মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় (Pariksha Pe Charcha) অংশগ্রহণের জন্য এই বছর ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থীর নাম রেজিস্টার করিয়েছেন। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রত্যেক বছরই পরীক্ষার চাপ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় অন্তত ১৫ লক্ষ বেশি ছাত্রছাত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছেন। ২৭ জানুয়ারি নয়া দিল্লির তালকাটোরা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “পরীক্ষা পে চর্চায় অংশগ্রহণের জন্য এই বছর ৩৮ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী রেজিস্টার করেছেন। এর মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী রাজ্য বোর্ডের। পিপিসি ২০২২-এর তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেশি। দেশের বাইরে ১৫৫টি দেশ থেকেও নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।”
কী বলেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?
মন্ত্রী আরও বলেন, “পরীক্ষা পে চর্চা (Pariksha Pe Charcha) গত কয়েক বছর একটি গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যেভাবে বেড়েছে, সেটাই এর প্রমাণ। এই অনন্য এবং জনপ্রিয় উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাদের মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে এই উদ্যোগ খুব কার্যকরি। প্রায় ২,৪০০ শিক্ষার্থী তালকাটোরা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উপকৃত হবে। একই সময়ে, কোটি কোটি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ স্কুল বসে সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখতে পারবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এনসিইআরটির কলা উৎসব প্রতিযোগিতার ৮০ জন বিজয়ী এবং সারা দেশ থেকে ১০২ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিশেষ অতিথি হিসাবে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “কর্মসূচিতে (Pariksha Pe Charcha) অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষার্থীদের আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে রাজঘাট, সদৈব অটল, প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর, কর্তব্য পথের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে। কলা উৎসবের বিজয়ী এবং নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং ২৯ জানুয়ারি বিটিং রিট্রিটও দেখতে পাবেন।” প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে সারা দেশের ৫০০টি জেলায় একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এর থিম ছিল প্রধানমন্ত্রীর ‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স’ বইতে দেওয়া মন্ত্রসমূহ। ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, "এই বইটির অসাধারণ সাফল্য বিবেচনা করে, এটিকে ১১টি ভারতীয় ভাষায় প্রকাশ করা হচ্ছে। অহমীয়া, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু ভাষাতেও এই বই পাওয়া যাবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours