মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শহরে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির পারদও চড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)আসন্ন। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। কে-কাকে টেক্কা দেবে? চলছে সেই প্রস্তুতি। বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার রাজ্যে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মহাগুরু।বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
ময়দানে মহাগুরু
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলনেও অংশ নেবেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মিঠুন চক্রবর্তী শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের আইকন। চলতি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করবেন।"
আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বাঙালি আবেগ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। বলি-তারকার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার সভা করে গেরুয়া শিবির। তাঁকে ঘিরে বাঙালির যে আবেগ এবারও তাকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাংগঠনিক তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। 'শক্তি মণ্ডল' তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তারা বুথ কমিটিও তৈরি করবে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে,পঞ্চায়েত ভোটে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। সেই জন্য প্রচারের কাজে লাগানো হবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসেছিলেন মহাগুরু। নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তখন তোলপাড়। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হতাশ মিঠুন বলেছিলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours