Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট, গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট, গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী মন্তব্য করার জন্য গ্রেফতার কার হল অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ashoka University) অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে। ইতিমধ্যে তাঁর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মহিলা সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করেন ওই অধ্যাপক। এমনটাই অভিযোগ ওঠে আলি খানের বিরুদ্ধে। এর পরেই হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়টির ওপর নজর দেয়। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হল।

    মহিলা অফিসারদের অবমাননা করার অভিযোগ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, আগেই একটি নোটিশে মহিলা কমিশন বলেছিল যে আলি খানের মন্তব্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা অফিসারদের অবমাননা করা হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দিয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে কোনওরকমের চেষ্টার ত্রুটি করছেন না আলি। মহিলা কমিশনের নোটিশের জবাবে তাঁর দাবি করেছিলেন, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং এর সঙ্গে যুক্ত মহিলা অফিসারদের নিয়ে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি নারীবিদ্বেষী ছিল না। তবে এসব ধোপে টিকল না, গ্রেফতার হতেই হল আলিকে (Ashoka University) ।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন আলি?

    তিনি নিজের পোস্টে সেনার সাংবাদিক সম্মেলনকে ‘অপ্টিক’ এবং ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে আলি লিখেছিলেন, ‘‘আমি খুব খুশি যে অনেক ডানপন্থী কর্নেল কুরেশির প্রশংসা করছেন। তবে তারা একই ভাবে গণপিটুনি, একতরফা বুলডোজার কার্যক্রমের বিরুদ্ধেও জোর গলায় সরব হতে পারেন। যারা বিজেপির বিদ্বেষের রাজনীতির মুখে পড়ছেন, তাদের সুরক্ষার দাবি জানাতে পারেন।’’

    স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করা হয়

    এই আবহে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন আইন, ২০১২ এর ধারা ১০(১)(এফ) এবং ১০(১)(এ) অনুসারে আলি খানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করে। তবে এই গোটা বিতর্কের জবাবে আলি খান বারবার দাবি করেন, এটা একটা নতুন ধরনের সেন্সরশিপ। তবে এই আবহে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতি (Operation Sindoor) জারি করে। আলি খানের বক্তব্য তারা সমর্থন করেনা বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয়।

  • ISRO: উৎক্ষেপণের ২০৩ সেকেন্ডের মধ্যে বাতিল ইসরোর ১০১তম অভিযান!

    ISRO: উৎক্ষেপণের ২০৩ সেকেন্ডের মধ্যে বাতিল ইসরোর ১০১তম অভিযান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যর্থ হল ইসরোর (ISRO) ১০১তম অভিযান। রবিবার সকালেই মহাকাশে পাড়ি দেয় ইসরোর রকেট। এদিন ঠিক ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিয়েছিল পিএসএলভি-সি৬১ রকেট। যার লক্ষ্য ছিল EOS-09 কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে লঞ্চ করা। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই উপগ্রহটিকে আর মহাকাশে প্রেরণ করা যায়নি। উৎক্ষেপণের ২০৩ সেকেন্ডের মধ্যেই মিশনের তৃতীয় ধাপে সমস্যা দেখা দেওয়ার পরই তা বাতিল করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন ইসরো প্রধান (ISRO)

    জানা গিয়েছে, ১৬৯৬ কেজির ইওএস-০৯ স্যাটেলাইটটি (Satellite) তৈরিই হয়েছে সি ব্যান্ডের SAR ব্যবহার করে যাতে সমস্ত মরশুমের ছবি তোলা যায়। তবে ৫২৪ কিমি সূর্য-সমকালীন মেরু কক্ষপথে সেটিকে আর প্রতিস্থাপন করা গেল না। প্রাথমিক ভাবে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, তৃতীয় ধাপেই থমকে গেল মিশন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম ইসরোর (Satellite) কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ লঞ্চের পরিকল্পনা ব্যর্থ হল। ইসরোর (ISRO) প্রধান ভি নারায়ণ পরে লাইভ স্ট্রিমে এসে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘১০১তম মিশনটি আজ শুরু করা হয়। পিএসএলভি-সি৬১ দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় ধাপে এক বিশেষ পর্যবেক্ষণের পরে এই মিশন বাতিল করে দেওয়া হল।’’

    ৪৬ বছর আগে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল দেশের প্রথম উপগ্রহ

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই শততম উৎক্ষেপণের নজির গড়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। উল্লেখ্য, ৪৬ বছর আগে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল দেশের প্রথম উপগ্রহ। তারপর দেখতে দেখতে এতটা পথ পেরিয়ে এসেছে ইসরো (ISRO)। কৃত্রিম উপগ্রহ এনভিএস-২-কে নিয়ে জিএসএলভি এফ-১৫ রকেটের সফল উৎক্ষেপণের ওই মিশনই ছিল ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া ভি নারায়ণনের প্রথম মিশন। কিন্তু এরপরই ১০১-তম মিশনটি ব্যর্থ হল।কী কারণে এই গোলযোগ ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারেরা। ইতিমধ্যে একটি ব্যর্থতা বিশ্লেষণ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

  • Telangana: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রেশম চাষ, এমবিএ যুবক করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

    Telangana: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রেশম চাষ, এমবিএ যুবক করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলেঙ্গনার (Telangana) সিদ্দিপেট জেলার চান্দলাপুরের বাসিন্দা রামাস্বামী। এমবিএ ডিগ্রিধারী রামাস্বামীর কাছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ কখনও পছন্দের ছিল না। এরপর ২০২১ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে রেশম চাষ শুরু করেন। সঙ্গে ছিল তাঁর বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা। তাঁর পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তুঁত চাষের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। রামাস্বামী জানিয়েছেন, বিগত চার বছরে রেশম পোকা পালনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তিনি।

    ছোট থেকেই চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন রামাস্বামী (Telangana)

    জানা যায়, ছাত্রাবস্থাতেই রামাস্বামী তাঁর বাবা নরসিমলু এবং মা ভুলক্ষ্মীকে তুঁত চাষে সাহায্য করতেন। এই চাষ খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেন তিনি, এরপরেই ধীরে ধীরে রামস্বামীর (Telangana) আগ্রহ তৈরি হয় এই চাষের প্রতি। এরপরেই তিনি মাত্র দুই একর জমিতে রেশম পোকা পালন শুরু করেন। তাঁর সংকল্প এবং স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখন সাত একরে এই চাষ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। রেশম চাষ করার আগে রামাস্বামী বেঙ্গালুরুতে তিন মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফিরে আসার পর, তিনি সাকি সেন্টার ব্র্যান্ড নামে একটি রেশম পোকার ডিম উৎপাদন ইউনিট চালু করেন। এখানেই তিনি কর্মী হিসেবে পাঁচজনকে নিয়োগ করেন।

    রেশম চাষ

    প্রসঙ্গত, রেশমের দিক থেকে ভারত পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ (Telangana)। রেশম পোকারা গুটিকা তৈরি করে, যা পরে রেশমের সুতোয় পরিণত হয় এবং কাপড় বোনা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে গুটিকা সংগ্রহ করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই গাছ ৩০ বছর পর্যন্ত উৎপাদনশীল (Telangana) থাকে। রেশম চাষ করতে হলে তুঁত গাছের চাষ করতে হয়। কারণ রেশম পোকা তুঁত গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। সাদা তুঁত, কালো তুঁত এবং লাল তুঁত-এ তিন প্রজাতির গাছে রেশম পোকা চাষ করা যায়। তবে সাদা তুঁত গাছই রেশম পোকার সবচেয়ে পছন্দের। তুঁত গাছ একবার লাগালে ২০-২৫ বছর ধরে পাতা দেয়।

  • Donal Trump: হোয়াইট হাউসে ২ জেহাদি নিয়োগ, একজনের রয়েছে লস্কর যোগ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে প্রবল বিতর্ক

    Donal Trump: হোয়াইট হাউসে ২ জেহাদি নিয়োগ, একজনের রয়েছে লস্কর যোগ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে প্রবল বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতির ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donal Trump) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে। হোয়াইট হাউসের প্যানেলে জায়গা পেল দুই জেহাদিকে। যাদের মধ্যে একজনের আবার লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে জঙ্গিযোগও রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন কাজে কার্যতই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ শিবিরের অংশ নিয়েছে ২০০০ সালে। শুধুমাত্র তাই নয়, কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী নানা কার্যকলাপে জড়িতও ছিল সে। ভারতে এসে গুলি চালানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    জেহাদিদের নিয়োগ হোয়াইট হাউসে (Donal Trump)

    এবার এই দুই জেহাদিকেই হোয়াইট হাউসের (White House) এডভাইসারি বোর্ড অফ লে লিডারসে রাখা হয়েছে (Donal Trump)। এতেই চলছে বিতর্ক। ইসলামিক জঙ্গি যোগ থাকা সত্ত্বেও ইসমাইল রোয়ার এবং শেখ হামজা ইউসুফকে- এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এদের মধ্যে ইসমাইল রোয়ার ২০০০ সালে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় বলে জানা গিয়েছে। ইসলাম রোয়ার বর্তমানে রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইনস্টিটিউট-এর ইসলাম অ্যান্ড রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাকশন টিমের পরিচালক। অপরদিকে হামজা ইউসুফ হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম স্বীকৃত মুসলিম লিবারেল আর্টস কলেজ ‘জেইতুনা কলেজ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন রাজনৈতিক কর্মী লারা লুমার। তিনি এই নিয়োগকে ‘উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেন। লুমারের আরও দাবি , উপদেষ্টা বোর্ডের আরেক সদস্য শায়খ হামজা ইউসুফও ‘জিহাদি ভাবধারায়’ বিশ্বাসী। তাঁর মতে, হামজা ইউসুফ জিহাদের প্রকৃত অর্থ আড়াল করেছে এবং মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

    মার্কিন আদালতেও সাজা হয়েছিল ইসমাইলের

    ২০০৪ সালে মার্কিন আদালত তাকে (ইসমাইল) কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের কথা ঘোষণা করে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং মার্কিন নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর জন্য ‘ভার্জিনিয়া জিহাদি নেটওয়ার্ক’ তদন্ত নেমে এফবিআই তাকে গ্রেফতার করে। তবে ১৩ বছর পরেই তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই ইসমাইল লস্কর জঙ্গি ইব্রাহিম আহমেদ আল হামিদির সাহায্যে লস্করের ক্যাম্পে গিয়েছিল। যেখানে আল হামিদই তাকে প্রশিক্ষণ দেয়।

  • e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ভ্রমণ হবে আরও সহজ। এবার দেশে কাগজের পাসপোর্টের বদলে এল নয়া ই-পাসপোর্ট। জানা যাচ্ছে, এই পাসপোর্টে লাগানো (e-Passports) থাকবে চিপ। ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাল পাসপোর্টের প্রচলন কমানো। পাসপোর্টের সঙ্গে কারসাজি, জালিয়াতি এবং জাল পাসপোর্ট তৈরির মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারত সরকার ই-পাসপোর্ট পরিষেবা (e-Passports) চালু করে প্রযুক্তির এক নয়া যুগের সূচনা করেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে নতুন ই-পাসপোর্ট নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই পাসপোর্ট যতদিন বৈধ থাকবে ততদিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। পুনর্নবীকরণের সময় এলে তখন একটি ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

    ই-পাসপোর্ট আসলে কী

    ই-পাসপোর্ট দেখতে হচ্ছে একেবারে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই। তবে এই ধরনের পাসপোর্টে একটি বিশেষ ধরনের মাইক্রোচিপ লাগানো থাকছে। এই চিপে থাকবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি ছবি, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি। অন্যান্য বায়োমেট্রিক বিবরণও এই চিপে সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এইভাবেই এই তথ্যগুলি নিরাপদে এনক্রিপ্ট করা হয়েছে চিপে। অনুমোদিত স্ক্যানিং ছাড়া এই তথ্য কেউ কখনও অ্যাক্সেসও করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল এই পরিষবা চালু করা হয় পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের আওতায়। পাসপোর্ট পরিষেবায় প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণেই ওই পাইলট প্রকল্প চালু করে মোদি সরকার।

    কোথায় শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের বেশ কিছু নির্বাচিত শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা। ১২টি শহরের পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এগুলি হল- নাগপুর, ভুবনেশ্বর, জম্মু, গোয়া, শিমলা, রায়পুর, অমৃতসর, জয়পুর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, সুরাট এবং রাঁচি। সরকার শীঘ্রই আরও বেশ কয়েকটি স্থানে এই পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রক ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এটি সারা দেশে বাস্তুবায়নের পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রতিটি নাগরিক এর সুবিধে পেতে পারে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে, চলতি বছরের ৩ মার্চ চেন্নাই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২২ মার্চ পর্যন্ত, ওই রাজ্যে ২০,৭২৯টি ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বলে খবর।

    ই-পাসপোর্টের কী কী সুবিধে

    জালিয়াতি রোধ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাসপোর্টে থাকা চিপটি জাল করা বা নষ্ট করা একেবারেই অসম্ভব। জানা যাচ্ছে, পাসপোর্টের কভারে একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ এবং অ্যান্টেনা এমবেড করা থাকে। এই চিপে ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক বিবরণ নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে। এরফলে এই ব্যবস্থা পাসপোর্ট সম্পর্কিত জালিয়াতি রোধ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দ্রুত ইমিগ্রেশন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন কোনও ব্যক্তি ইমিগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই চিপটি সঙ্গে সঙ্গে তথ্য দিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আধিকারিককে। এরফলে এতে যাচাইকরণের সময়ও কমে যাবে।

    তথ্য সুরক্ষিত থাকবে  বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই চিপের (e-Passports) মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখা হয়। এর ফলে যে কোনও অজানা ব্যক্তি কোনওভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করতে পারবে না।

    সহজে শনাক্তকরণ ই-পাসপোর্টের সামনের কভারের নিচে (Passports) একটি ছোট সোনালী রঙের প্রতীক থাকে, যা এটিকে সাধারণ পাসপোর্ট থেকে আলাদা করে।

    আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ এই পাসপোর্টগুলি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন দ্বারা নির্ধারিত মান অনুসরণ করে তৈরি, তাই বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন কীভাবে করবেন

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ই-পাসপোর্টের (e-Passports) জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আগের মতোই রয়েছে।

    প্রথমেই এজন্য আপনাকে যেতে হবে www.passportindia.gov.in ওয়েবসাইটে। আর এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    রেজিস্টার্ড আইডি থেকে লগ ইন করার পরে Fresh কিংবা Reissue বিকল্প বেছে নিতে হবে।

    এরপরের ধাপ হল প্রয়োজনীয় তথ্য বসিয়ে ফি জমা করা।

    এরপর নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এরপর ওই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আসল নথিগুলি নিয়ে যেতে হবে যাচাইকরণের জন্য।

    সবশেষে আপনার ই-পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে বাড়ির ঠিকানায়

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদত দেয় পাকিস্তান (Pakistan), এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবিষয়ে জোরদার প্রচার চালাবে নয়াদিল্লি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্র তৈরি করেছে বিশেষ দল। জানা গিয়েছে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এনিয়ে বিরোধী সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, যোগাযোগ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং সলমান খুরশিদ, এনসিপি (এসপি) এর সুপ্রিয়া সুলে, টিএমসির সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইএমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, ডিএমকে-র কানিমোঢ়ি এবং বিজেপির বিজে পান্ডার সঙ্গে। বিদেশের বিভিন্ন সরকারের কাছে গিয়ে তাঁরা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা, তার পরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সমতে সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে ওই বিশেষ দল।

    ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর

    সূত্রের খবর, ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর (Operation Sindoor)। এই সফরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। বিভিন্ন দলের সাংসদদের কাছে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্রতিনিধি দলে ৫ থেকে ৬ জন করে সাংসদ থাকবেন। তাঁরা আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ নানা দেশে সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে এনডিএ সাংসদরাই থাকবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপে কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরেই শুরু করা হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। পরে ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে ভারত-পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও।

  • Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan)। এই আবহে ফের একবার প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে হিংলাজ মাতার মন্দির এবং কাটাস রাজ মন্দির। বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাঁদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একপ্রকার পাকিস্তানের সেনা ও সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বালোচিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। বালোচিস্তানের এই দুই প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গেই ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে।

    বালোচিস্তানের লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির

    পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির। এই মন্দির হিন্দুদের একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম বলে মানা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির হিংলাজ শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বালোচিস্তানের এই শক্তি পীঠেই মাতা সতীর মস্তক পড়েছিল। এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। হিঙ্গল নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই মন্দির সিন্ধি এবং বালোচিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত ভক্তির জায়গা। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানে (Balochistan) বসবাসরত মুসলমানদের একাংশের কাছেও হিংলাজ মাতার মন্দির নানি পীর বলে পরিচিত।

    পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির

    একইভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে পরিচিত এই মন্দির ফের একবার প্রচারের আলো উঠে এসেছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানেই সতীদাহের সময় ভগবান শিবের অশ্রু পড়েছিল। এই স্থানে রয়েছে একটি পবিত্র জলাশয়। শুধু তাই নয়, কাটাস রাজ শিব মন্দিরের অন্য গুরুত্বও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন ভারতবর্ষে এই মন্দিরই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, আদি গুরু শংকরাচার্য এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। কাটাস রাজ শিব মন্দিরের গঠনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতির মিশ্রণ দেখা যায়। পাকিস্তানে হিন্দুদের (Balochistan) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে আজও রয়ে গিয়েছে। যদিও দেশভাগের পরবর্তীকালে এই মন্দিরে পুজো না করতে দেওয়ার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে।

  • Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পাপের ফল ভোগ করছে পাকিস্তান (Pakistan)! বিগত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তানের একটাই নীতি, সেটা হল ভারতকে আঘাত করা এবং রক্তাক্ত করা। পাকিস্তান এই নীতিকে বাস্তবায়িত করতে সন্ত্রাসকে তোষণ করছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। সে দেশে প্রকাশ্যেই সদর দফতর খুলে বসে আছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাও সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। বিগত কয়েক দশক ধরেই এই জঙ্গিদের ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উস্কানি দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজ করে আসছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান যখন ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা কখনও ফিরে দেখেনি তাদের নিজের বাড়ির উঠোনেই বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন জ্বলে উঠছে। আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ হল বালোচিস্তান। এই প্রদেশের গণবিদ্রোহে বর্তমানে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার একেবারে বিপর্যস্ত। সে দেশের সরকারের কাছে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বালোচিস্তানের গণবিদ্রোহ (Balochistan)।

    ১৯৪৮ সালে জোর করে বালোচিস্তান (Balochistan) দখল করে পাকিস্তান

    ১৯৪৮ সালের বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে ওঠে। একপ্রকার জোর করে বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময়ে বালোচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী উপজাতি নেতা ছিলেন, যাঁরা তাদের এই প্রদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চেয়েছিলেন। তবে, তাঁদের সেই চাওয়া এবং দাবিকে কোনও মূল্যই দেয়নি পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা। এক প্রকার জোর করে বালোচিস্তানের ওপরে নিজেদের কর্তৃত্ব চাপায় পাকিস্তান সরকার। বালোচিস্তান (Balochistan) যেন প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এক ভূমি। কী নেই এখানে! গ্যাস, কয়লা, তামা, সোনা সমস্ত কিছুই। প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান কখনও এই প্রদেশকে তার প্রাপ্যটুকু দেয়নি। তার মূল্য দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করা হয়েছে প্রদেশের মানুষদের সঙ্গে। তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান। কোনও উন্নয়ন পৌঁছায়নি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই প্রদেশে।

    পাকিস্তানি সেনার করুণ অবস্থা সামনে এসেছে গণবিদ্রোহে (Balochistan)

    খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী এই অঞ্চলের জনগণের ক্ষোভ তাই পুঞ্জীভূত হতে থাকে। পাকিস্তান সম্পদ সমৃদ্ধ বালোচিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা করায় সেখানকার মানুষজন হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়। তাঁরা বলতে থাকেন, ইসলামাবাদ বিগত কয়েক দশক ধরে যে গৃহীত নীতি অনুসরণ করে চলেছে তা বালোচিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই তারা এই অস্ত্র হাতে নিয়েছে। ভারতকে রক্তাক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তান এখন নিজের দেশেই পিছু হঠছে। বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে পাকিস্তানের সেনাকেও যেন অসহায় লাগছে। পাকিস্তানি সেনার কনভয়গুলিতে লাগাতার আক্রমণ, বোমা হামলা, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, অতর্কিত হামলা- এই সমস্ত কিছুতেই অসহায় হতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। কড়া হাতে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে উলটে বালোচ বিদ্রোহীরা যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, বালোচিস্তানের প্রায় ৫১ জায়গায় পাক সেনার উপরে ৭১টি হামলা চালিয়েছে তারা। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে রয়েছে গোটা প্রদেশের জনসমর্থন। অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

    ২০০০ সাল থেকে বালোচ বিদ্রোহীরা সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে থাকে

    দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার বালোচিস্তানের মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন বঞ্চনা, বিদ্রোহে পরিণত হয় ২০০০ সালে। ওই বছরেই বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাদের নিকটবর্তী স্থানগুলির সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। এরপর ২০০৬ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান উপজাতি গোষ্ঠীর নবাব আকবর বুগদিকে হত্যা করে। এতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করে। বিদ্রোহ দমনের নামে তারপর থেকেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শয়ে শয়ে যোদ্ধাকে হত্যা করতে থাকে। তাঁদেরকে নির্যাতন করতে থাকে। বিদ্রোহীদের অপহরণ করতে থাকে পাকিস্তানি সেনা। সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে বালোচিস্তান মানুষদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালে যা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বালোচিস্তান।

    প্রতীকী স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন বালোচ নেতারা, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল জাতীয় পতাকা

    পাকিস্তান সরকারের এমন সন্ত্রাসের অভিযোগে বালোচিস্তান নেতারা বিগত কয়েক দশক ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাটি উল্লেখ করে আসছেন। তাঁরা বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছেন। পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্যে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকা। এর পাশাপাশি স্বাধীন বালোচিস্তান রাষ্ট্রের মানচিত্রও দেখা গিয়েছে। বালোচিস্তান প্রজাতন্ত্র নামে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এ নিয়ে বালোচিস্তানের অন্যতম নেতা তথা লেখক মীর ইয়ার বালুচ বলেন, ‘‘পাকিস্তান অধিকৃত বালোচিস্তানের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বালোচিস্তান (Balochistan) পাকিস্তানের অংশ নয়।’’ নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে মীর ইয়ার বালুচ রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বালোচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালের পাকিস্তান জোর করে বালোচিস্তান দখল করার পর থেকেই এই সমস্যা চলছে বলেও জানিয়েছেন মীর ইয়ার বালুচ। তাঁর মতে, ‘‘এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে গ্যাস-খনিজ এই সমস্ত কিছুই ইসলামাবাদ লুট করছে। বালোচিস্তানের স্থানীয় জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওই কারণে পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র প্রদেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান।’’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বালোচিস্তানের পতাকা ও মানচিত্র হাতে সাধারণ মানুষের ছবিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে মীর ইয়ার বালুচকে।

    বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সরকারের মহিলা প্রধানমন্ত্রী নাইলা কাদরি

    সাবেক বালোচিস্তানের একটা বড় অংশ যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত, আরও দুটি অংশ ঢুকে আছে, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে! তবে এখন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশের নাম বালোচিস্তান, পাকিস্তানের মোট আয়তনের ৪৩ শতাংশ। এক লাখ একত্রিশ হাজার ৫৪৫ বর্গ মাইল! ঐতিহাসিকদের মতে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বালোচিস্তানের পার্লামেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে! কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান জবরদখল করে! তবে অনেক বছর ধরেই বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা! তাঁর নাম নাইলা কাদরি! যাঁকে ইতিমধ্যেই বিতারিত করা হয়েছে দেশ থেকে! এই বালোচ নেত্রী পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনও চেয়েছেন। পেশায় অধ্যাপিকা নইলা কাদরি বিশ্বাস করেন, একমাত্র সনাতনী ভারতের সঙ্গে পুরান সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আছে বালোচবাসীর! বালোচবাসীর মধ্যে হিন্দু আছেন শিখ আছেন মুসলিম আছেন, সকলে বালোচ পরিচয়ে আছেন! ধর্মের পরিচয়ে নেই! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বালোচিস্তান, যা একসময় একটি স্বাধীন দেশ ছিল, তা এখন পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে!

LinkedIn
Share