Tag: বাংলা খবর

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গোপনে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে পাকিস্তান।’’ এমনই স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) খাজা আসিফ। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে এবং তাদেরকে অর্থায়ন করছে। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবি সিলমোহর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন কাজ করেছে পাকিস্তান, দাবি আসিফের

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) আসিফের আরও দাবি, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর দেশ এই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তিনি (Khawaja Asif) আরও বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ৯/১১-র পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম। তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করত।’’

    লস্করের নাকি অস্তিত্ব নেই তাদের দেশে (Pakistan Defence Minister)

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) ওই সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে তাদের দেশে নাকি লস্কর-ই-তৈবা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংগঠনের বেশ খানিকটা সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব আর নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও স্বীকারোক্তি, ‘‘পাকিস্তানের (Pakistan Defence Minister) সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যখন কোনও সম্পর্কই নেই, তখন আমরা কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করব?’’ এ সময় তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, লস্করের একটি শাখা সংগঠন নাকি পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে। তখন আসিফ (Khawaja Asif) উত্তর দেন, ‘‘যখন তাদের মূল সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, তখন ছায়া সংগঠন কোথা থেকে আসছে।’’

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হবে না। নদীগুলির অবস্থান ভারতে হওয়ার কারণে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এদেশের ওপরেই নির্ভর করতে হত পাকিস্তানকে। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। পাকিস্তান বর্তমানে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি রয়েছে যেমন সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোন বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়াতে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছু বন্ধ হল। এতে বেশ বিপাকে পড়বে পাকিস্তান (Indus Water Treaty)। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    জলশক্তি মন্ত্রকের উচ্চ আধিকারিক দিলেন ব্যাখ্যা

    এ নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Indus Water Treaty) একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে বন্ধ হল তথ্য আদান প্রদান। দৈনিক তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জলের নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিতই থাকছে। যেহেতু এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত, তাই এদেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানকে চলতে হত এবং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তির অধীনে ভারত রবি, বিপাশা এবং শতদ্রু- এই তিন নদীর সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির মধ্যে আছে চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলাম। সিন্ধু প্রণালীর প্রধান নদী- সিন্ধু এবং পাঁচটি উপনদী: রবি, বিপাশা, শতদ্রু, ঝিলাম এবং চেনাব। এই পাঁচটি উপনদীই বাঁদিক দিয়ে ভারত হয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে এই প্রণালীর ডান তীরের উপনদীগুলি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয় এবং চেনাব, ঝিলাম এবং সিন্ধুকে পশ্চিম নদী বলা হয়।

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় গতি পাবে এদেশে জল বিদ্যুতের কাজ

    পাকিস্তানের সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে তাদের আশি শতাংশ জল সরবরাহ হয় সিন্ধু ব্যবস্থার মাধ্যমে। জানা যায়, সিন্ধু প্রণালীর এই জল তাদের ৯৩ শতাংশ কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আরও গতি পেতে পারে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নালিশ করে। সেই রায়ের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আর সেইরকম বাধা কোনও রইল না।’’

    কোন কোন প্রকল্পের কাজে গতি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার ফলে কিষাণগঙ্গা এবং রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( ৩৩০ মেগাওয়াট) নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতি মঞ্চেও গিয়েছে। অন্যদিকে, রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধের কাজও এরফলে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, চেনাব অববাহিকায় কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট), কীরথাই I এবং II (১৩২০ মেগাওয়াট) এবং সাওয়ালকোট (১,৮৫৬ মেগাওয়াট) প্রকল্পগুলিও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করে ভারত আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কারণ, এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে কখনও এই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। এবারে মোদি সরকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে দিল।

    সিন্ধুর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে ভারত?

    অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বর্তমানে সিন্ধুর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের (Indus Water Treaty) কথাও বিবেচনা করতে পারে। ঠিক ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চিন যেমন বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি এবং কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও যাবে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরদার আওয়াইস ভারতের পদক্ষেপকে জল‌ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনার মতে, পাকিস্তান প্রায় ভারতের উন্নয়নকে থামানোর জন্য এই চুক্তিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

    প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার কী জানাচ্ছেন?

    ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এটি চুক্তি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কোনও সুস্পষ্ট বিধান নেই, তবে চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৬২-তে পর্যাপ্ত পরিসর দেওয়া আছে। যা বলে, পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তিনদিন পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে এসেছে। সূত্রের মারফত আরও জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি, যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণ করে (Pahalgam Attack)। এরপর ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পরে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তাতে এ কথা বলা যায় যে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তান জুড়েও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে পলাতক এক সন্ত্রাসী আহত হয়েছে এই গুলির লড়াইয়ে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় উচ্চ পদস্থ পুলিশকর্তা সহ দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

    বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে তল্লাশি, গুলির লড়াই (Pahalgam Attack)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে, এমন খবর নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে পায়। এরপরেই তাঁরা সেই জঙ্গলকে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা উত্তর দেয় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই উধমপুর জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এক সেনা নিহত হন। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে নিরাপত্তা বাহিনী সেই জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার (Pakistan) পিছনে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন তিন সন্দেহবাজনের ছবি ও প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ, আবু তালহার। এই সন্ত্রাসবাদীদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে কুড়ি লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

  • PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বৃহস্পতিবারই বিহারের মধুবনীতে সভামঞ্চে হাজির ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখানেই সন্ত্রাস হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ও নেপথ্যে যে সমস্ত ষড়যন্ত্রীরা রয়েছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েতরাজ দিবস উপলক্ষেই বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই পহেলগাঁও ইস্যুতে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সভা শুরুর আগে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন মোদি (PM Modi)

    নিজের বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্পষ্ট শব্দে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, ওই জঙ্গিদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তাদের ধারণার বাইরে। সাজা হবেই।’’ এদিন মধুবনীতে সভা শুরুর আগে পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) নিহতদের স্মরণে হাতজোড় করে ২ মিনিট নীরবতাও পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে

    নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখিত। পহেলগাঁওতে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। সরকার আহতদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে। কেউ সন্তান হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলা বলত, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠা। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলেই এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।’’ ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের তাড়া করব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন আরও বলেন, ‘‘আজ আমি বিহারের মাটি থেকে সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রত্যেকটি জঙ্গি এবং তাদের ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করবে। খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই জঙ্গিদের তাড়া করব। ভারতবর্ষের চেতনাকে কখনোই জঙ্গিরা শেষ করতে পারবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘পুরো দেশ বর্তমানে সংকল্পবদ্ধ। যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই আমাদের সঙ্গে আছেন। শাস্তি এতটাই কঠোর হবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কখনও তা ভাবতে পারেনি।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব

    জঙ্গিদের উদ্দেশে মোদির (PM Modi) হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব। সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করে ছাড়বে ভারত। বিহারের মাটি থেকে গোটা বিশ্বকে বলছি, ভারত জঙ্গিদের খুঁজে বের করে প্রত্যেককে সাজা দেবে। সন্ত্রাসবাদে ইতি টানবে ভারত। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সেই সমস্ত দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের এই বিপদে সমর্থন করেছেন।’’

    ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে, প্রতিজ্ঞা মোদির

    একইসঙ্গে ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে ভারতের মেরুদণ্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যা কিছু করার, সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, হামলার সময় দুদিনের সৌদি আরব সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালেই তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করেন এবং দিল্লিতে ফিরে আসেন। এরপর বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার

    এই আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যু ও জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্রের হয়ে জানাবেন জয়শঙ্কর। সর্বদলীয় বৈঠক ইস্যুতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে, সর্বদল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন রাজনাথ সিং।

  • Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী (Pakistans Southern Strategy) হামলা আসলে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গ্রীষ্মকালীন নাশকতা কৌশলের অঙ্গ। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতে এই সময়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মুর দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও পর্যন্ত ৩২টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে ১০০ সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ১০টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে, সেখানে ৩৫ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    গত ৬ মাসে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Pakistan)

    গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে জম্মুর দিক থেকে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা (Pakistans Southern Strategy)। এরমধ্যে কিছু সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫০। কারণ জম্মু অঞ্চলে লুকানোর জায়গা কম আছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীরের আত্মগোপন করে থাকা এই সন্ত্রাসবাদীরা (Pakistan) প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। তাদেরকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে এমনই ১২৫টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০০।

    গত বছরে কাশ্মীরে পর্যটক পৌঁছায় ২.৩৫ কোটি

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ছিল ১০৭। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pakistan) ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, গত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৩৫ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। একই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখ ভক্ত। শ্রীনগরের লালচকে প্রতিদিন পর্যটকদের পা পড়ত গড়ে ১১ হাজার। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছিল ভূস্বর্গের। কারণ সেখানকার প্রধান জীবিকাই ছিল পর্যটন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং আইএসআই এমনটা চাইনি। ফলস্বরূপ, পহেলগাঁও হামলা।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলা চালায়। এর ঠিক একদিন পরেই বুধবার মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সিন্ধু নদী সমেত তার শাখানদীগুলি – ঝিলাম, চেনাব, রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুর জল পাকিস্তানে আর যাবে না। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পরে বেশ বিপাকে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চুক্তি স্থগিতের বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে কয়েক কোটি পাক নাগরিকের ওপর। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।’’ তবে সেসময় ভারত জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৬০ সালে (Indus Waters Treaty)

    ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    কে কীভাবে জলের ভাগ পাবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী (Indus Waters Treaty) পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রু নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় ভারত। এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৪১ বিলিয়ন (৪ হাজার ১০০ কোটি) ঘনমিটার। অন্যদিকে, তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম – নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৯৯ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯০০ কোটি) ঘনমিটার।  ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ পায় ভারত। অন্যদিকে বাকি ৭০ শতাংশ পায় পাকিস্তান।

    সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Waters Treaty) প্রস্তাবনায় কী বলা হয়েছে

    সিন্ধু জল চুক্তির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে সদিচ্ছা, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মনোভাবের কথা। সিন্ধু নদীর জল থেকে দুই দেশই যাতে উপকৃত হয় এবং সুবিধা পায়, সেকথাই বলা হয় প্রস্তাবনায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদী ব্যবস্থায় ভারতীয় অংশে অবস্থিত যে কোনও বাঁধ, ব্যারেজ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে পাকিস্তান হামলা চালালে তা চুক্তি লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে। এর ফলে বাতিল করা হতে পারে সিন্ধু জল চুক্তি।

    ভারত-পাকিস্তানের বাঁধ বিরোধ

    এই চুক্তি মূলত জল বণ্টনের ওপর তৈরি হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Indus Waters Treaty) নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর একটি উপনদী হল কিষাণগঙ্গা। এই কিষাণগঙ্গা নদীর এক পাড়ে বান্দিপোরা জেলায় কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিশতোওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর অবস্থিত রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত এই দুই ভারতীয় বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাক সরকারের দাবি, এর ফলে তাদের সেচযোগ্য জল সরবরাহকারী নদীগুলির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ভারতকে কিষাণগঙ্গা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি দেয়। খারিজ করে পাকিস্তানের দাবি। চলতি বছরে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত ভারত সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। আদালতে রায় হল, বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্ত সঠিক। কাশ্মীরে কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়।

    কেন ভয় পায় পাকিস্তান?

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) কোনওভাবেই দুই দেশের নিরাপত্তার দিকে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। পাকিস্তানের বরাবরেরই আশঙ্কা যে সিন্ধুর উপনদীগুলির প্রবাহের একেবারে নিচের অংশে তাদের অবস্থান। তাই ভারত যে কোনও সময় তাদের দেশে বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে তো এটা হতেই পারে। এমন আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রথম থেকেই। অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে। এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল সিন্ধু নদীর জল ব্যবস্থার উপর কার অধিকার থাকবে। তবে পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে অন্তত জল ব্যবস্থার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কখনও যুদ্ধ বাঁধেনি। এ নিয়ে বেশিরভাগই তাদের যে বিরোধ সামনে এসেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সিন্ধু জল চুক্তিকে একসময় বিশ্বের সবচেয়ে সফল জল বন্টন চুক্তি হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু বর্তমানে বারবার সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হল মোদি সরকার।

    পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্দিনে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেদেশের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তারপরে এমন চুক্তি স্থগিত করার অর্থ হল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। জানা যাচ্ছে, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদী থেকে। এর পাশাপাশি করাচি, মুলতান, লাহোরের মতো বড় শহরগুলিতেও সিন্ধু নদীর জলই ব্যবহৃত হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে সিন্ধুর জল থেকেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষ এবং পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই চুক্তি মোতাবেক জল না পেলে পাকিস্তানের কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনজীবন-সবই থমকে যাবে বলে আশঙ্কা পাক নাগরিকদের। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রবল জল সংকট চলছে, তাই সিন্ধু নদীর জল না পেলে কার্যত শুকিয়ে যাবে দেশের বিরাট অংশ।

LinkedIn
Share