Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান, লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

Pakistan_Economic_Crisis_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানও অর্থনৈতিক সংকটের (Pakistan Economic Crisis) সম্মুখীন। নিত্য বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মুদ্রাস্ফীতিও চরমে পৌঁছেছে। ফলে সে দেশের সাধারণ মানুষের দুবেলার দুমুঠো ভাত জোগাড় করাটাই এখন সবচেয়ে বড় লড়াই। অবস্থা এমন যে, দুবেলা পেট ভরে ভাত বা রুটি খেতে পারছে না সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্তরাও। কারণ চাল, গম, আটার দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রান্তিক মানুষরা। চাল, আটা ছাড়াও দাম বেড়েছে চিকেন, পেঁয়াজ, দুধ, ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। দুবেলার খাবারের জন্যে হাহাকার করছেন পাকজনতা।

আকাশ ছুঁয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম 

পাকিস্তানে প্রতি কেজি চিকেনের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮০ পাক মুদ্রা (Pakistan Economic Crisis)। একবছরে পিঁয়াজের দাম ৩৭ পাক মুদ্রা বেড়ে এখন তা প্রায় ২০০ পাক মুদ্রা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ শতাংশ। প্রতি কেজি ডালের দাম ২৫০ পাক মুদ্রা। এক ডজন কলার দাম ১২০ পাক মুদ্রা। অন্যদিকে, অসুস্থ রোগী ও শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুধের দাম রয়েছে ১৫০ পাক মুদ্রা/ লিটার। বড় সমস্যার মুখে পাকিস্তানবাসী। 

২০০ টাকার চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮০ টাকা। প্রায় দ্বিগুণ (Pakistan Economic Crisis)। পাশাপাশি নুনের দামও দেড়গুণ বেড়েছে। এছাড়া দুধের দাম গত বছরের শুরুতে ছিল ১১৫ পাকিস্তানি রুপি, এখন তা  প্রতি লিটার ১৫০ পাক মুদ্রা।

গত কয়েক ধরেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে বাড়ছে। গত একবছরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি (Pakistan Economic Crisis) ১১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২.৭ শতাংশ হয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে খাবারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধিকেই।

পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Pakistan Economic Crisis) দ্রুত খালি হচ্ছে। গত এক বছরেই পাকিস্তানের সংগ্রহে যা বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, এখন তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারের পরিমাণ ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২২- এর ডিসেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ১১.২ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রা কম হওয়ার ফলে প্রয়োজনের সময় ঋণ পাওয়া কষ্টসাধ্য হতে পারে পাকিস্তানের জন্য।

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেও উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নামতে পারে -৪ ডিগ্রিতে

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমনিতেই বন্ধু হারিয়েছে এই দেশ। আন্তর্জাতিক তহবিলের (Pakistan Economic Crisis) তথ্য অনুযায়ী, ঋণের বোঝা বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। ২০১১ সালে পাকিস্তানের ঋণ ছিল ৫২.৮ শতাংশ, ২০১৬ সালে সেই ঋণের পরিমাণ হয় ৬০.৮ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, এই বছর সেই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৭.৮ শতাংশ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 

  
    
   
 
  

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share