Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই এই মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক। মন্দিরের নামকরণকে ঘিরে চলছে প্রবল বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিঘার এই মন্দিরের নাম রেখেছেন ‘জগন্নাথ ধাম’। এরপরেই ওড়িশার একাধিক আধ্যাত্মিক-ধর্মীয় সংগঠন তথা রাজনৈতিক নেতারা এমনটার বিরোধিতা শুরু করেছেন। পুরীর (Puri) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা হল ছাতিশা নিযোগ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেখভালের ক্ষেত্রে এই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারাই এবার দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার দাবি তুলল।

    শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক, জগন্নাথ ধাম নামকরণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ

    তারাই দিঘার মন্দিরের এই নাম বিতর্কে কড়া সমালোচনা করেছে মমতা সরকারের। শুধু তাই নয় গত শনিবারই সংস্থার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের জন্য এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ করানো হয়। ওড়িশা সরকারের কাছে এই সংস্থা আবেদন জানিয়েছে নাম বিতর্কের এই ইস্যুতে যেন তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে ওই সংস্থা শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল এডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান প্রশাসকরে সঙ্গে আলোচনাও সেরেছে (Jagannath Dham)। মমতা সরকারের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করারও দাবি রেখেছে তারা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে যে পুরীর (Puri) জগন্নাথ ধামের পবিত্রতা এবং মর্যাদা- এই দুটোই বজায় রাখতে যে কোনও মূল্যে।

    পুরীর (Puri) নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়? উঠছে প্রশ্ন

    ওই ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দিঘার মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) রাখা একেবারেই নিন্দনীয় এবং তা বিভ্রান্তিকর। তাঁরা আরও বলছেন, পুরীর (Puri) একটি ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য রয়েছে। পুরীর মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম, এটা শতাব্দী ধরেই চলে আসছে। হিন্দুদের বিশ্বাস-আস্থা-প্রতীক-আবেগ জড়িয়ে রয়েছে পুরীর মন্দিরের সঙ্গে। একইসঙ্গে ওই ধর্মীয় সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে, পুরীর মন্দিরের দারু অর্থাৎ দৈবিক নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়। প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের নব কলেবর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কাজে লাগে দৈবিক নিমকাঠ। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে নবকলেবর অনুষ্ঠানেরই বাড়তি নিমকাঠ আসে দিঘায়। কীভাবে পুরীর মন্দিরের এই কাঠ এল দিঘায়, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    তদন্তের নির্দেশ ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দনের

    ছাতিশা নিযোগের একজন সদস্য বলেন, এই পবিত্র দারু বা কাঠ শুধুমাত্র একটি কাঠ নয়। এর মধ্যে আমাদের ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য মিশে রয়েছে। এই কাঠকে সর্বদা আমরা মর্যাদা দিয়ে চলি। ওই ধর্মীয় সংগঠনের অভিযোগ এভাবে পুরীর (Puri) মন্দির থেকে নবকলেবরের কাঠ নিয়ে প্রটোকলকে ভেঙেছে মমতা সরকার এবং এভাবে বিভ্রান্ত তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনাতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান কর্ণধারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যে কিভাবে ওই কাঠ দিঘায় গেল!

    বিরোধিতায় শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক

    অন্যদিকে, বিখ্যাত বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক জগন্নাথ ধাম- এই নামকরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এভাবে জগন্নাথ ধাম নামকরণ করে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে সারা পৃথিবীতে একটিই জগন্নাথ ধাম রয়েছে এবং সেটা পুরীতে। এই আবহে পুরীর (Puri) বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্রের মন্তব্য সামনে এসেছে। তিনিও দিঘার মন্দিরকে জগন্নাথ ধাম বলায় প্রবল আপত্তি তুলেছেন। নিজের বিবৃতিতে সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, পুরীর সাংসদ হিসেবে আমি অপেক্ষা করছি তদন্তের রিপোর্টের। বিজেপি সূত্রের দাবি, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথের নবকলেবরের উদ্বৃত্ত কাঠ এনে যে দিঘার বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা রাজেশ দয়িতাপতি নিজেই বলেছেন। তাই ওই বিষয় নিয়ে তদন্তের আর কোনও প্রয়োজন নেই। ওই দয়িতাপতি-সহ পুরীর মন্দিরের আর কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটাই তদন্ত করে দেখবে মন্দির প্রশাসন। যাঁরা জড়িত, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তিও হবে বলে ওড়িশা সরকার সূত্রের খবর।

