মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার বিগ্রহ তৈরির জন্য নেপালের কালী গণ্ডকী নদীর শিলা ইতিমধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছেছে গত বৃহস্পতিবার ভোরে। পুরাণ অনুযায়ী সীতা দেবী ছিলেন মিথিলার জনক রাজার কন্যা। নেপালের জনকপুরধাম এখনও তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র হিসেবে প্রসিদ্ধ। ভারত এবং নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। সাংস্কৃতিক বাণিজ্যিক সমস্ত কিছু দিক থেকেই।
রাম সীতার বিবাহ...
অযোধ্যার রাজপুত্রের সঙ্গে জনকপুরের রাজকন্যার বিবাহ শুধু বিশ্বাস নয় বরং ঐতিহাসিকভাবেও সত্য। ভারত নেপাল সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত হওয়ার এটা অন্যতম কারণও বটে। নেপালের অধিকাংশ মানুষ এখনও হিন্দু এবং তারা ভগবান রামচন্দ্রের ভক্তও বটে।
নেপালের পাঠানো শিলা পূজন (Shaligram) সম্পন্ন হল অযোধ্যায়
এখনও অবধি যা জানা যাচ্ছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হবে নেপালের কালী গণ্ডকী নদীর শিলা (Shaligram) দিয়ে। যেটি রাম মন্দির ট্রাস্ট এবং নেপালের সাধুদের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ভোরে অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছে। অযোধ্যায় জাঁকজমক পূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিলা পূজনকে তেন্দ্র করে। এবং ১০০ এর উপর মহন্ত এই শিলা পূজনে অংশ নিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। কালী গণ্ডকী নদীর এই শিলা প্রথমে পাঠানো হয়েছিল নেপালের জনকপুরধামে, শিলা খণ্ড ঘিরে সেখানেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে এক ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দেয় এবং ভক্তি ভরে শিলাকে প্রণাম করতে থাকেন সকলে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় এই দৃশ্য।
৬ কোটি বছরের প্রাচীন শিলা
গবেষণায় দেখা গেছে, এই শিলা খন্ড দুটি ৬ কোটি বছরের প্রাচীন। জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণের কাজে শিলা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল সরকার। সেই মতো ভূ-তাত্ত্বিক গবেষকরা খোঁজ শুরু করেন এমন শিলা যা হাজার হাজার বছর ধরে অক্ষত থাকবে। শেষে কালী গণ্ডকী নদীর শিলাকেই (Shaligram) বাছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতে কালী গণ্ডকী নদীর শিলাকে পবিত্র মানা হয়। বিশ্বাসমতে এই শিলাতেই (Shaligram) অবস্থান করেন স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু। রামচন্দ্রকেও ভগবান বিষ্ণুর অবতার মানেন হিন্দুরা। ৫০০ বছর পরে রামমন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময় নেপালের পাঠানো শিলা দুই দেশের সম্পর্কের ভিতকে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours