Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Dhanteras 2025: ধনতেরাসে জ্বালাতে হয় যম প্রদীপ! কী এর তাৎপর্য? কোথায় রাখতে হয়? জানুন নিয়ম

    Dhanteras 2025: ধনতেরাসে জ্বালাতে হয় যম প্রদীপ! কী এর তাৎপর্য? কোথায় রাখতে হয়? জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে, ধনতেরাস (Dhanteras 2025) থেকে দীপাবলি উৎসব শুরু হয়। ধনতেরাসে, সন্ধ্যায় দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান কুবেরের পুজো করা হয়। এই সময়ে মৃত্যুর দেবতা যমরাজেরও পুজো করা হয় এবং সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিকে যম প্রদীপও (Yama Pradip) জ্বালানো হয়। এটি যম দীপদান (Yama Deepdaan) নামেও পরিচিত। যম প্রদীপের পৌরাণিক গুরুত্ব এবং শুভ সময় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

    যম প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন?

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) সন্ধ্যায়, দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান কুবেরের পুজোর পাশাপাশি, যমরাজকে খুশি করার জন্যও পুজো করা হয়। বাড়ির দক্ষিণ দিকে চারমুখী প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই চারমুখী প্রদীপকে যম প্রদীপ বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির দক্ষিণ দিকের অধিপতি হলেন যমরাজ। পৌরাণিক বিশ্বাস আছে যে, ধনতেরাসে দক্ষিণ দিকে যমের প্রদীপ জ্বাললে যমরাজ (Yama Pradip) প্রসন্ন হন। ঘরে সুখ, শান্তি ও স্বাস্থ্য থাকে। ভাইফোঁটা পর্যন্ত যমরাজের নামে প্রদীপ জ্বালানো ঐতিহ্যবাহী। এটি যাতে নিভে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। টানা পাঁচ দিন ধরে এটি জ্বালাতে হবে। প্রদীপ জ্বালানোর সময়, দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য যমরাজের কাছে প্রার্থনা করা উচিত। এই প্রদীপ জ্বালালে নরকের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, মৃত্যুর পরে নরকে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। তদুপরি, যমদীপ নেতিবাচক শক্তি দূর করে।

    যম প্রদীপ কোথায় বসাতে হয়?

    এবছর ধনতেরাস (Dhanteras 2025) পড়েছে শনিবার, ১৮ অক্টোবর। ধনতেরাসে ১৩টি প্রদীপ জ্বালানো (Yama Pradip) শুভ বলে মনে করা হয়। ধনতেরাসের সন্ধ্যায়, আটার চারমুখী প্রদীপ তৈরি করে তাতে সরিষার তেল দিন। প্রথমে ঘরের বাইরে আবর্জনার কাছে একটি প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এই প্রদীপটি দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রদীপটি যমরাজের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বলা হয় যে এই প্রদীপ জ্বালালে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো যায়। এরপর, অবশিষ্ট প্রদীপগুলি (Yama Deepam) ঘরের প্রধান প্রবেশপথে, তুলসী গাছের কাছে, বাড়ির ছাদে, পিপল গাছের নীচে, কাছের মন্দিরে জ্বালাতে হবে। বাথরুম এবং জানলার কাছে এক বা দুটি প্রদীপ রাখাও শুভ। এ ছাড়া বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে গরুর ঘির প্রদীপ  জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন এবং প্রচুর ধন-সম্পদ দান করেন (Dhanteras 2025)।

  • Dhanteras 2025: ধন ত্রয়োদশী তিথি কটায় শুরু, পুজো ও কেনাকাটার শুভ সময় কখন?

    Dhanteras 2025: ধন ত্রয়োদশী তিথি কটায় শুরু, পুজো ও কেনাকাটার শুভ সময় কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু, দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো, কালী পুজো। পরপরই চলতে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ধনতেরাস (Dhanteras 2025)। ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয় স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধন দেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    কখন শুরু ও শেষ ত্রয়োদশী তিথি (Dhanteras Tithi)

    ২০২৫ সালে ত্রয়োদশী তিথি দুই দিন ধরে থাকবে, যার কারণে ধনতেরাস উদযাপনের তারিখ নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে প্রচলিত নিয়ম এবং পঞ্জিকা অনুসারে প্রদোষ কাল-এ (সূর্যাস্তের পরের সময়) ত্রয়োদশী তিথি থাকলেই সেই দিন ধনতেরাস (Dhanteras 2025) পালিত হয়। সেই হিসেবে, ১৮ অক্টোবর, শনিবার ধনতেরাস পালিত হবে।

    ত্রয়োদশী তিথি শুরু: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, শনিবার, দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট থেকে।
    ত্রয়োদশী তিথি শেষ: ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, রবিবার, দুপুর ১টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।

    পুজোর শুভ মুহূর্ত (প্রদোষ কাল)

    ধনতেরাসের পুজো (Dhanteras Puja Timings) প্রদোষ কাল-এ করাই সবচেয়ে শুভ ও ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই সময়টি প্রদোষ এবং বৃষভ (স্থির) লগ্ন দ্বারা নির্ধারিত হয়।

    প্রদোষ কাল: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
    বৃষভ কাল: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।

    ধনতেরাস পুজো মুহূর্ত: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
    সময়কাল: ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট।

    কেনাকাটার শুভক্ষণ

    ধনতেরাসে (Dhanteras 2025) সোনা, রুপো, নতুন বাসনপত্র, বা অন্যান্য মূল্যবান ধাতু কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা ঘরে সারা বছর ধরে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

    ১৮ অক্টোবর, শনিবার আপনি পুরো দিন জুড়েই কেনাকাটা করতে পারেন, তবে বৃষভ কাল এবং লাভ যোগে কেনাকাটা সবচেয়ে শুভ।

    দিনের শুভ সময়: সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট গতে ২টো ৪৭ মিনিট পর্যন্ত।
    সন্ধ্যা ও রাতের শুভ সময়: সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।

  • Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতা থেকে হৃদরোগ— শরীরের একাধিক রোগের কারণ খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বেশিরভাগ জীবনযাপন আর খাদ্যাভাসের কারণেই জটিল আকার নিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি নিয়মিত খাচ্ছেন। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাত্র কয়েক দিন পরেই দেশজুড়ে দীপাবলির উৎসবে মাতবেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! উৎসবের উদযাপনে চলবে মিষ্টি মুখ। কিন্তু সতকর্তা না থাকলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই উৎসবের আমেজ ও যাতে সচেতনতা থাকে, মিষ্টিমুখে চিনির পরিবর্তে অন্য বিকল্প মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বিপদ বাড়াচ্ছে চিনি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। তাই অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। কারণ এই অতিরিক্ত শর্করা ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটায়। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে‌। সারা বিশ্বের ডায়াবেটিস আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি বোঝা ভারতে। কম বয়সিদের মধ্যে প্রবলভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস বিপজ্জনক। কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি সহ একাধিক কার্যকারিতা কমে।

    কী কী বিপদ ডেকে আনছে চিনি?

    স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধি

    চিনিতে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। ওবেসিটি বা বাড়তি ওজনের মতো রোগ শরীরের একাধিক স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করে। হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের কারণ ওবেসিটি। আর এই বাড়তি ওজনের সমস্যার পিছনে অনেক সময়েই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস দেখা যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

    চিনি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই উপাদান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

    লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক

    চিনি লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক। চিনি খেলে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও চিনি ক্ষতিকারক। চিনি খেলে শরীরের নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে মানসিক উদ্বেগ বাড়ে। অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা যায়।

    চিনির বিকল্প কোন খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    উৎসবের মরসুম হাজির। দীপাবলি হোক কিংবা ভাইফোঁটা, উৎসবের উদযাপনে মিষ্টিমুখের রেওয়াজ রয়েছে। রসগোল্লা থেকে পায়েস, বাঙালির নানান ধরনের মিষ্টিতেই চিনি থাকে।‌ আর এই সময়ে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া হয়। যা শরীরের ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।

    গুড় প্রাকৃতিক উপাদান

    তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি খাওয়ার পরিবর্তে গুড় খাওয়া যেতে পারে। নাড়ু, পায়েসের মতো নানান মিষ্টি তৈরির সময় উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড় প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরের জন্য উপকারি। তাই গুড় উপকারি।

    মিষ্টি ফলও উপকারী

    তাছাড়া, তরমুজ, পাকা পেঁপে, আমের মতো ফলের তৈরি মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফলের তৈরি খাবারে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে না। চিনির মতো অপকারিতা নেই। তাই ফলের তৈরি মিষ্টি বাড়তি ঝুঁকি কমাবে।

    চিনির বদলে মধু

    মিষ্টির উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড়ের মতো মধু হলো প্রাকৃতিক উপাদান। তাই মধুতেও রয়েছে নানান খনিজ পদার্থ। তাছাড়া মধুতে প্রোটিন, ভিটামিন রয়েছে। এই আবহাওয়ায় অনেকেই সর্দিকাশিতে ভোগেন। মধু নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। তবে গুড় হোক কিংবা মধু পরিমাণের দিকে নজর জরুরি। অতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের জন্য উপকারি হয় না। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে ফের বিপদ বাড়ছে। আগাম সতর্কতা জারির পরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সচেতন না হলে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। দুর্গাপুজো শেষ! কিন্তু আর মাত্র কয়েক দিন পরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন বঙ্গবাসী। কিন্তু তার মধ্যেই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। উৎসবের আমেজের তাল কাটতে পারে মশাবাহিত এই রোগ। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র কলকাতা কর্পোরেশন এলাকাতেই নতুন ভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৬ জন। কিন্তু অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮০ জন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বিগত বছরে কেন্দ্রের তরফে কলকাতার ৬৯টি ওয়ার্ডকে ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির পরামর্শ ও দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে কলকাতার ১১টি ওয়ার্ডকে বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, টালিগঞ্জের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশপাশি হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেও গত এক মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    উৎসবের মরশুমে কেন ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপ‌ট বৃদ্ধির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গা থাকে জলমগ্ন। আর এই আর্দ্র আবহাওয়া এবং জলমগ্ন পরিবেশ মশার বংশবিস্তারের আদর্শ। তাই বছরের এই সময়ে মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ এই রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়। তাই বছরের এই সময়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট রুখতে আগাম পরিকল্পনা জরুরি। স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, আগামী কয়েক বছরে দেশজুড়ে ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়তে পারে। ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা হবে। তাই আগাম নানান পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিভিন্ন স্তরে একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতি আশানুরূপ হয়নি এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    পুজো কমিটি ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এবং সর্বপরি সচেতনতার অভাবকেই ম্যালেরিয়ার দাপট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির জন্য জমা জল‌ পরিষ্কার হয়নি। এমনকি আশপাশের আবর্জনা ও সময় মতো পরিষ্কার করা হয়নি। পাশপাশি দুর্গাপুজোর উৎসব শেষের পরেও কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে। এর ফলে মশার দাপট বাড়ছে। তাই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও কলকাতার অধিকাংশ পুজো কমিটি এবং পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহর পরিষ্কারের কাজ তৎপরতার সঙ্গে হয়েছে। ম্যালেরিয়া রুখতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। তাই ওয়ার্ড ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ম্যালেরিয়ার বিপদ এড়াতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশা কামড়ানোর ঝুঁকি কমাতে মশারি টাঙানোর রেওয়াজ ফিরিয়ে আনা জরুরি। এছাড়া আশপাশের এলাকা পরিষ্কার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। জমা জল মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই বাড়িতে কিংবা আশপাশের এলাকায় জমা জল যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। জ্বরে তিন দিনের বেশি সময় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তপরীক্ষা জরুরি। তাতে রোগ সহজে ধরা পড়বে। সময় মতো‌ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

  • Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজৌরি, অনন্তনাগের পরে এ বার কুপওয়ারা। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্বাভাবিক গতিবিধি নজরে আসে প্রহরারত জওয়ানদের। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সে সময় বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে পাক জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুরু হয় দু’তরফের গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। মাছিল সেক্টরের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি।

    অন্যদিকে, দুদনিয়াল সেক্টরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার ফলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনার পদস্থ আধিকারিকরা। তবে এখনও ওই এলাকায় জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

    শীতের আগে সেনা তৎপরতা তুঙ্গে

    গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা। কারণ শীত পড়ার আগেই বিপুল পরিমাণে জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। শীত পড়ে গেলে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকা কঠিন। তাই শীত পড়ার আগে পাকিস্তানি লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে, এমনটাই মত বিএসএফ কর্তার। সেকরণেই বিএসএফ এবং সেনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে, লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে অপারেশন চলার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান দুই প্যারা কম্যান্ডো (স্পেশাল ফোর্স) সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষ। শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। অনন্তনাগের আলান গাডোলে এলাকার কোকেরনাগ সাব ডিভিশনের জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে সেনা। অভিযান চলাকালীন আচমকাই স্পেশাল প্যারা ইউনিটের দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত কয়েকদিনে আরও জঙ্গি নিকেশ

    সম্প্রতি, একটি যৌথ অভিযানের সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে।

    আবার, কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এর আগেও একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। দুই সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন শোপিয়ানের বাসিন্দাস নাম আমির আহমেদ দার। এই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল। পহেলগাম হামলার পর মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪ জন ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় তার নাম ছিল।

  • Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজম থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। কিন্তু আধুনিক জীবন‌যাপন আর খাদ্যাভ্যাস লিভারের উপরেই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। তার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। লিভার সুস্থ রাখতে তাই বিশেষ কিছু খাবার ফি-দিনের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কেন লিভারের বাড়তি যত্ন জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ খুব কম বয়স থেকেই লিভারের অসুখে কাবু। নিয়মিত হজমের গোলমাল, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো নানান সমস্যাও দেখা যায়। লিভার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সেই ভারসাম্য নষ্ট হলে চুল ও ত্বকের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন চালাতে লিভারের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন চটজলদি প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই সমস্ত প্যাকেটজাত খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে কমবেশি প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা মানুষের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে লিভারের উপরেই। তাছাড়া, পিৎজা, বার্গার কিংবা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ায় অনেকেই অভ্যস্ত। তাই লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই লিভারের সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    কোন তিন ফল বাজিমাত করবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত তিনটি ফল খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রাখছেন আপেল। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে আপেলের কয়েকটি টুকরো নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে দারচিনির গুঁড়ো মেশানো আপেল অত‌্যন্ত উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে পেকটিন এবং পলিফেনলসের মতো উপাদান। আবার দারচিনি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই খাবার ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে।

    পাতিলেবুর রস মেশানো তরমুজের সরবত সপ্তাহে তিন দিন খেলেই লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরমুজ নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। আবার লেবু হলো‌ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই এই ফল শরীরের জন্য বাড়তি উপকারি।

    লিভারের ভিতরে ক্ষত কিংবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা নিরাময়ে সাহায্য করে বেদানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেদানায় রয়েছে পলিফেনল। এই যৌগ উপাদান লিভারের ভিতরের ক্ষত সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বেদানাকে খাবারের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    এই তিন ফলের পাশপাশি বেরি জাতীয় ফল এবং বিট, গাজর, পালং শাকের মতো নানান রঙের সব্জি নিয়মিত খেলে হজমের ক্ষমতা বাড়বে। লিভারের শক্তিও বাড়বে। শরীর সুস্থ থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে আলোর উৎসব! শহর থেকে গ্রাম, বাঙালি মেতে উঠবে দীপাবলির (Diwali 2025) আনন্দে! মাটির প্রদীপ হোক কিংবা অ্যারোমা ক্যান্ডেল, নানান রকমের আলোয় সাজবে বাড়ি। তবে তার সঙ্গে বাড়বে বাজির দাপট (Diwali Fireworks)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের উদযাপনে যেন স্বাস্থ্যেও নজর থাকে। তাই উদযাপনের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে এই শহরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বাজির উৎসবের দাপটে রাশ জরুরি!

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    বিশ্ব জুড়ে ফুসফুসের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত সিওপিডি-র মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে গত কয়েক বছরে বেড়েছে। সিওপিডি (COPD) আক্রান্তেরা শ্বাসকষ্ট, ঘনঘন কাশি-সর্দিতে ভোগান্তি, বুকের ভিতরে একটা চাপ অনুভব করার মতো নানান উপসর্গে ভোগেন। এর জেরে তাঁরা ক্লান্তি অনুভব করেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটও বাড়ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সিওপিডি-তে (COPD) আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। প্রতি দশ সেকেন্ডে একজন সিওপিডি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। কারণ, কলকাতা, হাওড়ার মতো শহরে বায়ুদূষণ (Air Pollution) মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তাই এ রাজ্যেও সিওপিডি বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে কলকাতায় শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সিওপিডি-র (COPD) সমস্যা বেড়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে সারাজীবন তাদের নানান শারীরিক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাজি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা চিকিৎসকদের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক শহর, এছাড়াও দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো রাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে মানুষের সহনশীলতার তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি দূষিত পদার্থ রয়েছে। এর জেরেই রাজ্যে ফুসফুসের অসুখ (COPD) বাড়ছে। বাজি এই পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শব্দ বাজির পাশপাশি নানান ধরনের আলোর বাজি পোড়ালে বাতাসে একধরনের সাদা ধোঁয়া (Diwali Fireworks Air Pollution) মিশে যায়। এই ধোঁয়া আসলে বিষাক্ত রাসায়নিক। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফারের মতো একাধিক শরীরের পক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ও উপাদান বাতাসে মিশতে থাকে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের দাপট বাড়ে। তাছাড়া সিওপিডি আক্রান্তদের জন্য ও পরিস্থিতি সঙ্কটজনক‌ হয়ে ওঠে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    সকলে একসঙ্গে উৎসব পালন করতে পারলে তবেই উদযাপনে আনন্দ। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন উৎসব উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব গ্রিন বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব না হলে সেই বাজি পোড়ানো উচিত নয়। তাতে নতুনভাবে সিওপিডি (COPD) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। রোগীদের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক হতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি প্রশাসনের তৎপরতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বেআইনি বাজি নির্মাণ বন্ধ করা, বাজারে পরিবেশবান্ধব নয়, এমন বাজি যাতে রমরমিয়ে বিক্রি হতে না পারে সে দিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। সাধারণ মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা না বাড়লে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

    সুস্থ থাকতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের ঠিকমতো নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক পরে তবেই বাইরে যাওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে বাতাসে দূষিত (Air Pollution) উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মাস্ক পরলে কিছুটা (COPD) রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত আদা এবং এলাচের মতো মশলা রান্নার উপকরণ হিসাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মশলা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। তাই এই সময়ে এই ধরনের মশলাযুক্ত খাবার খেলে বাড়তি উপকার হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত ও নিশ্ছিদ্র করার লক্ষ্যে এবার ব্রিটেনের থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সদ্যসমান্ত ভারত সফরের মধ্যেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তির (India UK Defence Deal) বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ, বলে জানা গিয়েছে।

    ৩,৮৮৪ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া বৈঠকে দুই দেশ ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩,৮৮৪ কোটি টাকা) মূল্যের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে (India UK Defence Deal) সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ব্রিটেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএমএম) বা ‘মার্টলেট’ সরবরাহ করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা থ্যালেস এই মিসাইলগুলি তৈরি করবে। ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স) আরও মজবুত হবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।

    ভারতে আসছে পৌরাণিক পাখি…

    এলএমএম বা মার্টলেট হল হালকা ওজনের একধরনের মাল্টিরোল মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) বা বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র। এই হালকা মিসাইলটি আকাশ থেকে ভূমি (এয়ার-টু-সারফেস), আকাশ থেকে আকাশ (এয়ার-টু-এয়ার), ভূমি থেকে আকাশ (সারফেস-টু-এয়ার) ও ভূমি থেকে ভূমিতে (সারফেস-টু-সারফেস) থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘মার্টলেট’ নামটি মূলত একটি পৌরাণিক পাখির নাম। ইংরেজদের যুদ্ধের সাজে এই পাখির একটি কাল্পনিক ছবি থাকে, যার পা নেই। অর্থাৎ এই পাখি কখনও বিশ্রাম নেয় না। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম এবং লঞ্চার পাবে (India UK Defence Deal)। এলএমএম দ্রুত, নির্ভুল এবং বহুমুখী, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং ছোট বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া যেতে পারে। ৬ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে ‘মার্টলেট’। লেজার বিম গাইডেন্স-ভিত্তিক এলএমএম নানা কনফিগারেশনে পাওয়া যায়। মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইলটির গতি ম্যাক ১.৫ (শব্দের গতির দেড় গুণ) এবং এটি ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মোতায়েন রয়েছে।

    থ্যালেস তৈরি করবে এই মিসাইল

    ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তিকে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং ভারতের সঙ্গে গভীরর কৌশলগত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে বর্ণনা করেছে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে যে, এই চুক্তিটি (India UK Defence Deal) প্রায় ৭০০ ব্রিটিশ কর্মীর চাকরি নিশ্চিত করবে। এই একই মিসাইল ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অবস্থিত থ্যালেস সেই কারখানাতেই এই মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) তৈরি হবে। সেখানেই ভারতীয় সেনার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল এবং লঞ্চার তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, সেই মিসাইল চুক্তির হাত ধরে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন সমন্বয়ের পথ আরও প্রশস্ত হল। আত্মনির্ভর ভারতের যে ভিত্তি আছে, সেটার পথও প্রশস্ত হয়েছে।

    সমুদ্রেও ভারত-ব্রিটেন সমঝোতা

    এছাড়াও, সামুদ্রিক খাতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি (India UK Defence Deal) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভ (IPOI) এর অধীনে একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (RMSCE) প্রতিষ্ঠা। এটি প্রশিক্ষণ, তথ্য ও জ্ঞান ভাগাভাগি এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর জোর দেবে। যৌথ বিবৃতিতে, দুই দেশ জানিয়েছে যে এই কেন্দ্রটি জলদস্যু, অবৈধ মাছ ধরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। এছাড়া, মেরিটাইম ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেম তৈরির বিষয়ে দু’দেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। সেই বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য সই-সাবুদও হয়েছে।

  • Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি! বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হলেও, উৎসবের মরসুম কিন্তু হাজির! আর মাত্র কয়েক দিন! আর তারপরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন আমজনতা! দীপাবলি আর ভাইফোঁটা! বছরের এই দুই উৎসবে বাঙালি বাড়িতে বাড়তি আয়োজন! শহর হোক বা গ্রাম, কালীপুজো আর ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাঙালির রান্নাঘরে বাড়তি আয়োজন চলে! গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলছে থাকে।‌ তাই দুর্গোৎসব আর দীপাবলির মাঝের দু’সপ্তাহে শরীরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করেছেন‌।‌ রাত জেগে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা আর খানাপিনা ও চলেছে! আর তার জেরে অনেকেই কাবু হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের গোলমালে জেরবার অনেকেই। আবার কেউ কেউ বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। দীপাবলির উৎসবে মেতে ওঠার আগে, তাই কয়েক দিন শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    নিয়মিত সকালে আধ-ঘণ্টা হাঁটা!

    উৎসবের মরশুমে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সময়ে নিয়মিত সকালে আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে হাঁটলে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়। ওজন ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে। এর জেরে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। পাশপাশি, সকালে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও এড়ানো যায়। তাই পুজোর পেট পুজোর জেরে‌, যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়মিত সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দু’সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটলে তার প্রভাব শরীরে পড়বে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে অনেকেই রাত জেগে থাকেন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। একদিকে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, আরেকদিকে অপর্যাপ্ত ঘুম! এই দুই কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে থাকে। দীপাবলির উৎসবের আনন্দ করার জন্য‌ এই কয়েকদিন তাই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে মস্তিষ্ক, স্নায়ু এবং পেশির বিশ্রাম জরুরি। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দুর্গাপুজোর সময়ে অনেকেই রাত জেগে ঠাকুর দর্শন করেন। তাই উৎসবের পরে শরীরে বাড়তি ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়। এই সময় তাই মস্তিষ্কের বিশ্রামের প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে থাকার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    কম তেলে রান্না খাবার প্রয়োজন!

    বাঙালির ভুরিভোজ মানেই মাছ, মাংসের হরেক পদ। আর তার সঙ্গে চলে ভাজাভুজি! আর তার জেরেই ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ‌ তৈরি হয়। তাই সুস্থ থাকতে আপাতত ভুরিভোজে রাশ টানার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন খেলেও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। বরং স্যুপ কিংবা স্টু জাতীয় পদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল ও মশলা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হজমের গোলমাল তৈরি করে।

    সব্জি আর ফলেই ভরসা রাখার পরামর্শ!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমের গোলমাল এড়াতে এবং অন্যান্য রোগের দাপট কমাতে সব্জি এবং ফলের উপরেই ভরসা রাখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে সুস্থ থাকতে নিয়মিত সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে অধিকাংশ বাঙালি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খান। কিন্তু সেই অনুপাতে ফল আর সব্জি খাওয়া হয় না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে‌। নিয়মিত লেবু, পেয়ারা, কলা, নাশপাতি জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এগুলো অন্ত্রের জন্য ভালো। আবার এগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তার পাশপাশি গাজর, পালং শাক, পটল, ঝিঙে লাউয়ের মতো সব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেবে।‌ তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা দিবসে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

    বুধবার সকালে সমাজ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত বিমান যোদ্ধা, প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এক্স মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। আমাদের বিমান যোদ্ধারা আমাদের আকাশ রক্ষা করে ও দুর্যোগ এবং মানবিক অভিযানের সময় অক্লান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করে। আমাদের বায়ুসেনা শক্তি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের সমস্ত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

    শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর…

    এক্স পোস্টে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী বিমান যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় বায়ুসেনা সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক। বায়ুসেনা ভারতের আকাশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবল প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে।”

    এদিন গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বুধবার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস, স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানরা। ঐতিহ্যবাহী বিমানগুলির দুর্দান্ত আকাশ প্রদর্শন এবং তিন বাহিনীর মার্চপাস্ট মন কেড়েছে উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। আমি গর্বিত যে এমন এক বাহিনীর অংশ, যা কেবল আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত নয়, সাহস ও সমর্পণেও অতুলনীয়।” তিনি স্মরণ করান ১৯৪৮, ১৯৭১, ১৯৯৯-এর যুদ্ধ থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো অভিযানে বায়ুসেনার অনন্য ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “আমাদের বীর সেনারা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা এবং সম্মানের নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে।”

    এয়ার চিফ মার্শাল সিং জানান, ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করেছে যে নিবিড় প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কত বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।” বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “নিয়মিত প্রশিক্ষণই আমাদের সক্ষম রাখে। প্রতিটি বায়ুযোদ্ধাকে অঙ্গীকার করতে হবে—পরিস্থিতি যাই হোক, আমি দুর্বল হব না, এবং আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।” ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সতর্কতা ও অবিরাম অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।”

LinkedIn
Share