    চিঠিতে কী লিখলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    এই ইস্যুতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে, সমস্ত সংবাদমাধ্যমে ভগবান জগন্নাথের মন্দির এবং জগন্নাথের সংস্কৃতি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। দিঘায় ভগবান জগন্নাথের মন্দির থাকা, মন্দিরের নাম পরিবর্তন করে জগন্নাথ ধাম রাখা, এখানকার সেবকদের মন্দির নির্মাণে যোগদান এবং কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এই ধরণের বিষয় জগন্নাথপ্রেমী ভক্ত সম্প্রদায় এবং ওড়িশার সাড়ে চার কোটি মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।’’ পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ যদি তদন্ত শুরু করেন এবং পদক্ষেপ করেন, তা হলে পুরীর ওই দয়িতাপতি সমস‍্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করছে বিজেপি।

    কী বলছেন ওড়িশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, দিঘা জগন্নাথ মন্দির ইস্যুতে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কনক বর্ধন সিং দেও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো আমার অত জ্ঞান নেই। আমার সীমিত জ্ঞান থেকে আমি জানি যে, দেশে চারটি ধাম রয়েছে। চারটি ধামের প্রতিটিতে একজন শঙ্করাচার্য আছেন। কেউই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একে জগন্নাথধাম বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত? জগন্নাথধাম একটিই। সেটা হল পুরী। দ্বিতীয় জগন্নাথধাম কোথায় হতে পারে? আমি সেবা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অবগত আছেন। রাজ্য সরকার যেটা ঠিক সেই মতোই পদক্ষেপ করবে। এর জন্য অপেক্ষা করুন।’’

  • Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Act) প্রতিবাদে এবার সারা দেশে বিক্ষোভে নামছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এমন ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনের তরফ থেকে। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দেশের সংসদে যে আইন পাশ হল ওয়াকফ সম্পত্তিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, সেটাই নাকি সংবিধান বিরোধী মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কাছে (AIMPLB)। শুধু তাই নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আরও দাবি, মোদি সরকারের পাশ করা এই আইন নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সরাসরি হুমকি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

    ৭ জুলাই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (Waqf Act)

    আন্দোলনের দিনক্ষণও স্থির করেছে তারা (Waqf Act)। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৭ জুলাই দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এই বোর্ডের একজন সদস্য মৌলানা গয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন একথা। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধন আইন পাশের আগে দেশের দশটি বড় শহরে আলোচনায় মতামত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় ৯৭ লাখ ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৈরি হয় ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act)। যেখানে দরিদ্র মুসলিমদের সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    নয়া সংশোধনী আইন পাশ হওয়াতে বদলে গিয়েছে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act ) সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই আইন গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন আইন আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ অশান্তিতে জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এবার এই খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বিজেপির অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ এই পরিবারকে হেনস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্য বিজেপির নেতারা। পুলিশ এসে জানায়, ওই পরিবারকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার পুলিশকে সাফ জানায়, তাঁরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থল (Murshidabad) ছেড়েছেন নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগেই জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন এই কয়েকদিন। এরপর রবিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও ছিল। পুলিশের দল পৌঁছে যায় সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে। তারপর তাঁরা নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার কোনওভাবেই তাতে রাজি হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ও সজল ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারও। এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় পুলিশের।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ওই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

  • Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে সেদেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসও পার হয়নি। এমনই সময় ফের হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion)। বিদ্রোহীরা বালুচিস্তান প্রদেশের পুরো একটি শহরই দখল করে নিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই শহরের একাধিক সরকারি অফিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার সদস্যদের। একাধিক রিপোর্টে দাকি করা হয়েছে, সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টা দখলে চলে যায় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

    শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হামলা (Baloch Rebellion)

    কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত হল মঙ্গোচের শহর (Mangocher city)। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেখানে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমেই তারা হাইওয়ে অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল বিদ্রোহী(Baloch Rebellion) রাস্তার গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। অন্য আরেকটি দল মঙ্গোচের বাজারে ঢুকে পড়ে সরকারি কার্যালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে বলে অভিযোগ।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion) আব্দুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে (Mangocher city)। তাঁর বিরুদ্ধে পাক সেনার হয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিলই মহম্মদ নওয়াজ নামের এক আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। পরিচয় লুকিয়ে ওই গুপ্তচর মিশেছিল বিদ্রোহীদের সঙ্গেই। এরপর থেকেই নতুন করেবালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ।

  • Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের (Pak Troops) বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এভাবেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাক সেনার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজস্থানে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন পাক রেঞ্জার্সের এক জওয়ান। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পাঁচটি জেলার মোট আটটি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। মনে করা হচ্ছে, গত ১০ দিনে এটিই সবচেয়ে বড় মাপের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন।

    কোন কোন  জায়গায় চলল গুলি?

    জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নওশেরা, সুন্দরবনি এবং আখনুর অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা (Pak Troops)। তবে প্রতিক্ষেত্রেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। রবিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, পাক সেনার গুলি চালানোর পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে এই ধরনের ঘটনা কমে গেলেও পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি (Pak Troops)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের (Pak Troops) হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদের ধর্ম বেছে বেছে হত্য়া করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পাকিস্তানি যোগও সামনে আসে। ভারতের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়। এরপরে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতি রাতেই বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা (Jammu And Kashmir) বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে আসছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Shirdi Sai Temple) একমাসও হয়নি। এই আবহে এবার শিরডি সাই বাবা মন্দিরে (Bomb Threat) হামলার হুমকি। বোমা মেরে মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শুক্রবারই একটি ইমেল এসেছে বলে অভিযোগ। এরপরই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই একটি অজ্ঞাত পরিচয় ইমেল আইডি থেকে হুমকি ইমেল আসে। সেখানেই মন্দির বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল পেতেই পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইমেলে লেখা রয়েছে, প্রথমে পহেলগাঁও এরপরের টার্গেট শিরডি।

    আগত ভক্তদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে (Shirdi Sai Temple)

    বোমা হামলার পর থেকেই মন্দিরে আগত ভক্তদের (Shirdi Sai Temple) স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে সিসিটিভির ওপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। যেকোনও সন্দেহভাজন গতিবিধির ওপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি চিঠি পাওয়ার পরে ইতিমধ্যেই পুলিশ খুবই সতর্ক হয়েছে। কে, কোথা থেকে হুমকি ইমেলটি পাঠিয়েছে, তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য় জানায়নি পুলিশ

    তবে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া ওই ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, সাই বাবা মন্দিরের (Shirdi Sai Temple) নিরাপত্তা আধিকারিক হলেন বর্তমানে রোহিদাস মালি। তিনিই শিরডি থানায় বোমা হুমকির এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই  ভুয়ো হুমকি হিসেবেই তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে এই হুমকি ইমেলকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে প্রশাসন। তাই মন্দিরের নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে।

  • Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে চলছে না কোনও ভারতীয় বিমান। তবে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলির নামী বিমানসংস্থা পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) আকাশ সীমাকে এড়িয়ে চলছে। যদিও তাদের জন্য সে দেশের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি। তার কারণ হল আকাশসীমা ব্যবহারকারী বিমান সংস্থাগুলির থেকে পাকিস্তান ওভারফ্লাইড ফি নেয়। কিন্তু তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

    কোন কোন বিমান সংস্থা এড়িয়ে চলছে পাক আকাশসীমা?

    গত দুই দিন ধরে, লুফথানসা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস, এয়ার ফ্রান্স, ইতালির আইটিএ এবং পোল্যান্ডের লট হলের মতো বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় বিমান সংস্থা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন,পাকিস্তানের আকাশসীমা (Pakistani) যেভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি, তাতে কয়েকশো মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে পাকিস্তানের।

    ২০১৯ সালেও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল পাকিস্তান (Pakistani Airspace)

    এক্ষেত্রে অনেকেই উদাহরণ দিচ্ছেন ২০১৯ সালের। সেসময় ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামাতে হামলার পরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতের বিমান বাহিনী। এরপরে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে বিমানসংস্থাগুলির উড়ানে রাশ টানা হয়। সেই সময়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল দেশটির। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারার কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হওয়াতে যেভাবে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা হয়।বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এই ঘটনায় উঠে আসে পাকিস্তানি যোগ। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত।

  • Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২ মে। ২০২১ সালে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল (Post Poll Violence)। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দল হয় বিজেপি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খুন অনেক অনেক বিজেপি কর্মী। চলতে থাকে বাড়ি লুট ও ভাঙচুর। নিজেদের জীবন বাঁচাতে অজস্র বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় নিতে হয় ভিনরাজ্যে। এদিন ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।

    ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন (Post Poll Violence)

    বিজেপির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২৫ হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা ১২ হাজার অভিযোগ পুলিশে জানালেও তদন্ত করেনি পুলিশ। কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য। এরপরেই এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের (Post Poll Violence) নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। খুন-ধর্ষণের মামলাগুলি যায় সিবিআইয়েরের কাছে। এরফলে গ্রেফতার করা হয় ৪০০ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাকে।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের তালিকা

    বিজেপির তরফ থেকে একটি তালিকা সামনে এসেছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচন, যাঁদেরকে কেড়ে নিল আমাদের থেকে।’’

    ওই তালিকায় অনুযায়ী—

    ২০২১ সালে ২ মে বেলেঘাটাতে খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার

    কোচবিহারে সিতাইতে ২০২১ সালে ৩০ মে খুন হন অনিল বর্মন

    ফলতাতে ২০১৬ সালের ১৬ মে হত্যা করা হয় বিজেপি কর্মী অরিন্দম মিদ্দে

    ইন্দাসের বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসকে ২০২১ সালের ৪ মে হত্যা করা হয়

    সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী আস্তিক দাসকে হত্যা করা হয় ১০ মে ২০২১

    কাটোয়ার কেতুগ্রামের বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝিকে হত্যা করা হয় ৫ মে ২০২১

    রায়নার ভাদুদাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভগবানপুরের ভাস্কর বেরা কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর

    চন্ডিপুরের চন্দন মাইতিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর

    বিজেপির মহিলা কর্মীর চন্দনা হালদারকে সাতগাছিয়াতে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ জুলাই

    নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মে

    মেদিনীপুর পুরের বিজেপি কর্মী দেবাশীষ শীলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর

    উত্তর দিনাজপুর জেলার কোচবিহার রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেশ বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২০ জুলাই

    চাপড়ার বিজেপি কর্মী ধর্ম মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৬ মে

    শীতলকুচির বিজেপি কর্মীর ধীরেন বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৪ মে

    রায়নায় মহিলা বিজেপি কর্মী দুর্গাবালা বাঘকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে।

    বোলপুরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মে

    কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৪ মে

    সোনারপুরের বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মেয়ে

    ভাটপাড়ার বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ৬ জুন

    বারাসাতের মহিলা বিজেপি কর্মী জোৎস্না মল্লিককে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১২ মে

    ঝাড়গ্রামের বিজেপি কর্মী কিশোর মান্ডিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    কোতুলপুরের বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৬ মে

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মী মানস সাহাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

    বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১২ জুন

    ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইটাহারে খুন হন বিজেপি কর্মী মিঠুন ঘোষ

    ২০২১ সালের ৬ অগাস্ট বারাসাতে খুন হন বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলী

    নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুন হন ২০২১ সালের ৭ মে

    সোনারপুর উত্তরের বিজেপি কর্মী নির্মল মন্ডল খুন হন ২০২১ সালের ২০ মে

    রাজারহাটের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস খুন হন ২০২১ সালের ২৩ মে

    হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি কর্মী প্রতাপ মন্ডলকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর

    ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৯ মে

    আমডাঙার বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাসকে হত্যা করা হয় ১১ মে ২০২১

    কাকদ্বীপের বিজেপি কর্মী সমরেশ পালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই

    নৈহাটির বিজেপি কর্মী সন্তু মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভাতারের বিজেপি বিজেপি কর্মী শ্রম হাঁসদাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২১ মে

    সিতাইয়ের বিজেপি কর্মী শ্রীধর দাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৩ জুন

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মীর সৌরভ বরকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে

    জগদ্দল এর বিজেপি কর্মী শোভারানী মন্ডল মারা যান ২০২১ সালের ৩ মে

    চাকদহের বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ মে

LinkedIn
Share