মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল মোদি সরকার (Modi)। ভারতের অভিযোগের ভিত্তিতে পাকিস্তান (Pakistan Govt) সরকারের অফিসিয়াল অ্যাকউন্ট বন্ধ করে দিল ট্যুইটার। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, এখন থেকে পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকউন্ট দেখা যাবে না ভারতে। ঠিক কী কারণে পাকিস্তানের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হল, তা নিয়ে অবশ্য কোনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি করেনি ভারত সরকার। তবে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের তরফে আইনি দাবির পরেই পাকিস্তানের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই খুশির খবর! ১ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। দুই প্রতিবেশী দেশের ডিজিটাল যুদ্ধ চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। চলতি বছর জুনে একই ঘটনা ঘটেছিল। ভারতে খোলা যাচ্ছিল না পাকিস্তানের ট্যুইটার অ্যকাউন্ট। পরে অবশ্য সমস্যা মিটে যায়। তবে এবার পাকিস্তানের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে বিভিন্ন কারণ খোঁজা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ নিয়ে ভারতের কড়া সমালোচনা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahabaz Shareef)। দুই দেশের সম্পর্কের মাঝে এটা বড় অন্তরায় হচ্ছ বলেও তিনি অভিযোগ করেন। যা একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি মোদি সরকার (Modi)। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও (India)। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ করার দাবি তুলেছিল নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে পাক মদতপুষ্ট বেশ কিছু ইউ টিউব চ্যানেল ভারতের বিরুদ্ধ প্রচার চালাত। সেই চ্যানেলগুলিও সম্প্রতি বন্ধ করে দিয়েছে ট্যুইটার। একই ভাবে পাকিস্তান থেকে চারটি ফেসবুক পেজ ও চারটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও ভারতে বন্ধ হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours