Tag: মাধ্যম বাংলা

  • PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যান (Lex Fridman)। মার্কিন পডকাস্টারের নেওয়া এই সাক্ষাৎকার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। এবার এই পডকাস্টটি দশটি ভারতীয় ভাষাতে অনুবাদ করা হল। একথা সমাজমাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষজন এই পডকাস্টটি শুনতে উৎসাহিত হবেন।

    নিজের পোস্টে কী লিখলেন মোদি?

    এ নিয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই পডকাস্ট শো অনেকগুলি ভাষাতে উপলব্ধ হয়েছে। ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই কথোপকথন আরও বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’’ নিজের এক্স মাধ্যমে ইউটিউবের একটি লিংকও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় দূরদর্শন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতে ওই পডকাস্টটিকে অনুবাদ করেছে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে গুজরাটি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, বাংলা, কন্নড়, মারাঠি, অসমীয়া, ওড়িয়া, তামিল এবং মালায়ালাম ভাষাতেও।

    পডকাস্ট ইউটিউবে আপলোড করা হয় ১৬ মার্চ

    প্রসঙ্গত, ওই পডকাস্টটি ইউটিউবে আপলোড করা হয় গত ১৬ মার্চ। এই পডকাস্ট শো-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) বিভিন্ন ইস্যুতে বলতে শোনা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ক্রিকেট, ফুটবল থেকে আন্তর্জাতিক ইস্যু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে পাকিস্তান, নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ- সমস্ত কিছু নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।পডকাস্ট শো-এর শেষে ফ্রিডম্যান সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে ফ্রিডম্যান লেখেন, ‘‘আমার জীবনের অন্যত্র শক্তিশালী কথোপকথন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে।’’  এরপরেই ফ্রিডম্যানের পোস্টের প্রত্যুত্তর দেন মোদি। নিজের পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আমার কথোপকথন দুর্দান্ত ছিল। আমি আমর ছোটবেলার স্মৃতিচারণা থেকে হিমালয়ে আমার কাটানো দিনের কথা বলি সেখানে। এরপর জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দিনগুলি নিয়েও কথা হয়।’’

  • VHP: রানা সঙ্গ বিশ্বাসঘাতক! বিতর্কিত মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির নেতার, ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি ভিএইচপি-র

    VHP: রানা সঙ্গ বিশ্বাসঘাতক! বিতর্কিত মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির নেতার, ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেবারের রাজা রানা সঙ্গকে (Rana Sanga Remark) বিশ্বাসঘাতক বলে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমন। এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে তীব্র প্রতিক্রিয়া সামনে এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP)। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন মন্তব্যের কারণে কড়া নিন্দাও জানাল এই হিন্দু সংগঠন। রাজপুত যোদ্ধাকে এ ধরনের অপমানের ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পাশাপাশি এমন মন্তব্য করার কারণে সমাজবাদী পার্টির নেতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে তারা।

    সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রামজি লাল সুমনকে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিং ছিলেন একজন বিশ্বাসঘাতক। যিনি ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করতে বাবরকে ভারতে ডেকে এনেছিলেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রানা সঙ্গ (Rana Sanga Remark) অথবা সংগ্রাম সিংহ ছিলেন মেবারের রাজা। ১৫০৮ থেকে ১৫২৮ সাল পর্যন্ত তিনি মেবার শাসন করেছিলেন বলে জানা যায়। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) জাতীয় মুখপাত্র অমিতোষ পারেক।

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) নেতা অমিতোষ

    নিজের বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) নেতা বলেন, ‘‘যে ধরনের মন্তব্য রামজি লাল সুমন করেছেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মেবারের সংগ্রামী এবং বীরত্বের ইতিহাসের সঙ্গে এই মন্তব্য কখনও খাপ খায় না। রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিংহ শুধুমাত্র মেবারের নয়, সমগ্র রাজস্থানের গর্ব। রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিংহ ১০০টিরও বেশি যুদ্ধ জিতেছিলেন এবং তিনি ইব্রাহিম লোদীকে পরাস্ত করেছিলেন।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতার কথায়, ‘‘এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আসলে প্রমাণ করেছেন, তাঁর মানসিকতা ঠিক কী?’’ এর পাশাপাশি এই মন্তব্যের জন্য সমাজবাদী পার্টির ওই সাংসদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) বাড়ি থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি, ভিডিও সহ মামলার পুরো অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। হোলির রাতে বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে আগুন নেভানোর অভিযানের ছবি ও ভিডিও রয়েছে ওই ২৫ পাতার রিপোর্টেই। তবে এমন অভিযোগ উঠতে যশবন্ত বর্মা এই গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি জাস্টিস বর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কখনও বাড়ির স্টোর রুমে কোনও নগদ টাকা রাখেননি। অর্থাৎ যে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁদের নয় বলেই জানিয়েছে জাস্টিস বর্মা।

    কী বলছেন জাস্টিস বর্মা (Justice Varma)?

    এই বিষয়ে জাস্টিস বর্মা (Justice Varma) বলেন, ‘‘এই নগদ টাকা আমাদের কাছে রাখা ছিল বা তা আমাদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ হাস্যকর। স্টাফ কোয়ার্টারের কাছাকাছি আউটহাউস এমন ঘরে নগদ জমিয়ে রাখা হবে, এটা অনুমান করা অবিশ্বাস্য। সেখানে সহজেই যে কেউ যাওয়া আসা করতে পারে। এই ঘরটি আমাদের থাকার জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি বাউন্ডারি প্রাচীরের মাধ্যমে আমাদের থাকার জায়গার থেকে সেই আউটহাউসটি আলাদা করা আছে। আমি শুধু চাই মিডিয়া আমাকে অভিযুক্ত না করুক এবং মানহানি করার আগে তদন্ত করুক।’’ তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বাসভবনের কোনও সদস্যকে দেখানো হয়নি যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বরং তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতির বর্মা।

    তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায়

    এই ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টের (HC Judge) প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় জাস্টিস বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্টে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেছি এবং বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) জবাবও শুনেছি। এর থেকে আমি বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। পুলিশ কমিশনার তাঁর ১৬.৩.২০২৫ তারিখের রিপোর্টে বলেছেন যে বিচারপতি বর্মার বাসভবনে নিযুক্ত প্রহরী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, ১৫.৩.২০২৫ সকালে যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখান থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য আংশিক পোড়া জিনিস সরানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাংলোর বাসিন্দা, গৃহকর্মী, মালি ও সিপিডব্লিউডি কর্মী ছাড়া অন্য কেউ ওই কক্ষে প্রবেশ করেননি। আমি মনে করি, পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার।’’

  • RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় পাশ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ওই প্রস্তাবে সাফ বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া আক্রমণগুলিকে রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’ আরএসএসের মতে, ‘‘অশান্ত বাংলাদেশে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।’’ তাই এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেছে আরএসএস। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবিও জানিয়েছে আরএসএস।

    বাংলাদেশের হিংসা হিন্দু বিরোধী নয়, ভারত বিরোধীও বটে

    আরএসএস (RSS) নিজেদের প্রস্তাবে আরও জানিয়েছে, কেবল সরকারকে স্মারকলিপি দিলেই এক্ষেত্রে কাজ মিটবে না। সংঘ সর্বদা সমাজের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সমাজে যখনই কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন সমগ্র সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর সমাধান খুঁজে বের করা। সংঘের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যে ধরনের হিংসা চলছে তা কেবল হিন্দু-বিরোধী নয় বরং ভারত-বিরোধীও বটে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশে হিন্দু ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’’

    হিন্দু মঠ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ (RSS)

    আরএসএসের (RSS) ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ধরনের হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মঠ, মন্দির, দুর্গাপুজো প্যান্ডেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তি লুটপাট, নারীদের অপহরণ, শ্লীলতাহানি এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মতো অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন বাংলাদেশে, বলছে পরিসংখ্যান

    সংঘের (RSS) ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতিদের উপর এমন নির্যাতন নতুন কিছু নয়।’’ এপ্রসঙ্গে সংঘের দাবি, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৫১ সালে যেখানে ছিল ২২ শতাংশ হিন্দু, সেখানে আজ তা ৭.৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’’ সংঘের মতে, ‘‘এই ক্রমহ্রাসমান হিন্দু জনসংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সনাতনীরা সেদেশে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন।’’

    সংঘের প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি

    সংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। আরএসএসের ওই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ‘‘রাষ্ট্রসংঘ সমেত বিশ্বজুড়ে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির উচিত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনাগুলিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা।’’ এর পাশাপাশি, হিংসা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত বলেও মনে করছে সংঘ। একই সঙ্গে আরএসএস বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও আহ্বান জানিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চক্র অস্থির করতে চাইছে ভারতকে

    সংঘের (RSS) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চক্র ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য চক্রান্ত করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অবিশ্বাস ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আরএসএস মনে করে, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক বন্ধন রয়েছে প্রতিবেশী দেশের। এই কারণে যেকোনও অস্থিরতা সমগ্র অঞ্চলে উদ্বেগ তৈরি করছে।’’

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার

    আরএসএসের মতে, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, সম্মিলিত এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে হিংসার প্রতিবাদ করছে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ঘটনা।’’ আরএসএসের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি সরকারের যে ভূমিকা, তার ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা ভারত সরকারকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

  • Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলন মাস্কের এআই চ্যাটবট গ্রোক (Grok)। এ নিয়ে ইলন মাস্ক (Elon Musk) আগেই ঘোষণা করেছেন যে তাঁর এই চ্যাটবট ওপেন আই-এর চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির সঙ্গে জোর টক্কর দেবে। বারবার গ্রোক খবরের শিরোনামে থেকেছে এর বিশ্লেষণ, যুক্তি ও বিতর্কের কারণেও। ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে হিন্দিতে গালি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে গ্রোক-এর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুসারে খবর সামনে এসেছে যে, গ্রোককে বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক প্রশ্ন যদি কোনও ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হতে পারে। ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে এক্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও। প্রসঙ্গত, এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এর মাধ্যমেই গ্রোক (Grok) উপস্থাপিত হয়। ভারত সরকারের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের সংস্থার মামলা চলছে। ঠিক এই সময় এমন সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৭ মার্চ। ইতিমধ্যে এক্স মাধ্যমে তরফ থেকে বলা হয়েছে যে সরকার নাকি তাদের বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে।

    কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে মাস্কের সংস্থা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘এক্স কর্প’। কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩) (বি) ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এই সংস্থা। তাদের দাবি, এই আইনের নাকি কোনও বৈধতাই নেই। এর ফলে এমন এক সেন্সরশিপ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের কন্টেন্ট ব্লক হচ্ছে (Grok)। এতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছে, পদক্ষেপ করা হবে পদ্ধতি মেনেই। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই সংক্রান্ত আইন মানতেই হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ৭৯(৩) (বি) ধারা অনুসারে যে কোনও পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের কোনও কনটেন্টকে ব্লক করে দিতে পারে সরকার। আর এতেই আপত্তি তুলছে ইলন মাস্কের এক্স। তারা এ নিয়ে দাবি তুলেছে, কোনও কনটেন্ট সরাতে গেলে তার কারণ জানাতে হবে এবং সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে একটি শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া সরকার কোনও কনটেন্ট সরিয়ে দিলে বা ব্লক করে দিলে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার আইনি অধিকারও থাকতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

    একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র গ্রোককে (Grok) নিয়ে

    প্রসঙ্গত, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে এক্সের চ্যাটবট গ্রোককে নিয়ে। ওই চ্যাটবটটির ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। দাবি, অনেক সময়ই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছে গ্রোক। কেন এআই চ্যাটবটটিকে এভাবে নির্মাণ করা হল তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে এক্স। যদিও সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ইন্টারনেটে ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট সরানোর ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়াকে আইন মেনে চলার কথাই জানাচ্ছে। সূত্রের দাবি তেমনই। হিন্দিতে গালিগালাজের অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রের নজরে আসে ইলন মাস্কের সংস্থার তৈরি কৃত্রিম চ্যাটবটের কার্যকলাপ। সম্প্রতি এই ধরনের উস্কানিমূলক শব্দের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এক্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে খবর। কেন্দ্রের তরফ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করছে গ্রোক?

    চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনির মতো এআই মডেলের বিকল্প হিসেবে ২০২৩ সালে কৃত্রিম মেধা গ্রোক তৈরি করে মাস্কের সংস্থা। পরে গ্রোককে জুড়ে দেওয়া হয় এক্স-এর সঙ্গে। তবে অভিযোগ ওঠে, গ্রোক-এ কোনও কিছু নিয়ে খোঁজ চালানোর সময় অকথ্য এবং উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এই কৃত্রিম মেধা। এক্স-এর চ্যাটবট ব্যবহার করার সময় ‘গ্রোক’ গ্রাহকদের অশ্লীল এবং আপত্তিকর শব্দে গালাগালাজও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    সম্প্রতি ভাইরাল হয় একটি পোস্ট

    সম্প্রতি, এক জন এক্স ব্যবহারকারী এবং ‘গ্রোক’-এর কথোপকথনের পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই হইচই পড়ে যায়। ব্যবহারকারী কৃত্রিম মেধার কাছে একটি বিষয়ে জান চান। কিন্তু চ্যাটবট তাৎক্ষণিক ভাবে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এর পরেই ব্যবহারকারী কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। পাল্টা ‘গ্রোক’ও অশ্লীল ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানায়। তখনই হতবাক হয়ে যান ওই ব্যবহারকারী। এরপর এ রকম আরও কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।

  • RSS: মাতৃভাষা প্রধান, এ ছাড়া আরও কোন দুই ধরনের ভাষা শিখতে বলছে আরএসএস?

    RSS: মাতৃভাষা প্রধান, এ ছাড়া আরও কোন দুই ধরনের ভাষা শিখতে বলছে আরএসএস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে চলছে আরএসএসের (RSS) তিন দিনের প্রতিনিধি সভা। গতকালই এর উদ্বোধন হয়। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বা এবিপিএস-এর প্রথম দিনে (Akhil Bhartiya Pratinidhi Sabha) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুন্দ সিআর। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তিনভাষা নীতির প্রণয়ন করেনি। তবে সংঘ সর্বদা মাতৃভাষা এবং মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে একটি বহুভাষিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে।’’

    শিশুর শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হল মাতৃভাষা (RSS)

    আরএসএসের মতে, প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে স্বাভাবিকভাবেই তিনটি মূল ভাষার প্রয়োজন হয়। এনিয়ে মুকুন্দ সিআর বলেন, ‘‘শিশুর শিক্ষার জন্য মাতৃভাষা খুব প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে, মাতৃভাষাই প্রধান ভাষা হওয়া উচিত। এটিই শিশুর বাড়ির ভাষা। মাতৃভাষার মাধ্যমেই শিশুর চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ এবং ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। মাতৃভাষার মাধ্যমে চরিত্র এবং বোধগম্যতা তৈরি হয়।’’

    স্থানীয় ভাষা শেখার গুরুত্ব

    একইসঙ্গে মুকুন্দ সিআর আঞ্চলিক বা স্থানীয় ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও কথা বলেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় অঞ্চলভিত্তিক ভাষা শেখাও প্রয়োজন (RSS)। এটি যে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর চারপাশের সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি জনজীবনে সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করতে পারে।’’

    শিখতে হবে কেরিয়ারের ভাষা (RSS)

    এর পাশাপাশি মুকুন্দ সিআর আরও একপ্রকার ভাষা শেখার কথা বলেন। তা হল, ‘কেরিয়ার ভাষা’। তিনি বলেন, ‘‘কেরিয়ার ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একজন শিশুর ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে ইংরেজিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। পেশাদার হওয়ার ক্ষেত্রে। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়তা বাড়াতে এবং আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতার জন্য অপরিহার্য হল কেরিয়ার ভাষা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সংঘের দৃষ্টিভঙ্গি এখানেই থেমে থাকে না। এই তিনটির বাইরেও ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে আরএসএস সম্মান করে বলে জানিয়েছেন সিআর মুকুন্দ। তাঁর ব্যাখ্যা, মাতৃভাষায় লালন-পালন করতে হবে চিন্তাভাবনা। আঞ্চলিক ভাষায় সম্প্রদায়গুলিকে সংযুক্ত করতে হবে এবং কেরিয়ারের ভাষা বিশ্বব্যাপী দরজা খুলে দেবে।

  • Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের তলায় রেলপথে (Underwater Train) দুবাইয়ের সঙ্গে জুড়বে মুম্বই। দুই শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে সমুদ্রগর্ভের রেলপথে। প্রসঙ্গত, দুবাই-মুম্বই ট্রেন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে প্রথম সামনে আসে। জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দুবাই শহরকে ভারতের মুম্বই (Mumbai) শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য জলের তলার এই ট্রেন প্রকল্পের (Underwater Train) উপর কাজ করছে। এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি বড় প্রকল্প হতে চলেছে। এই ২,০০০ কিমির রেলপথ দুবাইকে মুম্বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। জানানো হয়েছে, এই রেলপথ শুধুমাত্র মানুষ পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে না, একই সঙ্গে পণ্য, জল এবং তেল পরিবহণ করতেও ব্যবহার করা হবে।

    কী বলছেন দুবাইয়ের আধিকারিক?

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জনপ্রিয় সংবাদ পত্রিকা খালিজ টাইমসের মতে, সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাডভাইসার ব্যুরো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান পরামর্শদাতা আবদুল্লাহ আলশেহি এই প্রকল্পের ব্লু-প্রিন্ট সামনে এনেছেন। এদেশের সংবাদমাধ্যম নবভারত টাইমস আবদুল্লাহ আলশেহির বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আলশেহির মতে, ‘‘এটি একটি ধারণা (দুবাই-মুম্বাই সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ট্রেন পথ)। আমরা ভারতের মুম্বই শহরকে দুবাই পর্যন্ত যুক্ত করাব। সমুদ্রের নীচে (Underwater Train) অতি-উচ্চ গতির রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সংযুক্ত করতে চাই দুই শহরকে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকেও বাড়িয়ে তুলবে। এরমাধ্যমে ভারতে তেল রফতানি করা হবে। একইসঙ্গে নর্মদা থেকে অতিরিক্ত জল আমদানি করা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই পরিকল্পনাটি অনেক দিক থেকে বিবেচনা করতে হবে আমাদের। আমরা প্রকল্পটির জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষাও চালাব। যদি এমন ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এই রেল নেটওয়ার্ক প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।’’

    মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেসময় ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC)-এর বিষয়ে আলোচনা করে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে দুবাই-মুম্বই রেলপথ। সম্প্রতি আবুধাবিতে ভারতীয় দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • Char Dham Yatra: চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন শুরু ৩০ এপ্রিল থেকে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?

    Char Dham Yatra: চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন শুরু ৩০ এপ্রিল থেকে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হতে চলেছে ২০২৫ সালের চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra)। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এই যাত্রার রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ওইদিন থেকে চালু করা হবে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীর পোর্টাল। এরপরে ২ মে চালু করা হবে কেদারনাথের পোর্টাল। বদ্রীনাথের পোর্টাল চালু করা হবে ৪ মে। অন্যদিকে হেমকুন্ড সাহিবের পোর্টাল ভক্তদের জন্য খোলা হবে ২৫ মে থেকে। হাজার হাজার ভক্ত তাঁদের আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য পাড়ি দেন চারধামে। জানা গিয়েছে, এই যাত্রার জন্য উত্তরাখণ্ড সরকার ইতিমধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনকে বাধ্যতামূলক করেছে। নাম নথিভুক্ত করার সময় আধার নম্বর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

    চারধামের পরিচয় (Char Dham Yatra)

    registrationandtouristcare.uk.gov.in-এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। প্রসঙ্গত, চারধাম যাত্রা হল ভারতবর্ষের অন্যতম পবিত্র যাত্রা। মনে করা হয় চারধাম যাত্রায় মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। প্রতিবছরই হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হন এই যাত্রায়।

    যমুনোত্রী: যমুনোত্রী হল মা যমুনার সঙ্গে সম্পর্কিত ও যমুনা নদীর উৎস স্থল।

    গঙ্গোত্রী: গঙ্গোত্রী হল মা গঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। গঙ্গার উৎস স্থল।

    কেদারনাথ: কেদারনাথ হল দেশের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম। ভগবান শিবের তীর্থস্থান।

    বদ্রীনাথ: যাত্রার শেষ ধাপ যে মন্দিরটি, তা ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছে। নাম বদ্রীনারায়ণ।

    সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) বিশ্বাস অনুসারে, চারধাম যাত্রায় (Char Dham Yatra) ভক্তের পাপ মুক্তি হয় এবং তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে উন্নতি লাভ করে। মোক্ষ প্রাপ্তি করেন এবং জন্ম মৃত্যু বন্ধন থেকে মুক্ত হন।

    কীভাবে করবেন রেজিস্ট্রেশন? সঙ্গে কী কী রাখবেন?

    চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) সম্পর্কে বিভিন্ন আপডেট পেতে রাখতে হবে একটি ফোন। সিনিয়র সিটিজেনদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে যাত্রার আগে। যাঁরা হেলিকপ্টার করে যেতে চাইবেন তাঁদেরকে আগে থেকেই সেই টিকিট বুক করাতে হবে heliyatra.irctc.co.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে। সঙ্গে রাখতে হবে গরম জামা কাপড়, রেনকোট, ট্রেকিং জুতো ও ওষুধপত্র। ইতিমধ্যে এই যাত্রা সংক্রান্ত টোল ফ্রি নাম্বার প্রকাশ করা হয়েছে। যেটি হল ০১৩৫১৩৬৪।

  • Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সভার শুরুতেই চমক। মনমোহন সিং, জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। তা-ও আবার সাধারণ কোনও সভায় নয়, অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)। বেঙ্গালুরুর সেই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও (Mohan Bhagwat) ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তবলা বাদক জাকির হুসেন, চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, বিবেক দেবরায়, প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেন্দ্র প্রধান এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ প্রমুখ ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। আর সেই কারণেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আরএসসকে চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্ট করে কংগ্রেস, তৃণমূলের মত বিরোধী দলগুলি। অথচ কংগ্রেসের নেতা মনমোহন সিং এবং ভারতের গর্ব মুসলমান পরিবারের সন্তান জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোয় আরএসএস (RSS) কী ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন হওয়ার দিকে পা এগিয়ে দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন আজ সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে।

    ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন

    এদিন আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) ২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন। তিন-দিন ব্যাপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শুরু হওয়ার প্রাক্কালে, শুক্রবার সকালে ভারত মাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে। এরপর বৈঠকের শুভারম্ভ হয়। এই বছরের অক্টোবর মাসে আরএসএস ১০০ বছর (RSS 100 Years) পূর্ণ করবে। তাই আরএসএস-এর শতবর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংঘের গত বছরের (২০২৪-২৫) বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বৈঠকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আরএসএস সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘ এবং বিবিধ ক্ষেত্রের মোট ১,৪৮২ জন প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহণ করছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্পাদিত কাজের প্রতিবেদন তাঁরা উপস্থাপন করবেন। এতে উদ্যোগের বিবরণ, বিশেষ কর্মসূচি এবং গৃহীত কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলা, নিপীড়ন এবং খুন-ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস। এবার সংঘের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সভা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। প্রসঙ্গত এবছর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ৩ দিনের বৈঠক বসছে বেঙ্গালুরুতে। আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানান আসন্ন বৈঠকে দুটি প্রস্তাবের উপর আলোচনার পর মতামত নেওয়া হবে। প্রথম প্রস্তাবে থাকছে বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, নির্যাতন নিয়ে বিশদে আলোচনা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে থাকছে আরআসএস-এর শতবর্ষ পালন কী করে হবে তা নিয়ে আলোচনা।

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিধানসভা ভোট। তার আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই দুই রাজ্যে সংগঠন জোরদার করতে পাখির চোখ করেছে আরএসএস। অতীতে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে একাধিকবার দরবার করেছে আরএসএস। এবার পদ্মা পারে হিন্দু নিপীড়ন প্রশ্নে পথে নামতে চলেছে তারা।

    আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানিয়েছেন, “বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হামলা, হুমকি, নিপীড়ন বন্ধ করতে আমাদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিশদে আলোচনার পর প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোর কমিটির কাছে তা পেশ করা হবে।” প্রেস ব্রিফিংয়ে আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তপ্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেই সঙ্গে এই সব জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, এবিপিএস-এর বৈঠকে (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) আরএসএসের ৩২টি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন, যাদের মধ্যে দেশের নানা স্থানে কার্যরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

LinkedIn
Share