Blog

  • Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। সেই বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, ফোন করে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এই বিষয়টি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এই বিষয়টি জানানোর জন্য পুতিনকে  ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট মোদির (PM Modi)

    এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পুতিনকে বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করে লেখেন, ‘‘সম্প্রতি আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর (পুতিন) বৈঠকের বিষয়বস্তু আমার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’ মোদি আরও জানিয়েছেন, ভারত ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। যুদ্ধ বন্ধের সকল প্রচেষ্টাকে ভারত সমর্থন করে বলেও জানিয়েছেন মোদি।

    কথা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও

    জানা যাচ্ছে, আলাস্কার বৈঠক বা ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গই নয়, মোদি এবং পুতিনের (Putin) মধ্যে এই কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও একাধিক প্রসঙ্গ। ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

    ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ভারতেরও, কারণ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ওপর শুল্কও বৃদ্ধি করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে কী জানিয়েছিলেন ট্রাম্প

    বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে, এই বৈঠক হতে চলেছে মূলত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত থামানোর বিষয়ে। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, আলাস্কায় গত ১৫ অগাস্ট এই বৈঠক ৩ ঘণ্টা ধরে চলে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্রই বের করা যায়নি। কিন্তু বৈঠকের পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুজনেই বলেন বৈঠক ফলপ্রসূ।

    বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

    অন্যদিকে, গত শনিবারে ভারত আলাস্কায় রাশিয়া এবং আমেরিকার এই বৈঠকে স্বাগত জানায়। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি আসে যে, ভারত স্বাগত জানাচ্ছে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) এই বৈঠককে।

    ট্রাম্পের সুর নরম

    প্রসঙ্গত রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক চড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপরে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর কিছুটা নরম বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। কারণ, ওই বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আজ যা হল, আশা করি এর পর আর ওটা (শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওটা নিয়ে আমাকে আবার ভাবতে হবে। এখন কিছু নয়। আমার মনে হয়, বৈঠক খুব ভালো হয়েছে।’’

  • Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বেরোয়নি রাজ্য জয়েন্টের ফল। আদালতে মামলা চলছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt)। সোমবার রাজভবনের (Rajbhavan) বাইরে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। ইচ্ছে করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বেসরকারি জায়গায় প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে। আদতে এমন কাজ করে বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর।

    ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের কাছে বিজেপির ১৫ জন বিধায়ক এসেছিলাম আমরা। বিধায়কদের যারা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা আজ এসেছিলেন। ছাত্রছাত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান সবটাই বাংলায় বিপন্ন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর যা করছে এধরনের শিক্ষা বিপর্যয় স্বাধীনতার পর দেশে হয়নি। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চলছে রাজ্য। তিন মাস আগে বাংলায় উচ্চ মাধ্যমিক এর রেজাল্ট বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভর্তির প্রক্রিয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনও শুরু হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পর ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য রাজ্যে। এই ঘটনায় রাজ্যের ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত।’’

    ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ

    এতদিন আইনি জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা নেই বলেই জানায় আদালত। তারপরও সেই ফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। কেন জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হচ্ছে না, এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘বিগত কয়েক বছরে চিটফান্ড (Chitfund) উঠে গেছে ইডি-সিবিআইয়ের চাপে। তাই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।’’ তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এব্যাপারে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছি। বিকাশ ভবনে গেলে মেরে তুলে দেবে। নবান্ন তো যেতেই দেবে না। তাই আমরা রাজ্যপালের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি। আমরা অনুরোধ করেছি এব্যাপারে রাজ্যপাল আমাদের যেন রিপোর্ট দেন যে রাজ্য কী করল।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে (Suvendu Attacks Mamata) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু জানান, এই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন। কারা থাকবে এই ধর্নায় তাও স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু। জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়করা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা হবে। আর এক্ষেত্রেও যদি পুলিশি অনুমতি না মেলে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো খেতে বসা কিংবা ঘুমোনোর জন্যও হয়রানি হচ্ছে। মনোযোগের অভাবে সাধারণ জিনিসেও ভুল হচ্ছে। আবার মনের মতো কিছু না হলেই বিপত্তি! পরিবারের একরত্তি সদস্যের মারাত্মক জেদ আর খিটখিটে‌ মেজাজ সামলাতে অনেক বাবা-মা হিমশিম খাচ্ছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের এই মেজাজ হারানোর সমস্যায় অধিকাংশ অভিভাবক নাজেহাল। অতিরিক্ত জেদ এবং খিটখিটে মেজাজের জন্য অনেক সময়েই তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এমন অনেক আচরণ তারা করছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ফলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে বারো বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অনেক সময় এর থেকেও কম বয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

    কেন সন্তান জেদি এবং খিটখিটে হয়ে উঠছে?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যেকোনও সামান্য বিষয়েও মারাত্মক জেদ করলে কিংবা দিনের অধিকাংশ সময়ে খুব খিটখিটে মেজাজে থাকলে তার প্রতি বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানের লাগাতার জেদ আর খিটখিটে স্বভাবের জন‌্য অভিভাবকেরা তাকে অতিরিক্ত শাসন করেন‌। এর ফল হয় উল্টো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তিবোধ শিশুকে খিটখিটে স্বভাবের করে তুলতে পারে। এর ফলেই তৈরি হয় একগুঁয়ে আর জেদি মনোভাব। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু খুব কম বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় তারা তালিম নেয়। অর্থাৎ, দিনের অধিকাংশ সময় নানান প্রশিক্ষণের মধ্যেই কাটে। একটা মানসিক চাপ সব সময় কাজ করে। এর ফলে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে থাকে। তার উপরে যেকোনও বিষয় নিয়ে আরো বাড়তি চাপ দিলে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনের কতটা সময় স্ক্রিন টাইম কাটায় সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বাড়িতেই বিনোদন হিসাবে সন্তানের হাতে‌ মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়‌। কিন্তু মোবাইল কখনোই শিশুর অবসর যাপনের মাধ্যম হতে পারে না। এতে মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ তৈরি করে। চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন একাধিক বিষয় শিশু মোবাইল থেকে শেখে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর তার থেকেই তৈরি হয় খিটেখিটে স্বভাব।

    তবে সন্তানের অতিরিক্ত জেদের কারণ একাকিত্ব বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হচ্ছে। তাই ভাগ করে নেওয়া, অপেক্ষা করা কিংবা অন্যকে ভালো বলার মতো স্বাভাবিক গুণ ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ পরিবারে বাবা এবং মা দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই শিশু দিনের একটা বড় অংশ মা-বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। এর ফলে তাদের মধ্যে একটা একাকিত্ব গ্রাস করে। আবার নানান সামাজিক বিনিময় ও ঠিকমতো হয় না। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের আচরণে পড়ে।

    কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর খুব সামান্য জিনিস নিয়ে জেদ করা কিংবা পরিবারের যেকোনও সদস্যের সঙ্গে আচরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে না।‌ তবে কখনোই অতিরিক্ত বকাবকি চলবে না। তাঁদের পরামর্শ, শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে। নিজের মতো কিছুটা সময় খেলাধুলা করা জরুরি। এতে সারাদিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমে। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়ার পাশপাশি যাতে শিশুর খেলার সময় থাকে, সেটা সন্তানের দৈনন্দিন রুটিন তৈরির সময় অবশ্যই নজর দিতে হবে।

    পাশাপাশি শিশুর বিশ্রামের দিকে নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বিশ্রামে ঘাটতি হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। রাগ, জেদ বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। আর তার ফলেই এই মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সন্তান নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হবে। ক্লান্তি কমবে। মানসিক অস্থিরতাও থাকবে না।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিনোদন মানে কখনোই স্ক্রিন টাইম নয়। সন্তানকে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, সাইকেল চালানো, রঙ করা কিংবা গল্পের বই পড়ার মতো বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভ্যাসে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। মস্তিষ্কে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয় না। বরং মানসিক চাপ কমে।

    পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি। তাই ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে দাবা, লুডো খেলা কিংবা একসঙ্গে মাঠে যাওয়া অথবা গান শোনার জন্য সময় বরাদ্দ জরুরি। এতে সন্তানের মনে কি চলছে সে সম্পর্কে সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। আবার অনেক আচরণ সম্পর্কে তাদের সহজেই শেখানো‌ যায়। এতে জটিলতা কমে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 19 August 2025: অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 August 2025: অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অফিসে কোনও বরিষ্ঠ আধিকারিকের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না, লোকসান হতে পারে।

    ২) রাগ ও বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সামাজিক সম্মান পেতে পারেন।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) সাফল্য লাভ করবেন আজ।

    ৩) চাকরিতে কোনও আধিকারিকের বিরাগভাজন হতে পারেন।

    মিথুন

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

    ২) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতকদের উন্নতিযোগ।

    ৩) মায়ের প্রতি বিশেষ স্নেহ থাকবে।

    কর্কট

    ১) সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে।

    ২) ধনবৃদ্ধির ক্ষেত্রে জীবনসঙ্গীর পরামর্শে লাভ হবে।

    ৩) সন্তান কিছু সমস্যার মুখোমুখি হবে, তাই সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) শত্রু প্রবল হবে আজ, তবে তাঁরা আপনার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।

    ২) সাফল্যলাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) সামাজিক কাজে সন্তানের রুচি বাড়বে।

    কন্যা

    ১) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ২) পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত থাকবেন আজ।

    ৩) বিবাদ হতে পারে নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    তুলা

    ১) পদ-প্রতিষ্ঠা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাছের ও দূরের ভ্রমণ যাত্রার আয়োজন করে থাকলে, তা স্থগিত হতে পারে।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় মগ্ন থাকবেন।

    ২) অর্থাভাবের কারণে চিন্তিত থাকবেন এই রাশির জাতকরা।

    ৩) শ্বশুরবাড়ির তরফে ধনলাভ।

    ধনু

    ১) সাবধানে গাড়ি চালান।

    ২) গাড়ি খারাপ হওয়ায় অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) সন্তানের জন্য উপহার কিনতে পারেন।

    মকর

    ১) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য থাকবে।

    ২) জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা অর্জন করবেন।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায় বরিষ্ঠদের দ্বারা লাভান্বিত হতে পারেন এই রাশির জাতকরা।

    কুম্ভ

    ১) নিজের জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও উপহার কিনতে পারেন।

    ২) মা-বাবার স্নেহ পাবেন।

    ৩) ভাই-বোনের স্বাস্থ্য দুর্বল হবে, তাই সতর্ক থাকুন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল।

    ২) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে ভালো ফল করতে পারবেন।

    ৩) বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে মনে আনন্দ থাকবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

  • Ramakrishna 445: ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়

    Ramakrishna 445: ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ওদের বইয়ে অনেক কথা আছে বটে, কিন্তু যারা বই লিখেছে তারা ধারণা করতে পারে না। সাধু সংঘ হলে তবে ধারণা হয়। ঠিক ত্যাগী যদি, সাধু যদি উপদেশ দেয়, তবেই লোকে সে কথা শোনে। শুধু পণ্ডিত যদি বই লিখে বা মুখে উপদেশ দেয়, সে কথা তত ধারণা হয় না। যার কাছে গুড়ের নাগরী আছে, সে যদি রোগীকে বলে গুড় খেও না, রোগী তার কথা তত শোনে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: আচ্ছা, পূর্ণের অবস্থা কীরকম দেখেছো? ভাব-ধাব কি হয়?

    মাস্টার: ওই ভাবের অবস্থা বাইরে সেরকম দেখি, দেখতে পাই না। আপনার সেই কথাটি তাকে বলেছিলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: কোন কথাটি?

    মাস্টার: সেই যে আপনি বলেছিলেন, সামান্য আধার হলে ভাব সংবরণ করতে পারে না; বড় আধার হলে ভিতরে খুব ভাব হয়, কিন্তু বাইরে প্রকাশ থাকে না। যেমন বলেছিলেন—সাইয়ের দিঘিতে হাতি নামলে টের পাওয়া যায় না, কিন্তু ডোবাতে নামলে তোলপাড় হয়ে যায় আর পাড়ের উপর জল উপচে পড়ে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “বাহিরে ভাব হলেই তো হবে না। তার আকর আলাদা চাই। আর সব লক্ষণ ভালো, তা ঠিক, কিন্তু…”

    মাস্টার:
    – “চোখদুটো বেশ উজ্জ্বল — যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “চোখ উজ্জ্বল হলেই হয় না। তবে ঈশ্বরীয় চোখ আলাদা। আচ্ছা, তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলে?”

    মাস্টার:
    – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “তবে আর কী?”

    ঠাকুর চুপ করে থাকেন।
    মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

    মাস্টার:
    – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “কে?”

    মাস্টার:
    – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

  • BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায়  ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ করতে রাজ্য বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চাকে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। অবশ্য ঘোষণা নয়, এই কর্মসূচির কথা প্রস্তাব আকারে পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতাদের তা বিবেচনাও করতে বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল।

    ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ (BJP)

    সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নারী শক্তি সম্মেলনে’র। রাজ্য মহিলা মোর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন এবং মীনাদেবী পুরোহিত। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাস ছয়েক (পুজোর মাস এবং অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে) দেরি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বনশল। এই কয়েক মাসে মহিলা মোর্চাকে কোন কোন জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, তা উল্লেখ করার পর বনশল বলেন, “আমি চাই ব্রিগেডে যেমন জনসভা হয়, সেই রকম ভাবে কলকাতায় এক লাখ মহিলার জমায়েত করা হোক। কারণ এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। তাই মহিলারাই পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর ডাক দেবেন।” তিনি বলেন, “এখানে শুভেন্দুদা রয়েছেন। তিনি এবং অন্য নেতারা যদি আমার সঙ্গে সহমত হন, তাহলে আমার মনে হয় একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া যেতেই পারে। জনসভা নয়। সারা বাংলা থেকে এক লাখ মহিলা এসে নামবেন কলকাতার রাস্তায় আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দেবেন (BJP)।”

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “যদি আমরা এক লাখ মহিলাকে নিয়ে এই মহিলা ব্রিগেড করতে পারি, তাহলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড। আপনারা যাঁরা আজ এখানে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ২০০ জন করে মহিলাকে আনতে পারলেই সংখ্যাটা এক লাখ ছাপিয়ে যাবে। আজ থেকেই খাতায় নাম লিখতে শুরু করুন যে, আমি এই ২০০ জনকে আনব।” মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, “ব্রিগেডেই হোক বা কলকাতার রাজপথে, লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে কলকাতার বুকে এই কর্মসূচি রূপায়িত (Sunil Bansal) হলে, তাহলে তা সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে (BJP)।”

  • Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। অভিযোগের আইনি ভিত্তি থাকতে হয়। বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দাখিল করা হলফনামা প্রসঙ্গে রবিবার এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। তিনি জানান, গত দুই দশক ধরে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির ভিত্তিতেই প্রথমে বিহার থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

    সরাসরি অভিযোগ করা যায় না

    এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আধার (Aadhaar) সম্পর্কিত নানা বিষয়েও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমার জানান, “প্রতিনিধিত্ব আইনের (Representation of the People Act) অধীনে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একজন বৈধ ভোটারই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “অবৈধ ভোটার বা সাধারণ নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন না; তবে সাক্ষী হিসেবে তথ্য দিতে পারেন, যদি তা শপথনামার মাধ্যমে নির্বাচনী অফিসারের (ERO) সামনে পেশ করা হয়।”

    স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেন, ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ১৮,০০০ ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কমিশন এসব আমলে নিচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বিরোধী দলগুলির তরফে ভোট চুরির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এবং বিএলও-রা মিলে স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ করছেন এবং প্রক্রিয়াটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন স্বাক্ষর ও ভিডিও টেস্টিমোনিয়ালের মাধ্যমে। কমিশনের অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও বুথ লেভেল এজেন্টদের এই অনুমোদন রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

    আধার বাধ্যতামূলক নয়

    আধার ইস্যুতে, নির্বাচন কমিশনার জানান, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়। তবে অভিযোগকারীরা চাইলে আধার কার্ড সমর্থক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন এই নিয়ম মেনে চলে।” এদিকে, আধার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত মামলাটি আগামী ২২ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে উঠছে। আদালত এই বিষয়ে আরও আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত পুলিশের স্ত্রী-রা আইন অনুযায়ী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে পুলিশের কয়েকজন ঘরণী সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রেস ক্লাবে। তাঁদের দাবি ছিল কেন পুলিশের বাড়ির মেয়ে-বৌদের হেনস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তাঁরা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, আগে থেকেই এই মহিলাদের ‘ট্রেনিং’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই পরিকল্পিত সাংবাদিক বৈঠকের আগের ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখান বিরোধী দলনেতা।

    রাজ্যপালের দ্বারস্থ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী পুলিকর্মীদের স্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। আমরা মামলা করব। আমরা রাজ্যপালকে এটা জানিয়েছি। ওনাকে তদন্ত করতে বলেছি। এটা সার্ভিস রুলের অবমামনা। অফিসারদের স্ত্রীদের দিয়ে অভিযোগা কারনো হয়। মূলত আমাকেই টার্গেট করা হয়। বিরোাধী দলনেতা নিজে পুলিশকে অশালীন কথা বলছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” এরপর বলতে শুরু করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের বাড়ির গৃহিণীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইরে দেখানো হয় পুলিশের স্ত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মূলত আমায় টার্গেট হয়েছে।”

    মানহানির মামলা করবেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর দাবি, কলকাতা পুলিশের শান্তনু সিনহা বিশ্বাস তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’। কলকাতা পুলিশ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ এই সংগঠন তৈরি করেছে। প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এদের জড়ো করা হয়েছিল পিটিএস অডিটোরিয়ামে। শুভেন্দু বলেন, “এদের ব্রিফ করেন শান্তনু, বিজিতেশ্বর রাউত। এই শান্তনু ও বিজিতেশ্বর দু’জনই প্রমোশন পেয়েছেন। তিনটে সরকারি বাস আনা হয়েছে। সরকারি কি না জানি না। রুট ২৩০। যে বাস ওসি আলিপুর এনেছে প্রেস ক্লাবে। কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার হয়েছে। নম্বর-ডব্লুবি০৪জি৯৫৭১ ( WB04G9571)।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর উকিল আইনি নোটিস দিয়েছে। তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সপ্তাহেই শুভেন্দু মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    কারা ছিলেন ওই বৈঠকে

    এরপর যে যে পুলিশের স্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তাঁদের নাম পরিচয় জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী সালমা সুলতানা। এই আতাউর রহমান বিজিএল এমটিএস ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পোস্টেড। ওইদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় দে। যিনি কনস্টেবল সায়ন্ত দে-র স্ত্রী। এছাড়াও ছিলেন এএসআই অতনু বাজের স্ত্রী। এই বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামীদের প্রায়শই অশালীন ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে হেনস্থা এমনকী জুতো দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

    মনোজ ভার্মাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মিথ্যে মামলার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে এদিন নিশানায় আনেন শুভেন্দু। সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতার সিপি, একজন কুখ্যাত আইপিএস। গোটা জঙ্গলমহলে অত্যাচার করেছেন এই মনোজ ভার্মা…২০০৯, ‘১০,’১১-এর আগে পর্যন্ত। আদিবাসী ছেলেগুলিকে মাওবাদী তকমা দিয়ে তুলে এনে মারতেন। এই কুখ্যাত লোকটি সেদিন অভয়ার মায়ের উপর অত্যাচার করিয়েছেন।” শুভেন্দুর কথায়,  ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, “সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।”

    কী করে ডিসি পদে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে ডিসি করা হবে বলে ৮টা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছরে তিনবার প্রোমোশন করিয়ে কয়েকদিন আগেই ডিসি করা হয়েছে। তিনি জানান, বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এও জানান, এই ইস্যু নিয়ে আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।

LinkedIn
Share