Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Waqf Bill: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল পাশ করেছে মোদি সরকার, মত মওলানা শাহাবুদ্দিনের

    Waqf Bill: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল পাশ করেছে মোদি সরকার, মত মওলানা শাহাবুদ্দিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য পাশ হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। এবার এই বিলকেই সমর্থন করলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী (Waqf Bill)। তাঁর মতে, মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপে ভারতের মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। বিলটি পাস হওয়ার পরে নিজের প্রকাশ্য় বিবৃতিতে মওলানা শাহাবুদ্দিন মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল সাধারণ মুসলমানদের জন্য এক আশীর্বাদ। কোনওভাবেই তা ক্ষতিকারক নয়। এই বিল তাদের জন্য ক্ষতিকারক যারা অবৈধভাবে মূল্যবান জমি দখল করে রেখেছে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill)

    মওলানা তাঁরা সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, বিলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মুসলিম সম্প্রদায়ের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের স্বার্থ রক্ষা করা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ওয়াকফ (Waqf Bill) জমি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব দরিদ্র মুসলিমদের (Shahabuddin Razvi) আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নতির জন্য ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, “ওয়াকফ জমি থেকে প্রাপ্ত আয় দরিদ্র মুসলিমদের কল্যাণে, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের উন্নত শিক্ষা পেতে সহায়তা করবে। এটি এতিম ও বিধবাদের আর্থিক উন্নয়নেও সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে”

    মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই বিল কখনও প্রভাব ফেলবে না

    ধর্মীয় স্থানের ওপর এই বিলের (Waqf Bill) প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিল মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান বা মাজারের জন্য কোনও হুমকি তৈরি করেনি। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি অক্ষত থাকবে। সরকার কোনওভাবেই তাদের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। এর পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ তাঁদের নিজস্ব স্বার্থে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন। আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাব তাঁদের উস্কানিতে পা না দেওয়ার জন্য।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে রাজ্যসভায় দীর্ঘ বিতর্কের পর ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাশ হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর ১২৮টি ভোট পক্ষে এবং ৯৫ ভোট বিপক্ষে পড়ে। এরপরেই বিলটি অনুমোদিত হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর বিলটি এর আগে লোকসভায় পাশ হয়েছিল।

  • Ram Navami 2025: বিহারে ৫০ বছর ধরে রামনবমীর পতাকা তৈরি করছেন ইউনূসরা

    Ram Navami 2025: বিহারে ৫০ বছর ধরে রামনবমীর পতাকা তৈরি করছেন ইউনূসরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের গয়াতে সেলাইয়ের কাজ করেন মহম্মদ ইউনূস। গয়ার স্থানীয় কেপি রোডের রাস্তার এক ধারেই তিনি বসেন। সেলাইয়ের কাজে তাঁকে সাহায্য করেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। রামনবমীর (Ram Navami 2025) আবহে দেখা যাচ্ছে, ভগবান রাম এবং হনুমানের ছবি আঁকা পতাকা ইউনূস পরিবারের প্রত্যেকেই সেলাই করছেন। অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গে তাঁরা এই কাজ করছেন। কোনও রকম সময় নষ্ট না করে। এক সংবাদ মাধ্যমকে ইউনূস বলেন, ‘‘এই কাজটি শুধু আমি করছি না। আমার দাদুর বাবার আমল থেকেই শুরু হয়েছে এই কাজ। আমরা আজও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছি এবং নিজেদের পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি।’’

    ইউনূসের পরিবার আজ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছেন

    বিহারের গয়াতে ইউনূসদের এমন পতাকা সেলাই সত্যিই এক সম্প্রীতির নয়া উদাহরণ তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, ইউনূসের পরিবার আজ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রামনবমী (Ram Navami 2025) উদযাপনের জন্য ব্যবহৃত পতাকা তৈরি করেন। ইউনূসের তৈরি পতাকাগুলি তিন ফুট থেকে শুরু করে ৪৫ ফুট পর্যন্ত হয়। বিভিন্ন রামনবমীর শোভাযাত্রাতে সেগুলি ব্যবহৃত হয়। তবে কেবল গোয়াতে নয়, তাঁর তৈরি করা পতাকাগুলি অন্যান্য জায়গাতেও পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসে অর্ডার

    এ নিয়ে ইউনূস সংবাদ মাধ্যমকে বলছেন, ‘‘আমরা বিহার ঝাড়খণ্ডের অনেক জায়গাতেও পতাকা সেলাই (Ram Navami) করে পাঠাই এবং সেখান থেকে মানুষজন আমাদেরকে অর্ডার দেন।’’ ইউনূসের পরিবারের অন্যতম সদস্যদের মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা ছোট থেকেই আমাদের বাবা-মাকে যা করতে দেখেছি আমরা সেটাই করছি।’’

    চৈত্র নবরাত্রি শুরু হতেই চাহিদা থাকে তুঙ্গে

    প্রতিবছর এই চৈত্র নবরাত্রির শুরু হতেই ইউনূসের বাড়ি এবং তাঁর কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। গেরুয়া, হলুদ, লাল রঙের পতাকা তৈরি হতে থাকে। রামনবমী উদযাপনের সময় চাহিদা থাকে একেবারে তুঙ্গে। এই নিয়ে ইউনূসরা জানাচ্ছেন যে তাঁদের সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস আছে। তাঁদের আরও দাবি,এমন পতাকা তৈরি করতে তাঁরা কখনও অস্বস্তিবোধ করেন না। বিহারের স্থানীয় বাজারগুলিতে পতাকার আকার এবং নকশার উপর ভিত্তি করে তা বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাম থাকে।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার কুর্সিতে বসেছেন গত জানুয়ারি মাসেই। এই আবহে তাঁর নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার আমেরিকান। শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনের রাস্তাতে। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছেন আমেরিকার মানুষ। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার (USA) ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার এইরকমের মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রশাসনে পর পর কর্মীছাঁটাই, অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য নয়া নিয়ম চালু, শুল্ক নীতি- এই প্রতিটি সিদ্ধান্তেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। এই আবহে মসনদে বসার ৩ মাসের মধ্যেই দেখা গেল বিক্ষোভ।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?

    ম্যানহাটনে ট্রাম্প-বিরোধী (Donald Trump) মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে এক প্রতিবাদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ভীষণ ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত একদল মানুষ নিজেদের ইচ্ছামতো আমাদের দেশটাকে চালাচ্ছেন। আমাদের দেশ আর মহান নেই।’’ অন্যদিকে ওয়াশিংটনের রাস্তায় স্লোগান দিতে দিতে এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে বাসে করে আমরা প্রায় ১০০ জন এখানে প্রতিবাদ (USA) জানাতে এসেছি। এই প্রশাসনের জন্য বিশ্ব জুড়ে বন্ধুদের হারাচ্ছি আমরা। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। দেশের মধ্যেও তারা বিভাজন তৈরি করছে। আমাদের সরকারকে ওরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    নীতি বদলাবে না সাফ জানালেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত দেখা গিয়েছে সেদেশের রাজধানী ওয়াশিংটনেই। হোয়াইট হাউসের অদূরে ন্যাশনাল মলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। আমেরিকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে এসেছেন তাঁরা। ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে ওয়াশিংটন। কিছু রিপোর্ট বলছে, শুধু ওয়াশিংটনেই ২০ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জমায়েতে শামিল হয়েছেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি, সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে ট্রাম্প (Donald Trump) অবশ্য কোনও বিরোধিতায় আমল দিচ্ছেন না। হোয়াইট হাউসে বসে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমার নীতি কখনও বদলাবে না।’’

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, আজই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, আজই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীর সফর করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর এই সফর ৩ দিন চলবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়া জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করার কথাও রয়েছে তাঁর।

    উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন শাহ (Amit Shah)

    সূত্রের খবর, আজই অর্থাৎ রবিবার জম্মুতে লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা আধিকারিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পরে এমনই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir)। গত মাসেই জম্মুর কাঠুয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয়। চারজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এই আবহে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক

    সূত্রের খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি কাঠুয়া সহ একাধিক পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলেছে জঙ্গি দমন অভিযান। এই আবহে শাহের (Amit Shah) সফর নিয়ে আবদুল্লা বলেন, ‘‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’’

    নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন

    জানা যাচ্ছে, অমিত শাহের জম্মু-কাশ্মীর সফরে তিনি নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন। এরপর ৭ এপ্রিল রাতেই শ্রীনগর সফর করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করবেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। শাহের সফর ঘিরে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ভিকে বিরদি এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেন।

  • Ram Navami: একাধিক শুভ যোগ রাম নবমীতে, কোন কোন রাশির ভাগ্য ফিরছে?

    Ram Navami: একাধিক শুভ যোগ রাম নবমীতে, কোন কোন রাশির ভাগ্য ফিরছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয়ে রাম নবমী (Ram Navami)। জ্য়োতিষীরা বলছেন, ২০২৫ সালের রাম নবমীতে (Ram Navami 2025) বিরলযোগ তৈরি হয়েছে। যা অত্যন্ত শুভ ফল দায়ী। এদিনে শ্রীরামের পুজো করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ হবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। জানা যাচ্ছে এবারের রাম নবমীতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ ও রবি যোগ- এই তিন যোগ তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত বিরল এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময় যেকোনও শুভ কাজ করলে, মিলবে শুভ ফল, আসবে টাকা।

    রবি পুষ্য যোগের কাকতালীয় সংযোগ ১৩ বছর পরে

    জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, রাম নবমীতে (Ram Navami) রবি পুষ্য যোগের কাকতালীয় সংযোগের ঘটনা একেবারে ১৩ বছর পর ঘটছে। পুষ্য নক্ষত্রকে সৌভাগ্য এবং সম্পদ এর নক্ষত্র বলে মানা হয়। এর শুভ প্রভাবে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হয়। বৃষ, মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা রাম নবমীতে রবি পুষ্য নক্ষত্রের শুভ প্রভাবের সুবিধা পাবেন। এরফলে চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

    রামনবমীর পুজোর শুভ সময়

    চলতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের নবমী (Ram Navami) তিথি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২৬ মিনিট থেকে। চলবে আজ রবিবার ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। রাম নবমীতে রামলালার পুজোর শুভ সময় হল সকাল ১১ টা ০৮ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, রাম নবমীর (Ram Navami 2025) দিনে নিয়ম মেনে পুজো করলে জীবনে সফলতা চলতেই থাকবে। এতে আপনার আর্থিক দিকে যথেষ্ট লাভ হবে। রাম নবমীর দিন সকালে উঠেই প্রথমে বাসি ঘর পরিষ্কার করুন। তারপরে স্নান করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় পরুন। এরপর বাড়ির কাছে রামের মন্দিরে যান। এই বিশেষ দিনে রামের পাশাপাশি সীতা, লক্ষণ ও হনুমানজির পুজো করুন।

  • India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে উপার্জন করে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)। এনিয়ে সম্প্রতি এক তথ্য় সামনে এনেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতে বিদেশ থেকে এসেছে ১২৯.৪ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, তার আগের তিন বছরেও প্রায় একই পরিমাণ টাকা ঢুকছে এদেশে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিদেশভূমে পড়ে থেকে টাকা কামানোতে ভারতীয়রা অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই তথ্য যেমন সামনে এল, একইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বাজারে ভারতীয়রা উপার্জনের দিক থেকে অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলেছে, এটাও প্রতিষ্ঠিত হল।

    কী জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (India) সূত্রে জানানো হয়েছে, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী ভারতীদের উদ্যোগেই দেশে আসছে এই কোটি কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রসঙ্গেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে (India Remittance)। সেই রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নিয়ে টানা তিন বছর রেমিট্যান্স হিসাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)।

    বিগত ২৫ ধরে অটুট রয়েছে ভারতের রেকর্ড

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের (India) তরফে আরও জানানো হয়েছে, নব্বইয়ের দশকেই বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব আসে। এর ফলে দেশের অন্দরে বিদেশে উপার্জনের টাকার আগমন বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে এই রেমিট্যান্স বা পরিযায়ী টাকা গ্রহণের ব্যাপারে ভারত বিশ্বের মধ্য়ে শীর্ষে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিগত ২৫ বছর ধরে শীর্ষস্থানে নিজেকে বজায়ও রেখেছে ভারত।

    ভারত ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কোন কোন দেশে

    এই রেমিট্যান্স গ্রহণের নিরিখে ২০২৪ সালে ভারতের পরেই দ্বিতীয় স্থান পায় মেক্সিকো। ২০২৪ সালে ওই দেশে বিদেশি অর্থ ঢুকেছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে চিনে পরিযায়ীদের অর্থ হিসাবে প্রায় এসেছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

  • Ram Navami: ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আবির্ভূত হন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, জানুন রাম নবমীর মাহাত্ম্য

    Ram Navami: ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আবির্ভূত হন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, জানুন রাম নবমীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব রাম নবমী (Ram Navami 2025)। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী এই তিথিতে রামচন্দ্রের জন্মোৎসব পালিত হয়। শাস্ত্র মতে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। তাই এই তিথিটি রাম নবমী নামে পরিচিত। এ বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের নবমী (Ram Navami) তিথি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২৬ মিনিট থেকে। চলবে আজ রবিরার ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। রাম নবমীতে পুজোর শুভ সময় হল সকাল ১১ টা ০৮ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত।

    রাম নবমীর গুরুত্ব

    শাস্ত্র মতে ভগবান বিষ্ণু বিভিন্ন যুগে নানা অবতারে মর্তে আবির্ভুত হয়েছিলেন। ত্রেতা যুগে তিনি ভগবান রামের (Ram Navami 2025) অবতারে অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। সংসারকে নানা বিষয়ে শিক্ষাদান করতেই তিনি মর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অধর্মকে নাশ করে ধর্মকে স্থাপন করা, অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তি সূচনাই হল রাম নবমীর (Ram Navami 2025) মূল উদ্দেশ্য। প্রাচীন ভারতের হিন্দু ধর্মগ্রন্থনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু হলেন বিশ্ব সংসারের পালক। বিশ্ব সংসারের সকল মানুষকে ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যের পথ প্রদর্শন করতে এবং মিথ্যার উপর সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা করতে শিখিয়েছেন ভগবান রাম। ভগবান রামের উল্লেখ যে শুধুমাত্র প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থে পাওয়া যায় তা নয়, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থেও শ্রীরামের উল্লেখ রয়েছে।

    কেন পালন করা হয় রাম নবমী

    রাম নবমী (Ram Navami 2025) হিন্দুধর্মের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। মন, প্রাণ ও দেহকে পবিত্র করার জন্য এই উৎসবটি পালন করা হয়। অশুভ শক্তির অপসারণ ও ঐশ্বরিক শক্তির আগমনের জন্য রামনবমী উৎসব পালিত হয়। ভগবান রাম অত্যাচারী রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শত্রুদের বিনাশ করে, অধর্মকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরাম। তিনি তাঁর পিতার নির্দেশে রাজবাড়ির ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্য ত্যাগ করে বনবাসী হয়েছিলেন। পিতৃসত্য পালনের জন্য চোদ্দ বছর বনবাসে থেকে তিনি রাবণকে বধ করে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। এই চোদ্দ বছর শ্রীরামের জীবনে নানা ঝড়, বাধা, বিপত্তির, ঘাত-প্রতিঘাত সহ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও তিনি নিজ লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। তাঁর রাজ্যে প্রজারা সুখে শান্তিতে বাস করত এবং সেই রাজ্যের সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার অব্যাহত ছিল। এই জন্য রামের শাসনের অনুসরণে সুশাসিত রাজ্যকে ‘রামরাজ্য’ বলা হয়।

    কীভাবে পালন করবেন রাম নবমী

    চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে রাম ও সীতাকে প্রণাম করে দিন শুরু করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বাড়ির প্রবেশদ্বারে আমপাতার তোরণ টাঙান। রঙ্গোলি বানাতে পারেন। এই তিথিতে ধ্বজা লাগানো শুভ। এর পর স্নান করে ব্রতর সংকল্প গ্রহণ করুন। এই তিথিতে হলুদ রঙের নতুন পোশাক পরে পুজো করা শুভ ফলদায়ী। এর পর সূর্যকে জলের অর্ঘ্য প্রদান করুন। ঠাকুরঘরে একটি চৌকিতে লাল বা হলুদ আসন বিছিয়ে রাম পরিবারের প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করুন। এর পর আহ্বান মন্ত্র উচ্চারণ করে রামচন্দ্রের ধ্যান করুন। পঞ্চোপচার নিয়মে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও বজরংবলীর পুজো করুন। এ সময়ে রাম চালিসা বা রাম স্তোত্র পাঠ করতে ভুলবেন না। অবশেষে আরতী করে রামচন্দ্রের কাছে সুখ-সমৃদ্ধি ও ধন লাভের প্রার্থনা করুন।

    ধর্মের প্রতিষ্ঠা

    এই উৎসবের দিন সকালে হিন্দুদের আদি দেবতা সূর্য দেবকে জল প্রদান করে, সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সূর্য দেবতার আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়। রাম নবমী (Ram Navami 2024) উপলক্ষ্যে ধার্মিক ব্যক্তিরা সমগ্র দিন জুড়ে বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেন।  এই দিনটিতে রাম কথার বর্ণনা করে, রাম কাহিনী পড়ে দিনটি পালন করা হয়। অনেকে মন্দিরে যান, অনেকে বাড়িতে রামের মূর্তিতে পুজো করেন। এদিন মন্দ শক্তিকে পরাজিত করে ভালোর প্রতিষ্ঠা করা হয়, অর্ধমকে নিক্ষেপ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করা হয়। এদিন নিষ্ঠা নিয়ে পুজো করলে মনের অনেক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। ভগবানের কৃপায় সব ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনেকে রাম নবমীর দিন ভগবান রামের সঙ্গেই দেবী দুর্গারও পুজো করেন।

    শপথ নেওয়ার দিন রাম নবমী (Ram Navami)

    ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। হিন্দুধর্মে রাম অন্তঃহীন প্রেম, সাহস, শান্তি, শক্তি, ভক্তি, কর্তব্য ও মূল্যবোধের দেবতা। তিনি শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মেরই নন। তিনি হলেন ভারতীয় ভূখণ্ডের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এই ঐতিহ্যকে ভাগ করা সম্ভব নয়। রামের নাম ভারতে বসবাসকারী কোটি কোটি নাগরিককে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে। বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক চেতনার মহান দূত হলেন ‘শ্রীরাম’। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘রামচন্দ্র হলেন আদর্শ পুত্র, আদর্শ স্বামী, আদর্শ পিতা সর্বোপরি আদর্শ নৃপতি’। তাই শ্রীরামচন্দ্রের জন্মদিনটি ভারতবাসী তথা হিন্দুদের কাছে পবিত্র দিন, শপথ নেওয়ার দিন। ‘রাম নবমী’ (Ram Navami 2025) উৎসব হল মিলনের উৎসব, ভালোবাসার উৎসব, পবিত্রতার উৎসব, সত্য ও ধর্মস্থাপনের উৎসব।

  • PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির মুকুটে নয়া পালক! এবার শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আজ শনিবারই একথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েক। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ (Mitra Vibhushana) পাওয়ার পরে, এই সম্মান মোদি ১৪০ কোটি ভারতীয়র উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। সম্মান পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটাল এই সম্মান। এর জন্য আমি রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার সরকার এবং এর জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’’

    স্বাধীনতা স্কোয়ারে প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হয় সম্মান

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) শ্রীলঙ্কা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফরে একদিকে যেমন সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় দ্বীপরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা স্কোয়ারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে (PM Modi) স্বাধীনতা স্কোয়ারে এভাবে সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগে অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এমন সম্মান দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, শ্রীলঙ্কার সরকারের এমন সম্মানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

    মিত্র বিভূষণ পদকের বিশ্লেষণ (Mitra Vibhushana)

    মিত্র বিভূষণ বা ধর্মচক্র উভয় দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কা) সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই সম্মানে বৌদ্ধ ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। চালের সজ্জিত একটি উপাদান দেখতে পাওয়া যায় মিত্র বিভূষণ। এটি পুন কলস নামে পরিচিত যা সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এরসঙ্গে মিত্রবিভূষণে রয়েছে নবরত্ন (নয়টি মূল্যবান রত্ন)। এই নবরত্ন দুই দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কার) মধ্যে অমূল্য এবং স্থায়ী বন্ধুতের প্রতীক বলে মনে করা হয়। অবশেষে, পদকে রয়েছে সূর্য ও চন্দ্র। এই দুই প্রতীক অতীত ও ভবিষ্যতের বন্ধনকেই নির্দেশ করে। একইসঙ্গে চন্দ্র ও সূর্য ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক সংযোগকেও প্রতিফলিত করে।

  • Studio Ghibli: গা ভাসিয়েছেন ‘জিবলি’ ট্রেন্ডে? সাবধান! হতে পারে বিরাট ক্ষতি, বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

    Studio Ghibli: গা ভাসিয়েছেন ‘জিবলি’ ট্রেন্ডে? সাবধান! হতে পারে বিরাট ক্ষতি, বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজ মাধ্যমজুড়ে চলছে ‘জিবলি’ ট্রেন্ড (Ghibli Trend)। আট থেকে আশি সকলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সহজেই জাপানি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকির মস্তিষ্কপ্রসূত ‘জিবলি’ স্টুডিওর (Studio Ghibli) তৈরি অ্যানিমেশনের আদলে ছবি বানিয়ে ফেলছেন। যেকোনও ছবিকেই বদলে দিচ্ছে ওপেনএআই সংস্থার ‘চ্যাটজিপিটি’ বা মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মের এআই ‘গ্রোক’-এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মাধ্যম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এআই-জেনারেটেড স্টুডিও ‘জিবলি’ ছবি ব্যবহারকারীদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, এআই প্রশিক্ষণের জন্য এই ব্যক্তিগত ছবিগুলি ব্যবহার করা হতে পারে। এর ফলে আমাদের ব্যক্তিগত ও পরিবারের তথ্য সহজেই চলে যাচ্ছে এআই সংস্থাগুলির কাছে।

    এআই গবেষক লুইজা জারোভস্কি কী বলছেন?

    এনিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছে এআই গবেষক লুইজা জারোভস্কির পোস্ট। নিজের এক্স মাধ্যমে এই জানাচ্ছেন, ‘জিবলি’ (Studio Ghibli) ছবি তৈরি করতে গিয়ে নেটিজেনরা নিজেদের সাইবার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। ওই গবেষক লিখছেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র ট্রেন্ডে থাকার জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি তুলে দিচ্ছেন ওপেন এআই বা অন্য কোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থার হাতে। এটাতে গ্রাহকরা আনন্দ পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরপথে লাভ হচ্ছে ওপেন এআই-এর মতো সংস্থাগুলিরও। বিনামূল্যেই তারা নিজেদের এআই-কে (Ghibli Trend) প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ভিন্ন মানুষের ছবি পেয়ে যাচ্ছে।’’

    নেটমহলে তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা ও ডিপফেকের মতোও ঘটনাও বৃদ্ধি পাবে

    লুইজা জারোভস্কি তাঁর এক্স মাধ্যমের পোস্টে আরও দাবি করেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত কিংবা পরিবারের সঙ্গে তোলা ছবি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি, শুধুমাত্র ট্রেন্ডে ভাসার জন্য। কিন্তু এর বদলে ওরা বিনামূল্যেই আমাদের জীবনের নানা তথ্যাদি সংগ্রহ করে আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। যা ওদের আগামী দিনে সুবিধা করে দিতে সক্ষম (Studio Ghibli)।’’ অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘‘সাধারণের ব্যক্তিগত ছবির অপব্যবহার হতে পারে। মানুষের সম্মতি ছাড়াই এআই সংস্থাগুলি এই সব ছবিকে তাদের এআই মডেল প্রশিক্ষণ তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারে। এমনকি, এই ধরনের ঘটনার ফলে নেটমহলে তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা ও ডিপফেকের মতোও ঘটনাও বৃদ্ধি পায়।’’

  • Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রামনবমী। দেশ জুড়ে ভক্তরা মেতে উঠবেন শ্রী রামের আরাধনায় (Ram Navami)। পশ্চিমবঙ্গের রামনবমী নিয়েও চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই আবহে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেওয়ার। স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার হিন্দু সংগঠনগুলির ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি করেছে রামনবমী পালনের বিষয়ে। এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখনও চায় না যাতে আমরা রামনবমী পালন করতে পারি।’’

    হুমকি-হুঁশিয়ারি কুমোরটুলিতে! কী বলছেন শিল্পী?

    এদিকে হুমকি ও ভয়ের কারণে কুমোরটুলির শিল্পীরা রামের (Ram Navami) মূর্তি তৈরি করতে ভয় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুমোরটুলির শিল্পী মালা পাল বলেন, ‘‘রামের অর্ডার এসেছিল। তা একটু রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে ওই জন্য রামটা আর এবছর করলাম না। মানে অনেকটা রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে অনেকে একটু নিতে ভয়ও পাচ্ছে। আমাদের এটা পেশা। বানাতেও ভয় লাগে। কে যে কী বলবে না বলবে।’’

    কী বলছেন রামনবমীর (Ram Navami) উদ্যোক্তা

    রামনবমীর (Ram Navami) এক উদ্যোক্তা বলছেন, ‘‘রামের মূর্তি তৈরির জন্য, এবার শিল্পী খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকেই আমাদের মূর্তির অর্ডার নিতে চাইছিল না। কিন্তু শেষমেশ রুদ্র পাল নামের একজন আমাদের মূর্তি করছেন। অনেকেই নিতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন এই সময় করতে পারব না। সরাসরি তো কেউ বলতে পারে না। কিন্তু যেটা বোঝা যাচ্ছে যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা তো ৬ বছর ধরে পুজো করে আসছি কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত আমরা সিপি অফিস, পিডাব্লুডি অফিস, ডিএম অফিস, আমাদের লোকাল পুলিশ স্টেশন ও থানাগুলোতে ঘুরে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে আমাদের কোনও অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’’

    ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না

    স্বরাজ্য পত্রিকার মতে, রামনবমী সমাবেশে যাঁরা উদ্যোক্তা এবং আয়োজক তাঁদের কাছ থেকে প্রশাসনের কর্তারা প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। যেকোনও শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি রামভক্ত অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি শ্রীরামের পতাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত লাঠি যেন লম্বা না হয়। কোনও অস্ত্র যেন না থাকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বরাজ্য পত্রিকা আরও লিখছে, রামনবমীর সমাবেশগুলি সেই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না যেখানে মসজিদ রয়েছে। এর পাশাপাশি, একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রাকে একত্রিত হতে দেওয়া হবে না। পুলিশ নির্ধারিত রুটগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মিছিল চলাকালীন ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না। এমনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্বরাজ্য পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান, শিলিগুড়ি সমেত রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রামনবমীর সমাবেশের আয়োজকদেরকে প্রশাসন তলব করেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, সমাবেশের আকার যেন খুব বড় না হয়। সেই জন্য তাদের ওপরে চাপ প্রয়োগ করারও অভিযোগ উঠেছে। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা। যিনি উত্তর কলকাতার একটি বড় রামনবমীর (Ram Navami) আয়োজক। তিনি বলেন, ‘‘এত বিধি নিষেধ এবং সতর্কতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য প্রশাসন কখনও চায় না আমরা যাতে রামনবমী উদযাপন করি। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে সমাবেশ চলাকালীন কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হবে আয়োজকদের।’’

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২৬ মার্চ হিংসা ছড়ায় মালদার মোথাবাড়িতে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মোথাবাড়ির এই অঞ্চলগুলিতে এবং রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং অতীতের বামফ্রন্ট সরকার এদেরকে (বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী) ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে।’’

    শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানোতে আপত্তি তুলছে মৌলবাদীরা, অভিযোগ দিলীপের

    শুভেন্দু অধিকারীর মতো একই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মৌলবাদীরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার বিষয়ে নানা জায়গায় আপত্তি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানো, ঘণ্টা বাজানো, ভজন-কীর্তন করা এ বিষয়ে তাদের (মৌলবাদীদের) আপত্তি রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের তোষণ করতেই ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’

LinkedIn
Share