Tag: বাংলা খবর

  • One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন যাপনের ধরন। বাড়ছে ব্যস্ততা! আর তাই খাদ্যাভাস থেকে পোশাক বদল আসছে সবকিছুতেই! চট জলদিতেই স্বচ্ছন্দ তরুণ প্রজন্ম। সময় কম লাগবে, অথচ সবটাই হয়ে যাবে সহজে! এমন জিনিসেই সকলে মজেছেন।‌ কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন একাধিক উপাদান। নানান রোগ এড়াতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে প্রয়োজন নানান উপাদান। খাবার থেকেই শরীর সেই সব উপাদান সংগ্রহ করে‌। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর তাই ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওয়ান পট মিল’ (One Pot Meal)! রান্না করতে সময় কম লাগছে। কিন্তু পুষ্টিগুণ প্রচুর। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হচ্ছে। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ওয়ান পট মিলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আধুনিক জীবনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এই ওয়ান পট মিল!

    ওয়ান পট মিল কী?

    পুষ্টিবিদদের মতে, ওয়ান পট মিল হলো এমন খাবার, যেখানে সব রকমের উপকরণ রয়েছে। অর্থাৎ, সুষম খাবারের কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সবকিছু থাকবে। প্রত্যেক উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে, তবেই সেটা পুষ্টিকর খাবার হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলে (One Pot Meal) এই সবকিছুই মোটামুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে এই ওয়ান পট মিল। সাধারণত, ওয়ান পট মিলে ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে সব্জি, ডিম সিদ্ধ এবং ডাল, এই সবরকমের খাবারের উপকরণ থাকে।

    ওয়ান পট মিল হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি! তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটা খাবার যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। চাল-ডাল এবং একাধিক সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। খুব কম তেল ও মশলায় খিচুড়ি রান্না করা যায়। তাই প্রত্যেক উপাদানের পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    লেমন-চিকেন রাইস অন্যতম পছন্দের

    লেমন-চিকেন রাইস জাতীয় খাবারকে ওয়ান পট মিলের (One Pot Meal) তালিকায় অন্যতম খাবার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমের দেশে এই খাবার যথেষ্ট জনপ্রিয়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে ভিটামিন ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত মিশ্রণ। চালের পাশাপাশি এই রান্নায় চিকেন, লেবু, গাজর, বিনস, বেল পেপার, মাশরুম, পার্সলের মতো একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ উপকরণ এবং মাখন ব্যবহার হয়। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট সবকিছুর জোগান ঠিকমতো হয়। আবার অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তাই সহজেই হজম হয়‌। শরীর এনার্জি পায়।

    চিকেন স্যালাডও যথেষ্ট জনপ্রিয়

    চিকেন কিংবা চিংড়ির স্যালাড জাতীয় পদ ওয়ান পট মিল (One Pot Meal) হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেটুস পাতা, যব, বিট,গাজর, ধনেপাতার মতো নানান ধরনের সব্জিতে সামান্য অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে বেকড অথবা গ্রিল করা মাংসের টুকরো কিংবা চিংড়ি মিশিয়ে ওয়ান পট মিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সহজেই পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও এড়ানো যাবে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমবে। কারণ এই ধরনের খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    কেন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থেকে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক সমস্যার কারণ খাদ্যাভাস। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ রোগ জীবন যাপন সংক্রান্ত। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে নানান রোগের দাপট এড়ানো যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে অধিকাংশ মানুষ বাজারের চটজলদি খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে। স্থুলতা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)। এই খাবার বাড়িতে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়। অতিরিক্ত সময় লাগবে না। আবার এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত তেল মশলা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান শরীরে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Gujarat ATS: বড় সাফল্য গুজরাট এটিএসের, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আল কায়দার মহিলা জঙ্গি

    Gujarat ATS: বড় সাফল্য গুজরাট এটিএসের, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আল কায়দার মহিলা জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ছড়িয়ে থাকা আল-কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গি নেটওয়ার্ক এবং নাশকতার মডিউলকে উৎখাতের মামলায় বড়সড় সাফল্য পেল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস (Gujarat ATS)। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শামা পারভিন (Shama Parveen) নামে এক মহিলা জঙ্গিনেত্রীকে। গুজরাট এটিএসের তরফে জানানো হয়েছে, আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (AQIS)-এর সক্রিয় সদস্য এবং একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের মূল সংগঠক বছর তিরিশের এই মহিলা। তার মোবাইল থেকে একাধিক পাক আধিকারিক এবং জঙ্গি সংগঠনের নম্বর পাওয়া গিয়েছে।

    শামার গ্রেফতারির (Al Qaeda Leader Arrested) পর গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শামা পারভিন অনলাইন জিহাদি প্রোপাগান্ডা এবং জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উস্কে দেওয়ার কাজ করছিল। নিরাপত্তাবাহিনীর নজর এড়াতে ব্যবহার করা হত ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। তাঁর দাবি, “গুজরাট পুলিশ ও এটিএস একটি অনলাইন জঙ্গি নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ভারতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ছক বানচাল হয়েছে।”

    কীভাবে মিলল শামা পারভিনের হদিশ?

    গুজরাট এটিএসকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই-এর দাবি, গত ২৩ জুলাই আল কায়দার সঙ্গে যোগের সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। দিল্লির মহম্মদ ফয়েক, আমেদাবাদের মহম্মদ ফারদিন, মোদাসার সাইফুল্লাহ কুরেশি এবং নয়ডার জিশান আলিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। সকলেই কাজ করত রেস্তোরাঁ বা দোকানে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সকলেই একে অপরের পরিচিত। সমাজমাধ্যমের সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সন্দেহজনক অ্যাপের মাধ্যমে আল-কায়দার মতাদর্শ পাচার করত। তারা অটো-ডিলিট অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের যোগাযোগের প্রমাণ মুছে ফেলত।

    কে এই জঙ্গিনেত্রী শামা পারভিন?

    ধৃতদের জেরা করেই শামা পারভিনের নাম উঠে আসে। পুলিশ জানতে পারে, এই চারজনের মধ্যে সমন্বয়কারী ও আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করত শামা। এর পরই, গুজরাট পুলিশের একটি বিশেষ দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে যায়। সেখানে মনোরমাপাল্যা এলাকার ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় দলটি। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই শামা পারভিনকে। গুজরাট পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শামা পারভিন মূলত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তবে গত তিন বছর ধরে সে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছিল। আগে একটি সংস্থায় কাজ করত। কিন্তু, বর্তমানে বেকার ছিল। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ অ্যাকটিভ থাকত। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক-সহ একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপপ্রচার ও নেটিজেনদের প্রভাবিত করার কাজ করত।

    ফোনে পাক আধিকারিক, জঙ্গিগোষ্ঠীর নম্বর!

    এটিএস জানিয়েছে, শামার মোবাইলে পাকিস্তানের বেশ কিছু পদস্থ আধিকারিকের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে শামা নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এমনকী, সীমান্তের বাইরে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সামার, দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি, ধৃত ফরদিনের কাছ থেকে মৌলবাদী এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ জনের এই গ্রুপ তাদের জাল ছড়িয়ে রেখেছিল গোটা ভারতে। অভিযোগ, ভিন্ন ভিন্ন ‘টার্গেট’ দেওয়া হত তাদের।

    এই মডিউলের কর্মপদ্ধতি ছিল আলাদা…

    তদন্তকারীদের দাবি, এই জঙ্গি মডিউলটি আগে চিহ্নিত নেটওয়ার্কগুলির থেকে আলাদা। এদের কোনও নির্দিষ্ট হামলার পরিকল্পনা বা সময়সীমা ছিল না, বরং অনলাইনে প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তরুণদের মগজধোলাই করে জিহাদি আদর্শে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তারা ইনস্টাগ্রামে পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে দাবি করত—“জিহাদের জন্য বোমা নয়, একটা ধারালো ছুরিই যথেষ্ট।” এই মডিউল মূলত দেখাতে চেয়েছিল যে খুব সাধারণ অস্ত্র দিয়েও সহিংসতা ঘটানো সম্ভব এবং সন্ত্রাস ছড়ানো যায়।

    ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা…

    শামাকে আদালতে পেশ করে ট্রানজিত রিমান্ড চায় গুজরাট পুলিশ। যা মঞ্জুর করে আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র ১১৩, ১৫২, ১৯৬ এবং ৬১ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শামা আল-কায়দার জঙ্গি এটা ভেবেই চোখ কপালে উঠেছে তার প্রতিবেশীদের। স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বছর তিরিশের ছটফটে যুবতীর।

  • Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মহাদেব’-এর পর এবার ‘অপারেশন শিবশক্তি’ (Operation Shivshakti)। গোপন অভিযানে ফের জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ ভারতীয় সেনার। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ২ পাক অনুপ্রবেশকারীকে খতম করল ভারতীয় বাহিনী।

    মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ…

    সেনার তরফে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে পুঞ্চে জঙ্গল লাগোয়া দেঘোয়ার সেক্টর অঞ্চল দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল ওই জঙ্গিরা। বিএসএফ তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালালেও রাতের অন্ধকার ও ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে বিএসএফের হাত থেকে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে এরপর তাদের নিকেশের দায়িত্ব নেয় সেনা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন শিবশক্তি’। সেইমতো শুরু হয় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে অভিযান। রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয় গোটা এলাকায়। বুধবার ভোরের আলো ফোটার আগেই, ২ পাক অনুপ্রবেশকারীর খেল খতম করে সেনা।

    সেনা অভিযান চলছে, চলবে…

    সেনার ‘হোয়াইট নাইট’ কোরের তরফে জানানো হয়েছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সন্দেহজনক চলাচল নজরে আসে। তাদের ট্র্যাক করে বাহিনী এগিয়ে গেলেই, আচমকা জঙ্গলের ভিতর থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, এখনও ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। নিহত জঙ্গিদের আর কোনও সঙ্গী আত্মগোপন করে আছে কিনা, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ বিরাট সাফল্য

    এর আগে, সোমবার ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) মাধ্যমে উপত্যকায় বিরাট সাফল্য পায় নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের অদূরে মহাদেব পর্বতের পাদদেশে দাচিগাম জঙ্গলে সেনার বিশেষ কমান্ডো অভিযানে খতম হয় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ৩ পাক জঙ্গিই। তাদের মধ্যে ছিল ওই হামলার মূল মাথা সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা। এছাড়া খতম হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা আরও ২ জঙ্গি জিবরান ও অফগান। সেই খবর, মঙ্গলবার সংসদে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, সুলেমান ওরফে মুসা ছিল পাক সেনার প্রাক্তন কমান্ডো। বর্তমানে নিষিদ্ধ পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আফগান এবং জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি। জিবরান গত বছরের সোনামার্গ টানেলে হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল।

  • Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’ মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথাই বললেন অমিত শাহ।

    পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে খুন

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “নিরীহ পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সদস্যদের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি এই হামলার নিন্দা করছি এবং যে সমস্ত পরিবার তাদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছে, তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি এক মহিলার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, যিনি বিয়ের মাত্র ছ’দিনের মাথায় স্বামীকে হারান। আমি ওই দৃশ্য কখনও ভুলতে পারব না। আমি এই সমস্ত পরিবারগুলিকে বলতে চাই, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’

    প্রমাণ পেশ করলেন অমিত শাহ

    এদিন বক্তব্য পেশ করার সময় জঙ্গিরা সত্যিই পাকিস্তানি কিনা তা প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অমিত শাহ বলেন, “গতকালের অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন জঙ্গি- সুলেমান, আফগান এবং জিবরান নিহত হয়েছে। বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে? আজ আমি তার সমস্ত প্রমাণ দেব।’’ এরপরেই তিনি পহেলগাঁও হামলার স্থল থেকে প্রাপ্ত কার্তুজ, জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এমনকী জঙ্গিদের কাছে থাকা পাকিস্তানি চকোলেটের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেন।

    পাকিস্তানের ভোটার কার্ড, পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট

    কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, নিহত সুলেমানের আরও একটি নাম ছিল। হাসিম মুসা। পাকিস্তানি সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) কমান্ডো ছিল। পরে হাফিজ সইদের হাত ধরে নাম লেখিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনে। শাহের কথায়, ‘‘আফগান ও জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি।” এরা সবাই পাকিস্তানের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ এদিন জানান, জঙ্গিদের পাকিস্তানি পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের ভোটার কার্ড এবং পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিদেশি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু’টি একে-৪৭ ভেরিয়েন্ট এবং একটি আমেরিকান এম-৪ কার্বাইন। এছাড়া ছিল, রোমানিয়ার মডেল ৯০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ও রাশিয়ার একেএম ৭.৬২ ভেরিয়েন্ট রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে।

    ১০০ শতাংশ ম্যাচিং পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

    এখানেই থেমে থাকেননি অমিত শাহ। এর পরেই তিনি নিহত জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অমিত শাহ জানান, হাজারের বেশি মানুষ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ হাজার ঘণ্টা তদন্ত চলেছে। তারপরেই এই জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা। এমনকি, এই সন্ত্রাসবাদীদের দেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার-পরিজনেরাও। যারা জঙ্গিদের খাবার সরবরাহ করত তাদের আগেই আটক করা হয়েছিল। জঙ্গিদের মৃতদেহ শ্রীনগরে নিয়ে আসার পর আটক হওয়া ব্যক্তিরা ওই তিন জনকে শনাক্ত করেছে। এর পর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও বন্দুকগুলি দ্রুত চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দেখা যায়, এগুলিই পহেলগাঁও হামলার সময়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। ছয়জন বিশেষজ্ঞ বলছেন—ম্যাচ ১০০ শতাংশ।”

  • Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীনগরে হওয়া ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে শাহ এও জানিয়ে দেন, নিহতরা পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও বিদেশি।

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই মঙ্গলবার, লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমত শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গি সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হয়েছে। এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

    ‘‘ভেবেছিলাম তাঁরা খুশি হবেন’’, বিরোধীদের তোপ শাহের

    সোমবার সোমবার ৩ জঙ্গি নিকেশের পরেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, এরাই কি পহেলগাঁও হামলার তিন জঙ্গি? এদের পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ কী? এই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।” এর সঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, নিহত তিন জঙ্গি যে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথমে জঙ্গিদের খাবার জোগানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দেখানো হয়। তারা সকলেই জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে।

    জঙ্গিদের বন্দুক-গুলি যায় ফরেন্সিক পরীক্ষায়

    এছাড়া, জঙ্গিদের থেকে পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে পাকিস্তানি চকোলেট।  জঙ্গিদের ডেরা থেকে তাঁদের ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্রও মিলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাতেও থেমে থাকেনি সরকার। নিহত জঙ্গিদের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারের সেনা অপারেশনে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত বুলেটের খোল এবং বন্দুক উদ্ধার করে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। মিলিয়ে দেখা হয় পহেলগাঁও হামলার ব্যালিস্টিক রিপোর্টের সঙ্গে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তিন জনের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় কেন্দ্র।

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার রাজ্যবাসী।‌ বিভিন্ন জায়গায় জমা জল, বন্যা পরিস্থিতির দুর্ভোগের পাশপাশি স্বাস্থ্য সঙ্কট বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি, কমবেশি সকলেই জ্বরের (Influenza) কবলে। সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর। গোটা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা। দিন তিনেকের এই ভোগান্তির জের থাকছে কয়েক সপ্তাহ। ওষুধ খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও, ক্লান্তিবোধ থাকছে। যে কোনও স্বাভাবিক কাজেও বিশেষ এনার্জি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে নিয়মিত কাজের গতি কমছে। সাধারণ কিছু কাজ করার পরেও শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। অনেকের মাথা ঘোরা, পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বর (Viral Fever) মোকাবিলায় তাই বাড়তি তৎপরতা জরুরি।

    কেন জ্বর (Influenza) হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন জ্বরে কাবু। কিন্তু আসল ‘ভিলেন’ আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টির জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাঝেমধ্যে তাপমাত্রার মারাত্মক রকমফের হচ্ছে। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রোদের প্রকোপ বাড়ছে। ঘাম হচ্ছে। আবার তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে। আবার যারা নিয়মিত বাইরে যাতায়াত করেন, তাদের অনেক সময়েই বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে‌। জমা জলেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর এর ফলেই শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Viral Fever) ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় একাধিক ভাইরাস বাতাসে সক্রিয় থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লে, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, কমবেশি সকলেই জ্বরে নাজেহাল।

    জ্বরের পরে কোন উপসর্গ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে?

    তবে ওষুধ খেয়ে জ্বর কমলেও দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী বেশ কয়েকদিন নানান ভোগান্তি থাকছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইরাস ঘটিত এই জ্বরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধাক্কা খাচ্ছে। শরীরের এনার্জি কম হচ্ছে। তাই আরও ভোগান্তি বাড়ছে। যেমন সাধারণ কাজ করলেও মাথা ঘুরছে, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ তৈরি হচ্ছে। কোনো কাজ করার ইচ্ছে থাকছে না। শরীর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন পেশিতে খিঁচুনি দেখা যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, বুকে কিংবা পিঠে লাগাতার যন্ত্রণাও অনুভব হচ্ছে। এগুলো শরীরের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি জ্বর হলে কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, সে নিয়েও সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সংক্রামক। তাই পরিবারের কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের থেকে আক্রান্তকে আলাদা রাখা জরুরি। পাশপাশি এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে চলা দরকার। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। আবার নিয়মিত তুলসী পাতা দেওয়া জল, মধুর মতো ঘরোয়া উপাদানের সাহায্য নেওয়া জরুরি। যাতে এই ধরনের জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে জ্বর হলে তার পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ক্লান্তিবোধ কমবে। পাশপাশি জ্বর পরবর্তী ভোগান্তিও কমানো যাবে।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তার ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি আরও বেশি অনুভব করা যায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের পরে অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেন না। এর ফলে শরীর আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তকে নিয়মিত লেবু কিংবা কিউই জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত অন্তত একটা লেবু বা কিউইয়ের রস করে খেলে শরীরে দ্রুত ভিটামিন সি-র জোগান হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার শরীর এনার্জিও ফিরে পাবে।

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই এনার্জি পায়। আর প্রোটিন পেশিকেও মজবুত রাখে। এর ফলে প্রোটিন নিয়মিত খেলে জ্বরের (Influenza) পরের ভোগান্তি কমবে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তিবোধ কমবে। পেশিতে খিঁচুনি ও কমবে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ খাওয়া জরুরি। একাধিক ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডিম এই সময়ে শরীরে বাড়তি উপকার দেবে। প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে তেল-মশলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় প্রোটিন খাবার খেলে উপকার কিছুই হবে না। বরং হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মটন, চিকেন, ডিম, সোয়াবিন বা পনীর যেকোনও প্রোটিন জাতীয় খাবার রান্নার সময় তেল ও মশলায় রাশ জরুরি। স্ট্রু কিংবা স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এনার্জি জোগাতে নিয়মিত খান দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার

    শরীরে এনার্জি জোগাতে নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সংক্রামক রোগ শরীরকে দূর্বল করে দেয়। দ্রুত এনার্জি ফিরে পেতে দুধ খুবই উপকারি। নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীর এনার্জি ফিরে পায়। আবার হলুদ মেশানো দুধ খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালী বা বুকে কোনো ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে, তা কমিয়ে দিতে পারে হলুদ মেশানো দুধ।

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিস মেটাবে ঘাটতি

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার জরুরি। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার এনার্জির জোগান ঠিকমতো থাকে। ফলে কাজ করার ইচ্ছে তৈরি হয়।

  • Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ (Modi Government)। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক এ বিষয়ে খবর নিশ্চিত করেছে এবং তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল—দেশে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটানো, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং যেসব খাত বা সেক্টর নতুনভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম, তাদের বিশেষভাবে সহায়তা করা।

    ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি (Modi Government)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের সুবিধা ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সেগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

    প্রকল্পের দুই ভাগ সম্পর্কে জানুন (Modi Government)

    পার্ট A: এই অংশটি তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রথমবারের মতো কোনও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। যাঁরা ইপিএফ (EPF) স্কিমে নতুনভাবে নাম নিবন্ধন করবেন, তাঁরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইপিএফ সুবিধা পাবেন। এই সুবিধাটি দুই কিস্তিতে প্রদান করা হবে—প্রথম কিস্তি ছয় মাস চাকরি করার পর, এবং দ্বিতীয় কিস্তি বারো মাস পূর্ণ হলে। তবে এই সুবিধা পেতে হলে কর্মীর মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।

    পার্ট B: এই অংশটি নিয়োগদাতাদের জন্য। প্রতি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের বিপরীতে সরকার নিয়োগকারীদেরকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা (ইনসেন্টিভ) দেবে, যা টানা দুই বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন খাতে কর্মী নিয়োগ করবে, তাদের জন্য এই প্রণোদনার পরিমাণ তৃতীয় ও চতুর্থ বছরেও বাড়ানো হবে (Modi Government)।

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share