মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ কী কী না করে! এমনই এক অসাধ্য সাধন করে মানুষের তাক লাগিয়ে দিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমেরিকার ডিস্ট্রিক কোর্টের বিচারক হলেন তিনি। ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্রন কে প্যাটেল। তবে জানেন কি তাঁর এই লড়াই একেবারেই সহজ ছিল না। এই ব্যক্তিকেই একসময় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিড়ি বেঁধে উপার্জন করতে হত, দিনমজুরিরও কাজ করতে হত। তবে এত সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে যায়নি। জীবনযুদ্ধে সমস্ত কষ্ট সহ্য করেই শেষপর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন তিনি।
সুরেন্দ্রন প্যাটেলের জীবনযুদ্ধ...
সুরেন্দ্রন কেরলের কাসারগড়ের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। দশম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। তার পর বিড়ি বাঁধা এবং দিনমজুরির কাজও করেছেন। সেই সব করে পয়সা জমিয়ে ফের পড়াশোনা শুরু করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারপতির আসনে বসলেন সুরেন্দ্রন কে প্যাটেল। তিনি আমেরিকার আদালতের বিচারক হিসাবে নজির গড়লেন। এই প্রথম কোনও মালায়ালম ব্যক্তি আমেরিকার কোনও আদালতের বিচারক নির্বাচিত হলেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খরচ মেটানোর সাধ্য ছিল না আমার পরিবারের। বাধ্য হয়ে বিড়ি বাঁধতাম। এক বছর এই কাজ করার পরে আমার জীবন দর্শনই পালটে যায়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর গ্রামের বন্ধুরা তাঁর আইনের ডিগ্রি সহ তাঁর শিক্ষার জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিল। পড়ালেখার সময় তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে গৃহস্থলির কাজও করেছিলেন।
আমেরিকার ডিস্ট্রিক বিচারক…
আমেরিকার ডিস্ট্রিক বিচারক ঠিক হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। টেক্সাসের জেলা আদালতের বিচারক হতে ৫১ জনকে পিছনে ফেলেছেন সুরেন্দ্রন এবং আমেরিকার প্রথম মালায়ালি বিচারক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যখন আমি টেক্সাসে এই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম, তখন আমার উচ্চারণ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল এবং আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হয়েছিল। আমি যখন ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, আমার নিজের দল মনে করেনি যে আমি এই পদের যোগ্য। কিন্তু আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। সকলের জন্য একটাই কথা বলার আছে। কাউকে আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেবেন না। এটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র আপনারই উচিত।”
+ There are no comments
Add yours