Charles Sobhraj: মুক্তি পেতে চলেছেন ‘বিকিনি কিলার’, জন্মসূত্রে ভারতীয় চার্লস শোভরাজ

১৯৭২ থেকে ১৯৭৬-র মধ্যে চার্লস শোভরাজ হয়ে উঠেছিলেন ত্রাস।
Charles-Sobhraj
Charles-Sobhraj

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ বছর পর মুক্তি পেতে চলেছেন দুর্ধর্ষ সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ (Charles Sobhraj)। বয়স জনিত কারণেই এই ফরাসি সিরিয়াল কিলারের মুক্তির ঘোষণা করেছে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট। বিগত ২১ বছর ধরে চার্লসের ঠিকানা নেপাল জেল। কিছুদিন আগেই নেপালের সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মাল্লা ও বিচারপতি তিল প্রশাস শ্রেষ্ঠার ডিভিশন বেঞ্চ। নেপাল সুপ্রিম কোর্টের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান আদালতের মুখপাত্র বিমল পাউডেল। 

কী অভিযোগ ছিল চার্লসের বিরুদ্ধে?  

২০০৩ সাল থেকে নেপাল জেলে রয়েছেন চার্লস (Charles Sobhraj)। জোড়া খুনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দুই বিদেশি পর্যটককে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল নেপাল পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন মার্কিন বাসিন্দা। কোনিয়ে জো বরোনজিক নামের ওই পর্যটকের বয়স হয়েছিল ২৯ বছর। অপরজন তাঁর ২৬ বছরের বান্ধবী লিউব়্যান্ট ক্যারিয়েরে। লিউব়্যান্ট কানাডার বাসিন্দা। ১৯৭৫-এ তাঁদের দুজনকে খুন করেন চার্লস শোভরাজ। দু’জনের মধ্যে একজনকে চার্লস কাঠমান্ডুতে হত্যা করেন। অপরজন ভাক্তপুরে খুনে হয়েছিলেন।      

চার্লসের মা-বাবা ছিলেন ভারতীয়। তবে তাঁরা থাকতেন ভিয়েতনামে। গ্রেফতারির সময় তাঁর থেকে জাল পাসপোর্টও উদ্ধার করেছিল নেপাল পুলিশ। চার্লসের বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা রুজু হয়। 

নেপাল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের পর দীর্ঘদিন ফেরার ছিল চার্লস (Charles Sobhraj)। পরে কাঠমান্ডুতে একটি ক্যাসিনোর সামনে ঘোরাঘুরির সময় তাঁকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ। প্রথমে কাঠমান্ডুর আদালতে ওঠে তার মামলা। সেখানে তাকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে যায় ওই মামলা। সেখানেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় চার্লসের। এর পর থেকে ২১ বছর ধরে জেলেই রয়েছেন চার্লস। এছাড়া জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করার জন্য ২ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল তাঁকে।  

আরও পড়ুন: ‘না নর, না নারী…’, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!    

ভয়ঙ্কর এই খুনি 'বিকিনি কিলার' নামে পরিচিত হন গোটা বিশ্বে। নেপালে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আক্রমণ করতেন এই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন, চুরি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬-র মধ্যে চার্লস শোভরাজ হয়ে উঠেছিলেন ত্রাস। এই সময়ের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনকে তিনি খুন করেছেন বলে দাবি পুলিশের।    

জেলমুক্তির ১৫ দিনের মাথায় তাঁকে প্রত্যর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট। জেলমুক্তির পর চার্লসকে (Charles Sobhraj) কোনও দেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা হবে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

সাত ও আটের দশকের গোড়ায় থাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করতেন তিনি। চার্লস যাদের খুন করতেন তারা বেশিরভাগই বিকিনি পরে থাকত। তাই শোভরাজকে বলা হত ‘দ্য স্পিলিটিং কিলার’। হত্যাকাণ্ডের পরে কোনও প্রমাণ না রেখেই পালানোর কায়দার জন্যে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘দ্য সারপেন্ট’।   

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles