মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামলাকারীর ছুরিতে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর প্রায় ৬ মাস কেটে গিয়েছে। সেই হামলার পর প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদি। এর পাশাপাশি সাহিত্যের মঞ্চেও হাজির সলমন রুশদি। আমেরিকায় তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন জনপ্রিয় এই সাহিত্যিক৷ সেই ভয়াবহ অতীত পিছনে ফেলে নিজের নতুন উপন্যাস প্রকাশ করলেন সলমন৷ উপন্যাসের নাম 'ভিকট্রি সিটি' (Victory City) ! অর্থাৎ, 'বিজয় শহর'। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউও দিলেন তিনি। তাঁর উপর ভয়ানক হামলা হওয়ার পরেও তিনি বেঁচে আছেন বলে নিজেকে ভাগ্যবান বললেন রুশদি।
সলমন রুশদির সাক্ষাৎকার
নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশদি তাঁর যন্ত্রণার কথা বলেন। আবার রুশদি ওই হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ায় ছেলে জাফর এবং মিলন-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ৭৫ বছর বয়সি লেখক জানিয়েছেন, সেই হামলার পর থেকে তিনি ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)’-এ ভুগছেন। রুশদি বলেন, “আমার বাইরের ক্ষতগুলি প্রায় সেরে উঠছে ধীরে ধীরে। হাতের আঘাতগুলি সারানোর জন্য নিয়মিত হ্যান্ড থেরাপির মধ্যে রয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠব। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তার তুলনায় আমি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছি।” তিনি জানিয়েছেন, তিনি আগের মত তেমন টাইপ করতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, “বছরের পর বছর ধরে নিন্দা ও তিক্ততা এড়াতে কঠোর চেষ্টা করছি। অতীতের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আমি এই পুরো ঘটনাটির সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। অতীতে যা যা ঘটেছিল তার চেয়ে আগামীকাল কী ঘটবে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।”
আজ প্রকাশিত হল ‘ভিকট্রি সিটি’
এটি সলমন রুশদির ১৫তম উপন্যাস৷ সূত্রের দাবি, আমেরিকার মঞ্চে হামলার শিকার হওয়ার আগেই এই উপন্যাসটি লেখার কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন তিনি শোনা যাচ্ছে, সলমন রুশদির এই নয়া উপন্যাসটি আদতে একটি ঐতিহাসিক নারী চরিত্রের উপর চিত্রিত মহাকাব্য। যা লেখা হয়েছিল সংস্কৃত ভাষায়৷ সলমন সেই কাহিনিকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিজের মত করে সাজিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, শতকা ইনস্টিটিউশনে ৭৫ বছর বয়সি রুশদির উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর উপর যে যুবক এই হামলা চালিয়েছিলেন, তাঁর নাম হ্যাডি মাটার৷ ২৪বছরের ওই যুবককে ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয়৷ এই হামলায় সলমন রুশদির একটি চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়৷ মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণকারী এই ব্রিটিশ-মার্কিন ঔপন্যাসিক এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটাতে হয় তাঁকে৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও গত বিশ বছর ধরে নিউ ইয়র্কেরই বাসিন্দা রুশদি।
+ There are no comments
Add yours