রঙ্গোলি, স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয়পত্র বিতরণ ও সার্বিক তদারকি। সন্ত শরণ মিশ্র বলেন, “আযোধ্যা দীপোৎসব শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শকে উদযাপন করে, ভারতীয় সংস্কৃতির ঐক্যকে তুলে ধরে এবং বিশ্বের সামনে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়।”

  • COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে আলোর উৎসব! শহর থেকে গ্রাম, বাঙালি মেতে উঠবে দীপাবলির (Diwali 2025) আনন্দে! মাটির প্রদীপ হোক কিংবা অ্যারোমা ক্যান্ডেল, নানান রকমের আলোয় সাজবে বাড়ি। তবে তার সঙ্গে বাড়বে বাজির দাপট (Diwali Fireworks)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের উদযাপনে যেন স্বাস্থ্যেও নজর থাকে। তাই উদযাপনের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে এই শহরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বাজির উৎসবের দাপটে রাশ জরুরি!

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    বিশ্ব জুড়ে ফুসফুসের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত সিওপিডি-র মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে গত কয়েক বছরে বেড়েছে। সিওপিডি (COPD) আক্রান্তেরা শ্বাসকষ্ট, ঘনঘন কাশি-সর্দিতে ভোগান্তি, বুকের ভিতরে একটা চাপ অনুভব করার মতো নানান উপসর্গে ভোগেন। এর জেরে তাঁরা ক্লান্তি অনুভব করেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটও বাড়ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সিওপিডি-তে (COPD) আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। প্রতি দশ সেকেন্ডে একজন সিওপিডি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। কারণ, কলকাতা, হাওড়ার মতো শহরে বায়ুদূষণ (Air Pollution) মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তাই এ রাজ্যেও সিওপিডি বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে কলকাতায় শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সিওপিডি-র (COPD) সমস্যা বেড়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে সারাজীবন তাদের নানান শারীরিক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাজি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা চিকিৎসকদের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক শহর, এছাড়াও দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো রাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে মানুষের সহনশীলতার তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি দূষিত পদার্থ রয়েছে। এর জেরেই রাজ্যে ফুসফুসের অসুখ (COPD) বাড়ছে। বাজি এই পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শব্দ বাজির পাশপাশি নানান ধরনের আলোর বাজি পোড়ালে বাতাসে একধরনের সাদা ধোঁয়া (Diwali Fireworks Air Pollution) মিশে যায়। এই ধোঁয়া আসলে বিষাক্ত রাসায়নিক। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফারের মতো একাধিক শরীরের পক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ও উপাদান বাতাসে মিশতে থাকে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের দাপট বাড়ে। তাছাড়া সিওপিডি আক্রান্তদের জন্য ও পরিস্থিতি সঙ্কটজনক‌ হয়ে ওঠে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    সকলে একসঙ্গে উৎসব পালন করতে পারলে তবেই উদযাপনে আনন্দ। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন উৎসব উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব গ্রিন বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব না হলে সেই বাজি পোড়ানো উচিত নয়। তাতে নতুনভাবে সিওপিডি (COPD) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। রোগীদের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক হতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি প্রশাসনের তৎপরতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বেআইনি বাজি নির্মাণ বন্ধ করা, বাজারে পরিবেশবান্ধব নয়, এমন বাজি যাতে রমরমিয়ে বিক্রি হতে না পারে সে দিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। সাধারণ মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা না বাড়লে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

    সুস্থ থাকতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের ঠিকমতো নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক পরে তবেই বাইরে যাওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে বাতাসে দূষিত (Air Pollution) উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মাস্ক পরলে কিছুটা (COPD) রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত আদা এবং এলাচের মতো মশলা রান্নার উপকরণ হিসাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মশলা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। তাই এই সময়ে এই ধরনের মশলাযুক্ত খাবার খেলে বাড়তি উপকার হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share