Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) একবারই জায়গা পেয়েছিল ক্রিকেট। ১৯০০ সালে। প্যারিস অলিম্পিক্সে খেলা হয়েছিল ক্রিকেট। তার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১২৮ বছর। ফের একবার অলিম্পিক গেমসের আসরে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে ‘জেন্টলম্যান্স গেম’। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আসরে দেখা যাবে ক্রিকেটকে। বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ছ’টি দেশ অংশগ্রহণ করবে ক্রিকেটে (Cricket)। জানা যায়, ১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে ছিল ক্রিকেট। সেবছর মাত্র একটি ম্যাচই খেলা হয়েছিল। অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছিল আইসিসি। অবশেষে তা সফল হল।

    ছটি দল খেলবে ক্রিকেট, কীভাবে যোগ্যতা অর্জন?

    প্রসঙ্গত, ছ’টি দল অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং মহিলা, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই এই সংখ্যা একই থাকছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য। আইসিসির অধীনে এই মুহূর্তে ১২টি দেশ পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পায়। আরও ৯৪টি দেশ সহযোগী সদস্য হিসেবে অংশ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে যোগ্যতা অর্জন কী ভাবে হবে তা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সারা বছর ধরেই চলে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই আবহে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইসিসি ব়্যাঙ্কিংকেই যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। অনেকের মতে, এক্ষেত্রে আয়োজক হিসেবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আমেরিকা।

    কমছে ফুটবলের দেশের সংখ্যা

    ক্রিকেট (Cricket) যেমন ১২৮ বছর ফিরছে একইসঙ্গে ফুটবলে দেশের সংখ্যা কমছে বলেও জানিয়েছে অলিম্পিক্স (Olympics 2028) কর্তৃপক্ষ। পুরুষদের ফুটবলে এত দিন পর্যন্ত ১৬টি দেশ খেলত। তবে বর্তমান তা কমে হচ্ছে ১২। অন্যদিকে মহিলাদের ফুটবলে দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ১৬টি দেশ এ বার থেকে অংশ নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে, এবছরের অলিম্পিক্সে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের একাংশ গতকাল বুধবার থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বেলা ১১টা থেকেই শুরু হয়েছে অনশন। জানা যাচ্ছে, আপাতত চার শিক্ষক অনশনে বসেছেন। চাকরিহারাদের সাফ কথা, এসএসসি-কে মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে ‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের বৈধ চাকরিহারা সমাজ’ মঞ্চের তরফে সুমন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, আত্মত্যাগের জন্য আমরা প্রস্তুত। তাই আমরা লাগাতার অনশন শুরু করতে চলেছি। আপনারা আসুন, সহযোগিতা করুন।’’

    মিরর ইমেজ প্রকাশ না করা পর্যন্ত চলবে অনশন

    বুধবারই কসবার ডিআই অফিস অভিযানে শিক্ষকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের। লাঠি থেকে লাথি, চড়-ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। চাকরিহারাদের বক্তব্য, এসএসসি বলেছে যে তাদের কাছে মিরর ইমেজ আছে, আর তারা তা প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু কবে তা প্রকাশিত হবে সেনিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারই কসবা কাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কসবা ডিআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি অভিজিতের

    চাকরিহারাদের অন্য একটি একটা অংশ ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ এদিনই পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবারই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএসসি দফতরে গিয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এসএসসিকে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশের জন্য দু’দিন সময় দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যথায় শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

  • Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি বিতর্ক ছড়িয়েছিল। এবার ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে চিনের (China) ক্ষেত্রে শুধু ব্যতিক্রম। সেদেশে শুল্কনীতি নিয়ে এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। তবে বিশ্বের বাকি সব দেশের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্য দেশগুলিকে শুল্কে আপাতত স্বস্তি দিলেও চিনের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চিনা পণ্যের উপর এ বার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য্য হবে। এনিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আশা করি ভবিষ্যতে কোনও এক জায়গায় গিয়ে চিন বুঝতে পারবে যে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশকে শোষণ করা গ্রহণযোগ্য নয়।’’

    বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

    আমেরিকার বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তালিকায় চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি যেমন ছিল, পাশাপাশি ভারত বা ইজরায়েলের মতো আমেরিকার মিত্র দেশও ছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, এই শুল্কনীতির বিষয়ে অনেক দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক কাউন্সিলের অধিকর্তা কেভিন হ্যাসেট সেসময় জানিয়েছিলেন, ৫০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঘটনা হল, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা চলছে আমেরিকার। গত বুধবার বিকেলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, শুল্ক এবং বাণিজ্য প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

    গত সপ্তাহে বিক্ষোভ আমেরিকায়

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার অন্দরেও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই আমেরিকায় ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। আন্দোলনে নামেন আমেরিকার নাগরিকরা। হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ট্রাম্প সরকারের নানা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আমেরিকার সমস্ত বড় শহরে মার্কিন জনতা ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভগুলির মধ্যে অন্যতম ইস্যু ছিল শুল্কনীতিও।

    শুল্কনীতির প্রভাব আমেরিকার শেয়ার বাজারে

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Donald Trump) সাম্প্রতিক শুল্কনীতিতে অন্য দেশগুলির ওপরে যেমন প্রভাব পড়েছে। একইভাবে প্রভাব পড়েছে মার্কিন মুলুকেও। আমেরিকার শেয়ার বাজারে এমন পরিস্থিতিতে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার মার্কেটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার বাজারে পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকজনই।

    ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে

    এই পরিস্থিতিতেই বড় ঘোষণা করতে শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চিন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। যদিও কী কারণে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটালেন ট্রাম্প, সেবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে মেলেনি। তবে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারের দু’টি সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ এবং ‘ন্যাসড্যাক’ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

    চিনের সঙ্গে চলছে তীব্র কূটনৈতিক সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরেন। এর পর থেকেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়। দু’দেশের শুল্ক সংঘাত শুরু হতেই কূটনৈতিক লড়াই আরও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এরপরে তা আরও ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক টানাটানিতে পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে চিন। এরপরে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেন চিনা পণ্যের উপর। এই আবহে মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১০৪ শতাংশ। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করতেই ফের পাল্টা দেয় চিন। করে চিন। মার্কিন পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় বেজিং। এই পরিস্থিতি দাঁড়ায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক এবং চিনা বাজারে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক! এরপরে চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, “বিশ্ব বাজারের প্রতি কোনও সম্মান দেখায়নি চিন।” সেই কারণেই চিনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

  • Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে জাল আধার কার্ড চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস (Aadhaar scam) করল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal Police) প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে তারা। এত বড় চক্রের পর্দা ফাঁস করে উত্তরপ্রদেশের বাহজয়ী পুলিশ স্টেশন। গত ২ মার্চ এই থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেন ওই থানার অন্তর্গত বাহারওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রসেন। এই অভিযোগ দায়ের করা হয় বিনোদ সিংয়ের বিরুদ্ধে। বিনোদ ছিলেন পঞ্চম সিংয়ের ছেলে। ওই বিনোদ প্রতারণা করে একটি ট্রাক্টর নেন তাঁর অসুস্থ সন্তানের নামে। কিন্তু তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পরে ওই ট্রাক্টরটি তিনি অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন অন্য একজনকে। এরপরে বিনোদ তাঁর বাবার আধার কার্ড জাল (Aadhaar scam) করে আর্থিক লাভ নেওয়া শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনজ্যোতি বিমার আওতায়।

    গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ডে তথ্য সংগ্রহ করত এই চক্র

    এরপরই অভিযোগ সামনে আসে এবং বাহজয়ী পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয় তদন্ত। সেখানেই ধরা পড়ে চক্র। একটি গ্যাংয়ের কথা উঠে আসে। যারা দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ড ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত নানা সংগ্রহ করত (Aadhaar scam)। এগুলিই তারা ব্যবহার করত বিভিন্ন প্রতারণার কাজে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ এবং আমরোহা জেলাতে। ধৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিস্টেম ডিভাইস, বায়োমেট্রিক ডেটা, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম এই সমস্ত কিছু উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে রবার (নকল) ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জাল পাসপোর্ট, ১৩টি রাজ্যের ৪২ টি জাল জন্মের শংসাপত্র, মোবাইল ফোন, ৩৬টি প্যান কার্ড, ৪০০টি আধার এনরোলমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন উদ্ধার হয়েছে।

    আধারের ফেক প্রোফাইলও তৈরি করেছিল এই চক্র

    শুধু তাই নয়, অনলাইন আধারের জন্য যে পোর্টাল চালু রয়েছে ইউআইডিএআই, কোডিং ব্যবহার করে তারাও এরকম একটি ফেক ইউআইডিএআই পোর্টাল তৈরি করেছিল (Aadhaar scam) জালিয়াতরা। এর মাধ্যমে প্রতারণার কাজ চলত। তদন্তের সময় বিনোদের মোবাইল পরীক্ষা করে পুলিশ। সেখানেই পুলিশ দেখে যে তাঁর বাবার নামে দুটি আধার কার্ড রেজিস্টার করা আছে। এই দুটি আধার কার্ড সে ব্যবহার করত। একটি জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৫, অপরটির জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৭৬। পঞ্চম সিংয়ের আধার কার্ড লিঙ্ক ছিল বিনোদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে (Sambhal Police)।

  • Mahaveer Jayanti: সকল জীবকে সম্মান করার কথা বলতেন মহাবীর, আজ জন্ম জয়ন্তীতে জানুন তাঁর বাণী

    Mahaveer Jayanti: সকল জীবকে সম্মান করার কথা বলতেন মহাবীর, আজ জন্ম জয়ন্তীতে জানুন তাঁর বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর হলেন বর্ধমান মহাবীর। আজ বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মহাবীর জয়ন্তী (Mahaveer Jayanti)। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবীর জয়ন্তী পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করে থাকেন। মহাবীর তাঁর জীবদ্দশায় অহিংসা ও আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার প্রচার করেছিলেন এবং মানুষকে সকল জীবের প্রতি সম্মান করতে শিখিয়েছিলেন। তিনি সত্য ও অহিংসার মতো বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। অসংখ্য মানুষকে জীবনের আধ্যাত্মিক মার্গ দেখিয়েছিলেন তিনি।

    মহাবীরের জীবন (Mahaveer Jayanti)

    কথিত আছে যে, ভগবান মহাবীর বিহারের কুন্দলপুরের রাজ ঘরানায় ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশবে তাঁর নাম ছিল বর্ধমান। ৩০ বছর বয়সে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটেন। জৈন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে, ১২ বছরের কঠোর নীরব তপস্যার পর ভগবান মহাবীর তাঁর ইন্দ্রিয়কে জয় করে ছিলেন। নির্ভীক, সহনশীল এবং অহিংস হওয়ার কারণে তাঁকে মহাবীর নাম দেওয়া হয়েছিল। ৭২ বছর বয়সে তিনি পাওয়াপুরী থেকে মোক্ষলাভ করেন। সাধকদের মধ্যে মহাবীর যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁকে শান্তি, সম্প্রীতি, পবিত্রতা, ধর্ম প্রচারকের একজন বলে মনে করা হতো। মহাবীর ছিলেন জৈন ধর্মের সব থেকে বড় গুরু এবং ২৪ তম সর্বশেষ তীর্থঙ্কর।

    কীভাবে পালন করা হয় এই দিনটি

    সর্বোপরি মহাবীর জয়ন্তীর (Mahavir Jayanti 2025) উৎসব জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাকে উৎসর্গ করা হয়। মহাবীর জয়ন্তীর দিন, জৈন ধর্মের লোকেরা প্রভাতফেরি, শোভাযাত্রা বের করেন। তার পরে মহাবীরের মূর্তি সোনা ও রুপোর কলসে অভিষেক করা হয়। এই সময়, জৈন সম্প্রদায়ের গুরু ভগবান মহাবীরের (Mahavir Jayanti) শিক্ষার কথা বলা হয় এবং সেগুলিকে অনুসরণ করতে শেখানো হয়।

    মহাবীরের বাণী:-

    ১) কোনও প্রাণী বা জীবকে আঘাত, গালিগালাজ, নিপীড়ন, দাসত্ব করানো, অপমান, যন্ত্রণা দেওয়া, নির্যাতন বা হত্যা করা অনুচিত।

    ২) রাগ থেকেই আরও রাগের জন্ম দেয়। ক্ষমা ও ভালোবাসা আরও ক্ষমা ও ভালোবাসার দিকে পরিচালিত করে।

    ৩) নিজে বাঁচো, সকলকে বাঁচতে দাও, কাউকে আঘাত কোরোনা। জীবন সকলের কাছে প্রিয়।

    ৪) আনন্দেই হোক বা কষ্টেই হোক, সুখেই হোক বা দুঃখে, সকল প্রাণীকে সেই নজরেই দেখা উচিত, যেভাবে আমরা নিজেদের দেখি।

    ৫) অহিংসাই হল সবচেয়ে বড় ধর্ম।

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জল এবার পাড়ি দিল জার্মানিতে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Government) উদ্যোগে সম্প্রতি ১ হাজার বোতল জল গেল জার্মানিতে। জানা যাচ্ছে, জার্মানি থেকে সঙ্গমের এই জলের জন্য আবেদন করা হয়। সেইমতো প্রাথমিকভাবে ১ হাজার বোতল জলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাহাজে করে এই জলকে পাঠানো হয়েছে জার্মানিতে। এই প্রথম দেশের বাইরে মহাকুম্ভের পবিত্র জল পাঠানো হল। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সঙ্গমের জলকে তাঁরা ভক্তদের মধ্যে প্রসাদের মতো করে বিতরণ করেছেন। যাঁরা মহাকুম্ভের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তাঁদের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে মহাকুম্ভের জলের, জানাল যোগী সরকার (UP Government)

    এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও সামনে এসেছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়েছে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের আন্তর্জাতিক চাহিদাও রয়েছে। এ কারণে প্রয়াগরাজ থেকে জার্মানিতে এই জল পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রী পঞ্চদশ নাম জুনা আখড়ার আচার্য মহামন্ডলেশ্বর স্বামী অবধেশানন্দ আনন্দ গিরি জার্মানিতে এই জল পাঠানোর উদ্যোগটি তদারকি করেন। জার্মানিতে যে জল গিয়েছে সেখানে ৫০০ এবং ২৫০ মিলিমিটারের ১ হাজারটি বোতল পাঠানো হয়েছে।

    উত্তরপ্রদেশের ৭৫ জেলাতেই গিয়েছে এই জল

    চলতি বছরেই ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকুম্ভ মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৬৬ কোটি ভক্তরা এসে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ করা হল বলেই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় এই জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে করা হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে। দেশের বাইরে থেকেও অগণিত ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। প্রয়াগরাজের (Maha Kumbh) মুখ্য দমকল অধিকর্তা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মহাকুম্ভের পবিত্র জলের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে অসমে এই জলের জন্য একটি বড় ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, যদি দেশের অন্যত্র এই জলের চাহিদা থাকে তাহলে সেখানেও এই জল পাঠানো হবে। মহাকুম্ভের জলের গুরুত্ব সকলের কাছে প্রচার করা হবে।

  • Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জঙ্গিপুরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতির ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য পুলিশ একেবারে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গিপুরকাণ্ডে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অমিত মালব্যর মতে, অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্য আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। এই নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতেই রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, বুধবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে চলে। জাতীয় সড়কে আন্দোলন চলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। যানজটের সৃষ্টি হয়।

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে, বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) হিংসা নিয়ে নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটেছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আর মানুষও কোনও ভাবে অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টাকে তাই কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইতিমধ্যে দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের মতো ফের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। এটা অসহমতি জানানোর পদ্ধতি নয়। এটা অসহমতি জানানোর নামে ধ্বংসলীলা যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’’

    পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যসচিব ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে অনুরোধ করব আপনারা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। কারণ পুলিশ যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তা স্পষ্ট। এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লেখেন, ‘‘অন্য রাজ্যে হিংসা (Jangipur Violence) ছড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি কুমিরের কান্না শুরু করে দেন। তবে যখন মুর্শিদাবাদে তাঁর ভোটব্যাঙ্করা হিংসা ছড়ায়, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। তিনি তখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে। এই একই মমতা যখন অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সরব হন, নিজের রাজ্যে সেন্সরশিপের মাধ্যমে তথ্য চাপা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুরের মতো জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নয়, সত্যিটাকে ধামাাপা দেওয়ার জন্যে। সেখানে ওয়াকফের নামে রেললাইনে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই তথ্য চাপা দিতে চাইছে সরকার।’’

    সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মমতার, তোপ মালব্যর

    অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা হল সংবিধানের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সুপ্রিম কোর্টকে তিনি মানেন না। তাঁর পুলিশ মিথ্যা দাবি করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই ফাঁকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকআউট জারি করা ছাকে। যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই থাকে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? নাকি যে মানুষটা সিএএ প্রতিবাদের সময় ‘কা কা ছি ছি’ গেয়েছিলেন, ওয়াকফের বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্যে তাঁর আর কণ্ঠস্বর নেই?’’

    জঙ্গিপুরে হিংসা (Jangipur Violence)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একদল উন্মত্ত জনতা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় অবরোধকারীদের। এর আগের দু’দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর মিলেছে। এর ফলেই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সন্ধ্যার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাণ্ডবকারীদের রাস্তা থেকে কোনওভাবে সরানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।

  • Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতে আসতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale M) কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় খবর।

    ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বুধবারই এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যেমন দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই এক্ষেত্রেও ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale M) ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে।

    নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন

    তবে, বায়ুসেনার সংস্করণের থেকে রাফালের নৌবাহিনীর সংস্করণ কিছুটা আলাদা হবে। মূলত, নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী, তাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাফাল-এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের সামনের অংশটি আরও লম্বা, শক্তিশালী। এছাড়া, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সুবিধার্থে এই বিমানে একটি শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলিতে ব্যবহৃত শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) বা স্কি-জাম্প পদ্ধতির জন্য এই বিমানগুলিকে তেমনভাবেই মডিফাই করা হয়েছে।

    মিগ-২৯কে-এর জায়গা নেবে রাফাল-এম

    নৌসেনার এক কর্তা জানান, রাফাল-এম যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠা-নামার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং একবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে, এই জেটগুলি ভারতীয় নৌবহরের পরিপূরক হবে। এই জেটগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। ওই কর্তা জানান, একবার রাফাল-এম (Rafale M) জেটগুলি আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন হয়ে গেলে, ভারতের জলসীমায় নৌসেনার (Indian Navy) সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

    চার বছর পর থেকে আসবে বিমানগুলি

    জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন ফাইটার জেট কেনার পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ব্যাচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকটি যুদ্ধবিমান (Rafale M) ২০৩১ সালের মধ্যে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

  • Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

    সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

    লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

    মোদির বিবৃতি

    এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

LinkedIn
Share