মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজকীয় পরিবার প্রথম ক্রিসমাস উদযাপন করবেন। কিন্তু এই উদযাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। এমনকি পিতা রাজা তৃতীয় চালর্সের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করতে পারে। এমনটাই সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে। তবে কেন থাকবেন না ক্রিসমাসের সময়ে, এই নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই প্রিন্স হ্যারির লেখা বই ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হতে চলেছে। আর তার ব্যস্ততার মাঝেই তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানা গিয়েছে। তাঁর লেখা ‘স্পেয়ার’ বইটি একটি আত্মজীবনী। ইতিমধ্যেই বইটিকে শকওয়েবে পাঠানো হয়েছে ও ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি এটি প্রকাশিত হতে চলেছে। ফলে তাঁর এই আত্মজীবনীতে কী কী লিখেছেন তা নিয়ে আগ্রহ প্রায় পুরো বিশ্ববাসীর।
হ্যারি রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রয়াত প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়নার ছোট ছেলে। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাতি তিনি বেঁচে থাকতেই রাজ উপাধি বর্জন করেছেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর রাজপরিবারের সঙ্গে হ্যারির যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল, সে বিষয়গুলো আত্মকথাতে উঠে আসবে। ২৫ বছর আগে তাঁর মা ডায়ানার মৃত্যুতে রাজপুত্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সে বিষয়েও লেখা হবে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ডায়নার মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে কীভাবে বেড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। সেসব কথাই লিখেছেন হ্যারি। এই আত্মকথাতেই উঠে আসবে কেন হ্যারি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে আমেরিকা চলে যান।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে বইটি বাজারে আনতে চলেছে খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা ‘পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস’। পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে যে স্মৃতিকথা সম্পর্কে একটি বিবৃতিতে, পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস বলেছে যে ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটিতে হ্যারিকে নিজের জীবনের কথা সততার সঙ্গে বলতে দেখা যাবে। এছাড়াও হ্যারি ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি এই বইটি একজন রাজপুত্র হয়ে নন, এক মানুষ হিসেবে লিখেছেন।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, ‘স্পেয়ার’ ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রকাশিত হবে। আরও ১৫টি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours