Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। সাসপেন্ড হয়েছিলেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul)। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যরাতে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে।

    নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি

    বর্তমানে নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই বিধানসভা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে বিক্ষোভে। ওইদিন মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul) ছিলেন। তাঁদের মার্শাল দিয়ে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে, যাতে আহত হন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। বর্তমানে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত শুক্রবার বিকেল বা শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

    অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারেনি মোদির সভাতেও

    উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় সফরের সময় তিনটি নতুন মেট্রো রুট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, তখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেও ছিলেন (Agnimitra Paul)। বৃহস্পতিবার বিধানসভার উত্তেজনার পর তিনি রাতে বাড়ি ফেরেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই ঘুমাতে যান তিনি। কিন্তু শুক্রবার ভোর থেকেই হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে।

  • Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) জোরকদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আঘাতে ধ্বংস হওয়া কাঠামো নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির মেরামত করে এই বিমানঘাঁটিকে ফের কার্যকার করতে চাইছে পাকিস্তান।

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আশপাশের ভবনগুলোও এই হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় অপারেশন সিঁদুরের হামলার পরে ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা ১৭ মে-র মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের ছবিতে আরও দেখা যায়, সেখানে নতুন দেওয়াল ও কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা পূর্বের নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ভিতরকার গঠন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছিল, তাই সেগুলো ভেঙে ফেলে পুরনো ভিতের ওপরেই নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

    খুব কাছেই পাক সেনার সদর দফতর

    নূর খান বিমানঘাঁটি (Nur Khan Airbase) পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানেই রয়েছে আকাশপথ নজরদারি ব্যবস্থা, সি-১৩০ পরিবহণ বিমান ও আইএল-৭৮ জ্বালানি ভরার বিমান। এই সবকটি ব্যবস্থাই পাকিস্তানের নজরদারি ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ঘাঁটিতে ভারতের হামলাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের এত কাছাকাছি একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনে ভারত পাক সেনাকে নিজেদের বুঝিয়ে দেয় ক্ষমতা।

    পাকিস্তানের (Pakistan) ২০০ কিমি ভিতরে ঢুকে যায় ভারতীয় সেনা

    ২২ এপ্রিল, যখন পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত পাল্টা আঘাতের রূপরেখা চূড়ান্ত করে এবং ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক কৌশলগত আক্রমণ চালানো হয়। প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের রেডার, রানওয়ে, জঙ্গি ঘাঁটি ও হ্যাঙ্গারে নিখুঁত হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এটিই ভারতের সবচেয়ে গভীর ও ব্যাপক সামরিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই ধারাবাহিক আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পাকিস্তান দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় (Nur Khan Airbase)।

  • Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ রয়েছে কলকাতা তথা ভারতবাসীর। আগামী রবিবার হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। এটিই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সকলে। এত সময় ধরে পূর্ণগ্রাসের পর্ব চলা সত্যিই বিরল। মোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ।

    দেখা যাবে কলকাতা থেকে, ৮২ মিনিট ধরে ‘ব্লাড মুন’!

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭-৮ তারিখে যে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) হবে, তা চলবে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এতক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ সে ভাবে হয়নি। এটি ৭ সেপ্টেম্বর রাত ০৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট। তবে, পূর্ণগ্রাস শুরু হবে রাত ১১টা থেকে। চলবে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুরো ৮২ মিনিট! আর এই গোটা সময়টায় চাঁদের রং হয়ে উঠবে রক্তিম (Blood Moon)। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই দেখা যাবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় থেকে স্পষ্ট এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অবশ্যই অনুকূল থাকতে হবে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।

    কী এই ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon), কেন এত আগ্রহ?

    ব্লাড মুন নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। রূপকথা থেকে শুরু করে হাড়হিম করা ভৌতিক কাহিনিতে ব্লাড মুন-এর একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। বহু প্রাচীন সভ্যতায় এর নির্দশন মেলে। এমনকী, এখনও পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতে ব্লাড মুন পৌরাণিক কাহিনী ও কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেখানে একে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ব্লাড মুন হয় আলোর তরঙ্গের কারণে। তাঁদের মতে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। সেই আলো প্রতিফলিত হলে, আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। গ্রহণ তখনই ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) ক্ষেত্রে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসে। ফলে, সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের উপরে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ পুরোপুরি কালো কিন্তু হয় না। বদলে লাল হয়ে ওঠে। সূর্য আর চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খায়। এই বায়ুমণ্ডল ছোট তরঙ্গ (নীল এবং বেগুনি)-কে ছেঁকে নেয়। শুধু দীর্ঘ (লাল, কমলা) তরঙ্গই চাঁদে গিয়ে পৌঁছোয়। সে কারণে চাঁদকে রক্তিম দেখায়। তাকেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না,  ভবানীপুরেই হারাবো’’, মমতাকে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবারে বিধানসভায় তুমুল হইচই-হট্টগোল বেঁধে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজ যা হল তার নিন্দা করি। এই তানাশাহী, স্বৈরাচারী রাজত্বের পতন হবে বলে বিশ্বাস করি। আজ স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে লড়াই চালালেন তাতে আরও একবার প্রমাণিত বাংলার ২ কোটি ২৭ হাজার ভোটার প্রকৃত লোকদের জনপ্রতিনিধি করেই বিধানসভায় পাঠিয়েছেন।’’

    উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন, ভবানীপুরে হারবেন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। ভবানীপুরে হারবেন। ওঁর ভাইপোর কোম্পানি তিন অঙ্ক পেরোবে না। মমতাকে ভবানীপুরেই হারাব। ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বঙ্কিম ঘোষের দুটি স্টেন্ট বসানো বুকে, তিনিও হাসপাতালের পথে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সকলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। বলেছেন, লড়তে রহো। ন্যাশনাল বিজেপিও আমাদের সাপোর্ট করছে।’’

    চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে ভাষায় দেশভাগের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে, বিজেপি সম্পর্কে বিচারধারাকে আক্রমণ করেছে, মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে গিয়ে তার নিন্দার ভাষা নেই। অমিত শাহ, মোদিকে চোর বলেছেন! যে ভাষা শুনতে হল তা মানতে পারি না। মোদি একটি পদবি। এই পদবির লোকজন গুজরাটে বেশি। সারা বিশ্বে আছেন, বাংলাতেও আছেন। ‘মোদি চোর’ বলায় রাহুল গান্ধীর মেম্বারশিপ গিয়েছিল। ফলে বিএনএসের ধারা অনুযায়ী এফআইআর করতে বলব চোর মমতার বিরুদ্ধে। ‘চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা’ (Mamata Banerjee) স্লোগানও দেন শুভেন্দু।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের প্রোটেকশন দিয়ে, বাংলা, বাঙালির অস্মিতার কথা বলে আইপ্যাকের বুদ্ধিতে ভাষার নামে গোল করে চলে যাবে ভেবেছিল। ১০ গোল খাইয়ে আমরাই ওঁকে বাড়ি পাঠিয়েছি। ১৪ বছর ৫ মাসে এমন বিরোধিতার সামনে পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। এলওপি বাইরে থাকলেও আজ ৬৪ জন বিজেপি বিধায়ক যেভাবে এলওপির ভূমিকা নিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

  • Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ধরে পাকিস্তান এবং কয়েকটি ভারতবিরোধী সংগঠন এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো কিছু এনজিও — জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) কবরগুলিকে দেখিয়ে দাবি করত যে, এইসব কবর সাধারণ নাগরিকদের, যাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনী হত্যা করে গোপনে কবর দিয়েছে। তবে এইসব অভিযোগ আর ধোপে টিকল না (Jammu And Kashmir News)। কারণ, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‌‘সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার শিরোনাম ছিল: “কাশ্মীর উপত্যকায় অচিহ্নিত এবং অজ্ঞাত কবর”। এই রিপোর্টটি তারা ছয় বছর ধরে গবেষণা করে তৈরি করেছে, এবং এতে মোট ৪,০৫৬টি কবর চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ছড়িয়ে রয়েছে ৩৭৩টি কবরস্থানে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই কবরগুলোর (Kashmir) মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ — প্রায় ৬১.৫% বা ২,৪৯৩টি কবর — বিদেশি জঙ্গিদের, যারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশ করে এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়। অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিদের অনেকের কাছেই কোনও পরিচয়পত্র ছিল না — ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করা হয়, যাতে তাদের সংগঠন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা গোপন রাখা যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধের দায় এড়ানোর এক কৌশল।

    এই গবেষণায় পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কবরগুলোকে

    ১. অজ্ঞাত পরিচয় বিদেশি জঙ্গি – ২,৪৯৩ জন (৬১.৫%)
    ২. স্থানীয় জঙ্গি – ১,২০৮ জন (২৯.৮%) – যাদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে
    ৩. অচিহ্নিত কবর – ২৭৬টি (৬.৮%) – মূলত বারামুলা জেলায়
    4. ভারতের নাগরিক – ৯ জন
    5. ১৯৪৭ সালের উপজাতি হামলাকারী – ৭০ জন

    ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট কী বললেন?

    এই গবেষণা কাশ্মীরের (Kashmir) চারটি সীমান্তবর্তী জেলা — বারামুলা, কুপওয়ারা, বান্দিপোরা ও গান্দেরবালে করা হয়। ফাউন্ডেশনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই রিপোর্ট মিথ্যাচার ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ সমেত ভিত্তিক জবাব দিয়েছে। গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের প্রাক্তন চিফ ইনফরমেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা। তিনি বলেন, “এই গবেষণা একটি জটিল সত্যকে প্রমাণ করতে পেরেছে। যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।” ওই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট বলেন, “এই কবরগুলোকে ঘিরে বহু বছর ধরে ভুল ধারণা ও সন্দেহ রয়ে গেছে। আমরা তথ্য-ভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    ভারতের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র (Jammu And Kashmir News)

    এমন অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল যেগুলিকে কেন্দ্র করে তথাকথিত ভারত বিরোধী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এদেশকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল (Kashmir)। সংগঠন যেমন — এপিডিপি (জম্মু ও কাশ্মীর নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়দের সংগঠন), আইপিটিকে (কাশ্মীর বিষয়ক সত্য অনুসন্ধান সংগঠন), এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল — দাবি করেছিল যে এই কবরগুলো নিঁখোজ হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষদের। কিন্তু সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন এসব দাবি যে মিথ্যা তা প্রমাণ করেছে।

    ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজানো হত

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ডিএনএ টেস্ট বা ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়াই, সব ধরনের মৃত ব্যক্তিকে একই ক্যাটাগরিতে ফেলত এই মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা আলাদা করে বোঝায়নি যে কেউ সাধারণ নাগরিক, কেউ স্থানীয় জঙ্গি, আর কেউ বিদেশি জঙ্গি। এভাবেই দিনের পর অপ্রচার করা হয়েছে। জঙ্গি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য না করে, আগের অনেক মানবাধিকার রিপোর্ট মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজিয়েছে।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়েকেউ আওয়াজ তোলেনি

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক তদন্তে উঠে আসে যে, অনেক কবরেই বিদেশি জঙ্গিদের দেহ রয়েছে, যারা সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। কিন্তু এই সত্যকে উপেক্ষা করা হয়েছিল, কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বদনাম করা, সত্য খোঁজা নয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে এই অচিহ্নিত কবর নিয়ে ভারত বিরোধীরা যত আলোচনা করেছে, তার তুলনায় ১৯৮৯-৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। এমনকি যেসব মুসলিম সাধারণ মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডও (যেমন: ওন্ধামা – ১৯৯৮, চিট্তিসিংহপোরা – ২০০০, নাদিমার্গ – ২০০৩) এইসব সত্য়ও প্রকাশ পায়নি।

    এনিয়ে পাকিস্তান চালাত ছায়াযুদ্ধ

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই কবর নিয়ে পাকিস্তান প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই কাশ্মীরকে নতুন টার্গেট বানায়। তারা পাকিস্তানি জঙ্গিদের অস্ত্র, অর্থ, প্রশিক্ষণ এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করে। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ— এসব সংগঠন কাশ্মীরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। বিদেশি জঙ্গিদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র থাকত না, তাই তাদের অনেকেই অপরিচিত জঙ্গি হিসেবে কবর দেওয়া হয়।

  • Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পড়াশোনার চাপ বাড়ছে। তার সঙ্গে নানান চাপ বাড়তি মানসিক উদ্বেগ তৈরি করছে। অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের পড়াশোনার চাপ তাদের মনের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরি হচ্ছে।

    পরীক্ষার আগে বাড়ছে উদ্বেগ

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের একাংশ এই মানসিক উদ্বেগের সমস্যায় (Mental Stress Among Children) ভুগছে। যে কোনও পরীক্ষার আগে তাদের মধ্যে এই উদ্বেগ বাড়ছে। এর ফলে তারা সহজ বিষয় ও মনে রাখতে পারছে না। স্মৃতিশক্তি ঠিকমতো কাজ করছে না। আবার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। সন্তানের এই মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) নিয়ে চিন্তিত বাবা-মায়েরা। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েকটি ঘরোয়া খাবারেই (Homemade Foods) সমাধান পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য (Child Mental Health) ভালো রাখতে, চাপ কমাতে এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই ঘরোয়া উপাদান বিশেষ উপকারি।

    মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    কুমড়োর বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের একাধিক উপাদান শরীর ও মনের জন্য বিশেষ উপকারি। কুমড়োর বীজ‌ তেমনি একটি উপাদান। তাঁরা জানাচ্ছেন, কুমড়োর বীজে থাকে পটাশিয়াম। এই খনিজ সম্পদ শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপকারি। তাই কুমড়োর বীজ ভালোভাবে শুকনো করে খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উদ্বেগ কমে। তাছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের হরমোন ঘটিত নানান পরিবর্তনের জেরে অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কুমড়োর বীজ খেলে মেজাজ শান্ত থাকে।

    বাদাম!

    যেকোনও ধরনের বাদাম মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজুবাদাম, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে যেকোনও বাদাম বিশেষ সাহায্য করে। আবার বাদামে থাকে ভিটামিন ই, উপকারি ফ্যাট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য বিশেষ ইতিবাচক। তাই বাদাম খেলে একদিকে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। আরেকদিকে মানসিক চাপ কমে। ফলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া বাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সন্তানের বাড়তি উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    টক দই!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও টক দই খুবই জরুরি একটি খাবার। নিয়মিত টক দই খেলে মন ভালো থাকার নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন বাড়ে। এই খাবারে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে মানসিক উদ্বেগ কম তৈরি হয়। বরং মন শান্ত থাকে।

    কমলালেবু!

    কমলালেবু একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। উদ্বেগ কমে।

    আদা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশপাশি রান্নার কিছু উপকরণ ও মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তেমনি একটি উপকরণ হলো আদা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদাতে প্রদাহরোধী যৌগ থাকে। এটা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে শুধুমাত্র খাবারেই মানসিক উদ্বেগ পুরোপুরি কমবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক সুস্থতা অনেকটাই জীবন যাপনের ধরনের উপরে নির্ভর করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার আগে বাড়তি চাপ যাতে তৈরি না হয়, তাই বছরভর একটি সুস্থ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। নিয়মিত অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে না থাকা, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কসরত করার মতো সুঅভ্যাস গড়ে‌ তোলা জরুরি। এর পাশপাশি, মানসিক চাপ কমাতে (Reduce Mental Stress) নিয়মিত গান শোনা বা ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজের দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ করা জরুরি। তাহলে বাড়তি উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরির আশঙ্কা কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan)। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।

    বিবেচিত হয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্যও

    জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে— Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর মধ্যে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস? (Teacher’s Day)

    রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। সেটা ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

  • RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠক। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আরএসএস নেতা সুনীল আম্বেকর। ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের বিজয়াদশমী পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শতবর্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এই অনুষ্ঠান শুরু হবে নাগপুরে একটি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে সংঘের সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত ভাষণ দেবেন। আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, শতবর্ষের উদযাপনে দেশজুড়ে স্বয়ংসেবকরা পথসঞ্চালন করবেন এবং বছর জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে- হিন্দু সম্মেলন, সামাজিক সদ্ভাবনা সভা, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রম। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংঘের কর্মকাণ্ডকে সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর (RSS) কথাও এদিন বলেন সুনীল আম্বেকর

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সংঘের ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয় এনিয়েও আলোচনা চলবে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে। এই ইস্যুতে কর্মসূচি চলবে আগামীদিনে। প্রসঙ্গত, এই ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ হল-

    সামাজিক সম্প্রীতি (Social Harmony)

    পারিবারিক জাগরণ (Family Awakening)

    পরিবেশ সচেতনতা (Environmental Awareness)

    আত্মনির্ভরতা (Self-Reliance)

    নাগরিক কর্তব্য (Civic Duty)

     কী কী আলোচনা হবে অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak)?

    সংঘের (RSS) বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পর্যালোচনা চলবে। একইসঙ্গে  ২০২৫-২৬ সালের শতবর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রসঙ্গে।

    কারা অংশ নেবেন বৈঠকে?

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, ড. মোহন ভাগবত (সরসংঘচালক), দত্তাত্রেয় হোসাবলে (সরকার্যবাহ), সমস্ত সহ-সরকার্যবাহগণ, সংঘের ৩২টি সংগঠনের ৩২০ জন কার্যকর্তা। উপস্থিত সংগঠনগুলোর (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) মধ্যে রয়েছে-রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কিষান সংঘ, বিদ্যা ভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ, বিজেপি ইত্যাদি।

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

    এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

    এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

LinkedIn
Share