Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

  • Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal)। শুক্রবারই সেদেশে উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের। নেপালের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টে (Nepal Crackdowns) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেপাল পুলিশ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সহ সভাপতি রবীন্দ্র মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক ধাওয়াল সমশের রানা, স্বাগত নেপাল, শেফার্ড লিম্বু এবং সন্তোষ তামাংয়ের মতো নেতারা। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর বেশ কিছু অংশে বর্তমানে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার সন্দেহে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে (Nepal) জরিমানা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গৃহবন্দী আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদী

    ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদীকে বর্তমানে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এরপাশাপাশি নেপালের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুর্গা প্রসাইক নামের এক নেতাকে খুঁজছেন। এনিয়ে নেপালের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী কাঠমান্ডু পোস্টকে (Nepal) জানিয়েছেন জানিয়েছে, দুর্গা প্রসাইকের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেদেশের ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার মধ্যপ্রদেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এমনই অভিযোগ তুলল। এই সংগঠনের মতে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার এবং সেখানকার সেনাবাহিনী কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের (VHP) ওপর নির্যাতনরোধে।’’

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা (Bangladesh)

    সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়, ‘‘প্রত্যহ বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ঘটনা আসছে। যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর। গত অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ আনে ভিএইচি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনাবাহিনী কোনও রকমের পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের ওপর চলা অত্যাচারকে প্রতিরোধ করার জন্য। গত বছর থেকেই সে দেশে হিংসা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নৈরাজ্য। বিশেষত ভারতের পক্ষে নিরাপত্তার জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    হিন্দুদেরও মানবাধিকার আছে বলে স্মরণ করান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং এদেশের কূটনীতিকরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছেন।’’ এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা স্মরণ করিয়েছেন যে প্রত্যেককে মনে রাখা উচিত যে হিন্দুদেরও মানবাধিকার রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিন্দা করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীরও। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সরব হওয়া দরকার ছিল, সেটা দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। এরপরেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর সামনে আসতে থাকে। সেদেশে রাজনৈতিক হিংসা অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসাতে।

  • LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় বিরাট বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষাকে আরও জোরদার করতে দেশে তৈরি ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) বা এলসিএইচ কেনায় চূড়ান্ত ছাড়পত্র (Defence Acquisition) দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindusthan Aeronautics Limited) বা হ্যালের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করতে চলেছে সরকার। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মোদি মন্ত্রিসভা যে এই হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিতে চলেছে, তা আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই কথাই সত্যি হল।

    মার্চ মাসে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় ছাড়পত্র

    এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের (T-90 Bhisma) জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এবার, ৬২ হাজার কোটি টাকার হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) কেনায় ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড (LCH Prachand) দেশের গর্ব

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এই সামরিক চপার (অ্যাটাক হেলিকপ্টার) তৈরি হবে কর্নাটকে হ্যালের বেঙ্গালুরু ও টুমকুরের কারখানায়। এটাই এখনও পর্যন্ত হ্যালের সবচেয়ে বড় মূল্যের প্রতিরক্ষা বরাত হতে চলেছে। এই ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে, একদিকে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র (LCH Prachand) বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    হ্যাল-নির্মিত ‘প্রচণ্ড’ বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • RSS In Bengal: শিকড়ে ফিরতে চাইছে মানুষ, বাংলায় আরএসএসের সম্প্রসারণ, জোর হিন্দু ঐক্যে

    RSS In Bengal: শিকড়ে ফিরতে চাইছে মানুষ, বাংলায় আরএসএসের সম্প্রসারণ, জোর হিন্দু ঐক্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর (RSS In Bengal) প্রভাব। গত এক বছরে বাংলায় আরএসএস-এর শাখা বেড়েছে ৫৮৩টি। সংঘের সদ্য সমাপ্ত ২ দিনের সম্বন্বয় বৈঠকে বলা হয়েছে গত ১৩ বছরে রাজ্যে আরএসএস-এর শাখা বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় পৌনে ৩ হাজার। মমতা সরকারের তোষণ নীতির ফলে মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে। নিজ অস্তিত্ব বজায় রাখতেই মানুষ ঝুঁকছে সংঘের দিকে।

    আরএসএস-এর প্রভাব বৃদ্ধি

    ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এনেছে খোদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের রাজ্য শাখা। রাজ্যে আরএসএসের (RSS In Bengal) গ্রাসরুট স্তরের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সংগঠনটি ৫০০ নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষত, মধ্য বাংলা প্রান্ত শাখার সংখ্যা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ১,৩২০ থেকে ২০২৫ সালে বেড়ে ১,৮২৩-এ পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত বাড়ছে আরএসএস পরিচালিত স্কুলের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে এরাজ্যে ৩৩৬টি স্কুল পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বঙ্গবাসীর মধ্যে আরএসএস কর্মসূচির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এর ফলে সংগঠনের বিস্তৃতি সম্ভব হয়েছে।

    বাংলায় আরএসএস-এর শাখা

    আরএসএসের (RSS In Bengal) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি অঞ্চলভিত্তিক প্রান্ত রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে উত্তর বাংলা প্রান্ত, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, এবং পুরুলিয়া নিয়ে মধ্য বাংলা প্রান্ত, দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে দক্ষিণ বাংলা প্রান্ত গঠিত হয়েছে। উত্তর বাংলা প্রান্তে ২০২৩ সালে শাখা, মিলন (সাপ্তাহিক জমায়েত) এবং মণ্ডলী (আলোচনা ফোরাম) মিলিয়ে মোট সংখ্যা ছিল ১,০৩৪, যা ২০২৫ সালে ১,১৫৩-এ পৌঁছেছে। একইভাবে, দক্ষিণ বাংলা প্রান্তেও ২০২৩ সালে ১,২০৬ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১,৫৬৪ হয়েছে।

    আরএসএস-প্রধানের ভরসা

    রাজ্যে (RSS In Bengal) সংগঠনের প্রসারের কথা স্বীকার করে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর ১১ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় বর্ধমানে একটি জনসভা করেন। এই জনসভায় হাজার হাজার স্বয়ংসেবক অংশ নেন। সেখানেই তিনি শত্রুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার কথা বলেছিলেন। তাঁর কথায়, সংঘ সকলকে আহ্বান জানায়। ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে শত্রুকে বুঝিয়ে মিত্র বানানোর কথা বলেন। সংঘকে বুঝতে গেলে সংঘে যোগ দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মন সায় দিলে আসবেন। কোনও টাকা-পয়সা লাগবে না। এখানে স্বার্থ রক্ষা হবে না। এখানে এলে কিছু পাওয়া যাবে না। দূর থেকে দেখলে হবে না। অনুভব করতে হবে। অনুমান করে কিছু হবে না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগঠন এটা। তবুও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সংগঠনের আরও প্রসার ঘটাতে হবে।”

    গ্রাসরুট পর্যায়ে কাজের উপর জোর

    মধ্য বাংলা প্রান্তের প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসু এই বৃদ্ধির জন্য গ্রাসরুট পর্যায়ে কাজের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মধ্য বাংলার শাখা নেটওয়ার্ক মানুষের সঙ্গে ছোট গ্রুপ বৈঠক এবং সমাবেশের মাধ্যমে যুক্ত হতে কাজ করেছে। এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ফল দিচ্ছে।” বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে জনগণের ধর্মীয় পরিচয় ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় জনসংখ্যার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। জিষ্ণু বসু বলেন, “বঙ্গের পরিবর্তিত জনসংখ্যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা।”

    শিকড়ে ফেরার চেষ্টা

    মধ্য বাংলা (RSS In Bengal) প্রান্তের প্রচার প্রধান সুশোভন মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনকার পরিবেশ মানুষকে তাঁদের শিকড়ে ফিরে যেতে এবং হিন্দুত্বকে গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। এই কারণেই আরও মানুষ শাখায় যোগ দিচ্ছেন।” বেঙ্গালুরুর প্রতিনিধি সভায়, আরএসএস বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। সংগঠনটি এই বিষয়ে তার প্রচারণা তীব্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে, যেখানে এই বিষয়টির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।

    কেন আরএসএস-এর প্রতি আস্থা

    রাজ্যে আরএসএস-এর (RSS In Bengal) সংখ্যাবৃদ্ধি, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাফল্য এনে দেবে, বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ একথা সর্বজনবিদিত যে, আরএসএস-ই বিজেপিকে পরিচালনা করে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আরএসএসের কর্মীরা ভোটের ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যে আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এবার এই রাজ্যের পালা। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সংঘের যে সংগঠনের যে নকশা রয়েছে, তা-ও এই মুহূর্তে দেশে কারও নেই। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে সংঘের ১০০ বছর। শতবর্ষে পা রাখতে চলা সংঘ তাদের অনেকগুলি ঈপ্সিত চাহিদাই মিটিয়ে ফেলতে পেরেছে। তার মধ্যে অন্যতম জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার, তিন তালাক প্রথার বিলোপ। ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর প্রস্তাবও পাশ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রের। ফলে শতবর্ষে সংঘ তাদের চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পেরেছে। তাই সংঘের আদর্শ এবং কার্যক্রমের উপর মানুষের ভরসা বাড়ছে।

  • PM Modi: রামনবমীতে রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন মোদি, করবেন পামবান রেল সেতুর উদ্বোধন

    PM Modi: রামনবমীতে রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন মোদি, করবেন পামবান রেল সেতুর উদ্বোধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরামের রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর তিনি উদ্বোধন করবেন পামবান রেল সেতুর। প্রসঙ্গত ভারতের প্রথম ‘ভার্টিকাল লিফট সি-ব্রিজ’ হল পামবান সেতু। সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের সেতু এটি। এমনভাবে এই ব্রিজকে নির্মাণ করা হয়েছে যে উপরে ছুটবে ট্রেন আবার জাহাজ এলেই সরে যাবে সেতু।

    রামনবমীর পুণ্য তিথিতেই কেন সেতু উদ্বোধন?

    তবে রামনবমীর পুণ্য তিথিতেই এই সেতুর উদ্বোধন কেন? অনেকেই বলছেন, হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, রামেশ্বরম হল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রামচন্দ্র এবং তাঁর সেনাবাহিনী মিলে তৈরি করেছিলেন রাম সেতু। এরপরেই রাবণের হাত থেকে মাতা সীতাকে উদ্ধার করা হয়। রামনবমীর পুণ্য তিথিতে রামানাথাস্বামী মন্দিরের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) যাওয়া এবং সেতু উদ্বোধন তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। দেশ জুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে এনিয়ে উন্মাদনাও ছড়িয়েছে।

    প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরাম বা পামবান দ্বীপকে জুড়তেই তৈরি হয়েছে নয়া এই রেলব্রিজ (Pamban Bridge)। সমুদ্রের উপরে তৈরি হওয়া নতুন সেতু উদ্বোধনে খরচ পড়েছে মোট ৫৪০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই। এরপর কাজ শুরু ২০২০ সালের গোড়ার দিকে। পরবর্তীকালে করোনা মহামারীর কারণে কাজ বন্ধ থাকে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, গত মাসেই এই রেল সেতুতে প্রথম ট্রায়াল রানও সম্পন্ন হয়েছে। এবার আগামী মাসেই রামনবমীতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে (PM Modi) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এই সেতুর। জানা যাচ্ছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি। একই সঙ্গে, জাহাজ পারাপার করানোর জন্য মাঝখান থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যেতে পারে ব্রিজটি।

  • Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হিন্দু বাঙালিরা এক হোন। ঠিক এই ভাষাতেই হিন্দু ঐক্যের (Hindu Unity) আহ্বান জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সভায় যোগদান করে হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিলেন অভিনেতা। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর ভাষণে ছিল আগাগোড়াই হিন্দুত্বের ছোঁয়া। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু বলি, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।’’

    বারাকপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আয়োজন করে বসন্ত উৎসব

    এদিন সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিলে আয়োজন করেছিলেন বসন্ত মিলন অনুষ্ঠান। সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন মিঠুন। এছাড়াও বারাকপুরে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সমেত ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ডল ও জেলাস্তরের বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না – করবেন আমরা জানি না

    মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সভা ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল একেবারে তুঙ্গে। গোটা সভাগার ছিল ভর্তি। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসি, নির্বংশ করে দেব। সেজন্য কিছু না ভেবে জিতুন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আঘাত নেমে এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস জমানার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও। এই আবহে নিজের ভাষণে মিঠুন, মমতা ও ইউনূসের শাসনকে এক করে দেখাতে চাইলেন।

    এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন

    বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে ৯ শতাংশ হিন্দু এখনও ভোট করে না, তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট করুন। নইলে আসন্ন নির্বাচনে, যদি আমরা জিততে না পারি, তাহলে হিন্দু বাঙালি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য খুবই কষ্টের দিন আসতে চলেছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।’’

    হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তারই প্রতিধ্বনি মহাগুরুর গলায়!

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এই আবহে হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলা, শহরতলিতে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই পোস্টারও সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভায় বার্তা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ঐক্যের। দিনকয়েক পরেই রয়েছে রামনবমী। সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবারের রামনবমীকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রামনবমীর উৎসবকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা সংঘ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বারুইপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রামনবমী নিয়ে। বারুইপুরের সভা থেকেই ভালো করে রামবনবমী পালনের বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হিন্দুরা জেগে গেছেন। এবার বড় করে রামনবমী হবে, তারপর পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। ঠিক এই আবহে হিন্দু ঐক্যের বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও (Mithun Chakraborty)।

  • Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দুদের দোকান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে। এই আবহে মোথাবাড়ি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব (West Bengal)। মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্য। সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ লুট ও হিংসা শুরু করে মৌলবাদীরা।

    গ্রেটার বাংলাদেশের অভিসন্ধি ক্রমশই প্রকাশ্যে, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুকান্তর দাবি, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।’’ সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্ট করা ভিডিওতে বেশ কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেই ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড।

    হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে গাড়ি, দাবি সুকান্তর

    ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙে লুট করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’’

    পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মোথা বাড়িতে যখন ভয়ঙ্করভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এটাই হল (মালদার মোথাবাড়ি হিংসা) নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতির মূল্য। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।’’

    মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকে নিধিরাম সর্দার বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে ‘নিধিরাম সর্দারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !’’

    আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে, বললেন বিরোধী দলনেতা

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা। নিজের সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ওই অঞ্চলগুলির নামও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিও মোথাবাড়ির সাম্প্রদায়িক হিংসার সাথে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে ওই ভিডিওটি পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে। উগ্র মৌলবাদীরা রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নিজের রাজ্যের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি তিনি উদাসীন।’’

  • Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫। নতুন এই বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাউকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও। এই প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকেও।

    এদেশ ধর্মশালা নয়, বললেন শাহ (Amit Shah)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে (Immigration and Foreigners Bill 2025) ভারতে আসা বিদেশিদের যাতায়াত, রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। এতে দু’পক্ষের কাজই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের মোট ছটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল- পর্যটক, পড়ুয়া, দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, উদ্বাস্ত ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়। বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যদি কেউ এই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে আসতে চান, তাঁদের সব সময় স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই দেশ কোনও ধর্মশালা নয়।’’

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ তৃণমূলকে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটক হিসেবে, ব্যবসার জন্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য কেউ আসতে চাইলে তাঁদেরকে সব সময় এ দেশে স্বাগত জানানো হবে (Immigration and Foreigners Bill 2025)। একইসঙ্গে নয়া অভিবাসন বিলের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা আরও মজুবত হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসাতেও গতি আনবে এই বিল, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, অসমে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রাজ্য দিয়ে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। এই সময়ই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারকে। মমতা জমানায় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ শাহের। এই প্রসঙ্গে শাহের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ভুয়ো নথিও পৌঁছে যাচ্ছে। কোথা থেকে এই আধার কার্ডগুলি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশিরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।’’ অমিত শাহের আরও দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি না-পাওয়ার কারণে সীমান্তে ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে।’’

    তৃণমূলের গুণ্ডামির কারণেই ৪৫০ কিমি কাঁটাতার আটকে

    এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের সেখানে (বাংলায়) বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ‘‘যখনই সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে তখনই সেখানে শাসকদলের কর্মীরা গুণ্ডামি করছে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডার রয়েছে ২,২১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৬৫৩ কিলোমিটার সীমানা দেওয়া হয়েছে। সীমানার আশেপাশের রাস্তা চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জমি দিচ্ছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০ কিলোমিটার সীমানা বাঁধার কাজ বাকি থেকে গিয়েছে।’’

    প্রস্তাবিত বিল খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে বিদেশিদের চলাচলের উপর নজরদারি সহজতর হবে। বিলের ওপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বিষয় হল অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে। কেন কেউ ভারতে আসছেন এবং কতক্ষণ থাকছেন তাও বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরআরও দাবি, ‘‘নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত।’’

    আগের চার আইন কী কী ছিল?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, বিদেশী আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। তবে এই সমস্ত আইনগুলি বর্তমানে বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নয়া বিলে আগের চার আইনের বেশ কিছু বিধান রয়েছে বলেই জানিয়েছে। নয়া এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

  • Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। তবে পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সুখে নেই নাগরিকরা। এমনটাই বলছে রিপোর্ট। সেদেশে বেড়েই চলেছে দারিদ্রতা। লাফিয়ে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম। একইসঙ্গে ইউনূস জমানায় বেড়েছে রাজনৈতিক হিংসা। সংখ্যালঘু নির্যাতন তো প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্রতা সব নিয়েই একটা চাপা ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হচ্ছে সেদেশের নাগরিকদের মনে। নাগরিকদের বড় অংশই মনে করছেন, সুখে নেই পালাবদলের বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ (Yunus Government) যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সেদেশের এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছাত্র সমাজ যে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্নের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, তা তো হয়নি উল্টে অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বাংলাদেশের এই নিদারুণ অবস্থার কথা।

    দারিদ্রতার অন্ধকারে বাংলাদেশ (Bangladesh), বাড়ছে ক্ষোভ নাগরিকদের মধ্যে

    রিপোর্ট বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে অধরাই। সম্প্রতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, বাংলাদেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্যের হার ও নিরাপত্তাহীনতার কথা। দারিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। ইতিমধ্যে ওই দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ। যা এই ইউনূস আমলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, আগে শহরে দরিদ্রের হার আগে ছিল ১৪.৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটা এসে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে। গ্রামের হালও একই বলে জানা যাচ্ছে।

    গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh) দারিদ্রতার চিত্র

    গত দু’বছরে গ্রামীণ বাংলাদেশে দারিদ্রতা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগে ছিল যা ছিল ২০ শতাংশ। এখন বর্তমানে হয়েছে ২৪ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে পৌঁছে গিয়েছে ৪৬ শতাংশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা কিন্তু শুধু একা বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান করেনি। তাদের এই সমীক্ষায় সাহায্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও।

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দাম লাগামছাড়া

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দামও বেড়েই চলেছে। ইউনূস জমানায় গত কয়েক মাসেও বেড়েছে ওষুধের দাম। বিভিন্ন ওষুধের দাম ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষদের আয় স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষজন বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেরই আবার নিঃস্ব হওয়ার দশা হয়েছে। কিন্তু কী এর কারণ? ওষুধের দামের এই ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলির অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কর্মসূচিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো। এই উপহারের পুরোটাই আবার কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের কোনও বিকল্প নেই, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওষুধ অপরিহার্য। সেখানে যদি এমনটা হয়, তবে দরিদ্র মানুষজন কীভাবে বেঁচে থাকবেন!

    বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়, বলছে রিপোর্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের গুরুত্ব এতটাই যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাই একথা বলাই যায় যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই আবহে আবার সামনে এসেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণকের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের মধ্যে ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। খুব সহজে বললে বলা যায়, যদি কোনও বাংলাদেশি নাগরিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করেন, তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ওষুধ কিনতে।

    কী বলছেন ওষুধের দোকানের মালিক?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ওষুধের ওপর ঠিক কতটা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেদেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মালিবাগের ফেনী ফার্মেসির মালিক হলেন আব্দুল মালেক সুমন। তিনি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরেই বিক্রির তালিকায় স্থান রয়েছে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। জানা যাচ্ছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়াও প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও বেশ ভালোই বিক্রি হয় বাংলাদেশে। এবার এই সমস্ত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়াতে চরম হতাশ সেদেশের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। অনেকেই বলছেন, এর থেকে হাসিনা জমানা অনেক ভালো ছিল।

    স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, ঢাকার মধ্য বাড্ডা বাজারের এক ফার্মেসির ব্যবস্থাপক তাপস দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। এদেশের স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। জানা গিয়েছে, ওষুধের মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলির অনৈতিক কাজ নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মিজানুর রহমান কল্লোল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনও কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছে না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা তুলছে তারা। ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। তিনি জানিয়েছেন এটা বন্ধ হলেই দাম কমবে ওষুধের।

    বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিশ্লেষণ

    ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনকে এবার বিশ্লেষণ করা যাক। কস্ট অব গুডস অর্থাৎ ওষুধের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এরপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হল কোম্পানির মুনাফা। বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোনওও ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ। ফার্মেসির লাভ থাকে ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।

LinkedIn
Share