মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। রবিবার রাতের পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের একই জায়গায় পর পর দুবার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। যাতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আরও ১ শিশুর। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের সকলেই শিশু ও মহিলা। আর রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজৌরিতে পরপর দুটি জঙ্গি হামলায় নিহতরা সকলেই হিন্দু। আর এই ঘটনায় এবারে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনআইএ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত শুরু করছে। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এবং এল-জি মনোজ সিনহাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
রাজৌরিতে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
রাজৌরিতে (Rajouri) পর পর দুটি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন শিশু সহ পাঁচ জন। আর এর পর থেকেই জম্মু জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত ছাড়াও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বজরং দল। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানো তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘটনাস্থলে এনআইএ
সন্ত্রাসী হামলার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের আপার ডাংরি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে এনআই-এর আধিকারিকরা। এছাড়াও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এবং এল-জি মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন: বাংলা সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন! চলে গেলেন সুমিত্রা সেন
কী ঘটেছিল?
নতুন বছরের প্রথম দিন রবিবার রাতে আপার ডাংরি গ্রামের ৩টি বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুই জঙ্গি। এতে চারজনের মৃত্যু হয় ও আহত হন ৬ জন। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এর পর সোমবার সকালেই ফের হামলা চালানো হয়। একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গীরা। ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণের ফলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। আর এর প্রতিবাদে সোমবার বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন বনধের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স যৌথভাবে সন্ত্রাসী হামলার পিছনে দুই ‘সশস্ত্র’ জঙ্গীকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কার্যালয় ঘোষণা করেছে যে নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে একটি সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। আর গুরুতর আহতরা পাবেন এক লক্ষ টাকা।
আবার সন্ত্রাসী হামলায় শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ। সাংসদ গুলাম আলি খাতানা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ধরনের হামলার উদ্দেশ্য ছিল শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি পুনরুদ্ধার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রশাসনকে আহতদের ভালো চিকিৎসা করানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply