Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে মঙ্গলবার গভীর রাতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর ও সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশে নির্দিষ্ট জায়গায় ভয়াবহ হামলা (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনা। এদিন ভারত বেছে বেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা চালায়। জানা যাচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্য রাতের বেলাকে হামলার সময় হিসেবে বেছে নেয় বায়ুসেনা, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    আঘাত হানা হল যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে

    মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে অবস্থিত মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি। জানা যায়, এটি আসলে জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা। এখান থেকেই তারা (Operation Sindoor) ২০১৯ সালে হওয়া পুলওয়ামা হামলার ছক কষেছিল।

    মার্কাজ তৈবা জঙ্গি ঘাঁটি

    জানা যাচ্ছে, এটিও লস্করদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এটি। এখানেই জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ সব চলত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেই এটি অবস্থিত। ২০০০ সাল থেকেই এই ঘাঁটি সক্রিয় ছিল।

    সর্জল, তেহরা কালান

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত হল এই ঘাঁটি। জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এই ঘাঁটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় (Operation Sindoor) এখান দিয়েই জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে থাকে। আরও জানা গিয়েছে, কোনও হামলার পর তারা চোট পেলে সবার প্রথমে এখানেই চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন।

    মার্কাজ আহলে হাদিথ বারনালা

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবের এলাকায় তৈরি হয়েছে লস্করদের এই জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার সেটিও পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। প্রসঙ্গত, বারনালা হল পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তৈরি অন্য়তম কেন্দ্র।

    মাশকার রাহিল শহিদ

    এটিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই অংশবলে জানা গিয়েছে। হিজবুল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠী চালাত এই ঘাঁটি।

    শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে এই ঘাঁটি তৈরি করে লস্কর গোষ্ঠী। জঙ্গি নিয়োগের কাজ চলত এখান থেকে।

    মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়

    ভারত (India)-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়। এটি ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটি। ১৯৯০ সাল থেকে এই মুরিদকে-তেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। হাফিজ সইদের নেতৃত্বে চলত এই সেন্টার। ২০০৮ সালে এখানেই আজমল কাসভ ও হেডলির ট্রেনিং হয়েছিল বলে জানা যায়।

    সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাংধার সেক্টরে, সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা চালানো হয়েছে। এটিও একটি লস্কর-ই-তৈইবার ঘাঁটি। সোনমার্গ (২০ অক্টোবর, ২০২৪), গুলমার্গ (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) এবং পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটির।

    গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতীয় সেনা

    নিয়ন্ত্রণ রেখার ৩৫ কিলোমিটার দূরে গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতে সেনা। গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুঞ্চে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটি।এছাড়াও, আর তিনটি ঘাঁটি হল যথাক্রমে শিয়ালকোটে অবস্থিত মেহমুনা জয়া ঘাঁটি, কোটিলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস ও মার্কাজ সায়েদা বিলালেও হামলা চালিয়েছে ভারত।

    কোটলি ও বাহওয়ালপুরকে কেন হামলার জন্য বেছে নেওয়া হল?

    মোট দু’টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। একটি পাক অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, অন্যটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে। তবে বেছে বেছে এই দু’টি জায়গাতেই কেন আঘাত আনল ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে যে জঙ্গি নাশকতা সূত্রপাত, তা এই এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে। ভারতের সীমানা সংলগ্ন এলাকা হওয়াতে (Operation Sindoor) প্রতি মুহূর্তে এই এলাকাগুলিতেই অনুপ্রবেশ চালিয়েছে জঙ্গিরা।

    বাহওয়ালপুর

    পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থিত হল বাহওয়ালপুর এই এলাকায় হানা দেয় ভারত।এখানেই ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের মূল ডেরা। যা গুঁড়িয়ে দিল ভারত। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ভারতের সংসদে আক্রমণ ও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই হয়েছিল। এই জঙ্গি ঘাঁটি দেখভাল করত মাসুদ আজহার। বিশ্বের মোস্ট ওয়াটেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে সে অন্যতম। সূত্রের খবর, মাঝে মধ্যেই বাহওয়ালপুরের সদর দফতরে আসত মাসুদ। শুধু তাই নয়, আরও জানা যাচ্ছে, এই বাহওয়ালপুরেই জন্ম মাসুদের। হামলার পরে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্য়মে পাকিস্তানি এক যুবকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ওই যুবককে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে, ‘মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় ভয়াবহ হামলা হয়েছে। পরপর চারটি মিসাইল ফেলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাহওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে অদূরেই রয়েছে পাক সেনার ঘাঁটি। কিন্তু এরপরেও পাকিস্তান বলে যে তারা সন্ত্রাসে মদত দেয় না। সূত্রের খবর (Operation Sindoor), এই বাহওয়ালপুরেই রয়েছে একটি গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র।

    কোটলি

    কোটলিতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিও ধূলিস্যাৎ বিমান হামলায়। হাফিজ সইদের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় লস্কর-ই-তৈবার। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদ। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আঘাত হানার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর এই জঙ্গি নেতা।

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্য রাতেই প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা। রাফালের হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খতম প্রায় ৯০০ জঙ্গি। জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৪টি ঘাঁটি, হিজবুল-মুজাহিদিনের ২টি ও লস্কর-ই-তৈবার ৩টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করেছে। পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।

    ‘‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’’, পোস্ট সেনার (Operation Sindoor)

    জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবার ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতের পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সুবিচার হয়েছে। জয় হিন্দ।’’ সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও মিলিটারির কোনও ক্যাম্পকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নির্দিষ্ট, পরিমিত বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের কথা রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের (Operation Sindoor) বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট জেএফ১৭-কে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের এই অভিযানের জেরে একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইতিমধ্যেই ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লাহোর- শিয়ালকোট বিমানবন্দর।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল?

    জানা যাচ্ছে, ভারতের এই বিমান হানায় (Operation Sindoor) মুজফফরবাদে লস্করের ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং সেন্টারেও করা হয়েছে হামলা । যে জায়গাগুলিতে হামলা চলেছে, এর প্রতিটি ঘাঁটি থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে বলে খবর। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এর পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    ভারতের হাতে থাপ্পড় খেয়ে বদলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের এই জঙ্গি দমন অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। ভারতের হাতে এমন বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়ে রেগে কাঁই হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই হামলার বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই হামলায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো এর যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান। এদিকে, প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    কেন নামকরণ অপারেশন সিঁদুর?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোটা সন্ত্রাসী হামলার তদারকি করা হয় পাকিস্তানে বসেই। ২৫ হিন্দু মহিলার স্বামীকে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের স্বামীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বলেছিল, ‘‘মোদিকে গিয়ে বলো’’! এবার হিন্দু মহিলাদের সিঁদুর মোছার বদলা নিল ভারত।

  • Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই আবহে বুধবার (৭মে) সারা দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মহড়ায় (Mock Drill) সাধারণ নাগরিক, নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি ও এবিভিপি। মঙ্গলবারই এনিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই নাগরিকদের মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই আবেদন রেখেছে এবিভিপি।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল এবিভিপি (Mock Drill)

    যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা স্পষ্ট ভাবে বলছে, ‘‘এই মক ড্রিল কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যেভাবে আমাদের দেশে নিরাপত্তার হুমকি আসছে, তা প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন দেখা যাবে এই মক ড্রিলে।’’ এই সংগঠন আরও বলেছে, ‘‘দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরেই নয়। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণকে নিতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, এই সমস্ত জায়গাতে এই সচেতনতা ছড়াতে হবে। সতর্কতা বাড়াতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার প্রস্তুতি চালাতে হবে।’’

    কী বললেন এবিভিপির (ABVP) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মক ড্রিল (Mock Drill) নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাগত জানাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে। আমরা সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়ায়। এভাবেই গড়ে উঠবে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত।’’ এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘মহড়ার প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, আজকের ভারত যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রত্যেক নাগরিকের এটা স্মরণ করা উচিত। প্রত্যেক নাগরিক যেন মনে রাখেন দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’’

    এবিভিপির আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাগরিক মক ড্রিল-এ (Mock Drill) অংশগ্রহণের জন্য এবিভিপির এমন আহ্বানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিভিপি তাদের যেকোনও আন্দোলনেই তুলে ধরে নেশন ফার্স্ট স্লোগান। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের এই আহ্বানে তাদের সেই নীতিই প্রতিফলিত হলে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় কর্তব্য পালনে এবং দেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করা ঠিক কতটা জরুরি, সেই বিষয়টিও এবিভিপি নিজেদের বার্তায় তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই নাগরিক মহড়ায় সাইরেন যেমন বাজবে, তেমনই ব্ল্যাকআউটও করা হবে অর্থাৎ বড় বড় শপিং মল, বাড়ি-ঘর, শিল্প-কলকারখানা এই জায়গাগুলিতে আলো বন্ধ করা হবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কীভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ রেডার স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মহড়ায় অংশ নিতে আবেদন এবিভিপির

    একই সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এবিভিপি। এই ছাত্র সংগঠনের মতে, এর ফলেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। সারা দেশের পাশাপাশি, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এমন মহড়া হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে। তারপরে ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।

    সবার উপরে দেশ, স্মরণ করাল বিজেপি-এবিভিপি

    এই মহড়া (Mock Drill) মূলত হবে বিমান হামলা হলে নাগরিকরা কী ধরনের পদক্ষেপ করবেন সেটা নিয়ে। দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বার্তা পাঠিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি রাতে যদি হামলা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র হঠাৎ করে সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবার উপরে দেশ এই কথা স্মরণ করিয়ে, নাগরিকদের যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানাল বিজেপি-এবিভিপি।

  • Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে টানা ১০ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিও চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনারা (Pakistan)। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এবার পাকিস্তানের কার্যকলাপের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আম জনতাকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বেতন নয়, দৈনিক রোজের ভিত্তিতেই এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কটাক্ষের সুরে বলছেন, এবার কি তবে ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? প্রসঙ্গত, রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানেই উঠে আসে পাক সেনার অভাবের চিত্র। সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য এমনকি অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।

    অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা

    জানা যাচ্ছে, অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan) অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় চলছে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তদারকি করছে পাক সেনাবাহিনী। যুদ্ধের আবহে একেবারে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। তাও আবার দৈনিক রোজের লোভ দেখিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে বলে খবর। সেনা খুঁজতে তাই শশব্যস্ত পাকিস্তান। তাই নিয়োগ নয়, একেবারে স্থানীয় এলাকা থেকেই লোক টানতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়োগের শর্তে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি, মানসিক চাপ ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পাক সেনা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বা ছুটিতে গিয়েছেন এমন জওয়ানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই জওয়ানদের ধরে রাখতে আবার ১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। এবার সেনার ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষকেই যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সামান্য টাকার বিনিময়ে।

    ভারতের ভয়ে খাদ্য মজুদ করছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারত যে প্রত্যাঘাত করবেই একথা একেবারে বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের যুদ্ধ মহড়া থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া- এসব কিছু থেকেই ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান (Pakistan Army)। এই আবহে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার বেজায় চাপে পড়েছে। অর্থসংকটে ভোগা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক নিজে বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।

    ভীত পাকিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হাজারের বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

    পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও ভেসে এসেছে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সুর। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান যে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১ মে থেকে ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়, সেনার অভাব এগুলি তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজ। সম্প্রতি, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাক সেনাপ্রধান এনিয়েই হুমকি দিচ্ছে, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধানের আরও হুমকি, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে নাকি কড়া জবাব দেওয়া হবে পাকিস্তানের তরফ থেকে।

    বিলাবলের ফাঁকা আওয়াজ

    একই সুরে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে ভারত বিদ্বেষী সুর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি মেনে নিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, ‘‘যদি ওরা (ভারত) সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে।’’ বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ‘‘ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘অতীতে প্রতিটা যুদ্ধতেই ভারতের কাছে গোহারা ভাবে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরাসরি যুদ্ধের হিম্মত তাদের নেই। নেতা-মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অন্যদিকে সেনা ইস্তফা দিচ্ছে। যুদ্ধের ময়দানে অসামরিক নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত হিন্দুরা কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না। তাঁরা বাড়িতে কালো পতাকা তুলবেন।’’

    লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর। একটু আগে ডুমুরজেলায় বলেছেন, দুটো ওয়ার্ডে গোলমাল হয়েছে। কে দেয় আপনাকে এই তথ্য। আপনি গেছেন ফিল্ডে?’’ বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘‘হিন্দু বলেই হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে বাড়ি থেকে টেনে এনে পশুকাটার ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আপনি তুলনা করছেন, দাঙ্গাবাজ গুলি খেয়ে মরেছে! সব মৃত্যু দুঃখ্যজনক। দাঙ্গা করতে গিয়েছে, গুলি করেছে। পুলিশ করুক, বিএসএফ করুক, সেতো কমিশন তদন্ত করছে, তাঁরা বুঝবে।’’

    নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশমন্ত্রী

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ নয়, নিরাপত্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এটা বলছে ওখানের মানুষ। আপনি পুলিশমন্ত্রী, আপনাকে (Mamata Banerjee) তো বলবেই, আপনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বেলডাঙায় ইমামদের সামনে বলে এসেছিলেন, হিন্দুরা সংখ্যালঘু। হিন্দুদের দেখতে বলেছিলেন ইমামদের, তাই হরগোবিন্দ-চন্দন খুন হয়েছেন। আপনি ওদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলেন, আপনাকে তো শুনতেই হবে। দাঙ্গাকারীদের উপরেই আপনি ভরসা করেছিলেন, আপনাকে শুনতেই হবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে গেছেন নিহতের পরিবার। হরগোবিন্দ দাসের ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফআইআর করিয়েছেন।’’

    ভারত বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই

    এরপরই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই জেহাদি, জঙ্গি, ভারত-বিরোধীদের বিরুদ্ধে। যারা মানবতার শত্রু, তারা আমাদের শত্রু। তারা কারা, তা সবাই জানে। লড়াইটা এই লোকেদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিদের ছবি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ার শান্তিপুরে বসে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়, লড়াইটা তাদের বিপক্ষে।’’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘আমি ঝন্টু আলি শেখের বাবার হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে এসেছি। আমি কখনওই এক ব্র্যাকেটে সবাইকে ফেলতে পারি না। আমাদের আদর্শ ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।’’

  • Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ (Jagannath Dham) রাখা নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা (Puri Gajapati) দিব্যসিংহ দেব। সোমবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরকে কোনওভাবেই ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যায় না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান হলেন দিব্যসিংহ দেব। নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘পুরীর দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরটিকেই একমাত্র শাস্ত্র অনুসারে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে।’’

    ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই বোঝায়

    ভগবান জগন্নাথদেবের প্রথম সেবক হিসেবে পরিচিত হলেন গজপতি (Puri Gajapati)। তিনি জানিয়েছেন, দিঘার শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার বিষয়টি তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। এরপরেই তিনি মুক্তিমুণ্ডুপ পুন্ডিতা সভার মতামত চান এই বিষয়ে। গজপতির নিজের ভাষায়, ‘‘মুক্তিমুন্ডুপা পুণ্ডিতা সভা বলেছে যে শ্রী জগন্নাথের মূল স্থানটি ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’ এবং ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই (Jagannath Dham) বোঝায় এবং অন্য কোনও জায়গার উল্লেখ করতে ব্যবহার করা যাবে না যেখানে ‘চতুর্ধা দারু বিগ্রহ’ পবিত্র করা হয়েছে।’’

    বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের উল্লেখ করেন গজপতি রাজা মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এখানে যোগ করতে চাই যে শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর মহিমা অত্যন্ত খাঁটি এবং বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন মহর্ষি বেদ ব্যাস স্কন্দ পুরাণের ‘বৈষ্ণব খণ্ড’-এ অন্তর্ভুক্ত ‘শ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যম’-এ। এই শাস্ত্রটি সরল পাঠ করলে কোনও সন্দেহ থাকবে না যে এটি কেবলমাত্র পুরীকেই ‘শ্রী জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়, কারণ এটি পুরী (Puri Gajapati) যা সর্বোচ্চ ভগবান শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’

    মহাঋষি জৈমিনির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিব্যসিংহ দেব

    দিব্যসিংহ দেবের আরও সংযোজন, ‘‘শ্রী পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যমে, মহাঋষি জৈমিনি পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র পুরীর মহিমা বর্ণনা করেছেন।’’ জৈমিনির ব্যাখ্যা হুবহু তুলে ধরেন দিব্য়সিংহ এবং বলেন,‘‘যদিও ভগবান জগন্নাথ সর্বব্যাপী এবং সকলের উৎস। তিনি অন্যান্য পবিত্র স্থানেও রয়েছেন। তবুও এই পবিত্র স্থানটি (পুরী) শ্রেষ্ঠ। কারণ এটি এই পরম সত্তার দেহ হয়ে উঠেছে। তিনি স্বয়ং একটি রূপ ধারণ করে সেখানে উপস্থিত আছেন এবং প্রকৃতপক্ষে সেই স্থানকে তাঁর নিজের নামে পরিচিত করেছেন।’’

    পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান

    গজপতির মতে, ‘‘ব্রহ্ম-পুরাণ, নীলাদ্রি মহোদয় এবং অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলিতে যা নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত করে যে শ্রী পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চতুর্ধা বিগ্রহ (জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা এবং সুদর্শন) শুধুমাত্র কাঠের মূর্তিতেই পূজিত হওয়া উচিত, ধাতু বা পাথরে নয়।’’ ধর্মীয় শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছন, ‘‘শুধুমাত্র শ্রীমন্দিরে প্রস্তুত ভোগই মহাপ্রসাদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’’

    প্রাচীন আধ্যাত্মিক নেতারা পুরীকেই শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন

    গজপতি দিব্যসিংহ দেব (Puri Gajapati) আরও বলেন, ‘‘পদ্মপুরাণে যেমন বলা হয়েছে, এটি ভগবানের পবিত্র শাশ্বত বাসস্থান যাকে ধাম বলা হয় এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন বৈদিক ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য যেমন ভগবতপদ আদি শঙ্করাচার্য, শ্রী রামানুজাচার্য, শ্রী নিম্বার্কাচার্য, শ্রী মাধবাচার্য, শ্রী রামানন্দাচার্য, শ্রী চৈতন্য এবং শ্রী বল্লভাচার্য পুরীকে শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন।’’

    মমতা সরকারের কাছে নাম বদলের অনুরোধ

    শাস্ত্র ধরে এমন ব্যাখার পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গজপতি (Puri Gajapati) বলেন, ‘‘উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমি দিঘা জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করা থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’’ দিব্যসিংহ দেব বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে শ্রী জগন্নাথের মন্দিরগুলির শ্রী জগন্নাথ ধাম পুরীর মূল-পীঠ শ্রীমন্দিরের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের ঘোষণার বিষয়ে ভগবান জগন্নাথের গৌরবময় ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো ও সমর্থন করা উচিত। মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথের কালজয়ী ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান বিশ্বের অগণিত ভক্তদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে।’’

  • Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জঙ্গিদের টার্গেট (Terror Alert) কি জেল? জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও কোট বালওয়াল কেন্দ্রীয় কারাগারে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই দুই জেলেই বর্তমানে বন্দি রয়েছে বহু হাই-প্রোফাইল জঙ্গি এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারীরা। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, তাদের লজিস্টিক সহায়তা করেছে, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে এই দুই জেলে। এই কারণেই হামলা করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    রবিবারই এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (Terror Alert)

    সম্প্রতি, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জম্মুর শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল ও কোট বালওয়াল জেল- এই দুই কারাগারে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিরা হামলার ছক কষছে। এরপরেই দুই জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রবিবারই শ্রীনগরে সিআইএসএফ-এর ডিজির নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়। বহু শীর্ষ আধিকারিক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এখানেই নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়। এরপরেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ২০২৩ সাল থেকে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে

    প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিস পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এরপরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযান তীব্র করে প্রশাসন। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। ভাঙা হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এরই মধ্যে জম্মুর দুই জেলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর সামনে এল।

  • Jammu And Kashmir: সেনাকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি চেনানোর সময় পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু জঙ্গি-আশ্রয়দাতার

    Jammu And Kashmir: সেনাকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি চেনানোর সময় পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু জঙ্গি-আশ্রয়দাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ সে জানে। এমনটাই পুলিশকে বলেছিল জঙ্গিদের সাহায্যকারী এক যুবক (Terrorist)। তার দাবি ছিল, ঘন জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। একই সঙ্গে পুলিশের সামনে তার আরও স্বীকারোক্তি ছিল, জঙ্গিদের কাছে সে খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছে। এরপরেই জঙ্গিদের ঘাঁটি চেনাতে পুলিশ ও সেনাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে থাকে সে (Jammu And Kashmir)। আচমকাই পথের মাঝে নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। এরপরেই ভেসে যায় জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবক। শনিবারই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবকের নাম ইমতিয়াজ আহমেদ মাগরে

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইমতিয়াজ আহমেদ মাগরে (Jammu And Kashmir)। তার বয়স ২৩ বছর। জানা যাচ্ছে, জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবকের বাড়ি কুলগাঁওয়ের বাসিন্দা। জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে ওই যুবককে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে জেরার মুখে তার বিরুদ্ধে ওঠা জঙ্গি যোগের যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিল ওই যুবক। নিরাপত্তা বাহিনীকে সে জানিয়েছিল, পাহাড়ের ওপরেই ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। একইসঙ্গে জঙ্গিদের জন্য সে কী কী করেছে, তাও নিরাপত্তা বাহিনীকে (Jammu And Kashmir) জানায় ওই যুবক। খাবার সমেত এবং অন্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দিয়ে আসার কথা বলে সে। এর পরেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পথ চিনিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সে। কিন্তু সেই সময়েই আচমকাই নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। মনে করা হচ্ছে, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সাঁতরে পালানোর ফন্দি এঁটেছিল ওই যুবক। তবে শেষ রক্ষা হল না।

    ঝাঁপ দেওয়ার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল

    ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। উঁচু থেকে ড্রোন ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছে গোটা ঘটনাটি। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যুবকের আশপাশে কোনও পুলিশ কর্মী ছিলেন না। জঙ্গিদের সাহায্যকারী ইমতিয়াজ একা হেঁটেই যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই ঘন জঙ্গলের দিকে এক বার তাকিয়ে আচমকা নদীত ঝাঁপ দেয় সে (Terrorist)। সাঁতার কাটার চেষ্টা করতেও দেখা যায় তাকে। তবে স্রোতের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারেনি সে কোনওভাবেই। জলের তোড় তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় (Jammu And Kashmir)। গোটা ঘটনাই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

    মেহবুবার মুফতির দাবি খারিজ পুলিশের

    জঙ্গিদের সাহায্যকারী এই যুবকের মৃত্যু নিয়ে আবার প্রশ্নও তুলেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি, হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মেহবুবার এমন দাবিকে নস্যাৎ করে পাল্টা বিবৃতি দেয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, ড্রোনের ফুটেজও সামনে এনেছে পুলিশ। ওই যুবকের পরিবারও ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু, ওই যুবক যে পালাতে গিয়ে নিজেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ।

    সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গি ডেরা ধ্বংস করল সেনা, উদ্ধার ৫টি আইইডি

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ করতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, সোমবার ভারতীয় সেনার রোমিও ফোর্স এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সে রাজ্যের পুঞ্চ জেলাতে অভিযান চালায়। এই জেলায় অবস্থিত সুরানকোটে একটি জঙ্গি ডেরাকে ধ্বংস করে বাহিনী। শুধু তাই নয় এখান থেকে পাঁচটি আইইডি উদ্ধার করতেও সমর্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা। একই সঙ্গে সেখান থেকে মিলেছে রেডিও সেট, দূরবীন এবং কম্বল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাইশে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরেই উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে। ২৬ জন পর্যটককে ধর্ম বেছে বেছে যারা হত্যা করল সেই সন্ত্রাসীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। একাধিক জঙ্গির বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোথাও বুলডোজার তো কোথাও বিস্ফোরকের মাধ্যমে। নৃশংস হামলায় যে সমস্ত জঙ্গি জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য তীব্র অভিযান চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ভিকে বির্দি সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা, সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ। এই নিরাপত্তা বৈঠকের পরেই পুঞ্চ জেলায় ওই জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে বাহিনী।

  • Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই আবহে ফের কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লি। ভারত চেনাব নদীর (Chenab) বাগলিহার বাঁধ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকার ঝিলম নদীর উপর নির্মিত কিষাণগঙ্গা প্রকল্পেরও জলপ্রবাহ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ সিন্ধু নদের জল একফোঁটাও যাতে পাকিস্তান না পায় সেদিকেই এগিয়ে চলেছে ভারত সরকার। চেনাব নদীর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বেশ বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পাকিস্তানে প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে

    জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ভারত বাগলিহার ও সালাল বাঁধের পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ভারত। এর ফলেই পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতে এমন আরও ৬টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। সেগুলিতেও পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হবে। জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায়, ভারত নির্দ্বিধায় এই বাঁধগুলিতে ‘ডি-সিলটেশন’ কাজ করতে পারে। কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আপত্তিও টিকবে না। তিনি আরও জানান, কিষাণগঙ্গা প্রকল্পের জন্যও একই ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এভাবেই ধীরে ধীরে কিষাণগঙ্গার বাঁধ থেকেও পাকিস্তানের জল সরবরাহ (Chenab) একেবারে বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে সবদিক থেকেই তেড়েফুঁড়ে নেমেছে নয়াদিল্লি।

    জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের আধিকারিককী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বাগলিহার ও সালাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যে গেটগুলি তা বন্ধ করে দিয়েছি (Chenab)। বর্তমানে আমরা জলাধার থেকে পলী অপসারণ কাজ শুরু করেছি। শনিবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, শনিবারই পাকিস্তানের মাটিতে পরীক্ষা করা হয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল। পাক ভূমে এমন পরীক্ষা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত এমন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দেশের সমস্ত বন্দরে পাকিস্তানের (Pakistan) পতাকা বহনকারী জাহাজের ডকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লখ করা দরকার, পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রকমের কূটনৈতিক সম্পর্কই প্রায় শেষ করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। বাণিজ্য থেকে জলচুক্তি সবকিছুই।

    দেশের নাগরিকদের সুবিধায় ব্যবহার করা হবে সিন্ধুর জল

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত হল কিষাণগঙ্গা বাঁধ। এটি একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্র সরকার এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেটগুলিকে বন্ধ করে নদীর প্রবাহ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এই জঙ্গি হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের রুখতে গিয়ে নিহত হন এক স্থানীয় মুসলিম যুবক। এরপরেই দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। এ নিয়েই জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের দেশ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে রেখেছে, তাই আমরা স্বাভাবিকভাবে এবার থেকে আমাদের নাগরিকদের সুবিধা মতো  নদীর জল ব্যবহার করতেই পারি। সে বিষয়ে সকল সম্ভাব্য প্রচেষ্টা আমরা শুরু করেছি।’’

    উত্তর ভারতে জল সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল

    শনিবারই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক সিন্ধু প্রণালীর নদীগুলি থেকে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে আরও জল সরবরাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট বৈঠকের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এনিয়ে জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন,‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের (Chenab) প্রায় ৫০ জন অধিকর্তা ইতি মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে এ নিয়ে কাজ করছেন।’’

    কোন কোন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে?

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারত চেনাব নদী এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীগুলির ওপর চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৭ ও ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রত্যেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল – পাকাল দুল (১,০০০ মেগাওয়াট), কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট) এবং রাটল (৮৫০ মেগাওয়াট) – এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন (জেকেএসপিডিসি) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছিলেন।

LinkedIn
Share