Partha Chatterjee: জল তুলে এনে স্নান করিয়ে দিতে হবে! জেলে নতুন বায়না পার্থর

partha-2

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আর জেলে আসা থেকেই হরেক রকম বায়না জুড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁকে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় রোজই নতুন নতুন বায়না জুড়ে বিপদে ফেলেন তাদের। 

প্রেসিডেন্সি জেলে খাদ্য তালিকা ঠিক করাই রয়েছে। আর সেই নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয় বন্দিদের। নিয়ম মেনে বন্দিদের সপ্তাহে তিন দিন দুপুরে আমিষ পদ দেওয়া হয়। মাছ হলে প্রত্যেক বন্দি পান দু টুকরো এবং মাংস হলে চার টুকরো। এ নিয়মের অন্যথা হয় না। কিন্তু সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁকে চার টুকরো মাছ এবং মাংস হলে ছ টুকরো দিতে হবে বলে জেদ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অন্য বন্দিদের থেকে তাঁকে সব সময় বেশি দিতে হবে।  

এখানেই থেমে যান নি পার্থ বাবু। খাবার নিয়ে বায়না ছিল শুরু থেকেই। এবার এক নয়া বায়না জুড়েছেন তিনি। তাঁর নতুন দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে মগ দিয়ে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ারও লোক চাই। নিরাপত্তার কারণে ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডে পার্থের দু নম্বর সেলের সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল রাখা থাকে। এত দিন তিনি নিজেই মগ দিয়ে সেই ড্রামের জল তুলে স্নান করতেন। কিন্তু এখন আর তাতে রাজি নন প্রাক্তন মন্ত্রী। জেল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের কোনও আইন বা বিধি নেই। পার্থ অসুস্থ নন। শারীরিক ভাবে তিনি সক্ষম। সে-ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিন্তু তা মানতে নারাজ পার্থ।

আরও পড়ুন: ‘রোজগার মেলা’য় ফের ৭১ হাজার তরুণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

এখানেও বায়না থেমে থাকলে তাও হত। কারারক্ষীদের আরও অভিযোগ, তাঁর ফোনের সময় কোনও রক্ষী আশেপাশে থাকা চলবে না। তাঁর সেলের সামনে সর্বক্ষণ রক্ষী রাখা যাবে না, অনুমতি নিয়ে সেলের সামনে আসতে হবে বলে দাবি করেছেন পার্থ। এ দাবিও মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কারারক্ষীরা। উল্লেখ্য, জেলের ফোন থেকে প্রত্যেক বন্দি যে-কোনও তিনটি নম্বরে দশ মিনিট কথা বলতে পারেন। পার্থ দু’টি নম্বর জেল-কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন। একটি তাঁর আইনজীবীর, অন্যটি তাঁর এক আত্মীয়ের। 

হেফাজতে পার্থ 

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপর একে একে গ্রেফতার হন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আপাতত প্রত্যেকেই জেলে রয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ইডি জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share